ডায়রিয়া হলে কী করবেন, কী করবেন না – জানুন বিস্তারিত

ডায়রিয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও কখনো কখনো এটি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও দুর্বল রোগীদের জন্য এটি হতে পারে জীবনঘাতী। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়, ফলে শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই ডায়রিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ: সবার আগে হাইড্রেশন
ডায়রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হলো শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল সরবরাহ করা। এক্ষেত্রে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ওআরএস) সবচেয়ে কার্যকর। বারবার ওআরএস পান করলে শরীরের হারানো লবণ ও পানির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যুপ, ভাতের মাড়, লবণ-চিনিযুক্ত পানি বা স্যালাইন জাতীয় তরল গ্রহণ করাও উপকারী।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস: সহজ হজমযোগ্য খাবারই ভরস
ডায়রিয়ার সময় পাকস্থলী দুর্বল থাকে, তাই এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যা সহজে হজম হয়। সেদ্ধ ভাত, কলা, আপেলের রস, সাদা পাউরুটি বা টোস্ট এই সময়ের জন্য আদর্শ খাবার। এ ধরনের খাদ্য শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায় এবং পাকস্থলিকে আরাম দেয়।
বিশ্রামের গুরুত্ব: দ্রুত সেরে উঠার চাবিকাঠি
শরীর যখন অসুস্থ, তখন সেটি নিজে থেকেই বিশ্রাম চায়। ডায়রিয়ার সময় অতিরিক্ত কাজ বা পরিশ্রম শরীরকে আরও দুর্বল করে দেয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করা একান্ত জরুরি।
যা এড়িয়ে চলা উচিত
ডায়রিয়ার সময় কিছু ভুল অভ্যাস রোগের অবস্থা আরও খারাপ করে দিতে পারে। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, মসলা ও তেলযুক্ত খাবার, চিনি ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। একইভাবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ করলে শরীর আরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এছাড়া, অনেকেই নিজের ইচ্ছামত ওষুধ খেয়ে ফেলেন যা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই কোনো ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি
ডায়রিয়ার সঙ্গে যদি মলের সঙ্গে রক্ত আসে, তীব্র পেট ব্যথা, জ্বর বা ঘনঘন বমি দেখা দেয়, তাহলে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার গতি দ্রুত হয়, তাই তাদের শরীরে হাইড্রেশনের অভাব হলে জীবনসংকট তৈরি হতে পারে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধযোগ্য ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটি অবস্থা, যদি আমরা শুরুতেই সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারি। সচেতনতা, পুষ্টিকর তরল ও সহজ খাবার, এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শই হতে পারে ডায়রিয়া থেকে দ্রুত মুক্তির চাবিকাঠি। বিশেষ করে বর্ষাকালে ও দূষিত পানির সময় এসব নির্দেশনা মানা অত্যন্ত প্রয়োজন। পরিবার ও সমাজের প্রতিটি সদস্য যদি সচেতন হয়, তাহলে ডায়রিয়া হয়ে উঠবে না আর কোনো ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।
পুরুষের শক্তি ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে রোজকার পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার
পুরুষদের শরীরের জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি পেশি গঠনে ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে আধুনিক জীবনধারা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে অনেকের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। অনেকেই তখন হরমোন ইনজেকশন বা ওষুধের ওপর নির্ভর করেন যা সবসময় নিরাপদ নাও হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু সাধারণ খাবারের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে উদ্ভিজ দুধ যেমন সয়া আমন্ড বা ওটসের দুধ টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি আছে তাঁদের জন্য উদ্ভিজ দুধ একটি নিরাপদ এবং কার্যকর বিকল্প হতে পারে। এছাড়া অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর বেদানা শরীরে প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে। মানসিক চাপও হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে তাই নিয়মিত বেদানা খেলে মানসিক চাপ কমে যায় এবং টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ স্বাভাবিক থাকে।
খাদ্যতালিকায় তেলযুক্ত মাছ রাখার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। রুই কাতলা আর বোয়াল বা চিতলের মতো তেলযুক্ত মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বাড়াতেও সহায়তা করে। প্রোটিন ভিটামিন ডি ও অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভরপুর ডিম শরীরের টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখা পুরুষদের শক্তি ও পেশি গঠনের জন্য সহায়ক।
কলা নিয়মিত খেলে শরীরে শক্তি ও স্ফূর্তি আসে। এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখে। এই সহজ কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলেই পুরুষদের শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী থাকে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
প্রিয় খাবারই যখন কিডনির শত্রু, কিডনি সুস্থ রাখতে পাত থেকে বাদ দিন এই ৫টি খাবার
মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি হলো কিডনি। দেহের বর্জ্য ছেঁকে ফেলা এবং মূত্র তৈরি করা থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন সবই নির্ভর করে এই অঙ্গটির ওপর। অথচ অনেকেই কিডনির যত্নে উদাসীন থাকেন। এর ফল হিসেবে অজান্তেই বাড়তে থাকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজসহ নানা জটিলতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিচিত খাবারই কিডনির ওপর বাড়তি চাপ ফেলে এবং নিয়মিত খেলে দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কোন খাবারগুলোতে সতর্ক থাকতে হবে তা জেনে নেওয়া জরুরি।
লবণ ও উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার
ভাত বা প্রিয় খাবারের সঙ্গে লবণ না হলে অনেকেরই যেন চলেই না। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ কিডনির ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। কাঁচা লবণ হোক বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা সোডিয়াম উভয়ই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড
কাজের ফাঁকে কিংবা সন্ধ্যার আড্ডায় ফাস্ট ফুড এখন খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু নিয়মিত এসব খাবার শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং বাড়ায় কিডনি রোগের ঝুঁকিও। তাই অভ্যাসবশত প্রতিদিন ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম। এছাড়া বাজারে সহজলভ্য প্রসেসড ফুড দ্রুত ক্ষুধা মেটালেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবার প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং কিডনির টিস্যুতে ক্ষতি করে। তাই প্রসেসড ফুডকে নিয়মিত খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়াই কিডনির জন্য নিরাপদ।
আচার বা পিকেল
ভাত খিচুড়ি বা নাস্তার সঙ্গে আচার অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আচারে থাকা উচ্চমাত্রার লবণ কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। নিয়মিত আচার খেলে কিডনি সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আচার রাখলে সতর্ক হতে হবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
মিষ্টি শুধু ডায়াবেটিস বা ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায় না বরং কিডনির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য নষ্ট করে কিডনিকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। তাই কিডনির সুস্থতা চাইলে মিষ্টিজাত খাবার কমাতে হবে।
রোজকার খাবারের তালিকায় থাকা এই পরিচিত উপাদানগুলোই অজান্তে কিডনির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এগুলো কমিয়ে তাজা শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার বিষয়টিকে খাদ্য তালিকায় বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তাহলেই কিডনি থাকবে সুস্থ এবং আপনিও থাকবেন ঝুঁকিমুক্ত।
অজান্তেই স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে আপনার পছন্দের যে ৩টি পানীয়
ব্যস্ত জীবনে বাইরে খাওয়াদাওয়ার সময় অনেকেই খেয়াল করেন না কী পান করছেন। অথচ আমাদের অজান্তেই কিছু পানীয় ধীরে ধীরে ক্ষতি করতে পারে মস্তিষ্কের এবং কমিয়ে দিতে পারে স্মৃতির ক্ষমতা। সম্প্রতি গবেষকরা এমনই এক ভীতিকর তথ্য সামনে এনেছেন। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিউরোসায়েন্টিস্ট রবার্ট ডব্লিউ বি লাভ জানিয়েছেন তিনটি পরিচিত পানীয় রয়েছে যেগুলো দীর্ঘদিন নিয়মিত গ্রহণ করলে মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এতে স্মৃতি দুর্বল হওয়া ছাড়াও দেখা দিতে পারে নানা স্নায়বিক জটিলতা।
বিশেষজ্ঞের তালিকায় প্রথম পানীয়টি হলো অ্যালকোহল। মদ্যপানের ক্ষতি নতুন কিছু নয় তবে রবার্টের ব্যাখ্যা অনুযায়ী অ্যালকোহল মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় যার ফলে ঘুমের সমস্যা স্মৃতি দুর্বলতা ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তিনি আরও জানান অ্যালকোহল অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে যা পরোক্ষভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত পান করলে স্মৃতিভ্রষ্টতা বা অনিদ্রা পর্যন্ত হতে পারে।
দ্বিতীয় ক্ষতিকর পানীয় হিসেবে তিনি চিনি মেশানো সোডার কথা উল্লেখ করেছেন। সোডা পানীয়তে থাকে উচ্চমাত্রার চিনি যা শরীরে শর্করা বাড়ানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত চিনি মেশানো সোডা পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৬৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এই প্রদাহ অ্যালঝেইমার্সসহ অন্যান্য নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি ডায়েট সোডাও মস্তিষ্কের জন্য নিরাপদ নয় বলে তিনি মত দিয়েছেন।
তৃতীয়ত অপরিশোধিত কলের পানি বা ট্যাপ ওয়াটার নিয়েও সতর্ক করেছেন এই বিজ্ঞানী। বর্ষাকালে ডায়রিয়া ও আমাশয়সহ পেটের নানা রোগ বেড়ে যায় তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন কলের পানি অবশ্যই ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে খেতে হবে। কারণ অপরিশোধিত ট্যাপ ওয়াটারে থাকা ফ্লুয়োজাইড নামের রাসায়নিক উপাদান মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দাঁতের সুরক্ষায় ফ্লুয়োজাইড ব্যবহার হলেও এটি গিলে ফেলা বা দীর্ঘদিন অপরিশোধিত অবস্থায় গ্রহণ করলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।
মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে শুধু খাবার নয় পানীয় নির্বাচনের দিকেও সতর্ক থাকা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। নিউরোসায়েন্টিস্টদের পরামর্শ হলো সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং যথেষ্ট ঘুমের পাশাপাশি নিরাপদ পানীয় বেছে নেওয়া। আগেভাগে সতর্ক হলে ভবিষ্যতের অনেক মানসিক ও শারীরিক ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
নারীদের নীরব শত্রু জরায়ুমুখের ক্যানসার, কারা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে জেনে নিন
নারীর জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ এক শত্রুর নাম জরায়ুমুখের ক্যানসার। অনেক সময় এই রোগ শুরুতে কোনো তীব্র লক্ষণ দেখায় না বরং ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে। অথচ চাইলে একেবারে শুরুর দিকেই খুব সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা সম্ভব। চিকিৎসকরা বলছেন নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করালে এ রোগ থেকে শতভাগ নিরাপদ থাকা যায়। বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যানসারের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা এই ক্যানসার বাংলাদেশেও ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো শহর বা গ্রাম এবং শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সব শ্রেণির নারীর মধ্যেই এ রোগের ঝুঁকি রয়েছে।
গবেষণা বলছে জরায়ুমুখে প্রাথমিক পরিবর্তন থেকে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসারে রূপ নিতে সময় লাগে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর। তাই চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ক্যানসার সাধারণত নারীদের জীবনের দুটি পর্যায়ে হতে পারে যার প্রথম পর্যায় ৩৫ থেকে ৩৯ বছর এবং দ্বিতীয় পর্যায় ৬০ থেকে ৬৯ বছর। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. পবিনা আফরোজ পারভীন জানান দুর্গন্ধযুক্ত ঋতুস্রাব অনিয়মিত মাসিক সহবাসের সময় রক্তপাত মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি হওয়ার পর রক্ত যাওয়া এবং তলপেটে ব্যথা জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ।
কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন সে বিষয়ে ডা. পবিনা বলেন যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে খাচ্ছেন কিংবা যাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে এবং কম বয়সে সন্তান নিয়েছেন তাঁরা এই ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়া ঘন ঘন ও পাঁচটির বেশি সন্তান জন্মদান এবং বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক থাকাও এই রোগের অন্যতম কারণ। মূলত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভিকে জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয় যার মধ্যে ১৬ ও ১৮ সেরোটাইপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। যৌন সংসর্গের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়।
রোগ শনাক্তকরণের বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান গ্রামে ভায়া টেস্ট এবং শহরে বা বড় হাসপাতালে প্যাপস স্মিয়ার লিকুইড বেজড সাইটোলজি ও কলপোস্কোপি ইত্যাদির মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা যায়। সুস্থ সব নারীর জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং করা জরুরি এবং স্ক্রিনিংয়ে ক্যানসারের সন্দেহ হলে বায়োপসি ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে। ক্যানসারটি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানার জন্য এমআরআই পেলভিস করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সব সুস্থ মেয়ে ও নারীর জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা নেওয়া জরুরি। এছাড়া ৩০ বছর বয়স থেকে সব সুস্থ নারীর নিয়মিত স্ক্রিনিং করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সার্জারি এবং পরে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে এই রোগ পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শীতে গলায় কফ জমে থাকলে তা পরিষ্কার করার ৫টি সহজ ঘরোয়া উপায়
শীতকালে কাশি হওয়া খুবই সাধারণ। তবে রান্নাঘরে পাওয়া কালো মরিচ, আদা, মধু ও হলুদের মতো প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলো দ্রুত উপশম দেয়। এই প্রতিকারগুলো গলার প্রদাহ কমায়, কফ বের করে দেয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এর ফলে আপনি সংক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।আদা
শীতের সময় বা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি কাশির সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা দেয়। তবে রান্নাঘরে পাওয়া কিছু সাধারণ জিনিসই এই সময়ে আপনার বড় উপকারে আসতে পারে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আদা রসুন বা গোলমরিচের মতো উপাদানগুলো কাশির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কাশির ফলে গলায় যে প্রদাহ হয় তা কমাতে আদা বেশ কার্যকরী। এটি শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত মসৃণ পেশিগুলোকে শিথিল করে। এক কাপ গরম পানিতে ১৫ থেকে ৩০ গ্রাম কুচি করা আদা মধু বা লেবুর রসে মিশিয়ে চা তৈরি করা যেতে পারে। এই আদা চা শুষ্ক ও হাঁপানিবিহীন কাশি প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং গলায় তাৎক্ষণিক আরাম দেয়।
রসুন যদিও সবজির স্বাদ বাড়াতে কাজ করে সেই সঙ্গে এটি কাশির নিরাময়েও সহায়তা করে। রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আপনার যদি কাশি হয় তাহলে সকালে খালি পেটে রসুন খেতে পারেন অথবা সামান্য গরম করেও খাওয়া যায়। নিয়মিত রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
আমাদের রান্নাঘরে পাওয়া কালো মরিচ বা গোলমরিচ কাশির সময় ফুসফুস থেকে কফ পাতলা করে বের করে দিতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালির জ্বালা ও প্রদাহ কমায়। এই একই মরিচ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। কালো মরিচ পিষে দুধে মিশিয়ে পান করলে তা কফ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং গলা প্রশমিত করে।
ডালিমের বীজ কেবল শরীরকেই শক্তি যোগায় না বরং ডালিমের খোসাও উপকারী প্রমাণিত হয়। এগুলো ব্যবহার করার জন্য শুকনা ডালিমের খোসা পিষে গুঁড়া করে গরম পানি বা চায়ে যোগ করা যেতে পারে। এটি পান করলে কাশি উপশম হয় এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়। ডালিমের খোসা গলা ও শ্বাসনালি পরিষ্কার করার জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে মধুর জুড়ি নেই। কাশির সময় এটি শ্লেষ্মা বের করে গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কাশি কমাতে মধুর সঙ্গে আদা মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে যা গলা ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমাতেও বেশ কার্যকর।
সূত্র : নিউজ ১৮
হাঁটুর ব্যথা কমাতে ওষুধ নয় বরং সেরা সমাধান হতে পারে যে ব্যায়াম
হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস এখন বিশ্বজুড়ে চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করা অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুর হাড়ের শেষপ্রান্তের কার্টিলেজ ক্ষয়ে গেলে যে ব্যথা ফুলে যাওয়া ও শক্তভাব তৈরি হয় বিজ্ঞানীরা তার সমাধান খুঁজছেন বহুদিন ধরেই। বিশেষত ৪৫ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৩০ শতাংশের এক্স রেতে এর লক্ষণ দেখা যায় এবং তাদের প্রায় অর্ধেক দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ও চলাচলে সীমাবদ্ধতায় ভোগেন।
এতদিনেও স্পষ্ট ছিল না যে কোন ধরনের ব্যায়াম হাঁটুর ব্যথা কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। অস্টিওআর্থ্রাইটিসে নিয়মিত নড়াচড়া জরুরি হলেও কোন ব্যায়াম পদ্ধতিটি সেরা তা নিয়ে চিকিৎসা নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যেত না। এই প্রশ্নের উত্তর বের করতে গবেষকেরা হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যায়ামপদ্ধতির ওপর বিস্তৃত বিশ্লেষণ চালিয়েছেন। বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত তাদের গবেষণা বলছে হাঁটুর ব্যথা কমাতে সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ রয়েছে এরোবিক ব্যায়ামের পক্ষে।
১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পরিচালিত ২১৭টি র্যান্ডমাইজড ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য পর্যালোচনা করে যেখানে মোট অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১৫ হাজার ৬৮৪ জন গবেষকেরা দেখতে পান হাঁটা সাইক্লিং ও সাঁতারের মতো এরোবিক ব্যায়াম ব্যথা কমানো থেকে শুরু করে চলাফেরা দৈনন্দিন কাজের সক্ষমতা ও সামগ্রিক জীবনমান উন্নত করতে ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে ভালো ফল দিয়েছে। গবেষণায় এরোবিক ব্যায়ামের সঙ্গে তুলনা করা হয় নমনীয়তা বাড়ানোর ব্যায়াম শক্তিবর্ধক অনুশীলন মাইন্ড বডি পদ্ধতি নিউরোমোটর ব্যায়াম ও মিশ্র অনুশীলনের সঙ্গে।
ফলাফল মূল্যায়ন করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গ্রেড পদ্ধতিতে যেখানে চার সপ্তাহ ১২ সপ্তাহ ও ২৪ সপ্তাহ পর ব্যথা কমা এবং হাঁটার দক্ষতার উন্নতি বিশ্লেষণ করা হয়। প্রায় সব সূচকেই সময়ের বিভিন্ন পর্বে এরোবিক ব্যায়াম এগিয়ে ছিল। মধ্যম মানের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে যে এরোবিক ব্যায়ামে স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি ব্যথা কমে এবং দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে। অন্য ব্যায়াম পদ্ধতিগুলোরও কিছু উপকারিতা ছিল যেমন মাইন্ড বডি ব্যায়ামে স্বল্পমেয়াদি শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে এবং নিউরোমোটর পদ্ধতিতে স্বল্পমেয়াদি হাঁটার দক্ষতা উন্নত হয়। তবে এরোবিক ব্যায়ামের বিস্তৃত ও নিয়মিত সুবিধার সঙ্গে কোনো পদ্ধতিই তুলনীয় নয় বলে গবেষকরা মত দিয়েছেন।
গবেষণায় নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং দেখা গেছে কোনো ব্যায়ামপদ্ধতিই নিয়ন্ত্রণগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। গবেষকদের মতে হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ব্যথা কমানো ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রথম সারির চিকিৎসা হিসেবে এরোবিক ব্যায়ামকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত সীমাবদ্ধতার কারণে যদি এরোবিক ব্যায়াম করা সম্ভব না হয় তাহলে গঠিত অন্যান্য শারীরিক অনুশীলনও উপকারী হতে পারে। হাঁটুর ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ব্যায়াম শুরু করলে চলাফেরার সক্ষমতা রক্ষা ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়।
বিশ্বজুড়ে কেন জনপ্রিয় মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট, জানুন কারণ
দীর্ঘায়ু ও হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য সুপরিচিত মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের প্রাচীন খাদ্যাভ্যাস থেকে তৈরি। এই খাবার-পদ্ধতিতে লাল মাংস ও চিনি থাকে কম; বরং গুরুত্ব দেওয়া হয় জলপাই তেল, বিভিন্ন শস্য, বাদাম, ডাল, মাছ, ডিম, ফল এবং সবজিতে। বহু দশকের গবেষণা বলছে, এই ডায়েট অনুসরণ করলে হৃদ্রোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
১৯৫০-এর দশকে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, ভূমধ্যসাগরের গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি দিন বাঁচেন, যদিও তাদের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ছিল কম এবং জীবনযাত্রার মান ছিল সাধারণ। পরে গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ধূমপানের অভাব তাদের সুস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান কারণ।
পরবর্তী দশকগুলোতে পরিচালিত গবেষণা প্রমাণ করে, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রদাহ কমায় এবং শুধু হৃদ্যন্ত্রই নয়, মস্তিষ্কেরও সুরক্ষা বৃদ্ধি করে। কিছু গবেষণা আরও ইঙ্গিত দেয় যে এই ডায়েট আলঝেইমার, জ্ঞানীয় অবক্ষয় এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকিও কমাতে পারে।
১৯৯০-এর দশকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ননপ্রফিট প্রতিষ্ঠান Oldways মিলিতভাবে মেডিটেরেনিয়ান ফুড পিরামিড তৈরি করলে এই ডায়েট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ২১শ শতকে এসে এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত ডায়েটগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েটকে সফল করে তোলে এর স্থিতিশীলতা এটি কঠোর বিধিনিষেধ নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর খাওয়ার ধরণ। স্বাদ, পুষ্টি ও ভারসাম্যের সমন্বয়ে গঠিত এই খাদ্যাভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে অনুসরণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং টেকসই।
শরীরের নীরব শত্রু থাইরয়েড ক্যানসার চেনার ৫টি প্রাথমিক লক্ষণ
গলার ঠিক নিচে প্রজাপতির মতো দেখতে ছোট গ্রন্থিটিকে থাইরয়েড বলা হয় যা শরীরের হার্ট রেট রক্তচাপ ও তাপমাত্রা থেকে শুরু করে মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই ক্ষুদ্র অঙ্গটির কোষগুলো যখন অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে তখনই দেখা দেয় থাইরয়েড ক্যানসার। সমস্যাটি হলো এই ক্যানসারের লক্ষণগুলো এতটাই অস্পষ্ট আর সাধারণ অসুস্থতার মতো যে বহু মানুষ মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছরও টের পান না যে শরীরের ভেতরে একটি নীরব শত্রু ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের মাঝে লক্ষণ দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ সময় এগুলোকে অ্যাসিডিটি ভাইরাল সংক্রমণ থাইরয়েড ইনফ্লামেশন বা সাধারণ গলার সমস্যার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়। ফলে রোগ নির্ণয় পেছায় আর চিকিৎসাও দেরিতে শুরু হয়। থাইরয়েড ক্যানসার সার্জন ডক্টর ন্যান্সি পেরিয়্যে জানিয়েছেন ঠিক এ কারণেই অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তাদের শরীরে থাইরয়েড ক্যানসার নিঃশব্দে বাড়ছে। তবে সময়মতো নজর দিলে রোগটি খুব সহজেই শনাক্ত ও চিকিৎসা করা যায়। বিশেষজ্ঞরা ৫টি মূল লক্ষণের কথা বলেছেন যেগুলো দীর্ঘদিন থাকলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রথমত গলার ঠিক সামনের দিকে একটি গাঁট বা অস্বাভাবিক ফোলা দেখা দেওয়া থাইরয়েড ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণের একটি। এটি ব্যথাহীন হতে পারে ফলে অনেকে সর্দিজনিত লিম্ফ নোড ভেবে ভুল করেন। তবে গাঁটটি শক্ত স্থায়ী এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় হলে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত গলার সামনে ধরা ধরা ব্যথা চাপ বা অস্বস্তি যা কখনো কানের দিক পর্যন্ত টেনে যায় এটিও থাইরয়েড ক্যানসারের একটি সূক্ষ্ম লক্ষণ। পেশিতে টান লাগার মতো অস্থায়ী ব্যথার সঙ্গে এটি মিলবে না বরং থাকবে দীর্ঘসময় ধরে।
তৃতীয়ত থাইরয়েড গ্রন্থি স্বরযন্ত্রের খুব কাছে থাকে। ফলে কোনো টিউমার তৈরি হলে তা স্নায়ুর ওপর চাপ ফেলতে পারে এবং কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। তাই সাধারণ ঠান্ডা বা চিৎকার ছাড়া টানা তিন সপ্তাহের বেশি স্বরভঙ্গ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
চতুর্থত খাবার গিলতে বারবার কষ্ট হওয়া গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি বা শ্বাস নিতে হালকা সমস্যা হওয়া সবই হতে পারে থাইরয়েড টিউমারের কারণে। টিউমার বড় হলে খাদ্যনালি বা শ্বাসনালির ওপর চাপ ফেলে এ ধরনের অসুবিধা তৈরি করে। অনেকে এটিকে অ্যাসিডিটি বা গলার প্রদাহ ভেবে বাদ দেন যা ঝুঁকি আরও বাড়ায়।
পঞ্চমত কোনো সর্দি কাশি বা অ্যালার্জি ছাড়াই টানা শুকনো কাশি থাকা থাইরয়েড ক্যানসারের আরেকটি লুকানো লক্ষণ। টিউমার শ্বাসনালির ওপর চাপ দিলে বা থাইরয়েডের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হলে এ কাশি সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন থাইরয়েড ক্যানসারের লক্ষণগুলো যতই সূক্ষ্ম ও বিভ্রান্তিকর হোক তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। তাঁদের দাবি সময়মতো পরীক্ষা করালে থাইরয়েড ক্যানসার খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায় আর জীবনের ঝুঁকিও কমে যায় বহু গুণ।
সূত্র : দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস
রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই ঘরে বসে কিডনির সুস্থতা যাচাইয়ের সহজ উপায়
মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ, পানির ভারসাম্য রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় খনিজ নিয়ন্ত্রণ করতে দিনরাত কাজ করে চলে। সাধারণত কিডনির সুস্থতা যাচাই করতে রক্ত পরীক্ষা বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ল্যাবরেটরিতে যাওয়ার আগে ঘরে বসেই খুব সহজ একটি পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বোঝা সম্ভব আপনার কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না।
কিডনি সুস্থ কি না বুঝবেন যেভাবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষের শরীর থেকে প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী ঘণ্টায় ০.৫ থেকে ১ মিলিলিটার মূত্র বা প্রস্রাব নির্গত হওয়া উচিত। বিষয়টি সহজভাবে বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যাক—যদি কারও ওজন ৬০ কেজি হয়, তবে ১০ ঘণ্টার মধ্যে তার শরীর থেকে ৩০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার মূত্র বের হওয়া স্বাভাবিক। যদি এর চেয়ে কম হয়, তবে তা কিডনির কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটার ইঙ্গিত দিতে পারে।
ঘরে বসে পরীক্ষার নিয়ম
এই পরীক্ষাটি করার জন্য দিনের এমন একটি সময় বেছে নিতে হবে যখন আপনি টানা ১০ ঘণ্টা নিয়ম করে প্রস্রাব পরিমাপ করতে পারবেন। এজন্য এক লিটার মাপের একটি পরিষ্কার বোতল বা পরিমাপক পাত্র প্রয়োজন। পরীক্ষা চলাকালীন ১০ ঘণ্টায় যতবার প্রস্রাব হবে, তা ওই পাত্রে সংগ্রহ করতে হবে। সময় শেষ হলে মোট পরিমাণ মেপে আপনার ওজনের সঙ্গে স্বাভাবিক মাত্রার হিসাব মিলিয়ে দেখতে হবে।
কখন সতর্ক হবেন?
যদি দেখেন নিয়মিত বা নির্দিষ্ট সময়ে প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাচ্ছে, তবে এটি কিডনি সমস্যার প্রাথমিক সংকেত হতে পারে। ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, হঠাৎ প্রস্রাব কমে যাওয়া ‘অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি’ বা আকস্মিক কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাব্য লক্ষণ। এর পেছনে শরীরে পানির ঘাটতি বা কিডনিতে রক্ত সঠিকভাবে না পৌঁছানোর মতো কারণও থাকতে পারে।
অন্যান্য উপসর্গ
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ছাড়াও দুর্বল কিডনির আরও কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে। যেমন—পা, মুখ বা গোড়ালি ফুলে যাওয়া, সবসময় ক্লান্ত অনুভব করা, প্রস্রাব খুব গাঢ় রঙের বা ফেনাযুক্ত হওয়া, বমি বমি ভাব এবং কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া।
তবে মনে রাখতে হবে, এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি কেবল প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য। যদি কোনো সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দেয় বা ফলাফলের সঙ্গে শারীরিক অস্বস্তি থাকে, তবে কালক্ষেপণ না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই কিডনি ভালো রাখার মূল চাবিকাঠি।
পাঠকের মতামত:
- পুরুষের শক্তি ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে রোজকার পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার
- শৈশবের নায়কের রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে এমবাপে: আজ রাতে নতুন ইতিহাসের হাতছানি
- মস্তিষ্কের শক্তি ও পড়াশোনায় অদম্য মনোযোগ বাড়ানোর ৯টি সহজ কৌশল
- শরীয়তপুর ২: ধানের শীষের শফিকুর নাকি জামায়াতের ডা. মাহমুদ কার পাল্লা ভারী
- নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- দুর্নীতির লাগাম একমাত্র বিএনপিই টানতে পারবে: তারেক রহমান
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে: সালাহউদ্দিন
- নির্বাচনে আপনারা চালকের আসনে আছেন বলে ইসিকে প্রধান উপদেষ্টা
- গায়ের জোর বা ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোটে জেতা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি নতুন জোটের
- নির্বাচনী যাত্রা শুরু: তফসিল নিয়ে ইসির চূড়ান্ত ঘোষণা
- সামনের সময়গুলো ভালো নয়,বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক রহমান
- ৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ৭ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- ৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ৮ ডিসেম্বর চার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ফের চালু
- ১০ ও ৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে কুপন পেতে যা লাগবে
- ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে ও কখন জেনে নিন সময়সূচি
- টাকা বা পেশিশক্তি নয় বরং জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় শক্তি: তাসনিম জারা
- সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল
- প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর আগে জেনে নেওয়া জরুরি আজকের টাকার রেট
- আজ ৭ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম
- আজ থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল দোকান বন্ধের ঘোষণা
- বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে চট্টগ্রামে ভিন্ন নামে কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডব ও আতঙ্ক
- কুয়াশা আর ভোরের ঠান্ডা বাতাসে কাঁপছে উত্তরের জনপদ
- লা লিগা ও প্রিমিয়ার লিগের রোমাঞ্চ নিয়ে আজকের টিভি গাইড
- রোববার সকালে বের হওয়ার আগে জেনে নিন ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি
- পার্শ্ববর্তী দেশের সেবাদাস হয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা: সালাহউদ্দিন
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
- সিন্ডিকেটের কারসাজি ভাঙতে রোববার থেকে আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার সুযোগ
- আজ থেকে জুলাই আন্দোলনে নিহত ১৮২ মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু
- ভারতে নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন
- শীতের অনুভূতি বাড়ার দিনে কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া
- নির্বাচন নিয়ে বাইরে পজিটিভ দেখালেও ভেতরে ভেতরে চলছে নেগেটিভ তৎপরতা
- ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়
- প্রিয় খাবারই যখন কিডনির শত্রু, কিডনি সুস্থ রাখতে পাত থেকে বাদ দিন এই ৫টি খাবার
- ২০২৫ সালের জন্য গুগলের ফ্রি অনলাইন কোর্স, ক্যারিয়ার গড়ার হাতছানি
- শরীয়তপুর ১: বিএনপির কোন্দল বনাম জামায়াতের চ্যালেঞ্জ
- নির্বাচনে ডিসটার্ব করতে আসলে লেজ গুটিয়ে পালাতে হবে ভারতকে: পাটওয়ারী
- প্রস্তুতি থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ নিয়ে এখনো অন্ধকারে কমিশন
- শেখ হাসিনা আসন ও টাকা অফার করলেও আপোষ করিনি: নুরুল হক
- যথাসময়ে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: রিজভী
- লন্ডন বা দিল্লি বসে আর কোন রাজনীতি চলবে না: সাদিক কায়েম
- বাঁকাপথে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখলে সেই সূর্য আর উঠবে না: জামায়াত আমির
- ভারতে শেখ হাসিনা কতদিন থাকবেন তা তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: জয়শঙ্কর
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ হোসেন
- ডিএনএ আসলে কীভাবে কাজ করে, সহজ ব্যাখ্যা জানুন
- মূল বোর্ডে জমজমাট লেনদেন, বিনিয়োগকারীর আগ্রহ বৃদ্ধি
- দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক
- ফিউচার স্টার বনাম ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা, দেখুন সূচি
- তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারবেন কি না জানালেন ইসি সচিব
- খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন যা ভালো লক্ষণ: ডা. জাহিদ
- আজকের রাশিফল: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- এসএসএফ নিরাপত্তা পেলেন খালেদা জিয়া: কী সুবিধা থাকছে
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- চট্টগ্রামে দাপুটে জয়ে আয়ারল্যান্ড বধ
- পরীক্ষা সময়মতোই: অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা দেবে মাউশি
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় পতন
- ব্যথানাশক নিয়েই খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার
- প্রবৃদ্ধির সুফল গরিবের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে
- আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- শরীরের নীরব শত্রু থাইরয়েড ক্যানসার চেনার ৫টি প্রাথমিক লক্ষণ
- আকাশ আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে ঢাকার সর্বশেষ পূর্বাভাস








