খুলনার বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০২ ১২:৩০:৫৬
খুলনার বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার সবুজবাগ এলাকায় বাড়িতে ঢুকে মনোয়ার হোসেন ওরফে টগর (৩২) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মনোয়ার টগর ওই এলাকার জামাল হাওলাদারের ছেলে এবং রং এর ঠিকাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা গেছে, হত্যাকারীরা রাতে টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বুকের ডান পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। নিহতের বাবা জামাল হাওলাদার গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার সময় টগর তাকে জানিয়েছিলেন গেটের সামনে কয়েকজন যুবক আছেন। দরজা খুলে তিনি তিন যুবককে দেখেন যারা টগরের পরিচিত বলে দাবি করেন। এর মধ্যে একজন টগরের পাশেই বসে ছিল। হঠাৎ টগরের চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে তারা তাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত ও আটক করার জন্য পুলিশের চেষ্টা চলছে।

/আশিক


১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১৪:৪২:৪৩
১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের
কারাগারের ফটকে ফুল দিয়ে বন্দিদের স্বাগত জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলনায় আধুনিক নতুন কারাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন বন্দিকে নিয়ে শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এই কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। খুলনা জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাতন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে কয়েদিদের নতুন কারাগারে আনা হয়। নতুন কারাগারে আসা বন্দিদের কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ১০০ কয়েদি দিয়ে নতুন কারাগারের যাত্রা শুরু হলো। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর চালুর কথা থাকলেও অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে নতুন কারাগারের কাজ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পুরাতন জেলা কারাগার থেকে কয়েদি স্থানান্তর শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে জেলার ৯টি উপজেলার কয়েদি এবং হাজতিদের নতুন কারাগারে রাখা হবে। পুরাতন কারাগারটি, যা ভৈরব নদীর তীরে জেলখানা ঘাটে অবস্থিত এবং ১৯১২ সালে নির্মিত, সেটি এখন থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দিদের জন্য খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। পুরাতন কারাগারটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন।

পুরাতন কারাগার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নতুন জেলা কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দি ধারণ করতে সক্ষম।

এই নতুন কারাগারটিকে একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। এখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট থাকার পাশাপাশি কিশোর ও নারী বন্দিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়াও, এই নতুন কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকছে।


খুলনা-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াই: কার হাতে উঠবে ধানের শীষ?

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১৬:২০:০৭
খুলনা-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াই: কার হাতে উঠবে ধানের শীষ?
ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনা-২ আসন নিয়ে জমে উঠেছে বিএনপির মনোনয়ন লড়াই। নানা নাটকীয়তার পর সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু হাইকমান্ডের ডাক পাওয়ায় এ আসন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিমুখী হয়ে উঠেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন, এই আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী কে হচ্ছেন, সেটি নিয়ে বড় চমক অপেক্ষা করছে।

এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনজন হেভিওয়েট নেতা: বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।

মঞ্জুকে নিয়ে কেন এত আলোচনা?

সংগঠন থেকে বাদ: ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতির পদ হারান নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আহ্বায়ক কমিটিতে শফিকুল আলম মনা ও শফিকুল আলম তুহিনকে পদ দেওয়া হয়। এরপর মঞ্জু তার অনুসারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং তাকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মাঠে সক্রিয়তা: মঞ্জু পদ থেকে বাদ দেওয়ার পরও মাঠ ছাড়েননি। বিভিন্ন ব্যানারে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন এবং সমাবেশে কর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেছেন। এমনকি সমাবেশের মঞ্চে আসন না পেয়ে কর্মীদের সঙ্গে মাঠে বসে সমাবেশে অংশ নেওয়ার নজিরও রয়েছে।

হাইকমান্ডের ডাক: সম্প্রতি গুলশান কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ডাক পড়ায় চার বছরের সব হিসাব-নিকাশ ওলোট-পালট হয়ে যায়।

অন্যান্য প্রার্থীর তৎপরতা

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এই আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্লাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। এরপর নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনাও সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে প্রচারণা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতার হস্তক্ষেপে মনা ও তুহিন যৌথভাবে ধানের শীষের প্রচারণা শুরু করেন।

মঞ্জু ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত এই আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতাকে পরাজিত করে। সেই হিসাবে এই আসনটিতে তার গ্রহণযোগ্যতা তিনজনের মধ্যে বেশি বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।

দলের বার্তা

সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “দীর্ঘদিন পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খুলনার জনপ্রিয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ডেকেছেন, এটা আমাদের বড় পাওয়া। আমরা চাই আগামীতে খুলনা-২ আসনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।”

তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান সব আগ্রহী প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য ডেকেছেন। কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। বিষয়টি এমনও হতে পারে, তিনজনের মধ্যে কাউকে না দিয়ে নতুন কোনো চমকও থাকতে পারে।


খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১৪:৪০:৪৫
খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
ছবি: সংগৃহীত/সবুজ খান

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন হাউজিং বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে মো. সবুজ খান নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুরানি স্কুলের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

পারিবারিক শত্রুতার জের

জানা গেছে, সকালে বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন সবুজ খান। পথে পূর্বশত্রুতার জেরে একই এলাকার ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত একযোগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজ খানের দুই হাত, হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সকাল ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সবুজের ছেলে বলেন, স্থানীয় কালাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, তাদের ছেলে সোহেল, সুজন, সাগর, প্রতিবেশী নজরুল ও মণ্ডল চাপাতি দিয়ে আমার বাবাকে মেরেছে। তিনি বলেন, “টাকার জন্য একজনকে মারতে গেছিল, আমরা ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইকে তাড়া করছিল, মারতে পারেনি। আজকে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা হত্যার বদলে মৃত্যুদণ্ড চাই।”

নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বলেন, “নাজমা আমার ছোট বোন। আমাদের সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা। নাজমার তিন ছেলে সোহেল, সুজন, সাগরসহ আরও অনেকে মিলে আজ আমার স্বামীরে মেরে ফেলেছে।”

পুলিশের পদক্ষেপ

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।” তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিহতের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।


২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৭:৫২:০৬
২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
ছবি: সংগৃহীত

খুলনাবাসীকে লবণমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই বিপুল অঙ্কের ঋণের পাশাপাশি সংস্থাটি এই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানও দেবে।

এই ঋণ-অনুদানসহ মোট তিনটি প্রকল্পে এডিবি ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ঋণ-অনুদান দেবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এ সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেন।

ভূগর্ভস্থ লবণাক্ততা মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই অর্থায়নের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে খুলনা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানির রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এই প্রকল্পটি ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি ২০৫০ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিত একটি সিস্টেমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি পরিষেবা সম্প্রসারণ করবে। মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।


খাবার পানি লবণমুক্ত হবে না, ২৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ক্ষুব্ধ খুলনাবাসী

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১০:০৪:৪৩
খাবার পানি লবণমুক্ত হবে না, ২৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ক্ষুব্ধ খুলনাবাসী
ছবি: সংগৃহীত

খুলনার পানি সংকট দূর করতে মধুমতী নদী থেকে পানি আনার জন্য নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে খুলনা ওয়াসা, যার নাম ‘পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেজ-২’। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। তবে শুরুতেই এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এর কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধুমতী নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় এই বিপুল অঙ্কের অর্থ অপচয় হতে পারে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওয়াসা এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করবে। শুষ্ক মৌসুমের জন্য ১১৫ কোটি লিটার পানি রিজার্ভারে মজুত রাখার কথা থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিমাণ পানি মাত্র ৯ দিনের চাহিদা মেটাবে।

বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা ওয়াসা’র এই পরিকল্পনাকে আত্মঘাতী বলে মনে করছেন। তাদের মতে, মধুমতী নদীর পানি বছরে দেড় থেকে দুই মাস অতিমাত্রায় লবণাক্ত থাকে। বৃষ্টি কম হলে এই লবণাক্ততা চার মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। সাত বছর আগে ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রথম ধাপের প্রকল্পটিও শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট দূর করতে পারেনি। তখন মানুষকে টাকা খরচ করে লবণ পানি কিনতে বাধ্য হতে হয়েছিল।

খুলনার ভূগর্ভের পানির স্তরও সংকটের মধ্যে রয়েছে। নগরবাসী প্রতিদিন ভূগর্ভ থেকে ১৫-১৬ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করছে। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াসাও যদি প্রতিদিন আরও ৫-১০ কোটি লিটার পানি উত্তোলন শুরু করে, তা দীর্ঘ মেয়াদে সংকট আরও ঘনীভূত করবে।

পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, “ভবিষ্যতে মধুমতীর লবণাক্ততা আরও বাড়বে। তাই ওয়াসাকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। তা না হলে এই প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

ওয়াসার ব্যাখ্যা

ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, মধুমতী নদীতে লবণাক্ততা অন্য নদীর তুলনায় কম। লবণ পরিশোধন কেন্দ্র ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পরিশোধন করবে এবং শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভের পানির সঙ্গে নদীর পানি মিশিয়ে সরবরাহ করা হবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ছায়েদ মোহাম্মদ মনজুরুল আলম বলেন, “লবণ পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপন করতে গেলে কয়েক হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হবে। এটি নিয়মিত পরিচালনা করাও ব্যয়সাপেক্ষ।” তিনি আরও বলেন, “এ জন্যই পাম্প বসানো হচ্ছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে না।”


সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৪:৩৮:১৬
সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
টাকার জন্য মরদেহ দাফনে বাধা। ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সুদের টাকা আদায় করতে এক মরদেহের দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। অবশেষে টাকা পরিশোধ করেই দাফন করতে বাধ্য হয়েছে পরিবার।

হৃদয়বিদারক ঘটনা

নিহত হারুন (পেশায় রাজমিস্ত্রি) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা গ্রামের নতুন পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে। মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে গিয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হলে পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এদিন আসরের নামাজের পর তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। গোসল করানোর সময় সেখানে হাজির প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন।

মর্জিনা নামে ওই নারীর দাবি, হারুনের কাছে তিনি ১৫ হাজার টাকা পাবেন—আসল নয়, সুদের টাকা! মর্জিনার একটাই কথা, সুদবাবদ ওই ১৫ হাজার টাকা না পেলে হারুনকে দাফন করতে দেবেন না। উপস্থিত সবাই হতবাক হন এবং কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষমেশ হারুনের পরিবারের লোকজন দাবিকৃত সুদের টাকা পরিশোধ করলে পথ ছাড়েন মর্জিনা।

গ্রামবাসীর ক্ষোভ ও প্রশাসনের তৎপরতা

টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার সময় উপস্থিত কেউ কেউ রাগে ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়ের ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।

দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, “এটি অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত সুদ কারবারিদের বিচার হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ভিডিও দেখেছি। এটি অমানবিক। আমি আরও খোঁজখবর নেব।


খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ২১:২৩:৫১
খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর
ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর ডাক বাংলার মোড়ের কার্যালয়টিতে এই ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কার্যালয়টির প্রধান গেট, সাইনবোর্ড এবং ভেতরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেন।

বিক্ষোভ চলাকালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা অভিযোগ করেন যে, প্রশাসন এবং জাতীয় পার্টি এক হয়ে পরিকল্পিতভাবে নুরের ওপর হামলা চালিয়েছে।

একই দিন সন্ধ্যায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট মোড় অবরোধ করে ব্রিফিং করেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা জেলা ও নগরীর নেতাকর্মীরা। এতে মোড়টির ছয়টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্রিফিংয়ে, নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগরীর নেতা এস কে রাশেদ বলেন, “নুরুল হক নুর ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। গণমাধ্যমে হামলার দৃশ্য প্রকাশ পেলেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো দুঃখ প্রকাশ বা আশ্বাস পাওয়া যায়নি।” তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছি, জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি। সেই রক্তের বিনিময়ে আপনারা আজ দায়িত্বে বসে আছেন। অথচ সেই বিপ্লবীদের ওপরই সেনা ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে।”

এস কে রাশেদ আরও বলেন, “নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এড়াতে পারেন না, তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কে অভিনব প্রতিবাদ: ধানের চারা রোপণ ও লাল কার্ড

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৯:২১:৪০
খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কে অভিনব প্রতিবাদ: ধানের চারা রোপণ ও লাল কার্ড
শিপইয়ার্ড সড়কের সংস্কারকাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করে নিসচা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত চালুর দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা শাখা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ করে এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (কেডিএ) লাল কার্ড প্রদর্শন করে। এই কর্মসূচিতে খুলনার নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খানজাহান আলী (রূপসা সেতু) সেতুর পশ্চিম পাশে অবস্থিত শিপইয়ার্ড সড়কে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, খুলনা মহানগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়ক রূপসা ট্র্যাফিক মোড় থেকে খানজাহান আলী (র.) সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ১২ বছরেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এখানে বড় বড় গর্ত ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের গাফিলতি ও অনিয়মের কারণে সড়কের কাজ শেষ হয়নি। নিম্নমানের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সড়কটিতে এখন বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। বছরের পর বছর ধরে রাস্তার দুই পাশ খুঁড়ে ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বক্তারা বলেন, প্রকল্প ধীরগতি এবং ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন ঠিকাদারকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা দেওয়া হলো এবং তাদের কেন জবাবদিহির আওতায় আনা হলো না।

বক্তারা এই ব্যর্থতার জন্য কেডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সকে দায়ী করে বলেন, এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করতে হবে। তারা অবিলম্বে সড়কটির নির্মাণ কাজ পুনরায় চালুর দাবি জানান। অন্যথায়, কেডিএ এবং মাহবুব ব্রাদার্সের বাড়ি ঘেরাও করারও হুমকি দেন তারা।

কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সরদার আবু তাহের এবং সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


শেখ মুজিব ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন: দুদু

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ২০:০৪:০৮
শেখ মুজিব ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন: দুদু
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এ দেশে নির্বাচন হবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঠেকানোর মতো কোনো শক্তি নেই। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছয় দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে খুলনা মহানগর ও জেলা কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ পরবর্তী শোভাযাত্রা কর্মসূচি থাকলেও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সেটি বাতিল করা হয়।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “শেখ মুজিব ’৭২ থেকে ’৭৫ এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন এবং দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিলেন। তিনি বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন।”

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষণার কথা ছিল শেখ মুজিবের। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি তার আগেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান নিজে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই করেননি, নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে রেখে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।”

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, প্রতিবেশী দেশ গণহত্যাকারী ও লুটেরাকে আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির তথ‍্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “যখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, তখনই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন।” তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বিভিন্নভাবে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরাজিত মাফিয়া শক্তি যারা এই দেশের গণতন্ত্র চায় না, তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।” আজিজুল বারী হেলাল জানান, সারা বাংলাদেশের মানুষ ভোটযুদ্ধে নেমে গেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, “যদি বিএনপির সৃষ্টি না হতো, তাহলে আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হতো না। অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত আছে। আবারও যদি কোনো কারণে বিএনপি পরাজিত হয়, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পরাজিত হবে।”

/আশিক

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত