ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

মাগুরায় বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আপডেট 

২০২৫ এপ্রিল ২৭ ২২:৩০:০০
মাগুরায় বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আপডেট 

সত্য নিউজ:মাগুরায় বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মামলার মোট ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তারা হলেন—আছিয়ার মা আয়েশা খাতুন, অভিযুক্ত হিটু শেখের প্রতিবেশী জলি খাতুন এবং ভ্যানচালক রুবেল।

আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম প্রতিদিন চলবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

আসামিদের অবস্থান ও আইনি প্রক্রিয়া

প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখ আগে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও রবিবার আদালতে তিনি এবং অন্যান্য আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। এরপর তাদের পক্ষে লিগাল এইডের মাধ্যমে সোহেল আহমেদকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি আদালতে যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণ করেননি। শিশু আছিয়ার পক্ষে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নিচ্ছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল। তাকে সহযোগিতা করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গঠিত পাঁচ সদস্যের আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা।

মামলার পটভূমি

গত ৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ করে এবং হত্যার চেষ্টা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আছিয়াকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়, যেখানে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছিয়ার মৃত্যু হয় এ ঘটনায় আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ গত ১৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার চার্জশিটে মূল আসামি হিসেবে হিটু শেখের নাম উঠে আসে। শিশু আছিয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ড মাগুরাসহ সারাদেশে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করে। সর্বস্তরের মানুষ আছিয়ার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, মামলার সকল সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন শুনানি চলবে। দ্রুততম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আদালত এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা কাজ করে যাচ্ছেন।