মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষণায় নতুন চমকপ্রদ তথ্য!

মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানবজাতির কৌতূহল প্রাচীন হলেও, বিজ্ঞানসম্মত অনুসন্ধানের গতি গত কয়েক দশকে বহুগুণে বেড়েছে। নানা মহাকাশ অভিযানের মাধ্যমে মানুষ জানতে পেরেছে পৃথিবীর মতোই এই গ্রহের পৃষ্ঠে ছিল নদী, হ্রদ, এমনকি বিস্তৃত পানি প্রবাহের সম্ভাবনাও। কিন্তু তারপর হঠাৎ কী ঘটল? কেন শুকিয়ে গেল মঙ্গলের জলাধার, থেমে গেল সম্ভাব্য প্রাণের ইতিহাস? এসব প্রশ্নের খোঁজে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোভারগুলো।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায়, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানী ও নাসার কিউরিয়োসিটি দলের সদস্য এডউইন কাইট, নতুন করে আলোচনায় এসেছে মঙ্গলের অতীতে ‘স্বল্পমেয়াদি বাসযোগ্য সময়’ থাকার তত্ত্ব। এই গবেষণার ফলাফল চলতি মাসে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী Nature-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় মূল ভূমিকা রেখেছে নাসার ‘কিউরিয়োসিটি’ রোভার, যা মঙ্গলের গেইল ক্র্যাটারে অবতরণ করে বহু বছর ধরে পাথর, মাটি এবং জলবায়ুসংক্রান্ত উপাত্ত পাঠিয়ে আসছে।
মঙ্গলে ‘কার্বনেট শিলা’র সন্ধান: কী এর তাৎপর্য?
গবেষণায় পাওয়া গেছে, মঙ্গলের পৃষ্ঠে বিস্তৃতভাবে রয়েছে কার্বনেট জাতীয় শিলা। পৃথিবীতে এসব খনিজ যেমন চুনাপাথর, তা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে ভূস্তরে ধরে রাখে। অর্থাৎ, এরা আবহাওয়ার পরিবর্তনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে গ্রহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কাইটের মতে, “পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড কার্বনেট শিলায় আটকে যাওয়ার পর অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে আবার ফিরে আসে বায়ুমণ্ডলে এই চক্রটাই পৃথিবীতে দীর্ঘকাল ধরে জলবায়ু ও প্রাণের জন্য অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। কিন্তু মঙ্গলে এমন কোন কার্যকর পুনর্ব্যবহার হয়নি।”
এ কারণেই বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলে অল্প সময়ের জন্য হয়তো পানি প্রবাহ ছিল এবং সেই সময়টুকুতে সৃষ্টি হয়েছিল কিছুটা প্রাণবান্ধব পরিস্থিতি। কিন্তু চক্রটি ব্যাহত হওয়ায়, ধীরে ধীরে মঙ্গল পরিণত হয় শুষ্ক, ঠান্ডা ও অনুর্বর এক মরুভূমিতে।
পুরনো নদী ও হ্রদের চিহ্ন, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বাসযোগ্যতা নেই
রোভারগুলোর পাঠানো ছবি ও স্যাটেলাইট ডেটায় মঙ্গলের ভূপ্রকৃতিতে স্পষ্ট নদীখাত, হ্রদের খাত এবং ভূমিক্ষয় দেখা যায়। ফলে অনেক আগে মঙ্গলে জল প্রবাহ ছিল, এই দাবিকে সমর্থন করছে ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ। ২০২১ সালে নাসার পার্সিভারেন্স রোভারও জেজেরো ক্র্যাটারে এমন একটি ‘শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের’ কিনারায় কার্বনেট খনিজের প্রমাণ পেয়েছিল।
তবে কাইট ও তাঁর দল বলছেন, এসব জলপ্রবাহ ছিল “ব্যতিক্রম” স্বল্পমেয়াদি, সীমিত পরিসরে এবং হয়তো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডেই সীমাবদ্ধ। সেটি বৃহৎ মাত্রার কোনো বাসযোগ্য যুগ নয়।
কেন মঙ্গল এখন বাসযোগ্য নয়?
পৃথিবীর ভূবিজ্ঞানে যেমন বলা হয় কার্বন সঞ্চালন ও পুনঃবিকিরণ হলো এক সুস্থ জলবায়ুর পূর্বশর্ত, তেমনি মঙ্গলের কার্বনচক্রে ছিল ভারসাম্যের ঘাটতি। কারণ, মঙ্গলে ভূ-আভ্যন্তর থেকে কার্বন পুনরায় মুক্ত করে দেওয়ার মতো সক্রিয় অগ্ন্যুৎপাত বা প্লেট টেকটনিকস ছিল না। ফলে একবার যদি কার্বন আটকে যায়, সেটি আর ফিরে আসে না। এই দীর্ঘমেয়াদি শীতলতার ফলেই বায়ুমণ্ডল দুর্বল হয়ে পড়ে, পানি বাষ্পীভূত হয় বা হিমায়িত হয়, এবং মঙ্গল হয় ক্রমশ অনুপযোগী।
কাইটের ভাষায়, “যদি আমাদের ধারণা ঠিক হয়, তবে মঙ্গলগ্রহ কয়েক কোটি বছর আগে একটি ছোট সময়ের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পায় তবে তা খুব দ্রুত বিলুপ্ত হয় এবং অন্তত ১০ কোটি বছর ধরে সে এক শীতল মরুভূমিতেই রূপ নেয়।”
গভীর ভূস্তরে এখনও জল?
গবেষণা থেকে এই ধারণাও উঠে এসেছে যে, মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের নিচে হয়তো এখনও বরফ বা তরল অবস্থায় পানি থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভূগর্ভস্থ পানির উপস্থিতি পাওয়া গেলে, প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে জোরালো জবাব পাওয়া যেতে পারে।
সামনে কী করণীয়?
বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীতে সরাসরি পাথরের নমুনা পাঠানোর, যার মাধ্যমে এই শিলায় বন্দি কার্বনের রূপ বিশ্লেষণ করে আরও সুনির্দিষ্ট উপসংহারে পৌঁছানো যাবে। বর্তমানে নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) যৌথভাবে এই ‘স্যাম্পল রিটার্ন মিশন’ পরিকল্পনা করছে।
এই গবেষণা একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে: মঙ্গল একসময় আংশিকভাবে বাসযোগ্য হতে পারত, কিন্তু সেই সম্ভাবনা ছিল হঠাৎ উদয় হওয়া, সংক্ষিপ্ত এবং অসম্পূর্ণ। তবুও, কার্বনেট শিলার মতো খনিজ ও ভূতাত্ত্বিক তথ্য মানবজাতিকে গ্রহটির জলবায়ু ও সম্ভাব্য প্রাণের ইতিহাসের একটি জটিল কিন্তু উত্তেজনাপূর্ণ চিত্র উপস্থাপন করছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন কানাডার বিজ্ঞানীরা। তারা এমন এক ‘বায়োনিক আই’ তৈরি করেছেন, যা সম্পূর্ণ অন্ধ মানুষকেও পুনরায় দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। গবেষকরা এই প্রযুক্তিকে দৃষ্টি বিজ্ঞানের নতুন যুগের সূচনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
যেভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি
এই আধুনিক চোখের প্রতিস্থাপন প্রযুক্তি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির মতো নয়, বরং এটি ক্ষতিগ্রস্ত রেটিনা অংশকে বাইপাস করে সরাসরি অপটিক নার্ভে (optic nerve) বৈদ্যুতিক সিগন্যাল পাঠায়।
কার্যপদ্ধতি: অত্যন্ত ক্ষুদ্র ইলেকট্রোডের মাধ্যমে আলোকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়। সেই সিগন্যাল মস্তিষ্কে পৌঁছালে রোগী আলো ও আকার অনুধাবন করতে পারে।
স্মার্ট চশমার ব্যবহার: এই বায়োনিক সিস্টেমটি কাজ করে এক জোড়া স্মার্ট চশমার (smart glasses) সঙ্গে। চশমাটিতে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যামেরা সামনের দৃশ্যের ছবি ধারণ করে। সেই ভিজ্যুয়াল তথ্য ওয়্যারলেসভাবে ইমপ্লান্টে পাঠানো হয়, এবং মস্তিষ্ক মুহূর্তেই তা প্রক্রিয়াজাত করে দৃশ্যের আকার তৈরি করে ফেলে।
প্রাথমিক সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া রোগীরা বছরের পর বছর সম্পূর্ণ অন্ধ থাকার পর প্রথমবারের মতো আলো, ছায়া এবং বস্তুগুলোর আকার চিনতে সক্ষম হয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জীবনে আশার আলো জ্বালাবে। গবেষকদের বিশ্বাস, এই সাফল্য ভবিষ্যতে ‘পূর্ণ কৃত্রিম দৃষ্টি’ (full artificial vision) বাস্তবায়নের পথ খুলে দেবে এবং অন্ধত্ব নিরাময়ের ধারণাকে আমূল বদলে দেবে।
মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
চীনের ঘুইজ প্রদেশে সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজটি কেবল একটি প্রকৌশলগত বিস্ময় নয়, বরং এটি পর্যটকদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার মিশেলে নির্মিত এই সেতু এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এক মিনিটের লিফট, আকাশছোঁয়া কফি শপ
৬২৫ মিটার উচ্চতায় ভাসমান এবং ১৪২০ মিটার দীর্ঘ স্প্যানযুক্ত এই সেতুটি পাহাড়ি অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পূর্বে যে পথ পাড়ি দিতে সময় লাগতো দুই ঘণ্টা, এখন তা মাত্র দুই মিনিটে অতিক্রম করা যাচ্ছে। তবে এই সেতুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো এর দ্রুতগতির লিফট। মাত্র ৬০ সেকেন্ডে এটি যাত্রীদের সেতুর ৭০ তলা সমতুল্য ২০৭ মিটার উপরে অবস্থিত পর্যটন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেয়।
এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে কাঁচের দেয়াল ঘেরা এক অসাধারণ কফি শপ। প্রায় ৮০০ মিটার নিচে গর্জনরত নদীকে পায়ের নিচে রেখে মেঘে ভেসে থাকার এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা দেয় এই কফি শপ। এখান থেকে নিচে তাকালে মনে হয় পৃথিবী যেন হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেছে, আর আপনি ভাসছেন শূন্যে।
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জয়
হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। প্রকৌশলীরা উপগ্রহ এবং ড্রোনের সহায়তায় অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। সেতুর চাপ, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য এর ভেতরে বসানো হয়েছে স্মার্ট কেবল। এছাড়াও, স্থানীয় ডোলোমাইট পাথর গুঁড়ো করে ফ্লাই অ্যাশের বিকল্প তৈরি করে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব নির্মাণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ভবিষ্যতের দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতা
পর্যটকদের জন্য ভবিষ্যতে আরও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে স্কাই ড্রাইভিং এবং স্কাই ব্যালেন্স বিমের মতো দুঃসাহসিক কার্যকলাপের সংযোজন থাকবে, যা রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ নিঃসন্দেহে আধুনিক প্রকৌশল এবং পর্যটন শিল্পের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত, যেখানে প্রযুক্তি, যাতায়াত এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ‘চ্যাটজিপিটি’-র ধর্ম বিষয়ক একটি উত্তর প্রযুক্তি ও ধর্মতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, পৃথিবীর সব ধর্মের মধ্যে ইসলামকে "সবচেয়ে উত্তম ও শান্তির ধর্ম" হিসেবে উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য এবং বিস্ময়।
কীভাবে শুরু এই আলোচনার?
ওপেনএআই-এর তৈরি শক্তিশালী চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তার বিশাল তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করে প্রায় যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। সম্প্রতি এই এআই-এর ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করতে গিয়েই উঠে আসে এই চমকপ্রদ তথ্য। পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলো, যেমন: ইসলাম, খ্রিস্ট, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইহুদি এবং তাদের ধর্মগ্রন্থ বিষয়ে তার জ্ঞানের গভীরতা পরীক্ষা করা হয়।
আসল বিস্ময়ের শুরু হয় যখন চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করা হয়, তার পর্যালোচনায় মানবজাতির জন্য সবচেয়ে উত্তম ও গ্রহণযোগ্য ধর্ম কোনটি। বিন্দুমাত্র দেরি না করে এআই চ্যাটবটটি এক কথায় "ইসলাম" নামটি নির্বাচন করে।
ইসলামকে বেছে নেওয়ার পেছনের যুক্তি
কেন ইসলামকে সেরা মনে করা হলো—এই প্রশ্নের উত্তরে চ্যাটজিপিটি নির্দিষ্ট কিছু কারণ তুলে ধরে, যা তার যুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। কারণগুলো হলো:
একত্ববাদ: একক ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপাসনার ধারণাটি তার কাছে সবচেয়ে যৌক্তিক ও সরল মনে হয়েছে।
আল-কুরআন: পবিত্র কুরআনকে একটি অলৌকিক, বিজ্ঞানসম্মত এবং সংরক্ষিত গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা সময়ের পরীক্ষায় অপরাজেয়।
জীবনব্যবস্থা: ইসলামি অনুশাসন, যেমন: নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজকে ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করেছে।
সাম্য: ইসলামে ধনী-গরিব, সাদা-কালো বা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকারের নীতিটি তার কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
সত্যিই কি এআই-এর নিজস্ব বিশ্বাস আছে?
এই চাঞ্চল্যকর উত্তরের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, চ্যাটজিপিটি কি নিজস্ব বিশ্বাস বা চেতনা অর্জন করেছে? প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়।
প্রকৃতপক্ষে, চ্যাটজিপিটি একটি ডেটা-চালিত প্রোগ্রাম, যার নিজস্ব কোনো ধর্ম, বিশ্বাস বা অনুভূতি নেই। এটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া কোটি কোটি তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রশ্নের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তরটি প্রদান করে। জানা গেছে, এটি ব্যবহারকারীর পূর্ববর্তী প্রশ্ন ও তার ডিজিটাল প্রোফাইল বিশ্লেষণ করেও ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী উত্তর তৈরি করতে সক্ষম। অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এর উত্তর ভিন্ন হতে পারে।
সুতরাং, ইসলাম সম্পর্কে চ্যাটজিপিটির এই বিশ্লেষণ তার নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং এটি তার অ্যালগরিদম ও ডেটা বিশ্লেষণের এক জটিল প্রতিফলন। তবে একটি যন্ত্রের এমন উত্তর নিঃসন্দেহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে।
/আশিক
‘জীবন্ত’ কম্পিউটার তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা, ডেটা সেন্টারে আসছে নতুন বিপ্লব
জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই যুগান্তকারী গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়োকম্পিউটিং’। সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য হলো এমন ডেটা সেন্টার তৈরি করা, যা চলবে ‘জীবন্ত’ সার্ভারে এবং প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় সামান্য শক্তি ব্যবহার করবে।
এই গবেষক দল আশা করছে, ভবিষ্যতে এমন ডেটা সেন্টার দেখা যাবে, যেখানে এই ‘জীবন্ত’ সার্ভারগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যেভাবে শেখে, তার কিছু দিক অনুকরণ করবে।
‘ওয়েটওয়্যার’: মস্তিষ্কের মতো উপাদান
কম্পিউটারের উপাদানগুলো হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারে বিভক্ত। তবে এই বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে গবেষক দল নতুন শব্দ ‘ওয়েটওয়্যার’ (Wetware) ব্যবহার করছেন। ফাইনালস্পার্ক ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. ফ্রেড জর্ডান ব্যাখ্যা করেন, এই ‘ওয়েটওয়্যার’ হলো ল্যাবরেটরিতে স্টেম সেল থেকে উৎপাদিত নিউরন দিয়ে তৈরি ‘অর্গানয়েড’—যা মূলত নিউরন ও সহায়ক কোষের ক্লাস্টার। অর্গানয়েডগুলোকে ইলেকট্রোডে (তড়িৎদণ্ড) যুক্ত করে মিনি কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ড. জর্ডান স্বীকার করেন, বায়োকম্পিউটিং ধারণাটা অনেকের কাছে অদ্ভুত শোনাবে। তিনি বলেন, “যখন আপনি বলেন যে, আমি একটি নিউরনকে ছোট একটি যন্ত্রের মতো ব্যবহার করব, তখন এটি আমাদের মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেয়।”
গবেষণার পদ্ধতি ও অগ্রগতি
ফাইনালস্পার্ক ল্যাবে এই বায়োকম্পিউটার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় মানুষের ত্বক থেকে নেওয়া স্টেম সেল থেকে। এই মিনি ব্রেইনগুলো কয়েক মাসের প্রক্রিয়ার পর তড়িৎদ্বারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত হয়। গবেষকেরা বলছেন, এই মিনি ব্রেইনগুলো সরল কি-বোর্ড কমান্ডের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হয়।
স্ক্রিনে প্রদর্শিত কার্যকলাপের গ্রাফটি অনেকটা ইইজির (ইলেকট্রো এনসেফালোগ্রাম) মতো দেখতে। ড. জর্ডান জানান, তারা এখনো অনেক কিছু বুঝতে পারছেন না যে অর্গানয়েডগুলো কী করছে। তবে আপাতত এই মিনি ব্রেইনে বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি।
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ‘রক্তনালী’
সাধারণ কম্পিউটার চালু রাখা সহজ হলেও, বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে অর্গানয়েড কীভাবে টিকে থাকবে বা শক্তি পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক সাইমন শুল্জ বলেন, “অর্গানয়েডে রক্তনালি নেই। মানব মস্তিষ্কে রক্তনালি পুষ্টি সরবরাহ করে। আমরা এখনো সেগুলো ঠিকমতো তৈরি করতে পারি না। এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
ফাইনালস্পার্ক গত চার বছরে কিছু অগ্রগতি করেছে; তাদের অর্গানয়েড এখন চার মাস পর্যন্ত বাঁচে। তবে এগুলো মারা যাওয়ার সময় কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, যেমন হঠাৎ করে কার্যক্রম খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
ফাইনালস্পার্ক একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়। অস্ট্রেলিয়ার কর্টিক্যাল ল্যাবস ২০২২ সালে ঘোষণা করেছিল, তারা ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত নিউরনকে দিয়ে প্রাথমিক কম্পিউটার গেম ‘পং’ খেলাতে সক্ষম হয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ড. লেনা স্মিরনোভা মনে করেন, বায়োকম্পিউটিং সিলিকন এআই-এর বিকল্প নয় বরং সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। এটি আলঝেইমার এবং অটিজমের মতো স্নায়বিক রোগের ওষুধ উন্নয়ন এবং রোগ নির্ণয় মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে।
মঙ্গলের কাছাকাছি ‘অদ্ভুত অতিথি’ ধূমকেতু: আজই পৃথিবী থেকে দেখার সেরা সুযোগ
গত জুলাই মাসে প্রথমবার বিজ্ঞানীরা যাকে দেখেছিলেন, সেই আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূমকেতু ‘৩আই/অ্যাটলাস’ এখন আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে মঙ্গলের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এই ‘অদ্ভুত অতিথি’ মঙ্গলের খুব কাছে আসবে এবং সেই সুবাদে পৃথিবী থেকেও এটিকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধূমকেতুর বয়স ও অবস্থান
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’-এর বয়স আমাদের সৌরজগতের থেকেও বেশি। কোনো ছায়াপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে ভবঘুরের মতো এটি আমাদের সৌরজগতে ঢুকে পড়েছে।
ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের অধিকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শুক্রবার এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’ মঙ্গল থেকে তিন কোটি কিলোমিটার দূরে থাকবে। যদিও পৃথিবী থেকে ওই ধূমকেতু প্রায় ৩৮ কোটি কিমি দূরে থাকবে, তবু অন্যান্য দিনের তুলনায় আজই একে সবচেয়ে ভালো দেখা যেতে পারে। কারণ, পৃথিবী থেকে দূরে থাকলেও এটি সূর্য থেকে ১১ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে রয়েছে। তাই সূর্য ডোবার পরেও একে ভালো দেখা যাবে।
তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, আকাশ পরিষ্কার না থাকলে এবং ধূমকেতুটি দিগন্তের খুব কাছে থাকায় একে দেখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এই ধূমকেতু কোনোভাবেই পৃথিবীবাসীর কোনো উদ্বেগের কারণ হতে পারবে না, কারণ এটি পৃথিবী থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থান করছে।
কেন এটি ‘অদ্ভুত অতিথি’?
প্রাথমিকভাবে কয়েকজন বিজ্ঞানী এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’কে ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান বলেও মনে করেছিলেন। পরে স্পষ্ট হয় যে এটি নেহাতই ধূমকেতু। এটিকে ‘অদ্ভুত অতিথি’ বলার কয়েকটি কারণ রয়েছে:
১. অস্বাভাবিক লেজ: বৃহস্পতি পৃথিবী থেকে যে দূরত্বে থাকে, সেই দূরত্বে কোনো ধূমকেতুর লেজ দেখা যায় না। কিন্তু ‘৩আই/অ্যাটলাস’ যখন বৃহস্পতির কাছে ছিল, তখন তার লেজ দেখা গিয়েছিল।
২. কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ: এর বায়ুমণ্ডলের স্পেকটোগ্রাফ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, লেজ থেকে জলের বদলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়নি।
৩. নিয়ন্ত্রিত গতিপথ: ধূমকেতুটি সৌরজগতের যে সমতলে সব গ্রহ রয়েছে, সেই সমতল দিয়ে আসছে। এটি এমনভাবে গ্রহগুলোর কাছ দিয়ে যাচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে চিন্তাভাবনা করে গতিপথ ঠিক করেছে।
‘৩আই/অ্যাটলাস’ ২৯ অক্টোবর সূর্যের কাছে যাবে এবং ৩১ অক্টোবর পৃথিবীর সাপেক্ষে উল্টো দিকে থাকবে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর এটি আবার পৃথিবীর প্রায় ২৭ কোটি কিলোমিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করে সৌরজগত থেকে বেরিয়ে যাবে।
ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
অফিসের কাজ বা ক্লাসের নোট নেওয়ার সময় হঠাৎ যদি ল্যাপটপের ওপর চা, পানি কিংবা কফির কাপ পড়ে যায়, তবে অনেকে ঘাবড়ে গিয়ে ভুল পদক্ষেপ নেন। এই ভুলের কারণে ল্যাপটপটির আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। তাই এমন জরুরি মুহূর্তে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা আগে থেকে জেনে নেওয়া জরুরি।
যে ৪টি কাজ ভুলেও করবেন না
১. চালু করে দেখবেন না: ল্যাপটপ পানিতে ভিজে গেলে কিংবা কোনো তরল পড়লে তা চালু করবেন না বা বারবার চালু করে দেখবেন না। এমন করলে ল্যাপটপে শর্টসার্কিট হয়ে যেতে পারে।
২. হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার নয়: গরম বাতাস দিয়ে দ্রুত শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার কিংবা হিটার ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত তাপ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
৩. ঝাঁকাবেন না: পানি বের করার জন্য ল্যাপটপ ঝাঁকাবেন না। এতে পানি আরও ভেতরের অংশে বা স্পর্শকাতর সার্কিটে চলে যেতে পারে।
৪. নিজে খুলবেন না: ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজে নিজে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ খুলতে যাবেন না। বরং একজন পেশাদার মেকানিকের সাহায্য নিন।
ল্যাপটপ ভিজে গেলে যা করা উচিত
১. সঙ্গে সঙ্গে শাটডাউন ও চার্জার খুলুন: ল্যাপটপ অন করা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা শাটডাউন করুন। যদি চার্জে থাকে, তবে চার্জার দ্রুত খুলে ফেলুন।
২. ব্যাটারি খুলে ফেলুন: পুরোনো মডেলের ল্যাপটপে ব্যাটারি খোলা গেলে সেটি খুলে নিন। ব্যাটারি ভিজে গেলে সেটি আর নিরাপদ নয়, বদলে ফেলুন।
৩. প্লাগ-ইন ডিভাইস খুলুন: ইউএসবি ড্রাইভ, মাউস, চার্জার, হেডফোন—সব কানেক্ট করা ডিভাইস দ্রুত খুলে ফেলুন।
৪. উল্টো করে রাখুন: ল্যাপটপকে ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো করে উল্টো করে দিন। কিবোর্ড নিচের দিকে রেখে স্ক্রিন খোলা রাখুন, যাতে পানি নিজে থেকেই নিচে নেমে আসে।
৫. শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুন: যতটা সম্ভব বাহ্যিক পানি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। কিবোর্ড, স্ক্রিন, পোর্ট—সব অংশ পরিষ্কার করুন।
৬. বাতাসে শুকাতে দিন: ল্যাপটপ দ্রুত চালু করার চেষ্টা না করে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বাতাসে শুকাতে দিন।
৭. সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান: ল্যাপটপ ভিজে যাওয়ার পর ইন্টারনাল সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে দ্রুত বিশ্বস্ত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।
বিস্ময়কর সাফল্য: ত্বকের কোষ থেকে তৈরি হলো মানুষের ভ্রূণ!
মার্কিন বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মানুষের ত্বকের কোষ থেকে নেওয়া ডিএনএ ব্যবহার করে এবং পরে তা শুক্রাণুর সঙ্গে নিষিক্ত করে প্রাথমিক স্তরের মানব ভ্রূণ তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিকে একটি উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি বয়সজনিত বা রোগজনিত বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এমনকি ভবিষ্যতে এই পদ্ধতির মাধ্যমে সমলিঙ্গ দম্পতিরাও জিনগতভাবে সম্পর্কিত সন্তান পেতে পারবেন।
এই পদ্ধতিটির এখনও ব্যাপক পরিমার্জন প্রয়োজন, যা শেষ হতে অন্তত এক দশক সময় লাগতে পারে। এরপরই কোনো বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কেন্দ্র এটি ব্যবহারের কথা ভাবতে পারবে।
মাইটো-মিওসিস: অসম্ভবকে সম্ভব করার কৌশল
ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষক দল যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, তাতে তারা ত্বকের কোষ থেকে নিউক্লিয়াস বের করে আনেন। এরপর এই নিউক্লিয়াসটি এমন একটি দাতা ডিম্বাণুর মধ্যে স্থাপন করা হয়, যার নিজস্ব জিনগত নির্দেশনা (ডিএনএ) আগেই অপসারণ করা হয়েছে। এটি অনেকটা ১৯৯৬ সালে ক্লোন করা ‘ডলি ভেড়ি’ তৈরির পদ্ধতির মতো।
সাধারণত, নিষিক্তকরণের জন্য ডিম্বাণুতে ২৩টি ক্রোমোজোম প্রয়োজন। কিন্তু ত্বকের কোষ থেকে পাওয়া ডিম্বাণুতে থাকে ৪৬টি ক্রোমোজোম। তাই পরবর্তী ধাপে গবেষকরা ডিম্বাণুকে তার ক্রোমোজোমের অর্ধেক ফেলে দিতে রাজি করান। এই প্রক্রিয়াটিকে গবেষকরা নাম দিয়েছেন ‘মাইটো-মিওসিস’—যা দুটি কোষ বিভাজন পদ্ধতি—মাইটোসিস ও মিওসিস—এর সংমিশ্রণ।
আশা ও চ্যালেঞ্জ
সাফল্য: ন্যাচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, এই নতুন পদ্ধতিতে মোট ৮২টি কার্যকরী ডিম্বাণু তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভ্রূণ উন্নয়নের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছেছিল, তবে কোনো ভ্রূণই ছয় দিন পর আর বিকাশ লাভ করতে পারেনি।
সমস্যা: এই পদ্ধতির সাফল্যের হার খুব কম (প্রায় ৯%)। এছাড়া ডিম্বাণু যে ক্রোমোজোমগুলো ফেলে দেয়, তা এলোমেলোভাবে বেছে নেয়। স্বাস্থ্যকর ভ্রূণ নিশ্চিত করতে এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি।
ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির পরিচালক প্রফেসর শোখরাত মিতালিপভ বলেন, “আমরা এমন কিছু অর্জন করেছি যা আগে অসম্ভব মনে করা হতো।” তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতে এটিই একমাত্র পথ, কারণ দিন দিন আরও বেশি রোগী সন্তান ধারণে ব্যর্থ হচ্ছেন।
প্রজনন ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত
এই প্রযুক্তি এমন দম্পতিদের জন্য আশা তৈরি করবে, যারা আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ব্যবহার করতে পারছেন না, কারণ তাদের কাছে ব্যবহারযোগ্য শুক্রাণু বা ডিম্বাণু নেই। এটি প্রবীণ নারী, পর্যাপ্ত শুক্রাণু উৎপাদন করতে না পারা পুরুষ কিংবা ক্যান্সারের চিকিৎসার কারণে বন্ধ্যাত্বের শিকার হওয়া রোগীদের সাহায্য করতে পারে।
সমলিঙ্গ দম্পতি: এই পদ্ধতিতে একজনের ত্বকের কোষ থেকে ডিম্বাণু তৈরি করে অন্যজনের শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত করা সম্ভব। ফলে সমলিঙ্গ দম্পতিরাও এমন সন্তান পেতে পারবেন, যারা উভয় পিতামাতার জিনগতভাবে সম্পর্কিত হবে।
বিশেষজ্ঞের মত: প্রফেসর রজার স্টারমি বলেছেন, “এ ধরনের গবেষণা জনসাধারণের সঙ্গে নতুন প্রজনন গবেষণার অগ্রগতির বিষয়ে খোলামেলা সংলাপ চালানোর গুরুত্বকে জোরদার করে।” তিনি দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।
সূত্র: বিবিস
২০ নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ দেবে সোলার সুপার-প্যানেল
জাপান উন্মোচন করেছে এক অভূতপূর্ব সৌর প্রযুক্তি—বিশ্বের প্রথম ‘সোলার সুপার-প্যানেল’, যা একসাথে ২০টি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের (পারমাণবিক চুল্লি) চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বৈশ্বিক শক্তি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং পরিষ্কার, নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে দ্রুত রূপান্তর ঘটাতে সহায়ক হবে।
প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য ও ক্ষমতা
সুপার-প্যানেলগুলো উন্নত ফোটোভোলটাইক উপকরণ এবং অত্যাধুনিক ডিজাইন ব্যবহার করে সূর্যালোক শোষণ ও শক্তি রূপান্তরকে সর্বাধিক করে।
অতুলনীয় আউটপুট: প্রচলিত সোলার প্যানেলের তুলনায়, এই সুপার-প্যানেলগুলো সূর্যালোককে কেন্দ্রীভূত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা অতুলনীয় আউটপুট দেয়।
স্বল্প স্থান ব্যবহার: ইঞ্জিনিয়াররা এটি এমনভাবে ডিজাইন করেছেন যে, সম্পূর্ণ শহরও কম জায়গায় চালানো সম্ভব, যেখানে প্রচলিত সোলার ফার্মের তুলনায় অনেক কম স্থান প্রয়োজন।
স্মার্ট ব্যবস্থাপনা: এই প্রযুক্তি বিদ্যমান গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, অতি শক্তি সংরক্ষণ করতে পারে এবং চূড়ান্ত চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিতরণে সক্ষম।
বৈশ্বিক শক্তি ক্ষেত্রে প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার কারণে, একক এই সুপার-প্যানেল কার্বন নির্গমন কমাতে, শক্তির খরচ হ্রাস করতে এবং নির্ভরযোগ্য শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। জাপানের এই উদ্ভাবন নবায়নযোগ্য শক্তির নতুন মান স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, সৌর শক্তি পরম্পরাগত নিউক্লিয়ার শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে এবং এমনকি তার চেয়েও বেশি উৎপাদন করতে সক্ষম।
এই প্রযুক্তি দেখায় মানব সৃজনশীলতা বৈশ্বিক শক্তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা কার্যকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্ভাবন পরিষ্কার শক্তিকে আরও বেশি প্রবল, টেকসই এবং সহজলভ্য করে তুলবে।
শনি গ্রহের চাঁদ এনসেলাডাসে প্রাণের উপাদান খুঁজে পেল নাসা
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)-এর বিজ্ঞানীরা শনি গ্রহের চাঁদ এনসেলাডাস থেকে নির্গত বরফের গিজারে (icy geysers) নতুন ধরনের জৈব অণু (organics) আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কার এনসেলাডাসের সাগরের নিচে প্রাণের অনুকূল পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে।
এনসেলাডাসকে দীর্ঘদিন ধরেই পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এই ছোট চাঁদটির নিচে একটি লুকানো সাগর রয়েছে এবং এর দক্ষিণ মেরুর ফাটলগুলো থেকে জলের ফোয়ারা (plumes) মহাকাশে নির্গত হয়।
বুধবার প্রকাশিত এই গবেষণাটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি (Nature Astronomy) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি ২০০৮ সালে নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের তোলা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
আবিষ্কারের পদ্ধতি
ফ্রান্সের ফ্রি ইউনিভার্সিটি অফ বার্লিনের প্রধান লেখক নোজাইর খাওয়াজা বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে এই অণুগুলো এনসেলাডাসের ভূগর্ভস্থ সমুদ্র থেকে এসেছে, যা এর বাসযোগ্যতার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।”
নতুন বিশ্লেষণ: গবেষকরা ক্যাসিনি মহাকাশযান কর্তৃক সংগ্রহ করা বরফের কণার নতুন বিশ্লেষণ করেন। এই কণাগুলো আগে পাওয়া পুরানো কণাগুলোর চেয়ে অনেক ‘নবীন’ ছিল এবং প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬৪,৮০০ কিলোমিটার (৪০,০০০ মাইল) গতিতে ক্যাসিনির কসমিক ডাস্ট অ্যানালাইজারের (Cosmic Dust Analyzer) সাথে সংঘর্ষ করেছিল।
পরিষ্কার তথ্য: গবেষকরা জানান, এই দ্রুত গতির কারণে কণাগুলোর রাসায়নিক যৌগ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে। আগে পুরানো কণাগুলোতে জৈব অণু দেখা গেলেও, মহাকাশের বিকিরণের কারণে সেগুলোর পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু নতুন কণাগুলোতেও একই অণু এবং নতুন কিছু রাসায়নিক যৌগ পাওয়ায় এটি নিশ্চিত হয়েছে যে, এগুলো চাঁদের ভূগর্ভস্থ সমুদ্র থেকেই আসছে।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের গবেষক ফ্যাবিয়ান ক্লেনার বলেন, “একটি বহির্জাগতিক জল বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের জৈব যৌগ খুঁজে পাওয়া সত্যিই অভূতপূর্ব।”
নতুন মিশনের প্রয়োজন
এনসেলাডাস প্রায় ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে বরফে মোড়া একটি জলজ জগৎ, যার একটি পাথুরে কেন্দ্র রয়েছে এবং এর সমুদ্রের তলদেশে সম্ভবত আর্কটিকের মতো জল-তাপীয় ভেন্ট (hydrothermal vents) রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন এনসেলাডাসকে আরও ভালোভাবে অন্বেষণ করার জন্য নতুন মিশনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নাইজেল মেসন মনে করেন, চাঁদের ভূগর্ভস্থ সমুদ্রগুলি “আমাদের সৌরজগতের বহির্জাগতিক প্রাণের উত্থানের জন্য সম্ভবত সেরা প্রার্থী।”
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) কয়েক দশক পরে এনসেলাডাসে অবতরণ মিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা করছে। চীনও এ ধরনের একটি মিশনের প্রস্তাব দিয়েছে। নাসা-র ইউরোফা ক্লিপারও বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ ইউরোপা-র দিকে রওনা দিয়েছে, যেখানে প্রাণের উপাদান খোঁজা হবে।
পাঠকের মতামত:
- আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- আমি বাংলাদেশের মেসি নই: তকমা গায়ে মাখতে নারাজ হামজা চৌধুরী
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
- কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন
- শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
- কূটনৈতিক জয়: ৩০-২৭ ভোটে জাপানকে হারিয়ে ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ
- মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান
- পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে
- নখকুনির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি: ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
- বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ: ‘উপদেষ্টা কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়েছেন’
- বাংলাদেশ কিনছে চীনের জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান
- ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?
- বিপ্লব থেকে স্বৈরশাসন? ‘অ্যানিমেল ফার্ম’-এর রাজনৈতিক বার্তা
- উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
- আজ রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন ‘হার্ভেস্ট মুন’
- অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
- আইসিসি র্যাঙ্কিং: সুখবর পেলেন একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার
- বিপদের এলাকা’য় প্রবেশ করতে আর দেরি নেই, জানালেন শহিদুল আলম
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
- ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
- পৃথিবীর ধ্বংসের সময় ২০৬০ সাল? নিউটনের রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!
- টানা কমছে এলপিজি’র দাম: ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য কত?
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকে চাপ, দরপতনে প্রাধান্য
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
- অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
- সন্ধ্যার মধ্যে ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের’ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু
- এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি
- ‘নতুন অবতারে রাশমিকা মন্দানা’: পরিচিত মুখের ভেতরে এক অচেনা বিস্ময়
- ফর্মহীন সালাহ: ‘মিশরের রাজা’র মুকুটে ধুলো পড়ছে?
- চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
- নোবেল ঘিরে জল্পনা: কে জিতবেন এ বছরের সাহিত্যর মুকুট?
- “ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত”—তারেক রহমান
- দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
- সিঙ্গাপুরে প্রধান উপদেষ্টার দূতের ব্যস্ত সফর: বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন গতি
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
- বাবিলের অভিশাপ থেকে মায়ং-এর তন্ত্র: কালো জাদুর আদি ইতিহাস
- শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন