বড় শয়তান কাঁধে শ্বাস ফেলছে:  তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “বড় শয়তান এখনো আমাদের কাঁধে শ্বাস ফেলছে।” রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্য বিশেষ করে বর্তমান সংকটাপন্ন জাতীয় বাস্তবতায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পোস্টে মাহফুজ আলম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “এখনো ঐক্যই দরকার।” তিনি বলেন, “হঠকারীদের স্পেস দিলে বরং দেশের ক্ষতি হবে।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সম্ভবত ইঙ্গিত করছেন— দেশের রাজনীতিতে বা সামাজিক পরিমণ্ডলে এমন কিছু উগ্র এবং দায়িত্বহীন গোষ্ঠী সক্রিয় আছে, যাদের হঠকারী আচরণ সামগ্রিক জাতির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তিনি আরও লেখেন, “বিরোধিতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনোভাবেই বিদ্বেষ এবং শত্রুতায় নিয়ে ঠেকানো যাবে না।” অর্থাৎ, মতবিরোধ ও প্রতিযোগিতা থাকলেও তা যেন শত্রুতায় রূপ না নেয় এই মর্মে তিনি একটি পরিণত ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি আহ্বান জানান। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক বিভাজন ও উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে এই বার্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মাহফুজ আলমের ‘বড় শয়তান’ শব্দবন্ধটি একটি প্রতীকী অভিব্যক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এটি হয়তো রাষ্ট্রবিরোধী গোষ্ঠী, অপশক্তি, মৌলবাদী বা ষড়যন্ত্রকারী কোনো শক্তির ইঙ্গিত বহন করে, যারা নেপথ্যে থেকে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে। এই শয়তান এখনো সক্রিয় এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এমনটাই তার বার্তার অন্তর্নিহিত ভাব।

তিনি আরও বলেন, “সবারই রেকনিং দরকার আছে।” অর্থাৎ, ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত, প্রত্যেকেরই আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি করতে হবে। এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি যেন একটি জাতীয় আত্মজিজ্ঞাসার আহ্বান জানাচ্ছেন যেখানে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিজেদের অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, মতানৈক্য এবং কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের এই বক্তব্যটিকে তাই শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি সাধারণ পোস্ট হিসেবে না দেখে বরং জাতীয় রাজনৈতিক বার্তার অংশ হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।