নিজের অজান্তেই বিষণ্ণ? হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশনের ৫ লক্ষণ জানুন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩০ ১৮:৩৪:০৮
নিজের অজান্তেই বিষণ্ণ? হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশনের ৫ লক্ষণ জানুন
ছবি: সংগৃহীত

হাসির আড়ালে লুকানো বিষণ্ণতা: হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশন যে ‘নীরব সংকট’

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখাও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা শারীরিক সুস্থতা। অনেক মানুষ বাইরে থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও, ভেতরে এক ধরনের ক্লান্তি, শূন্যতা বা বিষণ্ণতা নিয়ে বেঁচে থাকেন, যা সহজে চোখে পড়ে না। এটিই হতে পারে ‘হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশন’—এক ধরনের নীরব মানসিক সংকট।

বিষণ্ণতা মানেই থমকে যাওয়া নয়

বিখ্যাত মনোবিদ এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলিং লেখক ড. জুলি স্মিথ সম্প্রতি এই বিষণ্ণতার ধরন নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলছেন, ডিপ্রেশন শুরু হয় না যেদিন আপনি বিছানা থেকে উঠতেই পারছেন না, বরং তার অনেক আগেই যখন আপনি স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছেন, কিন্তু ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ছেন।

হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশন কী?

এই অবস্থা এখনো কোনো স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল মানসিক রোগ না হলেও বাস্তবে বহু মানুষ এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিয়মিত কাজ করছেন, সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকছেন, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে জমছে এক ধরণের অস্পষ্ট দুঃখবোধ, ক্লান্তি বা শূন্যতা।

এই বিষণ্ণতা চেনা কঠিন

এই ধরনের বিষণ্ণতার সবচেয়ে জটিল দিক হলো—এটি চেনা যায় না সহজে। এমনকি অনেক সময় ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন না ঠিক কী কারণে সবকিছু অর্থহীন লাগছে বা কেন তিনি আর আগের মতো আনন্দ পাচ্ছেন না।

ড. স্মিথের মতে, হাই-ফাংশনিং ডিপ্রেশনের ৫টি সাধারণ লক্ষণ:

১. একা হলেই ভেঙে পড়ার প্রবণতা:

দিনভর নিজেকে ঠিক রাখলেও, একা থাকলে সেই আবরণ ভেঙে পড়ে। নিজের প্রতি যত্ন নেয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।

২. সামাজিক পরিস্থিতিতে অস্বস্তি:

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া আনন্দদায়ক হওয়ার কথা, কিন্তু এসব মুহূর্তে মনে হয় যেন একটা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন।

৩. অনুভূতি থেকে পালানোর চেষ্টা:

অতিরিক্ত সিরিজ দেখা, রিল স্ক্রল করা কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অনেকে নিজেদের চিন্তা থেকে নিজেকেই আড়াল করার চেষ্টা করেন।

৪. কাজ করেন, কিন্তু উৎসাহ নেই:

আগে যেসব কাজে আনন্দ পেতেন, এখন তা নিছক দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। কাজ করেন ঠিকই, কিন্তু ভেতরে উৎসাহ বা আগ্রহ অনুভব করেন না।

৫. বাইরে সফল, ভিতরে ফাঁকা:

বাহ্যিকভাবে সফল মনে হলেও মনের ভিতর যেন এক শূন্যতা বা বিষণ্ণতা প্রতিনিয়ত বসবাস করছে।

নিজের সঙ্গে সৎ হোনএই ধরণের মানসিক অবস্থা অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। তাই নিজেকে বুঝুন, নিজের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিন। কারণ সুস্থ থাকার জন্য শুধু শরীর নয়, মনকেও প্রয়োজন ভালোবাসা ও যত্ন।

সূত্র: https://tinyurl.com/5n99pezr

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ