৩১ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজকের বাজার পর্যালোচনা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩১ ১৫:৫০:৩৫
৩১ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজকের বাজার পর্যালোচনা

৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩৯৪টি শেয়ার লেনদেন সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ১৫০টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, ১৬৭টি শেয়ারের দাম কমেছে এবং ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। এই ফলাফল থেকে বোঝা যায় বাজারে কিছুটা চাপের পরিস্থিতি থাকলেও দাম ওঠানামা চলছে। বিশেষ করে “এ” ক্যাটাগরির শেয়ারগুলো তুলনামূলক সুষম পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে যেখানে ১০১টি শেয়ারের দাম বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার ইঙ্গিত।

“বি” ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোতে দাম কমার পরিমাণ বেশি ছিল। মোট ৮২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে ৪৭টির দাম কমেছে এবং মাত্র ২১টির দাম বেড়েছে। এই বিভাগে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন, কারণ দাম পতন বেশি হওয়া অর্থনৈতিক বা প্রতিষ্ঠানগত কোনো দুর্বলতার সংকেত হতে পারে।

“জেড” ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোতে ৯৫টি লেনদেন হয়েছে। এখানে দাম ওঠানামার পরিমাণ ছিল মাঝারি, ২৮টি শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ৩৮টির দাম কমেছে। এই ক্যাটাগরির শেয়ারগুলো মূলত মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, যা বাজারের অনুভূতিতে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই এ বিভাগে বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক হওয়া জরুরি।

মিউচুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ডের লেনদেন ছিল সীমিত। মিউচুয়াল ফান্ডে মোট ৩৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যেখানে ১১টির দাম বেড়েছে এবং ৬টির দাম কমেছে। কর্পোরেট বন্ড ও সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন খুবই কম ছিল এবং দাম পরিবর্তন সীমিত ছিল, যা এই সেক্টরের স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।

আজকের মোট লেনদেনের পরিমাণ ১০৬৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিফলন। মোট ৪০ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৯ হাজার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে এই অঙ্কে পৌঁছানো হয়েছে, যা দিনের বাজার গতিশীলতার প্রমাণ।

বাজার মূলধনের দিক থেকে ইক্যুইটি শেয়ারের মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৬২ ট্রিলিয়ন টাকা, মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার মূলধন ২৯৩ কোটি এবং ঋণপত্র বা ডেব্ট সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য প্রায় ৩.৪৭ ট্রিলিয়ন টাকা। একত্রে এগুলো মিলিয়ে মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭.১২ ট্রিলিয়ন টাকার কাছাকাছি, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির স্টক মার্কেটের গুরুত্ব তুলে ধরে।

ব্লক ট্রানজেকশনে আজ মোট ৩৬টি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। মোট ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫৮ শেয়ার ৩০৭ কোটি টাকার বেশি মূল্যে বিক্রি হয়েছে। এই বড় ধরনের লেনদেন প্রফেশনাল বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়, যারা বাজারের মূল প্রবণতাকে শক্তিশালী করে।

ব্লক ট্রানজেকশনের মধ্যে কেপিবিপিডব্লিউআইএল শেয়ার সবচেয়ে বড় ভলিউমে লেনদেন হয়েছে, ৬৮৭ হাজার ইউনিট বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ট্রাস্ট ব্যাংক শেয়ারের ১৫টি ট্রেডে ১২ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রদর্শন করে।

ম্যারিকো শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য ২৬৮৮ টাকা ছিল, যা দেশের শেয়ারবাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত। এই শেয়ারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বাজারের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রমাণিত হয়।

সাধারণত আজকের বাজারে “এ” ক্যাটাগরির শেয়ারগুলো শক্ত অবস্থানে ছিল, যেখানে অনেক শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং লেনদেনও ছিল ব্যাপক। অন্যদিকে, “বি” ও “জেড” ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোতে দাম কমার প্রবণতা লক্ষণীয়, যা বিশেষজ্ঞদের সতর্ক করে দিয়েছে বিনিয়োগে আরও গভীর বিশ্লেষণ ও সংযমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

মোটের উপর বিচার করলে, ৩১ জুলাইয়ের ডিএসই কার্যদিবসটি ছিল স্থিতিশীলতার লক্ষণ বহনকারী। দাম ওঠানামা থাকলেও মোট লেনদেনের পরিমাণ এবং বাজার মূলধনের উচ্চতা থেকে বোঝা যায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য পরবর্তী সময়ে সতর্ক থাকা জরুরি, বিশেষ করে নিম্নবর্গের শেয়ার ও ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাটাগরিতে। তবে বড় ও প্রফেশনাল বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ এবং শক্তিশালী ব্যাংক ও ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের শেয়ার লেনদেন বাজারের স্থিতিশীলতার লক্ষণ।

-রাফসান


০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৫:১০:৫৮
০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২ নভেম্বর, ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। লেনদেন হওয়া মোট ইস্যুগুলোর মধ্যে ২০৭টিরই দাম কমেছে, যা উত্থান হওয়া (১২৮টি) শেয়ারের সংখ্যার চেয়ে বেশি। এর ফলে বাজারের মূল সূচকগুলোতে পতনের ধারা বজায় ছিল।

বাজারের সার্বিক চিত্র

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৯৫টি ইস্যুর মধ্যে ২০৭টির দাম কমেছে এবং ১২৮টির দাম বেড়েছে। ৬০টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

লেনদেন: দিনের মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা বাজারের সাম্প্রতিক গতির তুলনায় বেশ শক্তিশালী। মোট ট্রেড সংখ্যা ছিল ১,৮৩,৭৮৭টি।

বাজার মূলধন: মোট বাজার মূলধন ৬.৯৮ ট্রিলিয়ন টাকাতে অবস্থান করছে।

ক্যাটাগরিভিত্তিক পারফরম্যান্স

প্রায় সব প্রধান ক্যাটাগরিতেই পতনের চিত্র ছিল স্পষ্ট:

A ক্যাটাগরি: লেনদেন হওয়া ২১৭টি ইস্যুর মধ্যে ১১৬টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ৭২টির।

B ক্যাটাগরি: ৭৯টি ইস্যুর মধ্যে ৫১টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ২০টির।

Z ক্যাটাগরি: ৯৯টি ইস্যুর মধ্যে ৪০টির দাম কমেছে এবং ৩৬টির বেড়েছে।

মিউচুয়াল ফান্ড (MF): ৩৫টি ইউনিটের মধ্যে দাম কমেছে ১৩টির, আর বেড়েছে ৮টির।

ব্লক মার্কেটের চিত্র

ব্লক মার্কেটে আজ মোট ২৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ছিল ২৬৮.৭৯ মিলিয়ন টাকা (প্রায় ২৭ কোটি টাকা)। ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেনগুলোর মধ্যে PRIMEBANK (১০৪.৯২ মিলিয়ন টাকা), ACI (৭৯.০৩ মিলিয়ন টাকা) এবং SIMTEX (২৯.৬২ মিলিয়ন টাকা)-এর লেনদেন ছিল চোখে পড়ার মতো।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৫:০৭:৪১
০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

রবিবার (২ নভেম্বর, ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে তীব্র দরপতন দেখা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে তৈরি শীর্ষ দশ লোকসানি কোম্পানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আর্থিক খাতের RUPALIBANK এবং FIRSTSBANK। এই দরপতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, বিশেষ করে আর্থিক খাতের শেয়ারগুলোর দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

গতকালের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় শীর্ষ লোকসানি

এই তালিকাটি দেখায়, যাদের শেয়ারের দাম গতকালের বাজার বন্ধের দামের (YCP) তুলনায় আজ সবচেয়ে বেশি কমেছে:

RUPALIBANK: এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে রূপালী ব্যাংক, যার শেয়ারের দাম কমেছে ৯.৮৪ শতাংশ।

FIRSTSBANK: আর্থিক খাতের এই শেয়ারটি ৮.৭০ শতাংশ লোকসান নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ORIONINFU: প্রায় ৬.৭৮ শতাংশ লোকসান নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

BIFC (৬.২৫ শতাংশ) এবং KBPPWBIL (৬.০২ শতাংশ) এই তালিকার প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে।

অন্যান্য লোকসানি: এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য লোকসান দেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে SIBL (৫.৮৮ শতাংশ), TUNGHAI (৫.৮৮ শতাংশ), GIB (৫.৫৫ শতাংশ), RDFOOD (৫.২১ শতাংশ), এবং INTECH (৫.০৭ শতাংশ)।

আজকের ওপেনিং প্রাইসের তুলনায় শীর্ষ লোকসানি

দিনের লেনদেনের শুরুতে এবং শেষে শেয়ারের মূল্যের পরিবর্তনের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে:

STANCERAM: দিনের লেনদেনে এই শেয়ারটি সবচেয়ে বড় লোকসান দিয়েছে, যা ১০.১৪ শতাংশ।

MEGHNAPET: ৯.২০ শতাংশ লোকসান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ATLASBANG: ৯.০৯ শতাংশ লোকসান নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

MEGCONMILK (৮.৮১ শতাংশ) এবং FIRSTSBANK (৮.৭০ শতাংশ) এই তালিকার প্রথম পাঁচে রয়েছে।

অন্যান্য লোকসানি: এই তালিকায় রয়েছে SIBL (৮.৫৭ শতাংশ), METROSPIN (৭.৮৪ শতাংশ), RUPALIBANK (৭.৪৪ শতাংশ), PREMIERLEA (৬.৫৪ শতাংশ), এবং KBPPWBIL (৬.৫২ শতাংশ)।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৫:০২:৩৯
০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

রবিবার (২ নভেম্বর, ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে শেয়ারের দাম বাড়ার জোরালো প্রবণতা দেখা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে তৈরি শীর্ষ দশ লাভবান কোম্পানির তালিকায় রয়েছে প্রকৌশল খাতের MONOSPOOL এবং সেবা খাতের GEMINISEA। বিশেষ করে মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

গতকালের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় শীর্ষ লাভবান

এই তালিকাটি দেখায়, যাদের শেয়ারের দাম গতকালের বাজার বন্ধের দামের (YCP) তুলনায় আজ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে:

MONOSPOOL: প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি ৩০.৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।

GEMINISEA: ৯.৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

MONNOAGML: প্রায় ৮.৭৫ শতাংশ লাভ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

MAGURAPLEX (৭.৯১ শতাংশ) এবং WATACHEM (৭.৫৮ শতাংশ) এই তালিকার প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে।

অন্যান্য লাভবান: এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখানো অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে PHARMAID (৭.৪৮ শতাংশ), ANWARGALV (৬.২৮ শতাংশ), SAPORTL (৫.১৭ শতাংশ), APEXFOODS (৪.৫৩ শতাংশ), এবং JMISMDL (৪.০৭ শতাংশ)।

আজকের ওপেনিং প্রাইসের তুলনায় শীর্ষ লাভবান

দিনের লেনদেনের শুরুতে এবং শেষে শেয়ারের মূল্যের পরিবর্তনের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে:

AMBEEPHA: দিনের লেনদেনে এই শেয়ারটি সবচেয়ে বড় লাভ দিয়েছে, যা ১০.৪৪ শতাংশ।

MONNOAGML: ৮.৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

APEXSPINN: ৮.৬৪ শতাংশ লাভ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিতে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে WATACHEM (৬.৯৯ শতাংশ), MAGURAPLEX (৬.৮০ শতাংশ), GEMINISEA (৬.৪৩ শতাংশ), PHARMAID (৬.১০ শতাংশ), MONOSPOOL (৫.৮৫ শতাংশ), MBL1STMF (৫.৭১ শতাংশ), এবং SAPORTL (৫.১৭ শতাংশ)।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৩:০৫:০৫
শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান NPOLYMER সম্প্রতি তাদের লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। পূর্বে ২৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লভ্যাংশ ঘোষণার খবর প্রদান করা হয়েছিল। কোম্পানিটি এখন জানিয়েছে, বোর্ড অব ডিরেক্টরস কোম্পানির সংগৃহীত মুনাফা থেকে স্পন্সরদের ছাড়া ৫% নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে।

কোম্পানির পক্ষ থেকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ কোনোভাবে কোম্পানির মূলধন রিজার্ভ, পুনঃমূল্যায়ন রিজার্ভ বা অন্য কোনো অপ্রকাশিত আয় থেকে প্রস্তাবিত হয়নি। এছাড়া এই লভ্যাংশ দেওয়ার জন্য কোনোভাবে পেইড-আপ ক্যাপিটাল হ্রাস করা হবে না।

NPOLYMER-এর এই পদক্ষেপ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুসংহত ও স্বচ্ছ লভ্যাংশ বিতরণের নিশ্চয়তা প্রদান করে। বোর্ডের এই সুপারিশ কোম্পানির মুনাফার সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূলধন রক্ষা করার নীতির প্রতিফলন হিসেবে ধরা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানির এই লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারহোল্ডাররা নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী নগদ লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকারী হবেন। এটি শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিনিয়োগে আস্থা বৃদ্ধি এবং কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতার নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

-রাফসান


ডিএসই সার্কিট ব্রেকার রিপোর্ট – ২ নভেম্বর ২০২৫

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:২৫:৫৯
ডিএসই সার্কিট ব্রেকার রিপোর্ট – ২ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

আজ (২ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হয়েছে দুটি প্রধান কোম্পানির শেয়ার ট্রেডিংয়ে। সার্কিট ব্রেকার মূলত অতি উচ্চ বা অতি নিম্ন মূল্যের ওঠানামা সীমিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যাতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে অযাচিত আতঙ্ক বা অতিরিক্ত লাভের সুযোগ সীমিত করা যায়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (ISLAMIBANK)

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ট্রেডিংয়ে আজ সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হয়। শেয়ারটি দিনের সর্বোচ্চ ৩৭.৮০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩২.৬০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। দিনের শেষে শেষ ট্রেডে শেয়ারটির মূল্য দাঁড়ায় ৩৪.১০ টাকা, যা আগের দিনের সমাপনী মূল্য ৪১.৫০ টাকার তুলনায় ৭.৪০ টাকা বা প্রায় ১৭.৮ শতাংশ কম। এই উল্লেখযোগ্য পতনের কারণে ১০% সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হয়েছে, যা বাজারে অতিরিক্ত অস্থিরতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করেছে।

বেক্সিমকো (BEXIMCO)

বেক্সিমকোর শেয়ারও আজ সার্কিট ব্রেকারে বন্দি হয়। দিনের সর্বোচ্চ ১১০.১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১০.১০ টাকায় লেনদেন হয়। শেষ ট্রেডে শেয়ারটির মূল্য দাঁড়ায় ১১০.১০ টাকা, যা আগের দিনের সমাপনী মূল্য ১২১.১০ টাকার তুলনায় ১১.০০ টাকা বা প্রায় ৯.০৯ শতাংশ কম। সার্কিট ব্রেকার ১০% সীমার কারণে শেয়ারটি সীমিত দামে স্থিত থাকে, যা বাজারকে অস্থিরতা থেকে রক্ষা করেছে।

বিশ্লেষণ

আজকের সার্কিট ব্রেকারের ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নির্দিষ্ট শেয়ারের ওপর চরম বিক্রির চাপ ছিল। ইসলামি ব্যাংক ও বেক্সিমকোর শেয়ারের মূল্যে উল্লেখযোগ্য পতনের ফলে বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন সীমিত হয়েছে। সার্কিট ব্রেকার ব্যবস্থার মাধ্যমে বাজারে অতিরিক্ত উত্থান-পতন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় এবং বিনিয়োগকারীদের মানসিক চাপ কমানো যায়।


ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির হালনাগাদ মূল্যসম্ভার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:২০:০৯
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির হালনাগাদ মূল্যসম্ভার
ছবি: সংগৃহীত

২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের ভিত্তিতে বাজারে মিশ্র ধারা লক্ষ্য করা গেছে। লেনদেনের চিত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, কিছু শেয়ারে সামান্য বৃদ্ধি ঘটেছে, আবার অনেক শেয়ারের দাম হ্রাস পেয়েছে। এটি প্রমাণ করছে যে, বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা এখনও রয়েছে।

ব্যাটারি খাতের শীর্ষ কোম্পানি BATBC শেয়ারের শেষ লেনদেন মূল্য ছিল ২৫৩.৫ টাকা, যা পূর্ববর্তী বন্ধ মূল্যের তুলনায় ০.৫৫% কমেছে। শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য ২৫৪.৭ এবং সর্বনিম্ন ২৪৭.৫ টাকা রেকর্ড করা হয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১,৩৫৮ ট্রেড, মোট লেনদেন মূল্য ৩১.৩১০ মিলিয়ন টাকা এবং মোট ভলিউম ১,২৩,৭২১ শেয়ার।

ঔষধ খাতের শীর্ষ কোম্পানি BEACONPHAR এর শেয়ার ১.০৬% কমে ১১১.৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে, BRACBANK ব্যাংক খাতের শেয়ার ১.৪৭% বেড়ে ৬৯.১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের লেনদেনের পরিমাণ ২১২ ট্রেড, লেনদেন মূল্য ৯.০৬৫ মিলিয়ন টাকা এবং ভলিউম ১,৩১,৫৯৪ শেয়ার।

বড় শিল্প খাতের কোম্পানি BSC শেয়ার ১.১৭% হ্রাস পেয়ে ১০৯.৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ৮৬৪ ট্রেড এবং মোট লেনদেন মূল্য ৩৪.৯৭১ মিলিয়ন টাকা, ভলিউম ৩,১৬,৯৫৩ শেয়ার। অন্য শিল্প খাতের BSCPLC শেয়ার সামান্য ০.৫২% কমে ১৩৩.৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের BXPHARMA শেয়ার ০.৬৮% হ্রাস পেয়েছে এবং শেষ লেনদেন মূল্য ১১৬ টাকা। CITYBANK শেয়ার স্থিতিশীল অবস্থায় ২৪.৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (EBL) শেয়ার সামান্য ০.৪৩% বেড়ে ২৩.৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

জিপি (GP) শেয়ার ০.৩২% হ্রাস পেয়ে ২৮২.৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। GPHISPAT শেয়ার ০.৫৬% বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ১৮.১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। হাইডেলবসেমেন্ট (HEIDELBCEM) শেয়ার বিশেষভাবে ২.৫২% বৃদ্ধি পেয়ে ২৩১.৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা যায়।

IDLC শেয়ার স্থিতিশীল ৩৭.৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে। JAMUNAOIL শেয়ারও ০.০৫% বৃদ্ধি পেয়ে ১৮৭.৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে। KBPPWBIL শেয়ার উল্লেখযোগ্যভাবে ৩.৪৪% হ্রাস পেয়ে ৮৯.৯ টাকায় নেমেছে, যেখানে সর্বাধিক লেনদেন ভলিউম ১,৪৪৪,৯৯২ শেয়ার।

KOHINOOR শেয়ার ৫৭১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। LANKABAFIN শেয়ার ০.৭০% হ্রাস পেয়ে ১৪.১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। LHB শেয়ার সামান্য ০.৩৮% কমে ৫৩.১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। LINDEBD শেয়ারও সামান্য ০.১৩% কমে ৭৮৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

LOVELLO শেয়ার ০.১০% হ্রাস পেয়ে ৯৫.৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে। MJLBD শেয়ার ০.৭৫% হ্রাস পেয়ে ৯৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে। OLYMPIC শেয়ার ০.০৭% হ্রাস পেয়ে ১৪৮.৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। PADMAOIL শেয়ার সামান্য ০.৩১% বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৫.৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

PRIMEBANK শেয়ার ১.১৫% বৃদ্ধি পেয়ে ২৬.৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। PUBALIBANK শেয়ার ০.৭১% বেড়ে ২৮.৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। RENATA শেয়ার ০.৬৪% বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। ROBI শেয়ার সামান্য ০.৩৪% হ্রাস পেয়ে ২৯.৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

SQURPHARMA শেয়ার ০.২৩% হ্রাস পেয়ে ২১৩.৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে। UNIQUEHRL শেয়ার ০.২৫% বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। WALTONHIL শেয়ার ১.৩৩% বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮০ টাকায় লেনদেন হয়েছে, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার সঞ্চার করেছে।

মোটের ওপর, DSE ৩০ শীর্ষ কোম্পানির লেনদেন বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, ব্যাংক, শিল্প, ঔষধ ও এনার্জি খাতের শেয়ারের পারফরম্যান্স বিনিয়োগকারীদের বাজারে ভাবমূর্তির একটি বাস্তব ছবি প্রদান করছে। লেনদেনের ভলিউম ও মূল্যের ওঠানামা বাজারে মিশ্র চিত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

-রাফসান


রিপাবলিক ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:৫০:৫৯
রিপাবলিক ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

রিপাবলিক ব্যাংক লিমিটেড (REPUBLIC) ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) অডিট করা হয়নি এমন আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, EPS এবং নেট ক্যাশ ফ্লোতে (NOCFPS) হ্রাস, তবে NAV প্রতি শেয়ারে সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সালের Q3-এর জন্য EPS ছিল ০.৪০ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে পুনঃস্থাপিত EPS ০.৫৩ টাকা ছিল। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালের EPS ১.৪৭ টাকা, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে পুনঃস্থাপিত EPS ১.৬৬ টাকা ছিল। NOCFPS জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে -১.১২ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালে এটি ছিল ০.৫২ টাকা।

NAV প্রতি শেয়ার সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে; সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে NAV ১৯.২৯ টাকা প্রতি শেয়ার, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে ১৮.৯৭ টাকা ছিল। অর্থাৎ, ব্যাংকের নেট অ্যাসেট ভ্যালু কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও EPS এবং NOCFPS-এ হ্রাস নির্দেশ করছে যে ব্যাংককে নগদ প্রবাহ ও আয়ের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

-রফিক


কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:৪৭:১৭
কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড (CONFIDCEM) ২০২৫ সালের জুন ৩০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বোর্ডের প্রস্তাবিত ১০% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে সকাল ১১:০০ টায়, হাইব্রিড সিস্টেমে। AGM-এর স্থান ও বিস্তারিত তথ্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পরবর্তীতে AGM নোটিসের মাধ্যমে জানানো হবে। লভ্যাংশ প্রাপ্যতা নির্ধারণের রেকর্ড তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক সূচকে CONFIDCEM-এর ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ফলাফলও ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে। ২০২৫ সালের জুন ৩০ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির সমন্বিত EPS ছিল ১১.২৩ টাকা, যা ২০২৪ সালের সমাপ্ত অর্থবছরের ৮.৭৩ টাকা (পুনঃস্থাপিত) থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। সমন্বিত NAV প্রতি শেয়ার ৮৮.৬৮ টাকা, যা ২০২৪ সালের ৭৪.৭৫ টাকা (পুনঃস্থাপিত) থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। সমন্বিত NOCFPS ০.০৭ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালে এটি ছিল -২.৭৮ টাকা (পুনঃস্থাপিত)। অর্থাৎ, কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা, নেট অ্যাসেট ভ্যালু এবং নগদ প্রবাহে স্থিতিশীল ও উন্নত ধারা দেখা গেছে।

-রাফসান


এক্সিম ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:৪২:১৪
এক্সিম ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

এক্সিম ব্যাংক (EXIMBANK) ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) অডিট করা হয়নি এমন আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। ব্যাংকের সমন্বিত নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) প্রতি শেয়ারে ১৯.৫৪ টাকা, যা ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের ১৯.২৪ টাকা থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে, EPS এবং নেট ক্যাশ ফ্লোতে (NOCFPS) হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালের জন্য সমন্বিত EPS -২.৩০ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল -৩.৯১ টাকা। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালের EPS -২.১৭ টাকা, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে -২.৭৭ টাকা ছিল। NOCFPS হ্রাস পেয়েছে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে -২০.৮০ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল -১৬.৬২ টাকা।

NOCFPS হ্রাসের প্রধান কারণ হলো গ্রাহকের আমানত কমে যাওয়া এবং আমানত ও ঋণ থেকে উচ্চতর মুনাফা ব্যয়। অর্থাৎ ব্যাংক কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ গ্রাহকের আমানতের পরিমাণ হ্রাস এবং ঋণ ও আমানতের ওপর প্রদত্ত উচ্চ মুনাফা ব্যয় নগদ প্রবাহে প্রভাব ফেলেছে।

সংক্ষেপে, যদিও NAV প্রতি শেয়ারে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, EPS এবং NOCFPS হ্রাস দেখাচ্ছে যে EXIMBANK-এর আয় এবং নগদ প্রবাহের ব্যবস্থাপনায় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যাংককে গ্রাহক আমানত বৃদ্ধি, কার্যকর ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং ঋণ পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত