দেশের সব বোর্ডে মিলিয়ে ফেল করেছে যতজন শিক্ষার্থী

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১০ ১৪:৫১:০২
দেশের সব বোর্ডে মিলিয়ে ফেল করেছে যতজন শিক্ষার্থী

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন ছেলে এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন মেয়ে। এই তথ্য বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির বলেন, চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গত কয়েক বছরের তুলনায় কিছুটা উদ্বেগজনক। মোট পরীক্ষার্থীর তুলনায় ফেলের হার উদ্বেগজনক হলেও শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য এটি এক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা গত ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হয়। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা কম। তবে পরীক্ষায় ফেলের সংখ্যার এই পরিসংখ্যান শিক্ষাবোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির জানান, ফলাফল বিশ্লেষণ করে বোর্ডগুলো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যাতে শিক্ষার্থীদের শূন্যস্থান পূরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নয়নে বাড়তি সহায়তা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করাই এখন প্রধান দায়িত্ব।”

এছাড়া, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেও ফেলের হার যথেষ্ট উচ্চতর। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষামূলক মান উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, আধুনিক পাঠ্যক্রম গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি বেশি মনোযোগ দেয়া গেলে ভবিষ্যতে এই হার কমে আসবে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করেন।

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ঢাকার সঙ্গে সমন্বয়ে দেশের অন্যান্য বোর্ডেও একযোগে প্রকাশিত হয়। এতে ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সহায়ক প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পুনরুদ্ধার ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রোত্সাহনে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ