মোংলা-খুলনা সড়ক যেন মরণফাঁদ, প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৩ ২০:২৭:৩৮
মোংলা-খুলনা সড়ক যেন মরণফাঁদ, প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মোংলা-খুলনা মহাসড়ক এখন ভয়াবহ দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। বহু বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মোংলা বন্দর থেকে রামপাল পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে, যার ফলে যানবাহন চলাচল অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির মৌসুমে এসব গর্তে পানি জমে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

সড়কটি খুলনার সঙ্গে মোংলার একমাত্র সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম। প্রতিদিন এই পথে চলাচল করে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অন্যান্য ছোট যানবাহন। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব যানবাহন চলাচল মানেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেওয়া। বিশেষ করে রাতের বেলায় দৃশ্যমানতার অভাবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, কোনো না কোনো গাড়ি গর্তে আটকে পড়ছে বা উল্টে যাচ্ছে, ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যেমন সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে পাথর বের হয়ে এসেছে। কোন কোন জায়গায় বড় বড় গর্তে আটকে আছে যানবাহন। পথচারীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে সড়কটির কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, ‘মোংলা থেকে খুলনায় যেতে এখন সময় লাগছে কয়েকগুণ বেশি। শুধু সময় নয়, দুর্ঘটনার ভয় মাথায় নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতে হয়।’ পণ্যবাহী ট্রাকচালক সোহেল রানার কথায় ফুটে ওঠে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ—‘প্রতিদিন কোনো না কোনো ট্রাক এই গর্তে আটকে পড়ে। মনে হয়, চাকা ভেঙে যাচ্ছে।’

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সড়ক দিয়েই মোংলা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকে যাওয়ার ফলে যেমন পণ্য পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটছে, তেমনি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমেও বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ব্যবসায়ী মহলে বাড়ছে উদ্বেগ।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং সড়ক বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ইতোমধ্যে সমস্যাটি জেনেছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। মোংলা উপজেলার ইউএনও শারমিন আক্তার সুমি জানান, সমস্যাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং দ্রুত সংস্কার কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। মোংলা বন্দরের হারবার ও মেরিন বিভাগের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দিগরাজ পর্যন্ত সড়কের কাজের জন্য অর্ডার দিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘কাটাখালী থেকে দিগরাজ পর্যন্ত সড়কে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে এলে সংস্কার শুরু হবে।’

অবশ্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বারবার অবহিত করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। আমরা বহুবার অনুরোধ করেছি সংস্কারের জন্য, কিন্তু এখনো কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’

মোংলা-খুলনা মহাসড়কটি শুধু একটি যোগাযোগ পথ নয়, এটি দেশের একটি অর্থনৈতিক লাইফলাইন। এই সড়ক অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকলে শুধু সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়ই নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১২:০২:১১
রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
ছবিঃ সংগৃহীত

জনবসতি এলাকায় কেমিক্যালের অবৈধ মজুত পুরান ঢাকার পর এবার মিরপুরের রূপনগরের মতো পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাকেও যে **‘রাসায়নিক বোমা’**য় পরিণত করেছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মঙ্গলবারের শিয়ালবাড়ির অগ্নিকাণ্ড। ২৩ ঘণ্টা পার হওয়ার পর বুধবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৬টি প্রাণ ঝরে গেছে।

আগুন ও উদ্বেগের চিত্র

হতাহতঃ এক পোশাক কারখানা থেকে ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া কঠিন। দগ্ধ তিনজন এখনো জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

সূত্রপাত: স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল জানান, রাসায়নিক গুদাম ‘এম এস আলম ট্রেডিং’-এ প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে গিয়ে পাশের তৈরি পোশাক কারখানায় পড়ে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি: আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হলেও বুধবারও আগুনের জায়গা থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সেই গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুর্ঘটনাস্থলের পাশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা, যাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মালিক পলাতক: রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি তিনবার ওই আগুন লাগা গুদামে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওই গুদামটি অভিযান চালানোর পর্যায়ে ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল হক বলেন, “ঢাকার মানুষ বসবাস করছে এক হিসেবে অ্যাটম বোমার সঙ্গে।” তিনি বলেন, কেমিক্যাল সরানোর পদক্ষেপ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।

সরকারের অবস্থান: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ অবৈধভাবে কেমিক্যাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতিবাদী ঘোষণা: বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এনসিপি নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

মহিলা পরিষদ: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, অতীতের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই এ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।


 চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:৩৮:৫৩
 চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। এই টেস্ট বোরিং সফল হলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্পটি চালু হবে এবং জনগণ বিনা মূল্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা পাবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে ‘গ্যাস কূপের টেস্ট বোরিং’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।

বর্জ্য থেকে সম্পদ ও জ্বালানি নিরাপত্তা

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন এক মাইলফলক অর্জন করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ দূষণ রোধে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই।” তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা চট্টগ্রামকে একটি ‘ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটিতে’ পরিণত করতে চান।

বর্জ্য সংগ্রহ: প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করে প্রায় ২২০০ টন। বাকি বর্জ্য নালা ও খালে গিয়ে জলাবদ্ধতা ও দূষণের কারণ হয়। এজন্য ‘ডোর-টু-ডোর’ প্রকল্প চালুর মাধ্যমে শতভাগ বর্জ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে চান তিনি।

লক্ষ্য: মেয়র জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।

অনুষ্ঠানে চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, বি অ্যান্ড এফ কম্পানি লিমিটেডের প্রধান সি ডব্লিউ পার্কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:১৫:৫৪
আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনীত প্রার্থী আমীর হামজা বলেছেন, “আয়নাঘর ফিরে আসবে না, এই জন্যই আমাদের এই ৫ দফা।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আয়নাঘর আবার ফিরে এলে তা জনগণ মেনে নেবে না। পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলা জামায়াত এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা ও পিআর পদ্ধতির দাবি

আমীর হামজা বলেন, “আমি নিজে আয়নাঘরে ছিলাম। এ যে কত কঠিন জায়গা, সেখানে না থাকলে বোঝানো যাবে না।” তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে এমন নির্যাতন যেন ফিরে না আসে, তাই তাদের এই আন্দোলন।

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, “আমাদের দাবিগুলো জামায়াতে ইসলামীর দাবি নয়, বরং ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল কোনো না কোনোভাবে এই দাবি মেনে নিয়েছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সরকার দাবি মানতে গড়িমসি করলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচন ও সংস্কারের দাবি

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পিআর ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচার তৈরি হবে। তাই পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন করতে হবে এবং জুলাই সনদ ঘোষণা করে নির্বাচনের আগেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

তারা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও একটি ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব।


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৪:৩৫:১৮
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে অবরোধ

শিক্ষকরা প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় অভিমুখে রওনা হন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। এরপর শিক্ষকরা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘বেতন নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘আমি কে, তুমি কে শিক্ষক শিক্ষক’, ‘প্রজ্ঞাপন দিতে হবে’।

শিক্ষক-কর্মচারীদের তিনটি প্রধান দাবি হলো:

১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া।

২. শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা।

৩. কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।

এর আগে বুধবার সকাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন না এলে দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করার কথা জানিয়েছিলেন তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে তারা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান না আসায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।


২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১১:১৭:৪৪
২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন ২৩ ঘণ্টা পার হলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই আগুন লাগে এবং আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায়ও গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন।

মৃতদেহ উদ্ধার ও স্বজনদের আহাজারি

রাসায়নিক গুদামের বিপরীত পাশের পোশাক কারখানার আগুন মঙ্গলবারই নেভানো গেছে। চারতলা ভবনটি থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে।

রাত থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনেরা। বুধবার সকালে তাদের কেউ কেউ মরদেহ দেখে নিজের স্বজন বলে দাবি করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়া কঠিন।

রাসায়নিক গুদামে আগুনের সূত্রপাত

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম সমকালকে বলেন, “রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো নেভানো যায়নি। আরও কত সময় লাগবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”

প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি: স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, রাসায়নিকের গুদামে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে গিয়ে সামনের পোশাক কারখানার ভবনে পড়ে। ওই ভবনে যে আগুন লেগেছে তা প্রথমে কেউ বুঝতে পারেনি।

কারখানার চিত্র: চারতলা ওই পোশাক কারখানার নিচতলায় অ্যামব্রয়ডারি, দোতলায় কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট, তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস এবং চতুর্থ তলায় গার্মেন্টসের গুদাম ছিল।

মালিক পলাতক: রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় তার একাধিক গুদাম রয়েছে।


নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ২১:৫৬:১০
নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানা ও পাশের রাসায়নিকের গোডাউনে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে অসংখ্য মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আহাজারি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

নিখোঁজদের আহাজারি

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আর এন ফ্যাশন নামের চারতলা পোশাক কারখানা এবং পাশের শাহ আলমের রাসায়নিকের গুদামে এই আগুন লাগে।

নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে তাদের ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন অনেকে।

আসমা আক্তার: রেশমা আক্তার সমকালকে বলেন, তার ছেলের শ্যালিকা আসমা আক্তার এই কারখানাতেই কাজ করতেন। আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ মিলছে না।

নজরুল ইসলাম: স্বামী নজরুল ইসলামের খোঁজে এসেছেন নাসিমা আক্তার। নজরুল ১২ বছর ধরে এই গার্মেন্টস কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে কল দিলে নজরুল শুধু 'আগুন আগুন' বলে ফোন রেখে দেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ।

অন্যান্য নিখোঁজ: বড় বোন লাইজু বেগম তার বোন নারগিস আক্তারকে খুঁজছেন। ইয়াসিন এসেছেন তার ভাগ্নি সুলতানা ও ভাগ্নি জামাই জয়ার ছবি হাতে। নিখোঁজ মাহিরার মামা শফিকুল ইসলাম জানান, তার ভাগ্নি গার্মেন্টসের তিন তলায় কাজ করতেন।

উদ্ধার কাজ ও ঝুঁকি

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বিকেলে প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান। এরপর সন্ধ্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনও আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রাসায়নিক পদার্থ থাকায় কাউকে সেখানে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে কার্যক্রম করছি।” তিনি জানান, কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি।


মিরপুরের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের ভিড়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৯:৩৫:৩৭
মিরপুরের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের ভিড়
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউন এবং পোশাক কারখানায় লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনো অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। নিহতদের স্বজনেরা ঘটনাস্থল ও আশপাশের হাসপাতালগুলোতে প্রিয়জনের ছবি হাতে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, পরে আরও ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে।

কেমিক্যাল গোডাউনে প্রবেশে বাধা

সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গার্মেন্টস ভবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কেমিক্যাল গোডাউনে ব্লিচিং পাউডার, প্লাস্টিক ও হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় সেখানকার আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

উদ্ধার কাজ: আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন। পোশাক কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারলেও এখনো রাসায়নিকের গুদামে প্রবেশ করা যায়নি।

আশঙ্কা: এই অবস্থায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সকল লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।


মিরপুরে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামের আগুনে নিহত ৯

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৭:১৩:১৬
মিরপুরে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামের আগুনে নিহত ৯
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানা এবং কসমিক ফার্মা নামের আরেকটি রাসায়নিকের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মরদেহগুলো পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে বাধা রাসায়নিক পদার্থ

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, আগুন লাগা পোশাক কারখানার দুটি তলা থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাসায়নিকের গুদামে ব্লিচিং পাউডার, প্লাস্টিক, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে সময় লাগছে। রাসায়নিকগুলো নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে এই আগুন লাগে।


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১০:১১:২৬
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ
ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে এসব দাবিতে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তারা সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন।

অবরোধ ও দাবিসমূহ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মন্ত্রীর ছেলেমেয়েরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েন না, তাই তাদের কোনো চিন্তাও নেই। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এবার দাবি আদায় করেই শিক্ষকরা ঘরে ফিরবেন।

কর্মসূচি: লং মার্চ এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও শিক্ষকদের ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

দাবির কারণ: এর আগে রবিবার প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় তারা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং আটক আন্দোলনকারীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।

শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এমনকি এই কারণে স্কুলগুলোয় টাইফয়েডের টিকা দেওয়া কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক সংহতি

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস ও ইনকিলাব মঞ্চ। দলগুলোর শীর্ষ নেতারা সোমবার বিকেলে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।

জামায়াতের মন্তব্য: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান বলেন, “আন্দোলন ঘিরে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”

ডাকসুর সংহতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারাও শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে তারা ইতিবাচক এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১ হাজার ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন। উৎসব ভাতার হার মূল বেতনের ৫০ শতাংশ।

পাঠকের মতামত: