শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা: আসিফ নজরুল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৩ ১৬:৩১:০৩
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা: আসিফ নজরুল

রাজধানীর ঐতিহাসিক মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক নির্মম হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে (৩৯) দিনের বেলায় প্রকাশ্য রাস্তায় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই)। এর ভয়াবহ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ হয়ে মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও ফুটেজ দেখে দেশের সর্বস্তরের মানুষ গভীরভাবে হতবাক ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরাও। বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও মিছিল চলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। অনেকে এই ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে দলটির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন, এমনকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও সরব হন প্রতিবাদকারীরা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রতিক্রিয়াগুলোর অধিকাংশেই দাবি করা হয়, এ ধরনের সহিংসতার জন্য রাজনীতিক প্ররোচনা দায়ী।

এই ঘটনার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননার দৃশ্য। বিষয়টি নতুন করে বিতর্ক ও উত্তেজনার জন্ম দেয়। ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আসিফ নজরুল।

শনিবার (১২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে 'ব্যতিক্রমী সেক্টর কমান্ডার' শিরোনামে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তার পূর্বে লেখা একটি নিবন্ধ পুনরায় শেয়ার করে ড. আসিফ লেখেন, জিয়াউর রহমান সবসময়ই তার কাছে একজন সম্মানিত ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যখনই জিয়াউর রহমানকে ছোট করার কোনো প্রচেষ্টা দেখেছি, আমি প্রতিবাদস্বরূপ এই লেখাটি শেয়ার করেছি।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় নেই। তবু ভাবিনি, আবারও সেই লেখাটি দিতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ আমাকে বাধ্য করেছে।” তার এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয়, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইতিহাস, ব্যক্তিত্ব ও মতাদর্শের ব্যবহারে আরও সহনশীলতা প্রয়োজন।

রাজধানীর এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনে রাজনীতিক সংশ্লিষ্টতা, সেই সঙ্গে একটি জাতীয় নেতার প্রতি অবমাননার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ