ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট

মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২১:২৫:৩৭
মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-২ (খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী—উভয় দলই প্রার্থী দেওয়ায় ভোটের সমীকরণ বেশ জটিল এবং তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই আসনে বিএনপির পক্ষে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আর জামায়াতের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।

খুলনা-২ আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে বিএনপি এই আসনটিতে মোট চারবার জয়লাভ করেছে, যেখানে আওয়ামী লীগ জিতেছে দুবার। তবে এই নির্বাচনে দুই ইসলামপন্থী দলের প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ভোটের ফল অপ্রত্যাশিত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর শক্তি ও চ্যালেঞ্জ

নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই আসনের একজন পরীক্ষিত নেতা। সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলের কঠিন সময়েও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখার কারণে তার একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে।

অতীতের ফলাফল

মঞ্জু এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০,৯৫০ (৫০.০%), যা তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।

নেতৃত্বের মূল্যায়ন

দলের দুর্দিনে হাইকমান্ড তাকে এই আসন থেকে এককভাবে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে, যা তাঁর নির্বাচনী গতিকে আরও বেগবান করতে পারে।

তবে এবার জামায়াতের প্রার্থী থাকায় ইসলামপন্থী ভোটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভক্ত হয়ে যেতে পারে, যা মঞ্জুর জয় নিশ্চিত করার পথে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।

জামায়াত প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের প্রভাব

শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিতি এবং জামায়াতের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো।

স্থানীয় পরিচিতি

হেলাল খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটি পরিচিতি ও ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ভোটের ব্যাংক

জামায়াতে ইসলামীর খুলনাসহ এই অঞ্চলে নিজস্ব একটি শক্তিশালী ভোট ব্যাংক রয়েছে। যদিও ১৯৯৬ সালের পর থেকে জামায়াত এই আসনে সরাসরি প্রার্থী দেয়নি, এবার হেলালের মতো একজন পরিচিত মুখকে প্রার্থী দেওয়ায় জামায়াতের ভোটগুলো পুরোপুরি একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোটের সমীকরণ ও বিশ্লেষকদের মত

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই প্রধান প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটগুলো বিভক্ত হওয়ার প্রবল শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

১. ভোট বিভাজন: মঞ্জু এবং হেলাল উভয়েরই লক্ষ্য থাকবে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটারদের আকৃষ্ট করা। দুই নেতার উপস্থিতিতে এই ভোট ভাগ হয়ে গেলে তা শেষ পর্যন্ত অন্য দলের প্রার্থীর জন্য সুবিধা এনে দিতে পারে।

২. জোটের অভাব: দুই দলই (বিএনপি ও জামায়াত) গত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে থাকলেও নির্বাচনে কোনো আনুষ্ঠানিক জোট না হওয়ায় তাদের এই স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুলনার ভোটের হিসাবে নতুন পরিবর্তন আনবে। জামায়াত এই আসনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভোটাররা মনে করছেন, এই খুলনা শহরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীর অতীতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, স্থানীয় গ্রহণযোগ্যতা এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দ্বৈরথ খুলনা-২ আসনকে এবারের নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণীয় আসনে পরিণত করেছে।


আওয়ামী লীগের লকডাউন ঘোষণা 'পাগলের প্রলাপ':সালাহউদ্দিন আহমেদ 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২১:০৩:৪৯
আওয়ামী লীগের লকডাউন ঘোষণা 'পাগলের প্রলাপ':সালাহউদ্দিন আহমেদ 
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তিনি মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঘি দিয়ে তৈলাক্ত বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয়।

শনিবার 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে রাজধানীর কাকরাইলে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা ও গণতন্ত্রের মুক্তি

সালাহউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, "আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রের পুনর্বাসন চায় না। তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কোনো কাজ করেনি। দেশে বিলুপ্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে মুক্তির সূচনা হয়েছিল ৭ নভেম্বর।" তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি সবসময় মিথ্যার রাজনীতি। তিনি জানান, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি এতদিন এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন ভারতে বসে আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের লকডাউন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণাকে 'পাগলের প্রলাপ' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "শক্তি থাকলে তাদের ভারতে পালাতে হতো না।"

গণভোট ও অন্তর্বর্তী সরকারের সীমারেখা

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ করে সহ-সভাপতি আমেরিকায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করেন, গণভোটের মধ্য দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন হয়ে যাবে না, তবে জনগণের চাওয়া রক্ষায় বিএনপি গণভোটে সায় দিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, "সরকারের সীমারেখা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যন্ত।" তিনি জানান, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় বিএনপি প্রস্তুত, তবে কোনো রাজনৈতিক দলকে রেফারির দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, "আপনারা খেতে না পারলে, বারা ভাতে ছাই দিবেন, তা মেনে নেবে না জনগণ।"


ঐক্যের বার্তা মির্জা ফখরুলের: হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২০:৫৬:১১
ঐক্যের বার্তা মির্জা ফখরুলের: হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের কাছ থেকে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন। তিনি স্লোগান ধরেন, "হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই", এবং উপস্থিত সবাই একসঙ্গে সেই স্লোগানে কণ্ঠ মেলান।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোট এই হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রধানমন্ত্রিত্বের পদে বসানোর প্রতিশ্রুতি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্মেলনে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, মতুয়া বহুজন সমাজের পক্ষ থেকে যেসব দাবি তোলা হয়েছে, তা তখনই বাস্তবায়ন হবে, যখন তারা তারেক রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসাতে পারবেন।

তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, "ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। সে ব্যাপারে কি আপনারা আজ কথা দিচ্ছেন? আপনাদের কাছ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি শুনতে চাই। কথা দিচ্ছেন তো, আপনারা আমার নেতাকে প্রধানমন্ত্রিত্বের পদে প্রতিষ্ঠিত করবেন?" এরপরই তিনি স্লোগান ধরেন, "তাহলে আসুন, আমরা একসঙ্গে স্লোগান দেই—'হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই' 'হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই'।"

অতীতের তিক্ততা ভুলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল চায় অতীতের তিক্ততা ভুলে, পুরোনো বিভাজন পেছনে ফেলে একটি সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

সম্মেলনে মতুয়া বহুজন সমাজের পক্ষ থেকে যেসব দাবি তোলা হয়েছে, তা মির্জা ফখরুল তারেক রহমানের কাছে পড়ে শোনান। দাবিগুলো হলো:

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন।

সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।

জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন।

সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা।

দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন।

ট্রাস্টের পরিবর্তে হিন্দু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা।

মনোনয়ন ও জাতীয় সংসদসহ জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ।


কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২০:৪৯:৪৬
কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’-এ বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা মূল কর্তব্য

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ, জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "অবশ্যই কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়।"

তিনি আরও বলেন, এই কারণেই বিএনপি সরকারের প্রতি কোনো রকম চাপ প্রয়োগ করার পরিবর্তে বরং ভিন্নমতের জায়গাগুলোতে 'নোট অব ডিসেন্ট' দিয়েছে। বিএনপি মনে করে, ভিন্নমত প্রকাশের এটাই হলো উপযুক্ত পদ্ধতি বা 'ডিসেন্ট ওয়ে'।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির গুপ্ত বাহিনীকে রুখে দিতে বিএনপি মাঠে থাকবে।


গণভোট ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান জানালেন আমীর খসরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৫:২৫:৪৬
গণভোট ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান জানালেন আমীর খসরু
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সংবিধানের কাঠামোর মধ্যেই গঠিত হয়েছে, এবং তারা সেই সংবিধানের অধীনেই শপথ নিয়েছেন। সুতরাং এখনই গণভোটের দাবি তোলা বা তা বাস্তবায়নের কোনো সাংবিধানিক সুযোগ নেই। তিনি মনে করেন, গণভোট সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়টি হতে পারে ভবিষ্যতের সংসদের দায়িত্ব নির্বাচনের পর সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক সংলাপে বক্তব্য দেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আমীর খসরু বলেন, “বর্তমান সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নেই। তাই এই সরকারের গণভোট আয়োজনের ক্ষমতাও নেই। সংবিধানে গণভোট যুক্ত করতে হলে আগে সংসদে আলোচনা ও অনুমোদন দরকার। ভবিষ্যতে যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা চাইলে সংবিধানে গণভোটের ধারা সংযোজন করতে পারে, তারপর গণভোটের বিষয়টি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে বলেন, “কথায় কথায় রাস্তায় নামা ঠিক নয়। কেউ যদি নিজের দাবি নিয়ে মাঠে নামে, আর তার বিপরীতে দেশের বড় কোনো রাজনৈতিক দল পাল্টা কর্মসূচি দেয়, তাহলে সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা থেকেই যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন সংঘাত না ডেকে আনে।”

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, “দীর্ঘ আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোকে সম্মান জানানো উচিত। আলোচনা শুধু কাগজে–কলমে নয়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও হতে হবে। আর যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোর সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “দেশের কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়। সেই জায়গাটা রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে।”

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা ও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে ভালো, না পারলে সরকারের দায়িত্ব হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর হয়নি। সরকার যখন তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়, তখনই বিভ্রান্তি ও বিরোধ তৈরি হয়।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংলাপের এই বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে নতুন করে তুলে ধরেছে। একদিকে নির্বাচন ঘিরে দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে গণভোট ইস্যুতে তৈরি হচ্ছে নতুন বিতর্ক। আমীর খসরুর বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি মূলত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, তারা সংবিধান পরিপন্থী কোনো গণভোটে যাবে না, বরং নির্বাচনের মাধ্যমে গণআন্দোলনের ধারায় ফিরে আসতে চায়।

তিনি বলেন, “রাজনীতি সংঘাতের নয়, সমঝোতার পথেই এগোতে হবে। যারা জনগণের নামে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাদের মনে রাখতে হবে জনগণই সবশেষে তাদের বিচার করবে।”


জোর করে দাবি আদায় করতে চায় কিছু দল: আমীর খসরুর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৪:৪০:১০
জোর করে দাবি আদায় করতে চায় কিছু দল: আমীর খসরুর
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল এখন জোর করে দাবি আদায় করতে চাইছে এবং নিজেদেরকে ঐকমত্যের মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, এই দলগুলো নিজেদের দাবি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ঐকমত্য ও নির্বাচনের গুরুত্ব

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সনদ সই হয়েছিল, তার বাস্তবায়নও ঐকমত্যের মাধ্যমেই হতে হবে। তিনি বলেন, "জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসেন।" তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে তা ঐকমত্যকে সম্মান করা হবে না।

নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টার ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন তোলেন, "যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা কি এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে চান? নানা ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন আছে।"

ইশতেহারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ইশতেহার আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। নির্বাচনের আগে তৎপরতা থাকে মূলত ভোট নিয়ে। তাঁর জানা নেই যে মানুষ ইশতেহার দেখে ভোট দেয়।

বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব ও কর্মসংস্থান

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল বিষয় হলো আলোচনা অব্যাহত রাখা এবং জনগণের কথা সব সময় বলা। তিনি জানান, বিএনপি আট বছর আগে ভিশন ২০৩০ দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে অনেক পরিবর্তন মাথায় রেখে ২৭ দফা এবং সর্বশেষ ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে। এই প্রস্তাবনা সরাসরি সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেড় বছরের মধ্যে এক কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে। তিনি জানান, চাকরি কীভাবে দেওয়া হবে, তার সব প্রস্তুতি বিএনপি ইতোমধ্যে শেষ করেছে এবং নতুন অর্থনৈতিক মডেলে যেতে হবে।


১০ বছরের মধ্যে এনসিপি ক্ষমতায় যাবে: হান্নান মাসউদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৪:২৮:৩৫
১০ বছরের মধ্যে এনসিপি ক্ষমতায় যাবে: হান্নান মাসউদ
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ দাবি করেছেন, আগামী দশ বছরের মধ্যে এনসিপি ক্ষমতায় যাবে। তিনি শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

একক নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য

এনসিপি'র সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, এনসিপি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে। আর আগামী দশ বছরের মধ্যে এনসিপি ক্ষমতায় যাবে। ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো পূরণ করা হবে।

শিক্ষা খাত সংস্কারের বিষয়ে এই নেতা বলেন, শিক্ষা খাত সংস্কার না করা এবং শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্য নিরসন না করা হলো 'জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি'। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, "হাসিনার মতো আর কোনো শিক্ষকের গায়ে হাত তুলবেন না।"

সহকারী শিক্ষকদের অসন্তোষ ও আন্দোলন

এই দিন সকালে কাঙ্ক্ষিত গ্রেড বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। শিক্ষকরা মূলত তিনটি প্রধান দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন:

১. দশম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়ন।

২. চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন।

৩. শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

উল্লেখ্য, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৪ এপ্রিল এক আদেশে ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার কথা জানায়। তবে সহকারী শিক্ষকরা এই গ্রেড পরিবর্তনে সন্তুষ্ট নন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরাও।


মিশর সফরে সারজিস আলম: রাফা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াবেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৪:১৮:৩৮
মিশর সফরে সারজিস আলম: রাফা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াবেন
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গতকাল শনিবার (০৭ নভেম্বর) মিশরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের অংশ হিসেবে প্রথম তিন দিন তিনি সৌদি আরবে এবং পরবর্তীতে তিন দিন মিশরে অবস্থান করবেন।

সফরের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম

এনসিপি নেতা সারজিস আলম তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই সময়ে তিনি দুই দেশের প্রবাসী ভাইবোন, গণঅভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পাশাপাশি, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

এছাড়াও, সারজিস আলম মিশরের রাফা সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক কিছু কাজে অংশগ্রহণ করারও পরিকল্পনা করেছেন। এই সফরের জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।


দেশের পরিবর্তনে দলগুলোর ভূমিকা দেখেই জোটের সিদ্ধান্ত নেবে গণঅধিকার পরিষদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১২:০২:২২
দেশের পরিবর্তনে দলগুলোর ভূমিকা দেখেই জোটের সিদ্ধান্ত নেবে গণঅধিকার পরিষদ
ছবিঃ সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তার দল কারও সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেনি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিবেচনা করার পরই জোট গঠনের বিষয়ে ভাবা হবে। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তরুণদের স্বপ্ন দেখতে হবে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিবিরোধী এক তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা

নুরুল হক নুর নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কলকারখানা ও শিল্প মালিকদের কাছ থেকে আগে শামীম ওসমানদের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকেরা চাঁদা নিত। তিনি অভিযোগ করেন, "এখনও কেউ না কেউ চাঁদা নিচ্ছে।"

তিনি বলেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট দরকার। কিন্তু কোনো দলই সেটি চায় না, কারণ সবাই ভোটকেন্দ্র দখল করা, গুন্ডামি ও মাস্তানি করার জন্য তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়। তিনি অভিযোগ করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাদকের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। ফলে শুধু ব্যক্তি পাল্টায়, দৃশ্যপট পাল্টায় না।

আগামীর জনপ্রতিনিধি হবেন তরুণরা

নুর বলেন, নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ রয়েছে, যারা শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাসিনা সরকারের পতনের জন্য লড়াই করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, মানুষের সমর্থন পেলে তারাই আগামীর জনপ্রতিনিধি হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'গুরুত্বপূর্ণ' উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে, তার ফয়সালা হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমেই।

যুব অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি শেখ সাব্বিরের সভাপতিত্বে এবং ছাত্র অধিকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান রাজের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।


পরাজয়ের ভয়ে গণভোটের বিরোধিতা করছে বিএনপি: ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১০:১১:২৭
পরাজয়ের ভয়ে গণভোটের বিরোধিতা করছে বিএনপি: ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনের আগে গণভোটের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপির মতোই জামায়াত এখন একটি বড় দল। তিনি অভিযোগ করেন, আজকের বিএনপি জিয়াউর রহমানের সেই মূল আদর্শ থেকে সরে গেছে।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

গণভোট ও স্থানীয় নির্বাচনের ভয়

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. তাহের বলেন, "জাতীয় নির্বাচনের আগে যারা গণভোট চায় না, তারা ডাকসু নির্বাচনে ভয় পেয়েছে।" তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ), জাকসু (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ), চাকসু (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) ও রাকসু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) বন্ধে কত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, তা দেশবাসীও দেখেছে।

তিনি মনে করেন, বিএনপি বুঝতে পারছে যে জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তাহলে তাদের ভরাডুবি হবে। আর এই কারণেই তারা স্থানীয় নির্বাচনের মতো করেই গণভোটেরও বিরোধিতা করছে।

বিপ্লব, আদর্শ এবং জামায়াতের অবস্থান

ডা. তাহের বলেন, সিপাহি-জনতার বিপ্লব (৭ নভেম্বর) আর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান (৫ আগস্ট) একই সূত্রে গাঁথা। তিনি উল্লেখ করেন, সিপাহি-জনতার বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান দেশে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণের আস্থা ফিরে পেতে বিএনপিকে অবশ্যই জিয়াউর রহমানের সেই আদর্শের বিএনপি হতে হবে। তাঁর দাবি, জিয়াউর রহমানের বিএনপি একসময় বড় দল ছিল, কিন্তু আজ সেই জায়গা নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিন এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম।

পাঠকের মতামত:

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠদান, দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষা ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক মূল্যায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের... বিস্তারিত

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

বোহেমিয়ার অরণ্যমালায় একটি দুর্গ, হাউসকা ক্যাসেল, আর তার কয়েক মাইল দূরে এক সন্ন্যাসীর লেখা বিশাল এক পুঁথি, কোডেক্স গিগাস। শতাব্দীজুড়ে... বিস্তারিত

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছেন। নতুন এক ধরনের ক্যানসার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক মানবদেহে পরীক্ষায় শতভাগ সাড়া পাওয়ার দাবি... বিস্তারিত