আজকের শেয়ারবাজার
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমানোর খবরে শেয়ারবাজারে প্রবল উত্থান

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার খবর দেশের শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২৫ সালের ৩ আগস্ট, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরু থেকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-তে প্রবল উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে, যার ফলে এই খাত ডিএসইতে সূচক বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি বস্ত্র খাতের কোম্পানির মধ্যে ৫৫টির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী হয়, যা বিনিয়োগকারীদের প্রবল আস্থার প্রতিফলন। প্রথম ঘণ্টাতেই সূচকে প্রায় ১০০ পয়েন্টের লাফ এবং ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন প্রমাণ করে বাজারে পুনর্জাগরণ ঘটেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) এই সময়ে ৯৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩৮ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ২৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।
শুধু রাজধানী ঢাকার শেয়ারবাজারই নয়, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দেখা গেছে একই রকম ইতিবাচক প্রবণতা। সেখানে সার্বিক সূচক CASPI ২১৮ পয়েন্ট বেড়ে যায় এবং মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়। সিএসইতে অংশগ্রহণকারী ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাসের ঘোষণাটি বাংলাদেশের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য বড় একটি স্বস্তির বার্তা। এটি তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পে প্রত্যক্ষ সুবিধা এনে দেবে। এর ফলে কোম্পানিগুলোর আয় বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা শেয়ারমূল্যে প্রতিফলিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থবির থাকা বাজারে এমন এক ইতিবাচক মৌলিক পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মনোভাব বদলে দিতে পারে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে, শুধু বস্ত্র বা রপ্তানিনির্ভর কোম্পানিই নয়, বরং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত—ব্যাংক, বীমা, প্যাকেজিং, পোর্ট এবং সরবরাহ চেইনভিত্তিক শিল্প—তেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা যদি সরকারের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সাফল্য এবং মৌলিক অর্থনীতির সূচকে আস্থা রাখেন, তবে এ ধরনের প্রবণতা বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে চাঙা করে তুলতে পারে। সামগ্রিকভাবে, এই শুল্ক হ্রাস শুধুই এক দিনের উল্লাস নয়, বরং এটি দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি গঠনমূলক ও সম্ভাবনাময় টার্নিং পয়েন্ট হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসীরা ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার। সেই তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শুধু গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক দিনেই প্রবাসীরা দেশে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
চলতি অর্থবছরের শুরু অর্থাৎ জুলাই থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ৬৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।
এর আগে গত আগস্টে প্রবাসীরা ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ৩০.৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আয়ের রেকর্ড।
পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে পৌঁছেছে পদ্মার ইলিশের প্রথম চালান। বুধবার রাতে ১০টি ট্রাকে করে মোট ৫০ টন ইলিশের প্রথম চালানটি বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পরে আরও ৫০ টন ইলিশ কলকাতা পৌঁছেছে।
খুচরা বাজারে ইলিশের দাম
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কলকাতা ও হাওড়ার পাইকারি বাজারে এই ইলিশ নিলামে ওঠে। খুচরা বাজারে এই ইলিশের দাম প্রতি কেজি ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাহিদা বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে।
১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি
বাংলাদেশ সরকার এ বছর মোট ১,২০০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শারদীয় উৎসবের আগেই এই ইলিশ ভারতে পাঠানো হচ্ছে। ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ধাপে ধাপে পুরো ১,২০০ টন ইলিশ ভারতে যাবে।
বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশ ন্যূনতম সাড়ে ১২ ডলারে (প্রায় ১,০৫৭ টাকা) রপ্তানি করা যাবে। এবার মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলোর বাজারগুলোতে বাংলাদেশের ইলিশ পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জাতীয় রপ্তানি নীতি অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানি তালিকায় রয়েছে। তবে প্রথমবার ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। তখন থেকেই প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।
রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির পর কমলো স্বর্ণের দাম, নতুন দর ঘোষণা করলো বাজুস
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৮১ টাকা কমেছে। ফলে নতুন দাম এক লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে স্বর্ণের দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৮১ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৭৯ হাজার ৬০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২০২ টাকা কমিয়ে নতুন দাম এক লাখ ৫৩ হাজার ৯৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের এক হাজার ২৬ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৬৭৪ টাকা।
একনেক বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৮,৩৩৩ কোটি টাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বুধবার দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মোট ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসবে ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ১ হাজার ২২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, আর বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে যোগাবে ২ হাজার ৬৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন প্রাঙ্গণের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে সাতটি নতুন প্রকল্প, পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প, এবং একটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কোনো অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়াই। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধিত রূপ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) গবেষণাগার ও অবকাঠামো আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২,০০০ হর্সপাওয়ার ড্রিলিং রিগ ক্রয়, শাহবাজপুর-৫, শাহবাজপুর-৭, ভোলা নর্থ-৩, ভোলা নর্থ-৪—মোট চারটি উন্নয়নমূলক কূপ খনন এবং শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ স্থানে একটি অনুসন্ধানমূলক কূপ খনন, এবং নেসকো এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ইসিফোরজে’ (Export Competitiveness for Jobs) প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধিত সংস্করণ অনুমোদন পেয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের শেখ হাসিনা বিশেষায়িত পাট-টেক্সটাইল মিল এবং যমুনা বিশেষায়িত পাট-টেক্সটাইল মিলের প্রথম সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে: খুলনা ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরাসুল এলাকায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত), এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী ও স্থানীয়দের জন্য সেবা ও জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্প (এলজিইডি অংশ)।
এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত) এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পাইকপাড়া, মিরপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের চতুর্থবারের মতো মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই অনুমোদনগুলোর মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পানি, শিক্ষা, বাণিজ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
-আলমগীর হোসেন
যত টাকায় সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি আসছে
দেশে জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে সরকার নতুন করে সিঙ্গাপুর থেকে আরও একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই কার্গো আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭৩ টাকা। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে আরও দুটি কার্গো আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫ কোটি ৬১ লাখ ৮৩০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কার্গোটি আগামী ২৫ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে ৪৭তম কার্গো হিসেবে দেশে আসবে।
নতুন এই কার্গোটি সিঙ্গাপুরের মেসার্স আরামকো ট্রেডিং থেকে কেনা হবে। প্রতিটি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৮ ডলার, আর মোট ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি টাকার বেশি। এর আগে অনুমোদিত দুটি কার্গোর একটি আনা হবে আরামকো ট্রেডিং থেকে, যেখানে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ ডলার।
এই চুক্তির আওতায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৪৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অন্য কার্গোটি আমদানির জন্য সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, যেখানে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৭ ডলার এবং মোট ব্যয় হবে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি।
-রফিক
উদ্যোক্তা সৃষ্টির আর্থিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বলেছেন, দেশের আর্থিক কাঠামো এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে প্রত্যেকে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পায়—শুধু চাকরির প্রত্যাশী হয়ে না থাকে।
রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) নতুন ভবন ‘ভবন-২’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “মানুষ চাকরি করার জন্য জন্মায়নি, মানুষ জন্মায় উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। তাই আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা এমন হতে হবে যেখানে প্রত্যেকে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পাবে।”
ড. ইউনূস বলেন, আজকের প্রজন্ম বিশেষ করে গ্রামের তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি সচেতন, তথ্যসমৃদ্ধ ও কল্পনাশীল। তাই এমন আর্থিক ও সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা নিজেদের উদ্যোগ শুরু করতে পারে—ব্যক্তিগতভাবে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি এমন কাঠামো তৈরি করতে পারি যেখানে মানুষ ইচ্ছা করলে নিজের উদ্যোগ শুরু করতে পারে, এমনকি বিনিয়োগকারী হিসেবেও যুক্ত হতে পারে, তবে পরিবর্তন সম্ভব।”
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বাস করেন, এমন পরিবেশে প্রত্যেকে চাইলে সংগঠিতভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে পারবে। তারা স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ শুরু করতে পারে, বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারে এবং নিজেদের এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, “আমরা এগিয়ে যেতে চাই। পরীক্ষামূলকভাবে দেখতে চাই কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ। ইতোমধ্যেই লাখো উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে মেয়ে-ছেলেদের নিয়ে দল গঠন করে কাজ করছে। এ অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে এ ধারা আরও প্রসারিত করা সম্ভব।”
-সুত্রঃ বি এস এস
ঢাকায় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল, শুল্ক কমানোতে নতুন আশার আলো
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আজ ঢাকা পৌঁছাবে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের তিন সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের দল। দুই দিনের এ সফরে তারা বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শুল্ক হ্রাস নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনায় বসবে। ঢাকা চায় বিদ্যমান ২০ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক।
এ সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তির খসড়া ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। আজ ও কাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও সংশোধনী আনা হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেনডান লিঞ্চের নেতৃত্বে দলটি আজ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
দুই দিনের সফরে ব্রেনডান লিঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ ঘোষণা করেছিলেন। তবে বাংলাদেশের দাবি, এ শুল্ক আরও কমানো হলে রপ্তানি প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নতুন গতি সঞ্চার হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ইতিপূর্বে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও শুল্কছাড়ের দাবি জানাচ্ছে এবং এ বিষয়ে আশাবাদী।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “এই সফরে মূলত শুল্ক হ্রাস সংক্রান্ত খসড়া চুক্তি নিয়েই আলোচনা হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ওয়াশিংটনের ইউএসটিআর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আরও আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।”
সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন, শুল্ক আরও কমানো গেলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (USTR) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পণ্য ও সেবার মোট বাণিজ্য দাঁড়ায় প্রায় ১২.৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি।
-হাসানুজ্জামান
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস সম্প্রতি প্রকাশিত ডকুমেন্টারি “Bangladesh’s Missing Billions, Stolen in Plain Sight”-এ দাবি করা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, বাণিজ্যে অতিরিক্ত বা কম ইনভয়েস তৈরি, হুন্ডি-হাওলা প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি ক্রয়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
ডকুমেন্টারির শুরুতেই শেখ হাসিনার নাটকীয় ক্ষমতাচ্যুতির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। এতে ছাত্রনেত্রী রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, রেজওয়ান আহমেদ রিফাদ, এফটির দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো প্রধান জন রিড, কমোডিটি সংবাদদাতা সুসানাহ সাভেজ, স্পটলাইট অন করাপশন–এর ডেপুটি ডিরেক্টর হেলেন টেইলরসহ একাধিক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ডকুমেন্টারিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় যে, লন্ডন বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের অন্যতম প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিশাল আর্থিক খাত ও আকর্ষণীয় সম্পত্তি বাজার এ পাচারের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করেছে।
এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নামও রয়েছে, অবকাঠামো প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে। এছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমকেও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে নাম উল্লেখ করা হয়।
জন রিড ডকুমেন্টারিতে জানান, ব্যাংক পরিচালকরা কখনো কখনো অস্ত্রের মুখে শেয়ার হস্তান্তরে বাধ্য হয়েছেন। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুশতাক খান বলেন, “এ ধরনের ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজনকে চিনি যারা ‘হল অব মিররস’ নামে কুখ্যাত একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন।”
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদক সুসানাহ সাভেজ মন্তব্য করেন, “এ ধরনের দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় লুটপাটকে আমরা দূরের সমস্যা ভাবতে পারি, কিন্তু আসলে এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং যুক্তরাজ্যও এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।”
অর্থ ফেরত আনা যে অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া, তাও ডকুমেন্টারিতে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ উদ্ধারের টাস্কফোর্সের উপদেষ্টা ইফতি ইসলাম এটিকে ইতিহাসের অন্যতম জটিল প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ডকুমেন্টারিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, “সব টাকা ফেরত আনা সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু আমরা যা পারি তার প্রমাণ খুঁজে বের করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ফেরত আনার চেষ্টা করব। এটি সম্ভবত বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থপাচারের ঘটনা।”
তবে প্রশ্ন থেকে গেছে—যেসব ব্যবসায়ী ও গোষ্ঠী এই অর্থ বিদেশে সরিয়ে নিয়েছে, তারা ভবিষ্যত সরকারেও প্রভাব খাটাতে পারবে কিনা। জন রিড সতর্ক করে বলেন, “বাংলাদেশের বিপ্লব একটি টার্নিং পয়েন্ট হলেও দেশ আবারও একক রাজনৈতিক আধিপত্যের দিকে ফিরতে পারে।”
ডকুমেন্টারির শেষে রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় হলো, আমরা হয়তো আমাদের শহিদদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব না।”
-হাসানুজ্জামান
বাজার ব্যবস্থাপনায় টেকসই সরবরাহই স্থিতিশীলতার মূলমন্ত্র: শেখ বশির উদ্দিন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনাকে স্থিতিশীল রাখতে পণ্যের অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই গত রমজানে সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল ছিল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখা সম্ভব হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ফিউচার অব বিজনেস: ইনোভেশন, টেকনোলজি অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের উৎপাদন খাতে কাঁচামালের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে কৃষি-ভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর বাজার ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “তৎকালীন সময়ে অনেক সিন্ডিকেট সদস্য বিদেশে পালিয়ে যায়। তবে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ সরকারগুলো যদি সমন্বিত প্রয়াস ও গণতান্ত্রিক উপায়ে বাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে এবং নিরপেক্ষ সংস্কার কার্যকর করতে পারে, তবে বাজার ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী হবে এবং সম্পদের ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়্যুব চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা ব্যবসা ও বাণিজ্য খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
পাঠকের মতামত:
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ