সন্তানকে বুদ্ধিমান করতে পিতামাতার ১০টি কার্যকর কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ০৮:৫৪:২৫
সন্তানকে বুদ্ধিমান করতে পিতামাতার ১০টি কার্যকর কৌশল
ছবি: সংগৃহীত

শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে পিতামাতার ভূমিকা অপরিসীম। সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারলে তার সামগ্রিক প্রতিভা ও মননশক্তি দৃঢ় হয়। শিশুদের বুদ্ধিমান ও সৃজনশীল করে তোলার জন্য পিতামাতাদের সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রেক্ষিতে ১০টি কার্যকর কৌশল তুলে ধরা হলো, যা পিতামাতাদের সন্তানের মননশীলতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে:

১. বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

বিভিন্ন বয়সের জন্য উপযোগী গল্প, বিজ্ঞানভিত্তিক ও নৈতিক শিক্ষা সমৃদ্ধ বই পড়ানো শিশুর শব্দভাণ্ডার বাড়ায়, কল্পনাশক্তি বিকাশে সহায়ক হয় এবং চিন্তার গভীরতা বৃদ্ধি করে।

২. সন্তানের প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিন

যখন সন্তান কোনো বিষয় জানতে চায়, তখন ধৈর্য সহকারে তার প্রশ্নের উত্তর দিন। এতে তার কৌতূহল ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ।

৩. শেখার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন

বাসায় পড়াশোনা ও সৃজনশীল কাজের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, নিরিবিলি পরিবেশ নিশ্চিত করুন। প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত রেখে বাস্তব জীবন থেকে শেখার সুযোগ সৃষ্টি করুন।

৪. খেলনা ও গেমের মাধ্যমে শেখানো

শিক্ষামূলক খেলনা যেমন পাজল, লেগো, রুবিক্স কিউব ও মেমোরি গেম শিশুর যুক্তি বিকাশ, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. নিয়মিত গল্প বলা ও আলোচনা

রাতের বেলায় ছোট ছোট নৈতিক গল্প শোনানো ও পরে তাদের বিষয়ে আলাপচারিতা করার মাধ্যমে ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং চিন্তাশীল হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

৬. নিজে সদৃশ ভূমিকা পালন করুন

পিতামাতার আচরণ সন্তানদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। শৃঙ্খলা, মনোযোগ ও জিজ্ঞাসু মনোভাব নিজেদের মধ্যে গড়ে তুললে সন্তানও তা অনুসরণ করে।

৭. সঙ্গী নির্বাচন ও সময় ব্যবস্থাপনায় নজর দিন

সন্তান কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, তা লক্ষ্য রাখা জরুরি। সুস্থ ও উন্নত মানসিক বিকাশের জন্য ভালো পরিবেশ ও সঙ্গীর প্রয়োজন।

৮. শারীরিক ও মানসিক খেলাধুলার গুরুত্ব দিন

দৌড়, দাবা, ক্যারাম এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা মন ও শরীরকে সক্রিয় রাখে, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

৯. সঙ্গতিপূর্ণ প্রশংসা দিয়ে উৎসাহ দিন

অতিরিক্ত বা অবাস্তব প্রশংসার পরিবর্তে সন্তানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন। এতে আত্মবিশ্বাস ও মনোযোগ বাড়ে, যা শিখতে উৎসাহিত করে।

১০. পারিবারিক আলোচনা ও মতামত প্রদানের সুযোগ দিন

পরিবারে নিয়মিত আলোচনায় সন্তানকে মতামত দিতে উৎসাহিত করলে সে দায়িত্বশীলতা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা অর্জন করে, যা তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়ক।

সন্তানের মেধা বিকাশে এসব কৌশল প্রয়োগ করলে সে কেবল পড়াশোনায় সফল হবে না, বরং জীবনের নানা ক্ষেত্রে সৃজনশীল ও যুক্তিবদ্ধ চিন্তা করতে সক্ষম হবে। এজন্য পিতামাতাদের সচেতন হওয়া ও ধারাবাহিকভাবে শিশুর মানসিক বিকাশের প্রতি মনোযোগ দেয়া অত্যাবশ্যক।


রান্নাঘরের যে ৫টি জিনিস নিঃশব্দে শরীরে বিষ ছড়াচ্ছে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ২১:৩৭:০৪
রান্নাঘরের যে ৫টি জিনিস নিঃশব্দে শরীরে বিষ ছড়াচ্ছে
ছবি : সংগৃহীত

আমরা সাধারণত রান্নাঘরকে পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির আধার হিসেবে বিবেচনা করি। তবে প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহৃত সাধারণ কিছু উপকরণ যে আমাদের অলক্ষ্যেই শরীরের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনছে, তা নিয়ে সম্প্রতি এক বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অলোক চোপড়া। তার মতে আমরা কী খাবার রান্না করছি তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন পাত্রে বা কী উপকরণ দিয়ে তা রান্না করছি। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় তিনি আধুনিক রান্নাঘরের পাঁচটি প্রচলিত জিনিসের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।

ড. চোপড়ার সতর্কবার্তায় তালিকার প্রথমেই রয়েছে জনপ্রিয় ‘নন-স্টিক ফ্রাইপ্যান’। তিনি জানিয়েছেন যে এই প্যানগুলো অতিরিক্ত উত্তপ্ত হলে এক ধরণের বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। বিশেষ করে যদি প্যানের গায়ে আঁচড় থাকে, তবে সেখান থেকে পিএফওএ এবং পিএফএএস জাতীয় রাসায়নিক সরাসরি খাবারের সঙ্গে মিশে যায় যা শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এই ঝুঁকি এড়াতে তিনি স্টেইনলেস স্টিল, কাস্ট আয়রন বা সিরামিকের পাত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। একইভাবে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহারের বিপদ সম্পর্কেও তিনি সতর্ক করেছেন। উচ্চ তাপে টক জাতীয় খাবারের সংস্পর্শে এলে ফয়েল থেকে অ্যালুমিনিয়াম খাবারে মিশে যায় যা দীর্ঘমেয়াদে স্নায়বিক সমস্যা ও অ্যালঝেইমার রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

রান্নাঘরের আরেকটি নীরব ঘাতক হলো প্লাস্টিকের পাত্র এবং রান্নার সরঞ্জাম। ড. অলোক চোপড়া বলেন যে প্লাস্টিকের চামচ বা স্প্যাচুলা দিয়ে গরম খাবার নাড়ালে সেখান থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং বিপিএ-এর মতো রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে যা প্রজননক্ষমতা কমানোর পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দেয়। বিশেষ করে কালো রঙের প্লাস্টিক আরও বেশি বিপজ্জনক কারণ এগুলো অনেক সময় ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে পুনরুৎপাদন করা হয়। খাবার সংরক্ষণের জন্য কাচ বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রই সবচেয়ে নিরাপদ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সবশেষে তিনি গ্যাস স্টোভ থেকে নির্গত ধোঁয়ার বিপদ নিয়ে কথা বলেছেন। যেসব রান্নাঘরে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা নেই, সেখানে গ্যাস স্টোভ থেকে নির্গত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন মনোঅক্সাইড শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও ফুসফুসের জটিল সংক্রমণের কারণ হতে পারে। ড. চোপড়ার মতে সম্ভব হলে ইন্ডাকশন কুকটপ ব্যবহার করা উত্তম অথবা রান্নার সময় অবশ্যই জানালা খোলা রাখা বা শক্তিশালী এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করা জরুরি। প্রতিদিনের এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোই দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


অনিদ্রা দূর করতে রাতের সহজ অভ্যাস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৮:২২:১২
অনিদ্রা দূর করতে রাতের সহজ অভ্যাস
ছবি: সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবন, অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহার এবং মানসিক চাপের কারণে অনিদ্রা এখন একটি নীরব জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শুধু ক্লান্তিই বাড়ে না, দীর্ঘমেয়াদে মনোযোগহীনতা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া, মানসিক অস্থিরতা এবং শারীরিক নানা জটিলতাও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের ওপর নির্ভর না করে রাতের কিছু নিয়মিত অভ্যাস বদলালেই অনিদ্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

কেন রাতের রুটিন ঘুমে প্রভাব ফেলে

মানুষের শরীর একটি নির্দিষ্ট জৈব ছন্দ অনুযায়ী কাজ করে। রাতে আলো, শব্দ, খাবার ও মানসিক উত্তেজনা এই ছন্দকে বিঘ্নিত করলে ঘুম দেরিতে আসে অথবা গভীর হয় না। ফলে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া বা সকালে ক্লান্ত বোধ করার প্রবণতা বাড়ে। সুশৃঙ্খল রাতের রুটিন শরীরকে নিয়মে ফেরাতে সহায়তা করে।

অনিদ্রা দূর করতে রাতের কার্যকর অভ্যাস

নির্দিষ্ট ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখা

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরকে একটি স্থায়ী সংকেত দেয়। ছুটির দিনেও সময়সূচী বদল না করলে ঘুমের গভীরতা ও স্থায়িত্ব বাড়ে।

ঘুমের আগে স্ক্রিন ব্যবহার কমানো

ঘুমানোর অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও টিভি বন্ধ রাখা জরুরি। এসব ডিভাইসের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, যা ঘুম আসার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে।

আরামদায়ক প্রাক-ঘুম রুটিন তৈরি করা

হালকা গরম পানিতে গোসল, বই পড়া, ধীর গতির সঙ্গীত শোনা বা কয়েক মিনিটের ধ্যান মস্তিষ্ককে শান্ত করে। এই অভ্যাসগুলো শরীরকে জানিয়ে দেয় যে বিশ্রামের সময় এসেছে।

খাবার ও পানীয়ের বিষয়ে সতর্কতা

রাতে ভারী ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও নিকোটিন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে ঘুমের স্বাভাবিক ধাপ নষ্ট করে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ বা ক্যাফেইন-মুক্ত ভেষজ চা আরাম দিতে পারে।

শোবার ঘরের পরিবেশ ঠিক রাখা

ঘুমের জন্য ঘর অন্ধকার, নীরব এবং তুলনামূলক শীতল রাখা সবচেয়ে উপযোগী। তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে শরীর দ্রুত বিশ্রামে যেতে পারে।

ব্যায়ামের সঠিক সময় নির্বাচন

নিয়মিত শরীরচর্চা ঘুমের মান উন্নত করে, তবে শোবার ঠিক আগে ব্যায়াম করলে শরীর অতিরিক্ত সজাগ হয়ে ওঠে। অন্তত চার ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করা ভালো।

দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণের কৌশল

ঘুমানোর আগে মাথায় ঘুরতে থাকা চিন্তাগুলো কাগজে লিখে রেখে নিজেকে আশ্বস্ত করা যেতে পারে যে এগুলো পরদিন ভাবা হবে। এতে মানসিক চাপ কমে এবং ঘুম সহজ হয়।

ঘুম না এলে করণীয়

বিছানায় শুয়ে ১৫ মিনিটের বেশি সময় ঘুম না এলে উঠে অন্য ঘরে গিয়ে শান্ত কোনো কাজ করা ভালো। ঘুম ভাব ফিরে এলে আবার বিছানায় যাওয়া উচিত।

যে অভ্যাসগুলো অনিদ্রা বাড়ায়

দিনের বেলায় দীর্ঘ সময় ঘুমানো, সন্ধ্যার পর ক্যাফেইন গ্রহণ, রাতে পেট ভরে খাওয়া এবং ঘুমের সময় বারবার পরিবর্তন করা অনিদ্রাকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। এসব অভ্যাস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ সতর্কতা

অনিদ্রা হঠাৎ তৈরি হয় না, আবার দ্রুত সেরে যায়ও না। তবে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর রাতের অভ্যাস গড়ে তুললে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘুমের মানে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। দীর্ঘদিন অনিদ্রা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।


রাতে ঘুমানোর আগে কী খাবেন, কী খাবেন না

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৮:১২:৪৩
রাতে ঘুমানোর আগে কী খাবেন, কী খাবেন না
ছবি: সংগৃহীত

ভালো ঘুম শুধু ক্লান্তি দূর করে না, বরং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক স্থিতি, হরমোনের ভারসাম্য এবং পরদিনের কর্মক্ষমতাও নির্ধারণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর আগের খাদ্যাভ্যাস ঘুমের মান নির্ধারণে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখে। সঠিক খাবার মস্তিষ্ককে বিশ্রামের সংকেত দেয়, আর ভুল খাবার ঘুমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

কেন ঘুমের আগে খাবার গুরুত্বপূর্ণ

ঘুমের সময় শরীর নিজেকে মেরামত করে। এই সময় মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন নামের হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিছু খাবার এই হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, আবার কিছু খাবার স্নায়ুকে অতিরিক্ত সক্রিয় করে তোলে। তাই রাতে কী খাবেন, সেটি শুধু পেটের বিষয় নয়; এটি পুরো স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।

ঘুমানোর আগে যেসব খাবার খাওয়া উপকারী

কলা

কলা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ, যা পেশী শিথিল করে এবং স্নায়ুকে শান্ত করে। ঘুমানোর আগে একটি কলা শরীরকে ধীরে ধীরে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করে।

গরম দুধ

গরম দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে ঘুমের সংকেত পাঠাতে সাহায্য করে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি মানসিক প্রশান্তিও আনে।

বাদাম (বিশেষ করে কাঠবাদাম)

বাদামে ম্যাগনেসিয়াম ও প্রাকৃতিক মেলাটোনিন থাকে, যা ঘুমের জৈব ঘড়ি ঠিক রাখতে সহায়ক। অল্প কয়েকটি বাদামই যথেষ্ট।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু সহজপাচ্য এবং এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম স্নায়ু ও পেশীকে প্রশান্ত করে। ভারী খাবারের বিকল্প হিসেবে এটি ভালো।

চেরি

চেরি প্রাকৃতিকভাবে মেলাটোনিনের উৎস। নিয়মিত অল্প পরিমাণে খেলে ঘুমের সময়সূচি স্থিতিশীল হতে পারে।

হালকা কার্বোহাইড্রেট

ওটস, হোল গ্রেইন ক্র্যাকার বা অল্প ভাত ট্রিপটোফ্যানকে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে সহায়তা করে, ফলে ঘুম সহজ হয়।

ঘুমানোর আগে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি

ক্যাফেইনযুক্ত খাবার ও পানীয়

কফি, চা, চকলেট ও এনার্জি ড্রিংক স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং ঘুম আসতে বাধা দেয়। সন্ধ্যার পর এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার

মিষ্টি বা ডেজার্ট রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে আবার কমিয়ে দেয়, যার ফলে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

মশলাদার খাবার

ঝাল ও মশলাদার খাবার অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে, যা ঘুম ব্যাহত করে।

চর্বিযুক্ত ও ভাজা খাবার

এ ধরনের খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, ফলে রাতে শরীর বিশ্রামের বদলে হজমে ব্যস্ত থাকে।

অতিরিক্ত জলীয় খাবার

রাতে বেশি স্যুপ বা ফল খেলে বারবার প্রস্রাবের চাপ তৈরি হতে পারে, যা ঘুম ভাঙার কারণ হয়।

অ্যালকোহল

অনেকে ভাবেন অ্যালকোহলে ঘুম আসে, কিন্তু এটি গভীর ঘুমের ধাপ নষ্ট করে এবং ঘন ঘন ঘুম ভাঙায়।

টাইরামিনসমৃদ্ধ খাবার

পুরোনো বা সংরক্ষিত কিছু পনিরে থাকা টাইরামিন স্নায়ুকে অতিরিক্ত সজাগ করে তোলে।


হাড়ের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধে রোদের জাদুকরী উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১১:৩৮:২৫
হাড়ের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধে রোদের জাদুকরী উপকারিতা
ছবি : সংগৃহীত

আধুনিক ব্যস্ত জীবনধারা আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময় চার দেয়ালের মাঝে আটকে দিচ্ছে। ঘর কিংবা অফিসের কৃত্রিম আলো আর স্মার্টফোনের স্ক্রিনে বুঁদ হয়ে থাকার ফলে বর্তমান প্রজন্মের বড় একটি অংশ প্রাকৃতিক সূর্যালোক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে বিজ্ঞান বলছে যে সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা কেবল একটি অভ্যাস নয় বরং এটি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি। নিয়মিত রোদে সময় কাটানো শরীর ও মনের সুস্থতা বজায় রাখার পাশাপাশি মানুষের গড় আয়ু বাড়াতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সূর্যের আলোর সবচেয়ে বড় অবদান হলো শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করা। যখন ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসে তখন প্রাকৃতিকভাবেই এই ভিটামিন উৎপন্ন হয় যা হাড় শক্ত রাখা এবং পেশির কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে অপরিহার্য। শরীরে ভিটামিন ডির পর্যাপ্ত উপস্থিতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও সক্রিয় করে তোলে। এছাড়া হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের ওপরও রোদের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সূর্যের আলো শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসরণে সহায়তা করে যা রক্তনালী প্রসারিত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে সূর্যালোক একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে। রোদ পোহালে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক এক ধরণের হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা মানুষের মেজাজ বা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিনের মানসিক ক্লান্তি বা অবসাদ কাটাতে সূর্যের আলো ওষুধের মতো কাজ করে। এমনকি রাতের ঘুমের গুণগত মান উন্নত করতেও এটি অপরিহার্য। সকালের রোদ শরীরের ভেতরকার জৈবঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে যার ফলে রাতে গভীর ও আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত হয়।

সরাসরি স্বাস্থ্যগত উপকারের পাশাপাশি রোদে সময় কাটানোর অর্থ হলো বাইরের মুক্ত পরিবেশে চলাফেরা ও শারীরিক সক্রিয়তা। খোলা হাওয়ায় হাঁটাচলা করলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি কমে আসে। তবে মনে রাখতে হবে যে অতিরিক্ত রোদ আবার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে দুপুরের কড়া রোদ এড়িয়ে চলে সকাল বা বিকেলের নরম রোদে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় কাটানোই সবচেয়ে বেশি উপযোগী। সুস্থ শরীর আর প্রশান্ত মনের জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় হলেও প্রাকৃতিক সূর্যের আলো উপভোগ করা এখন সময়ের দাবি।


শীতের বুকে জমা কফ দূর করবে তুলসী চা: জানুন জাদুকরী গুণ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১০:২৭:৪৬
শীতের বুকে জমা কফ দূর করবে তুলসী চা: জানুন জাদুকরী গুণ
ছবি : সংগৃহীত

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি আর বুকে জমে থাকা কফের সমস্যা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যাওয়ায় ভাইরাসজনিত সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই সরাসরি অ্যান্টিবায়োটিক বা কফ সিরাপের দিকে ঝুঁকলেও প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্র বা আয়ুর্বেদ বলছে ভিন্ন কথা। ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে শীতের এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতার চা হতে পারে একটি অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ সমাধান।

আয়ুর্বেদে তুলসীকে ‘ভেষজের রানি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে কারণ এর রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুণ। তুলসী পাতায় বিদ্যমান ‘ইউজেনল’ নামক উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে ও ব্যথা উপশমে কাজ করে। অন্যদিকে এতে থাকা ক্যাম্পফিন ও সিনেমোল ফুসফুসের শ্বাসনালিতে জমে থাকা ঘন শ্লেষ্মাকে তরল করতে সাহায্য করে। এর ফলে জমে থাকা কফ সহজে বের হয়ে আসে এবং শ্বাস নিতে স্বস্তি মেলে। নিয়মিত তুলসী চা পানে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয় যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে ভেতর থেকে প্রস্তুত করে তোলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে তুলসী চা কেবল কফ পাতলা করে না বরং শ্বাসনালির ভেতরের প্রদাহ কমিয়ে কাশির তীব্রতাও হ্রাস করে। সাধারণ সর্দি, ফ্লু কিংবা শ্বাসযন্ত্রের যেকোনো সংক্রমণে এই পানীয় বিশেষ উপকারী। এর সঙ্গে সামান্য কুচানো আদা ও মধু মিশিয়ে নিলে গলা ব্যথা ও সংক্রমণ থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব। তুলসীর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণাগুণ শরীরকে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা প্রদান করে যা শীতের এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

তাজা তুলসী পাতা দিয়ে বাড়িতেই খুব সহজে এই চা তৈরি করা যায়। এক কাপ পানিতে ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা এবং সামান্য আদা দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিলেই এটি প্রস্তুত হয়ে যায়। পানি ফুটে কিছুটা কমে এলে ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম অবস্থায় মধু বা গুড় মিশিয়ে পান করা সবচেয়ে ভালো। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় অন্তত দুইবার এই চা পানের অভ্যাস শীতকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। তবে শারীরিক সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা তীব্রতা বাড়লে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।


 অনিদ্রা ও ক্লান্তি দূর হবে: রাতে ঘুমানোর আগে সেরা ৫টি খাবারের তালিকা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ২১:১৫:০৭
 অনিদ্রা ও ক্লান্তি দূর হবে: রাতে ঘুমানোর আগে সেরা ৫টি খাবারের তালিকা
ছবি : সংগৃহীত

সুস্থ জীবনের জন্য কেবল পুষ্টিকর খাবার গ্রহণই যথেষ্ট নয় বরং দিনের কোন সময়ে আমরা কী খাচ্ছি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে দিনের শেষভাগে আমাদের গৃহীত খাদ্যের ওপর নির্ভর করে শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা, ঘুমের গভীরতা এবং পরবর্তী দিনের কর্মশক্তি। রাতে হালকা কিন্তু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার যেমন শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেয় তেমনি এটি হজম প্রক্রিয়াকেও সহজ করে তোলে। রাতের খাবারের তালিকায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন আনলে তা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

রাতের আদর্শ খাবারের তালিকায় পুষ্টিবিদরা প্রথমেই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন এক গ্লাস হালকা গরম দুধ। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদান মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে যা দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে। এছাড়া যারা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে চান তাদের জন্য ওটস একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে এবং মধ্যরাতের ক্ষুধাবোধ কমিয়ে দেয়। পেশি পুনর্গঠন এবং প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে একটি সেদ্ধ ডিমও রাতের জন্য বেশ উপযোগী।

শাকসবজির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে রাতে কম ক্যালরিযুক্ত সবজি স্যুপ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজের যোগান দেয়। এছাড়া পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কলা স্নায়ুকে শান্ত রাখে যা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা এবং নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য সামান্য পরিমাণে কাঠবাদাম বা আখরোট খাওয়া যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত বা গুরুপাক খাবার রাতে এড়িয়ে চলাই ভালো অন্যথায় বদহজমের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

সুস্থ থাকতে কেবল সঠিক খাবার নির্বাচনই নয় বরং খাওয়ার সময়ের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ঘুমানোর অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করা উচিত। এটি পাকস্থলীকে খাবার হজম করার পর্যাপ্ত সময় দেয় যার ফলে শরীর ও মন সতেজ থাকে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর নিয়মিত জীবনযাত্রাই পারে আধুনিক জীবনের নানা শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি দিতে।


সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে, গুড়ের চা পানের অবিশ্বাস্য ৪ উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৯:০৩:১৭
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে, গুড়ের চা পানের অবিশ্বাস্য ৪ উপকারিতা
ছবি : সংগৃহীত

শীতের আগমনে ঘরে ঘরে হাঁচি, কাশি এবং ঠাণ্ডাজনিত শারীরিক সমস্যার প্রাদুর্ভাব যেন লেগেই থাকে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি ও গলার ব্যথার পাশাপাশি অনেকেরই কাজের উদ্যম বা এনার্জি কমে যায়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই সাধারণ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে দামি ওষুধের প্রয়োজন নেই বরং প্রতিদিনের চায়ের সঙ্গে সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলেই মিলতে পারে জাদুকরী সমাধান। গুড় কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ ও রোগমুক্ত রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

চায়ের সঙ্গে গুড় মেশালে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বহুগুণ বেড়ে যায়। গুড়ে থাকা আয়রন ও জিঙ্ক সরাসরি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে যা নিয়মিত পানে সর্দি-কাশির প্রবণতা কমিয়ে দেয়। এছাড়া শীতকালীন পিকনিক বা ভারী খাবারের ফলে সৃষ্ট হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও গুড় অত্যন্ত কার্যকর। দিনে অন্তত এক থেকে দুই কাপ গুড়ের চা পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার থাকে এবং বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয়।

বায়ুদূষণ এবং তীব্র ঠাণ্ডার কারণে যাদের শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য গুড় বিশেষ আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি ফুসফুস ও শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে যা বিশেষ করে সিওপিডি রোগীদের জন্য বেশ আরামদায়ক। পাশাপাশি গুড় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং লিভার থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতার ওপর।

তবে গুড়ের চা তৈরির ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মানা জরুরি। চা ফোটানোর সময় সরাসরি গুড় মেশালে পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর পরিবর্তে চা পাতা, আদা ও এলাচ ফুটিয়ে ছেঁকে নেওয়ার পর কাপে এক চা চামচ গুড় বা গুড়ের পাউডার মেশানোই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। উল্লেখ্য যে গুড় মিশিয়ে চা পান করলে দুধ এড়িয়ে চলাই ভালো। শীতের এই দিনগুলোতে নিজেকে সজীব ও রোগমুক্ত রাখতে প্রতিদিনের অভ্যাসে গুড়ের চা অন্তর্ভুক্ত করা একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে।

সূত্র : এই সময় অনলাইন


ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে সেরা ৫ ইনডোর প্ল্যান্ট

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৪:০৬:৩৩
ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে সেরা ৫ ইনডোর প্ল্যান্ট
ছবি: সংগৃহীত

ঘরের ভেতরের বাতাস অনেক সময় বাইরের তুলনায় বেশি দূষিত হয়ে ওঠে। এসি, রান্নার ধোঁয়া, আসবাবপত্রের কেমিক্যাল ও পরিষ্কারক দ্রব্য থেকে নির্গত ফরমালডিহাইড, বেনজিন ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। এই সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায় হতে পারে ইনডোর প্ল্যান্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট গাছ বাতাস থেকে বিষাক্ত উপাদান শোষণ করে পরিবেশকে বিশুদ্ধ ও সতেজ রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ঘরে সবুজ গাছ রাখলে শুধু বাতাস পরিষ্কার হয় না, বরং মানসিক প্রশান্তি বাড়ে, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা কমে। নিচে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে সবচেয়ে কার্যকর পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্টের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

প্রথমেই রয়েছে স্নেক প্ল্যান্ট। এই গাছটি কম আলোতেও সহজে বেড়ে ওঠে এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি রাতে অক্সিজেন ছাড়ে। ফলে শোবার ঘরের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। কার্বন ডাই-অক্সাইড ও ফরমালডিহাইড শোষণ করে স্নেক প্ল্যান্ট ঘরের বাতাসকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে সহায়তা করে।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গাছ পিস লিলি। এটি ফরমালডিহাইড ও বেনজিনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক দূর করতে কার্যকর। একই সঙ্গে এটি বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ায়, যা শুষ্ক আবহাওয়ায় শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। ফুলের সৌন্দর্যের কারণে ঘরের নান্দনিকতাও বৃদ্ধি পায়।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পাইডার প্ল্যান্ট। খুব কম যত্নে বেড়ে ওঠা এই গাছটি নতুনদের জন্য আদর্শ। এটি বাতাস থেকে কার্বন মনোক্সাইড ও অন্যান্য দূষক শোষণ করতে পারে এবং দ্রুত বংশবিস্তার করে ঘরের পরিবেশ আরও সবুজ করে তোলে।

চতুর্থ গাছ মানি প্ল্যান্ট, যাকে ডেভিল’স আইভি নামেও ডাকা হয়। এই গাছটি প্রায় সব ধরনের পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। ফরমালডিহাইড, বেনজিনসহ বিভিন্ন VOCs শোষণের মাধ্যমে এটি ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই এটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করেন।

পঞ্চম এবং অত্যন্ত কার্যকর গাছ হলো বোস্টন ফার্ন। এই ফার্ন জাতীয় গাছ বাতাস থেকে জাইলিন ও টলুইনের মতো দূষণকারী উপাদান দূর করতে বিশেষভাবে সক্ষম। পাশাপাশি এটি ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বক ও শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী।

এছাড়াও ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে আরও কিছু গাছ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যারিকা পাম, ইংলিশ আইভি, রাবার প্ল্যান্ট, ড্রেসিনা এবং জেরবেরা ডেইজি। এসব গাছ ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ঘরে কয়েকটি সঠিক ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলে আলাদা কোনো যন্ত্র ছাড়াই বাতাস পরিষ্কার রাখা সম্ভব। নিয়মিত পানি দেওয়া, পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করা এবং মাঝেমধ্যে পাতাগুলো পরিষ্কার রাখলেই এই গাছগুলো দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবে এবং আপনার ঘরের পরিবেশকে রাখবে আরও স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত।


বয়স বাড়লেও টেস্টোস্টেরন থাকবে অটুট: জানুন কার্যকরী উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ০৯:৪৮:৪৬
বয়স বাড়লেও টেস্টোস্টেরন থাকবে অটুট: জানুন কার্যকরী উপায়
ছবি : সংগৃহীত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমতে শুরু করে। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন যে এই হরমোনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে ক্লান্তি, যৌন সক্ষমতা হ্রাস, মাংসপেশির দুর্বলতা এমনকি গভীর মানসিক অবসাদও দেখা দিতে পারে। তবে সুসংবাদ হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে বয়স বাড়লেও এই হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব বলে গবেষকরা দাবি করছেন। হরমোন উৎপাদনে সহায়ক কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে পুরুষরা দীর্ঘকাল সজীব ও শক্তিশালী থাকতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ডিম অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বাদাম ও আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং জিঙ্ক হরমোন বৃদ্ধিতে সরাসরি সহায়তা দেয়। শরীরকে শক্তিশালী রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চর্বিহীন মাংস ও সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-র উৎস হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখতে অপরিহার্য। পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডাল ও শস্যজাতীয় খাবার টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হতে পারে।

সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক ও ব্রোকলিতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম দেহে হরমোন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ যোগান দেয়। ফলের মধ্যে ডালিম ও কলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টেস্টোস্টেরনের মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে কেবল খাবারই যথেষ্ট নয় বরং হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোন নিঃসরণ প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে অন্যতম প্রধান শর্ত। সঠিক খাবার আর সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই পারে বার্ধক্যেও পুরুষের জীবনীশক্তি অটুট রাখতে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত