বিশেষ নিউজ
সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান

উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের এই গভীর অঞ্চলে তারা এমন এক বাস্তুতন্ত্রের সন্ধান পেয়েছেন, যেখানে কেমোসিন্থেসিস নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাণীরা শক্তি সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। গবেষকদের দাবি, এটিই এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে গভীর কেমোসিন্থেটিক জীবনের আবাসস্থল।
এই অঞ্চল সূর্যালোক থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় হিমাঙ্কের কাছাকাছি এবং পানির চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় প্রায় এক হাজার গুণ বেশি। এত প্রতিকূল পরিবেশেও জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া, গবেষকদের কাছে অন্য গ্রহে প্রাণের সন্ধানের মতোই রোমাঞ্চকর বিষয় বলে বিবেচিত হচ্ছে।
চীনের তৈরি ফেন্ডৌজে সাবমার্সিবল নামের ডুবোজাহাজ ব্যবহার করে এই অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে দেখা গেছে, সেখানে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী ও জীবাণু সূর্যের আলো ছাড়াই মিথেন ও হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব জীবের আবিষ্কার পৃথিবীতে প্রাণের টিকে থাকার জৈবিক সীমা এবং অভিযোজন ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। সমুদ্রের এত গভীরে টিকে থাকা প্রাণীজগত ভবিষ্যতে চরম পরিবেশে জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে আরও গবেষণার পথ খুলে দেবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মহাবিশ্বের ‘ডাইনোসর’ নক্ষত্রের খোঁজ পেল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
মহাবিশ্বের একেবারে শুরুর দিকে এমন কিছু নক্ষত্রের অস্তিত্ব ছিল যা বর্তমানের নক্ষত্রগুলোর তুলনায় ছিল অকল্পনীয় রকমের বিশাল ও শক্তিশালী। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমনই কিছু ‘মহাজাগতিক দৈত্যের’ সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকরা আকৃতি ও প্রকৃতির বিশালতার কারণে এই আদিম নক্ষত্রগুলোকে পৃথিবীর ডাইনোসরের সঙ্গে তুলনা করছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই নক্ষত্রগুলোর ভর ছিল সূর্যের তুলনায় এক হাজার থেকে দশ হাজার গুণ বেশি, যা আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণাকেও পাল্টে দিচ্ছে।
এসব নক্ষত্রের জীবনকাল ছিল মহাজাগতিক সময়ের হিসেবে খুবই সংক্ষিপ্ত। গবেষকদের মতে, এগুলো মাত্র দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার বছরের মতো টিকে থাকত। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, মৃত্যুর সময় এই নক্ষত্রগুলোতে সাধারণ নক্ষত্রের মতো কোনো সুপারনোভা বা বিস্ফোরণ ঘটত না। বরং বিশাল ভরের কারণে নিজস্ব অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে এগুলো সরাসরি ব্ল্যাক হোলে রূপান্তরিত হতো। পৃথিবী থেকে প্রায় ১২.৭ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত GS 3073 নামের একটি গ্যালাক্সি থেকে এই যুগান্তকারী তথ্য পাওয়া গেছে। এর অর্থ হলো, বিজ্ঞানীরা বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মাত্র ১.১ বিলিয়ন বছর পরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে ওই গ্যালাক্সির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা এক অদ্ভুত অসামঞ্জস্য খুঁজে পান। সেখানে অক্সিজেনের তুলনায় নাইট্রোজেনের পরিমাণ ছিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি। সাধারণ নক্ষত্র বা পরিচিত কোনো নক্ষত্র-বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতার ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব ছিল না। পরে কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে গবেষকরা নিশ্চিত হন যে, সূর্যের চেয়ে হাজার গুণ ভারী নক্ষত্রের ভেতরে চলা বিশেষ পারমাণবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কেবল এত বিপুল পরিমাণ নাইট্রোজেন তৈরি হওয়া সম্ভব।
এই গবেষণাটি মহাবিশ্বের সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল বা অতিভরের কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে এত দ্রুত তৈরি হয়েছিল, সেই রহস্য উন্মোচনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষকদের ধারণা, আদিম যুগের এই বিশাল নক্ষত্রগুলো সরাসরি ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতো এবং পরবর্তীতে এসব ব্ল্যাক হোল একে অপরের সঙ্গে মিশে গিয়ে দ্রুততম সময়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলগুলো তৈরি করত। GS 3073 গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা বিশাল ব্ল্যাক হোলটিও সম্ভবত এভাবেই গঠিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
ভিডিও এডিটিং এখন আরও সহজ: অ্যাডোবির ফায়ারফ্লাই নতুন রূপে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির জগতে বড় ধরনের চমক নিয়ে এল অ্যাডোবি। তাদের জনপ্রিয় ভিডিও টুল ফায়ারফ্লাইয়ে যুক্ত হয়েছে এক নতুন আপডেট। এখন থেকে ব্যবহারকারীরা কেবল টেক্সট বা লেখা কমান্ড দিয়েই ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশে পরিবর্তন আনতে পারবেন।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ছোট কোনো পরিবর্তনের জন্য এখন আর পুরো ভিডিও নতুন করে তৈরি করার প্রয়োজন হবে না। প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, আগের সংস্করণের সেই বড় সীমাবদ্ধতা এবার দূর করা হয়েছে।
নতুন এই এডিটরের মাধ্যমে ভিডিওর রং পরিবর্তন, ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল ঠিক করা কিংবা ভিডিওর ভেতরের কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বদলে ফেলার মতো জটিল কাজগুলো এখন মুহূর্তেই করা সম্ভব। ভিডিও নির্মাতাদের কাজ সহজ করতে এতে একটি টাইমলাইন সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে।
এই টাইমলাইনের সাহায্যে ভিডিওর ফ্রেম, অডিওসহ বিভিন্ন কারিগরি দিক আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। গত অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই এডিটরটি এখন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে অ্যাডোবি।
শুধু নিজেদের প্রযুক্তি নয়, ফায়ারফ্লাইয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী কিছু এআই মডেলও যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছবি তৈরির জন্য রয়েছে ‘ফ্লাক্স.২’ এবং ভিডিওর মান বাড়িয়ে ১০৮০পি বা ৪কে রেজল্যুশনে রূপান্তর করার জন্য যুক্ত হয়েছে ‘অ্যাস্ট্রা’ মডেল।
এছড়াও ফায়ারফ্লাই ভিডিও টুলে ক্যামেরার মুভমেন্ট বা নড়াচড়া আরও উন্নত ও মসৃণ করার সুবিধা যোগ হয়েছে। অ্যাডোবি আশা করছে, যুগান্তকারী এই আপডেট ভিডিও নির্মাতাদের সময় বাঁচাবে এবং কাজের গতি বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে।
ডায়মন্ড অ্যানভিল সেলে জানা গেল পৃথিবীর জন্মরহস্য
পৃথিবীর গভীরতম স্তরে বিদ্যমান খনিজ ‘ব্রিজম্যানাইট’ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই খনিজটি আগের ধারণার চেয়ে ৫ থেকে ১০০ গুণ বেশি পানি ধারণ করে রেখেছিল। ১২ ডিসেম্বর বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এই চাঞ্চল্যকর গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে এই আবিষ্কার পৃথিবীতে পানি কীভাবে টিকে ছিল এবং গ্রহটি কীভাবে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠল সেই ধারণায় আমূল পরিবর্তন আনছে। চীনের গুয়াংঝু ইনস্টিটিউট অব জিওকেমিস্ট্রির গবেষক ওয়েনহুয়া লু ও অধ্যাপক দু ঝিশুয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণাটি পৃথিবীর জন্মলগ্নের রহস্য উন্মোচনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতে যখন গ্রহটির পৃষ্ঠ গলিত ম্যাগমা বা আগুনের সাগরে ঢাকা ছিল তখনও উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি হওয়া ব্রিজম্যানাইট তার ভেতরে বিপুল পরিমাণ পানি আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
গবেষণাগারে এই তত্ত্ব যাচাই করতে বিজ্ঞানীরা ‘ডায়মন্ড অ্যানভিল সেল’ নামক বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে লেজারের সাহায্যে ৪ হাজার ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা ও প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে এত চরম তাপমাত্রায় ব্রিজম্যানাইটের আণবিক গঠন এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যাতে পানির অণু সহজেই তার ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। পূর্ববর্তী গবেষণায় ধারণা করা হতো যে এই খনিজে পানির পরিমাণ ছিল প্রতি মিলিয়নে ২২০ ভাগের কম কিন্তু নতুন ফলাফলে দেখা গেছে পৃথিবীর নিচের ম্যান্টলে বা লোয়ার ম্যান্টলে জমে থাকা পানির পরিমাণ বর্তমান পৃথিবীর সব মহাসাগরের মোট পানির ০.০৮ থেকে ১ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। গবেষকরা মনে করছেন এই গভীর পানিই পৃথিবীর ভূ-অভ্যন্তরের চলাচল সহজ করেছিল এবং শিলাকে নরম করে গলনাঙ্ক কমানোর পাশাপাশি প্লেট টেকটনিকস বা ভূত্বকের প্লেটের চলাচল সক্রিয় রাখতে মূল ভূমিকা পালন করেছিল। দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় এই আবদ্ধ পানিই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে উঠে এসে বায়ুমন্ডল ও আজকের বিশাল মহাসাগর গঠনে সহায়তা করেছে যা পৃথিবীকে প্রাণের জন্য বাসযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলেই বিপদ: জানুন কেন
ডিজিটাল বিপ্লবের এই যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ ও দ্রুততর করলেও এর অন্তরালে ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে অনলাইন প্রতারণার কালো ছায়া। প্রযুক্তির আশীর্বাদকে পুঁজি করে এক শ্রেণির সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ভার্চুয়াল জগতকে অপরাধের নতুন চারণক্ষেত্রে পরিণত করেছে যেখানে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে গড়ে ওঠা সাধারণ সখ্যতা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে বড় ধরনের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে প্রতারকরা ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করে অত্যন্ত সুচতুরভাবে প্রবাসী ব্যবসায়ী কিংবা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করছে। কখনো বন্ধুত্ব আবার কখনো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তারা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলে যা আসলে এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।
বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের অপরাধের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন যে প্রতারকরা এখন আর তাড়াহুড়ো করে না বরং তারা দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর মনে এমনভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে যাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ না থাকে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা হঠাৎ করে নিজের মিথ্যা অসুস্থতা ব্যবসায়িক বড় ক্ষতি বা আইনি জটিলতার মতো জরুরি পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ সহায়তা চেয়ে বসে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ভুয়া নথিপত্র ছবি বা ভিডিও পাঠাতেও দ্বিধা করে না। প্রতারণার আরেকটি মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে তারা ভিডিও কলকে বেছে নিচ্ছে যার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিয়ে বা আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাইবার ইউনিটের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে অনলাইন প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের একটি বড় অংশই প্রাথমিক পর্যায়ে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না বা লজ্জায় এড়িয়ে যান যার ফলে অপরাধীরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। পুলিশের পক্ষ থেকে অপরিচিত কারও অনুরোধে হুট করে অর্থ পাঠানো ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য শেয়ার করা কিংবা যাচাই না করে কোনো সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অনলাইনে পরিচয় হওয়াটা দোষের কিছু না হলেও বাস্তব জীবনে সেই ব্যক্তির পরিচয় ও পটভূমি যাচাই না করে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন বা গভীর সম্পর্কে জড়ানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তাই একমাত্র সচেতনতাই পারে এই ডিজিটাল ফাঁদ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে।
সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে ঐতিহাসিক মাইলফলকের পথে নাসা
মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছে মানবজাতির তৈরি সবচেয়ে দূরবর্তী বস্তু ভয়েজার-১। ১৯৭৭ সালে পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া এই মহাকাশযানটি ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে এমন এক মহাজাগতিক অবস্থানে পৌঁছাবে যেখানে আলো বা রেডিও সংকেতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে পূর্ণ ২৪ ঘণ্টা। বিজ্ঞানের ভাষায় এই বিশাল দূরত্বকে বলা হয় এক লাইট-ডে বা আলোক-দিবস যা প্রায় ১৬ বিলিয়ন মাইল বা ২৬ বিলিয়ন কিলোমিটারের সমান। বর্তমানে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫.৮ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করা এই নভোযানটি আমাদের সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্রের সুরক্ষাবলয় বা হেলিওস্ফিয়ার অতিক্রম করে এখন নক্ষত্রমন্ডলীর মধ্যবর্তী বা ইন্টারস্টেলার স্পেসের গভীর অন্ধকারে বিচরণ করছে।
এই বিপুল দূরত্বের কারণে ভয়েজার-১ এর সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন এক চরম ধৈর্যের পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুজি ডড বিষয়টিকে সহজ করে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান যে পৃথিবী থেকে কোনো নির্দেশ পাঠালে তা মহাকাশযানে পৌঁছাতে এবং সেখান থেকে উত্তর ফিরে আসতে সময় লাগে প্রায় দুই দিন। উদাহরণস্বরূপ সোমবার সকাল ৮টায় পৃথিবী থেকে শুভ সকাল বার্তা পাঠালে তার প্রতিউত্তরের জন্য বিজ্ঞানীদের অপেক্ষা করতে হয় মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত। মহাকাশযানটি এবং এর যমজ ভয়েজার-২ প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে চালু থাকায় এদের শক্তি ভান্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে যার ফলে প্রকৌশলীরা বাধ্য হয়েই একের পর এক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দিচ্ছেন যাতে ন্যূনতম শক্তিতেও এদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়।
ভয়েজার-১ এর বেঁচে থাকার লড়াইটা অত্যন্ত প্রযুক্তিগত ও সূক্ষ্ম কারণ এর অ্যান্টেনাটিকে সবসময় নিখুঁতভাবে পৃথিবীর দিকে তাক করে রাখতে হয়। মহাকাশের চরম ঠান্ডায় যদি জ্বালানি সরবরাহকারী পাইপগুলো জমে যায় এবং অ্যান্টেনার দিক সামান্যতমও সরে যায় তবে পৃথিবীর সঙ্গে এর সংযোগ চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং মিশনটি সমাপ্ত বলে গণ্য হবে। এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও মাত্র ১৬০ বিট প্রতি সেকেন্ড গতিতে বা পুরনো আমলের ডায়াল আপ ইন্টারনেটের মতো ধীরগতিতে এটি এখনও হেলিওপজ বা সূর্যের প্রভাবসীমার বাইরের অজানা তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়ে যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানী দল আশা করছেন অন্তত ২০২৭ সাল পর্যন্ত মহাকাশযানটির বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সচল রাখা সম্ভব হবে এবং কেউ কেউ আশাবাদী যে এটি আরও দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত আমাদের তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করবে। শেষ পর্যন্ত ভয়েজার শুধু একটি যন্ত্র নয় বরং এটি অসীম মহাকাশে পৃথিবীর এক নিঃসঙ্গ দূত যা মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জানান দিয়ে চলেছে।
পড়ালেখা ও কাজে এআই ব্যবহারের ১০ কার্যকর কৌশল
শিক্ষা ও পেশাজীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং একটি কার্যকর সহায়ক শক্তি। পড়ালেখা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, গবেষণা কিংবা সৃজনশীল উপস্থাপনা সব ক্ষেত্রেই এআই ব্যবহার সময় বাঁচাচ্ছে, কাজকে করছে আরও নিখুঁত ও আধুনিক। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই কখনোই মানুষের বিকল্প নয়; বরং এটি হতে পারে দক্ষতার পরিপূরক। কীভাবে পড়াশোনা ও কর্মজীবনে এআই ব্যবহার করে নিজেকে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় জেনে নেওয়া যাক ১০টি কার্যকর উপায়।
১. স্মার্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি
এখন প্রেজেন্টেশন বানাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্লাইড ডিজাইনে সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গামা এআই কিংবা ক্যানভার মতো প্ল্যাটফর্মে বিষয় ও নির্দেশনা দিলেই এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্লাইডের কাঠামো, ডিজাইন ও লেআউট তৈরি করে দেয়। প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রভাষক জিনাত সানজিদা মনে করেন, নিজের চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে এআই যুক্ত করলে উপস্থাপনা আরও শক্তিশালী হয়। তবে পুরো কাজ এআইয়ের ওপর ছেড়ে না দিয়ে এটিকে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের।
২. ক্লাসওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্টে সহায়তা
চ্যাটজিপিটি, জেমিনি বা এক্সামএআইয়ের মতো টুল শিক্ষার্থীদের লেখালেখি, বিশ্লেষণ ও তথ্যসংগ্রহে সহায়তা করে। ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের শিক্ষক এইচ এম আতিফ ওয়াফিক জানান, এসব টুল সৃজনশীল চিন্তাকে উসকে দিতে পারে, তবে সরাসরি কপি করলে ধরা পড়ার ঝুঁকি থাকে। এআই থেকে পাওয়া ধারণা যাচাই করে নিজের ভাষায় উপস্থাপন করাই সঠিক পন্থা।
৩. বানান ও ব্যাকরণ সংশোধন
ইংরেজি লেখায় দুর্বলতা কাটাতে গ্রামারলি ও কুইলবট অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো শুধু ভুল ধরিয়ে দেয় না, বরং বাক্য গঠনের উন্নয়নেও সহায়তা করে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক বুশরা হুমায়রা বলেন, এসব টুল শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে, তবে ভুলের কারণ বোঝার চেষ্টাও জরুরি।
৪. বড় পিডিএফ সহজে বোঝা
গবেষণাপত্র বা বইয়ের দীর্ঘ পিডিএফ পড়তে গিয়ে সময় সংকট হলে চ্যাটপিডিএফ বড় সহায়ক। এটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ফলাফল ও উপসংহার আলাদা করে দেখায়। নির্দিষ্ট প্রশ্ন করলেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়।
৫. ভিডিও থেকে নোট ও বিশ্লেষণ
ভিডিও লেকচার বা পডকাস্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ সহজ করতে অটার এআই ও নোটবুকএলএম ব্যবহার করা যায়। এগুলো ভিডিওর সম্পূর্ণ ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করে এবং বিভিন্ন বক্তার কণ্ঠ আলাদা করে শনাক্ত করতে পারে।
৬. পেশাদার সিভি তৈরি
জেটি বা রেজুমে ডট আইও–এর মতো এআই টুল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সিভি তৈরিকে সহজ করেছে। এআইইউবির শিক্ষক মোহাম্মাদ আলীর মতে, এসব টুল শুধু ফরম্যাটই নয়, বরং নির্দিষ্ট চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাও তুলে ধরতে সাহায্য করে।
৭. গবেষণায় এআই সহকারী
গবেষণার সবচেয়ে কঠিন ধাপ হলো প্রাসঙ্গিক লিটারেচার খোঁজা। ইলিসিট ও রিসার্চর্যাবিট গবেষণাপত্র খুঁজে দেওয়া, রেফারেন্স ম্যাপ করা ও সারাংশ তৈরিতে দ্রুত সহায়তা দেয়।
৮. কথা থেকে লেখা রূপান্তর
লেকচার বা সাক্ষাৎকার রেকর্ড থেকে লেখা বানাতে স্পিচনোটস কার্যকর একটি টুল। অডিও আপলোড করলেই এটি লিখিত রূপে সাজিয়ে দেয়।
৯. ছবি ও ইনফোগ্রাফিক তৈরি
প্রেজেন্টেশন ও অ্যাসাইনমেন্টের জন্য ক্যানভা, অ্যাডোবি ফায়ারফ্লাই কিংবা মিডজার্নি ব্যবহার করে সহজেই ইনফোগ্রাফিক, পোস্টার ও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা যায়।
১০. দলীয় কাজ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা
নোশন এআই পড়ালেখা ও অফিসের দলীয় কাজকে আরও সংগঠিত করে। নোট নেওয়া, ডেটাবেজ তৈরি, কাজের সময়সূচি ঠিক রাখা ও রিমাইন্ডার দেওয়ার মাধ্যমে এটি প্রোডাকটিভিটি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এআই দক্ষভাবে ব্যবহার করতে পারলে পড়াশোনা ও কর্মজীবনে বড় ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। তবে প্রযুক্তির ওপর অন্ধ নির্ভরশীল না হয়ে মানবিক বিচার, বিশ্লেষণ ও সৃজনশীলতার সঙ্গে এআইকে যুক্ত করাই দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে ফলপ্রসূ পথ।
মহাবিশ্বের প্রসারণে নতুন সংকট: হাবল টেনশন
মহাবিশ্ব যে ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে তা আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক সত্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে অনেক আগেই। এই প্রসারণ কত দ্রুত ঘটে তা নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানীরা হাবল ধ্রুবক নামের বিশেষ একটি মান ব্যবহার করেন। প্রথমদিকে এই ধ্রুবক নির্ণয় করা তুলনামূলকভাবে সহজ মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আধুনিক মহাকাশবিজ্ঞানের সবচেয়ে জটিল প্রশ্নগুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে এডউইন হাবল এবং তাঁর সহকর্মী মিল্টন হিউমেসন মহাবিশ্বের গ্যালাক্সিগুলো পৃথিবী থেকে যে গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাদের দূরত্বের সরাসরি সম্পর্ক খুঁজে পান। তারা দেখান যে কোনো গ্যালাক্সি যত দূরে অবস্থান করে তার পলায়নগতি তত বেশি হয়। এই পর্যবেক্ষণই মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে।
হাবল প্রথম যে মান নির্ণয় করেছিলেন তাতে হাবল ধ্রুবক ছিল প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেক। পরবর্তী পর্যবেক্ষণে এই মান অনেকটাই কমে আসে এবং ষাটের দশক নাগাদ এটি প্রায় একশ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেকের ঘরে পৌঁছে যায়। কিন্তু তখনও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একমত হতে পারেননি। কেউ বলছিলেন আসল মান একশ এর কাছাকাছি আবার কেউ বলছিলেন আসল মান পঞ্চাশের ঘরে।
হাবল ধ্রুবকের সঠিক মান নির্ধারণের দায়িত্ব পরে দেওয়া হয় হাবল স্পেস টেলিস্কোপকে। বহু বছর ধরে সুপারনোভা এবং সেফিড তারার আলো বিশ্লেষণ করে তারা দুই হাজার এক সালে ঘোষণা করেন যে ধ্রুবকের মান প্রায় বাহাত্তর কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেক। তখন মনে করা হয়েছিল সমস্যার সমাধান পাওয়া গেছে এবং বিজ্ঞানীরা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।
কিন্তু অল্প কিছু বছর পরই দেখা গেল মহাবিশ্বের প্রাচীন বিকিরণ অর্থাৎ কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বিশ্লেষণ করে পাওয়া মান প্রায় আটষট্টি কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেক। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করে এখনও পাওয়া যাচ্ছে বাহাত্তর এর কাছাকাছি মান। দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে পাওয়া দুটি আলাদা মান কোনোভাবেই মিলছে না।
এই অমিলকে বিজ্ঞানীরা হাবল টেনশন নাম দিয়েছেন। তাদের ধারণা মহাবিশ্বের প্রসারণ সম্পর্কে এখনো এমন কিছু রহস্য আছে যা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান পুরোপুরি ব্যাখ্যা করতে পারেনি। কেউ মনে করছেন হয়তো মহাবিশ্বের প্রসারণ সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে আবার কেউ বলছেন অদৃশ্য শক্তি বা পদার্থ এর পেছনে কাজ করছে। কেউ কেউ মনে করছেন প্রচলিত তত্ত্বের কোথাও গুরুতর ফাঁক রয়ে গেছে যা নতুন পদার্থবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করছে।
বর্তমানে এই প্রশ্ন মহাজাগতিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় জটিলতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং গবেষকরা আশা করছেন ভবিষ্যতের উন্নত টেলিস্কোপ এবং মহাকাশযান এই রহস্যের সমাধান এনে দেবে।
সূত্র: ব্রিটানিকা
২০২৫ সালের জন্য গুগলের ফ্রি অনলাইন কোর্স, ক্যারিয়ার গড়ার হাতছানি
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ২০২৫ ও ২৬ সালের জন্য নতুন ফ্রি অনলাইন কোর্স ঘোষণা করেছে যা বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য এক বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করার জন্য কোনো ভর্তি বা রেজিস্ট্রেশন ফি প্রয়োজন নেই বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনা খরচে আইটি ও এআই শেখার সুযোগ
গুগলের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ ফ্রি এই অনলাইন কোর্সগুলোতে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইটি সাপোর্ট ডেটা অ্যানালিটিক্স ডিজিটাল মার্কেটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়। প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে এই কোর্সগুলো অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেলফ পেসড লার্নিং বা নিজের গতিতে শেখা
এই কোর্সগুলোর অন্যতম বড় সুবিধা হলো সেলফ পেসড শেখার ব্যবস্থা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো সময়ে এই কোর্সগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই যে কেউ এই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন।
কারা করতে পারবেন
এই কোর্স গুগল জানিয়েছে এই কোর্সগুলো শুরুয়াতি শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবী উভয়ের জন্যই উপযুক্ত। যারা একদম নতুন করে কোনো দক্ষতা অর্জন করতে চান অথবা যারা নিজেদের ক্যারিয়ারকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে চান তাদের সবার জন্যই এই কোর্সগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এতে কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি নেই ফলে আর্থিক চিন্তা ছাড়াই শেখার সুযোগ মিলছে।
সার্টিফিকেট ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
কোর্স সম্পন্ন করলে গুগল থেকে সার্টিফিকেট পাওয়ার সুযোগও রয়েছে তবে এ ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে। এই সার্টিফিকেশন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যা সিভি বা রিজিউমে যুক্ত করলে চাকরির বাজারে প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়তা করবে। গুগলের এই কোর্সের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা নতুন দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের ক্যারিয়ারকে আরও সুদৃঢ় করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আবেদনের লিঙ্ক:Apply Here
ডিএনএ আসলে কীভাবে কাজ করে, সহজ ব্যাখ্যা জানুন
পৃথিবীতে জীবন ধারণের অন্যতম মৌলিক উপাদান হল ডিএনএ বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড। এটি প্রতিটি জীবের কোষে পাওয়া জিনগত তথ্যের ভাণ্ডার, যা জীবনের গঠন, বৃদ্ধি, প্রজনন ও বংশগতির নীলনকশা হিসেবে কাজ করে। নতুন গবেষণা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে বিজ্ঞানীরা এখন ডিএনএ সম্পর্কে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন।
ডিএনএ মূলত নিউক্লিওটাইড দিয়ে গঠিত। প্রতিটি নিউক্লিওটাইডে থাকে একটি সুগার অণু (ডিঅক্সিরাইবোজ), একটি ফসফেট গ্রুপ এবং চার ধরনের নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ বেস— অ্যাডেনিন (A), থাইমিন (T), গুয়ানিন (G) এবং সাইটোসিন (C)। এই বেসগুলোর নির্দিষ্ট বিন্যাসই গড়ে তোলে জিনগত নির্দেশনা। মানব জিনোমে রয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন বেজ পেয়ার, যা আমাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন জৈব-প্রক্রিয়া পর্যন্ত সবকিছুর নির্দেশক।
ডিএনএ কোষে প্রোটিন তৈরির নকশা সরবরাহ করে। প্রজননের মাধ্যমে অভিভাবক থেকে সন্তান পর্যন্ত জিনগত বৈশিষ্ট্য সংক্রমিত হওয়ার মূল মাধ্যমও হল এই ডিএনএ। তাই জিনবিজ্ঞানের যেকোনো গবেষণার প্রধান লক্ষ্য থাকে জিনকে শনাক্ত করা, বিশ্লেষণ করা এবং প্রয়োজনে তা পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করা।
ডিএনএর ডাবল–হেলিক্স গঠন আবিষ্কার করেন জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক, যার স্বীকৃতিস্বরূপ তারা ১৯৬২ সালে নোবেল পুরস্কার পান। তবে Rosalind Franklin-এর অসাধারণ এক্স-রে ছবি ছাড়া এই আবিষ্কার অসম্ভব ছিল বলে অনেক গবেষক মনে করেন।
বর্তমানে ডিএনএ সম্পাদনার সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি হল CRISPR। ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে অনুপ্রাণিত এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট অংশ কেটে বাদ দেওয়া বা পরিবর্তন করা যায়, যা কৃষি, চিকিৎসা ও জেনেটিক রোগ নিরাময়ে নতুন সম্ভাবনা খুলে দিয়েছে।
এ ছাড়া রিকম্বিন্যান্ট ডিএনএ প্রযুক্তি বিভিন্ন প্রজাতির ডিএনএ যুক্ত করে নতুন জিনগত বৈশিষ্ট্য তৈরি করার সুযোগ দেয়। ক্লোনিং ও সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জিন আলাদা করে বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং তা ভবিষ্যৎ গবেষণায় কাজে লাগাতে পারেন।
ডিএনএ শুধু নিউক্লিয়াসেই সীমাবদ্ধ নয়। মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টেও রয়েছে ছোট বৃত্তাকার "এক্সট্রানিউক্লিয়ার ডিএনএ"। ধারণা করা হয়, এগুলো একসময় স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা ব্যাকটেরিয়া ছিল, যা বিবর্তনের মাধ্যমে কোষের ভেতরে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
জীববিজ্ঞান, চিকিৎসা, কৃষি, এমনকি মহাকাশ গবেষণাতেও ডিএনএ বিশ্লেষণ আজ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, জিন প্রকৌশলের অগ্রগতি আগামী দশকগুলোতে মানবজীবনের নানা ক্ষেত্রে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনবে।
সূত্র: ব্রিটানিকা
পাঠকের মতামত:
- পদত্যাগের পরও সরকারি বাসায় আসিফ-মাহফুজ: কারণ কী?
- মহাবিশ্বের ‘ডাইনোসর’ নক্ষত্রের খোঁজ পেল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
- ফ্রিজে রাখলে বিষ হতে পারে যেসব খাবার: সতর্ক থাকুন
- শীতে দিনে কত লিটার পানি পান করা জরুরি? জেনে নিন
- বিপাকে ৩,৫০০ শিক্ষক-সাংবাদিক: হাই কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি
- সাময়িক বন্ধের পর আজ স্বাভাবিক ভারতীয় ভিসা সেন্টার
- জুলাই যোদ্ধা হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন: সিঙ্গাপুর থেকে জরুরি বার্তা
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল নৌবহর
- ডলার ও পাউন্ডের দাম কত? জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- জাপানিদের মতো সুন্দর ত্বক চান? ব্যবহার করুন চালের পানি
- ১৮ ডিসেম্বর টিভিতে খেলার সময়সূচি: মিস করবেন না যে ম্যাচগুলো
- ঢাকার আকাশ আজ কেমন থাকবে? জানাল আবহাওয়া অফিস
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দিচ্ছে: হাসনাত
- ১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে বরফ গলছে না: টানাপোড়েন এখন প্রকাশ্যে
- হাদির ওপর হামলা চালিয়ে মহারাষ্ট্রে আয়েশে ফয়সাল
- রাস্তায় নামার আগে দেখুন রাজধানীর আজকের কর্মসূচি
- ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে
- জোটের জট আর আসনের অংক: ভোটের মাঠে শেষ মুহূর্তের নাটক
- ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট
- বৃহস্পতিবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- তারেক রহমানের ফ্লাইটে টিকিট নিয়ে হুলুস্থুল: সব ‘সোল্ড আউট’!
- পারফিউমের গন্ধ সারাদিন ধরে রাখার জাদুকরী কৌশল
- চুল পড়া বন্ধের ৬টি সহজ ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
- নতুন অপারেশনের ঝুঁকি: হাদির চিকিৎসায় জটিলতা
- মামলা দেখার দরকার নেই, আ.লীগ হলেই অ্যাকশন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: উত্তেজনা চরমে
- হাসনাতের প্রচারণায় আটক ২ ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তি
- ঋণের নামে লুটপাট: এস আলমের সাম্রাজ্যে দুদকের হানা
- অবশেষে কাটল জটিলতা: বইমেলার নতুন তারিখ ঘোষণা
- পিরিয়ডের তীব্র ব্যথা: শরীরে বাসা বাঁধছে যে গোপন রোগ
- নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই, সবাই নিরাপদে চলছে: উপদেষ্টা
- ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল
- নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ অগ্রহণযোগ্য: তৌহিদ হোসেন
- ১৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ১৭ ডিসেম্বরের বাজারে লুজার শেয়ারের তালিকা
- আজকের বাজারে শীর্ষ দশ লাভজনক শেয়ার
- বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের স্পট ট্রেডিং সূচি ঘোষণা
- খালি পেটে পাকা কলা খাওয়া: উপকার, ঝুঁকি ও সঠিক নিয়ম
- কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব
- চার সরকারি বন্ডের কুপন রেকর্ড তারিখ ঘোষণা
- ডিএসইএক্স, ডিএসইএস ও ডিএস৩০-সবই লাল
- ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির চিকিৎসা নিয়ে নতুন তথ্য
- ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
- আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
- IPL 2026 নিলামে কে কোথায়, জানুন বিস্তারিত
- মানুষকে ‘ভিন্ন জগতে’ নেওয়া ৬টি প্রাণী
- যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন
- বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন? জানুন আজকের বিনিময় হার
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা








