আশুগঞ্জে এনসিপি কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়েই তোলপাড়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৩ ১৯:৪৮:২৫
আশুগঞ্জে এনসিপি কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়েই তোলপাড়

আশুগঞ্জে নবগঠিত ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটি নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা। কারণ, এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি হলেন শরীফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ইউপি সদস্য নবী হোসেন সাগর। এই নিয়োগে দলটির ভেতরে ও বাইরে নানা প্রশ্ন উঠেছে, যা এনসিপির ঘোষিত নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

শনিবার (১২ জুলাই) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আশুগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি দলটির ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশ করা হয়, যার মাধ্যমে নবী হোসেন সাগরকে কমিটির ৫ নম্বর সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তাকে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে মো. আমিনুল ইসলাম ডালিম এবং যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন জয়ন্তী বিশ্বাসসহ আরও চারজন।

একমাত্র ঘটনা যা সবাইকে বিস্মিত করেছে, তা হলো ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট আশুগঞ্জ গোলচত্বরে যখন ছাত্র ও সাধারণ মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, সেই সময় নবী হোসেন সাগরকে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে আন্দোলন দমন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এ ঘটনার ভিডিও ও ছবি সেই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা এখনও অনেকের স্মৃতিতে জেগে আছে। সেই ব্যক্তিকে এনসিপির মতো একটি নতুন প্রজন্মভিত্তিক, আন্দোলনের আদর্শকে সামনে রেখে গড়ে ওঠা দলে অন্তর্ভুক্ত করা কতটা যৌক্তিক—এ নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে এনসিপির আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক সুফিয়ান আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানার পর বিব্রত হয়েছি। তার অতীত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছি এবং আশা করছি দ্রুত সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, এনসিপি বিশ্বাস করে, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জনগণের পাশে ছিল না, তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই দলে স্থান দেওয়া উচিত নয়।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির মতো আদর্শিক অবস্থান নেওয়া দলের উচিত নিজের অভ্যন্তরীণ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করা, যাতে এমন বিতর্কিত ব্যক্তিরা ভুল করে কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে দলে ঢুকে আদর্শের ক্ষতি করতে না পারে।

এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই লিখছেন, "এনসিপি কি আদর্শ বিসর্জন দিচ্ছে?" কিংবা "যিনি আন্দোলন দমন করেছিলেন, তিনি কীভাবে আন্দোলনের উত্তরাধিকারী দলে আসতে পারেন?" এ ধরনের মন্তব্য ইতোমধ্যেই এনসিপির ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ফলে দলটির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা এবং নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত এখন সকলের নজরে।


চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২১:১৬:১৯
চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপ নামের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কারখানা থেকে ১০৫০ জন শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিইপিজেড কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আশেক মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

অগ্নিকাণ্ড ও উদ্ধার কাজ

সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাডামস ক্যাপে ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে এবং শ্রমিকরা দ্রুত ভবনটি থেকে বেরিয়ে যান।

নিরাপত্তা: অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আগুন প্রথমে ওপরের তলায় লাগার কারণে শ্রমিকরা দ্রুত এবং নিরাপদে বের হয়ে যান। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”

নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা: ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে এবং আশপাশের ভবনগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছে। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, সিইপিজেডের অভ্যন্তরের পুকুর থেকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

উৎপাদিত পণ্য: কারখানাটিতে ক্যাপ, তোয়ালে ও মেডিকেল গাউন তৈরি হতো।


সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২০:৪৪:০৫
সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) একটি ভবনে চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের ওই কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

আগুন ও উদ্ধার অভিযান

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নগরীর সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদের মোট ১৫টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট এবং ইপিজেড, সিইপিজেডে নিয়মিত সেনাবাহিনীর দল আগুনকবলিত এলাকায় উপস্থিত রয়েছে।

উদ্ধার: আগুনকবলিত কারখানা থেকে অন্তত ২০-২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। কারখানায় মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন।

ছড়িয়ে পড়া: চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটতলা ভবনটির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি এবং ভেতরে ঢোকা কঠিন।

দাহ্য বস্তু: ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু থাকতে পারে। আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

উদ্বেগ ও নিরাপত্তা

সিইপিজেড সূত্র জানায়, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কারো হতাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ঘন কালো ধোঁয়া। আগুনকবলিত ভবনটির চারপাশ ঘিরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন, যাতে অহেতুক লোকজন ভিড় না করে।

জি হং মেডিকেল কোম্পানির শ্রমিক মোছাম্মত শিপা বলেন, “যে জায়গা থেকে আগুনের সূত্রপাত, সেখানে সাধারণত নারীদের যাওয়া নিষেধ।” তিনি দুপুরে খাওয়ার পর ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার শুনে নিচে নেমে আসেন। ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, হুড়োহুড়ি করে নারীদের নামতে দেখা গেছে, তবে গুরুতর কেউ আহত হননি।


শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২০:৩৮:৩০
শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ছবিঃ সংগৃহীত

‘মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, শিক্ষকদের আল্টিমেটাম: শুক্রবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনবেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের তিন দফা দাবি আদায়ে ঘোষিত ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তবে দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ২টার পর আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহীদ মিনারে এই দুই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।

শিক্ষা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনের’ অভিযোগ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু:

“ওনারা আলোচনার নামে আই-ওয়াশ করেছেন। এটা শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি, আমাদের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু উনি তার বক্তব্যে অনড়। বলেছেন, এর বাইরে তিনি পারবেন না।”

অধ্যক্ষ দেলোয়ার বলেন, শিক্ষকরা বাড়িভাড়া ১০ শতাংশ এবং পরবর্তী বাজেটে বাকি ১০ শতাংশ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।

সরকারের প্রস্তাব ও শিক্ষকদের দাবি

সরকারের প্রস্তাব: শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার জানান, সরকার শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া অথবা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে। তিনি বলেন, নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশে সরকার আগামী বছর শিক্ষকদের আরও সম্মানজনক কাঠামো দিতে সচেষ্ট হবে।

শিক্ষকদের দাবি: মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি।

টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলনরত শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন এবং সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলছে।


রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১২:০২:১১
রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
ছবিঃ সংগৃহীত

জনবসতি এলাকায় কেমিক্যালের অবৈধ মজুত পুরান ঢাকার পর এবার মিরপুরের রূপনগরের মতো পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাকেও যে **‘রাসায়নিক বোমা’**য় পরিণত করেছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মঙ্গলবারের শিয়ালবাড়ির অগ্নিকাণ্ড। ২৩ ঘণ্টা পার হওয়ার পর বুধবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৬টি প্রাণ ঝরে গেছে।

আগুন ও উদ্বেগের চিত্র

হতাহতঃ এক পোশাক কারখানা থেকে ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া কঠিন। দগ্ধ তিনজন এখনো জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

সূত্রপাত: স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল জানান, রাসায়নিক গুদাম ‘এম এস আলম ট্রেডিং’-এ প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে গিয়ে পাশের তৈরি পোশাক কারখানায় পড়ে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি: আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হলেও বুধবারও আগুনের জায়গা থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সেই গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুর্ঘটনাস্থলের পাশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা, যাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মালিক পলাতক: রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি তিনবার ওই আগুন লাগা গুদামে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওই গুদামটি অভিযান চালানোর পর্যায়ে ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল হক বলেন, “ঢাকার মানুষ বসবাস করছে এক হিসেবে অ্যাটম বোমার সঙ্গে।” তিনি বলেন, কেমিক্যাল সরানোর পদক্ষেপ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।

সরকারের অবস্থান: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ অবৈধভাবে কেমিক্যাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতিবাদী ঘোষণা: বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এনসিপি নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

মহিলা পরিষদ: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, অতীতের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই এ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।


 চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:৩৮:৫৩
 চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। এই টেস্ট বোরিং সফল হলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্পটি চালু হবে এবং জনগণ বিনা মূল্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা পাবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে ‘গ্যাস কূপের টেস্ট বোরিং’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।

বর্জ্য থেকে সম্পদ ও জ্বালানি নিরাপত্তা

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন এক মাইলফলক অর্জন করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ দূষণ রোধে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই।” তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা চট্টগ্রামকে একটি ‘ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটিতে’ পরিণত করতে চান।

বর্জ্য সংগ্রহ: প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করে প্রায় ২২০০ টন। বাকি বর্জ্য নালা ও খালে গিয়ে জলাবদ্ধতা ও দূষণের কারণ হয়। এজন্য ‘ডোর-টু-ডোর’ প্রকল্প চালুর মাধ্যমে শতভাগ বর্জ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে চান তিনি।

লক্ষ্য: মেয়র জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।

অনুষ্ঠানে চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, বি অ্যান্ড এফ কম্পানি লিমিটেডের প্রধান সি ডব্লিউ পার্কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:১৫:৫৪
আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনীত প্রার্থী আমীর হামজা বলেছেন, “আয়নাঘর ফিরে আসবে না, এই জন্যই আমাদের এই ৫ দফা।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আয়নাঘর আবার ফিরে এলে তা জনগণ মেনে নেবে না। পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলা জামায়াত এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা ও পিআর পদ্ধতির দাবি

আমীর হামজা বলেন, “আমি নিজে আয়নাঘরে ছিলাম। এ যে কত কঠিন জায়গা, সেখানে না থাকলে বোঝানো যাবে না।” তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে এমন নির্যাতন যেন ফিরে না আসে, তাই তাদের এই আন্দোলন।

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, “আমাদের দাবিগুলো জামায়াতে ইসলামীর দাবি নয়, বরং ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল কোনো না কোনোভাবে এই দাবি মেনে নিয়েছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সরকার দাবি মানতে গড়িমসি করলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচন ও সংস্কারের দাবি

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পিআর ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচার তৈরি হবে। তাই পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন করতে হবে এবং জুলাই সনদ ঘোষণা করে নির্বাচনের আগেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

তারা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও একটি ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব।


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৪:৩৫:১৮
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে অবরোধ

শিক্ষকরা প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় অভিমুখে রওনা হন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। এরপর শিক্ষকরা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘বেতন নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘আমি কে, তুমি কে শিক্ষক শিক্ষক’, ‘প্রজ্ঞাপন দিতে হবে’।

শিক্ষক-কর্মচারীদের তিনটি প্রধান দাবি হলো:

১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া।

২. শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা।

৩. কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।

এর আগে বুধবার সকাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন না এলে দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করার কথা জানিয়েছিলেন তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে তারা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান না আসায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।


২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১১:১৭:৪৪
২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন ২৩ ঘণ্টা পার হলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই আগুন লাগে এবং আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায়ও গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন।

মৃতদেহ উদ্ধার ও স্বজনদের আহাজারি

রাসায়নিক গুদামের বিপরীত পাশের পোশাক কারখানার আগুন মঙ্গলবারই নেভানো গেছে। চারতলা ভবনটি থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে।

রাত থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনেরা। বুধবার সকালে তাদের কেউ কেউ মরদেহ দেখে নিজের স্বজন বলে দাবি করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়া কঠিন।

রাসায়নিক গুদামে আগুনের সূত্রপাত

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম সমকালকে বলেন, “রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো নেভানো যায়নি। আরও কত সময় লাগবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”

প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি: স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, রাসায়নিকের গুদামে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে গিয়ে সামনের পোশাক কারখানার ভবনে পড়ে। ওই ভবনে যে আগুন লেগেছে তা প্রথমে কেউ বুঝতে পারেনি।

কারখানার চিত্র: চারতলা ওই পোশাক কারখানার নিচতলায় অ্যামব্রয়ডারি, দোতলায় কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট, তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস এবং চতুর্থ তলায় গার্মেন্টসের গুদাম ছিল।

মালিক পলাতক: রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় তার একাধিক গুদাম রয়েছে।


নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ২১:৫৬:১০
নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানা ও পাশের রাসায়নিকের গোডাউনে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে অসংখ্য মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আহাজারি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

নিখোঁজদের আহাজারি

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আর এন ফ্যাশন নামের চারতলা পোশাক কারখানা এবং পাশের শাহ আলমের রাসায়নিকের গুদামে এই আগুন লাগে।

নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে তাদের ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন অনেকে।

আসমা আক্তার: রেশমা আক্তার সমকালকে বলেন, তার ছেলের শ্যালিকা আসমা আক্তার এই কারখানাতেই কাজ করতেন। আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ মিলছে না।

নজরুল ইসলাম: স্বামী নজরুল ইসলামের খোঁজে এসেছেন নাসিমা আক্তার। নজরুল ১২ বছর ধরে এই গার্মেন্টস কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে কল দিলে নজরুল শুধু 'আগুন আগুন' বলে ফোন রেখে দেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ।

অন্যান্য নিখোঁজ: বড় বোন লাইজু বেগম তার বোন নারগিস আক্তারকে খুঁজছেন। ইয়াসিন এসেছেন তার ভাগ্নি সুলতানা ও ভাগ্নি জামাই জয়ার ছবি হাতে। নিখোঁজ মাহিরার মামা শফিকুল ইসলাম জানান, তার ভাগ্নি গার্মেন্টসের তিন তলায় কাজ করতেন।

উদ্ধার কাজ ও ঝুঁকি

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বিকেলে প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান। এরপর সন্ধ্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনও আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রাসায়নিক পদার্থ থাকায় কাউকে সেখানে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে কার্যক্রম করছি।” তিনি জানান, কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি।

পাঠকের মতামত: