রোজকার শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ

সমতার ছায়ায় শেয়ার বাজার: বাড়ল ১৭৭, কমল ১৭০—চূড়ান্ত টানাপোড়েন!

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৪ ০৯:৩৯:৩৯
সমতার ছায়ায় শেয়ার বাজার: বাড়ল ১৭৭, কমল ১৭০—চূড়ান্ত টানাপোড়েন!

গতকাল ১৩ জুলাই ২০২৫ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) লেনদেন কার্যদিবসটি বাজারের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ‘সাম্যাবস্থার সন্ধিক্ষণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকলো। সার্বিক মূল্য পরিবর্তনের গড় চিত্র থেকে বোঝা যায় যে বিনিয়োগকারীরা এখন দিকনির্ধারণমূলক সংকেতের অপেক্ষায় অবস্থান করছেন। এদিন মোট ৪০২টি সিকিউরিটির লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৭৭টি শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ১৭০টি কমেছে, আর ৫৫টি অপরিবর্তিত ছিল। এ রকম প্রায় সমানুপাতিক দরবৃদ্ধি ও দরপতনের হার বাজারে দ্বিধাগ্রস্ত মনোভাব এবং একটি অনিশ্চিত রেঞ্জ-চ্যানেলে আবদ্ধ থাকার ইঙ্গিত দেয়। Advance-Decline Ratio (ADR) ১.০৪ হওয়া বাজারে গতি থাকলেও তার অভিমুখ নির্ধারিত হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়।

বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাজারের প্রধান A ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোর মধ্যেও একই ধরনের দ্বৈততা বিদ্যমান ছিল। মোট ২২১টি A ক্যাটাগরির শেয়ারের মধ্যে ৯৮টি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৯৬টি কমেছে। এটি স্পষ্ট করে যে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ লাভ তুলে নিচ্ছেন, অন্যদিকে আরেক অংশ মৌলভিত্তি শক্তিশালী কোম্পানিগুলোয় পজিশন নিচ্ছেন। ঠিক একইভাবে, B ক্যাটাগরির ৮৩টি শেয়ারের মধ্যে ৩২টির দর বৃদ্ধি ও ৪২টির দরপতন হয়—এতে বোঝা যায় যে এই সেগমেন্টে আরও বড় অনিশ্চয়তা কাজ করছে, যেখানে বাজার অস্থিরতার মধ্যে স্বল্পমেয়াদি মুনাফা তোলার প্রবণতা বেশি। তবে Z ক্যাটাগরির পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে চমকপ্রদ—৯৭টি ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারের মধ্যে ৪৬টির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি হয়তো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্পেকুলেটিভ আচরণ বা অতীত দর পতনের পরে স্বল্পমূল্যে কেনার প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ড মার্কেটেও একটি বিভক্ত চিত্র দেখা গেছে। মোট ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০টির দর বৃদ্ধি, ১৩টির দর হ্রাস এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। এই ফলাফল নির্দেশ করে যে বিনিয়োগকারীরা এ খাতে সতর্ক রয়েছে এবং নিরাপদ রিটার্নের প্রত্যাশায় অপেক্ষমাণ। করপোরেট বন্ড ও সরকারি সিকিউরিটিজ সেগমেন্টেও লেনদেন ছিল খুবই সীমিত। করপোরেট বন্ডে মাত্র ৪টি সিকিউরিটির ট্রেড হয়েছে, যার মধ্যে দুইটির দর বৃদ্ধি ও একটির দর হ্রাস পেয়েছে। সরকারি সিকিউরিটিতে (G-Sec) চারটি লেনদেন হয়েছে, তবে দর কমেছে তিনটির। এটি পুঁজিবাজারে সরকারি সম্পদে বিনিয়োগের চেয়ে ইকুইটি মার্কেটে অংশগ্রহণের হার বেশি থাকার ইঙ্গিত দেয়।

লেনদেনের পরিমাণ বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে বাজারে এখনও যথেষ্ট তারল্য রয়েছে। এদিন মোট ২০৭,২০৬টি ট্রেডে ২৬.৮ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ছিল ৬৬৫৯.৯৯ কোটি টাকা। যদিও এই পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কম, তা সত্ত্বেও এটি একটি স্থিতিশীল বাজার কাঠামোর নির্দেশ করে। সর্বমোট বাজার মূলধন সামান্য হ্রাস পেয়েও ৬.৭৬ লক্ষ কোটি টাকার ওপরেই রয়েছে—যা একদিকে বিনিয়োগকারীদের দৃঢ় মনোভাবের প্রতিফলন, অন্যদিকে বাজারের অবকাঠামোগত স্থিতিশীলতার প্রমাণ।

এই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্লেষণযোগ্য অংশ ছিল ব্লক ট্রানজ্যাকশন। মোট ৩৩টি কোম্পানির ৭২টি ব্লক ট্রেডের মাধ্যমে ১.৭৫ কোটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৩৩৮ কোটি টাকা—যা মোট বাজার লেনদেনের প্রায় ৫ শতাংশ। এককভাবে BANKASIA এর ব্লক ট্রেড ছিল অভাবনীয়, যেখানে ১.০২ কোটি শেয়ারের মাধ্যমে ১৬৬.৭৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এরকম লেনদেন সাধারণত বড় প্রাতিষ্ঠানিক বা উদ্যোক্তা পর্যায়ের শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যা কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ কাঠামোগত বা কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে। এছাড়া RENATA, AL-HAJTEX, LOVELLO, এবং DBH1STMF–এর ব্লক ট্রেডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেন হয়েছে, যা নির্দেশ করে যে বিনিয়োগকারীরা নির্বাচিত কিছু শেয়ারে কৌশলগতভাবে প্রবেশ করছেন।

সব মিলিয়ে, ১৩ জুলাইয়ের বাজারচিত্র একটি দ্বিমুখী এবং কৌশলগত বিনিয়োগ-সন্ধিক্ষণের প্রতিফলন। মূল্যবৃদ্ধি ও পতনের প্রায় সমতা, স্থিতিশীল লেনদেন, এবং নির্বাচিত শেয়ারে ব্লক ট্রেডের সক্রিয়তা বাজারকে নতুন গতি দেওয়ার আগমনী বার্তা বহন করছে। তবে এই প্রবণতা আরও জোরদার বা ভিন্নমুখী হবে কিনা তা নির্ভর করছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, মুদ্রানীতির সিগনাল, এবং বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির ওপর। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য সময়োপযোগী কৌশল হলো—সুনির্বাচিত কোম্পানির মৌলভিত্তি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে অবস্থান নির্ধারণ এবং অস্থিরতার মুখে সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে পোর্টফোলিও ব্যালান্স করা।

-মুশফিক, ডেস্ক রিপোর্টার।


৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৬:৪৪:২৮
৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ছিল প্রাধান্যভাবে ইতিবাচক। সামগ্রিকভাবে বাজারে অগ্রসর হওয়া ইস্যুর সংখ্যা ছিল পিছিয়ে পড়া ইস্যুর তুলনায় অনেক বেশি, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়।

সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি

দিনে মোট ৩৯১টি ইস্যু লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ২৮৭টি ইস্যুর দর বেড়েছে, মাত্র ৫৩টি ইস্যুর দর কমেছে এবং ৫১টি অপরিবর্তিত ছিল। এই প্রবণতা বাজারে জোরালো ক্রয়চাপ প্রতিফলিত করে।

A ক্যাটাগরিতে ২১৬টি ইস্যুর মধ্যে ১৫৭টি অগ্রসর হয়েছে, যা বড়-মূলধনের কোম্পানিগুলোর স্থিতিশীল অবস্থান এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার নিদর্শন।B ক্যাটাগরির ৭৮টি ইস্যুর মধ্যে ৬৭টিতে উত্থান বাজারের মধ্য-মূলধনী শেয়ারেও শক্তিশালী গতি নির্দেশ করে।

Z ক্যাটাগরিতে ৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৬৩টি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এই ক্যাটাগরিতে সাধারণত উচ্চ ঝুঁকি থাকলেও দিনটি ছিল ব্যতিক্রমী।

মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড ও সরকারি সিকিউরিটিজ

মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ১৫টির দর বেড়েছে, যা দীর্ঘদিনের স্থবিরতার পরে খাতটিতে নতুন আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।করপোরেট বন্ড সেক্টরে ৩টির মধ্যে ২টির দর কমেছে।সরকারি সিকিউরিটিজে লেনদেন সীমিত হলেও অগ্রসর ও নিম্নমুখী সিকিউরিটিজের সংখ্যা সমান ছিল।

লেনদেনের সারসংক্ষেপ

দিনে মোট লেনদেন হয়েছে ১৩২৫০৩টি ট্রান্সঅ্যাকশনে, যেখানে লেনদেনের পরিমাণ (ভলিউম) ছিল ১৩ কোটি ৫২ লাখ শেয়ার এবং টাকার অঙ্কে লেনদেন দাঁড়ায় ৩৬৪.৬৪ কোটি টাকা। বাজারে এমন সক্রিয় লেনদেন সূচিত করে যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশাবাদ তৈরি হয়েছে।

বাজার মূলধন

ডিএসই-এর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬৮৭৬৭.১৩ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে:

• ইকুইটি মার্কেট – ৩২৫৪৯.৮৩ বিলিয়ন টাকা

• মিউচুয়াল ফান্ড – ২৩.১৬ বিলিয়ন টাকা

• ঋণপত্র বাজার – ৩৫৯৮৫.৬৩ বিলিয়ন টাকা

ব্লক মার্কেট লেনদেন

ব্লক লেনদেন ছিল তুলনামূলকভাবে সক্রিয়, ২২টি স্ক্রিপে মোট ৫৬টি লেনদেনে ৩৬.৯ লাখ শেয়ার হাতবদল হয় যার আর্থিক মূল্য ১২৫.২৫৭ মিলিয়ন টাকা।

উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে ছিল:

• FINE Foods – সর্বোচ্চ ৪৪.৫৩৩ মিলিয়ন টাকার লেনদেন

• Asiatic Lab – ১৯.৭৪ মিলিয়ন টাকার লেনদেন

• Dominage Steel – ১৬.৭৮৬ মিলিয়ন টাকার লেনদেন

এছাড়া ACI, Rahima Food, Rahim Textile এবং Sonali Life-ও উল্লেখযোগ্য ব্লক ট্রেডে অংশ নেয়।

বাজারের অগ্রসর ইস্যুর আধিক্য, লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি, ব্লক মার্কেটের গতিশীলতা এবং বাজার মূলধনের ইতিবাচক পরিবর্তন ইঙ্গিত করে যে বছরের শেষ প্রান্তিকে ডিএসই নতুন গতিতে উত্থান পর্বে প্রবেশ করছে। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং করপোরেট আয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়াতে পারে।


৮ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৬:৪০:৩৫
৮ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বিকেল ২টা ৫৩ মিনিটের লেনদেন ঘিরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতার প্রভাব বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারদরে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। শীর্ষ দশ ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির তালিকায় দেখা গেছে মিউচুয়াল ফান্ড, টেক্সটাইল, ফাইন্যান্স ও খাদ্য খাতের শেয়ারগুলোতে উল্লেখযোগ্য দরপতন।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে FAS Finance, যার শেয়ারদর ০.৮১ টাকা থেকে নেমে ০.৭৪ টাকায় ক্লোজ করে সর্বোচ্চ ৮.৬৪ শতাংশ দরপতন রেকর্ড করেছে। আর্থিক অবস্থার অনিশ্চয়তা এবং লেনদেনের চাপ কমে যাওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারদর টানা চাপের মুখে রয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা FamilyTex ৮.৩৩ শতাংশ দরপতনের মাধ্যমে ১.২ টাকা থেকে কমে ১.১ টাকায় ক্লোজ করে। বস্ত্র খাতের সামগ্রিক মন্থরতা এবং কোম্পানির কম চাহিদার কারণে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কিছুটা শ্লথ হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

খাদ্য খাতের BD Thai Food শেয়ারদরও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। কোম্পানিটির শেয়ার আগের দিনের ১৬.৪ টাকা থেকে নেমে ১৫.২ টাকায় ক্লোজ করে ৭.৩১ শতাংশ পতন দেখিয়েছে। একইভাবে New Line, DBH1STMF, Popular1MF, এবং ABB1STMF সহ একাধিক মিউচুয়াল ফান্ডের দর ৩ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে কমেছে, যা সামগ্রিকভাবে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব নির্দেশ করে।

টেক্সটাইল খাতের Alltex এবং Tallus Spinning শেয়ারের দর ৩ শতাংশের বেশি কমেছে, যা দৈনিক লেনদেনে খাতটির দুর্বল অবস্থানকে আরও দৃশ্যমান করেছে। তালিকার দশম স্থানে থাকা PLFSL শেয়ারের দর ৩.২২ শতাংশ কমে ০.৬২ টাকা থেকে নেমে ০.৬ টাকায় ক্লোজ করেছে।

সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে, বাজারে স্বল্পমেয়াদি সংশোধন পর্ব এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবে সতর্কতা বৃদ্ধির কারণে শীর্ষ লুজার তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো উল্লেখযোগ্য দরপতনের মুখে পড়েছে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মৌলভিত্তি শক্তিশালী কোম্পানি পুনরায় মূল্য সংশোধনের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

-রফিক


৮ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৬:৩৫:১৭
৮ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বিকেল ২টা ৫৩ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে বাজারে শীর্ষ গেইনার কোম্পানিগুলোর মধ্যে খাদ্য, প্রযুক্তি, বস্ত্র, ব্যাংকিং এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের শেয়ারগুলো সবচেয়ে বেশি উত্থান লাভ করেছে। বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং প্রত্যাশিত আর্থিক কর্মদক্ষতার কারণে দিনজুড়ে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারে লেনদেন গতিশীল ছিল।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে Rahima Food, যার শেয়ারদর দিনে সর্বোচ্চ ১৩৮.৬ টাকা ছুঁয়ে শেষ হয়েছে আগের দিনের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির প্রভাব Rahima Food-এর শেয়ারে প্রতিফলিত হয়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা INTECH ৯.৭ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.২ টাকায় ক্লোজ করেছে। প্রযুক্তি খাতে সম্প্রসারণ ও নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা Asiatic Lab ৮.১১ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৫৪.৬ টাকায় ক্লোজ করে। কোম্পানিটির সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং ল্যাবরেটরি সেবার চাহিদা বৃদ্ধিই শেয়ারমূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

শীর্ষ গেইনার তালিকায় আরও রয়েছে ISN Ltd., Rahim Textile, SBAC Bank, PTL, Nitol Insurance, Standard Insurance এবং Acme Plastic। বস্ত্র, ইন্স্যুরেন্স এবং ব্যাংকিং খাতে মূল্যসংশোধনের পর নতুন করে চাহিদা তৈরি হওয়ায় এসব কোম্পানির শেয়ারেও উত্থান দেখা গেছে। বিশেষত SBAC Bank দিনের শেষে ৫.৯ টাকায় ক্লোজ করে পাঁচ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংক খাতে নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

লক্ষ্যণীয়ভাবে, তালিকার শীর্ষ দশ কোম্পানির প্রতিটিই ৪ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক মনোভাবের শক্তিশালী নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

-রাফসান


মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর নতুন ন্যাভ প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১২:১৯:৩৮
মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর নতুন ন্যাভ প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত তাদের দৈনিক নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) প্রকাশ করেছে। ফান্ডগুলোর সামগ্রিক আর্থিক অবস্থান, বাজারমূল্যভিত্তিক ও ক্রয়মূল্যভিত্তিক ন্যাভ, এবং মোট নিট সম্পদের পরিমাণ হালনাগাদ করে বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরা হয়।

প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ICBEPMF1S1 ফান্ডের ইউনিটপ্রতি ন্যাভ বাজারমূল্যে দাঁড়িয়েছে ৭.৩২ টাকা, আর ক্রয়মূল্যে ১২.৩৭ টাকা। মোট নিট সম্পদ যথাক্রমে ৫৪৮.৯৯ কোটি টাকা ও ৯২৭.৯৯ কোটি টাকা।

ICBAMCL2ND ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক ন্যাভ ৮.২৪ টাকা, আর ক্রয়মূল্যে ১৩.৫৯ টাকা। ফান্ডটির মোট নিট সম্পদ যথাক্রমে ৪১১.৮৯ কোটি ও ৬৭৯.৬৭ কোটি টাকা।

1STPRIMFMF ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক ন্যাভ দাঁড়িয়েছে ৮.২০ টাকা এবং ক্রয়মূল্যভিত্তিক ১৬.৭২ টাকা, মোট নিট সম্পদ ১৬৪.০০ কোটি ও ৩৩৪.৪৬ কোটি টাকা।

NCCBLMF1 ফান্ড ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যে ন্যাভ দেখিয়েছে ৯.০৬ টাকা এবং ক্রয়মূল্যে ১১.০৯ টাকা, মোট সম্পদ যথাক্রমে ৯৮২.৬১ কোটি ও ১২০৩.১৯ কোটি টাকা।

LRGLOBMF1 ফান্ডের ন্যাভ বাজারমূল্যে ৮.৪২ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১১ টাকা এবং মোট সম্পদ ২৬২০.১৪ কোটি ও ৩৪২২.৪৩ কোটি টাকা।

MBL1STMF ফান্ডের ন্যাভ বাজারমূল্যে ৮.৪০ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১১.০৯ টাকা, সম্পদ ৮৪০.৩০ কোটি ও ১১০৯.৩৪ কোটি টাকা।

AIBL1STIMF এর ন্যাভ বাজারমূল্যে ৮.৮৪ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১১.২৭ টাকা, সম্পদ ৮৮৪.০৩ কোটি ও ১১২৬.৯৮ কোটি টাকা।

GREENDELMF ফান্ড বাজারমূল্যে ন্যাভ দেখিয়েছে ৮.৬৩ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১১.১১ টাকা। মোট সম্পদ ১২৯৪.৫৯ কোটি ও ১৬৬৬.৩৫ কোটি টাকা।

DBH1STMF ফান্ডের ন্যাভ বাজারমূল্যে ৮.৩৪ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১০.৯৫ টাকা, মোট সম্পদ ১০০০.৯৭ কোটি ও ১৩১৩.৮৬ কোটি টাকা।

CAPMIBBLMF ফান্ড ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যে ৭.৬৯ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১১.৩৭ টাকা, সম্পদ ৫১৩.৯৯ কোটি ও ৭৬০.০৯ কোটি টাকা।

CAPMBDBLMF ফান্ডের ন্যাভ বাজারমূল্যে ৭.৯৬ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১০.৮৯ টাকা, মোট নিট সম্পদ ৩৯৯.২৭ কোটি ও ৫৪৫.৮৬ কোটি টাকা।

শেষে, CAPITECGBF ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক ন্যাভ ৯.৭৮ টাকা, ক্রয়মূল্যে ১০.৮৮ টাকা, মোট নিট সম্পদ ১৫২২.১৫ কোটি ও ১৬৯৩.০৫ কোটি টাকা।

এই হালনাগাদ ন্যাভ তথ্য বিনিয়োগকারীদের ফান্ডগুলোর কার্যকারিতা, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

-রফিক


ডিএসই–৩০ এ মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার এগিয়ে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:২৭:৪৬
ডিএসই–৩০ এ মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার এগিয়ে
ছবি: সংগৃহীত

ডিএসই–৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনে মিশ্রধারার দেখা গেছে। ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অধিকাংশ শেয়ারের দাম সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কিছু কোম্পানি নেতিবাচক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। লেনদেনে ব্যাংক, ওষুধ, টেলিযোগাযোগ এবং ভোক্তা পণ্যের খাত সবচেয়ে সক্রিয় ছিল।

প্রথম সারির বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (BATBC) সামান্য উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখায়, যেখানে শেয়ারটির সর্বশেষ মূল্য দাঁড়ায় ২৪৮.৩ টাকা। অন্যদিকে ওষুধ খাতের BEACONPHARMA ১.৭১ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে শক্তিশালী লেনদেনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। BRAC ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং আইডিএলসি–র শেয়ারেও ইতিবাচক গতি লক্ষ্য করা যায়।

শিপিং খাতে থাকা বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (BSC) শেয়ারদাম ১.৬২ শতাংশ কমে যায়, যা দিনের উল্লেখযোগ্য পতনের একটি উদাহরণ। অপরদিকে বস্ত্র–পোশাক খাতের KBPPWBIL দিনে সবচেয়ে বড় লেনদেনমূল্য অর্জন করে, যার লেনদেন ছিল ৬০.৫৭ কোটি টাকারও বেশি।

আইসক্রিম প্রস্তুতকারক LOVELLO দিনের সারপ্রাইজ পারফর্মার, যা ৩.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। যোগাযোগ ও প্রযুক্তিখাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটাও ০.৭২ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি করেছে।

তেলখাতে Padma Oil এবং Jamuna Oil–এর শেয়ার সামান্য সংশোধনের মুখে পড়ে। সিমেন্ট খাতের HEIDELBCEM আবারও শক্তিশালী লেনদেন ধরে রেখে মূল্যবৃদ্ধি দেখায়।

সমগ্র বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বড় ক্যাপ কোম্পানির স্থিতিশীল পারফরম্যান্স বাজারকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখছে। তবে দিনের শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, ব্যাংকিং খাতের সংবাদ এবং কোম্পানিভিত্তিক আর্থিক আপডেটের দিকে নজর রাখবেন।

-রাফসান


নতুন আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধাক্কায় ডাকাডাই ডাইং

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১০:৩২:১৪
নতুন আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধাক্কায় ডাকাডাই ডাইং
ছবি: সংগৃহীত

ডাকাডাই ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক ফল প্রকাশ করেছে, যেখানে কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে। জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্বে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) হয়েছে মাইনাস ১.৫১ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ০.৪৪ টাকা। ফলে উৎপাদন ব্যয়, চাহিদা সংকট বা অন্যান্য আর্থিক চাপের কারণে লোকসান আরও গভীর হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

এ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (NOCFPS) কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৬ টাকা, যা গত বছর ছিল ০.৪০ টাকা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV) কমে এসেছে ২৫.৭১ টাকা থেকে ২৪.২৩ টাকায়, যা কোম্পানির সম্পদমান দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

অন্যদিকে, কোম্পানির পূর্ণ অর্থবছর ২০২৪–২৫ হিসাবেও উল্লেখযোগ্য লোকসান ধরা পড়েছে। পুরো বছর শেষে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৫.৮২ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল মাইনাস ২.৫৮ টাকা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও কমে হয়েছে ২৫.৭১ টাকা, যা আগের বছরের ৩১.৫১ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

এই আর্থিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদ ২০২৫ সালের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি ২০২৬, সকাল ১১টায়, গাজীপুরের টঙ্গী পাগাড় কারখানা প্রাঙ্গণে। রেকর্ড তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।

করপোরেট ঘোষণা প্রকাশিত হওয়ায় আজ (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) কোম্পানির শেয়ারের লেনদেনে কোনো প্রাইস লিমিট প্রযোজ্য নয় অর্থাৎ শেয়ারদর ঊর্ধ্ব–নিম্ন যেকোনো মাত্রায় ওঠানামা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে বাড়তি অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

-রাফসান


বাংলালিংকের সঙ্গে বড় চুক্তি করল কেয়ি অ্যান্ড কিউ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৫৬:২৫
বাংলালিংকের সঙ্গে বড় চুক্তি করল কেয়ি অ্যান্ড কিউ
ছবি: সংগৃহীত

কেয়ি অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড তাদের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ A2P (Application-to-Person) Aggregator Agreement স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় কেয়ি অ্যান্ড কিউ বাংলালিংকের জন্য অফিসিয়াল A2P অ্যাগ্রিগেটর হিসেবে কাজ করবে এবং গ্রাহকদের কাছে স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ্লিকেশন–ভিত্তিক বার্তা প্রেরণের সম্পূর্ণ সেবা পরিচালনা করবে।

কোম্পানি জানিয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রদত্ত লাইসেন্সের অধীনে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যা নিয়মতান্ত্রিক ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রযুক্তিগত কাঠামোর নিশ্চয়তা দেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তথ্যপ্রযুক্তি–নির্ভর সেবা খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধির ফলে A2P মেসেজিং বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এই চুক্তি কেয়ি অ্যান্ড কিউ-এর ব্যবসা ও রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

কেয়ি অ্যান্ড কিউ আশা করছে, নতুন এই সমঝোতা কোম্পানির ডিজিটাল সেবায় উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি টেলিকম সেক্টরে স্থায়ী আয়ের নতুন পথ খুলে দেবে। চুক্তিটি কার্যকর হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত প্রয়োগভিত্তিক যোগাযোগ সেবার সুযোগ তৈরি হবে।

-রাফসান


আর্থিক ফলাফল ও ডিভিডেন্ড নিয়ে মিশ্র বার্তা দিল অলটেক্স

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৫০:২৪
আর্থিক ফলাফল ও ডিভিডেন্ড নিয়ে মিশ্র বার্তা দিল অলটেক্স
ছবি: সংগৃহীত

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ জানায়, জুন ৩০, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত বছরের আর্থিক অবস্থার প্রেক্ষিতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড প্রদান সম্ভব নয়। বার্ষিক সাধারণ সভার (AGM) তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে, উচ্চ আদালতের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ঘোষণা করা হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ জানুয়ারি ২০২৬।

কোম্পানির প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অলটেক্সের শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) বেড়ে নেগেটিভ ০.১৮ টাকা, যা আগের বছর ছিল নেগেটিভ ০.০১ টাকা। লোকসান বাড়লেও কোম্পানির নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV)–এ উন্নতি হয়েছে। হিসাববছর শেষে প্রতিটি শেয়ারের NAV দাঁড়িয়েছে ২৪.৭৭ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালে ছিল ১৯.৯২ টাকা—অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির সম্পদমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোতেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ২০২৫ অর্থবছরের NOCFPS বেড়ে ১.৬৩ টাকা হয়েছে, যা গত বছরের ১.১৯ টাকার তুলনায় উন্নত। বিশ্লেষকদের মতে, ক্যাশ ফ্লো বৃদ্ধির অর্থ কোম্পানির কার্যক্রমে কিছুটা পুনরুদ্ধার লক্ষ্য করা গেলেও লোকসান ও ডিভিডেন্ড না দেওয়া বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চাপ ফেলতে পারে।

স্টক মার্কেট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অলটেক্সের NAV বৃদ্ধি ভবিষ্যত সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, তবে টানা লোকসান ও ডিভিডেন্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে।

-রাফসান


বিডি থাইয়ের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৪৬:১৪
বিডি থাইয়ের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম তাদের ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে, যেখানে কোম্পানির লোকসান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ০.৭০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ০.২৮ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

নগদ প্রবাহের ক্ষেত্রেও উন্নতি নেই। জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রান্তিকে কোম্পানির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো প্রতি শেয়ার (NOCFPS) ছিল মাইনাস ০.৩৬ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ঠিক একই পরিমাণ। এটি নির্দেশ করে যে কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রমমূলক নগদ প্রবাহ চাপে রয়েছে।

নেট অ্যাসেট ভ্যালুতে (NAV) সামান্য পতন দেখা গেছে। সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ তারিখে NAV ছিল ২৭.৯৮ টাকা, যা জুন ৩০, ২০২৫ তারিখে ছিল ২৮.৬০ টাকা। এর অর্থ কোম্পানির মোট সম্পদমূল্য কিছুটা কমেছে, যা এর আর্থিক স্থিতিশীলতায় চাপ সৃষ্টি করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধি, বাজারে চাহিদা হ্রাস এবং উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে কোম্পানি ব্যয়ভার সামলাতে পারছে না। যদি ব্যবস্থাপনা দ্রুত ব্যয় কাঠামো নিয়ন্ত্রণ ও বিক্রয় পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে পরবর্তী প্রান্তিকগুলোতেও লোকসানের ধারা আরও বাড়তে পারে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত