ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গাজায় মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা মঙ্গলবার গাজা যুদ্ধ নিয়ে সম্ভাব্য ১০টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এখনই কোনো পদক্ষেপে ঐকমত্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কাল্লাস আলোচনার টেবিলে যে ১০টি বিকল্প রেখেছেন, তার মধ্যে রয়েছে—ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান সহযোগিতা চুক্তি পুরোপুরি স্থগিত করা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সীমিত করা, নির্দিষ্ট ইসরায়েলি মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা বাতিল করা।
তবে গাজায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইইউ সদস্য দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে পারেনি। ইউরোপের ভেতরেই কেউ ইসরায়েলের পক্ষে, কেউ ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল—এই বিভক্তিই মূল বাধা।
কায়া কাল্লাস বলেন, “আমার দায়িত্ব ছিল সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর একটি তালিকা তৈরি করা। এখন সিদ্ধান্ত নেবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো—তারা কোন পথে এগোবে।”
ইসরায়েল যদি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাস্তব পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ইইউ আলোচনায় নমনীয়তা দেখাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার-এর সঙ্গে বৈঠকে কায়া কাল্লাস গাজায় আরও প্রবেশপথ খোলা ও খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছান।
সোমবার কাল্লাস বলেন, “আমরা কিছু ভালো লক্ষণ দেখছি—আরও ট্রাক প্রবেশ করছে। তবে আমরা জানি, এটা যথেষ্ট নয়। চুক্তির বাস্তবায়নে আরও চাপ প্রয়োগ করতে হবে।”
একইদিন ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ও আশপাশের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, “গাজা এখনো মানবিকভাবে ভয়াবহ অবস্থায় আছে।”
এদিকে বৈঠকে অংশ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার বলেন, “আমি নিশ্চিত, ইইউ রাষ্ট্রগুলো এসব পদক্ষেপের কোনোটিই নেবে না। এসবের কোনো ন্যায্যতা নেই।”
তবে বিশ্লেষকদের মতে, ইইউ’র পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্তই একটি বড় রাজনৈতিক অগ্রগতি। মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল নতুন করে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করার পরই ইইউ প্রথমবারের মতো বিষয়টি খোলাখুলি আলোচনা করছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২১৯ জনকে হত্যা করে—এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সেদিন অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে এখনো ৪৯ জন বন্দি, যাদের মধ্যে ২৭ জনকে মৃত বলে জানাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে, হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮,৩৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘ এই সংখ্যাগুলোকে ‘বিশ্বস্ত’ হিসেবে বিবেচনা করছে।
-আলমগীর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও চলছে ইসরায়েলি হামলা, ঝরছে রক্ত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি বজায় থাকার কথা থাকলেও তা লঙ্ঘন করে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার ৩ ডিসেম্বর চালানো এসব হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার আল মাওয়াসি ক্যাম্পে বোমা হামলায় আগুন লেগে বেশ কয়েকটি তাঁবু পুড়ে যায় এবং সেখানেই পাঁচজন নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান নিহত শিশুদের বয়স আট ও দশ বছর। এছাড়া উত্তর গাজার জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি বন্দুকধারীদের গুলিতে আরও দুই ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি দক্ষিণ রাফায় হামাস তাদের যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে চার সেনাকে আহত করার পরই এই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। হামাস আল মাওয়াসিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং মধ্যস্থতাকারী মিশর কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লাগাম টানার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল তবে সেখানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কঠিন শর্ত। তেল আবিব জানিয়েছে এই ক্রসিং দিয়ে কেবল গাজার বাসিন্দারা উপত্যকা ত্যাগ করতে পারবেন কিন্তু কোনো ত্রাণ বা সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে মিশর এই সিদ্ধান্তকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি পরিকল্পনার পরিপন্থী ও একতরফা আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। মার্কিন পরিকল্পনায় ছিল রাফাহ সীমান্ত উভয় দিকের চলাচলের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে।
এর মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। স্থানীয় সময় বুধবার বেইত লাহিয়ায় সংগঠনটির সদস্যরা রেডক্রসের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে যা পরে ইসরায়েলে পৌঁছে দেওয়া হয়। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৯১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে যার ফলে কমপক্ষে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯২২ জন আহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলা
মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি জারি থাকা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক ও একটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে ইসরায়েল ট্যাংক ও ড্রোন থেকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে এবং এতে বারবারই লঙ্ঘিত হচ্ছে যুদ্ধবিরতি যা হতাহত ও ধ্বংসযজ্ঞ বাড়িয়ে তুলছে।
গাজার চিকিৎসা সূত্র জানায় গাজা সিটির আল তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে দুজন নিহত হন যার মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। আহত ১৫ জনকে আল আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ব গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন। পরবর্তীতে খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ফটোসাংবাদিক মাহমুদ ওয়াদি নিহত হন। চিকিৎসকরা জানান যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে এলাকা ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে চিহ্নিত নয় সেই জায়গায় ড্রোন হামলায় তিনি প্রাণ হারান। ওয়াদির বাবা ইসসাম আক্ষেপ করে বলেন মাহমুদ নিরাপদ এলাকায় ছবি তুলছিল কিন্তু ইসরায়েল কোনো অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।
গাজা সিটির কেন্দ্রীয় অংশের আল দারাজ স্কুলে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নারীসহ আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। ওই স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা সিভিল ডিফেন্স বলছে আল তুফাহ এলাকায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় উত্তরের বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী বহু ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিহত এবং আরও ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানায় ওয়াদি নিহত হওয়ার পর গাজায় সাংবাদিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ জনে। তারা অভিযোগ করেছে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর বুঝেশুনে হামলা ও টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।
ইরানের হাতে এল বিশাল এক নতুন স্বর্ণভাণ্ডার
ইরান তাদের অন্যতম বৃহৎ স্বর্ণখনিতে বিশাল নতুন স্বর্ণভাণ্ডার আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে যা দেশটির অর্থনীতির জন্য এক বড় সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার ১ ডিসেম্বর স্থানীয় গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশে অবস্থিত বেসরকারি মালিকানাধীন শাদান স্বর্ণখনিতে নতুন এই শিরা কাঠামো পাওয়া গেছে।
ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি একে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করেছে। এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নতুন মজুদগুলো শিল্প খনি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে শাদান স্বর্ণখনির প্রমাণিত মজুদ বিশাল স্বর্ণশিরা আবিষ্কারের পর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে রয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন টন অক্সাইড স্বর্ণ আকরিক এবং ৫৩ দশমিক ১ মিলিয়ন টন সালফাইড স্বর্ণ আকরিক। অক্সাইড আকরিক সাধারণত উত্তোলন করা তুলনামূলকভাবে সহজ ও কম ব্যয়বহুল হওয়ায় এটি ইরানের জন্য বাড়তি সুবিধাজনক।
ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে তার জাতীয় স্বর্ণের মজুদের পরিমাণ প্রকাশ করেনি তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বর্ণ কেনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে বলে তারা দাবি করে। গত সেপ্টেম্বর ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিন বলেন ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বে সর্বাধিক স্বর্ণক্রয়কারী পাঁচ ব্যাংকের একটি ছিল। স্থানীয় গণমাধ্যম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ইয়েকতা আশরাফির উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপের মধ্যে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে স্বর্ণের মজুদ বাড়ানো সহায়ক হবে।
ইরানে মোট ১৫টি স্বর্ণখনি রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জারশোরান খনি। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তেহরানের বিরুদ্ধে পরমাণু কর্মসূচির সামরিকীকরণের অভিযোগ আনার পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে ইসরায়েলের সাথে ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করায় দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি এবং রিয়ালের অবমূল্যায়নের কারণে ক্রমাগত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অনেক ইরানির কাছে স্বর্ণ একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডলার অনানুষ্ঠানিক বাজারে প্রায় ১১ দশমিক ৭ লাখ রিয়াল এবং ইউরো প্রায় ১৩ দশমিক ৬ লাখ রিয়ালে লেনদেন হয়েছে।
সূত্র: এএফপি
হামাস সদস্যকে অপহরণের ছক কষতে গিয়ে প্রাণ হারালেন চার গুপ্তচর
উত্তর গাজায় ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময় চারজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সোমবার ১ ডিসেম্বর গ্রুপটির সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস তাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে শত্রু ইসরায়েলের হয়ে কাজ করা এবং হামাসের একজন সদস্যকে অপহরণের চেষ্টা করা চারজন গুপ্তচরকে গাজায় হত্যা করা হয়েছে। হামাস আরও জানায় নিহতদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তবে তাদের পরিচয় বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১১ অক্টোবর থেকে গাজায় মার্কিন মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উত্তেজনা কমেনি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার যুদ্ধে অঞ্চলজুড়ে নিহতের সবশেষ সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছিল। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয় এবং সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
আইনি প্রেক্ষাপটে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির নামে বিশ্বকে বোকা বানাচ্ছে ইসরায়েল, অ্যামনেস্টির ভয়ংকর রিপোর্ট
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলা সহায়তা প্রবেশে বাধা এবং সীমাবদ্ধতা আরোপের ঘটনায় ইসরায়েল এখনো গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায় ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গত সাত সপ্তাহে ইসরায়েল এটি ৫০০ বারের বেশি লঙ্ঘন করেছে যার ফলে ৩৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮৮৯ জন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অ্যামনেস্টির এই বিবৃতি দেওয়ার সময়েই ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে নতুন বিমান হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বুড়েইজ শরণার্থী ক্যাম্প এবং খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনীর অপসারণ সীমার বাইরে অবস্থিত ছিল।
অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন ইসরায়েল তার যুদ্ধাপরাধের প্রভাব কমাতে কোনো গুরুতর পদক্ষেপ নেয়নি বরং মানবিক সহায়তা আটকে রেখে এবং প্রয়োজনীয় সেবায় বাধা দিয়ে গাজাবাসীর শারীরিক ধ্বংস নিশ্চিত করার নীতিই অব্যাহত রেখেছে। তিনি বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে বলেন বিশ্বকে প্রতারিত হওয়া যাবে না কারণ ইসরায়েলের গণহত্যা শেষ হয়নি।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে এই নতুন হামলাগুলো সাত সপ্তাহব্যাপী নাজুক যুদ্ধবিরতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন। আল জাজিরা আরও জানিয়েছে গাজায় হামলার পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায়ও ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে অভিযান ও গ্রেপ্তার চালিয়েছে। এর মধ্যে ক্বালকিলিয়া তুবাস হেবরন তুলকারে ও নাবলুসে তল্লাশি হামলা ও গণগ্রেপ্তার চালানো হয়েছে বলে খবরে উঠে এসেছে।
গাজায় সুড়ঙ্গ থেকে বের হতেই ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারালেন হামাসের যোদ্ধারা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের পাঁচ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। গত শুক্রবার এই হামলা চালানো হয়। গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও রাফায় হামাসের প্রায় ২০০ যোদ্ধা আটকা পড়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে সুড়ঙ্গের ভেতর অবস্থান নিয়ে আছেন। যে যোদ্ধাদের ইসরায়েল হত্যা করেছে তাঁরা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন বলে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফের নাহাল ব্রিগেড এই হামলা পরিচালনা করে। তাদের দাবি হামাসের যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে আসছিল। দখলদার বাহিনী বলেছে তাঁরা এমনভাবে আসছিল যা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠেছিল আর এ কারণেই তাঁদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির পরও রাফার প্রায় পুরো অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এ কারণে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের যোদ্ধারা সেখানে আটকে যান। তাঁদের জীবিত বের করে গাজার অভ্যন্তরে বা অন্য কোনো দেশে পাঠানোর বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর আলোচনা চলছিল। কিন্তু এরই মধ্যে পাঁচজনকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে ইসরায়েল শর্ত দিয়েছিল হামাসের আটকে থাকা ২০০ যোদ্ধাকে তাদের কাছে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং এরপর তাদের ছাড়া হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েকজনকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু দখলদারদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে হামাস স্পষ্ট জানিয়েছিল যে তাদের যোদ্ধারা কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না।
ইসরায়েলের গোপন ফাঁদেই উল্টো ধরা, ইরানের যে কৌশলে বোকা বনেছিল ইসরায়েল
ইসরায়েল বহু বছর ধরেই ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি গোপন জাল বিস্তার করে আসছিল। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ইরানের ভেতরে ড্রোন ঘাঁটি তৈরি করা, গোপনে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো এবং কমান্ডো পাচার করা। সব মিলিয়ে, ইসরায়েল একটি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত ছিল।
কিন্তু গত জুন মাসে ইরানের ওপর চালানো অতর্কিত হামলার কড়া জবাব দিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশ এটিও প্রমাণ করে দেয় যে, তারাও পাল্টা আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত ছিল।
ইসরায়েলের 'লোহার দুর্গ' হিসেবে পরিচিত আয়রন ডোম প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ইরানের আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সদর দপ্তর ধ্বংস হয়ে যায়। ইসরায়েল যে ফাঁদ পেতেছিল, উল্টো তারাই ইরানের এক ধরনের 'পটকা' ফাঁদে আটকা পড়ে।
সামরিক পরিভাষায় এই কৌশলকে 'ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্র' বা ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে প্রতারণা বলা হয়। এই কৌশলের মাধ্যমে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে মুহূর্তের মধ্যে দুর্বল করে ফেলা সম্ভব হয়েছিল। খোদ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও এই তথ্য প্রকাশ করেছিল।
এই ডিকয় বা ভুয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি দেখতে হুবহু আসল ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই এবং এটি একই রকম আচরণ করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো শত্রুপক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করা।
এই কৌশলটি যেভাবে কাজ করে তা হলো—আসল ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সময়ই তার সঙ্গে ধাতব 'পটকা' বা ডিকয় নিক্ষেপ করা হয়, যা থেকে তীব্র আগুন বের হতে থাকে। ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতো স্বয়ংক্রিয় প্রতিরাব্যবস্থাগুলো এই ধাতব বস্তুকে শনাক্ত করে এবং সেটিকে আসল ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করে।
যখনই সেটিকে আসল ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেটিকে ধ্বংস করার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারে। এভাবে যখন প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ওই ধাতব পটকার দিকে ছুটে যায় বা সেটিকে ধ্বংস করে, ঠিক সেই মুহূর্তে আয়রন ডোমের অস্ত্রভাণ্ডার খালি হতে শুরু করে। এই সুযোগেই আসল ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তার নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরায়েলের আয়রন ডোম থেকে একবার প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়ে গেলে, সেটি পুনরায় লোড করতে প্রায় ১০ থেকে ১১ মিনিট সময় প্রয়োজন। কিন্তু ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আয়রন ডোমে শনাক্ত হওয়ার মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই সময়ের ব্যবধানের কারণেই ইসরায়েল সেই হামলায় ধরাশায়ী হয়।
ইসরায়েলকে সেই ঘটনায় পরাজিত করতে পারলেও, ইরান এখন আরও বেশি সতর্ক এবং নিজেদের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। দেশটি সম্প্রতি সব আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছে যে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি যেকোনো মূল্যে অব্যাহত থাকবে এবং এর পাল্লা কোনোভাবেই সীমিত করা হবে না।
প্রকাশ হলো ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ
এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে যে, ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতর আগামী ২০ মার্চ (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে পারে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেছেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, ১৪৪৭ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, সেদিন খালি চোখে চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে।
এই হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালের রমজান মাস ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হতে পারে। এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি আরও পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এ বছর রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তা-ই হয়, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদের ছুটি একদিন বাড়তে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রমজান ৩০ দিন পূর্ণ হলে ১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত টানা চার দিনের ঈদ ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে, ২৩ মার্চ (সোমবার) থেকে দেশটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই পূর্বাভাস দিয়েছেন, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদের আনুষ্ঠানিক তারিখ সেদেশের 'মুন-সাইটিং কমিটি' বা চাঁদ দেখা কমিটিই চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করবে। তা সত্ত্বেও, হিসাব অনুযায়ী ২০ মার্চ তারিখেই শাওয়াল মাসের প্রথম দিন বা ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদুল ফিতর মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এর সঙ্গে যেহেতু ধর্মীয় অনুভূতি গভীরভাবে জড়িত, তাই চাঁদ দেখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করবে না।
২০ হাজার সেনা প্রস্তুত: গাজা নিয়ে জর্ডানের সাথে তথ্য বিনিময়ে ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, দেশটি গাজার জন্য ২০ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করছে। তবে আন্তর্জাতিক অনুমোদন পাওয়ার পরেই এই বাহিনীকে উপত্যকায় মোতায়েন করা হবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি স্যামসুদ্দিন জানিয়েছেন, এই সেনা মোতায়েনের জন্য ইন্দোনেশিয়া দুটি সম্ভাব্য পথ নিয়ে অনুসন্ধান করছে। প্রথমটি হলো জাতিসংঘের অধীনে এবং দ্বিতীয়টি হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অধীনে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে গঠিত হতে পারে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় বিকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, আরব দেশগুলো—বিশেষ করে সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত—যদি এই পদক্ষেপে সবুজ সংকেত দেয়, তবে ইন্দোনেশিয়া তাতে আনন্দের সঙ্গে অংশ নেবে। এর পাশাপাশি, এই সেনা মোতায়েনের জন্য ইসরায়েলের অনুমতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পুরো পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রস্তাবিত ২০ দফা উদ্যোগের প্রথম ধাপের অংশ। এই উদ্যোগের আওতায় গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
সম্প্রতি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জাকার্তা সফর করেছেন। এই সফরে তিনি গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে দুই দেশ গাজা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ইউসুফ আহমেদ আল-হুনাইতির সঙ্গে বৈঠকের পর ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমরা যৌথভাবে একটি কমিটি গঠন করব, যা গোয়েন্দা তথ্য ও হালনাগাদ পরিস্থিতি বিনিময় করবে।" তিনি আরও বলেন, গাজা সীমান্তের খুব কাছের দেশ হওয়ায় জর্ডানের তথ্য ইন্দোনেশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ইন্দোনেশিয়ার এই গোয়েন্দা তথ্যের প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই দুই দেশ ড্রোন প্রযুক্তি উন্নয়নেও একসঙ্গে কাজ করবে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটিআই পিন্দাদ এবং জর্ডানের প্রতিষ্ঠান ডিপ এলিমেন্ট যৌথভাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পাঠকের মতামত:
- নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা
- বারবার হাই তোলা শুধুই ক্লান্তি নয় বরং এটি হতে পারে হৃদরোগের আগাম বার্তা
- নামিদামি ক্রিম নয় বরং গরম পানির ভাপেই মিলবে শীতের শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি
- বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক: তারেক রহমান
- বিএনপির সঙ্গে জোট হলে মাঠের পরিস্থিতি কেমন হবে জানালেন রাশেদ খান
- বিএনপির আমলে শেয়ার বাজারে ধস নামেনি: রিজভী
- বিএনপির এক অংশের আচরণ আওয়ামী লীগের মতোই: ফুয়াদ
- আগের ৯৬টি বাতিল করে নতুন ৮১ সংস্থাকে ভোটের মাঠে নামাচ্ছে কমিশন
- প্রিজনভ্যানে উঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন পলক
- গ্রামের গর্ভবতী মা থেকে শহরের কর্মজীবী নারী সবার জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বার্তা
- আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে হেঁটে জামায়াত দেশের জন্য অশুভ সংকেত আনছে: এনসিপি
- ক্ষমতায় গেলে খাল খনন প্রকল্প আবার চালু করা হবে: তারেক রহমান
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার দিল কঠোর নীতি
- দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন সাকিব আল হাসান
- ৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ৮ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- ৮ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর নতুন ন্যাভ প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত
- নীতি ছাড়া ধর্মের নামে রাজনীতিতে একটি দল: সালাহউদ্দিন
- বিমান প্রস্তুত হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা খালেদা জিয়ার জন্য অগ্নিপরীক্ষা
- চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় শেখ হাসিনার ১৭ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা
- ডিএসই–৩০ এ মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার এগিয়ে
- এইচআইভি চিকিৎসায় বড় সুখবর, ওষুধ ছাড়াই ১৮ মাস সুস্থ থাকার রেকর্ড
- কে হচ্ছেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? জল্পনা চূড়ায়
- সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেলার ঠাসা সূচি: কোথায় দেখবেন জেনে নিন
- জুলাই–আগস্ট হত্যামামলায় সাবেক ১৭ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালে
- নতুন আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধাক্কায় ডাকাডাই ডাইং
- কীভাবে দেহ তাপমাত্রা ঠিক রাখে জানুন বিস্তারিত
- খেজুর রসের পায়েস বানানোর সহজ রেসিপি
- বাংলালিংকের সঙ্গে বড় চুক্তি করল কেয়ি অ্যান্ড কিউ
- আর্থিক ফলাফল ও ডিভিডেন্ড নিয়ে মিশ্র বার্তা দিল অলটেক্স
- বিডি থাইয়ের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- প্রথম নারী ফুটসাল বিশ্বকাপের মুকুট ব্রাজিলের মাথায়
- টাকার মান ও ভিনদেশি মুদ্রার লেনদেন নিয়ে সোমবারের বাজার দর
- সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা
- আজকের নামাজের সময়সূচি ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
- যানজট এড়াতে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন আজ রাজধানীর কোথায় কী?
- মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে বড় চাপে বাংলাদেশ
- নির্বাচনী আসন নিয়ে টানাপোড়েন: ৫টি জোটে বিভক্ত রাজনীতির মাঠ
- ৪৫ মিনিটের তুমুল গোলাগুলি আর রকেট লঞ্চারের আঘাতে তছনছ আফগান চেকপোস্ট
- হিমালয়ের কনকনে হাওয়ায় কাঁপছে পঞ্চগড়
- একযোগে গতি হারাল কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনীতির প্রধান চার খাত
- "সম্পর্ক যতই ভালো হোক, সীমান্ত হত্যা থামবে না"- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুরুষের শক্তি ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে রোজকার পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার
- শৈশবের নায়কের রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে এমবাপে: আজ রাতে নতুন ইতিহাসের হাতছানি
- মস্তিষ্কের শক্তি ও পড়াশোনায় অদম্য মনোযোগ বাড়ানোর ৯টি সহজ কৌশল
- শরীয়তপুর ২: ধানের শীষের শফিকুর নাকি জামায়াতের ডা. মাহমুদ কার পাল্লা ভারী
- নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- ফিউচার স্টার বনাম ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা, দেখুন সূচি
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- প্রবৃদ্ধির সুফল গরিবের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে
- খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন যা ভালো লক্ষণ: ডা. জাহিদ
- আজকের রাশিফল: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- এসএসএফ নিরাপত্তা পেলেন খালেদা জিয়া: কী সুবিধা থাকছে
- চট্টগ্রামে দাপুটে জয়ে আয়ারল্যান্ড বধ
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় পতন
- ব্যথানাশক নিয়েই খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- কর্মবিরতি নিয়ে ফার্মাসিস্ট টেকনোলজিস্টদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিল সরকার
- আকাশ আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে ঢাকার সর্বশেষ পূর্বাভাস
- শরীরের নীরব শত্রু থাইরয়েড ক্যানসার চেনার ৫টি প্রাথমিক লক্ষণ








