নিজের অজান্তেই বিষণ্ণ? হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশনের ৫ লক্ষণ জানুন

হাসির আড়ালে লুকানো বিষণ্ণতা: হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশন যে ‘নীরব সংকট’
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখাও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা শারীরিক সুস্থতা। অনেক মানুষ বাইরে থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও, ভেতরে এক ধরনের ক্লান্তি, শূন্যতা বা বিষণ্ণতা নিয়ে বেঁচে থাকেন, যা সহজে চোখে পড়ে না। এটিই হতে পারে ‘হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশন’—এক ধরনের নীরব মানসিক সংকট।
বিষণ্ণতা মানেই থমকে যাওয়া নয়
বিখ্যাত মনোবিদ এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলিং লেখক ড. জুলি স্মিথ সম্প্রতি এই বিষণ্ণতার ধরন নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলছেন, ডিপ্রেশন শুরু হয় না যেদিন আপনি বিছানা থেকে উঠতেই পারছেন না, বরং তার অনেক আগেই যখন আপনি স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছেন, কিন্তু ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ছেন।
হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশন কী?
এই অবস্থা এখনো কোনো স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল মানসিক রোগ না হলেও বাস্তবে বহু মানুষ এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিয়মিত কাজ করছেন, সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকছেন, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে জমছে এক ধরণের অস্পষ্ট দুঃখবোধ, ক্লান্তি বা শূন্যতা।
এই বিষণ্ণতা চেনা কঠিন
এই ধরনের বিষণ্ণতার সবচেয়ে জটিল দিক হলো—এটি চেনা যায় না সহজে। এমনকি অনেক সময় ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন না ঠিক কী কারণে সবকিছু অর্থহীন লাগছে বা কেন তিনি আর আগের মতো আনন্দ পাচ্ছেন না।
ড. স্মিথের মতে, হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশনের ৫টি সাধারণ লক্ষণ:
১. একা হলেই ভেঙে পড়ার প্রবণতা:
দিনভর নিজেকে ঠিক রাখলেও, একা থাকলে সেই আবরণ ভেঙে পড়ে। নিজের প্রতি যত্ন নেয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।
২. সামাজিক পরিস্থিতিতে অস্বস্তি:
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া আনন্দদায়ক হওয়ার কথা, কিন্তু এসব মুহূর্তে মনে হয় যেন একটা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন।
৩. অনুভূতি থেকে পালানোর চেষ্টা:
অতিরিক্ত সিরিজ দেখা, রিল স্ক্রল করা কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অনেকে নিজেদের চিন্তা থেকে নিজেকেই আড়াল করার চেষ্টা করেন।
৪. কাজ করেন, কিন্তু উৎসাহ নেই:
আগে যেসব কাজে আনন্দ পেতেন, এখন তা নিছক দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। কাজ করেন ঠিকই, কিন্তু ভেতরে উৎসাহ বা আগ্রহ অনুভব করেন না।
৫. বাইরে সফল, ভিতরে ফাঁকা:
বাহ্যিকভাবে সফল মনে হলেও মনের ভিতর যেন এক শূন্যতা বা বিষণ্ণতা প্রতিনিয়ত বসবাস করছে।
নিজের সঙ্গে সৎ হোনএই ধরণের মানসিক অবস্থা অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। তাই নিজেকে বুঝুন, নিজের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিন। কারণ সুস্থ থাকার জন্য শুধু শরীর নয়, মনকেও প্রয়োজন ভালোবাসা ও যত্ন।
সূত্র: https://tinyurl.com/5n99pezr
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৬২৫
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)।
আজ বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১২ জন, ঢাকা বিভাগের (রাজধানী বাদে) ১১৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১৩০ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৮৭ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৯ জনে।
তুলনামূলকভাবে, গত বছর ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরও ডেঙ্গুর সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে, বাসা-বাড়ি ও আশপাশের জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে এবং ডেঙ্গুর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আফরোজা আক্তার হঠাৎ পেটব্যথা ও রক্তক্ষরণে ভুগতে শুরু করেন। শুরুতে তিনি গুরুত্ব না দিলেও পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে আলট্রাসাউন্ডে জানা যায়, তার জরায়ুতে ছোট একটি ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই আলট্রাসাউন্ড করানো জরুরি। এতে ভ্রূণের অবস্থান বোঝা যায় এবং সম্ভাব্য জটিলতা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আফরোজার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সচেতনতার অভাবে কীভাবে নারীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, “অনেকে মনে করেন, জরায়ু কেবল সন্তান জন্মদানের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসলে জীবনের প্রতিটি ধাপে—মাসিক, যৌনসম্পর্ক, গর্ভাবস্থা, এমনকি মেনোপজের আগে-পরে—জরায়ুর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।”
তিনি জানান, মাসিক চলাকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত জরুরি। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে, ভেজা বা অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার বিপজ্জনক। এ সময়ে গরম পানির ব্যবহার সংক্রমণ রোধে সহায়ক হতে পারে। কারণ মাসিক চলাকালে জরায়ুর মুখ খোলা থাকে, ফলে সামান্য অসাবধানতাও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে, অতিরিক্ত জোরে যৌনসম্পর্ক জরায়ুতে আঘাত বা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই যৌনমিলনের আগে ও পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত এবং মাসিক চলাকালে যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত থাকা ভালো।
ডা. দেওয়ান আরও বলেন, গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর প্রতি বিশেষ যত্ন জরুরি। ভ্রূণ জরায়ুতেই থাকে ও বেড়ে ওঠে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় ভ্রূণ সঠিক স্থানে রয়েছে কি না। কারণ কখনো কখনো ভ্রূণ ডিম্বাশয় বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে বেড়ে ওঠে, যা মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ যৌন আচরণ জরায়ু ও শিশুর সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেনোপজের আগে-পরে জরায়ুতে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কেউ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভোগেন, কেউ আবার যোনিশুষ্কতা নিয়ে বিভ্রান্ত হন। মেনোপজের পর অনেক নারীর জরায়ু বড় হয়ে নিচের দিকে নেমে আসে, যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
খ্যাতনামা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা রশিদ বলেন, “অতিরিক্ত মাসিক, তলপেটে ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত বা দুই মাসিকের মধ্যে রক্তপাত—সবই জরায়ুর সমস্যার লক্ষণ। এর সঙ্গে যদি গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্রমাগত পেটব্যথা বা হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।”
তিনি আরও পরামর্শ দেন—নিচের পেটে চাপ অনুভব, ঘন ঘন প্রস্রাব, বদহজম, খাবারে অনীহা, ওজনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, যৌনমিলনে ব্যথা, অবসাদ বা মেনোপজ-পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিয়ে, অল্প বয়সে সন্তান জন্ম, ঘন ঘন গর্ভধারণ, একাধিক যৌনসঙ্গী, অপরিচ্ছন্নতা, সংক্রমণ, ধূমপান এবং বংশগত কারণ জরায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গাইনোকলজিস্ট ডা. আশরাফুন নেছা বলেন, “সরকার জরায়ু ও স্তন ক্যানসার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জেলা ও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে বিনামূল্যে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি স্বল্প খরচে চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসকদের সর্বশেষ পরামর্শ হলো, নারীরা যদি জরায়ু-সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। দেরি করলে জটিলতা বেড়ে জীবনঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
-রাজীব আহামেদ
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস: ঢামেক পরিচালকের মন্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এখন শঙ্কামুক্ত এবং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান এই তথ্য দেন।
ঢামেক পরিচালক জানান, নুরের নাকের হাড় ভেঙে গেছে, যে কারণে মাঝে মাঝে সামান্য রক্ত বের হচ্ছে। এই সমস্যা পুরোপুরি ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের যে আশঙ্কা ছিল, তা কেটে গেছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে তার কিছুটা জ্বর আছে, তবে শর্ট টাইম মেমোরি লস নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়। এই ধরনের আঘাতে এমন জটিলতার আশঙ্কা নেই।”
আসাদুজ্জামান আরও জানান, নুরকে এখনই বাসায় নেওয়া সম্ভব নয়, পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে পরিবার চাইলে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারে।
তদন্ত কমিশন গঠন
এদিকে, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আলী রেজাকে এই কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
সুস্থ ফুসফুসের জন্য যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
আমরা সাধারণত মনে করি শুধু ধূমপানই ফুসফুসের ক্ষতি করে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু খাবার আছে যা ফুসফুসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ ফুসফুসের জন্য এই ৫টি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. প্রক্রিয়াজাত মাংস
হটডগ, সসেজ, বেকন এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকা নাইট্রেট ফুসফুসের টিস্যুতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা দুর্বল করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস খান, তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা অন্যদের তুলনায় কম থাকে।
২. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়
সোডা, জুস এবং এনার্জি ড্রিংকসের মতো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যা সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এটি শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
৩. ভাজা-পোড়া খাবার
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস এবং অন্যান্য ভাজা-পোড়া খাবারে প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এই ধরনের ফ্যাট শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে, তাদের জন্য এই খাবারগুলো মারাত্মক ক্ষতিকর।
৪. অতিরিক্ত লবণ
বেশি লবণ গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমা হয়। এটি ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণ হতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। যারা ফুসফুসের রোগে ভুগছেন, যেমন—ফুসফুসীয় শোথ (Pulmonary Edema), তাদের জন্য অতিরিক্ত লবণ খুবই বিপজ্জনক।
৫. দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
কিছু মানুষের জন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য যেমন—চিজ ও মাখন, ফুসফুসে শ্লেষ্মা বা কফ জমা হওয়ার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত কফ শ্বাস-প্রশ্বাসের পথকে সংকুচিত করে এবং শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে হাঁপানি রোগীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।
তোমার ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে কমিয়ে দেওয়া বা বাদ দেওয়া জরুরি। এর পরিবর্তে তাজা ফল, শাক-সবজি এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস করা উচিত।
তেজপাতার জলে জাদু! নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস, কমবে ওজন
আজকাল অনেকেই ওজন নিয়ে সচেতন। কারণ অতিরিক্ত ওজন নানান ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন—ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ওজন কমাতে যেমন খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি, তেমনি ঘরোয়া কিছু ডিটক্স পানীয়ও সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শুধু হজমশক্তিই নয়, শরীরের আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তেজপাতার জলের উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তেজপাতা ভিটামিন সি, এ ও খনিজে ভরপুর। প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. ত্বক ও চুলের যত্ন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তেজপাতার জল শরীরকে ডিটক্স করতে বা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এই জল দিয়ে চুল ধুলে চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যাও কমে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি: তেজপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
সকালে খালি পেটে এই ৬টি খাবার খান, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩০ মিলিয়ন। শুধু ভারতেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী ২২ কোটির বেশি। তাই রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে দিনের শুরুতে খালি পেটে কিছু প্রাকৃতিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর হতে পারে।
খালি পেটে যে ছয়টি খাবার উপকারী
১. আমলকি (আমলা): ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমানো এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।
২. দারুচিনি পানি ও গোলমরিচ গুঁড়া: দারুচিনি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করা কমায়। গোলমরিচের ‘পাইপেরিন’ উপাদান দারুচিনির কার্যকারিতা আরও বাড়াতে সহায়ক। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. মেথি ভেজানো পানি: মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাচীন ঘরোয়া উপায়। এতে থাকা দ্রবণীয় আঁশ রক্তে শর্করার শোষণ ধীর করে। এক টেবিল চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে এবং রক্তচাপও কমতে পারে।
৪. হলুদ পানি ও লেবুর রস: হলুদের ‘কারকিউমিন’ উপাদান রক্তে শর্করা কমাতে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক। লেবুর রস এর কার্যকারিতা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্সসিড রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। সকালে গুঁড়ো ফ্ল্যাক্সসিড পানি বা স্মুদির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
৬. টমেটো ও ডালিমের রস: টমেটোর ‘লাইকোপেন’ ও ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই দুটির রস একসঙ্গে খালি পেটে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আঁশ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অন্যদিকে, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। নিয়মিত পানি পান, ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবার গ্রহণ দীর্ঘমেয়াদে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অপরিহার্য।
ডায়াবেটিস কেন বিপজ্জনক?
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে রক্তনালী ও স্নায়ুর ক্ষতি হয়। এর ফলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, অন্ধত্ব এবং এমনকি হাত-পা কেটে ফেলার মতো ঝুঁকিও তৈরি হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং অনিয়মিত মলত্যাগের কারণ হয়। এটি সাধারণত ভুল খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং মানসিক চাপের মতো বিভিন্ন কারণে দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সঠিক ফল খাওয়া একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। চলুন জেনে নিই, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন ফলগুলো উপকারী।
১. কলা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার-সমৃদ্ধ কলা দীর্ঘকাল ধরে একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকা কলা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের মাইক্রোভিলাইকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, এর জন্য পুরোপুরি পাকা কলা খাওয়া জরুরি। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের বিপরীত প্রভাব ফেলে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
২. কমলা
কমলা হলো ফাইবার ও ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস। এই সাইট্রাস ফলে কিছুটা রেচক প্রভাব থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কমলায় থাকা ‘ন্যারিংজেনিন’ নামক একটি যৌগ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ফাইবার পেতে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন।
৩. নাশপাতি
নাশপাতি শুধু ফাইবারেই সমৃদ্ধ নয়, এতে ফ্রুকটোজ এবং সরবিটলও রয়েছে। এই দুটি উপাদান মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই নিয়মিত নাশপাতি খেলে পেটের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।
৪. আপেল
আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া উভয়ই উপশম করতে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপেল খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এর খোসায় থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার মলত্যাগ বৃদ্ধি করে। আপেলের ভেতরের অংশে ‘পেকটিন’ নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। তবে পাতলা পায়খানা হলে খোসা ছাড়িয়ে আপেল খাওয়া ভালো।
৫. পেঁপে
পেঁপে একটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল, যা পানি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমে সহায়তা করে। এতে ‘পেপেইন’ নামক একটি এনজাইম থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকর। পেঁপে অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে না খেয়ে আলাদাভাবে খাওয়াই ভালো। নিয়মিত এই সুস্বাদু ফল খেলে পেটের সুস্থতা নিশ্চিত থাকে।
আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হচ্ছে নুরকে, উদ্বেগ বাড়ছে
রাজধানীর রমনা এলাকায় হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হয়েছে।
নুরের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে নুরকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘নুর ভাইকে আবারও সিটি স্ক্যান করার জন্য নেওয়া হচ্ছে!’ এটি নুরের ফেসবুক আইডির অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নুরের এই পোস্টে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন অনুসারীরা। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহ ভাইকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুক, আমিন।’ কেউ কেউ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। রক্তাক্ত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
/আশিক
বাড়তি চিনি ও ক্যালরি: প্রোটিন শেকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা
ইদানীং তরুণদের মধ্যে প্রোটিন শেক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত একটি খাদ্য সম্পূরক, যা নিয়মিত খাবারের বিকল্প নয়। চিকিৎসকদের মতে, পেশি গঠন বা ব্যায়ামের পর দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন শেক উপকারী হতে পারে, তবে সবার জন্য এটি নিরাপদ নয়।
ব্যবহার ও সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা মাঝারি বা ভারী ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ শেক গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিকবার প্রোটিন শেক পান করা উচিত নয়। আর যারা হালকা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ১০ গ্রাম প্রোটিনযুক্ত পানীয়ই যথেষ্ট। প্রয়োজন না থাকলে উচ্চমাত্রার প্রোটিন-সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
প্রোটিন শেকে অতিরিক্ত প্রোটিনের পাশাপাশি বাড়তি চিনি এবং ক্যালরি থাকতে পারে, যা দেহে মেদ বাড়াতে পারে। তাই কেনার সময় প্রোটিনের পাশাপাশি চিনি ও ক্যালরির মাত্রা ভালোভাবে দেখে নেওয়া জরুরি।
এছাড়াও, কোনো কোনো প্রোটিন শেকে ভারী ধাতু ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের শেক বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
উপকারী প্রোটিন শেকগুলোতে পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট ও ভিটামিন ডি থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য বেশ ভালো। তবে যাদের লবণ গ্রহণে বিধিনিষেধ আছে, তাদের ইলেকট্রোলাইটের ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, প্রোটিন শেক হলো খাবারের পরিপূরক, বিকল্প নয়।
পাঠকের মতামত:
- শ্রীলঙ্কার ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ, ৩২ বল বাকি থাকতেই লঙ্কানদের দাপুটে জয়!
- কিংবদন্তি ফরিদা পারভীনের শেষনিঃশ্বাস: শোকস্তব্ধ সংগীতাঙ্গন
- জাকসু নির্বাচনে শিবিরের দাপট, ভিপি পদে স্বতন্ত্রের চমক!
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- বাজার ব্যবস্থাপনায় টেকসই সরবরাহই স্থিতিশীলতার মূলমন্ত্র: শেখ বশির উদ্দিন
- নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- অপারেশন থিয়েটারের আলো: ছায়াহীন বিস্ময়ের বৈজ্ঞানিক রহস্য
- আজকের মুদ্রা বিনিময় হারের বিশ্লেষণ
- বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর পাখি: সাউদার্ন ক্যাসোয়ারির রহস্যময়তা ও আতঙ্ক
- জাকসু নির্বাচনের ফলাফল দেওয়ার সময় জানা গেল
- দিশা পাটানির বাড়িতে গুলিবর্ষণ: আতঙ্কে পরিবার, কঠোর নিরাপত্তায় বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ
- ম্যানচেস্টার ডার্বির আগে রুবেন আমোরিমের হুঁশিয়ারি: "আমরা ভিন্ন দল"
- ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইতিহাস: ফিল সল্টের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের রেকর্ড জয়
- কিম জং উনের নতুন সামরিক নীতি: একসাথে পারমাণবিক ও প্রচলিত শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা
- মোদি বনাম ভাগবত: বিজেপি–আরএসএস সম্পর্কে ফাটল
- বোলসোনারোর ২৭ বছরের কারাদণ্ড: ব্রাজিলের রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা
- ভূমি মন্ত্রণালয়ে বড় নিয়োগ!
- জানুন নিয়মিত সাঁতারের ছয় বড় উপকারিতা
- রাশিয়ার উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল
- আজ রাতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ম্যাচ, টিভিতে আরও যা দেখবেন
- ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বান তারেক রহমানের
- নিহত সাংবাদিক শিবলীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল ছাত্রশিবির
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- সংসদ ভেঙে দিলেন নেপালের নতুন নারী প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
- ৪ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে নামছে ৮ রাজনৈতিক দল
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কঠিন অঙ্কে ভারত
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সংকট
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট গণনা নিয়ে অনিশ্চয়তা
- গণপরিষদ বা হ্যাঁ-না ভোটের দাবি এবি পার্টির ফুয়াদের
- বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভারতের জটিল সমীকরণ
- ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় ঘোষণা
- বায়তুল মোকাররমে শুরু হলো মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলা
- কুরআন, উপহার ও দিকনির্দেশনা: ভিন্নধর্মী নবীনবরণ বেরোবিতে
- বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
- লন্ডনে মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- হাসিনা, রাজাপাকসে, শর্মা–এর পর কি এবার মোদি? মণিপুরের অস্থিরতায় দিল্লিতে কাঁপন
- ডাকসু নির্বাচন কি জাতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস? জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য
- ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম: কোন পণ্য বেড়েছে, কোথায় মিলছে স্বস্তি
- জাহাঙ্গীরনগরে রাতভর ভোট গণনা, বিক্ষোভ ও বর্জনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
- নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ: নিহত ৩৪, আহত দেড় হাজারের বেশি
- জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু
- UNHRC-তে মুখোমুখি ভারত–সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানকে আক্রমণ দিল্লির
- দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব