ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সংকটে নাসার জলবায়ু পর্যবেক্ষণ মিশন

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাক্কা লাগতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ নাসা মিশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধের প্রস্তাব করেছে। এই দুই মিশন—অরবিটিং কার্বন অবজারভেটরি (OCO-2) স্যাটেলাইট এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্থাপিত একটি উন্নত যন্ত্র—পৃথিবীর কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ ও শোষণের নিখুঁত মানচিত্র তৈরি এবং উদ্ভিদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কৃষি ও পরিবেশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
নাসা এক বিবৃতিতে জানায়, এই মিশন দুটি তাদের “প্রাথমিক সময়সীমা পার করেছে” এবং সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত “রাষ্ট্রপতির বাজেট ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ”। তবে এই মিশনগুলো এখনো বিশ্বের সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং নিখুঁত পর্যবেক্ষণক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি বহন করছে, যা বিকল্পহীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে বিবেচিত—এমনটাই জানিয়েছেন এই মিশনের প্রধান রূপকার, নাসার প্রাক্তন বিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্প।
এই মিশনগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা যেমন আবিষ্কার করেছেন যে অ্যামাজন বন এখন নিঃসরণকারী বনভূমিতে পরিণত হয়েছে, তেমনি তারা দেখতে পেয়েছেন যে কানাডা ও রাশিয়ার বরফময় অঞ্চলগুলো এবং পারমাফ্রোস্ট গলে যাওয়া এলাকা বেশি কার্বন শোষণ করছে। শুধু তাই নয়, এই প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ভিদের আলোকসংশ্লেষণের “জীবন্ত আলো” শনাক্ত করা যায়, যা খরা, খাদ্য সংকট এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ বা সামাজিক অস্থিরতা আগাম অনুমান করতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ‘দূরদর্শিতাবিহীন’। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের জলবায়ু বিজ্ঞানী জোনাথন ওভারপেক বলেন, "এই স্যাটেলাইটগুলোর পর্যবেক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু অঞ্চলের জন্য।"
কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে আশার আলো
বর্তমানে এই মিশনগুলো সেপ্টেম্বর ৩০ পর্যন্ত তহবিল পাবে। প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব অনুযায়ী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর বাজেট বিল এই মিশন বাতিলের পক্ষে হলেও, সিনেট ভার্সন এখনো মিশনগুলো টিকিয়ে রাখার পক্ষে। কংগ্রেস বর্তমানে বিরতিতে থাকায় নতুন বাজেটের অনুমোদন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদি বাজেট অনুমোদিত না হয়, তবে কংগ্রেস একটি অস্থায়ী ফান্ড রেজোলিউশনের মাধ্যমে বিদ্যমান অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে পারে। তবে কিছু আইনপ্রণেতা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো সেই তহবিলও আটকে রাখতে পারে।
ডেমোক্র্যাট নেতারা সম্প্রতি এনাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফিকে সতর্ক করে বলেছেন, কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থ আটকে রাখা বা মিশন বন্ধ করা বেআইনি হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত জলবায়ু বিজ্ঞানকে দমিয়ে দেওয়ার একটি বড় পদক্ষেপ। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী মাইকেল মান বলেন, “এই নীতির মূল কথা যেন এমন—যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের পরিমাপ বন্ধ করি, তবে সেটা আমেরিকানদের চিন্তা থেকে মুছে যাবে।”
বিকল্প পরিকল্পনা: আন্তর্জাতিক সহায়তার খোঁজে
ডেভিড ক্রিস্প ও তাঁর সহকর্মীরা এখন আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই যন্ত্র ও স্যাটেলাইট চালু রাখার সম্ভাবনা খুঁজছেন। নাসা ২৯ আগস্ট পর্যন্ত বাইরের সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের যন্ত্রটি বিদেশি অংশীদারদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ থাকলেও, OCO-2 উপগ্রহটিকে হয়ত ভূপতিত করে ধ্বংস করা হবে। ক্রিস্প বলেন, “আমরা ধনকুবেরদের, ফাউন্ডেশনগুলোর কাছে যাচ্ছি। কিন্তু এটি এমন এক প্রযুক্তি যা বেসরকারি ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া বাস্তবসম্মত বা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”
এই সিদ্ধান্ত জলবায়ু গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক অন্ধকার অধ্যায় রচনা করতে পারে—এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
-আকরাম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!
পৃথিবীর কাছাকাছি আরও একটি নতুন মহাজাগতিক বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ছয় দশক ধরে অদৃশ্য থাকার পর সম্প্রতি এটি বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছে। বিজ্ঞানীরা এই নতুন আবিষ্কারকে ‘কোয়াসি-মুন’ বা ‘ছায়া-চাঁদ’ বলে অভিহিত করছেন।
২০২৫পিএন৭: একটি নতুন কোয়াসি-মুন
নতুন আবিষ্কৃত এই মহাজাগতিক পাথরখণ্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৫পিএন৭। এর ব্যাস প্রায় ৬২ ফুট। এটি যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে, তখন দূরত্ব থাকে প্রায় ৪৫ লক্ষ কিলোমিটার। আর সবচেয়ে দূরে গেলে এর দূরত্ব দাঁড়ায় প্রায় ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ কিলোমিটার। ২০২৫পিএন৭ চাঁদের মতো সরাসরি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না, বরং পৃথিবীর কক্ষপথ অনুসরণ করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ কারণেই এটিকে কোয়াসি-মুন বা ‘ছায়া-চাঁদ’ বলা হয়। নতুন এই আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর জানা কোয়াসি-মুনের সংখ্যা সাত-এ পৌঁছাল।
কীভাবে এটি আবিষ্কৃত হলো?
স্পেনের মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মারকস জানান, ২০২৫পিএন৭ আকারে খুবই ছোট ও অনুজ্জ্বল হওয়ায় এত দিন এটি চোখে পড়েনি। গত ৩০ আগস্ট প্রথমবার এর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ করা হয় এবং ২ সেপ্টেম্বর আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নালে এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই কোয়াসি-মুনটি আরও অন্তত ৬০ বছর পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করবে। তবে এর দ্বারা পৃথিবীর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন, কোয়াসি-মুনগুলো আসলে চাঁদেরই অতীতের ভগ্নাংশ। তাদের ধারণা, বহু বছর আগে চাঁদ থেকে ছোট ছোট অংশ ছিটকে বেরিয়ে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে শুরু করে। ২০২৫পিএন৭-এর ক্ষেত্রেও একই তত্ত্ব প্রযোজ্য হতে পারে।
“গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারের বিস্ফোরণ শিশু-কিশোরদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। শিক্ষা, বিনোদন, যোগাযোগ—সবকিছু এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু এই ডিজিটাল জগত সবসময় নিরাপদ নয়। অনলাইন গেম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবের প্রতি বাড়তি আসক্তি শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব ফেলছে। আরও উদ্বেগজনক হলো, অনেকেই এখন সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের বড় অংশ প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায় অনলাইন গেমে—বিশেষত রোবলক্স, মাইনক্রাফ্ট, ফোর্টনাইট, কোগামা, ফ্রি ফায়ার, পাবজি ও কল অব ডিউটি-এর মতো গেমে। এর বেশিরভাগই খেলে স্মার্টফোনে। গেমের ভেতরেই তারা অনেক সময় অশ্লীল কনটেন্ট, সাইবারবুলিং এমনকি অপরাধী চক্রের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, ২০২৪ সালে গড়ে দৈনিক ৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ রোবলক্স খেলেছে, যার ৪০ শতাংশই ১৩ বছরের নিচের শিশু। বাংলাদেশেও এসব প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বলে মনে করছেন মনোবিজ্ঞানীরা।
ঢাকার শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “একবার কোনো শিশু অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়লে তাকে ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন হয়ে যায়। এতে তাদের ঘুম, পড়াশোনা, সামাজিক যোগাযোগ এবং মানসিক বিকাশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী গেমারের প্রায় ৮.৫ শতাংশ গেমিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিশুদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা, হঠাৎ রাগের বিস্ফোরণ, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে—যার একটি বড় কারণ স্মার্টফোন ও অনলাইন গেমের আসক্তি।
চট্টগ্রামের এক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব (ছদ্মনাম) রাতভর রোবলক্স খেলত। একদিন গেমের ভেতরেই তাকে এক গ্রুপে নেওয়া হয় যেখানে অশ্লীল দৃশ্য দেখানো হয়। পরে হুমকি দেওয়া হয় এসব দৃশ্য ফাঁস করে দেওয়া হবে। ভয়ে সে পড়াশোনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। পরিবার না জেনেই অনেক কিশোর-কিশোরী এমন মানসিক চাপে পড়ছে।
এটি একক কোনো ঘটনা নয়। গেমিং আসক্তি থেকে শুরু করে ফেসবুক গ্রুপে অপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ, তারপর ফিশিং, হ্যাকিং বা স্ক্যাম—এই বিপজ্জনক ধারা বহু কিশোরের জীবনে নিত্য বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে। অপরাধী চক্রগুলো গেমিং কমিউনিটির মাধ্যমে শিশুদের পর্নোগ্রাফি, জুয়া, অনলাইন বাজি এমনকি সাইবার অপরাধের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দেশে সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। কিন্তু নাবালকরা জড়িত হলে পরিস্থিতি জটিল হয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের শিশু-কিশোরদের শুধু শাস্তি নয়, পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং-ও জরুরি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) ফায়েজ আহমেদ তায়েব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, “পাবজি সহ অনেক গেম সাইট বন্ধের আলোচনা ছিল। আমরা বলেছি, যদি ১৮ বছরের নিচের কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ার নিশ্চয়তা তারা না দিতে পারে, তবে খোলার প্রশ্নই আসে না। এটা গুগল বা অ্যাপলের প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাবা-মা সচেতন না হলে আইন দিয়ে একে ঠেকানো সম্ভব নয়।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার মূল সমাধান পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। শিশুদের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারে সঠিক সীমারেখা টানা, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল চালু করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা এখন জরুরি।
স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক সময় এই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তখন দোকানে না গিয়েও ঘরে বসে কয়েকটি সহজ উপায়ে ফোনটি আনলক করা সম্ভব।
পদ্ধতি ১: রিকভারি মোড ব্যবহার করে ফ্যাক্টরি রিসেট
এই পদ্ধতিতে ফোনের সকল ডেটা মুছে যাবে, তবে ফোনটি আনলক হবে।
প্রথমে আপনার স্মার্টফোনটি সম্পূর্ণ বন্ধ করুন।
কয়েক সেকেন্ড পর ফোনের পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপ/ডাউন বাটন একসাথে চেপে ধরে রাখুন।
যখন ফোনটি রিকভারি মোডে যাবে, তখন 'Factory Reset' অপশনটি বেছে নিন এবং 'Wipe Cache' নির্বাচন করুন।
কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ফোনটি পুনরায় চালু হবে এবং নতুন করে সেটআপ করতে হবে।
পদ্ধতি ২: গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আনলক
এই পদ্ধতিটি কাজ করার জন্য আপনার ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় থাকতে হবে।
পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন বারবার ভুল দিলে আপনার স্ক্রিনে 'Forgot Pattern/Password' অপশন আসবে।
এই অপশনে ট্যাপ করে আপনার ফোনে ব্যবহৃত গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন।
সফলভাবে লগইন হলে ফোনটি আনলক হয়ে যাবে এবং আপনি একটি নতুন পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন সেট করতে পারবেন।
এছাড়া, আপনি 'Google Device Manager' ব্যবহার করেও অনলাইনে আপনার ফোনটি আনলক করতে পারবেন। তাই পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ভুলে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে এই সহজ উপায়গুলো চেষ্টা করতে পারেন।
চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
পৃথিবী থেকে চাঁদ প্রতি বছর ৩.৮ সেন্টিমিটার করে দূরে সরে যাচ্ছে। এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া যা কোটি কোটি বছর ধরে চলছে। এই দূরত্ব স্থির নয়, ফলে এর ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। সম্প্রতি, এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কেন দূরে সরছে চাঁদ?
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবির মতে, জোয়ার-ভাটার শক্তি এবং কৌণিক ভরবেগের কারণে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সূর্য ও চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের ফলে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। এই জোয়ারের স্ফীতি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে চাঁদের আকর্ষণ থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকে। এই স্ফীতি চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়, যা চাঁদকে অতিরিক্ত শক্তি যোগায় এবং তার কক্ষপথকে সামান্য প্রসারিত করে।
একই সময়ে, চাঁদও পাল্টা টানে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিকে ধীর করে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২.৩ মিলিসেকেন্ড করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি পদার্থবিজ্ঞানের কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতি দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। এই নীতি অনুসারে, যখন পৃথিবীর ঘূর্ণনগতির কৌণিক ভরবেগ কমে যায়, তখন চাঁদের কক্ষপথের কৌণিক ভরবেগ বেড়ে যায়, যার ফলে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়।
চাঁদের দূরত্ব পরিমাপের পদ্ধতি
বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান ও নভোচারীদের দ্বারা স্থাপন করা বিশেষ আয়নার মাধ্যমে চাঁদের দূরত্ব পরিমাপ করেন। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনে এই প্রতিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। পৃথিবী থেকে লেজার রশ্মি পাঠানো হয়, যা এই প্রতিফলকগুলোতে আঘাত করে ফিরে আসে। এই লেজার রশ্মির যাতায়াতের সময় পরিমাপ করে বিজ্ঞানীরা চাঁদের সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই জানা গেছে, চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
ভবিষ্যতের প্রভাব
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদ যে গতিতে দূরে সরছে, তাতে নিকট ভবিষ্যতে কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে কোটি কোটি বছর পর এর ফলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে এবং জোয়ার-ভাটার তীব্রতা কমে যাবে। চাঁদ দূরে সরে গেলে পৃথিবীর জলবায়ু ও প্রাণ ধারণের পরিবেশ পরিবর্তিত হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। তবে এই প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহের মধ্যেও এমন প্রবণতা দেখা যায়।
সূত্র: এনডিটিভি
চাকরির বাজারে এআইয়ের ঝড়: কারা পড়বেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির আবিষ্কার নিঃসন্দেহে মানুষের জীবনকে বহুগুণে সহজ করেছে। এখন আর কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেরি হয় না—মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই এআই চ্যাটবট থেকে পাওয়া যায় সমাধান। যেকোনো বিষয়ে কৌতূহল মেটানো থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পরামর্শ নেওয়া পর্যন্ত সবকিছুই এখন এআই-এর মাধ্যমে সহজলভ্য।
এআই কেবল জটিল আলোচনা বা বিশ্লেষণেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি কবিতা রচনা করতে পারে, রান্নার রেসিপি সাজিয়ে দিতে পারে, কঠিন গণিত সমাধান করতে পারে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ও গবেষণা প্রতিবেদনে সহায়তা করতে পারে। ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন নির্ভরশীলতা বাড়ছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ প্রযুক্তিকে নিজেদের কাজে অন্তর্ভুক্ত করছে। মাইক্রোসফটের মতো বহুজাতিক করপোরেশন থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই এআই এখন মানুষের বিকল্প হয়ে উঠছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাচ্ছেন। যে ক্ষেত্রেই কেউ কর্মরত থাকুন না কেন, মাথার ওপরে অদৃশ্য এক হুমকি ঝুলছে—সেটি হচ্ছে এআই। প্রশ্ন জাগছে, এই প্রযুক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় আদৌ আছে কি না।
অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এআই শ্রমবাজার ও দক্ষতার চাহিদায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এতে যেমন উদ্বেগের কারণ রয়েছে, তেমনি কিছু খাতে নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন সৃজনশীল পেশাজীবীরা। কারণ এআই এখন এমন সব লেখা বা কনটেন্ট তৈরি করছে, যেখানে মৌলিকত্ব প্রায় অনুপস্থিত। ফলে যারা সত্যিকারের মৌলিক কাজ করেন, তাদের স্বীকৃতি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে অফিস সহকারী, রিসেপশনিস্ট, বুককিপার, সেলস ও মার্কেটিং কর্মী, বিজনেস অ্যানালিস্ট বা সিস্টেম অ্যানালিস্টদের চাকরি দ্রুত হ্রাস পাবে। এসব কাজের একটি বড় অংশ এআই সহজেই সম্পন্ন করে ফেলতে পারবে।
অন্যদিকে, কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বরং বাড়তে পারে। যেমন—ক্লিনার, লন্ড্রি কর্মী, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও সেফটি, বিজনেস অ্যাডমিন ম্যানেজার, নির্মাণশ্রমিক, খনি শ্রমিক এবং হসপিটালিটি খাতে কর্মসংস্থানের চাহিদা বাড়বে। এসব কাজ মূলত সরাসরি শারীরিক পরিশ্রম বা হাতেকলমে সম্পাদনযোগ্য। তাই এআই কখনোই পুরোপুরি মানুষের বিকল্প হতে পারবে না।
যারা নতুন করে পেশাজীবনে প্রবেশ করতে চান, তাদের জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে বুককিপিং, মার্কেটিং বা প্রোগ্রামিংয়ের পরিবর্তে নার্সিং, নির্মাণশিল্প কিংবা হসপিটালিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়লে তুলনামূলকভাবে চাকরির নিরাপত্তা বেশি থাকবে।
সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হচ্ছে ভয়েস আর্টিস্টদের জন্য। কারণ এখন এআই প্রযুক্তির মাধ্যমেই কণ্ঠ রেকর্ড করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ভয়েসওভার শিল্পে অন্তত ৮০ শতাংশ কাজ কমে গেছে, যা ভবিষ্যতে পুরো খাতের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের আরেক গৌরব: নাসার STEM দূত ড. আহসান
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট একাডেমিক ড. মো. মঞ্জুরুল আহসান আবারও বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমায় গবেষণা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এই বিজ্ঞানীকে নাসার মর্যাদাপূর্ণ STEM Education Ambassadors (STEM EA) প্রোগ্রামের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের ঝুলিতে যুক্ত হলো নতুন এক গৌরব।
নাসার এই বছরব্যাপী প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে (STEM) বিশ্বব্যাপী আরও সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় করতে। এই প্রোগ্রামের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষাবিদরা নাসার বিস্তৃত STEM শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ও গবেষণা সম্পদ ব্যবহারের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ পান। তারা প্রতি মাসে নাসার গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ ও ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ টিমের কাছ থেকে আপডেট পান, যাতে তারা মহাকাশ গবেষণা ও জলবায়ু বিজ্ঞান সম্পর্কে সর্বশেষ জ্ঞান নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ড. আহসান এই উদ্যোগের অংশ হয়ে একটি আন্তর্জাতিক পেশাগত শিক্ষকমণ্ডলীর সাথে যুক্ত হবেন, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাবিদরা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করছেন। এর ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের তরুণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পথে আরও উদ্বুদ্ধ হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, কম্পিউটার ভিশন ও অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ড. আহসানের গবেষণাকর্ম ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি ৬০টিরও বেশি পিয়ার-রিভিউড গবেষণা প্রবন্ধ সহ-লেখক হিসেবে প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ২৫টিরও বেশি প্রবন্ধের প্রথম লেখক তিনি নিজেই। উল্লেখযোগ্যভাবে, তার বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকৌশল বিষয়ক বিশ্বের শীর্ষ এক শতাংশ সর্বাধিক উদ্ধৃত প্রবন্ধের তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং গবেষণায় বিশ্বের শীর্ষ ০.৫ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
ড. আহসানের এই অর্জন শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের গবেষণা, শিক্ষা ও উদ্ভাবন খাতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার প্রমাণ। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক অনন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে চান।
-সুত্রঃ ডেইলি সান
টিকটক বন্ধ নাকি বাঁচবে? স্পেনের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠকেই মিলবে সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্পেনের মাদ্রিদে উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য বৈঠকে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বসেছেন। বিশ্ব অর্থনীতির দুই প্রধান শক্তি—ওয়াশিংটন ও বেইজিং—চলমান শুল্কযুদ্ধ প্রশমনের চেষ্টা করছে। আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হে লিফেং।
এই বৈঠকের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো টিকটক। চীনা মালিকানাধীন এই জনপ্রিয় অ্যাপের যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। মার্কিন বাজারে টিকটক চালিয়ে যেতে হলে চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে দ্রুত নতুন ক্রেতা খুঁজে বের করতে হবে। নাহলে দেশটিতে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরুতে টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি একের পর এক তিনবার সময়সীমা বাড়িয়েছেন। গত রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, চতুর্থ দফায়ও সময় বাড়ানো হতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো টিকটককে বন্ধ হতে দেব, অথবা না-ও দিতে পারি… সেটা চীনের ওপর নির্ভর করছে। আমার কাছে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপকে ঘিরে নয়; এটি মূলত তথ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল বাণিজ্য এবং ভূরাজনৈতিক প্রভাবের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে এক বৃহত্তর লড়াই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করছে, যা বিষয়টিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
এদিকে, উভয় দেশ নভেম্বর পর্যন্ত শুল্কবিরতির সময়সীমা বাড়িয়েছে। এর ফলে আপাতত একে অপরের ওপর শতভাগের বেশি আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি কমেছে। এই বিরতি দুই দেশকে আলোচনার জন্য আরও সময় দিচ্ছে, বিশেষ করে “অন্যায্য বাণিজ্যনীতি” ও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট জটিল বিষয়গুলো সমাধানের জন্য।
অনেকের ধারণা, এই বৈঠক ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আসন্ন দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ সম্মেলনে সরাসরি সাক্ষাতেরও পথ তৈরি করছে। অক্টোবরেই এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দুই নেতার সাক্ষাত বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বড় সিদ্ধান্ত বয়ে আনতে পারে।
সব মিলিয়ে মাদ্রিদে চলমান আলোচনাই এখন বিশ্বদৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এখানেই নির্ধারিত হতে পারে শুধু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক নয়, টিকটকেরও বেঁচে থাকার ভবিষ্যৎ।
অপারেশন থিয়েটারের আলো: ছায়াহীন বিস্ময়ের বৈজ্ঞানিক রহস্য
চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক প্রযুক্তিতে অপারেশন থিয়েটারের আলো বা সার্জিক্যাল লাইট অন্যতম একটি বিস্ময়। রোগীর জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে যখন চিকিৎসকের নির্ভুলতা ও মনোযোগ সবচেয়ে জরুরি, তখন এই বিশেষ আলোই তাদের সহায়তা করে ছায়াহীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়। অনেকেই অবাক হন এত উজ্জ্বল আলোর নিচে ডাক্তার ও যন্ত্রপাতি থাকলেও সেখানে কোনো দৃশ্যমান ছায়া দেখা যায় না। এর পেছনে রয়েছে নিখুঁত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতিতে যখন একটি মাত্র আলোর উৎস থাকে, তখন আলো কোনো বস্তুতে আঘাত করলে তার পেছনে একটি গাঢ় ছায়া তৈরি হয়। যেমন দিনের বেলায় সূর্য আমাদের একক আলোর উৎস হিসেবে কাজ করে, আর তাই মাটিতে আমাদের ছায়া পড়ে। অর্থাৎ, ছায়া গঠনের মূলনীতি হলো একক আলোর উৎস এবং বাধার উপস্থিতি।
অপারেশন থিয়েটারের আলো এই সাধারণ নীতিকে অতিক্রম করেছে। কারণ এটি কোনো একক আলোর উৎস নয়। সার্জিক্যাল লাইটে থাকে অসংখ্য ক্ষুদ্র LED লাইট, যেগুলো এমনভাবে বৃত্তাকার বা গুচ্ছ আকারে সাজানো হয় যে সবগুলো আলোর রশ্মি নির্দিষ্ট একটি বিন্দুর দিকে ছুটে যায়। এর ফলে আলোর তীব্রতা একদিকে কেন্দ্রীভূত হয়, আবার অন্যদিকে ছায়া পড়ার সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দেয়।
যখন সার্জনের হাত, মাথা বা যন্ত্রপাতি কোনো একটি LED লাইটের সামনে বাধা সৃষ্টি করে, তখন সেটির ফলে যে ক্ষুদ্র ছায়া তৈরি হওয়ার কথা ছিল, তা সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অন্য LED লাইটের আলোয় মিলিয়ে যায়। অর্থাৎ, একটি দিকের আলো বাধাগ্রস্ত হলেও চারপাশের আলোগুলো সেই অন্ধকার অংশকে ঢেকে উজ্জ্বল করে তোলে। ফলে কোনো গাঢ় বা স্থায়ী ছায়া চোখে পড়ে না।
চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্ব
অপারেশনের সময় ক্ষুদ্রতম রক্তনালী, স্নায়ু বা টিস্যু স্পষ্টভাবে দেখতে চিকিৎসকদের জন্য ছায়াহীন আলো অত্যন্ত অপরিহার্য। সামান্য ছায়া তৈরি হলেও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, যা জীবনসংকট ডেকে আনতে পারে। তাই এই আলোক প্রযুক্তি শুধু আরামদায়ক নয়, বরং রোগীর জীবন রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
অপারেশন থিয়েটারের আলো আসলে আধুনিক বিজ্ঞানের এক অনন্য সাফল্য। অসংখ্য LED লাইটের সমন্বিত বিন্যাস এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে যেখানে ছায়াহীন আলোক ব্যবস্থা সম্ভব হয়। এর ফলে সার্জনরা বাধাহীনভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। এই প্রযুক্তি প্রমাণ করে যে বিজ্ঞান ও চিকিৎসার সমন্বয়ই মানুষের জীবনে আশা ও নিরাপত্তার আলো জ্বালায়।
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ইনস্টাগ্রাম ধাঁচের ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’ ফিচার
বর্তমান সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্ম। শুধু ব্যক্তিগত আলাপ নয়, অফিসের জরুরি ফাইল পাঠানো কিংবা ছবি শেয়ারের ক্ষেত্রেও এটি কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন নির্ভরযোগ্য অ্যাপ। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে ১০০ বিলিয়নেরও বেশি মেসেজ আদান-প্রদান হয় হোয়াটসঅ্যাপে।
মনের কথা প্রকাশের নতুন পথ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আজ মানুষের আবেগ ভাগাভাগির অন্যতম মাধ্যম। খুশি কিংবা দুঃখ— স্ট্যাটাস আপডেটের মাধ্যমে মনের কথা প্রকাশ এখন সহজ। তবে অনেক সময় এমন হয় যে, নিজের স্ট্যাটাস কারো বিশেষ চোখে পড়ুক তা ব্যবহারকারী চান না। এই সমস্যার সমাধানেই হোয়াটসঅ্যাপ এবার নিয়ে আসছে নতুন ফিচার ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’, যা অনেকদিন ধরেই ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এতদিন স্ট্যাটাসের সীমাবদ্ধতা
এতদিন হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস শেয়ারের জন্য তিনটি অপশন ছিল:
- ‘মাই কন্ট্যাক্টস’: কন্ট্যাক্ট লিস্টে থাকা সবাই স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
- ‘মাই কন্ট্যাক্টস এক্সসেপ্ট’: নির্দিষ্ট কয়েকজন বাদে সবাই দেখতে পাবেন।
- ‘অনলি শেয়ার উইথ’: কেবল বাছাই করা কিছু মানুষই স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
তবে এসব অপশনে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জন্য আলাদা কোনো সুবিধা ছিল না।
নতুন ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’ ফিচার
এবার হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন অপশন ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জন্য একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করতে পারবেন। সেই তালিকায় যোগ করা বন্ধুদের জন্য স্ট্যাটাস শেয়ার করলে তা শুধুমাত্র তাঁরাই দেখতে পাবেন। অন্য স্ট্যাটাসের মতোই এগুলোও ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে।
পাঠকের মতামত:
- শানাকার তাণ্ডবে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ল শ্রীলঙ্কা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
- হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
- সুপার ফোরে বাংলাদেশের দারুণ শুরু, তাসকিন-মেহেদীর আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা
- ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস নিয়ে ঢাকায় হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’
- চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?
- এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দিল ইসি
- মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা
- ২৪ সিনেমাকে পেছনে ফেলে অস্কারের দৌড়ে ভারতের ‘হোমবাউন্ড’
- ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবারও সংবাদ সম্মেলন বাতিল করল পাকিস্তান
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
- ‘নান্দো’ এবার সুপার টাইফুনে পরিণত হচ্ছে
- এটি দ্বিতীয় বিয়ে, আবদুল হান্নান মাসউদের আংটি বদল নিয়ে বিতর্ক
- কাজের চেয়ে কথায় পটু এই তারকা, পারফরম্যান্সের চেয়ে মন্তব্যে বেশি আলোচিত
- কলকাতায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ, তবুও ক্রেতাদের ভিড়
- বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না করে: তারেক রহমান
- স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে গৃহবধূকে গরম তেলে হাত চুবাতে বাধ্য করা হলো
- মানুষের আস্থা জামায়াতের প্রতি, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনেই তার প্রমাণ: মুজিবুর রহমান
- ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষকে উঁচিয়ে ধরতে হবে: এ্যানি
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ইসরায়েলিদের পিটিশন
- বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি, যারা চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৮ পরামর্শ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
- মোবাইলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দেখবেন যেভাবে, জানুন সহজ উপায়
- সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ
- প্রবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ, আরব আমিরাত থেকে এলো অপ্রত্যাশিত খবর
- অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী করা হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত
- গাজা যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
- বাড়ছে বাণিজ্য, বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার আজকের হার
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
- সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি
- নেহা ভাসিন বনাম এলনাজ নরৌজি: জিম লুকে কার স্টাইল বেশি পছন্দ?
- ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস
- নতুন লুকে পূর্ণিমা, ছবি দেখে মুগ্ধ ভক্তরা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
- ‘বাঘ-সিংহের’ লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, পরিসংখ্যান কাদের পক্ষে?
- কাল্কি বিতর্কের পর দীপিকার নতুন শুরু: শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কিং’
- ফ্রান্সের বদলে আলজেরিয়ার জার্সি গায়ে লুকা জিদান
- পিআর পদ্ধতি ভারতের নীলনকশার অংশ: সরওয়ার আলমগীর
- যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
- ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারে টানা পতন: সূচকে বড় পতন, কমেছে লেনদেন
- “গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”
- বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!
- ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ
- “গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”
- “টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
- “এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার