যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ০৯:৪৩:২১
যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ডিজিটাল লটারি আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলেই প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য যে শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে, তাদের ভর্তি–অধিকার এই লটারিতেই নির্ধারিত হবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারি কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ফল জানতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানায়, নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঘরে বসেই অনলাইনে সহজে ফলাফল জেনে নেওয়া যাবে।

আবেদন ও আসনের সামগ্রিক চিত্র

মাউশির তথ্য অনুযায়ী, ২১ নভেম্বর অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফলভাবে আবেদন করেছে মোট ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। দেশের চার হাজার ৪৮টি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হবে।

এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় ৬৮৮টি, যেখানে উপলব্ধ শূন্য আসন মাত্র ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। কিন্তু আবেদন জমা পড়েছে সাত লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪টি প্রতি আসনে গড়ে ছয়জনের প্রতিযোগিতা।বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি, যেখানে আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী। ফলে সকল আবেদনকারী ভর্তি পেলেও ৭ লাখের বেশি আসন শূন্য থাকবে।

যেভাবে জানা যাবে ফলাফল

ডিজিটাল লটারি শেষ হলে বিদ্যালয়ের প্রধান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিজেদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন।ওয়েবসাইট থেকে ফল ডাউনলোডের পর প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা তা জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ই-মেইলে পাঠাবেন। এরপর ভর্তি কমিটি নিয়ম অনুসারে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের এই ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থা ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জটিলতাহীন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে মাউশি।

-শরিফুল


প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৯:৩২:৪০
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশের মোট ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক এখন থেকে দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন পাবেন। বুধবার ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সভায় জানানো হয়, আদালতের রিট পিটিশন অনুসরণ করে ইতোমধ্যেই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল গ্রেড ১১ থেকে গ্রেড ১০ এ উন্নীত করে সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই বাকি ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড একইভাবে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা শাখা বিষয়টিতে সম্মতি জানায়। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগও এই বিপুলসংখ্যক পদে বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। আলোচনার পর সভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি অনুমোদনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।

সম্মত সিদ্ধান্তে বলা হয়, গ্রেড উন্নীতকরণ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের দেওয়া শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

-শরিফুল


শীতকালীন ছুটি বাতিল, বার্ষিক পরীক্ষার নির্দেশনা 

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১০:৪৬:৪২
শীতকালীন ছুটি বাতিল, বার্ষিক পরীক্ষার নির্দেশনা 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত শীতকালীন ছুটি বাতিল করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করার স্বার্থে যেসব বিদ্যালয় এখনও পরীক্ষা নিতে পারেনি, সেগুলোকে ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাদ দিয়ে পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। শুক্রবার ও শনিবার এর আওতা থেকে বাদ থাকবে।

নির্দেশ অনুযায়ী, সাধারণত ১১ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এবার ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাম্প্রতিক শিক্ষক আন্দোলনের কারণে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত ছিল। আন্দোলন স্থগিতের পর ৭ ডিসেম্বর পরীক্ষা পুনরায় শুরু হয়। দ্রুত অবশিষ্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করতেই এই প্রশাসনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

-নবীন/সত্যডেস্ক


এইচএসসি নম্বরপত্র সংগ্রহে নতুন সূচি প্রকাশ

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ০৯:১৯:০০
এইচএসসি নম্বরপত্র সংগ্রহে নতুন সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার ফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রদান শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।বোর্ড জানিয়েছে, এই বিতরণ কার্যক্রম চলবে ধারাবাহিকভাবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের মূল নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বোর্ডের সনদ শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে। নম্বরপত্র প্রদান কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে এবং সনদ শাখা অবস্থিত ৪ নম্বর ভবনের পঞ্চম তলা থেকে নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক নম্বরপত্র বিতরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ও ঢাকা জেলার নম্বরপত্র দেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর। নরসিংদী ও ফরিদপুর জেলার শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র পাওয়া যাবে ১১ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র বিতরণ হবে। কিশোরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র দেওয়া হবে ১৫ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নম্বরপত্র বিতরণ করা হবে। রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র পাওয়া যাবে ১৮ ডিসেম্বর। গাজীপুর জেলার শিক্ষার্থীরা পারবেন ২১ ডিসেম্বর নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে। আর সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর বিতরণ করা হবে ঢাকা মহানগরের শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র।

অফিস আদেশে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নম্বরপত্র গ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিভাগভিত্তিক তালিকা জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে যথাযথ কর্তৃত্ব পত্রসহ তিনটি স্বাক্ষরের নমুনা সত্যায়িত করে নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

-রফিক


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার দিল কঠোর নীতি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৭:০৩:০৮
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার দিল কঠোর নীতি
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মূল পেশার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, আইনচর্চা বা বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কাজের মতো আর্থিকভাবে লাভজনক পেশায় যুক্ত ছিলেন। এতদিন এই অতিরিক্ত পেশাগুলোর বিষয়ে কোনো কার্যকর আইনি নিষেধাজ্ঞা না থাকায় দেশজুড়ে বহু এমপিওভুক্ত শিক্ষক স্বাভাবিকভাবেই এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

কিন্তু সম্প্রতি ঘোষিত নতুন এমপিও নীতিমালায় এই বহুমুখী পেশায় যুক্ত থাকা শিক্ষকদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী আর কোনো আর্থিক লাভজনক পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। কোন কোন পেশাকে ‘আর্থিক লাভজনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, তাও নীতিমালায় নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। এসব পেশার তালিকায় রয়েছে সাংবাদিকতা, আইনপেশা এবং যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার চাকরি।

৭ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনের ১১ নম্বর ধারার ১৭ উপধারার ‘ক’ ও ‘খ’ অংশে এই বিধানগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একাধিক চাকরি বা আর্থিকভাবে লাভজনক কোনো পদে থাকতে পারবেন না। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তদন্ত শেষে তার এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।

নীতিমালার ‘খ’ ধারায় আর্থিক লাভজনক পদের সংজ্ঞা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি বেতন ও ভাতা থেকে শুরু করে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা বা আইন পেশায় কাজের বিনিময়ে পাওয়া বেতন, ভাতা বা সম্মানী—সবই আর্থিক লাভজনক পদের আওতায় পড়বে।

নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই বিধান বিশেষভাবে সাংবাদিকতাকে লক্ষ্য করে প্রণয়ন করা হয়নি।” তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও সরকারের আর্থিক সহায়তা পান। তাই তাদের জন্যও একই ধরনের সীমাবদ্ধতা প্রযোজ্য হওয়া স্বাভাবিক।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি বাড়িভাড়া ভাতা, ঈদ বোনাসসহ আরও বিভিন্ন সুবিধা পান। তাই সরকার তাদের আর্থিকভাবে লাভজনক অতিরিক্ত পেশায় যুক্ত না থাকার নির্দেশনা সমর্থনযোগ্য মনে করে।

অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, কেউ যদি নতুন এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কাজের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখা।

-শরিফুল


পরীক্ষা সময়মতোই: অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা দেবে মাউশি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০১ ১১:৫১:৩২
পরীক্ষা সময়মতোই: অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা দেবে মাউশি
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক, নির্বাচনি ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। পরীক্ষার সময় কোনো ধরনের শৈথিল্য, গাফিলতি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দেশের সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয় মাউশি। নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

এমপিওভুক্তি, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। এর ফলে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনি পরীক্ষার কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষাগুলো নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের এই কঠোর নির্দেশনা এলো।

চিঠিতে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক পরীক্ষা চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একইভাবে ২৭ নভেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনি পরীক্ষা শেষ হবে ১১ ডিসেম্বর। আর মাউশির পৃথক নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর।

পরীক্ষাগুলো বিনা ব্যর্থতায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা রক্ষায় পরীক্ষার মান ও শৃঙ্খলার বিষয়ে কোনো ধরনের অবহেলা বরদাশত করা হবে না। এ কারণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানপ্রধান পর্যন্ত সবার ওপর কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

-শরিফুল


গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৬:০৩:৩৪
গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভবনের মাঝ থেকে মুশফিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, ইনসেটে মুশফিক

শরীরের গঠন ও গায়ের রং নিয়ে স্কুলজীবন থেকে সহপাঠীদের অস্বাভাবিক আচরণ সইতে হয়েছে ডি এম মুশফিকুজ্জামানকে। কখনো কখনো শিক্ষকরাও তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন। স্কুল কলেজ পেরিয়ে মুশফিক পা রাখেন উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে কিন্তু সেখানেও একই রকম আচরণ সইতে হয়েছে তাঁকে। সহপাঠীদের অব্যাহত হাসি ঠাট্টা তরুণ মনে দাগ কাটে যা ক্রমে রূপ নেয় বিষাদে। শেষ পর্যন্ত সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশফিকুজ্জামান।

মুশফিকের কয়েকজন সহপাঠী দুজন শিক্ষক স্কুলজীবনের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বডি শেমিংয়ের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের ধারণা সহপাঠীদের ঠাট্টা বিদ্রূপে অভিমান করে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন মুশফিক। যদিও পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজে তারা মুশফিককে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে দেখলেও ময়নাতদন্তের আগে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে মুশফিকের পরিবার দাবি জানিয়েছে তাদের সন্তান পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কি না তা খতিয়ে দেখতে।

জানা যায় মুশফিকুজ্জামান ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিকস অব ফিজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথমবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে। পুলিশ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের ডক্টর ফরাসউদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গায় একটি নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরকে জানালে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মুশফিকের সহপাঠী আল শাহরিয়ার ইমন জানান মুশফিক যখনই স্যারের কাছে পড়া নিয়ে জিজ্ঞেস করত তখন অন্তত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ওর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাত এবং হাসত। কারণ মুশফিকের কথা বলার ধরন একটু ভিন্নরকম ছিল এবং সে দেখতে কালো ও একটু স্বাস্থ্যবান ছিল।

মৃত্যুর আগে ক্লাসে সহপাঠীদের সঙ্গে মুশফিকের বাগবিতণ্ডা হয়। নাম প্রকাশ না করে এক সহপাঠী জানান সবাই ম্যামের জন্য অপেক্ষা করার সময় মুশফিককে কেউ একজন কিছু বলে। তখন মুশফিকও এক বান্ধবীকে নিয়ে মজা করে একটি কথা বলে উচ্চস্বরে হেসে ওঠে। এ সময় অন্যরা তাকে থামিয়ে দিলে মুশফিক মন খারাপ করে বসে থাকে। একপর্যায়ে মুশফিক বলতে শুরু করে তোমরাও আমাকে নিয়ে অনেক মজা করো হাসাহাসি করো কিন্তু তখন তো কেউ বলে না যে ক্লাসে ডিস্টার্ব হচ্ছে। আসলে তোমরা আমাকে সহ্য করতে পারো না। সে আরও বলে আমার সঙ্গে মিশতেও চাও না কারণ আমি মোটা ও কালো বলে এমন করো। এটা বলার পরপরই মুশফিক ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়।

মুশফিকের বাবা বি এম মুখলেছুজ্জামান অভিযোগ করেন তিন চার দিন আগে পড়াশোনা নিয়ে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে মুশফিকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি তিনি তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছেন। ছেলে বলেছিল তারা তাকে ছাদে নিয়ে যেতে চাইত। এজন্য পরিবারের সন্দেহ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। মুশফিকের মা কমলা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন আমার ছেলেকে নিয়ে এমন মন্তব্য করছেন অনেকে যেন কালো হয়ে জন্ম নেওয়াটাই অপরাধ।

পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার পর তারা ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান সেখানে দেখা যায় মুশফিকুজ্জামান ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করেন এবং পরে ক্লাস থেকে বের হয়ে ছাদে ওঠেন। তিনি ছাদে ওঠার এক ঘণ্টা আগে ও পরে অন্য কাউকে ওই ভবনের ছাদে উঠতে দেখা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। এ কারণে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন বডি শেমিং ও বুলিং ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন। একজন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা খুবই কাছের মানুষ হয়। কিন্তু তারাই যখন প্রতিনিয়ত কারও শারীরিক গঠন গায়ের রং বা স্মার্টনেস নিয়ে বাজে কথা বলে তখন মানসিকভাবে বিপর্যয় ঘটে। যত শক্ত মানুষই হোক না কেন অব্যাহত শেমিং ও বুলিংয়ের ক্ষত সইতে পারে না।

সূত্র: jagonews24


ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৮:৩৭:২১
ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ নতুন ও স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন, যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, দ্রুত ফলাফল প্রকাশ এবং প্রশাসনিক কাজে গতি আনার লক্ষ্যেই এই বড় উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কলেজগুলোর বর্তমান অধিভুক্তি বা সম্পর্ক বাতিল করা হবে। পরিবর্তে, এই সাতটি কলেজকে নিয়েই গঠিত হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। দীর্ঘদিন ধরে এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসন ও মানসম্মত শিক্ষার দাবিতে যে আন্দোলন করে আসছিল, সেই যৌক্তিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার এই পথে হেঁটেছে।

এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়াটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়েছে। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন সেই সব মতামত এবং আইনি দিকগুলো যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংশোধনের কাজ চলছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন বা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ে যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে সরকার সজাগ রয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং ঢাকা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। যেমন—সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চাকরি বা পদ ঠিক রাখা, প্রতিটি কলেজের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কলেজগুলোতে চলমান উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) স্তরের পড়াশোনা কীভাবে চলবে—সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধাপে ধাপে একটি সঠিক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তারা জানিয়েছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ব্যক্তিগত ধারণা বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার প্রথম এই সাতটি কলেজকে আলাদা করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।


 নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে 'সুখবর' দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ২১:১৩:১৪
 নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে 'সুখবর' দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা
ছবিঃ সংগৃহীত

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, সরকার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তিনি জানান, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং একটি টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও বাস্তবসম্মত এমপিও ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে শিক্ষক নেতা, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আবরার আরও বলেন, শিক্ষা হলো জাতীয় উন্নয়নের মেরুদণ্ড। তার মতে, একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতারাও সরকারের নেওয়া এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।

মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান এবং গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি।

এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. ফয়সালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।


বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৪৭:১৬
বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
ছবি: সংগৃহীত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রকৌশল অনুষদের অধীনে নতুন বিভাগ হিসেবে ডিপার্টমেন্ট অব রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আরএমই) চালু করেছে। প্রযুক্তি–চালিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে রোবোটিক্স, অটোমেশন এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যবস্থাপনার চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে এই ধরনের একটি বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হাবিব কাজল এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দেন।

স্প্রিং–২০২৬ সেমিস্টার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এই কোর্সটিকে ডিজাইন করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্ভাবনী মনোভাব, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ইনোভেশন–নির্ভর অর্থনীতি গঠনে প্রোগ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চার বছর মেয়াদী এই স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা রোবোটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং এমবেডেড কম্পিউটিং–এর ওপর সমন্বিত ও গভীরতর শিক্ষা গ্রহণ করবে। মোট ১৫৪ ক্রেডিট বিশিষ্ট এই কোর্স কাঠামো শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিমুখী গবেষণা এবং বাস্তব জীবন–সম্মত প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

ভর্তি যোগ্যতার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম ২.৫ জিপিএ পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি পদার্থবিদ্যা, গণিত ও ইংরেজিতে অন্তত ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া সমমানের অন্য শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেও আবেদন করা যাবে, তবে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে ন্যূনতম গ্রেড বজায় রাখতে হবে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক যোগ্যতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি O-Level এবং অন্তত দুটি A-Level বিষয় সম্পন্ন থাকা আবশ্যক। সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটিতে ‘বি’ গ্রেড এবং তিনটিতে ‘সি’ গ্রেড থাকা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীদের O-Level ও A-Level উভয় ক্ষেত্রেই পদার্থবিদ্যা এবং গণিত থাকতে হবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থী প্রস্তুত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর একাডেমিক মান বজায় রেখেছে।

শিক্ষার্থীদের বিশ্বমুখী উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, বিশ্বের ৬০০–টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ক্রেডিট ট্রান্সফার ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সুবিধা থাকবে। এতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিবেশে গবেষণা ও শিক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে, যা তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আশা করছে, রোবোটিক্স ও মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প, অটোমেশন, রোবট নির্মাণ, AI-চালিত সিস্টেম এবং উদ্ভাবনী গবেষণাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চেতনা বিকাশে বিভাগটি অন্যতম যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত