ঘুষের হারে পাঁচগুণ বৃদ্ধি, কোথাও কোনো সুশাসন নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই- মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ

শাসনব্যবস্থার ক্রমাবনতি ও অর্থনীতির উপর দুর্নীতির ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও অর্থনীতিবিদরা। আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তারা এ উদ্বেগ জানান। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান রচিত ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের সুশাসন, প্রশাসনিক সংস্কার, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অর্থনৈতিক ন্যায্যতা নিয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক মারাত্মক বাস্তবচিত্র তুলে ধরে বলেন, “আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ টাকা।” তিনি জানান, এই তথ্য দিয়েছেন তাঁকে একজন খ্যাতনামা বড় ব্যবসায়ী, যিনি সাম্প্রতিক প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থেকে এমন অভিমত দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই অবস্থা প্রমাণ করে যে রাষ্ট্রযন্ত্রে নিয়ন্ত্রণ বলতে কিছু নেই। কোথাও কোনো সুশাসন নেই। পুলিশ বিভাগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হয়নি। তবে রাতারাতি এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সময় লাগবে। কিন্তু বসে থাকলে চলবে না। গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। সংস্কার চাপিয়ে নয়, বরং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা আনতে হবে।”
তিনি রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের তাগিদ দিয়ে বলেন, “অবিলম্বে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে হবে। নইলে দুর্নীতি, অকার্যকর শাসন ও বৈষম্যের এই সংস্কৃতি আরও গভীর হবে।”
বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগত শুল্ক আরোপ সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য বড় অর্থনৈতিক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ: “সুশাসন কেবল শব্দ নয়, এটি একটি কঠিন বাস্তবতা”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ভালো প্রতিষ্ঠান দেশে এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু মানুষগুলো তো আগের জায়গাতেই রয়ে গেছে, তারা বদলায়নি।”
তিনি প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে বলেন, “অনেকে বলেন সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন করে শুরু করো। কিন্তু সেটি বাস্তবসম্মত নয়। আমাদেরকে কাজ করাতে হচ্ছে কখনও মাথায় হাত বুলিয়ে, কখনও ধমক দিয়ে। কারণ এটাই বাস্তবতা।”
তিনি আরও বলেন, “সুশাসন অর্জন করা সহজ নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য পর্যন্ত সবার কার্যক্রমে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ বা ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নেই। এই ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা না হলে যত সংস্কারই করা হোক, তা ফলপ্রসূ হবে না। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক চর্চার সংস্কার অপরিহার্য।”
হোসেন জিল্লুর রহমান: “অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতার যোগসূত্র ধরার চেষ্টা”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বইটির লেখক হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, “এই বইয়ে আমি চেষ্টা করেছি অর্থনৈতিক বাস্তবতা, শাসনব্যবস্থার জটিলতা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রকৃত অবস্থা একত্রে বিশ্লেষণ করতে। আমাদের যাপিত জীবনে এই তিনটি বিষয়ের প্রভাব গভীর এবং পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত।”
তিনি মনে করেন, “যদি আমরা অর্থনীতিকে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে চাই, তবে শাসনব্যবস্থায় ন্যায্যতা, জবাবদিহিতা এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য। এই ত্রিমাত্রিক বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা ছাড়া কেবল নীতিগত আলোচনা দিয়ে কোনো কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।”
সংকটের ভেতর থেকেই উত্তরণের পথ
আজকের এই আলোচনা শুধু একটি বই প্রকাশের আয়োজন নয়, বরং বাংলাদেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পর্যালোচনার মঞ্চ হয়ে উঠেছিল। বক্তারা প্রত্যেকে শাসন ও সুশাসন বিষয়ে গভীর ও বাস্তবসম্মত বিশ্লেষণ তুলে ধরেন, যেখানে দুর্নীতি ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
যেখানে ঘুষ পাঁচগুণ বেড়ে গেছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে, সেখানে গণতন্ত্রই হতে পারে একমাত্র আশ্রয়স্থল — এমন বার্তাই হয়তো আজকের আলোচনা থেকে উঠে আসে। এই সংকটের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতি, প্রশাসন ও অর্থনীতি এক নতুন পথের সন্ধান পাবে — যদি সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি বাস্তবায়ন করা যায়।
অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সর্বশেষ সমন্বয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ২৬০ টাকা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, এ নতুন দাম আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জারি করা এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন মূল্য কাঠামোয় ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪২ টাকা।
এ ছাড়া ক্রেতাদের জানানো হয়, ঘোষিত মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। গহনার নকশা ও মানের ভিন্নতার কারণে মজুরির অঙ্ক পরিবর্তিত হতে পারে।
এর আগে, গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাজুস একবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় ২২ ক্যারেটের ভরি প্রতি ২ হাজার ৭১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা, যা দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের সব রেকর্ড অতিক্রম করে। মূলত স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজুস এ সমন্বয় করে।
গত ২৭ আগস্ট থেকে শুরু করে ৩১ আগস্ট, ২ সেপ্টেম্বর ও ৪ সেপ্টেম্বর মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে চার দফা স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়। এর পর ৭ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বরের ঘোষণায় আরও দুই দফা দাম বাড়ানো হলো। অর্থাৎ, অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানেই দেশের স্বর্ণবাজারে একের পর এক মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে।
বাজুস বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় তেজাবি স্বর্ণের দামে ক্রমবর্ধমান চাপ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বারবার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ’, তবে চ্যালেঞ্জ আছে ৫টি
বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। তার মতে, চীন থেকে আমেরিকার আমদানি সরছে এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিকল্প বাজার খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে—৩২ শতাংশ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ কৌশল গ্রহণ করছে। একইভাবে, ৭২ শতাংশ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান মনে করে, বাণিজ্য ও উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য অ-রাজনৈতিক দেশগুলোই হবে সেরা পছন্দ। এ কারণে বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে পাঁচটি বড় দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
যে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে
মাসরুর রিয়াজ বাংলাদেশের করণীয় তুলে ধরে বলেন, “প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে গ্লোবাল কম্পিটেটিভ ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫, যেখানে ভারত ও ভিয়েতনাম প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি।” তিনি আরও বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন উন্নত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, তৈরি পোশাকের বাইরে বিকল্প খাত তৈরি করা এবং পাবলিক-প্রাইভেট সংলাপে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব ও এফবিসিসিআই এর ভূমিকা
মাসরুর রিয়াজ জানান, বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশিত ৩ শতাংশ থেকে কমে ২ শতাংশে নেমে আসবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ৬৫ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর, যা দেশের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি বলেন, “অবকাঠামোগত ঘাটতি, জ্বালানি ও ডলার সংকট এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্ত।”
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবসায়ীদের অবস্থা ‘এতিমের মতো’, কারণ তারা কার কাছে যাবেন, কী করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। আবদুল হক বলেন, “ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পোর্ট চার্জ বাড়ানো ও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনের স্বর্ণবাজারে আসছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’, বদলাবে লেনদেন পদ্ধতি
বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণবাজার লন্ডনে আসতে যাচ্ছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। শত শত বছরের প্রচলিত লেনদেন ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে সেখানে এবার চালু করা হচ্ছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’। এই উদ্যোগের ফলে বিনিয়োগকারীরা সহজেই ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ করেও সোনার মালিকানা লাভ করতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) এই নতুন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, লন্ডনের সুরক্ষিত ভল্টে রাখা আসল সোনার বারগুলোকে ভিত্তি করে ডিজিটাল টোকেন চালু করা হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুলেড গোল্ড ইন্টারেস্ট (পিজিআই)’। এই টোকেনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো ৪০০ আউন্স ওজনের বড় সোনার বারের ভগ্নাংশও কিনতে পারবেন।
ডব্লিউজিসির বাজার কাঠামো ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান মাইক ওসউইন জানান, এই ডিজিটাল স্বর্ণ শুধু বিনিয়োগের জন্য নয়, জামানত হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এতে বাজারে অংশগ্রহণ ও নতুন ব্যবহার অনেক বাড়বে।
বর্তমানে লন্ডনের স্বর্ণবাজারের মূল্য প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলার। এতদিন এখানে দুই পদ্ধতিতে লেনদেন হতো: ‘অ্যালোকেটেড গোল্ড’ ও ‘আনঅ্যালোকেটেড গোল্ড’। আনঅ্যালোকেটেড পদ্ধতিতে ঝুঁকি হলো, যে প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনা রাখা হয়, সেটি দেউলিয়া হলে বিনিয়োগকারীর দাবি ঝুঁকির মুখে পড়ে। নতুন ডিজিটাল স্বর্ণ এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনবে, কারণ টোকেনধারীদের ভল্টে থাকা সোনার আইনি মালিকানা নিশ্চিত করা হবে।
তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে সবার মধ্যে একমত নেই। বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এজে বেলের পরিচালক রাস মোল্ড মনে করেন, প্রকৃত স্বর্ণপ্রেমীরা ডিজিটাল স্বর্ণে আগ্রহী হবেন না। তাদের কাছে সোনার মূল আকর্ষণ হলো এর বাস্তব প্রকৃতি, যা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। তবুও বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তির এই সংযোজন ভবিষ্যতের স্বর্ণবাজারকে আরও স্বচ্ছ, সহজ ও বহুমাত্রিক করে তুলবে। প্রথম ধাপে লন্ডনকেন্দ্রিক হলেও, এই উদ্যোগ একসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সিএনবিসি
বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা
আজ শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে প্রকাশিত নতুন বিনিময় হারে দেখা গেছে আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার প্রভাব সরাসরি টাকার বিপরীতে বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রার মূল্যে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরোর মতো প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কিছুটা দুর্বল হয়েছে, যদিও কয়েকটি এশীয় মুদ্রা ও মধ্যপ্রাচ্যের রিয়াল তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে।
প্রধান মুদ্রার অবস্থা
মার্কিন ডলার (USD): ৪ সেপ্টেম্বর প্রতি ডলার ১২১.৬৫ টাকা থাকলেও ৫ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২১.৬২ টাকায়। অর্থাৎ, টাকার বিপরীতে ডলারের মান ৩ পয়সা কমেছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): গতকাল ১৬৪.৬০ টাকা থাকলেও আজ তা ১৬৩.৪১ টাকায় নেমে এসেছে। একদিনে ১ টাকা ১৯ পয়সা দরপতন হয়েছে, যা তুলনামূলক বড় পতন।
ইউরো (EUR): এক দিনে ৫৪ পয়সা কমে প্রতি ইউরো ১৪২.৩২ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৪১.৭৮ টাকায়।
মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা
সৌদি রিয়াল (SAR): সামান্য দরপতন, ৩২.৪৪ টাকা থেকে কমে ৩২.৪৩ টাকা।
দুবাই দিরহাম (AED): কোনো পরিবর্তন হয়নি, প্রতি দিরহাম ৩৩.১২ টাকায় অপরিবর্তিত।
কুয়েতি দিনার (KWD): ১৯ পয়সা কমে ৩৯৭.৭৫ টাকায় নেমে এসেছে।
কাতারি রিয়াল (QAR): সামান্য দরপতন, ৩৩.৪২ টাকা থেকে নেমে ৩৩.৪১ টাকা।
ওমানি রিয়াল (OMR): ৩ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৬.০৬ টাকায়।
বাহরাইন দিনার (BHD): ৩ পয়সা কমে ৩২৩.৫১ টাকায় নেমেছে।
এশিয়ার অন্যান্য মুদ্রা
ভারতীয় রুপি (INR): ১ পয়সা বেড়ে ১.৩৮ টাকায় পৌঁছেছে।
চাইনিজ রেন্মিন্বি (RMB): ১৭.০২ টাকা থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭.০৩ টাকা।
মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR): ২ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৭৮ টাকায়।
সিঙ্গাপুর ডলার (SGD): ২১ পয়সা কমে ৯৪.৪৩ টাকায় নেমেছে।
ব্রুনাই ডলার (BND): ২২ পয়সা দরপতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪.৪২ টাকা।
জাপানি ইয়েন (JPY): প্রতি ইয়েন ০.৮২ টাকায় অপরিবর্তিত।
দক্ষিণ কোরিয়ান ওন (KRW): ০.০৮ টাকায় অপরিবর্তিত।
অন্যান্য মুদ্রা
কানাডিয়ান ডলার (CAD): একদিনে ৩৩ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮.১২ টাকায়।
অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD): ১০ পয়সা কমে এখন ৭৯.৫১ টাকা।
দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড (ZAR): ২ পয়সা কমে ৬.৮৭ টাকা।
লিবিয়ান দিনার (LYD): ৪ পয়সা কমে ২২.৪৪ টাকা।
মালদ্বীপ রুপিয়া (MVR): ১ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৮৭ টাকা।
তুর্কি লিরা (TRY): ২.৯৫ টাকায় অপরিবর্তিত।
ইরাকি দিনার (IQD): অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে ০.০৯ টাকায়।
উদ্যোক্তাদের জন্য ৫৪ লাখ টাকার পুরস্কার
বাংলাদেশে পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা কমাতে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুরু হলো এক অনন্য প্রতিযোগিতা। যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো), বাংলাদেশ। এ কর্মসূচিকে সহযোগিতা করছে নরওয়ে দূতাবাস।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প বা টেকসই সমাধান ভিত্তিক ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করতে পারবেন। প্রতিটি নির্বাচিত উদ্যোক্তা প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার পাবেন। মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, যা উদ্ভাবনী চিন্তা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উৎসাহ জোগাবে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত আবেদন যাচাই করে নারী উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, গবেষক, এনজিও এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের কর্মীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে ২৫ জনকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত প্রত্যেকে পাবেন এক লাখ টাকা করে।
এরপর ওই ২৫ জন উদ্যোক্তাকে মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা নিজেদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন একটি বিশেষ জুরি বোর্ডের সামনে, যেখানে অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইউনিডোর প্রতিনিধি থাকবেন। এই ধাপ থেকে ৭ জন উদ্যোক্তাকে বাছাই করে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে দুই লাখ টাকা করে। পরবর্তী ধাপে উন্নত প্রশিক্ষণ শেষে সর্বশেষে নির্বাচিত পাঁচজন উদ্যোক্তা পাবেন তিন লাখ টাকা করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মুসফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার ঘাটতি থাকায় দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে উল্লেখ করেন, দেশে বছরে প্রায় ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হলেও এর মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই প্রতিদিন উৎপন্ন হয় সারাদেশের ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য, যার পরিমাণ ৬৪৬ টন। এর মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় মাত্র ৩৭ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করার অভিযাত্রায় এসএমই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই শিল্পায়নে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আব্দুস সালাম সরদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
-রাফসান
ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ
ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেলে তা আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। একইসঙ্গে আমদানির ওপর সব ধরনের শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই সুপারিশ জানিয়ে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছিল, দাম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৪০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ
শুধু ডিম নয়, পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা পেরোলে একই ধরনের পদক্ষেপ অর্থাৎ আমদানি উন্মুক্ত করা এবং শুল্ক-কর ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আমদানি উন্মুক্ত করার পর পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ এখন স্থিতিশীল আছে।
একইভাবে, কাঁচামরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাঁচামরিচ আমদানিতে আরোপিত ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। এছাড়া, কাঁচামরিচ আমদানির সময় শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের পরিবর্তে প্রকৃত বিনিময় মূল্যে শুল্কায়নের সুপারিশও করা হয়েছে।
সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখার তাগিদ
ট্যারিফ কমিশন সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখতেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সংস্থাটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। তারা সুপারিশ করেছে, সবজির উৎপাদন মূল্য থেকে শুরু করে খুচরা মূল্য পর্যন্ত পুরো সরবরাহ শৃঙ্খল যেন কঠোরভাবে তদারকি করা হয়।
ইতিহাসে সর্বোচ্চ: বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়লো
বাংলাদেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ড. ইউনূসের নতুন ভিশন: সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে বাংলাদেশের মহাসড়ক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটি ‘ব্লু ইকোনমি’ বা সমুদ্র অর্থনীতি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি মনে করেন, মহেশখালী ও মাতারবাড়ী এলাকাটি কেবল একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হবে না, বরং সেখান থেকে একটি নতুন শহরের জন্ম হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সংযোগ তৈরি হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা)’ সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা বা ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে।” তিনি মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন এবং প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন।
মিডার পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থান
বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন এবং আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।
ড. ইউনূস এই বিশাল প্রকল্পের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরও জোর দেন এবং ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা সেগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই—সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।”
/আশিক
মাতারবাড়ী-মহেশখালী হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর: আশিক চৌধুরী
আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নতমানের বন্দর এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চায় সরকার। এর মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সভাপতি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী সভাপতি জানান, এই বিশাল প্রকল্পের প্রশাসনিক কার্যক্রম আগামী ১২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমআইডিএ) এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে এই উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। পুরো কাজটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে: প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং চূড়ান্ত ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব
- ইইউ সংলাপ: ঢাকার অগ্রাধিকার বাণিজ্য, ইউরোপের নজর অনিয়মিত অভিবাসনে
- খুনের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধি: দেরিতে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিফলন
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
- ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, নির্বাচন স্বচ্ছ দাবি ঢাবি ভিসির
- টিএসসি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ৩৫% ভোট
- অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
- আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ইরান: সেনাপ্রধান হাতামির হুঁশিয়ারি
- থাকসিন শিনাওত্রার কারাদণ্ড: রাজনৈতিক বংশপরিচয়ের পতনের আভাস
- বার্মিংহামে বলিউডের ‘ওজিজি’ রানী: কারিনা কাপুর খানের সিলভার শাড়ি
- ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস: পোশাক নয়, স্টাইলের প্রদর্শনী
- বলিউডে বহিরাগতদের প্রতি ক্ষোভ, ‘নেপো বেবি’দের পক্ষ নিলেন তনিশা মুখার্জি
- মেক্সিকোতে ভয়াবহ ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ১০ নিহত, আহত ৪১
- ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
- বিদায় নিশ্চিত, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩
- উয়েফার নিয়ম মানতে প্রস্তুত হ্যারি কেইন ও দল
- পরিচালকের শেয়ার কেনা সম্পন্ন
- যে ভোট রাতেই করা যায়, সেটা দিনে টেনে রাখা কেন?- ফারুকী
- মহাবিশ্বে নতুন দৈত্য কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান
- বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে জোহরান মামদানি, নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে প্রগতিশীল ঢেউ
- গাজা অভিমুখী শান্তিপূর্ণ মিশনে হামলা
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- জাতিসংঘ ক্ষুব্ধ, স্পেন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি—গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ তীব্রতর
- পাকিস্তান–চীন যৌথ অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে সরকার
- স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাইলেন শরিফ ওসমান বিন হাদী, পেলেন শর্ত
- অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন
- নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ
- খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
- আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল? পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলের দিকেই ইঙ্গিত
- নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস: ঢামেক পরিচালকের মন্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইসরায়েলে বাসে হামলা: হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, চলছে ব্যাপক অভিযান
- সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না: রুমিন ফারহানা
- সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার
- বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ’, তবে চ্যালেঞ্জ আছে ৫টি
- দুর্গাপূজা নিরাপত্তা নিয়ে কড়া বার্তা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- “একদিনও মাথা নত করেননি”-খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফখরুল
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে টেকসই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব: মির্জা ফখরুল
- যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ
- ‘প্রতিযোগিতা বাড়িয়েই উন্নত হবে সেবা’—উপদেষ্টা এস কে বশির
- ইউএস ওপেনে নতুন সম্রাটের দাপট: আলকারাজের দ্বিতীয় শিরোপা
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বাংলাদেশি ওষুধের সাফল্য: যুক্তরাজ্যে রেনেটার নতুন পদচারণা
- ধর্ষণের হুমকি: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন উমামা ফাতেমা
- আলোচনার টেবিলে ভিন্ন দাবি, নির্বাচনের পথে নতুন কোন সংকেত?
- সৌদি রাজতন্ত্রের অজানা অধ্যায়: ক্ষমতার জন্য বাবা ও ভাইদের ছাড় দিলেন না মোহাম্মদ বিন সালমান