আ.লীগের গেরিলা প্রশিক্ষণে সম্পৃক্ততা

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন ডিবি হেফাজতে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ০৮:১৬:০৫
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন ডিবি হেফাজতে
ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ নেতাকর্মীদের গোপন গেরিলা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করে বর্তমানে ডিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ডিবির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, “রাজধানীর কে বি কনভেনশন হলকেন্দ্রিক গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করা হয়েছে।” গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠকের সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, ওই গোপন প্রশিক্ষণে মেজর সাদিক নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং তার স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনও তাে‌তে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনার পর ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্তে মেজর সাদিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই তাকে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী জানায়, একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত সামরিক আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক শক্তির সক্রিয়তা প্রসঙ্গে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সুমাইয়া জাফরিনের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হলে এটি হবে একটি স্পর্শকাতর উদাহরণ, যেখানে একজন সেনা কর্মকর্তার পরিবারও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকছে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে বাড়তি সতর্কতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুমাইয়া জাফরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে, যা গোটা ষড়যন্ত্রের রহস্য উদঘাটনে সহায়ক হতে পারে। একইসঙ্গে তদন্তের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে যাতে রাজনৈতিক প্রশ্রয়প্রাপ্ত গোপন নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা যায়।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ