৮ জুলাই ২০২৫: শেয়ারের দরবৃদ্ধি হয়েছে যে ১০টী কোম্পানির

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৯ ০৯:৫০:৩৮
৮ জুলাই ২০২৫: শেয়ারের দরবৃদ্ধি হয়েছে যে ১০টী কোম্পানির

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮ জুলাই ২০২৫-এর লেনদেনে দেখা গেছে, সামগ্রিক বাজার স্থির থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির শেয়ারে ব্যতিক্রমী দরবৃদ্ধি হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের নজর মূলত নিম্নমূল্যের শেয়ার, মৌসুমি চাহিদাসম্পন্ন পণ্য এবং স্বল্প-মেয়াদে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাসম্পন্ন খাতের দিকে ছিল বেশি।

তামিজউদ্দিন টেক্সটাইলস (TAMIJTEX): পরপর দুই তালিকায় শীর্ষে

এই দিনে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে ‘তামিজউদ্দিন টেক্সটাইলস’-এর পারফরম্যান্স। আগের দিনের ক্লোজিং ছিল ১০৬.৫০ টাকা, যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭.১০ টাকায় মূল্যবৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ। একইসঙ্গে দিনের শুরুতেই দর ছিল ১০৫ টাকা, যা থেকে শেষ লেনদেন হয় ১১.৫২ শতাংশ উঁচুতে।

এই উত্তরণ কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের টানা আস্থার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে টেক্সটাইল খাতে নতুন রপ্তানি আদেশ বা পরিচালন ব্যয়ের কাঠামোতে পরিবর্তনের কোনো অভ্যন্তরীণ গুঞ্জন এর পেছনে কাজ করতে পারে বলে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা।

রহিমা ফুড (RAHIMAFOOD): খাদ্য খাতে নতুন গতি

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ‘রহিমা ফুড’-এর শেয়ারদর ৮২.২০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৯.৯০ টাকা হয়, যা ৯.৩৬ শতাংশ দরবৃদ্ধি। এছাড়া দিনের শুরুতেই দর ছিল ৮২.১০ টাকা এবং তা থেকে বেড়ে লাস্ট ট্রেড হয় ৯০.৪০ টাকায় ফলাফল, ১০.১১ শতাংশ লাফ।

দীর্ঘ সময় ধরে খাদ্য খাতের শেয়ারগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের নির্লিপ্ততা লক্ষ্য করা গেলেও, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে নতুন উৎসাহ ফিরতে দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোম্পানিটির উৎপাদন বৃদ্ধি কিংবা আয়-ব্যয়ের কাঠামোয় ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশাই এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (FIRSTSBANK): স্বল্পমূল্যের শেয়ারে সক্রিয়তা

স্বল্পমূল্যের ব্যাংকিং শেয়ার ‘ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক’ ৪.২০ টাকা থেকে বেড়ে ক্লোজ করে ৪.৫০ টাকায়, যা ৭.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির সামিল। স্বল্প দামের কারণে এই ধরনের শেয়ারগুলোর ওপর ডে-ট্রেডারদের আগ্রহ সাধারণত বেশি থাকে।

এই ঊর্ধ্বগতি কোনো মৌলিক কারণে না হলেও অস্থায়ী মুনাফা নেওয়ার কৌশল বা নির্দিষ্ট ট্রেডিং গ্রুপের আগ্রহ থেকে হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এর ভিত কতটা শক্ত তা দেখার বিষয়।

অ্যাপেক্স স্পিনিং (APEXSPINN): একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকেই গেইনার

অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের শেয়ার আগের দিনের ৯০.২০ টাকা থেকে ৯৬.৫০ টাকায় পৌঁছায়, যা ৬.৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে দিনের শুরুতে দর ছিল ৮৯.৮০ টাকা, যেখান থেকে শেষ লেনদেনে ৭.৪৬ শতাংশ লাফ দেখা যায়।

টেক্সটাইল খাতের এই কোম্পানিটি সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক অর্ডার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে গার্মেন্টস খাতে কিছু কাঁচামালের সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় আগাম মূল্যায়নে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে।

সি পার্ল (SEAPEARL): পর্যটন খাতের প্রত্যাবর্তন

হোটেল ও পর্যটন খাতভিত্তিক কোম্পানি ‘সি পার্ল’ ৫৩.২০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬.৯০ টাকায় ক্লোজ করে ৬.৯৫ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি। দিনের শুরুতেই দর ছিল ৫৩.০০ টাকা, যেখান থেকে ৭.৩৫ শতাংশ উত্থান দেখা যায়।

মৌসুমি পর্যটন চাহিদা বৃদ্ধি, রিসোর্ট বুকিং এবং ঈদের আগে করপোরেট বুকিং বেড়ে যাওয়াও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদ জোগাতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে হোটেল খাতে সম্ভাবনা থাকলেও বাজারে তা মাঝেমধ্যে স্বল্পকালীন উত্তেজনায় ভর করে।

টেকনো ড্রাগ (TECHNODRUG): স্বাস্থ্য খাতে প্রত্যাশা

ওষুধ কোম্পানি ‘TECHNODRUG’ আগের দিনের তুলনায় ৬.২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ওপেনিং থেকে শেষ ট্রেডে ৬.২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি দেখা যায়। ক্লোজিং হয়েছে ৩০.৮০ টাকায়।

বাংলাদেশে স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর বাজার সম্প্রসারণ এবং বেশ কয়েকটি নতুন ওষুধ অনুমোদনের গুঞ্জন বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। টেকনো ড্রাগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ইনজেকশন উৎপাদনে বিশেষায়িত অবস্থান বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস বাড়িয়েছে।

জেএমআই সিরিঞ্জ (JMISMDL): স্বাস্থ্য নিরাপত্তা খাতে চাহিদা

স্বাস্থ্য খাতের আরেকটি কোম্পানি ‘জেএমআই সিরিঞ্জ’-এর দর ১২৫.১০ থেকে বেড়ে ১৩৪.৯০ টাকায় পৌঁছেছে, অর্থাৎ ৭.৮৩ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি। করোনাকালীন পর স্বাস্থ্যবিষয়ক সরঞ্জামে যে চাহিদা তৈরি হয়েছিল, তা এখন নতুন করে স্ট্যাবিলিটি পাচ্ছে।

সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের অর্ডার কিংবা রপ্তানি বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনা এর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

লাভেলো (LOVELLO): মৌসুমি চাহিদায় ভোক্তা খাতে চাঙ্গা ভাব

ভোক্তা পণ্যের কোম্পানি ‘LOVELLO’ ৮৮.৯০ টাকা থেকে শুরু করে ৯৫.৭০ টাকায় শেষ লেনদেন করেছে, ৭.৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি। গ্রীষ্ম মৌসুমে আইসক্রিম পণ্যের বিক্রি বাড়ায় কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের স্বাভাবিক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

নতুন আউটলেট খোলা ও পণ্যের প্রচারণা বৃদ্ধির কৌশলও বাজারে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। ভোক্তা খাতে এ ধরনের মৌসুমি উত্থান নিয়মিত হলেও লাভেলোর পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন পর ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।

GQ Ballpen ও Stylecraft: ভোক্তা ও গার্মেন্টস খাতের প্রতিনিধিত্ব

পেন ও স্টেশনারি পণ্যের কোম্পানি GQ Ballpen-এর দর ১৬৯.৬ থেকে বেড়ে ১৭৯.৮ টাকায় পৌঁছেছে, যা ৬ শতাংশের মতো বৃদ্ধি। শিক্ষা মৌসুমে চাহিদা বৃদ্ধি, এবং একাধিক পণ্যবৈচিত্র্যে প্রবেশের কারণে এটি বিনিয়োগযোগ্য হয়ে উঠছে।

একইভাবে ‘স্টাইলক্র্যাফট’ গার্মেন্টস খাতভিত্তিক একটি কোম্পানি, যার দর ৫.৭৩ শতাংশ ক্লোজিংভিত্তিক এবং ৫.৯১ শতাংশ ওপেনিং ভিত্তিক বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনা ও ভারতীয় বাজারে কিছু রপ্তানি চুক্তি এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির প্রত্যাশা এর পেছনে কার্যকর হয়েছে বলে অনুমান।

সবমিলিয়ে ৮ জুলাইয়ের গেইনার তালিকা ঘুরে দাঁড়াতে থাকা বিনিয়োগ আস্থার ইঙ্গিত দিলেও এখনো বাজারে স্থায়ী কোনো ট্রেন্ড তৈরি হয়নি। বড় বিনিয়োগকারীরা এখনো অপেক্ষা করছে নীতিনির্ধারণী পরিবর্তন ও মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত স্পষ্ট বার্তার জন্য।

তবে যেসব কোম্পানি মৌলিক শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং ব্যবসায়িক কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে, তারা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে দ্রুতগতিতে। সামনে কোম্পানির আয় বিবরণী ও লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমে এই গেইনার তালিকা আরও রূপ নিতে পারে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক


নতুন আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধাক্কায় ডাকাডাই ডাইং

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১০:৩২:১৪
নতুন আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধাক্কায় ডাকাডাই ডাইং
ছবি: সংগৃহীত

ডাকাডাই ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক ফল প্রকাশ করেছে, যেখানে কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে। জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্বে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) হয়েছে মাইনাস ১.৫১ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ০.৪৪ টাকা। ফলে উৎপাদন ব্যয়, চাহিদা সংকট বা অন্যান্য আর্থিক চাপের কারণে লোকসান আরও গভীর হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

এ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (NOCFPS) কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৬ টাকা, যা গত বছর ছিল ০.৪০ টাকা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV) কমে এসেছে ২৫.৭১ টাকা থেকে ২৪.২৩ টাকায়, যা কোম্পানির সম্পদমান দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

অন্যদিকে, কোম্পানির পূর্ণ অর্থবছর ২০২৪–২৫ হিসাবেও উল্লেখযোগ্য লোকসান ধরা পড়েছে। পুরো বছর শেষে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৫.৮২ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল মাইনাস ২.৫৮ টাকা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও কমে হয়েছে ২৫.৭১ টাকা, যা আগের বছরের ৩১.৫১ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

এই আর্থিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদ ২০২৫ সালের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি ২০২৬, সকাল ১১টায়, গাজীপুরের টঙ্গী পাগাড় কারখানা প্রাঙ্গণে। রেকর্ড তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।

করপোরেট ঘোষণা প্রকাশিত হওয়ায় আজ (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) কোম্পানির শেয়ারের লেনদেনে কোনো প্রাইস লিমিট প্রযোজ্য নয় অর্থাৎ শেয়ারদর ঊর্ধ্ব–নিম্ন যেকোনো মাত্রায় ওঠানামা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে বাড়তি অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

-রাফসান


বাংলালিংকের সঙ্গে বড় চুক্তি করল কেয়ি অ্যান্ড কিউ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৫৬:২৫
বাংলালিংকের সঙ্গে বড় চুক্তি করল কেয়ি অ্যান্ড কিউ
ছবি: সংগৃহীত

কেয়ি অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড তাদের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ A2P (Application-to-Person) Aggregator Agreement স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় কেয়ি অ্যান্ড কিউ বাংলালিংকের জন্য অফিসিয়াল A2P অ্যাগ্রিগেটর হিসেবে কাজ করবে এবং গ্রাহকদের কাছে স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ্লিকেশন–ভিত্তিক বার্তা প্রেরণের সম্পূর্ণ সেবা পরিচালনা করবে।

কোম্পানি জানিয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রদত্ত লাইসেন্সের অধীনে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যা নিয়মতান্ত্রিক ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রযুক্তিগত কাঠামোর নিশ্চয়তা দেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তথ্যপ্রযুক্তি–নির্ভর সেবা খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধির ফলে A2P মেসেজিং বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এই চুক্তি কেয়ি অ্যান্ড কিউ-এর ব্যবসা ও রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

কেয়ি অ্যান্ড কিউ আশা করছে, নতুন এই সমঝোতা কোম্পানির ডিজিটাল সেবায় উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি টেলিকম সেক্টরে স্থায়ী আয়ের নতুন পথ খুলে দেবে। চুক্তিটি কার্যকর হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত প্রয়োগভিত্তিক যোগাযোগ সেবার সুযোগ তৈরি হবে।

-রাফসান


আর্থিক ফলাফল ও ডিভিডেন্ড নিয়ে মিশ্র বার্তা দিল অলটেক্স

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৫০:২৪
আর্থিক ফলাফল ও ডিভিডেন্ড নিয়ে মিশ্র বার্তা দিল অলটেক্স
ছবি: সংগৃহীত

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ জানায়, জুন ৩০, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত বছরের আর্থিক অবস্থার প্রেক্ষিতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড প্রদান সম্ভব নয়। বার্ষিক সাধারণ সভার (AGM) তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে, উচ্চ আদালতের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ঘোষণা করা হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ জানুয়ারি ২০২৬।

কোম্পানির প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অলটেক্সের শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) বেড়ে নেগেটিভ ০.১৮ টাকা, যা আগের বছর ছিল নেগেটিভ ০.০১ টাকা। লোকসান বাড়লেও কোম্পানির নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV)–এ উন্নতি হয়েছে। হিসাববছর শেষে প্রতিটি শেয়ারের NAV দাঁড়িয়েছে ২৪.৭৭ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালে ছিল ১৯.৯২ টাকা—অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির সম্পদমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোতেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ২০২৫ অর্থবছরের NOCFPS বেড়ে ১.৬৩ টাকা হয়েছে, যা গত বছরের ১.১৯ টাকার তুলনায় উন্নত। বিশ্লেষকদের মতে, ক্যাশ ফ্লো বৃদ্ধির অর্থ কোম্পানির কার্যক্রমে কিছুটা পুনরুদ্ধার লক্ষ্য করা গেলেও লোকসান ও ডিভিডেন্ড না দেওয়া বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চাপ ফেলতে পারে।

স্টক মার্কেট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অলটেক্সের NAV বৃদ্ধি ভবিষ্যত সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, তবে টানা লোকসান ও ডিভিডেন্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে।

-রাফসান


বিডি থাইয়ের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৪৬:১৪
বিডি থাইয়ের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম তাদের ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে, যেখানে কোম্পানির লোকসান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ০.৭০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ০.২৮ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

নগদ প্রবাহের ক্ষেত্রেও উন্নতি নেই। জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রান্তিকে কোম্পানির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো প্রতি শেয়ার (NOCFPS) ছিল মাইনাস ০.৩৬ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ঠিক একই পরিমাণ। এটি নির্দেশ করে যে কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রমমূলক নগদ প্রবাহ চাপে রয়েছে।

নেট অ্যাসেট ভ্যালুতে (NAV) সামান্য পতন দেখা গেছে। সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ তারিখে NAV ছিল ২৭.৯৮ টাকা, যা জুন ৩০, ২০২৫ তারিখে ছিল ২৮.৬০ টাকা। এর অর্থ কোম্পানির মোট সম্পদমূল্য কিছুটা কমেছে, যা এর আর্থিক স্থিতিশীলতায় চাপ সৃষ্টি করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধি, বাজারে চাহিদা হ্রাস এবং উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে কোম্পানি ব্যয়ভার সামলাতে পারছে না। যদি ব্যবস্থাপনা দ্রুত ব্যয় কাঠামো নিয়ন্ত্রণ ও বিক্রয় পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে পরবর্তী প্রান্তিকগুলোতেও লোকসানের ধারা আরও বাড়তে পারে।

-রফিক


৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৫:০৯:১৯
৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের লেনদেন দিনে বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেল। দিনের সার্বিক সূচকে পতন থাকলেও অগ্রগামী বা গেইনার সংখ্যায় আগের দিনের তুলনায় বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। বাজারের সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে ৩৮৭টি কোম্পানি ও সেক্টরভিত্তিক ইস্যু লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ১১০টি ইস্যুর দর বাড়ে, ২০৯টি কমে এবং ৬৮টি অপরিবর্তিত থাকে।

A ক্যাটাগরিতে মৃদু ইতিবাচক সেন্টিমেন্ট

A ক্যাটাগরিতে মোট ২১৩টি ইস্যু লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫২টি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে ১২৩টি কমেছে, এবং ৩৮টি অপরিবর্তিত থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের মিশ্র সেন্টিমেন্ট ও স্বল্পমেয়াদি তারল্য অনিশ্চয়তা A ক্যাটাগরির পতনে ভূমিকা রেখেছে।

B ও Z ক্যাটাগরিতে লেনদেন তুলনামূলক চাঙা

B ক্যাটাগরিতে ৭৭টি ইস্যুর মধ্যে ২৪টি দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পূর্বদিনের তুলনায় একটি ইতিবাচক মোড় নির্দেশ করছে। যদিও ৪৪টি শেয়ার দরপতনের মুখে পড়ে।Z ক্যাটাগরিতে লেনদেন আরও প্রাণবন্ত ছিল, যেখানে ৩৪টি ইস্যু দরবৃদ্ধি পায় এবং মাত্র ৪২টি কমে, অপরদিকে ২১টি অপরিবর্তিত থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই Z ক্যাটাগরি জুড়ে অস্থিরতা স্বাভাবিক হলেও আজ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

মিউচুয়াল ফান্ডে সীমিত পুনরুদ্ধার

মিউচুয়াল ফান্ড (MF) সেগমেন্টে মোট ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ৯টি অগ্রগতি দেখিয়েছে, ১১টি পতন হয়েছে এবং ১৫টি স্থিতিশীল ছিল। মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বাজারের সামগ্রিক চাপ ফান্ডগুলোর নেট অ্যাসেট ভ্যালুতে অভিঘাত ফেলছে।

লেনদেনের পরিমাণ কমেছে

দিনজুড়ে ডিএসইতে মোট ১,১৪,৭৬৪টি ট্রেড সম্পন্ন হয়, যা পূর্বদিনের তুলনায় কম। মোট লেনদেনকৃত শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯০১টি। সামগ্রিক লেনদেনমূল্য কমে দাঁড়ায় ২৬৭৬.৪৫ কোটি টাকা, যা বাজারে তারল্য সংকট বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ব্লক মার্কেটে বৈচিত্র্যময় লেনদেন

ব্লক মার্কেটে মোট ২৯টি স্ক্রিপে ৫২টি লেনদেন সম্পন্ন হয়, যেখানে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১৭,৭৩,৩৯৪টি সিকিউরিটি এবং বাজারমূল্য ১৩০.১৮৮ মিলিয়ন টাকা। প্রধান ব্লক ট্রেডগুলোর মধ্যে ACI, FINEFOODS, SHYAMPSUG, CITYBANK এবং ORIONINFU উল্লেখযোগ্য।

যেখানে FINEFOODS এককভাবে ১৪টি ট্রেডে সর্বোচ্চ ৬৬.৯৫৮ মিলিয়ন টাকার লেনদেন সম্পন্ন করেছে যা ব্লক মার্কেটের দিনের লেনদেনকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙা করেছে।

বাজার মূলধন সামান্য সংকুচিত

দিন শেষে ডিএসইর মোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন দাঁড়ায় ৬,৮৩৯,৮৩১.৪৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য হ্রাস নির্দেশ করে। এর মধ্যে-

  • ইকুইটি মার্কেট ক্যাপ: ৩,২৩,৭২৩১.৫০ কোটি টাকা
  • মিউচুয়াল ফান্ড মার্কেট ক্যাপ: ২৩,১০১.৪৬ কোটি টাকা
  • ডেট সিকিউরিটিজ ক্যাপ: ৩,৫৭,৯৪৯৫.০০ কোটি টাকা

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, করপোরেট আর্নিংস শ্লথগতি এবং বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের অস্থিরতা বাজার বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে সতর্ক করে তুলছে।


৭ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৫:০৬:০২
৭ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫-এর লেনদেন দিনে বাজারজুড়ে বিক্রির চাপ তীব্র ছিল। দিনের শেষে ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত (লুজার) তালিকার শীর্ষে রয়েছে FASFIN, যার শেয়ারমূল্য ০.৯ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮১ টাকায়। ঠিক ১০ শতাংশ পতন এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা KPPL পুরো দিন জুড়ে অস্থির লেনদেনের মধ্যে পড়ে। সর্বোচ্চ ১৮.৮ টাকা পর্যন্ত উঠলেও দিনের শেষে শেয়ারটি ১৬.৮ টাকায় নেমে আসে, যা পূর্বদিনের তুলনায় ৯.৬৭ শতাংশ কম। বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, চলমান খাত–সংকট ও দুর্বল আর্থিক পূর্বাভাস এমন পতনের কারণ হতে পারে।

তৃতীয় স্থানে থাকা BDTHAI–ও উল্লেখযোগ্য ধস নেমেছে। ১২.৯ টাকা থেকে কমে ১১.৭ টাকায় বন্ধ হয়ে শেয়ারটি দিনের শেষে ৯.৩০ শতাংশ হ্রাস পায়। কোম্পানির সাম্প্রতিক আর্থিক ফলাফল এবং আমদানিনির্ভর খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের মানসিকতায় প্রভাব ফেলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে PRIMEFIN, GHCL, ANWARGALV, INTECH, OIMEX, GSPFINANCE ও BIFC উল্লেখযোগ্য। PRIMEFIN এর ৭.৬৯ শতাংশ পতন বাজারে মাইক্রোফিন্যান্স খাতের অনিশ্চয়তাকে সামনে তুলে ধরেছে। GHCL–এর ৭.২৭ শতাংশ কমে যাওয়া চাহিদা সংকোচন ও কাঁচামালের মূল্য–অস্থিরতাকে প্রতিফলিত করছে।

ইস্পাত ও গ্যালভানাইজিং সেক্টরের প্রতিষ্ঠান ANWARGALV–এর শেয়ারও চাপে পড়ে ৮৭.১ টাকা থেকে নেমে ৮১.২ টাকায় আসে, যা ৬.৭৭ শতাংশ ক্ষতি নির্দেশ করে। প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের প্রতিষ্ঠান INTECH–এর পতন ৬.৫৪ শতাংশ, আর OIMEX–ও দিনের শেষে ৬.৪৯ শতাংশ কমে রয়েছে।

তালিকার শেষদিকে থাকা BIFC যার মূল্যে ৫.৫৫ শতাংশ হ্রাস হয়েছে, আর্থিক অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘমেয়াদি রিটার্ন সংকটের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাকে প্রতিফলিত করছে।

বিশ্লেষকেরা জানান, বাজারের সার্বিক দুর্বল সেন্টিমেন্ট, তারল্য সংকট, এবং খাতভিত্তিক আর্থিক চাপ মিলিয়ে দিনজুড়ে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি হয়েছে। তারা মনে করেন, স্বল্পমেয়াদে বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের শেয়ার–নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।

-রফিক


৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৪:৫৯:৩৬
৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫-এর লেনদেনে উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গেছে বেশ কিছু সেক্টরের নির্বাচিত শেয়ারে। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ গেইনার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে SAPORTL, যা আগের দিনের ৩৮.২ টাকা থেকে বেড়ে ৪১.১ টাকায় বন্ধ হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ ছিল ৪১.৯ টাকা। মোট ৭.৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করেছে। বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক অগ্রগতি ও প্রত্যাশা বৃদ্ধিই এমন ইতিবাচক গতির অন্যতম কারণ।

গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড GREENDELMF, যার শেয়ারমূল্য ২.৮ টাকা থেকে বেড়ে ৩ টাকা হয়েছে। প্রায় ৭.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ফান্ডটি দিনের শীর্ষ পারফর্মারদের মধ্যে জায়গা করে নেয়। তুলনামূলক কম দামের হলেও সক্রিয় লেনদেন ও স্বল্পমেয়াদি রিটার্ন প্রত্যাশীদের আগ্রহ বৃদ্ধির ফলেই এই উত্থান হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

তৃতীয় স্থানে থাকা SHEPHERD এর শেয়ারের মূল্য ১২.৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৩.৮ টাকায় পৌঁছায়, যা ৬.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। টেক্সটাইল খাত সম্প্রতি নতুন রপ্তানি অর্ডার ও কাঁচামালের মূল্য-স্থিতিশীলতার কারণে আবারও লেনদেনের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে, যার প্রভাব এই শেয়ারের উত্থানেও প্রতিফলিত হয়েছে।

দিনের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি ছিল বহুজাতিক কোম্পানি UNILEVERCL। উচ্চ পুঁজির এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ২,১১৯.৩ টাকা থেকে বেড়ে ২,২২২.৪ টাকায় বন্ধ হয়, যা প্রায় ৪.৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। বিশ্লেষকদের মতে, শক্তিশালী ব্র্যান্ড অবস্থান, টানা মুনাফা ও স্থিতিশীল ডিভিডেন্ড নীতির কারণে ইউনিলিভারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে।

তালিকার অন্যান্য শীর্ষ গেইনারের মধ্যে TOSRIFA (৬.০৬%), GOLDENSON (৫.৭৬%), DBH (৪.৯৫%), APEXSPINN (৪.১৩%), SHARPIND (৩.৯০%) এবং ABB1STMF (৩.৮৪%) উল্লেখযোগ্য। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে সাম্প্রতিক কৌশলগত পরিবর্তন, খাতভিত্তিক চাহিদা বৃদ্ধি ও বাজারে রিবাউন্ড প্রবণতার কারণে বিনিয়োগকারীদের নতুন করে আগ্রহ দেখা গেছে।

বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, সপ্তাহের শুরুতে কিছু শেয়ারের অতিরিক্ত বিক্রি ও দামের পতনের পর এখন বাজারে হালকা রিবাউন্ড দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী ও কনজ্যুমার গুডস খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়ায় বাজারে ইতিবাচক সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়েছে। তবে তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন, সামগ্রিক বাজার–ঝুঁকি এখনো পুরোপুরি কাটেনি, তাই শেয়ার নির্বাচন ও বিনিয়োগ কৌশলে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

-রফিক


৮ ডিসেম্বর চার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ফের চালু

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৩:১৮:৩৫
৮ ডিসেম্বর চার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ফের চালু
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, রেকর্ড ডেট সম্পন্ন হওয়ার পর চারটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগামী ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার থেকে স্বাভাবিকভাবে পুনরায় চালু হবে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো হলো আরডি ফুড (RDFOOD), ফার্মেইড (PHARMAID), আইবিপি (IBP) এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (BSC)।

প্রতিটি কোম্পানি তাদের নির্ধারিত রেকর্ড ডেট সম্পন্ন করায় ওই দিন এক্স-রেকর্ড স্ট্যাটাসে লেনদেন বন্ধ ছিল। পরবর্তী কার্যদিবস থেকে শেয়ারগুলো পুনরায় ট্রেডিংয়ে ফিরবে এবং বিনিয়োগকারীরা আগের মতোই এসব সিকিউরিটিজ কেনাবেচা করতে পারবেন।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, রেকর্ড ডেট সাধারণত লভ্যাংশ, অধিগ্রহণ, রাইট শেয়ার বা অন্যান্য করপোরেট ঘোষণার সুবিধাভোগী নির্ধারণের আনুষ্ঠানিক দিন। রেকর্ড ডেট শেষে ট্রেডিং পুনরায় চালু হলে বাজারে শেয়ারের দাম স্বাভাবিক চাহিদা–যোগানের ভিত্তিতে নতুন ভারসাম্যে পৌঁছায়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, রেকর্ড ডেট পরবর্তী প্রথম লেনদেনের দিন সংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলোতে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কারণ নতুন ও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা লেনদেন পুনরায় শুরু হওয়াকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে সামগ্রিকভাবে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা বাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখে।

-রফিক


১০ ও ৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে কুপন পেতে যা লাগবে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১২:৫৭:২৪
১০ ও ৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে কুপন পেতে যা লাগবে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি বন্ড বাজারে লেনদেন হওয়া দুইটি সরকারি সিকিউরিটিজের কুপন পেমেন্টের রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত তারিখে যেসব বিনিয়োগকারী বন্ডধারী থাকবেন, তারাই সংশ্লিষ্ট কুপন পেমেন্ট পাওয়ার অধিকারী হবেন।

প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ড (10Y BGTB 17/06/2030)–এর কুপন পেমেন্টের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। এ তারিখ পর্যন্ত যাদের কাছে বন্ডটি থাকবে, তারা কুপন প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। সিকিউরিটিজটির ট্রেডিং কোড TB10Y0630।

একই দিনে ঘোষিত অন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ড (05Y BGTB 16/06/2026)–এর কুপন পেমেন্টের রেকর্ড ডেটও নির্ধারিত হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। ট্রেডিং কোড TB5Y0626।

রেকর্ড ডেট হলো এমন একটি নির্দিষ্ট দিন, যেদিন পর্যন্ত নিবন্ধিত বন্ডধারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই তারিখে যার নামে বন্ড থাকে, তিনিই পরবর্তী সুদ বা কুপন সুবিধা পান। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সরকারের সিকিউরিটিজ বাজারকে আরও সক্রিয় এবং স্বচ্ছ রাখতে নিয়মিতভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করে ডিএসই।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত