চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৯:২৪:১৪
চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি
হিউম্যানয়েড রোবট সুয়ে বা-০১। ফাইল ছবি: সিএমজি

চীন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আবারো নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রথমবারের মতো দেশটির একটি হিউম্যানয়েড রোবট ‘সুয়ে বা-০১’ ভর্তি হয়েছে নাট্যকলা, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিষয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে। এই খবর জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সিএমজি।

চার বছর মেয়াদী এই ডক্টরাল প্রোগ্রামে রোবটটিকে দেওয়া হবে নাট্যশিল্প, রোবোটিক সিস্টেম, অভিনয়ের অঙ্গভঙ্গি, মানবিক আবেগ ও কগনিটিভ মডেলিংসহ নানা বিষয় সম্পর্কে মৌলিক ও সাংগঠনিক শিক্ষা। ক্লাসরুমে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি রোবটটি নাটকের বিভিন্ন তত্ত্ব শেখার পাশাপাশি গবেষণায়ও যুক্ত থাকবে। পরে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পারফর্মিং আর্টস সংযুক্ত গবেষণাগারে কাজ করবে।

সুয়ে বা-০১ রোবটটিকে সাংহাই থিয়েটার একাডেমিতে নাট্যকলা বিষয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি করা হয়েছে। এর আনুষ্ঠানিক ভর্তি সম্পন্ন হয় ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কনফারেন্সে, যা সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

রোবটটির নির্মাতা লি লিংতু ও তার দল। লি লিংতু সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক এবং ‘ড্রয়েডঅ্যাপ’ নামের কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। রোবটটির নকশা করেছেন সাংহাই থিয়েটার একাডেমির অধ্যাপক ইয়াং ছিংছিং। রোবটটিকে ‘দেহযুক্ত বুদ্ধিমান কৃত্রিম সত্তা’ হিসেবে পরিচিত করা হয়।

ডেভেলপার লি লিংতু বলেন, তাদের লক্ষ্য এমন একটি পারফর্মার তৈরি করা, যা মানুষের আবেগ বুঝতে পারবে এবং দর্শকদের কাছে আবেগপূর্ণ শিল্প উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মানব অভিনেতারা একাধিক শো-এর পর ক্লান্ত হয়ে পড়েন, কিন্তু এই রোবট ক্লান্ত হবে না এবং দীর্ঘমেয়াদি সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে।

রোবটটির উন্নয়ন কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। ওই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠান আর্টস ও রোবোটিক্স প্রযুক্তি নিয়ে যৌথ কৌশলগত সহযোগিতায় একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করে।

/আশিক


ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সংকটে নাসার জলবায়ু পর্যবেক্ষণ মিশন

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১১:৫৮:৩৪
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সংকটে নাসার জলবায়ু পর্যবেক্ষণ মিশন
ছবিঃ সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাক্কা লাগতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ নাসা মিশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধের প্রস্তাব করেছে। এই দুই মিশন—অরবিটিং কার্বন অবজারভেটরি (OCO-2) স্যাটেলাইট এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্থাপিত একটি উন্নত যন্ত্র—পৃথিবীর কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ ও শোষণের নিখুঁত মানচিত্র তৈরি এবং উদ্ভিদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কৃষি ও পরিবেশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

নাসা এক বিবৃতিতে জানায়, এই মিশন দুটি তাদের “প্রাথমিক সময়সীমা পার করেছে” এবং সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত “রাষ্ট্রপতির বাজেট ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ”। তবে এই মিশনগুলো এখনো বিশ্বের সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং নিখুঁত পর্যবেক্ষণক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি বহন করছে, যা বিকল্পহীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে বিবেচিত—এমনটাই জানিয়েছেন এই মিশনের প্রধান রূপকার, নাসার প্রাক্তন বিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্প।

এই মিশনগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা যেমন আবিষ্কার করেছেন যে অ্যামাজন বন এখন নিঃসরণকারী বনভূমিতে পরিণত হয়েছে, তেমনি তারা দেখতে পেয়েছেন যে কানাডা ও রাশিয়ার বরফময় অঞ্চলগুলো এবং পারমাফ্রোস্ট গলে যাওয়া এলাকা বেশি কার্বন শোষণ করছে। শুধু তাই নয়, এই প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ভিদের আলোকসংশ্লেষণের “জীবন্ত আলো” শনাক্ত করা যায়, যা খরা, খাদ্য সংকট এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ বা সামাজিক অস্থিরতা আগাম অনুমান করতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ‘দূরদর্শিতাবিহীন’। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের জলবায়ু বিজ্ঞানী জোনাথন ওভারপেক বলেন, "এই স্যাটেলাইটগুলোর পর্যবেক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু অঞ্চলের জন্য।"

কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে আশার আলো

বর্তমানে এই মিশনগুলো সেপ্টেম্বর ৩০ পর্যন্ত তহবিল পাবে। প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব অনুযায়ী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর বাজেট বিল এই মিশন বাতিলের পক্ষে হলেও, সিনেট ভার্সন এখনো মিশনগুলো টিকিয়ে রাখার পক্ষে। কংগ্রেস বর্তমানে বিরতিতে থাকায় নতুন বাজেটের অনুমোদন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদি বাজেট অনুমোদিত না হয়, তবে কংগ্রেস একটি অস্থায়ী ফান্ড রেজোলিউশনের মাধ্যমে বিদ্যমান অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে পারে। তবে কিছু আইনপ্রণেতা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো সেই তহবিলও আটকে রাখতে পারে।

ডেমোক্র্যাট নেতারা সম্প্রতি এনাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফিকে সতর্ক করে বলেছেন, কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থ আটকে রাখা বা মিশন বন্ধ করা বেআইনি হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত জলবায়ু বিজ্ঞানকে দমিয়ে দেওয়ার একটি বড় পদক্ষেপ। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী মাইকেল মান বলেন, “এই নীতির মূল কথা যেন এমন—যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের পরিমাপ বন্ধ করি, তবে সেটা আমেরিকানদের চিন্তা থেকে মুছে যাবে।”

বিকল্প পরিকল্পনা: আন্তর্জাতিক সহায়তার খোঁজে

ডেভিড ক্রিস্প ও তাঁর সহকর্মীরা এখন আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই যন্ত্র ও স্যাটেলাইট চালু রাখার সম্ভাবনা খুঁজছেন। নাসা ২৯ আগস্ট পর্যন্ত বাইরের সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের যন্ত্রটি বিদেশি অংশীদারদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ থাকলেও, OCO-2 উপগ্রহটিকে হয়ত ভূপতিত করে ধ্বংস করা হবে। ক্রিস্প বলেন, “আমরা ধনকুবেরদের, ফাউন্ডেশনগুলোর কাছে যাচ্ছি। কিন্তু এটি এমন এক প্রযুক্তি যা বেসরকারি ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া বাস্তবসম্মত বা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”

এই সিদ্ধান্ত জলবায়ু গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক অন্ধকার অধ্যায় রচনা করতে পারে—এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

-আকরাম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক


অ্যাপল ও গুগলের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১১:৩১:১৪
অ্যাপল ও গুগলের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ
ছবিঃ সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশন সম্প্রতি এক বিস্ফোরক প্রতিবেদনে অ্যাপল, গুগলসহ একাধিক প্রযুক্তি জায়ান্টকে শিশু যৌন নির্যাতনবিষয়ক কনটেন্ট সংক্রান্ত অভিযোগ উপেক্ষার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। কমিশনের ভাষায়, এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ অপরাধের বিষয়ে যেন "চোখ বুঁজে" রয়েছে।

কমিশনের প্রধান জুলি ইনম্যান গ্রান্ট বলেন, “এই সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে তারা শিশুদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। বরং তাদের সেবায় সংঘটিত অপরাধগুলোকে তারা যেন ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপল এবং গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউব, শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্কে কতগুলো রিপোর্ট পেয়েছে, কিংবা সেই রিপোর্টে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—তা স্পষ্টভাবে জানায়নি। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, প্রতিষ্ঠানগুলো এই অপরাধ প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত টুল ব্যবহারে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

ইনম্যান গ্রান্ট বলেন, তিন বছর আগে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনুরোধ করার পরও প্রতিষ্ঠানগুলো “তেমন কোনো অগ্রগতি” দেখায়নি। তার ভাষায়, “ভোক্তাবান্ধব অন্য কোনো খাতে যদি এমন জঘন্য অপরাধ সংঘটনের সুযোগ রাখা হতো, তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হতো।”

প্রতিবেদনটি আরও জানায়, অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট এবং স্কাইপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুনির্যাতনের কনটেন্ট শনাক্ত করতে সক্রিয়ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বা অন্য প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করছে না।

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্মে শিশু যৌন নির্যাতনবিষয়ক কনটেন্ট এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্মিত ছবি চিহ্নিত ও দমন বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হয়।

এই প্রেক্ষাপটে ইনম্যান গ্রান্ট আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি জায়ান্টদের কাছ থেকে “গঠনমূলক অগ্রগতি” দেখা যাবে।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়া সরকার গত বছর ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হবে। ইউটিউব শুরুতে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকলেও, সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে যে জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্মটিকেও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

আইন অমান্যকারী সংস্থাগুলোর জন্য রাখা হয়েছে ৪৯.৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানার বিধান। তবে এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, কীভাবে এই নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

-আকরাম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক


বিশ্বজুড়ে গুগলে সবচেয়ে বেশি যেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১৭:৩৯:০৪
বিশ্বজুড়ে গুগলে সবচেয়ে বেশি যেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়
ছবি: সংগৃহীত

গুগল এখন শুধু একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়—এটি বিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন কৌতূহল, প্রয়োজন ও চিন্তার আয়নাও বটে। দিনে লাখ লাখবার মানুষ নানা প্রশ্নে গুগলের শরণাপন্ন হয়। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, গুগলে কোন প্রশ্নগুলো সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এবং এসব অনুসন্ধান মানুষের তথ্য চাহিদা ও আগ্রহের দিকটি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে।

গত ছয় মাসের গুগল অনুসন্ধান পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্বের মানুষ সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি গুগলে খুঁজেছে তা হলো—“আমার আইপি কী?”এই একটি প্রশ্ন গড়ে প্রতি মাসে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার বার সার্চ করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনেক সময় নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেদের আইপি অ্যাড্রেস জানতে চান। ফলে প্রশ্নটি বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে—“কয়টা বাজে?”প্রতি মাসে এটি গড়ে ১৮ লাখ ৩০ হাজার বার সার্চ করা হয়েছে। স্মার্টফোন বা ঘড়ি ব্যবহার করেও সময় জানা গেলেও মানুষ এই প্রশ্ন গুগলে করে থাকে, বিশেষ করে ভয়েস সার্চের মাধ্যমে।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে—“ভোটার হিসেবে নাম নিবন্ধন কীভাবে করব?”এটি সার্চ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ ২০ হাজার বার। এতে বোঝা যায়, নির্বাচন ও নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আগ্রহ বিশ্বজুড়েই রয়েছে।

গুগলে আরও জনপ্রিয় কিছু প্রশ্নের তালিকা হলো:

“কীভাবে টাই বাঁধব?” – ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার বার

“তুমি কী এটা চালাতে পারবে?” – ৫ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“এটা কোন গান?” – ৫ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“কীভাবে ওজন কমাব?” – ৫ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“একটি কাপে কত আউন্স থাকে?” – ৪ লক্ষ ৫০ হাজার বার

“মা দিবস কখন?” – বছরে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার বার

এসব প্রশ্নের মধ্যে কিছু দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, আবার কিছু প্রশ্ন নিছক কৌতূহলের ফল। কেউ রান্না করতে গিয়ে মাপ জানতে চাচ্ছেন, কেউ বা উৎসব নিয়ে জানছেন, আবার কেউ নিজের ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, মানুষ ততই গুগলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দ্রুত পেতে গুগলই যেন হয়ে উঠেছে প্রথম ভরসা। সার্চ ট্রেন্ডগুলোর মধ্য দিয়ে মানুষের তথ্য খোঁজার অভ্যাস, প্রাত্যহিক চাহিদা ও আগ্রহের প্রবণতা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

/আশিক


হোয়াটসঅ্যাপে এলো ‘Quick Recap’ ম্যাজিক, জানুন এটার কি কাজ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১১:৫৬:০৭
হোয়াটসঅ্যাপে এলো ‘Quick Recap’ ম্যাজিক, জানুন এটার কি কাজ
ছবিঃ সংগৃহীত

হোয়াটসঅ্যাপ তাদের প্ল্যাটফর্মকে আরও কার্যকর ও ব্যবহারবান্ধব করতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার চালু করে। এবার তারা আনছে এক অভিনব ও সময়-সাশ্রয়ী ফিচার— ‘Quick Recap’। এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই ফিচারটি বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা ব্যস্ততার কারণে হোয়াটসঅ্যাপে জমে থাকা বার্তা পড়তে পারেন না কিংবা দীর্ঘ চ্যাট বারবার স্ক্রোল করে সময় নষ্ট করতে চান না।

‘Quick Recap’ ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই আনরিড মেসেজগুলোর সারাংশ পেয়ে যাবেন এক ক্লিকেই। অর্থাৎ, চ্যাট যত দীর্ঘই হোক না কেন, ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ স্ক্রোল করে সব মেসেজ পড়তে হবে না। বরং, মেটার এআই প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েক সেকেন্ডেই পুরো চ্যাটের মূল বক্তব্য তুলে ধরা হবে সংক্ষিপ্ত আকারে।

এই ফিচারটি ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচটি পর্যন্ত চ্যাট নির্বাচন করা যাবে। এরপর চ্যাট স্ক্রিনের ওপরের ডান পাশে থাকা থ্রি-ডট মেন্যুতে ক্লিক করে ‘Quick Recap’ অপশনটি বেছে নিতে হবে। তারপরই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে ঐ চ্যাটের আনরিড বার্তাগুলোর একটি সারাংশ দেখাবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ফিচারটি প্রাইভেট চ্যাট ও গ্রুপ চ্যাট উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকরভাবে কাজ করবে।

এই প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ‘Quick Recap’ ফিচারটি Meta Private Processing নামক একটি বিশেষ গোপনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এর ফলে ব্যবহারকারীর মেসেজের ডাটা কখনোই হোয়াটসঅ্যাপ বা মেটার কাছে রিডেবল ফরম্যাটে পৌঁছায় না। সব তথ্যই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের আওতায় থাকে, ফলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

তবে এই ফিচারের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যেসব ব্যবহারকারী অ্যাডভান্স চ্যাট প্রাইভেসি ফিচার চালু রেখেছেন, তাদের চ্যাট এই ‘Quick Recap’ ফিচারের আওতায় পড়বে না। কারণ, অ্যাডভান্স চ্যাট প্রাইভেসি প্রযুক্তি বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আরও উন্নত গোপনীয়তা নিশ্চিত করে।

বর্তমানে ‘Quick Recap’ ফিচারটি শুধুমাত্র WhatsApp Beta Android ভার্সন 2.25.21.12-এ উপলব্ধ। বেটা ব্যবহারকারীদের জন্য এটি শিগগিরই চালু হবে এবং পরে ধাপে ধাপে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।


সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৩ ১৭:২৩:৩৯
সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান
সমুদ্রের ৩১ হাজার ফুট নিচে প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরাপেক্সেলস

উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের এই গভীর অঞ্চলে তারা এমন এক বাস্তুতন্ত্রের সন্ধান পেয়েছেন, যেখানে কেমোসিন্থেসিস নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাণীরা শক্তি সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। গবেষকদের দাবি, এটিই এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে গভীর কেমোসিন্থেটিক জীবনের আবাসস্থল।

এই অঞ্চল সূর্যালোক থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় হিমাঙ্কের কাছাকাছি এবং পানির চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় প্রায় এক হাজার গুণ বেশি। এত প্রতিকূল পরিবেশেও জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া, গবেষকদের কাছে অন্য গ্রহে প্রাণের সন্ধানের মতোই রোমাঞ্চকর বিষয় বলে বিবেচিত হচ্ছে।

চীনের তৈরি ফেন্ডৌজে সাবমার্সিবল নামের ডুবোজাহাজ ব্যবহার করে এই অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে দেখা গেছে, সেখানে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী ও জীবাণু সূর্যের আলো ছাড়াই মিথেন ও হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে।

নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব জীবের আবিষ্কার পৃথিবীতে প্রাণের টিকে থাকার জৈবিক সীমা এবং অভিযোজন ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। সমুদ্রের এত গভীরে টিকে থাকা প্রাণীজগত ভবিষ্যতে চরম পরিবেশে জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে আরও গবেষণার পথ খুলে দেবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


 ৩০ বছর পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্ম, ওহাইওতে বিজ্ঞানজগতের বিস্ময়

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০২ ১০:০৩:৩৮
 ৩০ বছর পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্ম, ওহাইওতে বিজ্ঞানজগতের বিস্ময়
ছবি: সংগৃহীত

৩০ বছর আগে হিমঘরে সংরক্ষিত একটি ভ্রূণ থেকে জন্ম নিয়ে এক বিরল ঘটনার নজির স্থাপন করল যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের নবজাতক থাডেয়াস ড্যানিয়েল পিয়ার্স। ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই জন্ম নেওয়া এই শিশুটি বর্তমানে ‘বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্মানো নবজাতক’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লিন্ডা আচার্ড ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন। এই চারটির একটি থেকে তার কন্যার জন্ম হয়, বাকি তিনটি রাখা হয় হিমায়িত অবস্থায়—যা বিগত তিন দশক ধরে প্রতি বছর ১ হাজার ডলার খরচ করে সংরক্ষিত ছিল।

লিন্ডা শুরু থেকেই চাননি তার ভ্রূণগুলো কোনো গবেষণাগারে ব্যবহৃত হোক কিংবা অপরিচিত পরিবারের হাতে চলে যাক। তিনি এগুলিকে তার মেয়ের জিনগত ভাইবোন হিসেবেই দেখতেন। অবশেষে Snowflakes Embryo Adoption Program-এর মাধ্যমে তিনি একজন উপযুক্ত দম্পতির কাছে এই ভ্রূণগুলো দান করেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে সন্তান জন্মদানের জন্য চেষ্টা করে আসছিলেন।

এই দম্পতি ওহাইওর বাসিন্দা টিম ও লিন্ডসি পিয়ার্স, যারা সাত বছর ধরে নিঃসন্তান ছিলেন। তারা যখন Snowflakes প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন, তখনই তারা এই সুযোগটি গ্রহণ করেন। তারা ভ্রূণের বয়স, জাতি বা উৎস সম্পর্কে কোনো পূর্বশর্ত দেননি। পরবর্তীতে লিন্ডার ভ্রূণ তাদের সঙ্গে মেলানো হয়।

Rejoice Fertility-এর নেতৃত্বে, এমব্রায়োলজিস্ট সারাহ অ্যাটকিনসন এই ভ্রূণগুলোকে ডিফ্রস্ট করেন। আশ্চর্যজনকভাবে তিনটির তিনটিই সফলভাবে সংরক্ষণ থেকে মুক্ত হয়। এর মধ্যে দুটি ভ্রূণ লিন্ডসির গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং সেখান থেকেই থাডেয়াসের জন্ম।

লিন্ডা যখন থাডেয়াসের ছবি দেখেন, তখন তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন—শিশুটিকে দেখতে তার নিজের মেয়ের শৈশবের মতোই লাগছে। যদিও তারা এখনও একে অপরের মুখোমুখি হননি, তবে লিন্ডার ভাষায়, “ওকে একবার জড়িয়ে ধরা আমার আজীবনের স্বপ্ন।”

এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে ভারতের ৭৪ বছর বয়সী এররামাতি মঙ্গায়াম্মা IVF পদ্ধতিতে যমজ কন্যার জন্ম দিয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেন। একই বছর গ্রীসে আরেক শিশুর জন্ম হয় তিনজন ব্যক্তির ডিএনএ ব্যবহার করে, যা বিজ্ঞানজগতে আলোচনার জন্ম দেয়।

থাডেয়াসের জন্ম শুধু একটি শিশুর আগমনের গল্প নয়; এটি বিজ্ঞানের এক যুগান্তকারী সাফল্যের প্রতিফলন—যা ভবিষ্যতের প্রজনন চিকিৎসাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে।

/আশিক


যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের যৌথ উদ্যোগে মহাকাশে উঠছে শক্তিশালী উপগ্রহ 'নিসার'

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩০ ১০:৫১:১৭
যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের যৌথ উদ্যোগে মহাকাশে উঠছে শক্তিশালী উপগ্রহ 'নিসার'
ছবিঃ সংগৃহীত

বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ — পৃথিবীর ভূমি ও বরফের পৃষ্ঠে সূক্ষ্ম পরিবর্তন নজরে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের যৌথভাবে নির্মিত এক অত্যাধুনিক রাডার স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। ‘নিসার’ (NISAR - NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar) নামের এই উপগ্রহটি প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) ইসরোর জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV) রকেটে চড়ে মহাকাশে যাত্রা করবে এই ট্রাক-আকারের মহাকাশযানটি। এটি এমন এক সময়ে উৎক্ষেপণ হচ্ছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মহাকাশ সহযোগিতা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি দুই দেশের বৈজ্ঞানিক বন্ধুত্বের একটি ‘ঐতিহাসিক’ নিদর্শন।

নাসার পৃথিবী বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক ক্যারেন সেন্ট জারমেইন বলেন, "আমাদের গ্রহের পৃষ্ঠে প্রতিনিয়ত নানা রকম পরিবর্তন ঘটে—কখনও ধীরে, কখনও হঠাৎ। কখনও সেগুলো স্পষ্ট, কখনও এতটাই সূক্ষ্ম যে সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না।"

নিসার এমন সূক্ষ্ম পরিবর্তনও শনাক্ত করতে পারবে, যা মাত্র এক সেন্টিমিটার (০.৪ ইঞ্চি) পরিমাণ ভার্টিক্যাল ওঠানামা বোঝাতে পারে। ফলে ভূমিকম্প, ভূমিধস, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও, পুরনো বাঁধ, সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামোর দুর্বলতা আগেভাগেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

উপগ্রহটির ১২ মিটার লম্বা রাডার ডিস্ক মহাকাশে গিয়ে বিস্তৃত হবে, যা প্রতি ১২ দিনে দুইবার করে পৃথিবীর প্রায় সব ভূমি ও বরফ ঢাকা অঞ্চল স্ক্যান করবে। এটি ৭৪৭ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে উপগ্রহ চিত্র পাঠাবে।

নিসার দুই ধরনের মাইক্রোওয়েভ রাডার ব্যান্ড ব্যবহার করবে—এল-ব্যান্ড ও এস-ব্যান্ড। এল-ব্যান্ড বড় গাছপালার ওপর নজরদারিতে উপযোগী, আর এস-ব্যান্ড কম উচ্চতার গুল্মজাত উদ্ভিদের ওপর নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে সক্ষম।

এই মহাকাশ প্রকল্পের খরচের বড় অংশ বহন করেছে নাসা—প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার, আর ইসরো ব্যয় করেছে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার। উপগ্রহটির অংশবিশেষ তৈরি হয়েছে দুই মহাদেশে—নাসা ও ইসরোর দুটি পৃথক গবেষণা কেন্দ্রে। পরে সেগুলো একত্র করে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয় বেঙ্গালুরুর স্যাটেলাইট ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড টেস্টিং স্থাপনায়।

ভারতের মহাকাশ অভিযানে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে। ২০১৪ সালে তারা মঙ্গলের কক্ষপথে একটি অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করে এবং ২০২৩ সালে চাঁদে একটি রোবটিক যান পাঠায়। সম্প্রতি ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলট শুভাংশু শুক্লা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সফল যাত্রা করেন—যা ২০২৭ সালে নির্ধারিত ভারতের নিজস্ব মানব মহাকাশ অভিযানের (‘গগনযান’) পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিসার প্রকল্প শুধু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং বৈশ্বিক দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণের দিক থেকেও যুগান্তকারী বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

-ফাতিমা , নিজস্ব প্রতিবেদক


চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, হতে পারে মহাজাগতিক বিস্ফোরণ!

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৮ ২১:৩৫:৫৮
চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, হতে পারে মহাজাগতিক বিস্ফোরণ!
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর পাশ দিয়ে একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যার নাম ‘২০২৪ ওয়াইআর৪’। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এর আকার প্রায় ১৫ তলা ভবনের সমান—প্রায় ২০০ ফুট চওড়া। এটি যদি চাঁদের গায়ে ধাক্কা খায়, তাহলে হতে পারে এই দশকের সবচেয়ে বড় মহাজাগতিক ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, গ্রহাণুটি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত হানবে না। তবে এর গতিপথ এমনভাবে রয়েছে যে, এটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে। নাসার সর্বশেষ পূর্বাভাসে দেখা গেছে, এ সংঘর্ষের সম্ভাবনা ৪.৩ শতাংশ। যদি সেটি সংঘটিত হয়, তবে চাঁদের বুকে তৈরি হতে পারে প্রায় এক কিলোমিটার চওড়া গর্ত, যার দৃশ্য সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা যাবে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এ ধরনের সংঘর্ষ থেকে কিছু ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে পারে। বেশিরভাগ অংশ বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পুড়ে যাবে, তবে কিছু টুকরো স্যাটেলাইট, জিপিএস, ইন্টারনেট ও আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স ইউনিটের মলি ওয়াসার জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি বর্তমানে সূর্যের চারপাশে আবর্তন করছে এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এর গতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শুরুতে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ধরা হয়েছিল ৩.৮ শতাংশ, যা এখন বেড়ে ৪.৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

এ ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিসহ বিশ্বের কয়েকটি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখন বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি ‘নিউমির’ ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি আগে থেকে চালু থাকত, তাহলে এই গ্রহাণুটিকে আরও আগে শনাক্ত করা সম্ভব হতো। ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি বড় শিক্ষার জায়গা হয়ে থাকবে।

এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে, মহাকাশে আমাদের অবস্থান কতটা অনির্দেশ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও পৃথিবী সরাসরি এই ধাক্কায় প্রভাবিত হবে না, তবে এটি হতে পারে এক যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, যা গ্রহ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য এক বড় পরীক্ষা হিসেবেও বিবেচিত হবে।

তাই ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর দিনটি মহাকাশপ্রেমীদের জন্য হয়ে উঠতে পারে স্মরণীয় এক মুহূর্ত—একদিকে মহাজাগতিক বিস্ফোরণের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য, অন্যদিকে প্রযুক্তি ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ।

/আশিক


জানুন হোয়াটসঅ্যাপের গোপন ৩ ম্যাজিক ফিচার সম্পর্কে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৪ ১৬:৪৯:৪৯
জানুন হোয়াটসঅ্যাপের গোপন ৩ ম্যাজিক ফিচার সম্পর্কে

বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিদিনের যোগাযোগে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করছেন এই প্ল্যাটফর্ম। শুধু চ্যাট, অডিও-ভিডিও কল নয় ব্যক্তিগত, পেশাগত ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও হোয়াটসঅ্যাপ হয়ে উঠেছে একটি কার্যকরী যোগাযোগ মাধ্যম।

ব্যবহারকারীর চাহিদা ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে মেটা (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপে নতুন নতুন ফিচার সংযোজন করছে। তবে এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার ব্যবহারকারীদের দৃষ্টির আড়ালে রয়ে যায়। আজ তুলে ধরা হলো এমনই ৩টি কার্যকর ও ‘গোপন’ ফিচার, যা জানলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ধরণই বদলে যেতে পারে।

১. ভয়েস টাইপ রাইটার: টাইপিং নয়, বললেই লেখা হবে!

অনেকেই জানেন, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট বক্সে থাকা মাইক্রোফোন আইকনে চাপ দিয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়। কিন্তু একই সঙ্গে কিবোর্ডেও আরেকটি ছোট মাইক্রোফোন আইকন থাকে, যা ভয়েস টাইপিংয়ের জন্য।এটি শুধু ভয়েস রেকর্ড করে না, বরং আপনার বলা প্রতিটি শব্দ রিয়েল-টাইমে লিখিত আকারে টাইপ করে দেয়। এই ফিচার ব্যবহারের জন্য কিবোর্ড সেটিংসে গিয়ে ভাষা পছন্দ করতে হবে। বাংলা, ইংরেজি সহ বহু ভাষায় কাজ করে এই ফিচারটি। টাইপ করতে না চাইলে এখন শুধু বললেই হলো— বাক্য হয়ে যাবে লেখায় পরিণত।

ব্যবহার কাদের জন্য উপযোগী?

  • যারা দীর্ঘ বার্তা লিখতে চান কিন্তু দ্রুত টাইপ করতে পারেন না
  • প্রবাসী ও শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সহজ
  • প্রবীণ বা শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যবহারকারীর জন্য দারুণ সহায়ক

২. হোয়াটসঅ্যাপ কিবোর্ডে স্ক্যানার: ছবি নয়, এবার সরাসরি লেখা পাঠান

পুরোনো পদ্ধতিতে কেউ হাতে লেখা কাগজের ছবি তুলে পাঠাতেন। এতে ছবি অস্পষ্ট হলে পড়া কঠিন হয়ে যেত। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের কিবোর্ডে নতুন সংযুক্ত স্ক্যানার ফিচার এই সমস্যার সমাধান দিয়েছে।

কোনো মেসেজ ট্যাপ করলেই এখন ‘অটোফিল’ অপশন দেখা যাবে। সেখানে ক্লিক করলে কিবোর্ডটি রূপান্তরিত হবে স্ক্যানারে। এর মাধ্যমে আপনি যে লেখার ছবি তুলছিলেন, সেটি এখন টেক্সট হিসেবে স্ক্যান হয়ে যাবে এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পাঠানো যাবে পরিষ্কারভাবে।

  • এই ফিচার কেন প্রয়োজনীয়?
  • ছাত্রছাত্রীদের জন্য নোট বা হ্যান্ডআউট পাঠাতে
  • অফিসের ডকুমেন্ট বা নির্দেশনা দ্রুত পাঠাতে
  • দ্রুত, ঝুঁকিমুক্ত ও পেশাদার বার্তা পাঠাতে

৩. মেসেজ ট্রান্সক্রিপ্ট: ভয়েস মেসেজ এখন হবে লেখা আকারে

শুধু ভয়েস পাঠানো বা টাইপিংই নয়, হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে ভয়েস ট্রান্সক্রিপ্ট ফিচারও, যা অনেকের কাছেই অজানা। কেউ যদি আপনাকে ভয়েস মেসেজ পাঠান, কিন্তু আপনি সেই মুহূর্তে হেডফোন ব্যবহার করতে পারছেন না বা পাবলিক প্লেসে আছেন, তখন এই ফিচার অত্যন্ত কার্যকর।

সেটিংসে গিয়ে ‘Voice Message Transcription’ অপশন অন করে দিলে, ভয়েস মেসেজ লেখা আকারে স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। এতে আপনি শব্দ না শুনেই পুরো বক্তব্য পড়ে নিতে পারবেন। এটি বাংলা সহ একাধিক ভাষায় কাজ করে।

এই ফিচার কারা ব্যবহার করবেন?

  • পথ চলতি সময়, ক্লাস বা মিটিংয়ে থাকা অবস্থায়
  • যারা শুনতে না চাইলেও বার্তা বুঝতে চান
  • হিয়ারিং ইম্পেয়ারড ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সহায়ক

হোয়াটসঅ্যাপ শুধু এক মেসেজিং অ্যাপ নয়, এটি এখন এক অনলাইন কার্যপদ্ধতির কেন্দ্রবিন্দু। ভয়েস টাইপ রাইটার, স্ক্যানার ও মেসেজ ট্রান্সক্রিপ্টের মতো গোপন ফিচারগুলো ব্যবহার করে আপনি সময় বাঁচাতে পারেন, বাড়াতে পারেন কর্মদক্ষতা।

পাঠকের মতামত: