ক্যান্সার সচেতনতায় পাবিপ্রবিতে সেমিনার, শিশুদের ৯০% ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য: ড. মুস্তাক

এম এস রহমান
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা

বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় দুই কোটি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং এর অর্ধেকই মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন ক্যান্সার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ইন বাংলাদেশের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুস্তাক ইবনে আইয়ুব। তিনি বলেন, “প্রাথমিক অবস্থায় দ্রুত রোগ শনাক্ত করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া গেলে ক্যান্সার একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগে পরিণত হতে পারে। শিশুদের ৯০ শতাংশ ক্যান্সারই নিরাময়যোগ্য।”
সোমবার (৭ জুলাই) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) আয়োজিত এক ক্যান্সার সচেতনতামূলক সেমিনারে তিনি প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন। সেমিনারের শিরোনাম ছিল— "Understanding the Gaps in Cancer Education and Awareness in Bangladesh and Finding Prospective Solutions: A Special Emphasis on Stigmas and Challenges among Women"।
ইউনেস্কো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং পাবিপ্রবির ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের যৌথ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল। তিনি বলেন, “একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা শুধু তার জন্য নয়, তার পরিবারের জন্যও বড় এক চ্যালেঞ্জ। খাদ্যাভ্যাস, দূষণ এবং সচেতনতার অভাবই বর্তমানে ক্যান্সারসহ নানা রোগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রশিদ এবং ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক।
সেমিনারে বক্তারা ক্যান্সার বিষয়ে সমাজে বিদ্যমান নানা ভুল ধারণা ও সামাজিক বাধা দূর করতে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনা পর্বে জানানো হয়, নিয়মিত ৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস ক্যান্সারসহ নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরুণ দেবনাথ।
‘দুর্নীতিবাজ’ হারুনের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ঠিকাদারদের মানববন্ধন
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদকে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে তার দ্রুত প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার ঠিকাদার সমিতির ব্যানারে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন।
‘অফিস জিম্মি’, ‘মিস্টার ওয়ান পারসেন্ট’
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জনস্বাস্থ্য কার্যালয়কে জিম্মি করে রেখেছেন। তিনি গোপনে দরপত্রের রেট ফাঁস করে এখনো আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের কাজ দিচ্ছেন। ঠিকাদারদের বিল আটকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেন। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, তিনি দীর্ঘদিন বিল আটকে রেখে পরে চেক দেওয়ার সময় বিলের এক শতাংশ উৎকোচ দিতে বাধ্য করেন। এ কারণে তিনি ইতোমধ্যে ‘মিস্টার ওয়ান পারসেন্ট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
অন্যান্য অভিযোগগুলো হলো:
কর্মপরিবেশ: হারুন অফিসের সময়কে তোয়াক্কা করেন না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাতে বাসভবনে ডেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে বাধ্য করেন এবং পোষা কুকুর নিয়ে অফিসে ঢোকেন, যার ভয়ে সবাই তটস্থ থাকেন।
অর্থের লেনদেন: তার বিরুদ্ধে জামানতের টাকা ফেরত দিতে অনৈতিক সুবিধা আদায় এবং সেই টাকা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের এস্টিমেটর উম্মে সালমার স্বামী মামুনের ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
দরপত্র দুর্নীতি: চলতি বছরের মার্চে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কামাল হোসেনের প্রতিষ্ঠানকে গোপন রেট জানিয়ে ১১ কোটি টাকার ১০টি কাজই দিয়েছেন তিনি।
আন্দোলনকারীরা প্রকৌশলী হারুনকে দ্রুত রাজশাহী থেকে বদলি এবং তার দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
প্রকৌশলী হারুনের পাল্টা দাবি
অভিযোগের ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আজকেও অফিসে আছি। নিয়মিত অফিস করি। এ অভিযোগ বানোয়াট।” তিনি আরও দাবি করেন, “আমি আওয়ামী লীগের দোসর না। দলমত নির্বিশেষে বিধি মেনেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।”
প্রকৌশলী হারুন বলেন, ঠিকাদাররা সুপরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, কারণ তিনি ঠিকাদারদের তিন কোটি টাকা ওভার পেমেন্ট (বেশি) নেওয়ার বিষয়টি ধরে ফেলেছিলেন।
রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষোভ, মরদেহ উত্তোলন করে আগুন ধরাল জনতা
রাজবাড়ী ও রাজশাহীতে গতকাল শুক্রবার পৃথক দুটি খানকায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত একজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে এনে সড়কে পুড়িয়ে ফেলে উত্তেজিত জনতা।
গোয়ালন্দে সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা (২৮) নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি দেবগ্রাম ইউনিয়নের জুটমিস্ত্রিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সংঘর্ষে আহত শতাধিক মানুষের মধ্যে ২২ জন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে তাদের মধ্যে ১৯ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল এক বিবৃতিতে নুরাল পাগলার কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিবৃতিতে একে অমানবিক ও জঘন্য অপরাধ উল্লেখ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজশাহীর পবা উপজেলার পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে একটি খানকায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। স্থানীয়রা জানান, ‘হক বাবা গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরিফ’-এ তিন দিনের মিলাদ মাহফিল চলছিল। সেখানে নারী শিল্পীদের অংশগ্রহণ ও গান পরিবেশনের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জুমার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ জনতা দেড় শতাধিক মুসল্লিকে নিয়ে হামলা চালায় এবং খানকার ভেতরে ভাঙচুর করে।
রাজবাড়ী ও রাজশাহীর এই ঘটনাগুলোতে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
“মামার বাড়ির আবদার নয়”-রাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ উপাচার্যের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আসন্ন রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তোমরা তালা দেবে, তোমরা মারামারি করবে, আর আমাকে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে—এটা তো মামার বাড়ির আবদার।”
উপাচার্য মনে করেন, যদি শিক্ষার্থীরা রাকসু নির্বাচনে ছাত্রসুলভ আচরণ প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটিই তাদের অযোগ্যতার প্রকাশ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা প্রমাণের দায়িত্ব তাদের নিজেদের, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নয়।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসন্ন রাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক নকীব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনার প্রভাব রাকসু নির্বাচনে পড়তে পারে। তাই সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।” তিনি আরও জানান, রাকসু নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্টদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। রোববার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে অশালীন ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে, সেই মুহূর্তেও কমিশন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়নি।
উপাচার্যের ভাষায়, “তারা উচ্চ নৈতিকতা ও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ। কিছু শিক্ষকও আছেন, যারা জঘন্য পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে যাননি। আমাদেরও সুযোগ ছিল দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যখন তালা দেয়, মারামারি করে, তখন প্রশাসনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না যে আমরা সবকিছু সামলাবো। যদি শিক্ষার্থীরা নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে না পারে, তাহলে তারা নিজেরাই রাকসুর জন্য অযোগ্য বলে প্রমাণিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি সব সময় ধৈর্য ধারণ করেছে এবং কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তার মতে, দোষ যাদের, আলাপ আলোচনা হওয়া উচিত তাদের নিয়েই।
রাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য নকীব বলেন, “আমি চাইতাম আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা ও ভেতরের সৌন্দর্য দিয়েই রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হোক। কিন্তু বাস্তবতায় অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এ ধরনের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে তা আমাদের ছাত্রসমাজ এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার হবে।”
প্রসঙ্গত, গত রোববার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রদলের কর্মীরা। এ সময় তারা একটি চেয়ার ভাঙচুর করে, টেবিল উল্টে ফেলে এবং ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সাবেক সমন্বয়ক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এতে কয়েক দফায় ধস্তাধস্তি হয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ফটকের তালা ভেঙে ফেলে। চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুর দুইটার দিকে মনোনয়নপত্র বিতরণ পুনরায় শুরু হয় এবং বিতরণের সময় একদিন বাড়ানো হয়।
-রফিক
‘সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির জন্য অস্ত্র তৈরি’: পাবনার চাতরা বিলে কারখানার সন্ধান
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চাতরা বিলে অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে সেখান থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও গুলিসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ‘ময়েজ বাহিনী’ নামের একটি সন্ত্রাসী দল বিলে এই কারখানা তৈরি করেছিল। তারা বিলের আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মহড়া ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। আটক ব্যক্তিরা হলো—পাবনা সদর উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মনিরুল ইসলাম ও মালিগাছা খুদাইপুর গ্রামের রেজাউল।
আতাইকুলা থানার পুলিশ সূত্র জানায়, এই সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। তারা বিলের মধ্যে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মেশিনঘরে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছিল। সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি রিভলবার, তিনটি গুলি, অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, লোহার পাত, গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করে। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
আতাইকুলা থানার ওসি এ কে এম হাবিবুল্লাহ জানান, ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্র তৈরির কারখানাটি ধ্বংস করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
/আশিক
রামেকের ‘ভূতুড়ে শিক্ষক’: ক্লাস না করেও ১০ বছর ধরে বেতন তুলছেন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের প্রভাষক ডা. মাহফুজুর রহমান। শিক্ষার্থীরা শুনেছেন—তাদের বিভাগে একজন প্রভাষক আছেন। কিন্তু সেই শিক্ষককে কেউ কখনো ক্লাসরুমে দেখেননি, লেকচারও শোনেননি। অথচ সরকারি রেকর্ডে তিনি নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন, আর প্রতি মাসেই তুলছেন বেতন-ভাতা।
জানা গেছে, পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট বিভাগের প্রভাষক ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলেজে অনুপস্থিত থেকেও সরকারি ভাতা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি প্রতিদিন সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারে আঙুল রাখেন। এরপর তিনি আর ক্লাসে না গিয়ে সরাসরি চলে যান রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ের পাশে তার ব্যক্তিগত চেম্বার ‘ডেন্টাল এইড’-এ। সন্ধ্যা নামার আগে আবার কলেজে ফিরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ‘অফিস ত্যাগ’ দেখান। ফলে সরকারি উপস্থিতি খাতায় প্রতিদিনই তার নাম পাওয়া গেলেও বাস্তবে ক্লাসরুমে তার উপস্থিতি নেই।
এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ডা. মাহফুজুর রহমান নামে একজন স্যার আমাদের এখানে আছেন শুনেছি। কিন্তু কোনোদিন চোখে দেখিনি। তিনি আমাদের একটিও ক্লাস নেননি, পরীক্ষা নেননি। আমরা তাকে চিনিই না।’
রামেক ডেন্টাল ইউনিট প্রধান ডা. আবুল হোসেন জানান, ‘তিনি অসুস্থ মানুষ। লিভারে সিরোসিস, হার্টে বাইপাস হয়েছে। তিনি নিয়মিত ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন। তবে পরে কোথায় যান, সেটা বিভাগ বলতে পারবে।’
অধ্যক্ষ ডা. খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘তিনি এভাবে ক্লাস না নিয়ে বেতন নিচ্ছেন—এটা আমি আপনার কাছ থেকেই জানলাম! যদি আগে জানতাম, মেডিকেল বোর্ড করে তাকে অবসরে পাঠাতাম। তবে তার চাকরির বয়স এখন শেষ হয়ে এসেছে, তাই আমরা আর বিষয়টি টেনে নিতে চাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দশ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন না—এটা তো অজানা ছিল। ডেন্টাল ইউনিট থেকেও আমাদের জানানো হয়নি। অকাজের লোক রেখে তো আমাদের কোনো লাভ নেই।’
ডা. মাহফুজুর রহমান নিজে দাবি করেন—তিনি অসুস্থ। তাই প্রতিদিন হাজিরা দিয়ে তিনি বাড়ি যান। তবে তিনি চেম্বারে রোগী দেখেন না বলেও দাবি করেন। এমন ছুটি নেওয়া যায় কিনা, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে নিয়মে তো যায় না। তবে অসুস্থ বলে চলে যাই।’
/আশিক
রাজশাহীর কোচিং সেন্টার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার,ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী
রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের পর বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এই অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির একটি দল।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, ডক্টরস ইংলিশ নামের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি বিদেশি এয়ার গান, একটি রিভলবার, একটি কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্র, জিপিএস, ওয়াকিটকি, বাইনোকুলার, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, মাদকদ্রব্যসহ আরও বহু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেননি। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে বিস্তারিত জানানো হবে।
তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।স্বৈরাচার হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তুলেছিল, যাতে দেশের জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়। এর সুযোগে দেশের অর্থ বিদেশে চলে গেছে। তাই আমাদের উচিত দেশের হাসপাতালগুলো এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে ধনী-গরিব সবাই সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান আরও বলেন, দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে এবং সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে দেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা সংস্কার কমিটিও গ্রহণ করেছে। তবে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি এই সংস্কার বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ পিছিয়ে যাবে এবং মানুষ আরও কষ্ট পাবে।
বিএনপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ দেশের ভবিষ্যৎ জানতে চায় এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অধিকাংশ ভোট পাবে এবং সেখান থেকে দেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে, যেগুলো মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজন।
তারেক রহমান বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করে সাজাতে হবে এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে কারণ শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ।
ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত বা জাতিসংঘেও যেতে হবে। পাশাপাশি দেশের খালগুলোকে পানিতে ভরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে পানির সংকট এলে সেগুলো ব্যবহার করা যায়।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপিই দেশের পুনর্গঠনের যোগ্য দল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪-৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে শহীদ জিয়ার আমলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশ খাদ্য রপ্তানিতে সফল হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নেন এবং দলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
/আশিক
এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’
রাজশাহীর মোহনপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক খালিদ হাসান মিলুকে কাপড় ও চিরকুট পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। একই রাতে তার বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা চালানো হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ধুরইল গ্রামে। রোববার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খালিদ হাসান মিলু জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে একজন অপরিচিত কণ্ঠে ডাকে। বারান্দায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, বাড়ির টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে এবং চারপাশে পেট্রোলের গন্ধ। তিনি প্রথমে প্রতিবেশীদের ডাকেন, পরে ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরী ঘটনাস্থলে আসেন।
পরে বাড়ির সামনে একটি পলিথিনে মোড়ানো সাদা কাপড় (কাফনের কাপড়) ও একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল— “প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ-মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।” বৃষ্টির কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি এবং দ্রুত নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এনসিপি রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এমন সাহস তারা দেখাতে পারত না। আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করব।”
ওসি আতাউর রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/আশিক
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে গান গাইলেন পলকের ভগিনীপতি
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলন মঞ্চে গান গেয়ে বিতর্কে জড়ালেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফুফাতো ভাই, কণ্ঠশিল্পী গৌরব হোসেন তুষার। বিএনপির অনুষ্ঠানগুলিতে প্রায়শই তাকে গান গাইতে দেখা যায়, কিন্তু বিষয়টি দলের তৃণমূল থেকে কঠোর প্রতিবাদের মুখে পড়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে গৌরব গান পরিবেশন করেন। সর্বশেষ রোববার (১০ আগস্ট) মহানগর বিএনপির সম্মেলনে তাকে আবারও মঞ্চে দেখা গেছে। রাজশাহী শহরের বাসিন্দা গৌরবের শ্বশুরবাড়ি নাটোরের সিংড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরবের স্ত্রী সেতু সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের ফুফাতো বোন। পলক প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে গৌরবকে ‘নগদ’ সংস্থায় চাকরি দিয়েছিলেন।
গৌরবের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার অসংখ্য ছবি রয়েছে পলকের সঙ্গে। ২০১৮ সালে তিনি ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিন’ লেখা সহ একটি ছবিও পোস্ট করেন, যেখানে আওয়ামী লীগের প্রতীক ছিল। ২০১৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলকের একটি ছবি পোস্ট করে গৌরব কবিতাও লিখেছেন পলককে নিয়ে। এছাড়া পলক তার বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও শেয়ার করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকেও ‘প্রগতিশীল পুলিশ কর্মকর্তা’ হিসেবে গৌরব শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রোববার রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান সংলগ্ন বিএনপির সম্মেলনে গৌরবের উপস্থিতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এক নেতা জানান, গৌরবের পুরো পরিবারই আওয়ামীপন্থী এবং তার স্ত্রী সেতু রাজশাহী আর্ট কলেজের শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন পলকের মাধ্যমে। গৌরব বিএনপির মঞ্চে গান গাইবেন তা কেউ ভাবেননি।
বিএনপির নেতাকর্মী জসিম উদ্দিন ফেসবুকে লিখেছেন, গৌরব একজন কট্টর আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং পলকের অর্থায়নে অনেক মিউজিক ভিডিও করেছেন। তার স্ত্রীও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাজে লাগিয়ে চাকরি নিয়েছেন। এমন একজন কণ্ঠশিল্পীকে বিএনপির মঞ্চে দেখে অনেকেই বিস্মিত।
গৌরব ও বিএনপির সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা ফোনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক
- পায়ের পাতায় লুকানো নীরব ইঙ্গিত: কিডনি বিকলের এই সংকেত অবহেলা করলেই বিপদ
- খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়নে তারেক রহমানের ৬ দফা পরিকল্পনা
- চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
- রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ? ট্রাম্পের দাবির পর দিল্লি নীরবতা ভাঙল
- জুলাই সনদে সইয়ের বিষয়ে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে: ফখরুল
- সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ১৬ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
- নির্বাচিত হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করব: মির্জা ফখরুল
- জুলাই হত্যা মামলার আসামির মুক্তি: আদালত অঙ্গনে তোলপাড়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিস্মিত করেছে, দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
- জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি, ‘নাটকীয়তায় অংশ নয়’
- রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ নিয়ে জটিলতা: খসড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারকরা
- শিক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন: এইচএসসি পরীক্ষায় এত বড় ব্যর্থতার কারণ কী?
- ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
- খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
- সকালে ব্রাশ না করে পানি খেলে কী হয় শরীরের ভেতরে?
- ভারতের ৩টি কাশির সিরাপ নিয়ে WHO-এর বিশ্বব্যাপী সতর্কতা
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি