২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

খুলনাবাসীকে লবণমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই বিপুল অঙ্কের ঋণের পাশাপাশি সংস্থাটি এই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানও দেবে।
এই ঋণ-অনুদানসহ মোট তিনটি প্রকল্পে এডিবি ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ঋণ-অনুদান দেবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এ সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেন।
ভূগর্ভস্থ লবণাক্ততা মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই অর্থায়নের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে খুলনা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানির রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এই প্রকল্পটি ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি ২০৫০ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিত একটি সিস্টেমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি পরিষেবা সম্প্রসারণ করবে। মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।
টিসিবির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ পণ্য
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকায় নতুন পাঁচটি পণ্য যুক্ত হতে যাচ্ছে। পণ্যগুলো হলো চা, লবণ, ডিটারজেন্ট এবং দুই ধরনের সাবান। আগামী নভেম্বর মাস থেকে এসব পণ্য যুক্ত হবে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত টিসিবির উপকারভোগী নির্বাচন ও স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড সক্রিয়করণবিষয়ক সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এই তথ্য জানান।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন পণ্য
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “সরকার প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে টিসিবির কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর ফলে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য তৈরি হয়।” তিনি বলেন, চলমান বিক্রয় কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন পাঁচটি পণ্য যুক্ত হলে দরিদ্র মানুষের স্বস্তি বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “সরকারের লক্ষ্য এক কোটি প্রকৃত উপকারভোগীকে টিসিবির আওতায় আনা। দরিদ্র মানুষ যেন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড প্রকৃত উপকারভোগীর হাতে পৌঁছানো জরুরি।”
কার্ড সক্রিয়করণে চ্যালেঞ্জ
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে টিসিবির সক্রিয় স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬টি। এ ছাড়া আরও ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪টি কার্ড সক্রিয়করণের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, উপকারভোগী শনাক্তকরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমেও কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই এসব সমস্যার সমাধান হবে।
বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে যখন উৎসবের আমেজ, ঠিক তখনই সেখানে উপস্থিত হয়ে এক নারী নিজেকে তার স্ত্রী দাবি করেন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৌলাটি নয়াপাড়া গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোকাব্বির হোসেন যখন বর সেজে কনেকে ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ওই নারী সেখানে এসে উপস্থিত হন। তিনি দাবি করেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই পরিবারের অজ্ঞাতে তাদের বিয়ে হয়েছে এবং তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাসও করেছেন। কিন্তু তাকে না জানিয়ে মোকাব্বির দ্বিতীয় বিয়ে করছেন শুনে স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে তিনি সরাসরি বরের বাড়িতে চলে আসেন।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মোকাব্বির দ্রুত গা-ঢাকা দেন। অন্যদিকে, বরের পরিবার ভেতর থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ওই নারী দরজার সামনেই অনশনে বসে পড়েন এবং হুমকি দেন যে, স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
তবে বরের পরিবার জানায়, ওই নারীর বিষয়টি নিয়ে তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। নারীর নানা আব্দুস ছালামও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ঘরোয়াভাবে মিটমাট করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ঘটনাটি জনসমক্ষে নিয়ে আসায় এখন আর এর সমাধান সম্ভব হচ্ছে না।
স্ত্রী দাবি করা ওই নারী গাজীপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এর আগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় তার প্রথম বিয়ে হয়েছিল, যা দুই বছর আগে ভেঙে যায়। এরপরই মোকাব্বিরের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবুত্র
সূত্র:কালবেলা
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারার মধ্যে সংঘর্ষ, রামসু বাজারে আগুন
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজনের নিহতের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া, মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহতের ঘটনায়ও মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি শিগগিরই তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
১৪৪ ধারার মধ্যে সংঘর্ষ
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের নিশ্চিত করেছেন যে, খাগড়াছড়ি হাসপাতালের মর্গে তিনজনের লাশ রয়েছে, যা গুইমারা থেকে আনা হয়েছে। তবে এখনো তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌরসভায় ১৪৪ ধারা জারি করার পরও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। রোববার দুপুরে ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারার রামসু বাজারে সংঘর্ষের একপর্যায়ে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায় এবং বাজারের পাশে থাকা বসতঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে নিরাপত্তায় কাজ করছে। রামসু বাজারে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে গুইমারায় ১৪৪ ধারার মধ্যেই সড়ক অবরোধ করে জুম্ম ছাত্র-জনতা।
চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামের দেড় কোটি টাকার কাপড় উধাও
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নিলামে কেনা দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুটি কনটেইনার উধাওয়ের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের একটি দল বন্দরের চেয়ারম্যান, কাস্টম হাউসের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ
দুদক সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম থেকে প্রায় ২৭ টন কাপড় ৮৫ লাখ টাকায় কেনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। মূল্য, শুল্ককর ও চার্জ মিলিয়ে তিনি মোট ১ কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজির পর তাকে জানানো হয় কনটেইনারটি নেই। সাত মাস ধরে তার কোটি টাকা আটকে আছে।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বিডার ইয়াকুব চৌধুরীর পার্টনার তপন সিংহ। তিনি অন্য এক নিলাম থেকে কাপড়ের কনটেইনার খালাস করতে গেলে সেটিরও খোঁজ মেলেনি। তিনি ৪২ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন কাস্টম হাউসে।
দুদকের সহকারী কমিশনার সৈয়দ ইমরান বলেন, “দুজন বিডার নিলামে পণ্য কিনেছেন। সব চার্জ পরিশোধ করে ডেলিভারির জন্য গেলে জানানো হয় কনটেইনারগুলো নেই। তারা এখনো পণ্য বা টাকা ফেরত পাননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এসেছি।”
দুদকের অবস্থান
দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ ইমরান বলেন, “এটি স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” জানা গেছে, এই ঘটনা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার প্রধান পরিচালক (নিরাপত্তা)।
মৃত ভোটার বাদ, নারী ভোটারের অতিরিক্ত সংখ্যা কমানো হয়েছে: সিইসি
মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের অতিরিক্ত সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিমধ্যেই অনেক দূর এগিয়েছে।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তব্যে তিনি এই তথ্য জানান। খবর বাসসের।
ভোটাধিকার ও সংস্কার
সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, নয়টি আইন সংশোধন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াবে।
তিনি বলেন, এবার নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করবে যে, সব ভোটার ভোট দিতে পারবেন। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও, অতীতে ভোট দিতে না পারা রিটার্নিং অফিসার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরাও এবার ভোট দিতে পারবেন।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনের প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে সুশীল সমাজের মতামত গ্রহণ করা। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের সিনিয়র সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস সহ আরও ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নেন।
হাজী সেলিমের বাড়ি ঘিরে যৌথবাহিনীর অভিযান
রাজধানীর লালবাগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাড়ি ঘিরে রেখে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা চলছিল।
ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ের একটি গোপন কক্ষ থেকে ছয়টি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবনটির ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।
যৌথবাহিনী জানায়, গুলশানারা মাসুদা টাওয়ার নামের ওই ভবনে উদ্ধার করা গাড়িগুলোর মধ্যে সংসদ সদস্যের লোগো সংবলিত একটি গাড়িও ছিল। তবে বাড়িটির ম্যানেজার গাড়িগুলো সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হাজী সেলিম এবং তার বড় ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তার আরেক ছেলে ইরফান সেলিম পলাতক রয়েছেন।
নাটোর: মাদ্রাসার টাকা তুলতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার তিন খাদেম
নাটোরের নলডাঙ্গায় মাদ্রাসার সাহায্যের টাকা তুলতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন তিন ব্যক্তি। এ সময় এলাকাবাসী তাদের মাথার চুল কেটে দেয়। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বৈদ্যবেলঘড়িয়া কামালের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার তিনজন হলেন: পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার রাহদ নাগধা পাড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৬) এবং মো. মামুন হোসেন (২৩)।
সন্দেহ ও গণপিটুনি
এলাকাবাসী জানায়, এই তিনজন ব্যক্তি সিংড়া চলনবিল আল-জামিয়া মহিলা মাদ্রাসার নামে রশিদ দেখিয়ে দোকানে দোকানে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা তুলছিলেন। তাদের আচরণে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা তিনজনকেই আটক করে একটি দোকানের মধ্যে আটকে রাখেন।
পরে স্থানীয়রা তাদের মাথার চুল কেটে দেয় এবং গণপিটুনি দেয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ গণপিটুনির শিকার তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ছোট কম্পন কি বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস?
গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে যশোরের মনিরামপুর এলাকায় রিখটার স্কেলে ৩.৫ মাত্রার একটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এটি ছিল চলতি মাসে দেশের ভেতরে তৃতীয়বারের মতো ভূমিকম্পের ঘটনা। কম্পনের মাত্রা কম হলেও, দেশের অভ্যন্তরে ভূমিকম্পের এই পুনরাবৃত্তি নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে—বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বড় কোনো ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫.৮ মাত্রার এবং ২১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের ছাতকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
ভূমিকম্পের কারণ ও ঝুঁকি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ১২৭টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮টির উৎপত্তিস্থল দেশের ভেতরেই ছিল। এর মধ্যে সিলেট বিভাগেই আটটি ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “ভূমিকম্প ঘন ঘন ঘটলে বোঝা যায়, প্লেটগুলো তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে, যেটি বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ায়।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, দেশের ভেতরে ৭.৫ থেকে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে নিশ্চিতভাবে কিছু বলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা প্রয়োজন, যা বর্তমানে সীমিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া মনে করেন, বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত। সেই সঙ্গে দেশের মাটি নরম হওয়ায় কম্পনের প্রভাব বেশি পড়ে।
পুরান ঢাকা ও প্রস্তুতির অভাব
বিশেষজ্ঞরা এক বাক্যে স্বীকার করছেন যে, বাংলাদেশে ভূমিকম্প হবেই। কিন্তু বড় ক্ষতির আশঙ্কা তখনই বাড়বে, যখন সচেতনতা ও প্রস্তুতির অভাব থাকবে।
ড. নজরুল ইসলাম পুরান ঢাকা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে পুরান ঢাকার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে।”
ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত নগরায়ণ, বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ এবং উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত দল ও সরঞ্জামের প্রস্তুতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট ভূমিকম্পগুলো স্বাভাবিক হলেও, প্রস্তুতি ছাড়া বড় বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয়।
ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক
সিলেট নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে এবার নিজেই হাতে ঝাড়ু নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি। মাস্ক ও গ্লাভস পরে ঝাড়ু হাতে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তিনি বর্জ্য অপসারণ করেন। প্রচণ্ড রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাকি সময় তিনি দাঁড়িয়ে থেকে পুরো কাজের তদারকি করেন।
সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর সার্কিট হাউসের সামনের অংশ, জালালাবাদ পার্ক এবং কিনব্রিজ এলাকায় এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
পরিচ্ছন্নতা হোক নিজের কাছ থেকে
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, “এই শহর আমাদের সবার। পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর সিলেট গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার। শহরের মানুষ যদি ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তন করে, নিজ জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখে, তবে শহরও স্বাভাবিকভাবে পরিচ্ছন্ন থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আজ আমরা শুধু রাস্তাঘাট নয়, আমাদের মনও পরিষ্কার করি। প্রকৃতি রক্ষা, শহর পরিচ্ছন্নতা ও সুষ্ঠু নাগরিক দায়িত্ব পালন—এগুলো একসঙ্গে হলে সিলেট হবে পরিচ্ছন্ন, আরও সুন্দর।”
এই পরিচ্ছন্নতা কাজে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, স্কাউট, বিডি ক্লিন সিলেটসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরাও অংশ নেন।
পাঠকের মতামত:
- ২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
- ভুয়া ধর্ষণ’ মন্তব্য করে বিপাকে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ
- রেকর্ড ভাঙা দামে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছেন আমিনুল বুলবুল ও নাজমুল ফাহিম
- সাবেক আইনমন্ত্রীর পিএস-এর ১১৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
- টিসিবির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ পণ্য
- সাকিবের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিজয় সমাবেশে পদদলন: শোকে মুষড়ে পড়েছেন অভিনেতা, ছেড়ে দিলেন খাওয়াদাওয়া
- স্থায়ী বসবাসের নিয়মে কঠোরতা আনছে যুক্তরাজ্য, থাকতে হবে কঠোর শর্ত
- বিশ্বের কাছে আবেদন জানানো ছেড়ে দিয়েছি: গাজাবাসীি
- সাকিবের পোস্টের পর ইলিয়াস হোসাইনের পরামর্শ: ‘সম্পত্তি ক্রোক করেন’
- এগুলো কীসের লক্ষণ?: খাগড়াছড়ির ঘটনায় জামায়াত আমিরের উদ্বেগ
- ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে রাশিয়ার জাহাজ চট্টগ্রামে
- নেতানিয়াহুর টার্গেট এবার ইরাক
- সাবেক দুই এমপিসহ ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- খাগড়াছড়ির ঘটনায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যুক্তরাজ্য সহায়তা দেবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
- বলিউডের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর: নারী অধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার তারকারা
- কারাগার থেকে হাসপাতালে, পরদিনই মৃত্যু—শেষ হলো নুরুল মজিদ হুমায়ুনের অধ্যায়
- ইউরোপের পরিবেশ সংকট: অগ্রগতি সত্ত্বেও সতর্কবার্তা ইইএ’র
- মার্কিন মাটিতে সহিংসতার মহামারী: ট্রাম্পের তীব্র নিন্দা
- ফাইনালের পর মাঠে নাটক: ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠান বাতিল, দর্শকদের স্লোগানে গর্জে উঠল স্টেডিয়াম
- চীন-উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলগত চিন্তা
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- ভারত আমাদের পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়: হান্নান মাসউদ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
- হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত
- অমর একুশে বইমেলা স্থগিত ঘোষণা
- খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারার মধ্যে সংঘর্ষ, রামসু বাজারে আগুন
- আমার স্ত্রী ঠিক করেন কখন হামলা হবে : নেতানিয়াহু
- থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা
- চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামের দেড় কোটি টাকার কাপড় উধাও
- গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ; আমরা এখন নিজে খেলব: ড. ইউনূস
- ঘুষের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড
- বিএনপি-জামায়াত প্রশাসনকে ভাগাভাগি করে নিয়েছে: মাহফুজ আলম
- যেকোনো কেন্দ্রে কারচুপি হলে পুরো আসনের ভোট স্থগিত: সিইসি
- হজ ২০২৬: তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা, বিমান ভাড়াও কমল
- আফগানিস্তানের বাগরাম দখলে ট্রাম্পের পাঁয়তারা, বাগড়া দিচ্ছে চার দেশ
- নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর কথা স্বীকার করলেন উপাচার্য
- স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি মূল্যে বড় ফারাক, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ
- নীরবে বাড়ে চোখের ক্যানসার, যে লক্ষণগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
- স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সামনে জামায়াতের নতুন লোগো, শুরু হলো আলোচনা
- উপদেষ্টার পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় মাহফুজ আলম
- যুদ্ধ থামিয়ে বন্দি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
- জামায়াত নেতারা জাতির সঙ্গে নির্মম রসিকতা করছেন: ছাত্রদল সভাপতি
- শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
- কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে ফোন ধরেন না সিইসি
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ফার্মগেটে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী
- অমানবিক! পাকিস্তানে নিজেদের গ্রামেই বিমানবাহিনীর হামলা
- সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার