মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীর হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) কে পিটিয়ে, ইট-পাথর ছুঁড়ে এবং নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনাটি শুধু একটি নৃশংস হত্যা না, বরং এলাকার ব্যবসায়িক স্বার্থ ও চাঁদাবাজির এক ভয়াবহ সংকটের প্রতিফলন। হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরে জানা যায়, সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মহিন নামের এক চাঁদাবাজ গ্রুপের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। মহিন গ্রুপ মাসিক ফিক্সড চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে মিটফোর্ড এলাকা ও আশপাশের ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। সোহাগের দোকান ‘সোহানা মেটাল’ ছিল ভাঙারি ব্যবসার জন্য সুপরিচিত।
তবে সোহাগ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং মহিন গ্রুপের নির্দিষ্ট চাঁদার হার মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ কারণে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সাময়িক মিটমাট হয়, কিন্তু মহিন গ্রুপ সোহাগকে বাজার থেকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা শুরু করে।
৭ জুলাই সন্ধ্যায়, সোহাগ দোকানে আসার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সাতটি মোটরসাইকেলে প্রায় ১৯ জন হামলাকারী রজনী বোস লেনে প্রবেশ করে এবং সোহাগকে ধরে নিয়ে যেয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের গেটের সামনে নির্মমভাবে ইট-পাথর ও অন্যান্য কঠিন বস্তু দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর মৃতদেহ টেনে এনে গেটের বাইরে উল্লাস করা হয়, যা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
তদন্তে জানা গেছে, মহিন ও টিটন নামে দুই খুনির মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বও ছিল সোহাগের সঙ্গে। সোহাগ পুরোনো সময়ে তাদের মারধর করায় তাদের মধ্যে শত্রুতার সূত্রপাত হয়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে রাজনীতির প্রভাবও রয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের যুবদল ও অন্য গোষ্ঠীর লোকজন রয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে মিটফোর্ড এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভয়ে ভুগছেন। মহিন গ্রুপের মতো আরও কয়েকটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। গ্রেফতার হওয়া মহিন গ্রুপের অনুসারীরা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের কারণ। অনেক ব্যবসায়ী আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, মহিন গ্রুপের কেউ গ্রেফতার হলেও, অন্য গোষ্ঠীগুলো প্রতিশোধ নিতে পারে।
পুলিশ এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের মধ্যে একজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তদন্ত চলছে বাকি আসামিদের ধরতে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার জানিয়েছেন, ডিবি মামলাটি ছায়া তদন্ত করছে এবং দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ড দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সাথে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে, যাতে এই হত্যা মামলার তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠন করার দাবি করা হয়েছে, যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করা যায়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, হাসপাতালের সামনে এই ঘটনার সময় আনসার সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন না এবং তাদের পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা ঘটেনি।
স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক ও ব্যবসায়ীরা জানান, মহিন গ্রুপ মিটফোর্ডে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছ থেকে মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাঁদা নিত এবং যারা তাদের কথা না শুনত তাদের ওপর হামলা চালানো হত। অনেকেই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের ভয়ে ব্যবসায় নাম রাখা থেকে বিরত থাকছেন।
মোটের উপর, এই ঘটনা মিটফোর্ড এলাকা এবং পুরান ঢাকার অপরাধ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সমস্যা কতটা গভীর এবং জটিল তা প্রমাণ করে। সুষ্ঠু বিচার ও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া এ ধরনের নৃশংসতা বন্ধ হওয়া কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী সমাজ দ্রুত কার্যকর ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন, যাতে পুনরায় এমন অবস্থা সৃষ্টি না হয় এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
প্রিমিয়ার গ্রুপের প্রতিবাদ: ২৮৭ কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ভিত্তিহীন
দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেড সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, গ্রুপটির চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদের ২৮৭ কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বানচাল করেছে। প্রিমিয়ার গ্রুপ সংবাদটিকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া ও ভিত্তিহীন” আখ্যায়িত করে জানিয়েছে, এ ধরনের তথ্য প্রকাশ একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে অযথা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্ট করেছে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সঙ্গে নিয়ম-নীতি অনুসৃত ও স্বচ্ছ ঋণ সুবিধা বজায় রেখেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে প্রায় ২৮৭ কোটি টাকার পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে সুদের বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এসব পে-অর্ডার যথাসময়ে জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে তা সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাবে জমা করা হয়েছে। কোম্পানির দাবি, সংবাদে যে “৩০০টি চেক” প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর। এগুলো কোনো চেক ছিল না, বরং ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ পে-অর্ডার, যা ঋণ পরিশোধের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অসত্য।
প্রিমিয়ার গ্রুপের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের গ্রুপ সর্বদা সততা, স্বচ্ছতা এবং আইনসম্মত নীতিমালা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আমরা প্রকাশিত মিথ্যা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করছি এবং মিডিয়াকে আহ্বান জানাচ্ছি ভবিষ্যতে এমন সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্য যাচাই করতে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা সমাজ ও অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।”
প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, ভিত্তিহীন প্রতিবেদন কেবলমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের সুনামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রিমিয়ার গ্রুপ এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রিমিয়ার গ্রুপ নৈতিক ব্যবসা পরিচালনা, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং দেশের বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান মেনে চলার প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তারা দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
‘আমার বাবাকে কাকা-কাকাতো ভাই মেরে ফেলেছে’
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সামান্য ছাদের পানি পড়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে প্রাণ হারালেন আনন্দ ঘোষ (৪৫)। পারিবারিক কলহ থেকে শুরু হওয়া এ ঘটনা এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয়। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার উনশিয়া গ্রামের ঘোষবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত সুধীর ঘোষের ছেলে ও স্থানীয় ব্যবসায়ী আনন্দ ঘোষের সঙ্গে তাঁর তিন ভাই—গৌরাঙ্গ ঘোষ (৫২), কালা ঘোষ (৫০) ও যুগল ঘোষের (৩০) দীর্ঘদিন ধরে ছাদের পানি পড়া নিয়ে বিরোধ চলছিল। রোববার দিনের বৃষ্টির পর বিষয়টি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে রাতের বেলায় আনন্দ ঘোষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গৌরাঙ্গ, কালা ও যুগল ঘোষের সঙ্গে তাঁদের ভাতিজা নয়ন ঘোষ এবং সৌরভ ঘোষ লাঠি নিয়ে আনন্দ ঘোষকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবার ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত আনন্দ ঘোষের স্ত্রী মিতা ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, “দিনে বৃষ্টি হয়েছিল। ছাদ থেকে পানি পড়া নিয়ে রাতে আমার দেবর আর ভাসুররা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”
অন্যদিকে নিহতের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে অথৈ ঘোষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়, “আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি নার্স হই। আমারও স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। কিন্তু কাকা আর কাকাতো ভাইয়েরা মিলে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। এখন আমার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল।”
প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদার বলেন, বিষয়টি নতুন নয়। ছাদের পানি পড়াকে কেন্দ্র করে আগে একাধিকবার গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আনন্দ ঘোষের ভাইয়েরা কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি। শেষ পর্যন্ত সেই বিরোধ রক্তক্ষয়ী পরিণতি ডেকে আনল।
ঘটনার পর স্থানীয়রা গৌরাঙ্গ, কালা ও যুগল ঘোষের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
-রফিক
উন্নয়নের মুখোশ না মহা লুটপাট? শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৫ লাখ কোটি টাকার রহস্য
বাংলাদেশে একদিকে যখন পদ্মা সেতুর ঝলমলে আলো, মেট্রোরেলের আধুনিক গতি আর কর্ণফুলী টানেলের স্বপ্নকে উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছিল, তখন অন্যদিকে আড়ালে চলছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থলুণ্ঠন। ব্রিটিশ দৈনিক ফাইনান্সিয়াল টাইমস তাদের অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র “বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন: চোখের সামনেই চুরি”-তে যে চিত্র দেখিয়েছে, তা কেবল অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক ইতিহাসেরও এক অন্ধকার অধ্যায়।
২৩৪ বিলিয়ন ডলারের অদৃশ্য স্রোত
২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার করে পাচার হয়েছে—মোট প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ২৫ লাখ কোটি টাকার সমান। এই বিপুল অংক কেবল কল্পনাতেই নয়, বাস্তবেও জাতীয় অর্থনীতিকে দারিদ্র্য ও বৈষম্যের গভীরে ঠেলে দিয়েছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন দুর্নীতি নয়, বরং ছিল সুসংগঠিত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ডাকাতি।
পাচারের কৌশল: সিনেমার মতো নিখুঁত পরিকল্পনা
অর্থ পাচারের মূল কৌশল ছিল—
ওভার ইনভয়েসিং: আমদানির সময় পণ্যের দাম কাগজে বহুগুণ বেশি দেখানো। এক কোটি টাকার যন্ত্রপাতিকে দেখানো হতো পাঁচ কোটি টাকা, আর অতিরিক্ত চার কোটি টাকা বৈধভাবে বিদেশে চলে যেত।
আন্ডার ইনভয়েসিং: রপ্তানির ক্ষেত্রে ঘটত উল্টোটা। পাঁচ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করে দেখানো হতো মাত্র এক কোটি টাকা। চার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারীর অ্যাকাউন্টে থেকে যেত।
হুন্ডি নেটওয়ার্ক: ব্যাংকিং খাতকে দখল করে ভুয়া ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হতো। ইসলামী ব্যাংকের মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানও এই প্রহসন থেকে রক্ষা পায়নি। ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, পরে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর হয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের কাছে।
ব্যাংক লুট থেকে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য
এস আলম গ্রুপ একাই ভুয়া ঋণের মাধ্যমে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই টাকার বড় অংশ লন্ডনের রিয়েল এস্টেট বাজারে বিনিয়োগ করা হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে যুক্তরাজ্যে ৩০০টিরও বেশি সম্পত্তি পাওয়া গেছে, যার বেশিরভাগই এখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের জব্দ করা তালিকায়।
টিউলিপ সিদ্দিকীর ফ্ল্যাট থেকে বৈশ্বিক কেলেঙ্কারি
এই কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনার ভাগ্নি, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীর নামও উঠে এসেছে। মাত্র ২২ বছর বয়সে লন্ডনের কিংস ক্রসে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাওয়ার ঘটনা এবং পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রিত্ব হারানোর ঘটনা দেখায়, কীভাবে পরিবারতন্ত্র আন্তর্জাতিক রাজনীতির সাথে জড়িয়ে গেছে।
উন্নয়নের জোয়ারের আড়ালে লুণ্ঠনের স্রোত
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, কিংবা অন্যান্য বড় প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, সবই প্রমাণ করে উন্নয়নের নামে জাতিকে এক মরিচিকার আড়ালে আটকে রাখা হয়েছিল। উন্নয়নের ঢাকঢোলের আড়ালে এ যেন ছিল এক নির্লজ্জ মহালুটপাটের উৎসব।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থলুণ্ঠন
অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ভাষায়, “এটি সম্ভবত কোনো দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থলুণ্ঠন।” এই লুণ্ঠন কেবল অর্থনীতিকে নয়, রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তিকেও ধ্বংস করেছে। আর আজ প্রশ্ন উঠেছে—উন্নয়নের স্বপ্ন নাকি লুটপাটের অন্ধকার, কোনটি আসল উত্তরাধিকার?
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের অস্ত্র মামলায় নতুন মোড়
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী (৬১) এবং তার তিন সহযোগীর জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫–এর বিচারক সাইফুর রহমান মজুমদার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল।
আদালতে সুব্রত বাইনের পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান তার বিরোধিতা করেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে অভিযোগপত্রভুক্ত চার আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গত ১৩ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫–তে স্থানান্তর করা হয়। এ মামলায় সুব্রত বাইনের পাশাপাশি আরও তিনজন আসামি রয়েছেন আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ এবং আরাফাত ইবনে নাসির।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে হাতিরঝিল থেকে শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৮ মে হাতিরঝিল থানার এসআই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯১ সালে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হত্যার মাধ্যমে তার অপরাধ জগতে উত্থান ঘটে। ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে এবং তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে, সেখানে সুব্রত বাইন ছিলেন অন্যতম।
তিনি ঢাকার অপরাধ জগতের কুখ্যাত সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেলে ২০০৩ সালের দিকে তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং দীর্ঘদিন সেখানেই অবস্থান করেন।
-রাফসান
খুনের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধি: দেরিতে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিফলন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ মাসের অপরাধের চিত্র আজ প্রকাশ করেছে সরকার। এতে দেখা গেছে, এ সময়ে খুনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি মনে হলেও এর বড় অংশ আসলে পূর্ববর্তী ১৬ বছরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, যেগুলোর মামলা ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের’ পর দায়ের করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তত ১,১৩০টি খুনের মামলা, যা শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত হয়েছিল, সেগুলো দীর্ঘদিন গোপন রাখা হয় এবং পুলিশের নিরুৎসাহের কারণে মামলা করা যায়নি। কিন্তু শাসন পরিবর্তনের পর এসব মামলা আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৫ সালের অপরাধের বিভিন্ন সূচক কিছুটা উঁচু মনে হলেও এটি নতুন কোনো সহিংসতার ঢেউ নয়; বরং দেরিতে বিচারপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া। এখন সাধারণ নাগরিকরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ভয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন না, ফলে তারা অপরাধের মামলা করতে পারছেন নির্ভয়ে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির ঘটনা ২০২৪ সালের ১,৪০৫ থেকে ২০২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১,৩১৪-তে। তবে ২০২৩ সালের আগের সময়ের তুলনায় এটি এখনো বেশি। এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক হলো—পুলিশি হস্তক্ষেপমুক্ত পরিবেশে এখন সব ডাকাতির মামলা নিবন্ধিত হচ্ছে এবং নাগরিকরা আরও বেশি সচেতন হয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
এছাড়া, দ্রুত বিচার আইনে অপরাধের মামলা ২০২৪ সালের ১,২২৬ থেকে ২০২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫১-এ। একই সময়ে দাঙ্গা মামলার সংখ্যা ১২৫ থেকে কমে ৫৯-এ এবং চুরির মামলা ৮,৬৫২ থেকে নেমে এসেছে ৬,৩৫৪-এ।
প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “যদিও খুনের সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে, বাস্তবে এটি নতুন সহিংসতা নয়, বরং পূর্বের দমন করা মামলার প্রকাশ।” অনেক হত্যাকাণ্ডের মামলা এমনকি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পুরোনো সময়ের।
সরকারের দাবি, এখন ভুক্তভোগীরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভয় পাচ্ছেন না। পুলিশও আর মামলা নিতে বাধা দিচ্ছে না। ফলে খুনের মতো গুরুতর অপরাধের তথ্য সামনে আসছে, আবার সাধারণ অপরাধ যেমন চুরি, ডাকাতি ও দাঙ্গার ঘটনা কমছে।
এভাবে অপরাধের চিত্র নতুন বাস্তবতাকে তুলে ধরছে—একদিকে দেরিতে হলেও ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
-সুত্রঃবি এস এস
চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার
অনলাইনে ভুয়া চাকরির প্রলোভন এবং টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি, ঠাকুরগাঁও সীমান্তঘেঁষা একটি গ্রাম এবং দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে সমন্বিত অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো চক্রের মূলহোতা আকাশ (২২), রাশাদ (২৮) এবং তাদের সহযোগী আসাদ (৩০)। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এই প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে ভুয়া খণ্ডকালীন চাকরির প্রলোভন দিতো। পাশাপাশি টেলিগ্রাম অ্যাপে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে অল্প সময়ে কয়েকগুণ মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দেখাতো। তাদের টোপে পড়ে অনেকেই লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে, আর এর মাধ্যমেই চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সিআইডির ধারণা, এই চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও ছদ্মনামে নিবন্ধিত একাধিক সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ ঢাকার ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার সূত্র ধরেই এই অভিযানে চক্রের মূল সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।
-রফিক
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লাল বহিষ্কার, মালিবাগ হামলায় মামলা
রাজধানীর মালিবাগে বুধবার দিবাগত রাতে সোহাগ পরিবহনের মালিকের ভাইসহ অন্তত সাতজনকে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। হামলাকারীরা এ সময় সোহাগ পরিবহনের কার্যালয় ও মালিকের বাসায় ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাত ১১টা ৭ মিনিটে কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে কয়েকজন চাপাতি, ছুরি ও রড নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে কেউ কেউ হাততালি দিয়ে উল্লাস করছিলেন এবং পরে তারা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে কর্মচারীদের মারধর ও টিকিট বিক্রির অর্থ লুট করেন।
সোহাগ পরিবহনের মালিক মো. ফারুক তালুকদার বলেন, সেদিন রাতে একটি বাস কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে যাত্রীরা নামছিলেন। এ সময় দুই ব্যক্তি যাত্রী নামার পথেই ধূমপান করছিলেন। কর্মীরা তাঁদের সরে যেতে বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় ৫০ জন অস্ত্রধারী এসে হামলা চালায়। এতে তাঁর ভাই আলী হাসান তালুকদারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তিনি অভিযোগ করেন, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন।
ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন জানান, বিল্লালকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগ গ্রুপের নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. আল আমিন বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন। মামলায় বিল্লালসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ১৮-২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, হামলাকারীরা গ্যারেজ ও নিরাপত্তা কক্ষ ভাঙচুর করে এবং আলী হাসান তালুকদার, তাঁর চালক মাসুদ, কর্মী হাসান তপন, ফরহাদ হোসেন, নাইমুর রহমান আদিব ও মাসুদকে কুপিয়ে আহত করে। এছাড়া প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি করে এবং ১৭ হাজার ৫৭০ টাকা লুট করে নেয়।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ফারুক জানান, এজাহারভুক্ত আসামি পারভেজ এবং ভিডিও দেখে শনাক্তকৃত জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বিবৃতি দিয়ে এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
-রফিক
মেঘনায় রুদ্ধশ্বাস বন্দুকযুদ্ধ: অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে হামলা
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে সদ্য চালু হওয়া জামালপুর অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের ওপর নৌ ডাকাত দলের ভয়াবহ হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে পুলিশের সঙ্গে নৌ ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধ। এ সময় ডাকাতরা পুলিশ ক্যাম্পে একের পর এক গুলি ও ককটেল ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, তবে পাল্টা প্রতিরোধে পুলিশও গুলি চালায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উভয় পক্ষ মিলিয়ে শতাধিক গুলি বিনিময় হয়েছে।
আতঙ্কে নদীবেষ্টিত গ্রামাঞ্চল
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, বিকেলের দিকেই প্রচণ্ড গুলির শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। ঘর থেকে বের হয়ে তিনি দেখেন, পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় ট্রলারযোগে আসা ডাকাতরা পুলিশের দিকে গুলি চালাচ্ছে। এতে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সাধারণ মানুষ ভয়ে ঘরে অবস্থান করতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাত নয়ন, পিয়াস ও রিপনের নেতৃত্বে ৩০–৪০ জন সদস্য ট্রলার নিয়ে নদীতে মহড়া দিচ্ছিল। পুলিশ প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পেয়ে তারা প্রথমে আড়াল নেয়, পরে অস্ত্র, ককটেল ও হেলমেট পরে ক্যাম্পের ওপর সরাসরি হামলা চালায়।
পুলিশের প্রতিরোধ ও পাল্টা গুলি
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাতরা থানা থেকে লুট করা দেশি-বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ডাকাত দলের দিক থেকে প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, পুলিশও অন্তত ২০ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে ডাকাতরা মতলবের দিকে পালিয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। তবে ডাকাতদের কেউ আহত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
দীর্ঘদিনের সন্ত্রাসের ইতিহাস
স্থানীয়রা জানান, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও আশপাশের শাখা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালুমহাল দখল, নৌযানে চাঁদাবাজি ও প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনী। তাদের তাণ্ডবে গত এক বছরে বাবলা নামের এক প্রতিদ্বন্দ্বী ডাকাত নিহত হন, আর বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় আবদুল মান্নান ও হৃদয় আহমেদ নামে দুজন গ্রামবাসী গুলিতে প্রাণ হারান। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই গত শুক্রবার জামালপুর গ্রামে নতুন পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়।
পুলিশের বার্তা: ভয় নেই, সন্ত্রাসীরা দমন হবে
ঘটনার সময় ক্যাম্পে থাকা গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, ডাকাতরা সুসংগঠিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তবে পুলিশ পিছু হটেনি এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, ক্যাম্প চালুর পর নৌ ডাকাতরা আর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না। এ কারণেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার ভাষায়, “পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছে। ডাকাত–সন্ত্রাসীরা যতই শক্তিশালী হোক, তাদের নির্মূল করে গুয়াগাছিয়াকে অপরাধমুক্ত করা হবে।”
মানুষের আতঙ্ক ও ভবিষ্যৎ শঙ্কা
স্থানীয় অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ডাকাত বাহিনীর ভয়ে শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ছিল। পুলিশ ক্যাম্প চালুর পর ধীরে ধীরে মানুষ গ্রামে ফিরতে শুরু করে। কিন্তু হামলার ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, পুলিশকে আরও শক্তিশালী ও স্থায়ী ক্যাম্প গড়ে তুলতে হবে, নাহলে যে কোনো সময় ডাকাতরা আবারও ভয়াবহ হামলা চালাতে পারে।
থানায় ঢুকে এএসআইকে ছুরিকাঘাত, পরদিন মিলল যুবকের লাশ
গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় এক অজ্ঞাত যুবকের আচরণ ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) ছুরিকাঘাত করার পর পালিয়ে যাওয়া ওই যুবকের মরদেহ পরদিন সকালে কাছাকাছি বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে এক যুবক আচমকাই সাঘাটা থানার মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তখন ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল সেরাজুল ইসলামের কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বাধা দিতে গেলে এএসআই মহসিন আলীর ওপর ছুরি দিয়ে আক্রমণ চালান তিনি। এতে গুরুতর আহত হন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার পর হামলাকারী দৌঁড়ে থানার পাশের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেন এবং সেখানেই নিখোঁজ হয়ে যান।
রাতভর অভিযান চালানোর পর শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল কচুরিপানায় ঢাকা পুকুরের নিচ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। ধারণা করছি, মরদেহ কচুরিপানার নিচে আটকে ছিল।”
পরে মরদেহটি সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যুবকটি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মরদেহের পকেট থেকে গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি প্রবেশপত্র পাওয়া গেছে। সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, তার নাম সাজু মিয়া, পিতা দুলাল মিয়া ও মাতা রিক্তা বেগম। প্রবেশপত্রে থাকা ছবি ও তথ্য যাচাই করে পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।
এএসআই মহসিন আলীর আঘাত গুরুতর না হলেও তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন নাকি পূর্বপরিকল্পিত তা খতিয়ে দেখছে। পুরো ঘটনার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য বা উসকানি আছে কি না, সেটিও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠকের মতামত:
- ১৬ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
- নির্বাচিত হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করব: মির্জা ফখরুল
- জুলাই হত্যা মামলার আসামির মুক্তি: আদালত অঙ্গনে তোলপাড়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিস্মিত করেছে, দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
- জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি, ‘নাটকীয়তায় অংশ নয়’
- রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ নিয়ে জটিলতা: খসড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারকরা
- শিক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন: এইচএসসি পরীক্ষায় এত বড় ব্যর্থতার কারণ কী?
- ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
- খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
- সকালে ব্রাশ না করে পানি খেলে কী হয় শরীরের ভেতরে?
- ভারতের ৩টি কাশির সিরাপ নিয়ে WHO-এর বিশ্বব্যাপী সতর্কতা
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- দেশজুড়ে টাইফয়েড টিকাদান অভিযানে সাড়ে ৩৮ লাখ শিশুর টিকা সম্পন্ন
- নতুন মহামারির আশঙ্কা! জাপানে ফ্লু-এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব, রোগী বেড়েছে চারগুণ
- সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: নির্বাচনী সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
- ডিমেনশিয়া শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে নয়, বরং পা থেকে: স্নায়ু বিশেষজ্ঞের চমকপ্রদ তথ্য
- ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
- তিন গোয়েন্দা সিরিজের লেখক রকিব হাসান আর নেই
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল
- ১৫ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি