জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংকট

দাবি পূরণের আশ্বাস, অনশন ভেঙ্গে শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা কি বললেন? 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৬ ২১:৩৯:৫৭
দাবি পূরণের আশ্বাস, অনশন ভেঙ্গে শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা কি বললেন? 

সত্য নিউজ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি সরকার মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কাকরাইল মসজিদের মোড়ে আন্দোলনস্থলে এসে তিনি শিক্ষার্থীদের এই তথ্য জানান।

এরপর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেগুলো উল্লেখ করেন। উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আবাসন সংকট সমাধানের জন্য দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণ করা হবে। নতুন ক্যাম্পাসের কাজও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।"

এরপর, ইউজিসি চেয়ারম্যান এক শিক্ষার্থীকে পানি পান করিয়ে গণ-অনশন ভাঙার চেষ্টা করেন। এ সময় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন উপস্থিত ছিলেন। কিছু শিক্ষার্থী অনশন ভেঙে ফেললেও, কিছু শিক্ষার্থী দাবি করছেন যে, সরকার তাদের দাবির সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা না করলে তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন:

১। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি কার্যকর করা।

২। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন করা।

৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন এবং অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করা।

এই দাবিতে গত বুধবার শিক্ষার্থীরা লংমার্চ করেন। কাকরাইলে পৌঁছানোর পর পুলিশের বাধার মুখে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন, যা টানা তিন দিন চলতে থাকে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান এবং উপাচার্যের বক্তব্যের পর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ার কথা জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তবে, শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে রয়েছেন এবং তারা সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণার পরই আন্দোলন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত