গরমে শান্তিপূর্ণ ঘুম: কিছু কার্যকরী টিপস

সত্য নিউজ: গ্রীষ্মকালে তীব্র তাপপ্রবাহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা চরমে পৌঁছানোর কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে, আর রাতের ঘুমেও থাকে বিরামহীন অস্বস্তি। তীব্র গরমে ঘুম ভেঙে যাওয়া, শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকা এক কঠিন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। তবে, গরমে ভালো ঘুম নিশ্চিত করার কিছু সহজ কৌশল আছে যা প্রয়োগ করলে এই অস্বস্তি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
শীতল পরিবেশ তৈরি করা
গরমে ভালো ঘুমের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শীতল পরিবেশ। ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি যেমন এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলারের ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে বিদ্যুৎ বিলের কথা মাথায় রেখে ফ্যানের ব্যবহার করাও কার্যকরী হতে পারে। ঘুমানোর আগে কয়েক মিনিটের জন্য ঘরের বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন, যেন ঘর থেকে তাপ দূর হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমে আসে। ঘরের শীতলতা নিশ্চিত করতে খোলা জানালা, পোকামাকড় থেকে সুরক্ষা এবং পর্যাপ্ত বাতাসের চলাচল নিশ্চিত করুন।
ফ্যানের ব্যবহার
এসি বা এয়ার কুলার ব্যবহারের অভাব হলে সিলিং ফ্যান এবং স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর। যদি স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে একটি ভেজা কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া যায়, তাহলে তা কুলারের মতো কাজ করবে এবং তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমিয়ে দেবে। তাপমাত্রা কমানোর পাশাপাশি ঘরের বাতাসও স্বস্তিদায়ক হবে।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়া
গরমে ঘাম ঝরানো শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তীব্র গরমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়, ফলে শরীর শুষ্ক হয়ে যায় এবং অস্বস্তি বাড়ে। তাই ঘুমানোর আগে পানির বোতল হাতে রাখুন, যাতে মাঝে মাঝে পানি পান করতে পারেন এবং শরীরের জলীয় অংশ ফিরিয়ে আনতে পারেন। এটা শুধু স্বস্তি দেবে না, শরীরকে স্বাস্থ্যকরও রাখবে।
আরামদায়ক কাপড় পরা
রাতের ঘুমের জন্য হালকা কাপড় বেছে নেয়া উচিত, যা শরীরের অতিরিক্ত গরম অনুভূতি কমায় এবং ঘামও কম হয়। সুতির কাপড় স্বাভাবিকভাবেই শরীরের জন্য আরামদায়ক এবং হালকা রঙের চাদর ব্যবহার করলে ঘরের তাপমাত্রা খুব বেশি বৃদ্ধি পাবে না। এছাড়া, সুতির চাদর ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক কারণ তাপ ধরে রাখে না এবং সহজে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ঘরের আলো কমিয়ে রাখা
গ্রীষ্মকালে ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ কমিয়ে দেয়া উচিত, বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে। ঘরের পর্দা বন্ধ রেখে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু সময় অন্ধকার ঘরে বসে থাকলে, শরীর মেলাটোনিন উৎপন্ন করতে শুরু করবে, যা দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে। অন্ধকারে থাকার ফলে ঘুমের গুণগত মানও বাড়ে এবং ঘুমের মাঝে অস্বস্তি কম হয়।
গরমে শান্তিপূর্ণ ঘুম নিশ্চিত করার জন্য এই সাধারণ কিছু কৌশল অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। ঘর শীতল রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান, হালকা কাপড় পরা এবং ঘরের আলো কমিয়ে রাখার মাধ্যমে গরমে ঘুমানোর অভিজ্ঞতা আরও স্বস্তিদায়ক করা সম্ভব। এসব পরামর্শ মেনে চললে গ্রীষ্মকালীন রাতেও সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ ঘুম পাওয়া সম্ভব।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মাহফুজ আলমের ফেইসবুক পোস্ট: কি বার্তা দিলেন?
- আবারও খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দুয়ার!
- “ইশরাককে দায়িত্ব দাও, শহর বাঁচাও!”- কেন এই স্লোগান!
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ: জনগণের সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থাকবে বিএনপি
- ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাত: কারও প্রকৃত বিজয় নেই, শুধু দাবির প্রতিযোগিতা
- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কাগজে শান্তি, মাটিতে অনিশ্চয়তা
- চীনের কৌশলগত সহায়তায় পাকিস্তানের সামরিক শক্তির উত্থান: আঞ্চলিকশক্তির নতুন বিন্যাস
- ১০৩ বছরের নীরবতা ভাঙল এল ক্লাসিকো, দেখল অভাবনীয় গোলবন্যা!
- তারেক রহমানের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকার কি স্বৈরাচারের পুনর্বাসন করছে?
- গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- হবিগঞ্জে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪০, কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর
- নেইমার কিনলেন ১৫ কোটি টাকার ফেরারি: কারন শুনলে অবাক হবে
- আ.লীগ নিষিদ্ধে বিএনপি কি দ্বিধায়?
- কম খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ: সহজ এবং সাশ্রয়ী ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেখানে পড়াশোনা করা সম্ভব
- যুদ্ধবিরতিতে কাশ্মীরের কী বার্তা?