জাতীয় স্বার্থক্ষুন্ন হবেনা: আশিক চৌধুরী

সত্য নিউজ: বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী হারুন মঙ্গলবার এক মতবিনিময় সভায় স্পষ্ট করে বলেন, জাতীয় স্বার্থ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ধরণের আপসের সুযোগ নেই। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই বন্দর গোটা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। একে বিশ্বমানের বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান পাবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা।
বিডা আয়োজিত এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয় দেশের টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নীতিগত ধারাবাহিকতা, চলমান সংস্কার এবং তার সাম্প্রতিক অগ্রগতির বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়।
চৌধুরী আশিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে তিনি দলীয় বা রাজনীতির পরিধির বাইরে একটি বিশুদ্ধ জাতীয় স্বার্থ হিসেবে বিবেচনা করেন। বাংলাদেশে একটি অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে বিডা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে তিনি এও স্বীকার করেন যে, বিনিয়োগের পরিবেশ এখনো নানা সংকটে জর্জরিত, এবং এসব সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে।
সভায় বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রচি একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিডার সংস্কার পরিকল্পনা, অগ্রগতির চিত্র এবং বিনিয়োগ সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি জানান, স্থানীয় বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে ঘিরে বিদ্যমান অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে উঠে আসে সরকারি পরিষেবার মান, নীতির ধারাবাহিকতার অভাব, শিল্প সংশ্লিষ্ট পরামর্শ প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা, দুর্নীতির উপস্থিতি এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া—যেগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এসব সমস্যা সমাধানে বিডা ইতিমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপও প্রণয়ন করেছে।
সভায় উপস্থিত প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বিডার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় ও বিদেশি উভয় ধরনের বিনিয়োগকারীদের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়া তারা দেশের দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের প্রসার, অবকাঠামো উন্নয়ন, আইনগত জটিলতার অবসান, শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা এবং পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ নীতির বাস্তবায়নের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। বিডার কার্যক্রম যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বিত হয়, সে আহ্বানও উঠে আসে আলোচনায়।
সভার শেষ অংশে বিডা চেয়ারম্যান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে জানান, ভবিষ্যতের উপস্থাপনাগুলোতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের গুরুত্ব আলাদাভাবে তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের রাজনৈতিক সংলাপ ভবিষ্যতেও নিয়মিত ও গঠনমূলকভাবে অনুষ্ঠিত হবে, যা দেশের বিনিয়োগ কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি এ আলোচনা সভাকে একটি বহুমাত্রিক ও বহুপক্ষীয় মতবিনিময়ে রূপ দেয়। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পূর্ণ সমর্থন এই বার্তাই দেয় যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে রাজনৈতিক মতানৈক্য পেছনে রেখে জাতীয় স্বার্থে ঐক্য গঠন সম্ভব।
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাফল্যের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে, তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি চীনের অবদানের কথাও তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস চীনকে বাংলাদেশের 'সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার' হিসেবে উল্লেখ করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সাল কেবল চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও। তিনি বিশ্ব শান্তিতে চীনের ত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, চীন এখন শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে দেশটি নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে।
ইয়াও ওয়েন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের ওপরও জোর দেন এবং বলেন, চীন বাংলাদেশের আধুনিকায়নের যাত্রায় সহায়তা অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, দুই দেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা এবং সমান সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার’ হয়ে থাকবে।
অন্যান্য অতিথিদের মন্তব্য
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবায় চীনের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন তৈরি হয়েছে এবং বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি অতিথিরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।
টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দ্য টাইমস-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি অতীতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছেন। ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টিউলিপের অতীতের বক্তব্যের সঙ্গে নতুন এই তথ্য সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
বাংলাদেশি পরিচয়পত্রের রেকর্ড
বাংলাদেশি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দ্য টাইমস জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে ১৯ বছর বয়সে লন্ডনে একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। এছাড়া, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে তার নামে একটি বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রও ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস এবং নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসেও এ সংক্রান্ত রেকর্ড পাওয়া গেছে। উভয় ক্ষেত্রেই তার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাড়ি, যা তার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালিকানাধীন।
অভিযোগ ও অস্বীকার
দ্য টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক বারবার দাবি করেছেন যে তিনি কোনো বাংলাদেশি পরিচয়পত্র পাননি এবং শৈশবের পর থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টও ব্যবহার করেননি। এমনকি গত আগস্টে তার আইনজীবী স্টিফেনসন হারউডও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন যে টিউলিপ কখনো বাংলাদেশি পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি পাননি।
তবে এসব নথির বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার দল (লেবার পার্টি) বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, এসব নথি জাল এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।
আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী বা বাংলাদেশি পিতা-মাতার সন্তান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পান। টিউলিপ ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করলেও তার মা-বাবা উভয়ই বাংলাদেশি হওয়ায় তিনি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। তবে তিনি বারবার নিজেকে শুধু ব্রিটিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি ব্রিটিশ এমপি, আমি বাংলাদেশি নই।”
মামলা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতি মামলা চলছে। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার প্রভাব খাটিয়ে মা ও ভাই-বোনদের জন্য জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। টিউলিপ অবশ্য এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম দ্য টাইমসকে জানিয়েছেন, টিউলিপের পাসপোর্ট, এনআইডি এবং ট্যাক্স আইডির রেকর্ড পাওয়া গেছে। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনও এই নথিগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন কমিশনও ডেটাবেইস মিলিয়ে তথ্যটি যাচাই করেছে।
২০১১ সালে যখন টিউলিপের এনআইডি ও পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছিল, তখন তাকে ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে এবং খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘ অধিবেশন ও মস্কো সফরেও দেখা গিয়েছিল।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অ্যান্টি-করাপশন মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একটি তদন্তে উঠে এসেছিল যে, তার পারিবারিক রাজনৈতিক যোগসূত্র লেবার সরকারের ভাবমূর্তিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমর্থন তার প্রতি ছিল। টিউলিপ তখন দাবি করেছিলেন, তিনি সরকারের সুনাম রক্ষার স্বার্থে পদত্যাগ করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের মুখপাত্র এখনো তার আগের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তাদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাকে জড়িয়ে নথি জাল করা হচ্ছে এবং ব্রিটিশ সরকারের উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসও তাকে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন।
নতুন করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর টিউলিপ সিদ্দিকের নাগরিকত্ব এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হলেও ২০২৬ সালের বইমেলার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেলাটি এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেলা শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর এবং চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পবিত্র রমজান মাসকে বিবেচনায় নিয়ে এই সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব ও পরিচালকরাসহ বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের বইমেলার চিত্র
চলতি বছরের বইমেলা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। মেলায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৭০৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১,০৮৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বাংলা একাডেমিসহ ৩৭টি প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন পেয়েছিল। শিশুদের জন্য ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বছর মেলায় মোট ৩,২৯৯টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছিল। মেলায় সব প্রতিষ্ঠানের বই ২৫ শতাংশ কমিশনে বিক্রি হয়। বাংলা একাডেমি একাই ২৭ দিনে ৬১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৩ টাকার বই বিক্রি করেছে।
চলতি বছর মেলায় বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কারও প্রদান করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার, কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার’।
সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ১৭ সেপ্টেম্বর একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা তাদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আঞ্চলিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাংলাদেশি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি মুসলিম বিশ্বের জন্য ইতিবাচক অগ্রগতি। তিনি মন্তব্য করেন, এখন থেকে সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সেটিকে উভয় দেশ নিজেদের ওপর আগ্রাসন হিসেবে দেখবে এবং যৌথভাবে জবাব দেবে। তার মতে, মুসলিম দেশগুলোর সামনে এমন চুক্তি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কাতারে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলা সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সৌদি আরব বিকল্প নিরাপত্তা সহযোগিতা খুঁজছে, যেখানে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি ও বিশেষ করে তার পারমাণবিক সক্ষমতা তাৎপর্য বহন করছে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তি কোনো একক ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং বহু বছরের আলোচনার ফলাফল। তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরব বা পাকিস্তানের যেকোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে সেটিকে অন্য দেশের ওপরও হামলা হিসেবে ধরা হবে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একে অপরকে আলিঙ্গন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যিনি দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে এবং যৌথ প্রতিরোধ সক্ষমতা গড়ে তোলার অংশ। তবে সৌদি এক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, যা আরেকটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, তার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সৌদি সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং সৌদি আরব এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায়, যাতে আঞ্চলিক শান্তিতে অবদান রাখা যায়।
পাকিস্তান কি সৌদি আরবকে পারমাণবিক নিরাপত্তা বা তথাকথিত ‘নিউক্লিয়ার আমব্রেলা’ প্রদান করবে কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে সৌদি কর্মকর্তা জানান, এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা চুক্তি, যেখানে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রায় ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত মূল সরঞ্জামগুলোর মধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ এবং গানি ব্যাগ কেনা সম্পন্ন হয়েছে। এসবের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন সামগ্রী সংগ্রহের কাজ এখনো চলমান। প্রাথমিকভাবে ১০ ধরনের সরঞ্জাম এবং কিছু স্থানীয় ক্রয় বাকি রয়েছে। তবে সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। বর্তমানে মোট প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রয় শেষ হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই অবশিষ্ট অংশ সংগ্রহের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে কোনো ধরনের সংকট বা জটিলতা তৈরি হবে না। সরবরাহ ব্যবস্থাও যথাযথভাবে কার্যকর রয়েছে। বরং নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সেপ্টেম্বরেই যাবতীয় সামগ্রী নির্বাচন কমিশনের হাতে এসে পৌঁছাবে। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত বা “স্ট্যাবলিশড” হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
পাইপলাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে জরুরি মেরামতকাজের কারণে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় টানা ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ তথ্য বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভাল্ভ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত ১০, ১২ এবং ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের মুখ্য বিতরণ পাইপলাইনের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজনীয় মেরামতকাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কাজের জন্য আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ সময়ে নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহক – আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প কারখানার ব্যবহারকারীরা গ্যাস সরবরাহ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত থাকবেন। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ অনুভূত হতে পারে বলে সম্ভাব্য ভোক্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তিতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সময়সীমায় গ্রাহকরা সাময়িক ভোগান্তির শিকার হতে পারেন। তবে জরুরি মেরামতের কাজটি শেষ করা অত্যাবশ্যক হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
-রফিক
শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি তার জবানবন্দিতে দাবি করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট নতুন সরকার গঠনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল এবং তাকে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চে এই জবানবন্দি দেন নাহিদ।
জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা শাহবাগে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেন। ওই দিনই ৬ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে সরকার দেশব্যাপী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে কারফিউ জারি করে। তিনি জানতে পারেন, সরকার ৬ আগস্টের কর্মসূচি ব্যর্থ করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং নেতাকর্মীদের হত্যা বা গুম করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তাই তারা কর্মসূচি একদিন এগিয়ে ৫ আগস্ট নির্ধারণ করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম এই মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিলেন। তার জবানবন্দির পরেই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজ পর্যন্ত মুলতবি করে।
জানা গেছে, নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পর তাকে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। নাহিদের জবানবন্দি শেষ হওয়ার পরই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে, এই মামলার ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি গত বছরের জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশনায় এসব হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তার জেরা সম্পন্ন হয় ৪ সেপ্টেম্বর।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশজুড়ে চালানো হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। শহীদ পরিবারের সদস্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলার মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগে ৮১ জন সাক্ষীর তালিকা রয়েছে।
এনবিআরের সিআইসি নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার দুটি লকার, শুরু হয়েছে আয়কর তদন্ত
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
ব্যাংকের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লকারগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খোলা হবে।
এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দেশত্যাগ করাক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি সংক্রান্ত তদন্ত শুরু হওয়ার পর। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁর ব্যাংক হিসাবগুলোও অস্থায়ীভাবে ফ্রিজ করা হয়েছে।
এর আগে, রাজধানীর মতিঝিল এলাকার পুবালি ব্যাংকের এক শাখা থেকেও শেখ হাসিনার একটি লকার নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছিল।
এই ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে ঘটেছে, কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
পাঠকের মতামত:
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ