টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির সহজ প্রাকৃতিক ৯টি উপায়

সত্য নিউজ: টেস্টোস্টেরন, পুরুষদের প্রধান যৌন হরমোন, পেশিশক্তি, অস্থির দৃঢ়তা ও সামগ্রিক প্রাণশক্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়, তবে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে তা প্রাকৃতিকভাবেই বাড়ানো সম্ভব।
? টেস্টোস্টেরন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
পুরুষদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে টেস্টোস্টেরন অপরিহার্য। এই হরমোনের ঘাটতি দেখা দিলে যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব, পেশিশক্তি হ্রাস ও মনমেজাজের পরিবর্তনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই টেস্টোস্টেরনের স্বাস্থ্যকর মাত্রা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
✅ টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির ৯টি প্রাকৃতিক উপায়:
১. নিয়মিত ব্যায়াম করুনবিশেষ করে রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং (ওজন তোলা) ও হাই ইন্টেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং (HIIT) টেস্টোস্টেরন বাড়াতে কার্যকর। নিয়মিত ব্যায়ামে পেশি বাড়ে, আর তা টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে সহায়তা করে।
২. সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুনদুধ, ডিম, চর্বিহীন মাংস, শাকসবজি, বাদাম ও বীজে থাকা জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ডি টেস্টোস্টেরনের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুনরাতের ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা মানসম্পন্ন ঘুম টেস্টোস্টেরন সঠিকভাবে উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাব সরাসরি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
৪. মানসিক চাপ কমানদীর্ঘস্থায়ী চাপ কর্টিসল হরমোন বাড়ায়, যা টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ধ্যান, যোগব্যায়াম ও শ্বাসনিয়ন্ত্রণ চর্চা চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৫. অতিরিক্ত ওজন কমানস্থূলতা ওজন ও হরমোন ভারসাম্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমালে টেস্টোস্টেরন স্বাভাবিকভাবে বাড়ে।
৬. মদ্যপান সীমিত করুনঅতিরিক্ত মদ্যপান লিভার ও হরমোন উৎপাদনে বাধা দেয়, ফলে টেস্টোস্টেরন কমে যায়। মাঝেমধ্যে সীমিত পরিমাণে পান করাই নিরাপদ।
৭. পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করুনসূর্যের আলো ভিটামিন ডি-র প্রাকৃতিক উৎস, তবে প্রয়োজনে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
৮. স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুনওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসহ স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরে হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডো, তেলযুক্ত মাছ ও অলিভ অয়েল খেতে পারেন।
৯. হরমোন ব্যাহতকারী রাসায়নিক থেকে দূরে থাকুনপ্লাস্টিক, কীটনাশক ও কিছু প্রসাধন সামগ্রীতে থাকা রাসায়নিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। প্রাকৃতিক ও অর্গানিক পণ্য ব্যবহার করা শ্রেয়।
টেস্টোস্টেরন স্বাভাবিকভাবে বাড়ানো সম্ভব—শুধুমাত্র কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ভালো ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মতো অভ্যাস আপনার শরীর ও মনকে রাখবে আরও সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটি, চালু থাকবে জরুরি সেবা
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- দারুননাজাত: নৈতিকতার আলোকবর্তিকা
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ: শুধুমাত্রবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য
- ডিপ্লোমেটিক শেকআপ: জসীম উদ্দিন দূতাবাসে , সচিব হচ্ছেন নজরুল
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"