প্রবাসী ভোটারদের জন্য ইসির বড় পরিকল্পনা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ০৮:১০:৩৮
প্রবাসী ভোটারদের জন্য ইসির বড় পরিকল্পনা
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ডাকযোগে ভোট প্রদানের (পোস্টাল ব্যালট) পদ্ধতিতেই আস্থা রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি এবং ডাক বিভাগ যৌথভাবে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, যার আওতায় বিশ্বব্যাপী ১৯২টি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও লজিস্টিক প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে। এই পদক্ষেপে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে, যাতে ভোট প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০ লাখ ভোটারকে নিবন্ধন করিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে ইসি। এই অনলাইন নিবন্ধন শেষে ডাকযোগে তাদের মধ্যে ব্যালট পাঠানো হবে। ভোটপ্রদানের এই পুরো প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে ডাক বিভাগকে সর্বোচ্চ ২৮ দিন এবং সর্বনিম্ন ৮ দিনের মধ্যে ব্যালট পাঠানো ও গ্রহণের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। দূরত্ব অনুযায়ী এই সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে।

এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন ৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা করেছে, যার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটি বর্তমানে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর আগে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও কিছু পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তা ফেরত দেওয়া হয়। সংশোধন শেষে পুনরায় তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

প্রকল্পের চারটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, প্রবাসী ভোটারদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর পোস্টাল ব্যালটিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন। দ্বিতীয়ত, দেশের অভ্যন্তরে উপযুক্ত ভোটারদের জন্য ডাকযোগে ভোটগ্রহণ পদ্ধতির সম্প্রসারণ। তৃতীয়ত, ভবিষ্যতে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালুর সম্ভাবনা মাথায় রেখে এর নিরাপত্তা, ব্যবহারযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য সফটওয়্যার উন্নয়ন। এবং চতুর্থত, ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা।

ডাক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, কিন্তু আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের ১৯২টি দেশের সঙ্গে ডাক বিভাগের যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সময়মতো ব্যালট পাঠানো এবং ফেরত আনা এই জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ২৮ দিন ও সর্বনিম্ন ৮ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ