মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যায় রিমান্ডে মুখ খুলছে আসামিরা, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০২৫ জুলাই ১৩ ১৮:৪০:৪৩
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যায় রিমান্ডে মুখ খুলছে আসামিরা, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজধানীর পুরান ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনেই ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ, যিনি মো. সোহাগ নামেও পরিচিত, তাঁকে প্রকাশ্য রাস্তায় পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই একে একে ধরা পড়ছে অভিযুক্তরা। সর্বশেষ এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এই আদেশ দেন। শুনানিতে কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আদালতে উপস্থিত হয়ে দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না, ফলে তারা নিজ উদ্যোগে কিছু বলার সুযোগ পাননি।

এর আগে এই মামলায় আরও কয়েকজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচ দিনের এবং ১২ জুলাই টিটন গাজীকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। একই ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনের মামলায় তারেক রহমান রবিনকে ১০ জুলাই দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং রিমান্ড শেষে ১২ জুলাই তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনের পাকা রাস্তায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সোহাগকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে তার মাথায় পাথর ছোড়া হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একইসঙ্গে পুলিশ আলাদাভাবে অস্ত্র আইনে মামলা করে।

ঘটনার নৃশংসতা এবং প্রকাশ্য রাস্তায় একজন ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যা করার বিষয়টি পুরান ঢাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ