বিশেষ প্রতিবেদন
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল: রহস্য, ইতিহাস ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (যাকে ডেভিল’স ট্রায়াঙ্গলও বলা হয়) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি কাল্পনিক ত্রিভুজাকার অঞ্চল, যেখানে লোকমুখে বলা হয়ে থাকে যে ৫০টির বেশি জাহাজ এবং ২০টিরও বেশি বিমান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে এই এলাকাকে ঘিরে নানা ঘটনার কিংবদন্তি গড়ে উঠেছে এবং অদ্ভুতভাবে জাহাজ-উড়োজাহাজ উধাও হয়ে যাওয়ার গল্প জনপ্রিয় সংস্কৃতি ও জনমনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
অবস্থান ও ভৌগোলিক সীমা
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মূলত উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাংশে অবস্থিত একটি অঞ্চলের ধারণাগত নাম। এর সুনির্দিষ্ট সীমানা সর্বজনস্বীকৃত নয়, তবে সাধারণভাবে এই ত্রিভুজের কোণ তিনটি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি উপকূল, আটলান্টিকের বারমুডা দ্বীপ, এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ান। এই বিন্দুগুলোকে যোগ করলে সমুদ্রে একটি প্রশস্ত ত্রিভুজাকৃতি এলাকা গঠিত হয়, যার মোট আয়তন বিভিন্ন হিসাবে প্রায় ১৩,০০,০০০ থেকে ৩৯,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার হতে পারে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কোনো প্রশাসনিক বা সরকারি স্বীকৃত অঞ্চল নয়; যুক্তরাষ্ট্রের ভূগোল নামকরণ বোর্ড এই নামে কোনো স্থানকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং আনুষ্ঠানিক মানচিত্রেও এটির সীমারেখা চিহ্নিত নেই।
ছবি: মানচিত্রেবারমুডা ট্রায়াঙ্গল
ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ নিখোঁজ ঘটনা
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যের ইতিহাস উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। তখন থেকেই মাঝে মাঝে এমন প্রতিবেদনের কথা শোনা গেছে যে কিছু জাহাজ সমুদ্রে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে কিংবা কোনো বিপদ সংকেত পাঠানো ছাড়াই হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিংশ শতকের মধ্যভাগ থেকে এই অঞ্চলে একের পর এক নিখোঁজির ঘটনার কাহিনি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং “বারমুডা ট্রায়াঙ্গল” একটি আলোচিত রহস্যে পরিণত হয়। নিম্নে এ পর্যন্ত আলোচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিখোঁজ ঘটনার তালিকা তুলে ধরা হলো:
এইচএমএস এটলান্টা (১৮৮০): রয়্যাল নেভির প্রশিক্ষণ帆 জাহাজ এটলান্টা (পূর্ব নাম এইচএমএস জুনো) ৩১ জানুয়ারি ১৮৮০ তারিখে বারমুডা থেকে ইংল্যান্ডের ফ্যালমাউথের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর পূর্ণ ক্রুসহ অদৃশ্য হয়ে যায়। ধারণা করা হয় পথিমধ্যে এক প্রবল ঝড়ে জাহাজটি ডুবে যায়, যদিও পরবর্তীতে অনেকেই এটিকে ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় নিখোঁজের অংশ বলে প্রচার করেছিলেন।
ইউএসএস সাইক্লোপ্স (১৯১৮): মার্কিন নৌবাহিনীর কয়লা বহনকারী জাহাজ ইউএসএস সাইক্লোপ্স বার্বাডোস দ্বীপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে মার্চ ১৯১৮ সালে ৩০৬ জন ক্রুসহ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিল। যুদ্ধকালীন শত্রুদের আক্রমণ, ঝড় অথবা অতিরিক্ত ভারের কারণে জাহাজের কাঠামোগত ভাঙ্গনসহ নানা কারণ অনুমান করা হলেও কোনোটির পক্ষেই দৃঢ় প্রমাণ মেলেনি এবং জাহাজের ধ্বংসাবশেষও আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ক্যারল এ. ডিয়ারিং (১৯২১): পাঁচ-মাস্তওয়ালা বাণিজ্যিক পালতোলা জাহাজ ক্যারল এ. ডিয়ারিং ৩১ জানুয়ারি ১৯২১ তারিখে নর্থ ক্যারোলাইনার কাছাকাছি ডায়মন্ড শোলস অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষসহ আটকে থাকতে দেখা যায়, কিন্তু জাহাজটিতে একজনও ক্রু উপস্থিত ছিল না। তদন্তে জলদস্যুতা, নাবিকদের বিদ্রোহ, রাম চোরাচালানসহ নানা সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হলেও কী কারণে জাহাজটি পরিত্যক্ত হয়েছিল তার নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা মেলেনি।
ফ্লাইট ১৯ (১৯৪৫): এটি ছিল পাঁচটি টিবিএম অ্যাভেঞ্জার টর্পেডো বোমারু বিমানের একটি নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ মিশন, যারা ৫ ডিসেম্বর ১৯৪৫ তারিখে ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করার পর আটলান্টিকের উপর দিক নির্ধারণে বিভ্রান্তিতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। নৌবাহিনীর তদন্তে ধারণা করা হয় যে দিকভ্রান্ত হয়ে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে বিমানগুলো সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই বিমানের খোঁজে পাঠানো একটি উদ্ধারকারী PBM মেরিনার উড়োজাহাজও বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়ে নিখোঁজ হয় এবং ১৩ জন উদ্ধারকর্মীরও কেউ জীবিত ফেরত আসেননি।
স্টার টাইগার ও স্টার এরিয়েল (১৯৪৮–১৯৪৯): ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজের দুইটি যাত্রীবাহী বিমান স্টার টাইগার (৩০ জানুয়ারি ১৯৪৮) এবং স্টার এরিয়েল (১৭ জানুয়ারি ১৯৪৯) আটলান্টিক উড়ানে চলাকালীন হঠাৎ রেডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রথমটি অ্যাজোরেস থেকে বারমুডাগামী ও দ্বিতীয়টি বারমুডা থেকে জ্যামাইকার পথে ছিল। দুটো বিমানই তাদের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত জ্বালানি নিয়ে উড়ছিল এবং সামান্য যান্ত্রিক ত্রুটি বা নাবিকদের ভুল দিকচ্যুতি ঘটালে ছোট দ্বীপ লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ত বলে তদন্তকারীরা উল্লেখ করেন। কোনো বিমানটিরই ধ্বংসাবশেষ সন্ধান করা যায়নি।
ডগলাস ডিসি-৩ (১৯৪৮): ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪৮ তারিখে সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) থেকে মিয়ামিগামী একটি চার্টার্ড ডগলাস ডিসি-৩ বিমান (নম্বর NC16002) ৩২ জন আরোহীসহ আচমকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিমানটি কি কারণে হারিয়ে গেল তা নির্ণয়ের মতো পর্যাপ্ত তথ্য তদন্তকারীরা পাননি, এবং এটিও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে আলোচিত হয়ে আছে।
ছবি: বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের সমুদ্রগর্ভে বিলিন হওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ
উপরোক্ত ঘটনাসমূহ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অনেক নৌযান ও উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের সাথে জুড়ে জনশ্রুতিতে স্থান পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেছেন যে বহু ক্ষেত্রে এগুলো প্রকৃতপক্ষে খারাপ আবহাওয়া, প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা মানবিক ভুলের ফল হলেও জনমনে “রহস্য” হিসেবে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাক।
জনপ্রিয় তত্ত্ব ও কল্পনাবারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ঘটনাগুলোর জন্য নানা জনপ্রিয় তত্ত্ব ও কল্পনাপ্রবণ ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে। গণমাধ্যম ও লোককাহিনীতে বারবার উঠেছে এমন কিছু কাল্পনিক তত্ত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো:
ভিনগ্রহের প্রাণী (এলিয়েন) কর্তৃক অপহরণ: অনেকের বিশ্বাস, এলিয়েনরা গবেষণার জন্য মানুষ বা যানবাহনকে অপহরণ করে থাকে এবং বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকা এসব ভিনগ্রহবাসীদের ক্রিয়াকলাপের একটি হটস্পট হতে পারে। উড়ন্ত সাজ এবং অদ্ভুত আলো দেখার দাবিও মাঝে মাঝে এই এলাকার সাথে যুক্ত করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আটলান্টিসের ডুবে যাওয়া মহাদেশের প্রভাব: কিংবদন্তি মহাদেশ আটলান্টিস আটলান্টিক মহাসাগরে তলিয়ে গেছে বলে যাদের বিশ্বাস, তারা মনে করেন আটলান্টিসের অবশিষ্ট অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বা শক্তির ক্ষেত্র বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বাহামার বিমিনি দ্বীপের উপকূলের রহস্যময় প্রস্তর কাঠামো “বিমিনি রোড” কেউ কেউ আটলান্টিসের সড়ক বলে রটনা করেন, যদিও ভূতত্ত্ববিদদের মতে এটি প্রাকৃতিক গঠন।
টাইম ওয়ার্প বা অন্য মাত্রায় প্রবেশ: কিছু তত্ত্ব অনুযায়ী বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় সময় ও স্থান বাস্তবতার বিকৃতি ঘটে; অর্থাৎ এখানে এক ধরনের টাইম ওয়ার্প বা সমান্তরাল ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গমস্থল রয়েছে, যেখানে প্রবেশ করলে জাহাজ-উড়োজাহাজ অন্য কোন কাল-মাত্রায় হারিয়ে যেতে পারে। এমনকি “ভূতুড়ে ত্রিভুজে” প্রবেশ করে ভিন্ন সময়ে পৌঁছে যাওয়ার কাহিনিও কল্পনায় শোনা যায়।
কল্পনা থেকে এনিমেটেড ছবি
অতিপ্রাকৃত বা ভৌতিক শক্তি: ডেভিল’স ট্রায়াঙ্গল নামটিই ইঙ্গিত করে অনেকের ধারণায় এটি কোন শয়তানি বা অতিপ্রাকৃত শক্তির আখড়া। কিছু লেখক দাবি করেছেন এই অঞ্চলে এমন অজানা শক্তি কাজ করে যা কম্পাস বিকল করে দেয়, যন্ত্রপাতি অচল করে দেয় কিংবা মানুষকে বুদ্ধিভ্রষ্ট করে ফেলে। ভূত-পেত্নীর অভিশাপ থেকে শুরু করে সমুদ্রের দানব—এ ধরনের নানা অলৌকিক ব্যাখ্যাও লোকমুখে প্রচলিত।
এই সব তত্ত্বের পক্ষে বাস্তব প্রমাণ না থাকলেও সত্তরের দশকে জনপ্রিয় বই, চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে এগুলো ব্যাপক প্রচার পায় এবং বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যকে ঘিরে জনинтерес আরও বাড়িয়ে তোলে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও গবেষণালব্ধ তথ্য
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও অনুসন্ধানে যেসব বাস্তবসম্মত কারণ উঠে এসেছে, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
কম্পাসের চৌম্বক বিচ্যুতি: অনেক নিখোঁজ ঘটনার বর্ণনায় কম্পাস অস্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করেছে বলে দাবি করা হয়। আসলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে চৌম্বক উত্তর ও ভৌগোলিক উত্তরের মধ্যে প্রাকৃতিক ভ্রম থাকেই, এবং বারমুডা অঞ্চলেও কম্পাসের দিক কিছুটা পরিবর্তিত হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। কিছু পুরনো নাবিক হয়তো এ বিষয়ে কম জ্ঞাত ছিলেন এবং ভুল করে কম্পাসের নির্দেশনা মেনে পথভ্রষ্ট হন। তবে আধুনিক জরিপে ঐ অঞ্চলে কোনো অস্বাভাবিক চৌম্বকীয় অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
সাগরের স্রোত (গাল্ফ স্ট্রিম): এই ত্রিভুজাক্ষেত্রের ভেতরে গাল্ফ স্ট্রিম নামের একটি প্রবল সাগরধারা মেক্সিকো উপসাগর থেকে উত্তরমুখী হয়ে প্রবাহিত হয়। একটি নৌযান ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকলে বা ছোট বিমানের সমুদ্রে اضطرকালী অবতরণ ঘটলে এই স্রোত সেটিকে মূল অবস্থান থেকে বহুদূরে টেনে নিয়ে যেতে পারে। ফলে দুর্ঘটনাস্থলের ভুল হিসেবের কারণে পরবর্তীতে ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়।
মানবিক ভুল: সমুদ্র ও আকাশপথে ঘটে যাওয়া বহু দুর্ঘটনার মূল কারণই মানবীয় ভুল বা অবহেলা বলে তদন্তে দেখা গেছে। অভিজ্ঞতার অভাব, ভুল সিদ্ধান্ত, দুর্বল নকশার জাহাজ কিংবা পাইলটের দূর্নিবার জেদ - এসব কারণে খারাপ আবহাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে পাড়ি দিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার উদাহরণ আছে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসায়ী হার্ভি কোনোভার ১ জানুয়ারি ১৯৫৮ তারিখে ঝড়ের মধ্যে জোর করে নিজের ইয়ট নিয়ে রওনা হলে সেটিও ফ্লোরিডা উপকূলে ডুবে যায়।
প্রচণ্ড আবহাওয়া ও ঝড়: আটলান্টিক মহাসাগরের এই অংশে ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় ও হারিকেন প্রায়শই আঘাত হানে, যা অতীতে হাজারো প্রাণহানি ও জাহাজডুবির কারণ হয়েছে। বিশেষ করে আধুনিক আবহাওয়া সতর্কতার যুগের আগে, হঠাৎ করে উদয় হওয়া হারিকেনে সতর্কবার্তা ছাড়াই বহু জাহাজ নিমেষে ডুবে যেত। এছাড়া বজ্রঝড় থেকে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক ডাউনড্রাফট বা মাইক্রোবার্স্টও সমুদ্রপৃষ্ঠে বোমার মতো আঘাত হেনে জাহাজ ডুবিয়ে দিতে পারে। ১৯৮৬ সালে Pride of Baltimore নামক জাহাজ এমন এক ভয়ানক প্রবল বায়ুর ধাক্কায় ডুবে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
দৈত্যাকার ঢেউ: সমুদ্রের বুকে খুব কমই হলেও হঠাৎ অত্যন্ত বিশাল আকারের ঢেউ জন্ম নিতে পারে, যাকে রোগ ঢেউ বলা হয়। এই ঢেউ সাধারণ সমুদ্রের তরঙ্গ থেকে বহু গুণ বড় (১০০ ফুট বা তারও বেশি উচ্চতা) হতে পারে এবং শিকারকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট না রাখার ক্ষমতা রাখে। বারমুডা অঞ্চলে বহুমুখী ঝড়-ঝঞ্ঝার মিলনক্ষেত্র হওয়ায় এমন ঢেউ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে কিছু জাহাজ বা বিমানের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে এমন বিরল প্রকৃতির বিশাল ঢেউ দায়ী থাকতে পারে।
মিথেন গ্যাসের উদ্গিরণ: সমুদ্রতলের নিচে প্রচুর পরিমাণে জমাট বাঁধা মিথেন হাইড্রেট গ্যাস রয়েছে, যা কোনো কোনো সময় হঠাৎ বড় বুদবুদ আকারে পানির মধ্যে মুক্ত হতে পারে। গবেষণাগারে দেখা গেছে, মিথেন গ্যাসের বিস্তর বুদবুদ পানির ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে এবং এর মধ্যে কোনো জাহাজ পড়লে তা হঠাৎ নিমজ্জিত হয়ে যেতে পার। এধরনের গ্যাস উদ্গিরণের ফলে জাহাজডুবি ঘটলে ধ্বংসাবশেষ দ্রুত তলিয়ে যায় বা স্রোতে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে সন্ধান পাওয়া কঠিন হয়। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (USGS) জানিয়েছে যে গত ১৫,০০০ বছরে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় এ ধরনের বিশাল মিথেন উদ্গিরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, উপরের কারণগুলো ছাড়াও আরও নানা বাস্তব কারণ (যেমন যান্ত্রিক ত্রুটি, আগুন, আটকে পড়া ইত্যাদি সাধারণ দুর্ঘটনা) অনেক তথাকথিত রহস্যময় ঘটনার নেপথ্যে ছিল। কিন্তু মানুষের মন সাধারণ কারণের বদলে অজানা এবং রোমাঞ্চকর কারণকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখে বলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে জল্পনা কল্পনা দীর্ঘদিন ধরে টিকে ছিল।
রহস্যেরপ্রভাব
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের গল্প বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যম ও populaire সংস্কৃতিতে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল এবং জনমনে ভীতি ও কৌতূহল দুটোই তৈরি করেছিল।
গণমাধ্যম ও জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে: ১৯৭০-এর দশকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে একপ্রকার ক্রেজ সৃষ্টি হয়েছিল। এই সময়ে বিখ্যাত লেখক চার্লস বার্লিৎস ১৯৭৪ সালে The Bermuda Triangle নামে একটি বেস্টসেলার বই প্রকাশ করেন, যা বিশ্বব্যাপী ২০ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয় এবং জনসাধারণের কল্পনাশক্তিকে উসকে দেয। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ Scooby-Doo কিংবা Wonder Woman-এর এপিসোডে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের প্রসঙ্গ এসেছে, ভিনসেন্ট প্রাইস বর্ণিত ১৯৭৪ সালের তথ্যচিত্র The Devil’s Triangle-এ নানা তত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়েছে, এমনকি বারি ম্যানিলো (১৯৮১) ও ফ্লিটউড ম্যাক (১৯৭৪) ব্যান্ডের গানে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের উল্লেখ রয়েছে। এসবের ফলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যটি বিশ্বজনীন জনপ্রিয় সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়। পত্র-পত্রিকায়, সিনেমায় এবং সাহিত্যেও এ রহস্যের উল্লেখ বহুবার এসেছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে উদ্দীপনা ও শিহরণ জাগিয়ে তোলে।
জনমনে ভীতি ও কৌতূহল: বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের গল্পগুলি একদিকে যেমন রোমাঞ্চকর কৌতূহল সৃষ্টি করেছে, তেমনি অনেকের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্কও জাগিয়েছে। বিশেষ করে যাত্রীবাহী জাহাজ বা বিমানে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ভ্রমণ করবেন যাঁরা, কখনও কখনও তারা অমূলক ভীতিতে ভোগেন। বাস্তবে যদিও এই ত্রিভুজ এলাকার মধ্য দিয়ে নিয়মিত অসংখ্য জাহাজ ও উড়োজাহাজ নির্ঘাতপূর্বক যাতায়াত করছে এবং কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে না, তবু লোককাহিনি এবং মিডিয়ার প্রভাবে মানুষের মনে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে ঘিরে এক রহস্যময় বিপদের ধারণা থেকে গেছে। এমনকি আধুনিক যুগে শিশুরাও কখনও কখনও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কথা শুনে আতঙ্কিত হয়, ফলে অভিভাবকদের তাদের ভুল ধারণা ভাঙতে হয় বলে শোনা যায়। এসবই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মিথের গণমনের উপর প্রভাবের উদাহরণ।
পর্যটন ও বাস্তবতা: ভয়ের পাশাপাশি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল পর্যটন সংশ্লিষ্ট কৌতূহলের বিষয়ও হয়ে উঠেছে। অনেক পর্যটক বরং এই রহস্যময় এলাকাকে কাছ থেকে দেখতে আগ্রহী। বাস্তবে আজকের দিনে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে ঘিরে কোনো বাস্তব বিপদ না থাকায় ক্রুজ জাহাজ কোম্পানিগুলি নিশ্চিন্তে এই পথ দিয়ে চলাচল করে এবং কিছু পর্যটন প্যাকেজে “বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ট্যুর” বলে আকর্ষণও তৈরি করা হয়। আধুনিক নৌপরিবহন ও বিমান চলাচলের জন্য এই অঞ্চল সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত, তাই ইচ্ছুক পর্যটকরা ভয়ের বদলে রোমাঞ্চের স্বাদ নিতেই এখানে আসেন।
সমসাময়িক দৃষ্টিকোণ
আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের দৃষ্টিতে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আর ততটা রহস্যময় নয়, যতটা আগে ভাবা হত। বহু বছরের তদন্ত ও পরিসংখ্যান থেকে বিশেষজ্ঞদের সার্বিক মত হলো:
বিশ্বমানের অন্যান্য সমুদ্রপথের তুলনায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে দুর্ঘটনা বা নিখোঁজের ঘটনা সংখ্যাগতভাবে বেশি নয়। মার্কিন নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড স্পষ্টভাবে বলেছে যে এখানে ঘটে যাওয়া রহস্যময় ঘটনাগুলো প্রকৃতপক্ষে প্রাকৃতিক পরিস্থিতি ও মানবীয় ভুলের সাধারণ ফলাফল – এর পিছনে অলৌকিক কিছু নেই । কোনো সরকারি সংস্থার রেকর্ডে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আলাদা করে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত নয় এবং আনুষ্ঠানিক মানচিত্রে এর সীমানা চিত্রিত করা হয় না। আধুনিক জিপিএস ন্যাভিগেশন, উন্নত আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে জাহাজ ও বিমান এখন সমুদ্রে অনেক নিরাপদ এবং নজরদারির মধ্যে চলাচল করে। তাই আগে যেসব ঘটনা রহস্যে ঢেকে ছিল সেগুলোরও অধিকাংশ ব্যাখ্যা উদঘাটিত হয়েছে বা সহজ ব্যাখ্যা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এক সময় যে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে ‘মৃত্যুত্রিভুজ’ বলে ভয় করা হত, আজ তা বাস্তবে নির্ঝঞ্ঝাট ও পর্যটনবান্ধব এলাকা – রহস্যের চেয়ে যার গুরুত্ব এখন রোমাঞ্চকর ঐতিহাসিক কিংবদন্তি হিসেবেই বেশি। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল হল মানুষের স্মৃতিতে জায়গা করে নেয়া একটি নগরকথা (আর্বান লেজেন্ড), যার পেছনে বাস্তবিক বিশেষত্বের চেয়ে মানুষের ভুল ধারণা এবং গল্প বলার প্রবণতাই বেশি দায়ী।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবু সাইদ: এক জনতার মহানায়ক
- বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ: আত্মপরিচয়ের নবতর ব্যাখ্যা ও আগামী রাষ্ট্র নির্মাণের ভিত্তি
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- “সুশীল” শব্দটি কেন আজও গালি?
- ৩১ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজকের বাজার পর্যালোচনা
- ঢাকার ২০টি আসনে বিএনপির নির্বাচনী কৌশল: কারা পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন?
- ‘নির্বাচনের আগে সংস্কার না হলে আন্দোলন চলবে’—সাবধান করলেন নাহিদ ইসলাম
- ঘুষের হারে পাঁচগুণ বৃদ্ধি, কোথাও কোনো সুশাসন নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই- মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ
- ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এডলফ খান!
- তারেক রহমান এখন উপযুক্ত নেতা: কাদের সিদ্দিকী
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- সৃজনশীলতার ৫টি ধাপ: একটি বিশ্লেষণধর্মী বাংলা প্রতিবেদন
- সিইসি: এআই অপব্যবহার হতে পারে নির্বাচনের জন্য ভয়াবহ হুমকি
- আজ ৩০ জুলায়ের শেয়ারবাজারে শীর্ষ ১০ গেইনারের তালিকায় নতুন চমক
- খাবারের আশায় ১২ কিলোমিটার হাঁটা শিশুটি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত
- হুয়াংহে নদীর তীরে এক মহাজাতির উত্থান: চীনা সভ্যতার আদিগন্ত ইতিহাস
- শাহরুখ একা নন, এই তারকারাও পেলেন জাতীয় পুরস্কার
- শাহবাগের সংঘর্ষে ক্ষুব্ধ এ্যানি: ‘জুলাইযোদ্ধা’ নাম কলঙ্কিত হচ্ছে
- তালেবানের আফগানিস্তান: ধ্বংসস্তূপ থেকে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ
- সমুদ্রের নিচে পারমাণবিক শক্তি প্রদর্শন! কে এগিয়ে— যুক্তরাষ্ট্র না রাশিয়া?
- ৫ আগস্টেই প্রকাশিত হচ্ছে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’
- নিরাপত্তাহীন ভবনের তালিকায় সুন্দরবন মার্কেট ছিল তিন বছর ধরে -ফায়ার সার্ভিস
- নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বারমুডা ট্রায়াঙ্গল: রহস্য, ইতিহাস ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
- নদী থেকে ধরা পদ্মার এক ইলিশ বিক্রি হলো ১২,৪৮০ টাকায়
- খুলনার বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা
- প্রেমিকার বিয়ের দিন রহস্যঘেরা প্রেমিকের মৃত্যু
- জয়শঙ্কর বললেন, বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে দিল্লি
- ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
- মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু
- রাশিয়ার হুমকির জবাবে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
- পাত্রীর দেওয়া চা খেয়ে অচেতন পাত্র,এরপর যা ঘটল
- গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট কাজ করছে
- প্রতিদিন সাতটি আজওয়া খেজুর: হাদিসে সুপারিশ ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
- ৩০ বছর পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্ম, ওহাইওতে বিজ্ঞানজগতের বিস্ময়
- জামায়াতে ইসলামীকে ‘ধোঁকাবাজ’ বললেন বিএনপির তাহের সুমন
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ৩৯ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন
- স্বাধীন ফিলিস্তিন না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা হামাসের
- মধ্যরাতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দুই উপদেষ্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস
- জামায়াত আমিরের হৃদযন্ত্রে আজ ওপেন হার্ট সার্জারি
- ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে ২০ বগির ট্রেন ভাড়া নিল চট্টগ্রাম ছাত্রদল
- লোকাল বাসে তারেক রহমান, সাধারণ জীবনধারায় প্রশংসিত নেটদুনিয়ায়
- স্মার্টফোনই এখন আয়ের প্ল্যাটফর্ম: তরুণদের মাসে আয় হাজার ডলার
- ট্রাম্পের আদেশে পাল্টা শুল্ক কার্যকর, ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ
- আন্তঃসরকারি আলোচনার সফল পরিণতি: মালয়েশিয়ায় বিশেষ নিয়োগ শুরু
- স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে যুবলীগ: নিষিদ্ধ সংগঠনের শীর্ষ ৮ নেতা গ্রেফতার
- ডোমিনো এফেক্ট: ছোট পরিবর্তনে কীভাবে বদলায় বড় সিদ্ধান্ত
- হাটহাজারী মাদরাসায় কবর জিয়ারতে নজরুল-সালাহউদ্দিন: খালেদা-তারেকের শুভেচ্ছা বার্তা
- গাজায় লুটপাটের শিকার ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক
- সৃজনশীলতার ৫টি ধাপ: একটি বিশ্লেষণধর্মী বাংলা প্রতিবেদন
- কর্ণফুলীর তীরে এক নীরব বিপ্লব: বাংলাদেশের অস্ত্র কারখানা নিয়ে উত্তপ্ত দক্ষিণ এশিয়া
- সেন্ট মার্টিন ও বঙ্গোপসাগর: ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন ভূকেন্দ্র
- খাবারের আশায় ১২ কিলোমিটার হাঁটা শিশুটি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত
- গেরিলা প্রশিক্ষণে লিপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাস্টারপ্ল্যান ফাঁস
- জুলাইযোদ্ধাদের সড়ক দখল: শাহবাগে ২৪ ঘণ্টার অচলাবস্থা
- গুলশান কেলেঙ্কারিতে ছাত্রনেতা গ্রেপ্তার আরও ১
- জুমার দিনের ৪টি মহৎ আমল
- জাজিরায় পদ্মার ভয়াবহ তাণ্ডব, মুহূর্তেই হারাচ্ছে সবকিছু
- জাতীয় স্বার্থে বড় জয়: যুক্তরাষ্ট্রের বিপজ্জনক শুল্কের হুমকি প্রতিহত
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু, ফি পরিশোধে সুখবর!
- যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতি: বাংলাদেশের পণ্যে যত শুল্ক আরোপ
- খাদ্যে ভেজাল, প্রতারণা ও নকল: এক সপ্তাহে ১০ প্রতিষ্ঠানের কড়া শাস্তি
- 'চলুন সহজভাবে বুঝি': হেপাটাইটিস সম্পর্কে সচেতনতার নতুন বার্তা
- আফ্রিকায় কলেরার ঝুঁকিতে ৮০ হাজার শিশু: ইউনিসেফ
- বিসিবির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে সালাহউদ্দিন
- আবু সাইদ: এক জনতার মহানায়ক
- বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ: আত্মপরিচয়ের নবতর ব্যাখ্যা ও আগামী রাষ্ট্র নির্মাণের ভিত্তি
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- “সুশীল” শব্দটি কেন আজও গালি?
- ৩১ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজকের বাজার পর্যালোচনা
- ঢাকার ২০টি আসনে বিএনপির নির্বাচনী কৌশল: কারা পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন?
- ‘নির্বাচনের আগে সংস্কার না হলে আন্দোলন চলবে’—সাবধান করলেন নাহিদ ইসলাম
- ঘুষের হারে পাঁচগুণ বৃদ্ধি, কোথাও কোনো সুশাসন নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই- মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ
- ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এডলফ খান!
- তারেক রহমান এখন উপযুক্ত নেতা: কাদের সিদ্দিকী
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- সৃজনশীলতার ৫টি ধাপ: একটি বিশ্লেষণধর্মী বাংলা প্রতিবেদন
- সিইসি: এআই অপব্যবহার হতে পারে নির্বাচনের জন্য ভয়াবহ হুমকি
- আজ ৩০ জুলায়ের শেয়ারবাজারে শীর্ষ ১০ গেইনারের তালিকায় নতুন চমক
- খাবারের আশায় ১২ কিলোমিটার হাঁটা শিশুটি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত