দেশের সব বোর্ডে মিলিয়ে ফেল করেছে যতজন শিক্ষার্থী

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন ছেলে এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন মেয়ে। এই তথ্য বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির বলেন, চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গত কয়েক বছরের তুলনায় কিছুটা উদ্বেগজনক। মোট পরীক্ষার্থীর তুলনায় ফেলের হার উদ্বেগজনক হলেও শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য এটি এক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা গত ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হয়। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা কম। তবে পরীক্ষায় ফেলের সংখ্যার এই পরিসংখ্যান শিক্ষাবোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির জানান, ফলাফল বিশ্লেষণ করে বোর্ডগুলো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যাতে শিক্ষার্থীদের শূন্যস্থান পূরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নয়নে বাড়তি সহায়তা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করাই এখন প্রধান দায়িত্ব।”
এছাড়া, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেও ফেলের হার যথেষ্ট উচ্চতর। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষামূলক মান উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, আধুনিক পাঠ্যক্রম গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি বেশি মনোযোগ দেয়া গেলে ভবিষ্যতে এই হার কমে আসবে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করেন।
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ঢাকার সঙ্গে সমন্বয়ে দেশের অন্যান্য বোর্ডেও একযোগে প্রকাশিত হয়। এতে ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সহায়ক প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পুনরুদ্ধার ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রোত্সাহনে।
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫৮.৮৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় একযোগে অনলাইনে এবং স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্র সংখ্যা
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। সারা দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বোর্ডগুলো: ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, রাজশাহীতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০ জন এবং চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৫ জন।
অন্যান্য বোর্ড: মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।
শিক্ষার্থীরা কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানতে পারবে:
১. ওয়েবসাইট: সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করতে পারবে। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ড এবং সমন্বিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে।
২. এসএমএস: নির্ধারিত শর্ট কোড 16222 নম্বরে SMS করেও ফল জানা যাবে। এর জন্য মোবাইলে লিখতে হবে: HSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> 2025।
আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল
আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় প্রকাশিত হচ্ছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। সোমবার প্রকাশিত এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ—এই নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল একযোগে প্রকাশ করা হবে।
ফলাফল সকাল ১০টার পর থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, সব পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের EIIN নম্বর ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের ফলাফল বিভাগ থেকে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে: www.educationboardresults.gov.bd
পরীক্ষার্থীরাও একই ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ফলাফল জানতে পারবেন। এছাড়া, নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত নম্বর ১৬২২২-এ এসএমএস পাঠিয়েও ফলাফল পাওয়া যাবে।
ফল পুনঃনিরীক্ষার (Re-scrutiny) আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এই আবেদন অনলাইনে করা যাবে https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ঠিকানায়।
চলতি বছর মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন পুরুষ ও ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন নারী পরীক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া, আলিম (মাদ্রাসা) বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অংশ নেয় ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।
দেশের ২,৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, আর দেশের বাইরে আটটি কেন্দ্রে ২৯৩ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফল প্রকাশের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করা হবে। এরপরই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এবং মোবাইল বার্তার মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবে।
-নাজমুল হাসান
শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ: ঢাকা কলেজের ঘটনায় আজ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি
ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি ও হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশের সব সরকারি কলেজে আজ (মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর) কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তারা কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রার সময় এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘দালাল’ মন্তব্য করলে শিক্ষকরা তাকে কমনরুমে আটক করে রাখেন। পরে তার সহপাঠীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন ঘটনা শিক্ষাঙ্গনে ভয় ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
শিক্ষকদের দাবি ও কর্মসূচি
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এবং সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা এবং টিচার্স লাউঞ্জে ভাঙচুরের ঘটনায় সংগঠনটি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তাদের দাবি:
কর্মবিরতি: ঢাকাসহ দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আজ সর্বাত্মকভাবে কর্মবিরতি পালন করবেন।
বিচার ও শাস্তি: ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ করা হবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক সাবকমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
একযোগে ফল প্রকাশ
অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, ফল প্রকাশের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী ১৬ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ—এই ৯টি শিক্ষা বোর্ডসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল সেদিন সকাল ১০টায় একযোগে প্রকাশ করা হবে।
যেভাবে জানা যাবে ফলাফল
পরীক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি উপায়ে তাদের ফলাফল জানতে পারবে:
ওয়েবসাইট: পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানের জন্য: সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে।
এসএমএস: এছাড়া নির্ধারিত শর্ট কোড 16222-এ SMS করে ফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষা ও সাহিত্যের আলোকবর্তিকা নিভে গেল—চলে গেলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
বাংলাদেশের সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির আকাশে এক বিশাল নক্ষত্র নিভে গেল। দেশের প্রজ্ঞা ও মানবিকতার প্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, এক পুত্র, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য ছাত্রছাত্রী এবং অগণিত ভক্ত-গুণগ্রাহী।
তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে যেন শেষ হলো এক প্রজ্ঞাপূর্ণ যুগ—যেখানে জ্ঞানের সঙ্গে মানবিকতার, সাহিত্যের সঙ্গে যুক্তির, শিল্পের সঙ্গে সমাজবোধের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জীবন ও কর্মে।
৩ অক্টোবর সকালটা ছিল তাঁর জীবনের শেষ কর্মমুখর সকাল। ধানমন্ডি থেকে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যাচ্ছিলেন নিয়মিত ক্লাস নিতে। হঠাৎ গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চালক তাঁকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলামসহ তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা সেখানে ছুটে যান এবং তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকেরা জানান—তিনি ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’-এর শিকার হয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়।
তবে শনিবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অক্সিজেন লেভেল নেমে যায়, ফুসফুসে পানি জমে, অবশেষে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, পরিবার ও শিক্ষার্থীদের অগণিত প্রার্থনা সত্ত্বেও তিনি আর ফিরে আসেননি। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তাঁর মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে নেমে আসে গভীর শোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, কবি, শিল্পী, প্রকাশক, পাঠক—সবাই যেন একসঙ্গে নির্বাক হয়ে যান।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন,
“তিনি ছিলেন আধুনিক মননসম্পন্ন এক শিক্ষক, যিনি সাহিত্যের পাশাপাশি মানুষকে চিনতে শিখিয়েছেন। তাঁর কথায় ও লেখায় এক অদ্ভুত স্বচ্ছতা ও সত্যের সাহস ছিল।”
ল্যাবএইড হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ফখরুল আলম, কায়সার হক, কবি দিলারা হাফিজ, ফরিদ কবির, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, কথাসাহিত্যিক ও চিকিৎসক মোহিত কামাল, এবং আরও অনেকে। তাঁরা বললেন, “মনজুরুল ভাই ছিলেন আমাদের সাহিত্য-শিক্ষা মহলের প্রাণ। তাঁর চলে যাওয়া মানে এক শূন্যতার সূচনা।”
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু বলেন,
“অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর পর বেঙ্গলের বহু কাজে মনজুরুল ইসলাম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অপরিমেয় ক্ষতি।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে বারডেমের হিমঘরে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে তাঁর সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও ভক্তরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। বেলা ১১টায় মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ জানাবে শ্রদ্ধা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে—যেখানে ঘুমিয়ে আছেন তাঁরই মতো এই দেশের চিন্তার স্থপতিরা।
জীবনের পথ ও সাহিত্যকীর্তি
১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। অবসরের পরও তিনি একাডেমিয়া ছাড়েননি—ইউল্যাব-এ যোগ দেন নতুন প্রজন্মকে সাহিত্যের আলোয় গড়ে তুলতে।
তিনি বাংলা সাহিত্যে ‘জাদুবাস্তবতা’র এক নতুন ধারা প্রতিষ্ঠা করেন—যেখানে বাস্তবতার গণ্ডি পেরিয়ে মানবমনের গভীর স্তরগুলো উন্মোচিত হয় কল্পনা ও প্রতীকী বয়ানে। তাঁর ‘প্রেম ও প্রার্থনার গল্প’ বইটি ২০০৫ সালে প্রথম আলো বর্ষসেরা সৃজনশীল বইয়ের পুরস্কার পায়। ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। সাহিত্য, অনুবাদ, নন্দনতত্ত্ব ও প্রবন্ধচর্চায় তাঁর কাজ বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরিসরে এক নতুন পরিচিতি।
এক শিক্ষক, এক মানবিক আলোকস্তম্ভ
শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি ছিলেন শুধু শিক্ষক নন—এক প্রেরণা, এক মেন্টর, যিনি শেখাতেন চিন্তা করতে, প্রশ্ন করতে, সত্যকে ভালোবাসতে। ক্লাসরুমে তাঁর কণ্ঠে সাহিত্য মানে ছিল মানবতার পাঠ, আর জীবনের প্রতিটি ব্যাখ্যা একেকটি গল্প হয়ে ফুটে উঠত তাঁর ব্যাখ্যায়।
তিনি ছিলেন এক মানবিক বুদ্ধিজীবী—যিনি ক্ষমতার সামনে সত্য উচ্চারণে দ্বিধা করতেন না, কিন্তু কারও প্রতি ঘৃণাও পোষণ করতেন না। তাঁর জীবন ছিল এক আলোকিত যাত্রা—যেখানে সাহিত্য, শিক্ষা, সততা ও সৌন্দর্য মিশে ছিল একাকার।
বিদায় এক আলোকিত আত্মাকে
দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি মহল আজ শূন্য হয়ে গেল। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে গেছেন, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আলোকরেখা এখনো অনুপ্রেরণা হয়ে জ্বলে থাকবে প্রতিটি পাঠকের, প্রতিটি ছাত্রের, প্রতিটি মুক্তমনের হৃদয়ে।
তিনি ছিলেন শিক্ষক, চিন্তক, লেখক—সবচেয়ে বড় কথা, তিনি ছিলেন এক আলোকিত মানুষ।
হাঙ্গেরি: ইউরোপের হৃদয়ে উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার
বিদ্যা অর্জনের নির্দেশনা সীমাহীন, আর সেই সীমারেখা পেরিয়ে ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত হাঙ্গেরি এখন হয়ে উঠেছে বিশ্বের শিক্ষার্থীদের নতুন গন্তব্য। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অনন্য সংমিশ্রণ—এই দেশটি আজ ইউরোপের শিক্ষা ও গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। “দানিয়ুবের তীরে জ্ঞান ও ভবিষ্যতের শহর” হিসেবে পরিচিত বুদাপেস্টে শিক্ষা গ্রহণ মানে শুধুমাত্র একাডেমিক উৎকর্ষ নয়, বরং এক পরিপূর্ণ ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা অর্জন।
কেন হাঙ্গেরি পড়াশোনার জন্য বেছে নেবেন?
অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও ইউক্রেনের মাঝখানে অবস্থিত এই দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেন চুক্তিভুক্ত, ফলে শিক্ষার্থীরা একসাথে বহু দেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান। উন্নত মানের রিসার্চ সুবিধা, আন্তর্জাতিক কোর্স, এবং বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ হাঙ্গেরিকে তুলনামূলক কম খরচে উন্নত শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
বুদাপেস্ট বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর—শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার মানে এটি ইউরোপের শীর্ষ শহরগুলোর একটি। শিক্ষার পাশাপাশি সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন।
উচ্চশিক্ষায় যোগ্যতা ও ভাষাগত প্রয়োজনীয়তা
হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তি হতে HSC বা সমমানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। মাস্টার্সে ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পর্যায়ে মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে IELTS স্কোর ৫.৫–৬.৫ বা TOEFL ৭২–৯০ পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় Medium of Instruction (MOI) গ্রহণ করে, বিশেষত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কিছু কোর্সে Duolingo বা PTE স্কোরও বৈধ।
সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও জনপ্রিয় বিষয়সমূহ
হাঙ্গেরির বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- Eötvös Loránd University (ELTE)
- University of Szeged
- University of Debrecen
- Budapest University of Technology and Economics (BME)
- University of Pécs
- Corvinus University of Budapest
- Hungarian University of Agriculture and Life Sciences
এখানে তথ্যপ্রযুক্তি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল, স্থাপত্য, আইন, ব্যবসা ও অর্থনীতি, এবং মনোবিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
খরচ ও স্কলারশিপ সুবিধা
হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম—প্রতি বছর প্রায় €1,500 থেকে €5,000 পর্যন্ত। মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় €300–€600 এর মধ্যে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারি স্কলারশিপ হলো Stipendium Hungaricum, যা পুরো টিউশন ফি ছাড়, মাসিক স্টাইপেন্ড (HUF 43,700–180,000), বিনামূল্যে আবাসন বা আবাসন ভাতা, স্বাস্থ্যবীমা, এবং পরিবার নিয়ে থাকার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ও সরকারি গবেষণা বৃত্তিও পাওয়া যায়।
ভিসা প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির ভিসা আবেদন করা যায় ঢাকার VFS Global-এর মাধ্যমে। প্রয়োজন হবে:
- বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
- স্কলারশিপ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- স্বাস্থ্য বীমা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বৈধ পাসপোর্ট ও ছবি
ভিসা প্রক্রিয়া সাধারণত ৪–৫ সপ্তাহ সময় নেয়, এবং আবেদন ফি প্রায় ৫০ ইউরো।
পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ার ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
ডিগ্রি শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা ৯–১২ মাসের Job Search Visa পান, যার মাধ্যমে তারা ইউরোপজুড়ে চাকরির আবেদন করতে পারেন। চাকরি পেলে সহজেই Work Permit ও পরবর্তীতে Permanent Residence (PR)-এর জন্য আবেদন করা যায়। আইনত ৩ বছর বসবাসের পর National Permanent Residence Permit (NPRP) পাওয়া সম্ভব, যা ফ্রান্স, ইতালি বা পর্তুগালসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়।
জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট তার অসাধারণ স্থাপত্য, সেতু, আর্ট গ্যালারি ও দানিয়ুব নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এখানে নিরাপত্তা সূচক অত্যন্ত উচ্চ, ক্রাইম ইনডেক্স মাত্র ৩৩.৮—যা ইউরোপের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। শিক্ষার্থীরা চাইলে সংগীত, সংস্কৃতি, ও ভ্রমণের মাধ্যমে ইউরোপীয় জীবনধারার স্বাদ নিতে পারেন।
ইউরোপীয় স্বপ্নের দুয়ারে হাঙ্গেরি
যে দেশে তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায় উচ্চমানের শিক্ষা, যেখানে গবেষণা, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে গড়ে ওঠে সৃজনশীল ভবিষ্যৎ—সেই হাঙ্গেরি এখন শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের গন্তব্য। আপনি যদি বিশ্বমানের ডিগ্রি, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, ও ক্যারিয়ারের নতুন দিগন্ত খুঁজে থাকেন, তবে হাঙ্গেরিই হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত, দেখে নিন পরীক্ষার সময়সূচি
চলতি বছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রথম দিন ২১ ডিসেম্বর বাংলা, দ্বিতীয় দিন ২২ ডিসেম্বর ইংরেজি, তৃতীয় দিন ২৩ ডিসেম্বর গণিত এবং চতুর্থ দিন ২৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞান ও বিশ্বপরিচয়—এই দুটি বিষয়ের জন্য মোট ৩ ঘণ্টা সময় থাকবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য সময় দেওয়া হবে দেড় ঘণ্টা।
পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রবেশপত্র প্রতিষ্ঠান-প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করবে।
উত্তরপত্রের ওএমআর ফর্মে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বিষয় কোড সঠিকভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবেন না।
‘প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই’—সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে—প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া।
আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি (ACCGP) এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি (ACCEA)-র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা জানান।
ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কিছু শ্রেণির বই মুদ্রণের জন্য ইতিমধ্যেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা প্রাপ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা খতিয়ে দেখছি, যেন কোনো স্কুল একাধিক বরাদ্দ না পায় বা অতীতে যেসব অনিয়মের অভিযোগ ছিল তা পুনরাবৃত্তি না হয়।”
তিনি জানান, সরকার চায় যেসব প্রতিষ্ঠান অতীতে নিয়মিতভাবে বই পেয়েছে তারা যেন এবারও পায়। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বই নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “আমরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করব। আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার—১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে হবে।”
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘোষণা শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। কারণ সময়মতো বই হাতে পাওয়া গেলে শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে শুরু করা সম্ভব হবে।
-আলমগীর হোসেন
হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ভাইভা বা প্রেজেন্টেশনের মতো একাডেমিক কার্যক্রমে নারী শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য না করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নারী শিক্ষিকারা শনাক্ত করবেন পরিচয়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত ভাইভা, প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য নারী শিক্ষিকাদের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা বা শিক্ষার্থীদের বিদ্রুপ, ট্যাগিং বা বৈষম্যের শিকার না করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সারা দেশে হিজাব ও নিকাব পরা শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেছিল:
১. ছাত্রীদের শনাক্তকরণের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা।
২. বায়োমেট্রিক চালু না হওয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষিকাদের মাধ্যমে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা।
৩. হিজাব বা নিকাব খুলতে বাধ্য না করা এবং কোনো ধরনের বুলিং বা ট্যাগিং না করা।
শিক্ষার্থীদের এই দাবির প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- দেশজুড়ে টাইফয়েড টিকাদান অভিযানে সাড়ে ৩৮ লাখ শিশুর টিকা সম্পন্ন
- নতুন মহামারির আশঙ্কা! জাপানে ফ্লু-এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব, রোগী বেড়েছে চারগুণ
- সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: নির্বাচনী সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
- ডিমেনশিয়া শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে নয়, বরং পা থেকে: স্নায়ু বিশেষজ্ঞের চমকপ্রদ তথ্য
- ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
- তিন গোয়েন্দা সিরিজের লেখক রকিব হাসান আর নেই
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল
- ১৫ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সবুজ শিল্পে নতুন মাইলফলক: আরও পাঁচটি কারখানা পেল লিড সার্টিফিকেশন
- আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল
- দেশটাকে বাঁচান, নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
- গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত পেরু: আইনশৃঙ্খলা পুনর্গঠনে তরুণ প্রেসিডেন্টের কঠোর পদক্ষেপ
- ‘আর যেন মিরপুরের মতো ট্র্যাজেডি না ঘটে’—ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল
- সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া
- স্বাস্থ্য থেকে ভূমি উন্নয়ন—বিভিন্ন খাতে অনিয়মে দুদকের হানা
- মানবিক সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল ইসরায়েল
- ২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম
- রোম সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস
- সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির
- যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে: স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের
- ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি
- নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি
- পৃথিবীর মানচিত্রেও যার অস্তিত্ব নেই! তিব্বতের সেই লুকানো জগতের অবিশ্বাস্য রূপ
- শায়খ আহমাদুল্লাহর কণ্ঠে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে স্বচ্ছতার আহ্বান
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প