রোজকার শেয়ারবাজার
১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার

১৭ আগস্ট ২০২৫, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারবাজারে বন্ধ দর ও আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের ভিত্তিতে এবং প্রারম্ভিক দর ও সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ গেইনার শেয়ার নিচে দেয়া হলো।
বন্ধ দর ও আগের দিনের ক্লোজিং (YCP) মূল্যের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ গেইনার শেয়ার:
| ক্রম | ট্রেডিং কোড | ক্লোজ প্রাইস | সর্বোচ্চ | সর্বনিম্ন | আগের দিনের ক্লোজ | % পরিবর্তন |
| 1 | DSHGARME | 126.6 | 126.6 | 118.3 | 115.1 | 9.99% |
| 2 | HWAWELLTEX | 52.5 | 52.8 | 48.5 | 48 | 9.37% |
| 3 | GQBALLPEN | 311.4 | 311.4 | 290 | 286.4 | 8.72% |
| 4 | ACMEPL | 16 | 16.2 | 14.8 | 15 | 6.67% |
| 5 | SQUARETEXT | 55.8 | 56 | 52.5 | 52.4 | 6.48% |
| 6 | MIDLANDBNK | 20.1 | 20.3 | 19.1 | 18.9 | 6.34% |
| 7 | CITYBANK | 25 | 25.1 | 23.7 | 23.6 | 5.93% |
| 8 | TITASGAS | 23.4 | 23.8 | 22 | 22.1 | 5.88% |
| 9 | MONNOCERA | 89.4 | 91 | 84.1 | 84.6 | 5.67% |
| 10 | CVOPRL | 160.3 | 162.8 | 150.4 | 151.9 | 5.53% |
প্রারম্ভিক দর ও সর্বশেষ লেনদেন (LTP) মূল্যের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ গেইনার শেয়ার:
| ক্রম | ট্রেডিং কোড | ওপেন প্রাইস | সর্বোচ্চ | সর্বনিম্ন | সর্বশেষ লেনদেন মূল্য (LTP) | বিচ্যুতি % |
| 1 | GQBALLPEN | 291 | 311.4 | 290 | 311.4 | 7.01% |
| 2 | DSHGARME | 118.8 | 126.6 | 118.3 | 126.6 | 6.56% |
| 3 | SQUARETEXT | 52.6 | 56 | 52.5 | 55.8 | 6.08% |
| 4 | ACMEPL | 15.1 | 16.2 | 14.8 | 16 | 5.96% |
| 5 | ECABLES | 120.3 | 128.2 | 120.3 | 127.4 | 5.90% |
| 6 | MONNOCERA | 84.7 | 91 | 84.1 | 89.4 | 5.55% |
| 7 | CVOPRL | 151.9 | 162.8 | 150.4 | 160.3 | 5.53% |
| 8 | CITYBANK | 23.7 | 25.1 | 23.7 | 25 | 5.48% |
| 9 | TITASGAS | 22.2 | 23.8 | 22 | 23.4 | 5.40% |
| 10 | ORIONINFU | 456.2 | 485 | 448.1 | 480.4 | 5.30% |
আজকের বাজারেDSHGARME এবংGQBALLPEN শেয়ারে সবচেয়ে বেশি মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ক্রয়চাপ বৃদ্ধির কারণে এসব শেয়ারের দর বেড়েছে। তবে বাজারে বিনিয়োগের আগে ঝুঁকি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
/আশিক
১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) লেনদেন শেষে বাজারের সামগ্রিক চিত্রে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। দিনশেষে মোট ২৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বিপরীতে দর কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, লেনদেন হওয়া মোট ৩৮৪টি ইস্যুর মধ্যে এই পরিবর্তন এসেছে। বেশিরভাগ ক্যাটাগরিতেই ছিল ঊর্ধ্বগতি। 'A' ক্যাটাগরিতে ১৩৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে এবং ৫৭টির দর কমেছে। 'B' ক্যাটাগরিতে ৫১টি ইস্যু এগিয়েছে, বিপরীতে কমেছে ১৮টি। 'Z' ক্যাটাগরিতে ৪৭টির দর বাড়লেও ৩৮টির দরপতন হয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনে, মিউচুয়াল ফান্ড (MF) সেক্টরে ১৭টি ফান্ডের দর বৃদ্ধি ও ৮টির দর হ্রাস পেয়েছে। তবে গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ (G-Sec) বিভাগে ১টির দর বাড়লেও ৬টির দর কমেছে।
এদিন বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২,৯৮১.০৭ মিলিয়ন টাকা (প্রায় ২ শত ৯৮ কোটি টাকা)। মোট ১,২৫,৩০৯টি ট্রেডের মাধ্যমে ১২১,৫৭৪,১২৩টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন ১১০ মিলিয়ন টাকা
মূল বাজারের পাশাপাশি ব্লক মার্কেটে আজ উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে। মোট ১৮টি স্ক্রিপের লেনদেনে ১১০.৬৩৫ মিলিয়ন টাকার (প্রায় ১১.০৬ কোটি টাকা) শেয়ার হাতবদল হয়।
ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে ছিল GQBALLPEN, যার ২৯.৯৪৩ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে ACI ১১.৫৮৬ মিলিয়ন, LANKABAFIN ১০.৯৫৩ মিলিয়ন এবং CITYGENINS ৯.৯৮৬ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধন (Total Market Capitalisation) দাঁড়িয়েছে ৬,৭৪৯,২৫১.৯৮ মিলিয়ন টাকায়।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
/আশিক
১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
রবিবার (১৬ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামে পতন লক্ষ্য করা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে এই দরপতন পরিমাপ করা হয়েছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে SHEPHERD। অন্যদিকে, দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে IBP।
Close Price vs YCP
গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায়, দরপতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে SHEPHERD। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৭৩৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটির YCP ছিল ১১ টাকা ৩ পয়সা, যা আজ লেনদেন শেষে ১০ টাকা ২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে SIMTEX, যার দর কমেছে ৯ দশমিক ৭২৬৪ শতাংশ। ৯ দশমিক ৬০৪৫ শতাংশ দর হারিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে FEKDIL।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো MATINSPINN (-৯.০৫৩৫ শতাংশ), GQBALLPEN (-৮.৭১৭৫ শতাংশ), FASFIN (-৮.৪৩৩৭ শতাংশ), MEGCONMILK (-৭.৮৭৪ শতাংশ), UTTARAFIN (-৭.৭৬৭ শতাংশ), BAYLEASING (-৭.৪০৭৪ শতাংশ) এবং MEGHNAPET (-৭.৩২৯৮ শতাংশ)।
Opening Price vs LTP (Intra-day)
দিনের লেনদেনের মধ্যে, অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে, সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে IBP। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ২৪ দশমিক ১১৩৫ শতাংশ হ্রাস পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ১৪ টাকা ১ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ১০ টাকা ৭ পয়সায়।
এই তালিকায় বড় পতন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে MEGHNAPET, যার ডেভিয়েশন মাইনাস ১২ দশমিক ৮০৭৯ শতাংশ। INTRACO মাইনাস ১১ দশমিক ২১০৮ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো SIMTEX (-১১.০৭৭৮ শতাংশ), CONTININS (-১০.৩৪৪৮ শতাংশ), SHEPHERD (-৯.৭৩৪৫ শতাংশ), METROSPIN (-৯.৫২৩৮ শতাংশ), MIDASFIN (-৯.৫২৩৮ শতাংশ), NEWLINE (-৯.৩৭৫ শতাংশ) এবং GQBALLPEN (-৯.১৭৩৯ শতাংশ)।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, SHEPHERD, SIMTEX, GQBALLPEN এবং MEGHNAPET এই চারটি কোম্পানি উভয় তালিকাতেই দরপতনের শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে এই কোম্পানিগুলো শুধু গতকালের তুলনায়ই নয়, বরং আজকের দিনের লেনদেনের শুরুতেও বড় ধরনের বিক্রয় চাপের মুখে ছিল।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
/আশিক
১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
রবিবার (১৬ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে দুটি কোম্পানি শীর্ষস্থান দখল করেছে। গতকালের সমাপনী মূল্য (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল RUNNERAUTO। অন্যদিকে, দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিয়েছে MONOSPOOL।
Close Price vs YCP
গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে তুলনা করে আজকের সমাপনী মূল্যের শতাংশ পরিবর্তনে শীর্ষ দশ গেইনারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে RUNNERAUTO। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৮৯০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর YCP ছিল ৩৬ টাকা ৪ পয়সা, যা আজ লেনদেন শেষে (CloseP) ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে SAIHAMCOT, যার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৬১৫৪ শতাংশ। ৯ দশমিক ৬ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে SALVOCHEM।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো ICB (৯.১৬৯১ শতাংশ), MONNOFABR (৯.১৫০৩ শতাংশ), ANWARGALV (৮.৯৯৭৪ শতাংশ), CVOPRL (৮.৯১৮১ শতাংশ), SONARGAON (৮.৭১৫৬ শতাংশ), ICB3RDNRB (৮.৩৩৩৩ শতাংশ) এবং DSHGARME (৮.২১৯২ শতাংশ)।
Opening Price vs LTP (Intra-day)
দিনের লেনদেনের মধ্যে, অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে, সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল MONOSPOOL। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ১৬ দশমিক ৩৯৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ৯২ টাকা ১ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ১০৭ টাকা ২ পয়সায়।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে EXIM1STMF, যার ডেভিয়েশন ১৩ দশমিক ০৪৩৫ শতাংশ। PROVATIINS ১০ দশমিক ৪৮০৩ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো IFILISLMF (১০ শতাংশ), SONARGAON (৯.৭২২২ শতাংশ), SICL (৯.২৫৯৩ শতাংশ), RDFOOD (৯.২১০৫ শতাংশ), NORTHRNINS (৯.০৯০৯ শতাংশ), HWAWELLTEX (৮.৯৮৮৮ শতাংশ) এবং ANWARGALV (৮.৭১৭৯ শতাংশ)।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ANWARGALV এবং SONARGAON কোম্পানি দুটিই উভয় তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
/আশিক
২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট
২০২৫ সালের ১৬ নভেম্বর, সকাল ১১টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত প্রকাশিত ডেট বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক মার্কেটে লেনদেন প্রায় সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে আছে। পুঁজিবাজারের তুলনামূলক নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ খাত হিসেবে ডেট মার্কেট গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর কার্যক্রম আজকের দিনে ছিল অত্যন্ত সীমিত।
ডেট বোর্ডে তালিকাভুক্ত মোট ২৪টি সিকিউরিটির মধ্যে ২৩টিতেই কোনো লেনদেন হয়নি। ঐসব সিকিউরিটিগুলোর Last Traded Price (LTP), HIGH, LOW এবং CLOSEP সবই শূন্য দেখাচ্ছে। এটি প্রমাণ করে যে বাজারে বন্ড ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম একেবারে স্থবির অবস্থায় রয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম।
এমন পরিস্থিতিতে পুরো বাজারে একমাত্র সক্রিয় সিকিউরিটি ছিল BEXGSUKUK। এই সুকুকটিতে সীমিত আকারে হলেও ট্রেড হয়েছে। দেখা যায়, এর LTP ছিল ৫৯.৫, HIGH ছিল ৫৯.৫ এবং LOW ছিল ৫৯। গতকালের YCP ছিল ৫৯ টাকা। ফলে আজকের CHANGE দাঁড়িয়েছে ০.৫ টাকা বৃদ্ধি। মোট ৩টি ট্রেডের মাধ্যমে ০.০৩৬ মিলিয়ন টাকার লেনদেন হয়েছে এবং ৬০০ ইউনিটের ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়েছে।
এই সুকুকের সক্রিয়তা বাজারের সার্বিক স্থবিরতার মধ্যেও কিছুটা ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে। এটি স্পষ্ট যে অন্তত কিছু বিনিয়োগকারী শরিয়াহ ভিত্তিক সুকুকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে এই লেনদেনের পরিমাণ পুরো ডেট মার্কেটের তুলনায় খুবই সামান্য, যা সামগ্রিক চিত্রকে পরিবর্তন করে না।
অন্যদিকে ABBLPBOND, AIBLPBOND, APSCLBOND, BANKASI1PB, CBLPBOND, DBLPBOND, MTBPBOND সহ উচ্চমূল্যের বিভিন্ন করপোরেট বন্ডে কোনো লেনদেন হয়নি। এই বন্ডগুলোর YCP উল্লেখ থাকলেও মূল্য পরিবর্তন হয়নি, কারণ LTP শূন্য রয়েছে। ফলে দিনের বাজার পুরোপুরি স্থির থেকে গেছে।
ডেট বাজারে এমন নিস্ক্রিয়তার পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করতে পারে। প্রথমত, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্ড মার্কেট সম্পর্কে সচেতনতা তুলনামূলকভাবে কম। শেয়ার বাজারের তুলনায় দ্রুত মুনাফা পাওয়া যায় না বলে অনেকেই বন্ডে আগ্রহী হন না। এর ফলে দ্বিতীয়িক বাজারে তারল্য সংকট তৈরি হয়, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি খুবই সীমিত।
দ্বিতীয়ত, দেশের চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিহীন দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। তবে বন্ড বাজার ঝুঁকিহীন হলেও দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃতি ও সীমিত লেনদেন সুবিধা অনেকের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তা চাইলেও বাজারের নিষ্ক্রিয়তা তাদের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে।
তৃতীয়ত, নীতিনির্ধারক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বাজার গভীরীকরণের অভাবও দায়ী। বন্ড মার্কেট সক্রিয় না হলে দেশের সামগ্রিক পুঁজিবাজার শক্তিশালী হতে পারে না। বিশেষত সরকারি সিকিউরিটিজ ও করপোরেট বন্ডের প্রবাহ বাড়ানো, কর-সুবিধা দেওয়া এবং স্বচ্ছ প্রাইসিং মেকানিজম চালু করা জরুরি।
এছাড়া ডিজিটাল সিস্টেম আরও সহজ করা, বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্রেনিং ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালু করা এবং মার্কেট মেকার কার্যক্রম বিস্তৃত করাও প্রয়োজন। এসব উদ্যোগ বন্ড বাজারে তারল্য বৃদ্ধি করবে এবং বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
আজকের সার্বিক চিত্র দেখায় যে ডেট মার্কেট এখনও তার প্রত্যাশিত অবস্থান থেকে দূরে। একমাত্র BEXGSUKUK বাদে বাজার সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। বিনিয়োগকারীরা এই বাজারে অংশ নিলে স্থিতিশীল ও ঝুঁকিহীন মুনাফার সুযোগ পেতে পারেন, কিন্তু তার জন্য বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।
-রাফসান
তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সপ্তাহের শুরুতে DSE–৩০ সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেন সামগ্রিকভাবে চাপের মধ্যে ছিল। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারল্য সংকট, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষমান অবস্থান বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ ব্লু-চিপ শেয়ারের দাম কমেছে এবং সূচকেও চাপ পড়েছে।
সকালের লেনদেনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে লভেলো আইসক্রিমের শেয়ার থেকে। কোম্পানিটির শেয়ারের দর প্রায় ১০ শতাংশ কমে ৬২.৫ টাকায় নেমে আসে। এদিন লভেলোর ৮৮৭টি ট্রেডে প্রায় ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ব্যয় বৃদ্ধি, মৌসুমি চাহিদা কমে যাওয়া এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপে ফেলেছে।
টেলিকম খাতেও উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে। গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ২.৯২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৬৯.১ টাকায়, যা সূচকের ওপর বেশ স্পষ্ট প্রভাব ফেলে। টেলিকম নীতিমালা সংশোধন ও নিয়মকানুনের সম্ভাব্য পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে রবি আজিয়াটার দর অপরিবর্তিত থাকলেও লেনদেন ছিল বেশ সক্রিয়।
ব্যাংকিং খাতের শেয়ারেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক ২ শতাংশের বেশি দর হারায় এবং সিটি ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারও নিম্নমুখী ছিল। ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, খেলাপি ঋণের চাপ এবং নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করছে। তবে প্রাইম ব্যাংক সামান্য বৃদ্ধি দেখিয়ে খাতটিতে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া দেয়।
জ্বালানি খাতে দর পরিবর্তন ছিল তুলনামূলকভাবে সীমিত। জামুনা অয়েলের দর সামান্য বেড়েছে, তবে পদ্মা অয়েলের শেয়ার দামে পতন দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক তেলের দামের ওঠানামা দেশীয় জ্বালানি কোম্পানির শেয়ারে সরাসরি প্রভাব ফেলছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা থাকলেও কয়েকটি বড় কোম্পানির শেয়ারে পতন হয়। বেক্সিমকো ফার্মা, রেনাটা, স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দামের নিম্নগতি বাজারে চাপ বাড়ায়। ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয়ের প্রভাব উৎপাদন খাতে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানির মধ্যে ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ারের দর ১ শতাংশের বেশি কমে ৩৬০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়। বৈশ্বিক বাজারের চাপ, কাঁচামালের দাম এবং রপ্তানি আয়ের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের শঙ্কিত করছে। কোহিনূর কেমিক্যালস, অলিম্পিক এবং লিন্ডে বাংলাদেশ–এ লেনদেন সীমিত থাকলেও দর সামান্য ওঠানামা করেছে।
লেনদেনের পরিমাণে এগিয়ে ছিল সিটি ব্যাংক, রবি এবং লভেলো। সিটি ব্যাংকের লেনদেন প্রায় ২৭.৯ কোটি টাকা, রবি ২৪.৬ কোটি টাকা এবং লভেলো ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে দিনটি জমজমাট করে তোলে। তবে দাম পতনের কারণে বাজারে আশাবাদ কমেছে।
সামগ্রিকভাবে ডিএসই ৩০–এর শেয়ারের লেনদেনে বিক্রয়চাপ ছিল প্রবল। বাজারে তারল্য বাড়ানো, নীতি–স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি না হলে এ ধরনের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান থাকতে পারে বলে মনে করছে বাজারবিশ্লেষকেরা।
-রাফসান
রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান রহিমা ফুডস (RAHIMAFOOD)–এর আর্থিক সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের উপাত্তে দেখা যায়—EPS, NOCFPS এবং NAV—সব সূচকেই উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে, যা কোম্পানির বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং রাজস্ব সংকটের প্রতিফলন।
প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) নেমে দাঁড়িয়েছে –০.০৫ টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে EPS ছিল ০.২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে পড়েছে। ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, বিক্রি কমে যাওয়ায় নেট মুনাফা হ্রাস পেয়েছে এবং EPS–এ সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে, Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে। ২০২৫ Q1–এ NOCFPS দাঁড়িয়েছে ০.০৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৬৪ টাকা। কোম্পানি জানিয়েছে,“ত্রৈমাসিকটিতে রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় NOCFPS হ্রাস পেয়েছে।”অর্থাৎ বিক্রয় আদায়ের দুর্বলতা নগদপ্রবাহকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এছাড়া কোম্পানির সম্পদভিত্তিতেও (NAV) স্পষ্ট পতন দেখা গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে NAV per share নেমে দাঁড়িয়েছে ৯.৫২ টাকা, যা অর্থবছরের শুরুতে (৩০ জুন ২০২৫) ছিল ১০.৫৮ টাকা। NAV–এর এই অবনতি কোম্পানির আর্থিক অবস্থার দুর্বলতাকে আরও স্পষ্ট করে।
-রাফসান
সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সায়হাম কটন মিলস (SAIHAMCOT)। প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা, নগদপ্রবাহ এবং সম্পদমূল্য তিন ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় উন্নতি অর্জন করেছে। আর্থিক ব্যয় কমে যাওয়া এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মুনাফা (unrealized gain) বৃদ্ধি হওয়ায় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) সামান্য হলেও ইতিবাচকভাবে বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়ে কোম্পানির EPS বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.২৮ টাকা, যেখানে গত বছরের একই প্রান্তিকে EPS ছিল ০.২৭ টাকা। যদিও বৃদ্ধি সামান্য, তবে ব্যবস্থাপনা জানিয়েছে, ফাইন্যান্স কস্ট কমে যাওয়া এবং unrealized gain বৃদ্ধি পাওয়া এই দুটি কারণই নেট মুনাফাকে সহায়তা করেছে।
সবচেয়ে শক্তিশালী উন্নতি দেখা গেছে কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS)–এ। গত বছরের একই সময়ে NOCFPS ছিল ০.১১ টাকা, যা চলতি প্রান্তিকে উন্নত হয়ে দাঁড়িয়েছে ১.০৬ টাকা, অর্থাৎ প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি। কোম্পানির মতে, প্রান্তিকে ব্যয় ও খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় নগদপ্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে।
সম্পদমূল্যেও উন্নতি হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে NAV per share বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৫৬ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫ শেষে ছিল ৩৮.২৬ টাকা। এটি প্রতিষ্ঠানটির সম্পদভিত্তির স্থিতিশীলতা ও সামান্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
-রাফসান
উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) NAVANA Group-এর জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান NAVANACNG–এর আর্থিক প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক চাপ, উপকরণ সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার বহুমুখী প্রভাব। কোম্পানির অনিরীক্ষিত সমন্বিত আর্থিক ফলাফল (Q1) প্রান্তিকটিকে কঠিন সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে NAVANACNG-এর Consolidated EPS কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.০১ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.০২ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, এই পতনের পেছনে প্রধান কারণ উপকরণ সংকট, বিশেষত কোম্পানির মূল সাবসিডিয়ারিগুলোর জন্য জরুরি উপাদানের ঘাটতি। এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে এবং কম মুনাফাযুক্ত ব্যবসায় ঝুঁকে পড়তে হয়েছে।
কোম্পানি জানিয়েছে, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় অস্থিরতা, ডলারের অনিশ্চয়তা, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চাপ এবং কিছু খাতে আমদানি ব্যয়ের বৃদ্ধি গ্রস প্রফিটে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে। এতে সমন্বিত মুনাফা হ্রাস পেয়েছে এবং EPS–এর ওপর সরাসরি প্রভাব পড়েছে।
এর পাশাপাশি, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা রাজস্ব সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। অনিশ্চয়তা ও কিছু অঞ্চলে পরিবহন সংকটের কারণে রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি দেখা যায়। তবে সব বাধা সত্ত্বেও NAVANACNG তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।
ইতিবাচক দিক হলো, কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই সূচক ছিল নেতিবাচক (০.৭২), যা এবার উন্নতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ০.৩২ টাকা। কঠিন সময়ে নগদ প্রবাহের এই পুনরুদ্ধার ব্যবসার সক্ষমতা ও রাজস্ব সৃষ্টির স্থায়িত্বের প্রমাণ বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
কোম্পানির সম্পদমূল্যেও সামান্য উন্নতি দেখা গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV per share) দাঁড়িয়েছে ৩০.৮১ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫–এর ৩০.৭৯ টাকার তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে। যদিও এ বৃদ্ধি সীমিত, তবুও কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি সম্পদভিত্তি স্থিতিশীল রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
-রফিক
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের শীর্ষ কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস (NAVANAPHAR) চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের তথ্য জানিয়েছে। প্রান্তিকের আর্থিক সূচকসমূহে দেখা যায়, কোম্পানির বিক্রি, গ্রস প্রফিট, শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) এবং নগদপ্রবাহ—সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়কালে কোম্পানির EPS বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭১ টাকা, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের ১.২৫ টাকার তুলনায় ৬২.৪০ শতাংশ বেশি। Diluted EPS দাঁড়িয়েছে ১.৬৯ টাকা। নাভানা ফার্মার মতে, বিক্রয় আয়ের বৃদ্ধি, গ্রস প্রফিট মার্জিনের উন্নতি এবং ফাইন্যান্স কস্ট কমে যাওয়া মিলে নেট মুনাফায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এনেছে।
একই সময়ে কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.০৮ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২.০০ টাকা। ব্যবস্থাপনা সূত্র জানিয়েছে, প্রান্তিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে নগদ আদায় সরবরাহকারী ও পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় ক্যাশ ফ্লো শক্তিশালী হয়েছে।
এছাড়া কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV per share) সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.০৩ টাকা, যা চলতি অর্থবছরের শুরুতে (৩০ জুন ২০২৫) ছিল ৪৫.২৯ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির সম্পদভিত্তি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় হয়েছে।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- এনসিপির মনোনয়ন নিলেন সারজিস,একই আসনে বিএনপি-এনসিপি দুই হেভিওয়েট প্রার্থী
- সোমবার সকাল ১১টায় হাসিনার রায়: দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
- ইতিহাসের কুচক্রী নারী: ঘষেটি বেগম, যার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ডেকে এনেছিল বাংলার পতন
- জামায়াতে ইসলামী: অতীতের ছায়া ছাপিয়ে কি নতুন শুরু সম্ভব?
- ককটেল বিস্ফোরণে কাঁপল কারওয়ান বাজার
- রাজনীতিকে বিদায় জানালেন শমসের মবিন চৌধুরী
- সাভারে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি বাসে আগুন
- কোমল পানীয় থেকে মাছের ডিম, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৯ খাবার
- মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ মৃত্যু
- ভোটার তালিকায় নাম নেই তারেকের, নির্বাচনে লড়তে পারবেন কীভাবে?
- ডলারের রিজার্ভে সুখবর, নভেম্বরের শুরুতেই বিপুল সাড়া
- পুলিশ প্রশাসনে ‘বড় নাড়া’: ডিআইজি-এসপিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের রদবদল
- ইসরায়েলের গোপন ফাঁদেই উল্টো ধরা, ইরানের যে কৌশলে বোকা বনেছিল ইসরায়েল
- হাসারাঙ্গাকে ছেড়ে রিশাদের দিকে নজর? আইপিএল নিলামে টাইগারদের চাহিদা
- প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা, আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মেহজাবীন
- বয়স বাড়লেও তারুণ্য থাকবে অটুট, যদি পাতে থাকে এই শীতের সবজি!
- অতীতে ইসি সরকারের ‘মন্ত্রী’ ছিল: কাদের সিদ্দিকীর কড়া সমালোচনা
- জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল আরেক দেশ, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার চেষ্টা
- দেশের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়, খারাপও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আমার প্রতি এত রাগ বা হিংসা কেন? সব অভিযোগ খণ্ডন করলেন নিগার সুলতানা
- বিদেশি কর্মী নিয়োগে 'ইউ-টার্ন' সৌদির,কমছে বেতন ও সুবিধা
- ২০২৬ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ডেঙ্গু বা ভাইরাসের পর দুর্বলতা? প্লেটলেট বাড়বে যা খেলে
- সাগর যেখানে সমাধিক্ষেত্র: ভূমধ্যসাগরে আবারও ডুবল স্বপ্নের নৌকা
- অতীতে কেউ হাত দেয়নি, প্রবাসীদের ভোট নিয়ে যা বললেন সিইসি
- অভিনেত্রী মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- গণভোটের আইনি ভিত্তি নেই: রিজভী
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হাসিনার রায় নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে: মির্জা ফখরুল
- ইসির সংলাপে নাটক: ঐক্যজোটের এক অংশকে বের করে দিল আরেক পক্ষ
- গাজা–ইরান ইস্যুতে রহস্যময় ফোনালাপ নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের
- শেখ হাসিনাদের রায় সরাসরি দেখতে পাবেন যেভাবে
- ২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট
- তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
- ২০১৮ নির্বাচনের গোপন নীলনকশা: ‘কপোতাক্ষ কক্ষে’ কী ঘটেছিল
- ৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার
- নির্বাচনের আগে সংলাপ ম্যারাথন- সকালে ৬ দল, বিকেলে আরও ৬ দল
- শীতে ত্বক বাঁচানোর কার্যকর উপায়
- শীতে ঘরোয়া উপায়ে চুলের পূর্ণাঙ্গ যত্ন
- রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
- সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা
- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1
- ১,৪৪৪ টন সোনার সবচেয়ে বড় স্বর্ণভান্ডার আবিষ্কার
- “আমার ভাই মেয়র হবে না, ভাগিনা চেয়ারম্যান নয়”
- বিএনপির মনোনয়ন সংকট ও আসন–সমঝোতা
- ১৬ নভেম্বর সকালে ঢাকার বাতাসের মান নেমে গেল বিপজ্জনক পর্যায়ে
- রাজধানীতে আজ রাজনৈতিক কর্মসূচির ছড়াছড়ি, জেনে নিন বিস্তারিত
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- মুশফিক-তামিমদের ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় লিটন দাস আজই কি গড়বেন রেকর্ড








