হ্যালো টাস্ক: গৃহকর্মী সরবরাহে বছরে ১ কোটি টাকার আয়!

সত্য নিউজ:একটি সাধারণ দৈনন্দিন প্রয়োজন থেকে যাত্রা শুরু করে, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রযুক্তিনির্ভর গৃহস্থালি সহায়তা প্রতিষ্ঠান হ্যালো টাস্ক গৃহকর্মী সরবরাহে দেশের অন্যতম উদীয়মান উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। সাততলা ভবন থেকে নিচে নেমে কিছু কেনার প্রয়োজনীয়তা থেকেই জন্ম নেয় এক অভিনব ধারণা। শুরুতে ‘রোবট ডাকো’ নামে যাত্রা শুরু করা এই স্টার্টআপটি আজ রাজধানী ঢাকায় মাসে তিন হাজারের বেশি সেবা প্রদান করে, যার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি।
২০১৮ সালে মাহমুদুল হাসান ও মেহেদি স্মরণ দুই ভাই মিলে প্রতিষ্ঠা করেন হ্যালো টাস্ক। মেহেদি স্মরণ জানান, রাস্তায় চাকরি খোঁজারত নারী শ্রমিকদের দেখে তাদের মাথায় আসে একটি দিক পরিবর্তনকারী চিন্তা—এই নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এরপর থেকেই তারা গৃহস্থালি সহায়তা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল সেবা গড়ে তুলতে শুরু করেন।
হ্যালো টাস্ক-এর পথচলা সহজ ছিল না। ২০১৮ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ‘উদয়ন’ প্রকল্প থেকে ৪০ লাখ টাকার অর্থায়ন পেয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথমদিকে দিনপ্রতি ৭০০–৮০০ জন গৃহকর্মীর চাহিদা এলেও যোগান দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সময়ে ‘নারী মৈত্রী’, ‘অক্সফাম’ ও ইউসেপসহ কয়েকটি এনজিওর ‘সুনীতি প্রকল্প’-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষিত গৃহকর্মী নিয়োগের সুযোগ মেলে।
গৃহকর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা, সেবা প্রদান ও গ্রাহক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে নিজস্ব ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স (IVR) প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে গ্রাহকের অনুরোধ সরাসরি পৌঁছে যায় গৃহকর্মীর মোবাইলে, যেখানে একটি বোতাম চেপে তিনি কাজ গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি সেবা নিরাপত্তার জন্য যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯।
বর্তমানে হ্যালো টাস্কের নিবন্ধিত গৃহকর্মীর সংখ্যা ৪৫০-এর বেশি, যারা ঘণ্টা ও মাসিক ভিত্তিতে সেবা প্রদান করছেন। ঘণ্টাপ্রতি তিন ঘণ্টার সেবার জন্য খরচ পড়ে ৬৯০ টাকা, আর মাসিক তিন ঘণ্টা দৈনিক সেবা নিতে হলে গ্রাহককে গুনতে হয় ৭,৮০০ টাকা। ঢাকা শহরের বসুন্ধরা, ধানমণ্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির সেবার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার নিবন্ধিত গ্রাহক এবং ছয় লাখেরও বেশি সেবা প্রদানের অভিজ্ঞতা নিয়ে হ্যালো টাস্ক আজ ঢাকার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।
স্টার্টআপ হিসেবে শুরু করলেও এখন হ্যালো টাস্ক একটি পরিপক্ব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। তাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ব্রেক-ইভেন (না লাভ, না লোকসান) পর্যায়ে পৌঁছানো। উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয় হ্যালো টাস্ককে দেশের অন্যতম উদাহরণযোগ্য সামাজিক উদ্যোগে রূপান্তর করেছে।
একটি বাসার গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাতে শুরু হওয়া এ উদ্যোগ এখন হয়ে উঠেছে হাজারো নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ভরসা এবং শহুরে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- জবির লিফটে প্রাণঝুঁকি, ছাত্রী অচেতন হয়ে হাসপাতালে
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটি, চালু থাকবে জরুরি সেবা
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- জবির জকসু নির্বাচনের গঠনতন্ত্র ও নির্বাচনের রূপরেখা প্রকাশ
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- ঈদে ‘তাণ্ডব’! সাকিব-রাফীর হাত ধরে বড়পর্দায় ধ্বংসের উল্লাস
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- গাজায় ইসরায়েলের নতুন হামলা বন্ধ না হলে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- ফাইনালে হারা, তবু হৃদয় জিতে নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- দারুননাজাত: নৈতিকতার আলোকবর্তিকা
- ডিপ্লোমেটিক শেকআপ: জসীম উদ্দিন দূতাবাসে , সচিব হচ্ছেন নজরুল
- রোববারের শেষ সময়: অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন না দিলে সোমবার থেকেই রাজপথে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা