গাজায় লুটপাটের শিকার ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০১ ১৮:২৩:২০
গাজায় লুটপাটের শিকার ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের ওপর আবারও এক দুঃখজনক আঘাত এসেছে। গত মাসের শেষদিকে ইসরাইলের অনুমতিক্রমে ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করলেও, সেগুলোর বেশিরভাগই পরিকল্পিত লুটপাট ও বিশৃঙ্খলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।

বুধবার প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে গাজা প্রশাসন দাবি করেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে ত্রাণ সামগ্রী সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছানোর আগেই লুটপাটের মাধ্যমে বিলীন হয়ে যায়। বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরাইল এই কৌশলটি পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করছে, যা মূলত গাজায় কাঠামোবদ্ধভাবে তৈরি করা বিশৃঙ্খলা ও ক্ষুধানীতির অংশ। এর মাধ্যমে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে ধ্বংস করে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য।”

প্রশাসনের তথ্যমতে, গাজায় ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০টি ত্রাণ ও জ্বালানিবাহী ট্রাকের প্রয়োজন। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি এর সম্পূর্ণ বিপরীত। সীমিতসংখ্যক ট্রাক ঢুকলেও সেগুলো নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “গাজার মানুষের ওপর যে মানবিক বিপর্যয় চলছে, তার জন্য শুধু ইসরাইলই নয়, বরং তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলোকেও সমানভাবে দায়ী করা উচিত।” প্রশাসন সীমান্ত পয়েন্টগুলো অবিলম্বে পূর্ণভাবে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে, যেন আন্তর্জাতিক সহায়তা যথাযথভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং বেসামরিক জনগণ উপকৃত হয়।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের শেষ থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও অনাহারে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৬০ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে রয়েছে ৯১ জন শিশু। এ সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।

স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীদের মতে, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সীমান্ত অবরোধের ফলে গাজায় প্রবেশ বন্ধ রয়েছে শিশুখাদ্য, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও ন্যূনতম খাদ্যসামগ্রীর। এই অবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ