পাথর লুটে জড়িত ৫২ জনের নাম প্রকাশ:তালিকায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের নাম

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর লুটপাটের পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ও সুবিধাভোগী ৫২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত প্রতিবেদনে। এই তালিকায় বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ, এনসিপি-এর নেতাদের পাশাপাশি খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর নামও রয়েছে।
দুদকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকা থেকে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগী হিসেবে খনিজ সম্পদ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিগত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করা চারজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বিজিবি-এর নাম উঠে এসেছে। সরকারি সংস্থা ও প্রশাসনের লোকজন ছাড়াও পাথর লুটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ, এনসিপিসহ ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্দেশে গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল সাদাপাথরে অভিযানে যায়। বুধবার (২০ আগস্ট) সেই প্রতিবেদন জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
দুদকের দল তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু পর্যটন সেবা এবং নদীর তীরেই বিজিবি ক্যাম্প টহল চালু থাকা সত্ত্বেও বিগত কয়েক মাসে কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইন্ধন ও সরাসরি সম্পৃক্ততায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে সরানো হয়েছে। পাথর আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি না থাকলেও গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে, বিশেষ করে গত ৩ মাস ধরে পাথর উত্তোলন চলতে থাকে। পর্যটন এলাকাটি সংরক্ষিত পরিবেশ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও ১৫ দিন আগে থেকে নির্বিচারে পাথর উত্তোলন ও আত্মসাৎ হয়েছে। প্রায় ৮০ ভাগ পাথর তুলে এলাকায় অসংখ্য গর্ত ও বালুচরে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীকে দায়ী করে বলা হয়, ৮ জুলাই তিনি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহণ শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছিলেন, ‘সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন?’ তার এই বক্তব্যটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হলে সাদাপাথর লুটপাটে ব্যাপক উৎসাহ জুগিয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সদিচ্ছার অভাব, অবহেলা ও ব্যর্থতা স্পষ্ট বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর লুটপাট ঠেকাতে তিনি সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে চরম ব্যর্থ হয়েছেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিলেও তিনি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বর্তমানে কর্মরত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চারজন ইউএনওকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাথরকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয়েছে। তারা হলেন আজিজুন্নাহার, মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায় ও আবিদা সুলতানা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনিসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ করে পাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে উত্তোলিত প্রতি ট্রাক পাথর থেকে ১০ হাজার টাকা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। যার মধ্যে পুলিশের জন্য ৫ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রশাসনের জন্য ৫ হাজার টাকা বণ্টন হতো।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বিজিবিকেও দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সাদাপাথর এলাকায় বিজিবির ৩টি পোস্ট থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি সদস্যদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীরা খুব সহজেই পাথর লুটপাট করতে পেরেছে। বিজিবি সদস্যরা প্রতি নৌকা থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দিত এবং পাথর উত্তোলনের সময় কোনো বাধা দিত না।
রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের নাম:
প্রতিবেদনে পাথর লুটে জড়িত হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন:
বিএনপি: সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজি কামাল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি লাল মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম ওরফে স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।
আওয়ামী লীগ: কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া এবং সাইদুর রহমান।
জামায়াত: সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফকরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।
এনসিপি: সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।
অন্যান্য: আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, মো. জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, আলমগীর আলম এবং মুকাররিম আহমেদ।
দুদকের প্রতিবেদনে নাম আসায় সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন সাহান প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগগুলোকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, তারা এর নিন্দা জানান।
/আশিক
আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন
সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে টঙ্গী–আশুলিয়া–ইপিজেড সড়কের জামগড়া সংলগ্ন পলমল গ্রুপের আয়েশা ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা পুরো ভবনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
শ্রমিকদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া
কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে দ্বিতীয় তলায় হঠাৎ ধোঁয়া দেখতে পান তারা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কারখানার গেট খুলে দিয়ে দ্রুত প্রায় ৪ হাজার ১০০ শ্রমিককে বের করে দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ১২টা ১৯ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ অভিযান শুরু করে। ডিইপিজেড ও জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটসহ মোট ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ক্ষয়ক্ষতি ও কারণ
জিরাবো ফায়ার স্টেশনের ডিউটি অফিসার সবুজ ইসলাম বলেন, “আগুন অনেক তীব্র হলেও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আসছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।”
ফায়ার সার্ভিস জোন–৪ এর উপপরিচালক আলাউদ্দিন বলেন, আগুনের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। এই অগ্নিকাণ্ড আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অগ্নিনির্বাপণ প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
নতুন পে স্কেলে বেতন কত বাড়তে পারে, জানাল কমিশন
আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে। এর জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
বেতন বৃদ্ধি ও গ্রেড পুনর্বিন্যাস
কমিশনের একজন সদস্য ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কমিশন মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখেই সুপারিশ প্রণয়ন করবে।
নতুন বেতন স্কেল (সম্ভাব্য): মূল বেতন দ্বিগুণ হলে ১ম গ্রেডে সর্বোচ্চ বেতন দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন হবে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।
গ্রেড অনুপাত: বর্তমানে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১। কমিশন এই অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে বহাল রাখার সুপারিশ করবে।
গ্রেড কমানো: কমিশন বর্তমানে থাকা ২০টি গ্রেড ভেঙে গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে বেতনের অনুপাতে সামঞ্জস্য আনার চিন্তাভাবনা করছে।
তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ স্পষ্ট জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করবে না। নতুন বেতন কাঠামো সরকারের মেয়াদের মধ্যেই গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রতিবেশী ভারতসহ অন্যান্য দেশে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর পর্যালোচনাও কাজ করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালের পে স্কেলে ১ম গ্রেডের মূল বেতন ১৯৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭৮ হাজার টাকা করা হয়েছিল এবং সর্বনিম্ন বেতন ২০১ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার ২৫০ টাকা করা হয়েছিল।
মতামত জানানোর সুযোগ
কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় বেতন কমিশন অনলাইনে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির কাছ থেকে মতামত গ্রহণ শুরু করেছে। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে এই প্রশ্নমালাগুলো পাওয়া যাবে।
ইসলামী ব্যাংকের কর্মীদের অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চাকরিচ্যুত ও ওএসডি (অন সার্ভিস ডিউটি) হওয়া কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। চাকরি পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন শুরু করেন শত শত কর্মকর্তা। এরপর পৌনে ১২টার দিকে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক অবরোধের কারণে দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, ফলে সাধারণ যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কর্মীদের অভিযোগ ও দাবি
আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রায় ৪০০ কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪ থেকে ৫ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কর্মস্থলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এর ফলে তারা পরিবার নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল, ওএসডি প্রত্যাহারসহ মোট ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি।”
অপর কর্মকর্তা মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে তাদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে, ফলে তারা বেতনের টাকাও তুলতে পারছেন না। এছাড়া আইডি কার্ড ব্লক করাসহ নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
১. চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে।
২. প্রহসনমূলক পরীক্ষা বয়কটের জন্য তাদের দেওয়া পানিশমেন্ট ট্রান্সফার অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৩. বৈষম্যহীন ও রাজনীতিমুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
৪. শর্ত আরোপ করে সব ধরনের অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট বন্ধ করতে হবে।
৫. চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের ওপর চালানো মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং পুনরায় কর্মস্থলে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
৬. পরীক্ষা বর্জনের জন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও সাইবার ক্রাইমে হয়রানিমূলক মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
মিরপুরে মেট্রোরেলের পিলারের কাছে যাত্রীবাহী বাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ
রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী আলিফ পরিবহনের একটি বাস লক্ষ্য করে গুলি এবং এরপর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে মেট্রোরেলের ২৬৬ নম্বর পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিবরণ
বাসের চালক, সহকারী ও যাত্রীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বাসটি সেনপাড়া এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি হাতের ইশারা দিয়ে বাসটিকে থামাতে বলে। বাস থামার পর দুষ্কৃতকারীরা চালক ও তার সহকারীকে পিটিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে বাস থেকে নেমে যান। এরপর বাসের সামনের গ্লাসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আভিযোগের তীর ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের দিকে
কারা এবং কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি এই বাস কোম্পানি থেকে কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। বাস মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্ষুব্ধ হয়ে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের একটি অংশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ বাস মালিকদের একটি মামলা করতে বলেছে।
লক্ষ্মীপুরে সাবেক এমপির পোড়া বাড়িতে আবারও অগ্নিসংযোগ
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের পোড়া বাড়িতে আবারও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলের দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেহমনী এলাকায় বিক্ষুব্ধ লোকজন এই আগুন দেয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন পাঁচতলা ওই বাড়িতে প্রথম আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ও পুলিশের অবস্থান
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ লোকজন উত্তর তেহমনী এলাকায় জড়ো হয়ে সাবেক সংসদ সদস্যের পরিত্যক্ত বাড়ির নিচতলার অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মেহেদী হাসান নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, “স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা যেখানে আছে, সেই সব বাড়িঘর ধ্বংস করা হবে। তারা যদি আবার ফিরে আসে, আমরা তাদের প্রতিহত করব। কাউকে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে না।”
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, “সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িটি ৪ আগস্টে পোড়ানো হয়েছিল, ফলে বাড়ির অবকাঠামোর অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত। আজ আবার সেখানে আগুন ধরানো হয়েছে।” তিনি জানান, পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শুরু করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ করছে।
চার দিনের অচলাবস্থা শেষে স্বাভাবিক হচ্ছে খাগড়াছড়ি
চার দিনের অবরোধের পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে। অবরোধ স্থগিতের পর বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে। তবে এখনো খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌরসভা এবং গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হলে ধাপে ধাপে এই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হবে।
অবরোধ স্থগিত ও স্বাভাবিকতা ফেরা
শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং প্রশাসনের আট দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা থেকে অবরোধকারী জুম্ম ছাত্র-জনতা তাদের অবরোধ স্থগিত করে।
অবরোধ স্থগিতের পর খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি ফেরা এবং আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি দেখা গেছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও চার দিন পর দোকানপাট খোলায় মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে এবং শহরের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাসান মারুফ বলেন, “১৪৪ ধারা জারি থাকলেও শারদীয় দুর্গোৎসবের কারণে আমরা মানুষের যাতায়াতকে বাধাগ্রস্ত করছি না। পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিগগিরই ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হতে পারে।” গুইমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে।
সহিংসতা ও তদন্ত
গত রোববার খাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪৪ ধারার মধ্যেই দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি যুবকের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর আগে স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সহিংসতার জেরে গুইমারার রামসু বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছিল।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন গুইমারা সহিংসতার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গেল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন এবং পরে সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ ঘণ্টা তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত যানচলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে সৃষ্টি হওয়া এই তীব্র যানজটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা। বিশেষ করে শিশু ও অসুস্থ রোগীরা বেশি বেকায়দায় পড়েছেন।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে ধীরে ধীরে গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
যানজটের কারণ ও পরিস্থিতি
জানা গেছে, বৃষ্টি এবং দড়িকান্দি এলাকায় একটি বড় গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এর ফলে মানুষের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে এবং অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
যানজটে আটকে থাকা যাত্রী রহমান আলী জানান, দীর্ঘ দুই ঘণ্টায় তিনি সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত পৌঁছেছেন। আরেক যাত্রী ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ঢাকা থেকে মোগরাপাড়া যেতেই তার প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।
পুলিশের বক্তব্য
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন জানান, দড়িকান্দি এলাকায় গাড়ি বিকল হওয়ার পাশাপাশি পূজা উপলক্ষে গাড়ির দ্বিগুণ চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমানে যানজট ছুটে গেছে এবং ধীরে ধীরে গাড়ি পারাপার হচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানীও জানান, বৃষ্টি ও গাড়ির বাড়তি চাপের কারণে যানজট সৃষ্টি হলেও এখন তা কেটে গেছে এবং পুলিশ সড়কে অবস্থান করছে।
আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহার হচ্ছে না: আইন উপদেষ্টা
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তার ভাষায়, “সংগঠন হিসেবে দলটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার পাওয়ার পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।”
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নগরের শঙ্কর মঠ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে নেই কোনো সম্ভাবনা
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন:
“প্রধান উপদেষ্টা যে মন্তব্য করেছেন, তা ছিল কেবল তাত্ত্বিক আলোচনা। আগামী নির্বাচনের আগে তো নয়ই, অদূর ভবিষ্যতেও এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
পূজা ও পাহাড়ে অস্থিরতা
আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন করছেন। অপশক্তি ষড়যন্ত্র করলেও সরকার সতর্ক ছিল। তিনি আরও জানান, পাহাড়কে অশান্ত করতে যারা তৎপর, তাদের বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা নেবে।
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি: সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু
চলতি বছরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এই মাসেই ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৬ জন। এমনকি বছরের একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডও হয়েছে এই মাসেই।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের এবং একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৫৬ জন রোগী। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মাসভিত্তিক ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে:
জানুয়ারি: ১০ জন, ফেব্রুয়ারি: ৩ জন, মার্চ: কোনো মৃত্যু নেই, এপ্রিল: ৭ জন, মে: ৩ জন, জুন: ১৯ জন, জুলাই: ৪১ জন, আগস্ট: ৩৯ জন, সেপ্টেম্বর: ৭৬ জন (সর্বোচ্চ)
হাসপাতালে ভর্তির চিত্র
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩৪২ জন রোগী। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। এছাড়া, চলতি বছর ৪৪ হাজার ৭৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
- নোবেল ঘিরে জল্পনা: কে জিতবেন এ বছরের সাহিত্যর মুকুট?
- “ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত”—তারেক রহমান
- দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
- সিঙ্গাপুরে প্রধান উপদেষ্টার দূতের ব্যস্ত সফর: বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন গতি
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
- বাবিলের অভিশাপ থেকে মায়ং-এর তন্ত্র: কালো জাদুর আদি ইতিহাস
- শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
- ৫০ বছরের সম্পর্ক: সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে ঐতিহাসিক চুক্তি সই
- বিসিবি নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা, পরিচালক পদে জয়ী যারা
- মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
- ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
- ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
- এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
- ভোট দিয়েছেন তামিম? ফল ঘোষণার আগে নিজের অবস্থান জানালেন
- এ সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটবে: গুম মামলা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরের ইঙ্গিত
- চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- আদালতে দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপ্রধান: তিন রাষ্ট্রের সাক্ষী ড. ইউনূসের অবিশ্বাস্য জীবনগাঁথা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ২ বছর: মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র
- আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন
- হংকং ম্যাচের আগে দেশে পৌঁছে যা বললেন হামজা
- নির্বাচনী আয়োজনে নতুন পদক্ষেপ, ভোটারদের বিশেষ অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে ইসি
- আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- চ্যাম্পিয়নের দুর্দিন: সেভিয়ার মাঠে ৪–১ গোলে হার বার্সেলোনার
- যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র চুক্তি: এক বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাবে ট্রাম্পের সম্মতি
- “যুদ্ধ চলতে পারে না আলোচনার সময়”— যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা ইসরায়েলকে
- আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ–মালদ্বীপ সম্পর্ক
- বিসিবি নির্বাচন আজ: নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহে নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা আমিনুল-বাহিনীর
- তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
- নতুন পে স্কেলে বেতন কত বাড়তে পারে, জানাল কমিশন
- ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত
- আধুনিক বিজ্ঞান ও কোরআনের আলোকে জিন: রহস্যময় অস্তিত্বের এক নতুন দিগন্ত!
- ‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি
- প্রবাসী আয়ে বড় চমক: সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স নিয়ে এল সুখবর
- ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিল মঙ্গলবারের লেনদেন
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?