ঢাবিতে নতুন দুই দিবস ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। জুলাই অভ্যুত্থানে নারী শিক্ষার্থীদের অনন্য সাহসিকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে তাদের সম্মিলিত ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দুইটি বিশেষ দিবস ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক আবেগঘন অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা দেন, প্রতি বছর ১৪ জুলাই ‘নারী শিক্ষার্থী দিবস’ এবং ১৭ জুলাই ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দুইটি দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হবে।
উপাচার্য বলেন, “নারীরা সেদিন যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সেটি কেবল তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ ছিল না তা ছিল এক ঐতিহাসিক নৈতিক অবস্থান। এই ঘোষণা সেই সাহসিকতার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা যখন সামরিক ও আধা-সামরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়, তখন তাদের এই আত্মত্যাগ ও দায়িত্ববোধকে অস্বীকার করা চলে না। এটি কেবল ইতিহাস নয়, আমাদের মূল্যবোধের মাপকাঠিও বটে।”
অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস এক ব্যতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক ও প্রামাণ্য আয়োজনের চিত্র হয়ে ওঠে। রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি চত্বর ও শামসুন্নাহার হলের সামনে স্থাপন করা হয় বড় পর্দার অডিও-ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে, যেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, নারীদের অংশগ্রহণ, পুলিশ-সেনা যৌথ দমননীতির চিত্র এবং শহীদদের স্মৃতি নিয়ে নির্মিত বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আয়োজন করা হয় স্মরণীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, গান, নাট্যাংশ এবং ড্রোন শো, যা হাজারো দর্শক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই আয়োজনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, যাতে সবাই নিঃসংশয়ে ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অংশ নিতে পারেন। নারী শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল আত্মমর্যাদার দীপ্তি, আর উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ছিল সম্মিলিত গর্ব।
বিশ্লেষকদের মতে, এই দুই দিবসের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি কেবল স্মরণ নয়, বরং শিক্ষা ও প্রেরণার এক নতুন ভিত্তি নির্মাণ করবে। নারী নেতৃত্ব, নৈতিক প্রতিবাদ ও গণতান্ত্রিক চেতনা এই তিনটি স্তম্ভকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী প্রজন্মকে সত্য ও সাহসের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার একটি শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানচর্চার নয়, বরং ন্যায়, প্রতিবাদ ও নৈতিক দৃঢ়তার কেন্দ্রও হতে পারে। ‘নারী শিক্ষার্থী দিবস’ এবং ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ কেবল স্মরণ দিবস নয়, বরং এগুলো হয়ে উঠবে ছাত্র রাজনীতির মানবিক ও মূল্যবোধনির্ভর নতুন ধারা প্রতিষ্ঠার সূচনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘোষণাকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও আন্দোলনের গবেষকরা দেখছেন একটি সময়োপযোগী এবং নৈতিকতার ভিত্তিতে গঠিত দৃষ্টান্ত হিসেবে, যা দেশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে নারী নেতৃত্ব ও গণতন্ত্রের চেতনাকে এগিয়ে নিতে।
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ: ঢাকা কলেজের ঘটনায় আজ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি
ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি ও হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশের সব সরকারি কলেজে আজ (মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর) কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তারা কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রার সময় এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘দালাল’ মন্তব্য করলে শিক্ষকরা তাকে কমনরুমে আটক করে রাখেন। পরে তার সহপাঠীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন ঘটনা শিক্ষাঙ্গনে ভয় ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
শিক্ষকদের দাবি ও কর্মসূচি
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এবং সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা এবং টিচার্স লাউঞ্জে ভাঙচুরের ঘটনায় সংগঠনটি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তাদের দাবি:
কর্মবিরতি: ঢাকাসহ দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আজ সর্বাত্মকভাবে কর্মবিরতি পালন করবেন।
বিচার ও শাস্তি: ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ করা হবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক সাবকমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
একযোগে ফল প্রকাশ
অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, ফল প্রকাশের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী ১৬ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ—এই ৯টি শিক্ষা বোর্ডসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল সেদিন সকাল ১০টায় একযোগে প্রকাশ করা হবে।
যেভাবে জানা যাবে ফলাফল
পরীক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি উপায়ে তাদের ফলাফল জানতে পারবে:
ওয়েবসাইট: পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানের জন্য: সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে।
এসএমএস: এছাড়া নির্ধারিত শর্ট কোড 16222-এ SMS করে ফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষা ও সাহিত্যের আলোকবর্তিকা নিভে গেল—চলে গেলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
বাংলাদেশের সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির আকাশে এক বিশাল নক্ষত্র নিভে গেল। দেশের প্রজ্ঞা ও মানবিকতার প্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, এক পুত্র, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য ছাত্রছাত্রী এবং অগণিত ভক্ত-গুণগ্রাহী।
তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে যেন শেষ হলো এক প্রজ্ঞাপূর্ণ যুগ—যেখানে জ্ঞানের সঙ্গে মানবিকতার, সাহিত্যের সঙ্গে যুক্তির, শিল্পের সঙ্গে সমাজবোধের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জীবন ও কর্মে।
৩ অক্টোবর সকালটা ছিল তাঁর জীবনের শেষ কর্মমুখর সকাল। ধানমন্ডি থেকে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যাচ্ছিলেন নিয়মিত ক্লাস নিতে। হঠাৎ গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চালক তাঁকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলামসহ তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা সেখানে ছুটে যান এবং তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকেরা জানান—তিনি ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’-এর শিকার হয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়।
তবে শনিবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অক্সিজেন লেভেল নেমে যায়, ফুসফুসে পানি জমে, অবশেষে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, পরিবার ও শিক্ষার্থীদের অগণিত প্রার্থনা সত্ত্বেও তিনি আর ফিরে আসেননি। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তাঁর মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে নেমে আসে গভীর শোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, কবি, শিল্পী, প্রকাশক, পাঠক—সবাই যেন একসঙ্গে নির্বাক হয়ে যান।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন,
“তিনি ছিলেন আধুনিক মননসম্পন্ন এক শিক্ষক, যিনি সাহিত্যের পাশাপাশি মানুষকে চিনতে শিখিয়েছেন। তাঁর কথায় ও লেখায় এক অদ্ভুত স্বচ্ছতা ও সত্যের সাহস ছিল।”
ল্যাবএইড হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ফখরুল আলম, কায়সার হক, কবি দিলারা হাফিজ, ফরিদ কবির, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, কথাসাহিত্যিক ও চিকিৎসক মোহিত কামাল, এবং আরও অনেকে। তাঁরা বললেন, “মনজুরুল ভাই ছিলেন আমাদের সাহিত্য-শিক্ষা মহলের প্রাণ। তাঁর চলে যাওয়া মানে এক শূন্যতার সূচনা।”
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু বলেন,
“অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর পর বেঙ্গলের বহু কাজে মনজুরুল ইসলাম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অপরিমেয় ক্ষতি।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে বারডেমের হিমঘরে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে তাঁর সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও ভক্তরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। বেলা ১১টায় মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ জানাবে শ্রদ্ধা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে—যেখানে ঘুমিয়ে আছেন তাঁরই মতো এই দেশের চিন্তার স্থপতিরা।
জীবনের পথ ও সাহিত্যকীর্তি
১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। অবসরের পরও তিনি একাডেমিয়া ছাড়েননি—ইউল্যাব-এ যোগ দেন নতুন প্রজন্মকে সাহিত্যের আলোয় গড়ে তুলতে।
তিনি বাংলা সাহিত্যে ‘জাদুবাস্তবতা’র এক নতুন ধারা প্রতিষ্ঠা করেন—যেখানে বাস্তবতার গণ্ডি পেরিয়ে মানবমনের গভীর স্তরগুলো উন্মোচিত হয় কল্পনা ও প্রতীকী বয়ানে। তাঁর ‘প্রেম ও প্রার্থনার গল্প’ বইটি ২০০৫ সালে প্রথম আলো বর্ষসেরা সৃজনশীল বইয়ের পুরস্কার পায়। ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। সাহিত্য, অনুবাদ, নন্দনতত্ত্ব ও প্রবন্ধচর্চায় তাঁর কাজ বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরিসরে এক নতুন পরিচিতি।
এক শিক্ষক, এক মানবিক আলোকস্তম্ভ
শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি ছিলেন শুধু শিক্ষক নন—এক প্রেরণা, এক মেন্টর, যিনি শেখাতেন চিন্তা করতে, প্রশ্ন করতে, সত্যকে ভালোবাসতে। ক্লাসরুমে তাঁর কণ্ঠে সাহিত্য মানে ছিল মানবতার পাঠ, আর জীবনের প্রতিটি ব্যাখ্যা একেকটি গল্প হয়ে ফুটে উঠত তাঁর ব্যাখ্যায়।
তিনি ছিলেন এক মানবিক বুদ্ধিজীবী—যিনি ক্ষমতার সামনে সত্য উচ্চারণে দ্বিধা করতেন না, কিন্তু কারও প্রতি ঘৃণাও পোষণ করতেন না। তাঁর জীবন ছিল এক আলোকিত যাত্রা—যেখানে সাহিত্য, শিক্ষা, সততা ও সৌন্দর্য মিশে ছিল একাকার।
বিদায় এক আলোকিত আত্মাকে
দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি মহল আজ শূন্য হয়ে গেল। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে গেছেন, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আলোকরেখা এখনো অনুপ্রেরণা হয়ে জ্বলে থাকবে প্রতিটি পাঠকের, প্রতিটি ছাত্রের, প্রতিটি মুক্তমনের হৃদয়ে।
তিনি ছিলেন শিক্ষক, চিন্তক, লেখক—সবচেয়ে বড় কথা, তিনি ছিলেন এক আলোকিত মানুষ।
হাঙ্গেরি: ইউরোপের হৃদয়ে উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার
বিদ্যা অর্জনের নির্দেশনা সীমাহীন, আর সেই সীমারেখা পেরিয়ে ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত হাঙ্গেরি এখন হয়ে উঠেছে বিশ্বের শিক্ষার্থীদের নতুন গন্তব্য। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অনন্য সংমিশ্রণ—এই দেশটি আজ ইউরোপের শিক্ষা ও গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। “দানিয়ুবের তীরে জ্ঞান ও ভবিষ্যতের শহর” হিসেবে পরিচিত বুদাপেস্টে শিক্ষা গ্রহণ মানে শুধুমাত্র একাডেমিক উৎকর্ষ নয়, বরং এক পরিপূর্ণ ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা অর্জন।
কেন হাঙ্গেরি পড়াশোনার জন্য বেছে নেবেন?
অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও ইউক্রেনের মাঝখানে অবস্থিত এই দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেন চুক্তিভুক্ত, ফলে শিক্ষার্থীরা একসাথে বহু দেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান। উন্নত মানের রিসার্চ সুবিধা, আন্তর্জাতিক কোর্স, এবং বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ হাঙ্গেরিকে তুলনামূলক কম খরচে উন্নত শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
বুদাপেস্ট বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর—শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার মানে এটি ইউরোপের শীর্ষ শহরগুলোর একটি। শিক্ষার পাশাপাশি সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন।
উচ্চশিক্ষায় যোগ্যতা ও ভাষাগত প্রয়োজনীয়তা
হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তি হতে HSC বা সমমানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। মাস্টার্সে ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পর্যায়ে মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে IELTS স্কোর ৫.৫–৬.৫ বা TOEFL ৭২–৯০ পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় Medium of Instruction (MOI) গ্রহণ করে, বিশেষত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কিছু কোর্সে Duolingo বা PTE স্কোরও বৈধ।
সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও জনপ্রিয় বিষয়সমূহ
হাঙ্গেরির বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- Eötvös Loránd University (ELTE)
- University of Szeged
- University of Debrecen
- Budapest University of Technology and Economics (BME)
- University of Pécs
- Corvinus University of Budapest
- Hungarian University of Agriculture and Life Sciences
এখানে তথ্যপ্রযুক্তি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল, স্থাপত্য, আইন, ব্যবসা ও অর্থনীতি, এবং মনোবিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
খরচ ও স্কলারশিপ সুবিধা
হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম—প্রতি বছর প্রায় €1,500 থেকে €5,000 পর্যন্ত। মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় €300–€600 এর মধ্যে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারি স্কলারশিপ হলো Stipendium Hungaricum, যা পুরো টিউশন ফি ছাড়, মাসিক স্টাইপেন্ড (HUF 43,700–180,000), বিনামূল্যে আবাসন বা আবাসন ভাতা, স্বাস্থ্যবীমা, এবং পরিবার নিয়ে থাকার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ও সরকারি গবেষণা বৃত্তিও পাওয়া যায়।
ভিসা প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির ভিসা আবেদন করা যায় ঢাকার VFS Global-এর মাধ্যমে। প্রয়োজন হবে:
- বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
- স্কলারশিপ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- স্বাস্থ্য বীমা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বৈধ পাসপোর্ট ও ছবি
ভিসা প্রক্রিয়া সাধারণত ৪–৫ সপ্তাহ সময় নেয়, এবং আবেদন ফি প্রায় ৫০ ইউরো।
পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ার ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
ডিগ্রি শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা ৯–১২ মাসের Job Search Visa পান, যার মাধ্যমে তারা ইউরোপজুড়ে চাকরির আবেদন করতে পারেন। চাকরি পেলে সহজেই Work Permit ও পরবর্তীতে Permanent Residence (PR)-এর জন্য আবেদন করা যায়। আইনত ৩ বছর বসবাসের পর National Permanent Residence Permit (NPRP) পাওয়া সম্ভব, যা ফ্রান্স, ইতালি বা পর্তুগালসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়।
জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট তার অসাধারণ স্থাপত্য, সেতু, আর্ট গ্যালারি ও দানিয়ুব নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এখানে নিরাপত্তা সূচক অত্যন্ত উচ্চ, ক্রাইম ইনডেক্স মাত্র ৩৩.৮—যা ইউরোপের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। শিক্ষার্থীরা চাইলে সংগীত, সংস্কৃতি, ও ভ্রমণের মাধ্যমে ইউরোপীয় জীবনধারার স্বাদ নিতে পারেন।
ইউরোপীয় স্বপ্নের দুয়ারে হাঙ্গেরি
যে দেশে তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায় উচ্চমানের শিক্ষা, যেখানে গবেষণা, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে গড়ে ওঠে সৃজনশীল ভবিষ্যৎ—সেই হাঙ্গেরি এখন শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের গন্তব্য। আপনি যদি বিশ্বমানের ডিগ্রি, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, ও ক্যারিয়ারের নতুন দিগন্ত খুঁজে থাকেন, তবে হাঙ্গেরিই হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত, দেখে নিন পরীক্ষার সময়সূচি
চলতি বছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রথম দিন ২১ ডিসেম্বর বাংলা, দ্বিতীয় দিন ২২ ডিসেম্বর ইংরেজি, তৃতীয় দিন ২৩ ডিসেম্বর গণিত এবং চতুর্থ দিন ২৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞান ও বিশ্বপরিচয়—এই দুটি বিষয়ের জন্য মোট ৩ ঘণ্টা সময় থাকবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য সময় দেওয়া হবে দেড় ঘণ্টা।
পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রবেশপত্র প্রতিষ্ঠান-প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করবে।
উত্তরপত্রের ওএমআর ফর্মে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বিষয় কোড সঠিকভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবেন না।
‘প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই’—সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে—প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া।
আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি (ACCGP) এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি (ACCEA)-র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা জানান।
ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কিছু শ্রেণির বই মুদ্রণের জন্য ইতিমধ্যেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা প্রাপ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা খতিয়ে দেখছি, যেন কোনো স্কুল একাধিক বরাদ্দ না পায় বা অতীতে যেসব অনিয়মের অভিযোগ ছিল তা পুনরাবৃত্তি না হয়।”
তিনি জানান, সরকার চায় যেসব প্রতিষ্ঠান অতীতে নিয়মিতভাবে বই পেয়েছে তারা যেন এবারও পায়। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বই নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “আমরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করব। আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার—১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে হবে।”
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘোষণা শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। কারণ সময়মতো বই হাতে পাওয়া গেলে শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে শুরু করা সম্ভব হবে।
-আলমগীর হোসেন
হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ভাইভা বা প্রেজেন্টেশনের মতো একাডেমিক কার্যক্রমে নারী শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য না করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নারী শিক্ষিকারা শনাক্ত করবেন পরিচয়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত ভাইভা, প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য নারী শিক্ষিকাদের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা বা শিক্ষার্থীদের বিদ্রুপ, ট্যাগিং বা বৈষম্যের শিকার না করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সারা দেশে হিজাব ও নিকাব পরা শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেছিল:
১. ছাত্রীদের শনাক্তকরণের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা।
২. বায়োমেট্রিক চালু না হওয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষিকাদের মাধ্যমে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা।
৩. হিজাব বা নিকাব খুলতে বাধ্য না করা এবং কোনো ধরনের বুলিং বা ট্যাগিং না করা।
শিক্ষার্থীদের এই দাবির প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাকসু নির্বাচনে শিবিরের দাপট, ভিপি পদে স্বতন্ত্রের চমক!
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বড় ধরনের চমক দেখিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’। মোট ২৫টি পদে তারা ২০টিতে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত মাজহারুল ইসলাম। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সিনেট কক্ষে নির্বাচন কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
ভিপি পদে জয়ী আব্দুর রশিদ জিতু বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তিনি এর আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি মোট ৩,৩৩৪ ভোট পান, যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্রার্থী আরিফ উল্লাহর (২,৩৯২ ভোট) চেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে বেশি। অপরদিকে জিএস পদে ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ৩,৯৩০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১,২৩৮ ভোট।
শীর্ষ দুই পদের বাইরে শিবিরপন্থী প্যানেলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে। এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, পরিবেশ সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, নাট্য সম্পাদক, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদকসহ একাধিক পদে তাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যকরী সদস্য পদেও তাদের প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভোটে জয়ী হয়েছেন।
তবে সব পদেই শিবিরের দাপট দেখা যায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ক্রীড়া সম্পাদক এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছে। এই বৈচিত্র্যময় ফলাফলে ছাত্র রাজনীতির নানা প্রেক্ষাপট প্রতিফলিত হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে শিবিরপন্থী প্যানেলই প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছে।
১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৫৯ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে ছয়জন নারী।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেছেন, প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহের প্রমাণ বহন করে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার প্রত্যাশা রয়েছে। যদিও ভোট গ্রহণের আগে কিছু অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ও আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠন নির্বাচন বর্জন করেছিল, তবুও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন হওয়াটাই একটি বড় অর্জন বলে মনে করেন কমিশন।
জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনার সময় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় গণনার কক্ষের সামনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস (৩১)। দ্রুত তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত্যুর ঘোষণা দেন।
দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনা
জান্নাতুল ফেরদৌস জাকসু নির্বাচনে প্রীতিলতা হলের পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বাসায় ফেরার পর শুক্রবার সকালে তিনি আবারও ভোট গণনার কাজে যোগ দিতে আসেন। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে সিনেট ভবনে পৌঁছে ভোট গণনার কক্ষের দরজার সামনেই হঠাৎ পড়ে যান তিনি।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি শামীম রেজা জানান, তিনি নিজে প্রীতিলতা হলে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন। জান্নাতুল গণনার কাজের জন্য এসেছিলেন তাঁর আহ্বানে। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সবাই হতবাক হয়ে পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ভোটগ্রহণের দিন রাতভর কর্মব্যস্ততার কারণে সব হলে একসঙ্গে গণনা করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে প্রীতিলতা হলের গণনা চলছিল। সে সময়েই এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “আমাদের সবাই শোকে আচ্ছন্ন। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
পরিবেশে শোকের ছায়া
জান্নাতুল ফেরদৌসের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সিনেট ভবনের গণনাকক্ষে শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কমিশনার রেজোয়ানা করিম স্নিগ্ধা মাইকে উপস্থিত সবার কাছে মরহুম শিক্ষকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করার আহ্বান জানান এবং জানান, প্রীতিলতা হলের ভোট গণনা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় এক তরুণ শিক্ষকের মৃত্যু পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়কে গভীর শোকে নিমজ্জিত করেছে। সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- ‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
- একনজরে দেখে নিন টিভিতে আজকের খেলার সূচি
- ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৭০০ বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনে আনন্দ
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ
- শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ: ঢাকা কলেজের ঘটনায় আজ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি
- ১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার: নামাজের সময়সূচি
- সকালের শুরুতে কেন বাদাম খাবেন? জেনে নিন ৫টি স্বাস্থ্যকর কারণ
- দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রীর সঙ্গে থাকা জায়েজ? জেনে নিন শরীয়তের বিধান
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড
- ফ্যাসিস্টের দোসর সালাহউদ্দিন পেলেন দেশ ছাড়ার অনুমতি
- খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে ফোরামে ড. ইউনূসের ৬ প্রস্তাব
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- প্রস্রাবে ফেনা কেন হয়? কখন বুঝবেন এটি কিডনি রোগের সংকেত?
- ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার : ড. ইউনূস
- পূর্বের আটলান্টিস: চীনের সেই ডুবো শহর যেখানে সময় থেমে আছে!
- রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
- পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ঢাকা কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনা: এবার সব সরকারি কলেজে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত: কক্সবাজার বিমানবন্দর পেল আন্তর্জাতিক মর্যাদা
- হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
- মৃত্যু যখন সুন্দরের প্রতীক: ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়
- ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
- অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- হংকং ম্যাচের আগে ভোগান্তি বাংলাদেশের: বাফুফের ‘অদূরদর্শিতায়’ বাড়তি চাপ
- অতিরিক্ত সিম নিয়ে বিটিআরসির জরুরি বার্তা: কী করতে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে?
- মুক্তির পথে ফিলিস্তিনি বন্দীরা: প্রথম বাসটি পৌঁছাল গাজায়
- ৪ দফা দাবি নিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধারা সচিবালয়ে
- সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার: প্রজ্ঞাপন জারি
- চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
- ৭৩৮ দিন পর মুক্ত: হামাস ১৩ জন জিম্মিকে তুলে দিল রেডক্রসের হাতে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামাসের বন্দি মুক্তিতে উল্লাস ইসরায়েলে, শান্তির ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যে
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- এএফসি বাছাইয়ে আজ জর্ডানের মুখোমুখি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- ‘আর ফেরার উপায় নেই’: জলবায়ু সংকটে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম বিপন্ন
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ পদক্ষেপ: জুলাই সনদ ও নির্বাচন একই দিনে করার প্রস্তুতি
- মেক্সিকোর পাহাড়ি জনপদে ভয়াবহ বন্যা: মৃত্যু ৪৭, নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার
- ট্রাম্প: ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইহুদি-মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!
- সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার
- গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
- জুলাই বিপ্লবের চেতনা: ওসমানী উদ্যানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বাজেট নিয়ে বিতর্ক
- ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
- দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প