খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে সুপ্রিম কোর্ট খালাস দেওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা ও বিতর্ক। অনেকের মতে, এটি আইনের শাসনের একটি দৃষ্টান্ত হলেও, কেউ কেউ এই রায়কে বিচার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ হিসেবেও দেখছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে আজহারুল ইসলামকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এক বিশ্লেষক বলেন, “এই সিদ্ধান্তে বোঝা যায়, সুপ্রিম কোর্ট মামলার আইনগত দিক, প্রমাণ ও প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে যুক্তিনির্ভর রায় দিয়েছে। এটাই আইনের সৌন্দর্য।” তবে তিনি যোগ করেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধ নিয়ে দেশের আবেগ ও অনুভূতি গভীর। তাই এই রায় জনমনে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবেই।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় ভবিষ্যতের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার বিচার প্রক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছিলেন, তাদের জন্য এটি একটি নজির হতে পারে।
তারা আরও বলেন, “এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় এবং সেখানে ব্যবহৃত যুক্তি জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এখন সময়ের দাবি। না হলে বিভ্রান্তি ও রাজনৈতিক অপব্যাখ্যার সুযোগ থেকেই যাবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে আজহার। পরে রিভিউয়ের সুযোগ পেয়ে পুনরায় আপিল করেন এবং দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সর্বোচ্চ আদালত থেকে খালাস পান তিনি।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শিশির মনিরসহ তার আইনজীবী দল। শিশির মনির বলেন, “এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে, আইনের ভিত্তিতে ন্যায়ের জয় হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই বলেছিলাম, এই মামলা তথ্য-প্রমাণের দিক থেকে দুর্বল।”
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটি, চালু থাকবে জরুরি সেবা
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- তিন মাসে ১.১৮ লাখ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি, দেউলিয়াত্বের পথে ২০ ব্যাংক
- স্টারলিংক চালু, সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কি?