“৩৬ জুলাই” বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে রাষ্ট্রীয় চেতনার নতুন সংযোজন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৩ ১৯:৪৮:০৭
 “৩৬ জুলাই” বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে রাষ্ট্রীয় চেতনার নতুন সংযোজন

বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে স্মৃতি, ইতিহাস ও গণচেতনাকে সম্মান জানিয়ে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই) ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে গণতান্ত্রিক বিজয় অর্জিত হয়েছিল, তার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় নির্মিত প্রথম স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করা হবে আগামী ১৪ জুলাই, বিকাল ৩টায়।

রোববার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার; পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া; সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এই স্মৃতিস্তম্ভ শুধু একটি স্থাপত্য নির্মাণ নয়, বরং তা একটি ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা, শহীদদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। জুলাই অভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা নয়, বরং তা ছিল গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায় ও মানবাধিকারের পুনর্জাগরণ যা এই স্মৃতিস্তম্ভের মাধ্যমে জাতির চেতনায় আরও গভীরভাবে প্রোথিত হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ রাষ্ট্রীয় স্তরে ঐতিহাসিক চেতনার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এটি ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যতের এক গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ। শহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণে এমন স্থায়ী প্রতীক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে। পাশাপাশি এটি সরকারের একটি রাজনৈতিক ও নৈতিক বার্তা যে বাংলাদেশ বৈষম্যহীন, সুবিচারভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের এই আয়োজনটি স্থানীয় জনগণ, তরুণ প্রজন্ম ও প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণে এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি হবে ইতিহাস, চেতনা ও ভবিষ্যতের একত্রে মিলনের একটি অনন্য প্রতীক।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ