ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ০৮:৫৫:০৩
ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
ছবিঃ সংগৃহীত

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনিকে তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘পল্টিবাজ’ আখ্যায়িত করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন, যা দ্রুতই নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দেয়।

জুলকারনাইন সায়ের লিখেছেন, মৃত মা-বাবাকে নিয়ে নোংরা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা অত্যন্ত অমানবিক এবং সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য কাজ। তার নজরে আসে, গোলাম মাওলা রনি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের মৃত মাকে নিয়ে অবমাননাকর একটি পোস্ট দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই পোস্টে রনি যে ছবি ব্যবহার করেছেন সেটি আসলে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মারিয়াম ওয়াহিদের ছবি। এভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করাকে তিনি একেবারেই নিন্দনীয় হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি রনির রাজনৈতিক অতীতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। জুলকারনাইন সায়ের উল্লেখ করেন, রনি একসময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। তখনও তিনি একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে গোলাম মাওলা রনি বহুল পরিচিত একজন ‘পল্টিবাজ’ নামেই খ্যাত।

তার পোস্টে আরও বলা হয়, রাজনীতিতে থাকলে সমালোচনা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ। কিন্তু সেই সমালোচনার জবাবে যদি কেউ মৃত মা-বাবাকে নিয়ে এত জঘন্য মন্তব্য করেন, তবে তা রাজনৈতিক নৈতিকতার চরম অবক্ষয়। তার ভাষায়, “আপনি যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, আপনাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই। কিন্তু সেই সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় মৃত ব্যক্তিকে টেনে এনে গালাগাল করা মানসিক দারিদ্র্যের পরিচায়ক। যদি সত্যিই এমন মনোভাব থাকে তবে রাজনীতি ছেড়ে নিষিদ্ধ পল্লীর তত্ত্বাবধায়ক ধাঁচের কোনো কাজ করা হয়তো আপনার জন্য বেশি উপযুক্ত।”

জুলকারনাইন সায়েরের এই বক্তব্য প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকেই তার বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের মৃত মা-বাবাকে টেনে আনা শুধু অনৈতিকই নয়, এটি একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত। ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকাটা স্বাভাবিক, কিন্তু মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে কটূক্তি করা কোনোভাবেই সভ্য সমাজের আচরণ হতে পারে না।

-রাফসান


শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৪:৫৭:৩২
শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শরিফ ওসমান হাদি এবং তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি নিজের প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি ঘোষণা দেন যে তাঁর এলাকার ৫০০০ শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় ইংরেজি শেখাবেন। তবে তাঁর এই জনহিতকর ঘোষণা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তুমুল সমালোচনাও শুরু হয়েছে।

বিশেষ করে সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন যে শিক্ষকের মুখের ভাষা এতো খারাপ সে জাতিকে কী শেখাবে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ফেসবুকে হাদির ফ্রিতে পড়ানোর ঘোষণার ভিডিওর একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে নীলা ইসরাফিল লিখেছেন যে শিক্ষকের মুখের ভাষাই এত নোংরা সে জাতিকে কী শেখাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে হাদির নিজে মানুষ হবার শিক্ষা নেই কিন্তু তিনি এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

নীলা ইসরাফিল দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেন দেশের ট্র্যাজেডি এখানেই যে অশিক্ষিত আচরণই যেখানে যোগ্যতার মাপকাঠি সেখানেই ক্ষমতার চাবি সবচেয়ে নোংরা হাতে চলে যায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সংসদে বসে নীতি ঠিক করবেন এমন ব্যক্তি যিনি নিজের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তিনি আরও যোগ করেন যে শিক্ষকতার মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে গালিগালাজকে পাঠ্যবই বানায় তার রাজনীতি যে কতটা নোংরা হবে তা হিসাব করার জন্য কারও গণিত জানার দরকার পড়ে না।


ঢাকায় লাশের মিছিল হতে পারত বলে ভূমিকম্প নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন আজহারী

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১০:০৪:৪৮
ঢাকায় লাশের মিছিল হতে পারত বলে ভূমিকম্প নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন আজহারী
ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে শুক্রবার ২১ নভেম্বর সকালে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। নরসিংদীর মাধবদী থেকে উৎপত্তি হওয়া কয়েক সেকেন্ডের সেই কম্পনে দিশেহারা হয়ে পড়েন নগরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন ও আত্মসমালোচনামূলক পোস্ট দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।

শুক্রবার রাতে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন ভূমিকম্পের সময় বিল্ডিং দুলে ওঠায় কয়েক মুহূর্তের জন্য তিনি একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং আতঙ্কে তাঁর বুক কেঁপে উঠেছিল। তিনি মনে করেন যদি আরও কয়েক সেকেন্ড জোরে ঝাঁকুনি হতো তবে ঢাকায় হয়তো লাশের মিছিল হতে পারত। তাঁর মতে তখন নিমেষেই গোটা শহর পরিণত হতো নিস্তব্ধ এক গোরস্থানে কিন্তু দয়াময় আল্লাহ এই যাত্রায় সবাইকে রক্ষা করেছেন।

মিজানুর রহমান আজহারী ঢাকার বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করে লেখেন এমন অপরিকল্পিত নগরী সারি সারি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং দুর্বল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আল্লাহর দয়া ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় নেই। তিনি মন্তব্য করেন যে এই দুর্যোগগুলো মানুষের জন্য গভীর সতর্কবার্তা। গোটা জনপদবাসীকে সামান্য এক ঝাঁকুনি দিয়ে আল্লাহ রিমাইন্ডার বা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এবং বোঝাতে চাচ্ছেন যে মানুষ যতই বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন করুক না কেন নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই। তিনি চাইলে যেকোনো মুহূর্তে সবাইকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারেন এবং তছনছ করে দিতে পারেন এই চোখ ধাঁধানো সভ্যতা।

কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। আসলে ভূমিকম্প মানুষের অহংকার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে আসে এবং মানুষের অক্ষমতা দেখিয়ে দিতে আসে। এটি প্রমাণ করে যে মহাশক্তিধর আল্লাহর সামনে মানুষ কতটা অসহায় ও নিরুপায়। জুমার দিনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন অনেকে অনেক পরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিল কিন্তু এখন তারা না ফেরার দেশে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন মৃত্যু জীবনের পরিকল্পনায় থাকে না অথচ মৃত্যুর নির্ধারিত সময় আসলে সব ব্যস্ততা শেষ হয়ে যাবে।

পোস্টের শেষ অংশে তিনি সবাইকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন কার মৃত্যু কখন কীভাবে আসবে সেটা কেউ জানে না তাই সবার উচিত তওবা করে রবের কাছে ফিরে আসা এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁর কাছে সমর্পিত হওয়া। সবশেষে তিনি সূরা আল ওয়াকিয়াহর ৪ থেকে ৬ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন আসল ভূমিকম্প তো সেটাই যখন জমিন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে আর পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।


এত অর্জন কোনো সরকার করতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন শফিকুল আলম

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৪:৪৫:২৬
এত অর্জন কোনো সরকার করতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন শফিকুল আলম
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত বেশি অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ মাসে করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবি জানান।

শফিকুল আলম তার পোস্টে এই সরকারকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন সমালোচনা ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, "অন্তর্বর্তী সরকার নামেই শুধু সরকার, আসলে এক প্রকার এনজিও-গ্রাম। অনেকের দৃষ্টিতে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল প্রশাসন—এতটাই দুর্বল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত এর সঙ্গে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি করতে আগ্রহী হয়নি।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই সরকারের নেতাদের প্রায়ই 'ভীত বা অদক্ষ' বলে মনে করা হয় এবং ৫০০ দিনে ১,৭০০টির বেশি বিক্ষোভের সময়েও তারা রাস্তাঘাটে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি লেখেন, "তারা যেন নতুন ও অদক্ষ, আইন পাস করতেও হিমশিম খাচ্ছেন, প্রয়োগ তো দূরের কথা। অন্তর্বর্তী সরকার বারবার তুলনামূলক ছোট বা অখ্যাত গোষ্ঠীর চাপের সামনে নতি স্বীকার করেছে।"

প্রেসসচিব আরও লেখেন, "গত ১৫ মাসে, এই সরকারকে অক্রিয়তা ও অযোগ্যতার অভিযোগে ঘিরে ফেলা হয়েছে। অনেকেই এটিকে ব্যঙ্গ করে বলেন, এটি এক ‘কিছু না করা, মাখন-খাওয়া দল’—যারা কাকতালীয়ভাবে ক্ষমতায় এসেছে, কিছুই করতে পারেনি, আর এখন অপমানজনক নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছে।"

এসব সমালোচনার জবাবে শফিকুল আলম তার পোস্টে লেখেন, "তবুও, পেছনে তাকিয়ে আমি দৃঢ়ভাবে বলি—এটি গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সরকারগুলোর একটি। তারা তাদের প্রায় সব লক্ষ্যই অর্জন করেছে।"

এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিপ্লব-পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলা থামানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি কোনো লবিং ফার্ম ভাড়া না করেই মার্কিন শুল্ক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

আইন পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, মাত্র ১৫ মাসে রেকর্ড সংখ্যক আইন পাস হয়েছে, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার আইনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি 'জুলাই ঘোষণা'কে একটি ঐতিহাসিক নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, 'জুলাই চার্টার' (July Charter) এমন এক রাজনৈতিক সমঝোতা তৈরি করেছে যা আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুনর্গঠন করতে পারে।

বিচার বিভাগের সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে কোনো সরকারের পক্ষে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামিন বা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অনেক কঠিন হবে।

অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক অর্জনের বিষয়ে শফিকুল আলম জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বন্দর অপারেটরের সঙ্গে লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের শিল্প রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বিনিয়োগ। নতুন পররাষ্ট্রনীতি কাঠামো বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে নিয়ে এসেছে।

তিনি আরও দাবি করেন, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে এবং পুনরায় প্রবৃদ্ধির পথে ফিরেছে। ব্যাংকিং খাতের লুটপাট রোধ করা হয়েছে, টাকার মান স্থিতিশীল এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশেষ করে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

জবাবদিহিতার বিষয়ে প্রেসসচিব বলেন, আদালতের কার্যক্রম অনুযায়ী, অতীতের নিপীড়নের জন্য জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা শুরু হয়েছে এবং "শেখ হাসিনাকে তার অবস্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, র‍্যাব এখন আইনের অধীনে পরিচালিত হয়, কোনো অনানুষ্ঠানিক মতবাদে নয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ভিন্নমতাবলম্বীদের হয়রানি করা থেকে সরে এসেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গত ১৬ মাসে একটিও সাজানো ‘ক্রসফায়ার’ ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

পোস্টের শেষে শফিকুল আলম লেখেন, "আমি আরো বলতে পারতাম... আমাদের ইতিহাসের এক আগ্রহী পাঠক হিসেবে আমার বিশ্বাস— বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত কিছু অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার (IG) এই ১৫ মাসে করেছে।"


আওয়ামী লীগের নাম মোছা যাচ্ছে না ভীতিই এখন মূল শক্তি: গোলাম মাওলা রনি

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৪:৪৮:২১
আওয়ামী লীগের নাম মোছা যাচ্ছে না ভীতিই এখন মূল শক্তি: গোলাম মাওলা রনি
ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিতে পারছে না। উল্টো গত ১৪ মাস ধরে প্রচারণার কারণে আওয়ামী লীগের নেতিবাচক দিক এবং শেখ হাসিনার ভীতি ক্রমশ বাড়ছে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি এই বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।

ভাইরাল হচ্ছে নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য

গোলাম মাওলা রনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো একজন নেতা বক্তব্য দিলেই তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে, যদিও সেই বক্তব্যের আগা বা মাথা নেই। তিনি উদাহরণ দেন:

"আমি নাম বললাম না, সেদিন দেখলাম যে আওয়ামী লীগের এক নেতা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন—মদ খেয়ে মদ খেয়ে পুরো মাতাল অবস্থায় তিনি থ্রেট দিচ্ছেন। ১৩ তারিখ এটা করবো ওটা করবো।"

তিনি সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বলেন, "অসুস্থ অবস্থায় তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেই বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তিনি সেখান থেকে হুমকি দিচ্ছেন ১৩ তারিখে এটা করবো, ওটা করবো। আর আমরা সবাই বাংলাদেশে বসে ভয় পাচ্ছি।"

শেখ হাসিনার পরিবর্তন ও কৌশল

রনি গত ১৪ মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার ধরনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন।

তিনি বলেন, প্রথম ছয়-সাত মাস শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যে কথাগুলো বলেছেন, তা ছিল তাঁর আবহমান বাংলার স্বাভাবিক চরিত্র।

"কিন্তু লক্ষ্য করুন, গত চার-পাঁচ মাস ধরে তিনি এখন আর যার তার সঙ্গে কথা বলছেন না। তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এখন তিনি অনেক পরিমার্জিত এবং তিনি সহজলভ্য নন।"

আওয়ামী লীগের মূল শক্তি এখন ত্রাস

গোলাম মাওলা রনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মধ্যে এখন একটি ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে এবং এই ভয়টাই এখন দলটির মূল শক্তি।

তিনি লগি বৈঠার মতো নিষ্ঠুরতা এবং প্রকাশ্য রাজপথে সাপের মতো মানুষ পিটিয়ে মারা এবং রামদা দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যার মতো ঘটনার উদাহরণ টেনেছেন।

তিনি বলেন, "এই ভয়টাই হলো আওয়ামী লীগের এখন মূল শক্তি। সে দূরবর্তী স্থান থেকে যত বেশি তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে পারবে, ততটাই তাদের সফলতা।"

রনি বিশ্লেষণ করেন, আদালতের রায়ের দিন যত এগিয়ে আসছে, নির্বাচন যত কাছাকাছি আসছে এবং নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে যত বেশি কথাবার্তা হচ্ছে, ততই আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক পলিসি হিসেবে ভীতি সঞ্চারকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, এই পলিসি ব্যবহার করে তারা বারবার বিজয়ী হয়েছে, কখনো পরাজিত হয়নি।


জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৪:৩৪:২৩
জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
ছবি: সংগৃহীত

৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত ও দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভারতের পদক্ষেপ। সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি দাবি করেছেন, ভারত এখন শেখ হাসিনাকে পুনরায় “বিশ্বদরবারে বৈধ নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করে বাংলাদেশে ফেরানোর একটি সুপরিকল্পিত নীলনকশা নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণমূলক আলোচনায় তিনি বলেন, “ভারত এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে প্রমোট করতে তাদের সর্বশক্তি এবং সব কূটনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করছে।”

রনির মতে, এই পরিকল্পনা হঠাৎ নেওয়া হয়নি, বরং এটি ভারতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কৌশলের ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক তিনটি আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকার রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট ও এএফপির সঙ্গে ছিল ভারতের সহযোগিতায় পরিচালিত এক ধরনের “ইমেজ রিহ্যাবিলিটেশন প্রচারণা”। রনি দাবি করেন, “বিবিসির তথ্য অনুযায়ী ভারতের কয়েকটি সূত্র এই সাক্ষাৎকার আয়োজনের পেছনে সরাসরি সহায়তা করেছে।” এর লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে “অন্যায়ভাবে অপসারিত, কিন্তু এখনও প্রভাবশালী নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করা এবং পশ্চিমা বিশ্বে তার রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা পুনর্নির্মাণ করা।

তার বিশ্লেষণে বলা হয়, শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থানকে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা “সফট লকডাউন” হিসেবে দেখছেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনা যতদিন ভারতে অবস্থান করছেন, দিল্লি সেই সময়টাকে ব্যবহার করছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মনোভাব বিশ্লেষণের জন্য। রনির ভাষায়, “ভারতের থিংকট্যাংকগুলো এখন পর্যবেক্ষণ করছে, বাংলাদেশে জনমত কেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সংগঠন কী অবস্থায় আছে, এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা কতটা প্রশমিত হয়েছে।”

রনি বলেন, ভারতের কাছে এখন দুটি বিষয় একেবারে পরিষ্কার প্রথমত, আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো “বন্ধু সরকার” তাদের নেই, এবং দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের ভেতরে শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্বও তারা খুঁজে পায়নি। এই উপলব্ধিই এখন ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের মূল ভিত্তি। তিনি আরও বলেন, গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মনোভাবেও বড় পরিবর্তন এসেছে। “জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে আওয়ামী লীগবিরোধী মনোভাব তীব্র হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে গিয়ে এখন অনেকটাই নিরপেক্ষ অবস্থায় এসেছে,” মন্তব্য করেন রনি। ভারতের নীতি নির্ধারকরা এটিকে ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন এবং সেই মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

রনি জানান, শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে ভারতের মধ্যস্থতায় পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বিবিসি ও অন্যান্য সূত্র অনুসারে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ইতোমধ্যেই তার সঙ্গে দেখা করেছেন। রনির মতে, এই সাক্ষাৎ ছিল ভারতের পরিকল্পিত “রাজনৈতিক পুনঃসংযোগ প্রক্রিয়ার” অংশ। তিনি বলেন, দিল্লিতে এখন নিয়মিতভাবে আওয়ামী লীগপন্থী প্রবাসী রাজনীতিক ও কূটনৈতিক মহল শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমনকি শেখ হাসিনা নিজেও প্রযুক্তিগত উপায়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন এবং ভারতে বসেই তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।

তার মতে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পুনরাগমনের জন্য ভারতের পরিকল্পনা শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক পুনর্গঠন কৌশলও অন্তর্ভুক্ত করছে। এ উদ্দেশ্যে আসন্ন মাসগুলোতে শেখ হাসিনা একাধিক মার্কিন ও ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন। রনি বলেন, “ভারত ও তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট নেটওয়ার্ক এই সাক্ষাৎকারগুলো সাজাচ্ছে, যাতে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিসরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।”

ভারতের এই উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দিল্লি প্রথমে নীরব ছিল, কিন্তু এখন তারা পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। রনি মনে করেন, ভারতের বর্তমান পদক্ষেপ শেখ হাসিনার প্রতি কেবল আনুগত্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার একটি প্রয়াস। তার ভাষায়, “ভারতের কাছে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যাদের সঙ্গে তারা দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বজায় রাখতে পারে।”

রনির মতে, যদি ভারতের এই নীলনকশা সফল হয়, তবে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক এক নতুন মোড়ে পৌঁছাতে পারে। এটি কেবল একজন নেত্রীর পুনরাগমন নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে একটি নতুন ভারসাম্য সৃষ্টি করবে। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন সহজ হবে না কারণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ এখনও অস্থির এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার বিরুদ্ধে নানা প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

সবশেষে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ভারতের এই তৎপরতা মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক বিনিয়োগ, যেখানে শেখ হাসিনাকে শুধু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নয়, বরং একটি “নীতিগত অংশীদার” হিসেবে পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা চলছে। তার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে যেখানে অভ্যন্তরীণ আন্দোলনের ফলাফল আন্তর্জাতিক পরিসরে পুনর্লিখিত হচ্ছে।

-রফিক


নির্বাচনের আগে গণভোটের প্রস্তাব নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক, মুখোমুখি ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পক্ষ

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ০৯:৩৭:৫৩
নির্বাচনের আগে গণভোটের প্রস্তাব নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক, মুখোমুখি ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পক্ষ
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে গণভোট আয়োজন করা হবে কি না—এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের অনুসারীদের পোস্ট করা ‘হ্যাঁ’ (পক্ষে) এবং ‘না’ (বিপক্ষে) লেখা স্ট্যাটাসে অনলাইন অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে।

বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর), যখন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের ১৮ দফা সুপারিশমালা জমা দেয়। ওই সুপারিশমালায় দলটি প্রস্তাব করে যে, ভোটারদের মতামত স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করার জন্য আগামী নভেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা উচিত।

তবে জামায়াতের এই প্রস্তাবের সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো। জানা গেছে, তারা ফেসবুকের মাধ্যমে 'না' লিখে প্রচারণা শুরু করেছে। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘না’ লিখে একটি পোস্ট দিলে সেই প্রচারণা আরও গতি পায়।

অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে গঠিত হওয়া অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণভোটের পক্ষে তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও 'হ্যাঁ' লিখে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত জানাতে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখা স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন।

এদিকে, গণভোটের পক্ষে নিজস্ব অবস্থান জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও। কমিশন তাদের সুপারিশে নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের 'জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশমালা' মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।

কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ সেদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, আজই (মঙ্গলবার) সব রাজনৈতিক দলের কাছে এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়—এমন বিষয়গুলো দ্রুত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ড. রীয়াজ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, কমিশন সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি বিষয়ে জনগণের মতামত জানার জন্য গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে।


মুফতি মুহিব্বুল্লাহর ‘পঞ্চগড় যাত্রা’: রহিমা মান্নানের নাটকের মতো আর এক অন্তর্ধান রহস্য

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১৪:১৩:১৬
মুফতি মুহিব্বুল্লাহর ‘পঞ্চগড় যাত্রা’: রহিমা মান্নানের নাটকের মতো আর এক অন্তর্ধান রহস্য
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া এই অদ্ভুত ও অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি তিন বছর আগের রহিমা মান্নানকে নিয়ে গুমের নাটকীয় ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।

মুফতির ‘অজানার পথে যাত্রা’

মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী তার অন্তর্ধানের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আমি হাঁটতে গেছি। হাঁটতে যাওয়ার পর আমার মাথায় এলো যে আমি চলতে থাকি, যাই। কোন দিকে যাই, বলতে পারি না।”

তার এই স্ব-ইচ্ছায় যাত্রার বিবরণ ছিল খুবই অসংলগ্ন:

“বাসে উঠে শ্যামলী না কোন জায়গায় যেন নামাইছে। এইখান থেকে আমি আরেকটা বাসে উঠে গাবতলী গেছি। ওইখান থেকে মনে চাইল যে আমি টিকিট করি। কই যাব, খেয়াল হইল যে আমি পঞ্চগড় যাই। অনেক রাতে পঞ্চগড় নামছি। নামার পরে হাঁটতেছিলাম, কোন দিকে হাঁটতেছি আমি জানি না চিনি না, হাঁটতেছিলাম।”

রহিমা মান্নানের নাটকের পুনরাবৃত্তি

মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর এই নাটকীয়তায় অনেকেই ২০২২ সালের রহিমা বেগম অপহরণ মামলার কথা স্মরণ করছেন।

পুরোনো ঘটনা: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নান তার মা রহিমা বেগমকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন এবং অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। রহিমা বেগম যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেদিন বিকেলে মেয়ে মরিয়ম মান্নান তাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছিলেন।

সাদৃশ্য: মরিয়ম মান্নানের সেই অতিনাটকীয়তা যেমন সন্দেহ তৈরি করেছিল, তেমনি মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর এই ‘কোথায় যাচ্ছি জানি না’ ধরনের অসংলগ্ন বক্তব্যও একই ধরনের প্রশ্ন ও ট্রোলের জন্ম দিয়েছে।


দিল্লির মাথা খারাপ হয়ে গেছে: বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বকে নিয়ে রনির মন্তব্য

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৭ ১৮:৩৮:৫৪
দিল্লির মাথা খারাপ হয়ে গেছে: বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বকে নিয়ে রনির মন্তব্য
ছবিঃ সংগৃহীত

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা যখন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তখন তার ‘সামরিক লাঠি’ নিজের পায়ের ওপর রেখেছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি এই ঘটনাকে “খুবই দৃষ্টিকটু” এবং “বাংলাদেশের জন্য অমর্যাদাকর” বলে মন্তব্য করেছেন।

প্রটোকল লঙ্ঘন ও সামরিক উদ্দেশ্য

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে গোলাম মাওলা রনি বলেন, “এটা কোনো প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না। কোনো অবস্থাতেই প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না।”

আন্তর্জাতিক নজির: তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এভাবে লাঠি নিয়ে কোনো সামরিক জেনারেল বিশ্বের অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। এটা কেন বাংলাদেশে ঘটল?”

পাক সেনার উদ্দেশ্য: এই বৈঠক সম্পর্কে গোলাম মাওলা রনি বলেন, পাকিস্তান এই মুহূর্তে তাদের সামরিক শক্তিকে পণ্য হিসেবে বিক্রি করতে চাচ্ছে, ভাড়া দিতে চাচ্ছে। তারা তাদের বিশাল সামরিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে চাচ্ছে।

দিল্লির মাথা খারাপ

গোলাম মাওলা রনি আরও মন্তব্য করেন, জেনারেলের এই ভঙ্গিমা আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে।

“পাকিস্তানের জেনারেল সাহেব লাঠি হাতে বাংলাদেশে আসার পর ড. ইউনূসের সামনে ওভাবে লাঠি হাতে বসার এই দৃশ্য দেখার পরে দিল্লির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের যে বন্ধুত্ব, এই বন্ধুত্বটাকে তারা একটা আঞ্চলিক থ্রেড হিসেবে মনে করছে।”

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জেনারেল মির্জা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১১:২৮:১০
সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে (রিপন ভিডিও) নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা। একদিকে রিপনকে নিয়ে টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মা-বাবার অভিযোগ, অন্যদিকে মায়ের কাছে গিয়ে কান্না করা রিপনের ভিডিও—দুই বিপরীত দৃশ্য একসঙ্গে নাড়া দিয়েছে পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে।

অভিযোগ ও সমালোচনার ঝড়

সম্প্রতি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে রিপনের মাকে বলতে শোনা যায়, “খুব কষ্ট করে মানুষ করছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, পরিচয় দিলে যদি ওর মান-ইজ্জত না থাকে!” প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রিপন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন এবং মা-বাবার খরচ বহন করেন না।

এই প্রতিবেদনের পরই স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই রিপনকে ‘অহংকারী’ এবং ‘অবজ্ঞাকারী সন্তান’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেন।

কান্নার ভিডিওতে নাটকীয় মোড়

তবে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে মোড় নেয় আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিপন মিয়া এবং মাও ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। রিপন মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়, “তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!”

ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হলে সমালোচনার সুর পাল্টে যায়। অনেকেই মন্তব্য করেন, “মা-ছেলের সম্পর্ক পবিত্র। এই সম্পর্ক নিয়ে বিচারের আগে ভাবা দরকার।”

রিপনের বক্তব্য

রিপন মিয়া জানান, “এই মুহূর্তে কথা বলার মানসিক অবস্থায় নেই। তবে খুব শিগগিরই সব প্রশ্নের উত্তর দেব।” তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখে এসেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। তবে যাঁরা আমার সরল মা–বাবাকে নিয়ে ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”

রিপন আরও অভিযোগ করেন, কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করেন।

নেত্রকোনার এক কাঠমিস্ত্রির ছেলে রিপন মিয়া ২০১৬ সালে ‘বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক’—এই ভিডিও দিয়ে প্রথম জনপ্রিয় হন। তবে রিপন মিয়াকে ঘিরে এই ঘটনার পর এক প্রশ্ন আবার সামনে চলে এসেছে—ভাইরাল সংবাদের আড়ালে সত্যটা কোথায়? মা-ছেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কের পরিপূর্ণ ছবি কি কখনো জানতে পারি?

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত