শিক্ষকের মুখোশে ধর্ষক: প্রলোভন দেখিয়ে চার কিশোরী ধর্ষণ,হাতে নাতে গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষককে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ—চাকরিচ্যুত হওয়ার পরও তিনি আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের তিন ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় এনে ধর্ষণ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ হাসিনুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি একসময় ইতালিতে ছিলেন। দেশে ফিরে দুই বছর আগে নারায়ণগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০২৩ সালের জুনে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন।

প্রলোভনের ফাঁদে আটকে ধর্ষণপুলিশ জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ে ভর্তি, পড়ালেখার খরচ বহন, ও আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে যান। ৬ জুন তিনি দুই ছাত্রীকে আলাদা কক্ষে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে ২৩ জুন আরেক শিক্ষার্থীকে ঢাকায় এনে একই কায়দায় ধর্ষণ করা হয়। ওই শিক্ষার্থী পালিয়ে গিয়ে পরিবারকে জানালে পুলিশে অভিযোগ করা হয় এবং মোহাম্মদপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অন্য দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

যোগ্যতা ছাড়াই স্কুলে নিয়োগ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়নারায়ণগঞ্জের বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, “ওই ব্যক্তি একটি আর্ট সংগঠনের মাধ্যমে স্কুলে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। আমরা পুলিশকে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করেছি।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান বলেন, অভিযুক্তের শিক্ষকতার যোগ্যতা ছিল না। তিনি আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। চার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা হয়েছে।