ঘুষের হারে পাঁচগুণ বৃদ্ধি, কোথাও কোনো সুশাসন নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই-  মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৬ ১৫:০৭:৩১
ঘুষের হারে পাঁচগুণ বৃদ্ধি, কোথাও কোনো সুশাসন নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই-  মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ
অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানটি সিরডাপ মিলনায়তনে হয়। ছবি: প্রথম আলো

শাসনব্যবস্থার ক্রমাবনতি ও অর্থনীতির উপর দুর্নীতির ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও অর্থনীতিবিদরা। আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তারা এ উদ্বেগ জানান। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান রচিত ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের সুশাসন, প্রশাসনিক সংস্কার, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অর্থনৈতিক ন্যায্যতা নিয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক মারাত্মক বাস্তবচিত্র তুলে ধরে বলেন, “আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ টাকা।” তিনি জানান, এই তথ্য দিয়েছেন তাঁকে একজন খ্যাতনামা বড় ব্যবসায়ী, যিনি সাম্প্রতিক প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থেকে এমন অভিমত দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “এই অবস্থা প্রমাণ করে যে রাষ্ট্রযন্ত্রে নিয়ন্ত্রণ বলতে কিছু নেই। কোথাও কোনো সুশাসন নেই। পুলিশ বিভাগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হয়নি। তবে রাতারাতি এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সময় লাগবে। কিন্তু বসে থাকলে চলবে না। গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। সংস্কার চাপিয়ে নয়, বরং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা আনতে হবে।”

তিনি রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের তাগিদ দিয়ে বলেন, “অবিলম্বে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে হবে। নইলে দুর্নীতি, অকার্যকর শাসন ও বৈষম্যের এই সংস্কৃতি আরও গভীর হবে।”

বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগত শুল্ক আরোপ সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য বড় অর্থনৈতিক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা।”

সালেহউদ্দিন আহমেদ: “সুশাসন কেবল শব্দ নয়, এটি একটি কঠিন বাস্তবতা”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ভালো প্রতিষ্ঠান দেশে এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু মানুষগুলো তো আগের জায়গাতেই রয়ে গেছে, তারা বদলায়নি।”

তিনি প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে বলেন, “অনেকে বলেন সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন করে শুরু করো। কিন্তু সেটি বাস্তবসম্মত নয়। আমাদেরকে কাজ করাতে হচ্ছে কখনও মাথায় হাত বুলিয়ে, কখনও ধমক দিয়ে। কারণ এটাই বাস্তবতা।”

তিনি আরও বলেন, “সুশাসন অর্জন করা সহজ নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য পর্যন্ত সবার কার্যক্রমে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ বা ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নেই। এই ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা না হলে যত সংস্কারই করা হোক, তা ফলপ্রসূ হবে না। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক চর্চার সংস্কার অপরিহার্য।”

হোসেন জিল্লুর রহমান: “অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতার যোগসূত্র ধরার চেষ্টা”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বইটির লেখক হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, “এই বইয়ে আমি চেষ্টা করেছি অর্থনৈতিক বাস্তবতা, শাসনব্যবস্থার জটিলতা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রকৃত অবস্থা একত্রে বিশ্লেষণ করতে। আমাদের যাপিত জীবনে এই তিনটি বিষয়ের প্রভাব গভীর এবং পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত।”

তিনি মনে করেন, “যদি আমরা অর্থনীতিকে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে চাই, তবে শাসনব্যবস্থায় ন্যায্যতা, জবাবদিহিতা এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য। এই ত্রিমাত্রিক বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা ছাড়া কেবল নীতিগত আলোচনা দিয়ে কোনো কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।”

সংকটের ভেতর থেকেই উত্তরণের পথ

আজকের এই আলোচনা শুধু একটি বই প্রকাশের আয়োজন নয়, বরং বাংলাদেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পর্যালোচনার মঞ্চ হয়ে উঠেছিল। বক্তারা প্রত্যেকে শাসন ও সুশাসন বিষয়ে গভীর ও বাস্তবসম্মত বিশ্লেষণ তুলে ধরেন, যেখানে দুর্নীতি ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

যেখানে ঘুষ পাঁচগুণ বেড়ে গেছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে, সেখানে গণতন্ত্রই হতে পারে একমাত্র আশ্রয়স্থল — এমন বার্তাই হয়তো আজকের আলোচনা থেকে উঠে আসে। এই সংকটের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতি, প্রশাসন ও অর্থনীতি এক নতুন পথের সন্ধান পাবে — যদি সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি বাস্তবায়ন করা যায়।


গয়না কিনবেন? স্বর্ণ-রুপার আজকের দরদাম জেনে নিন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:৫১:২২
গয়না কিনবেন? স্বর্ণ-রুপার আজকের দরদাম জেনে নিন
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস এবং নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুস জানিয়েছে যে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড গড়েছে। নতুন মূল্যতালিকায় দেখা যায় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকায়। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ কিনতে এখন থেকে ক্রেতাদের খরচ করতে হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে।

বাজুস তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে স্বর্ণের এই নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে যার ফলে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে প্রকৃত দাম আরও অনেকটা বেড়ে যাবে। এর আগে মাত্র কয়েক দিন আগে গত ১১ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল যেখানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা কিন্তু মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে তা আবারও বাড়ানোর ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে যেখানে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায় এবং ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা। উল্লেখ্য চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে ৭ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৩ হাজার ৭৩২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৭৯৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।


রেমিট্যান্স বাড়লেও স্বস্তি নেই: বাণিজ্য ঘাটতি তুঙ্গে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:০৭:৪৩
রেমিট্যান্স বাড়লেও স্বস্তি নেই: বাণিজ্য ঘাটতি তুঙ্গে
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায় যে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এই ঘাটতি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে কারণ গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে যে গত চার মাসে মোট আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২.১১ বিলিয়ন ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ বেশি এবং এর বিপরীতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৪.৫ বিলিয়ন ডলার ফলে আমদানি ও রপ্তানির এই বিশাল ব্যবধানের কারণেই বাণিজ্য ভারসাম্যে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

গত এক বছরের অধিকাংশ সময়ে মাসিক আমদানির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে সীমাবদ্ধ থাকলেও রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে গত অক্টোবর মাসে তা এক লাফে প্রায় ৫.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে এই চার মাসে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মূল চালিকাশক্তি ছিল পেট্রোলিয়াম ও সার আমদানির পাশাপাশি রমজান উপলক্ষ্যে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, মটর ডাল ও খেজুরের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাড়তি চাহিদা মেটানো। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য আমদানির জন্য অধিক পরিমাণে ঋণপত্র বা এলসি খোলার ফলে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খেজুরের আমদানি ২৩১ শতাংশ এবং মটর ডালের আমদানি রেকর্ড ২৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ এবং ছোলা আমদানি ২৭ শতাংশ বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমদানি ব্যয়ের এই উর্ধ্বগতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসাবেও যেখানে জুলাই-অক্টোবর সময়ে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৪৯ মিলিয়ন ডলারে যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৪০ মিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও মূলত আমদানি ব্যয়ের লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে চলতি হিসাব ঋণাত্মক ধারায় রয়ে গেছে। তথ্যে দেখা যায় যে আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের ৮.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১০.১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে কিন্তু এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স বাড়ার পরও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করে চলতি হিসাবকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। মূলত জ্বালানি তেল ও সারের আমদানি যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া এবং একই সঙ্গে রমজানের পণ্যের মজুদ গড়ার তোড়জোড় অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকটিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।


১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১১:৪০:১৩
১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের টাকার রেট জানা সাধারণ মানুষ, প্রবাসী আয়ের প্রেরক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন, ডলারের চাহিদা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের প্রধান প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নির্ধারিত টাকার রেট (১৬ অক্টোবর ২০২৫)

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় মূল্য নিম্নরূপ:

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা:

সৌদি রিয়াল: ৩২.৫১ টাকা

দুবাই দেরহাম: ৩৩.২০ টাকা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৭.২৩ টাকা

ওমানি রিয়াল: ৩১৬.৬৯ টাকা

কাতারি রিয়াল: ৩৩.৪৯ টাকা

বাহরাইন দিনার: ৩২৪.৩০ টাকা

ইরাকি দিনার: ০.০৯ টাকা

লিবিয়ান দিনার: ২২.৪৮ টাকা

পশ্চিমা ও ইউরোপীয় মুদ্রা:

ইউএস ডলার: ১২১.৯৩ টাকা

ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬২.৮১ টাকা

ইউরো: ১৪১.৬৭ টাকা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৮.৯৪ টাকা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৭.০১ টাকা

এশীয় ও অন্যান্য দেশের মুদ্রা:

মালয়েশিয়ান রিংগিত: ২৮.৮৭ টাকা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪.৯৮ টাকা

ব্রুনাই ডলার: ৯৩.৯৮ টাকা

চাইনিজ রেন্মিন্বি: ১৭.০৯ টাকা

জাপানি ইয়েন: ০.৮২ টাকা

ভারতীয় রুপি: ১.৩৭ টাকা

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন: ০.০৮ টাকা

তুর্কি লিরা: ২.৯২ টাকা

দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড: ৬.৬৯ টাকা

মালদ্বীপীয় রুপি: ৭.৯৪ টাকা

কেন পরিবর্তন হয় মুদ্রার রেট?

অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করে:

আন্তর্জাতিক বাজার: বিশ্ববাজারে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে দাম বাড়ে বা কমে।

আমদানি-রপ্তানি: দেশের আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয়ের ভারসাম্যের ওপর টাকার মান নির্ভর করে।

বৈদেশিক রিজার্ভ: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের স্থিতি টাকার মানকে প্রভাবিত করে।

সতর্কতা ও পরামর্শ

উপরে উল্লেখিত রেটগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স রেট। খোলা বাজারে (কার্ব মার্কেট) বা মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে এই রেটের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর আগে এবং ব্যবসায়ীরা এলসি খোলার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সর্বশেষ রেট জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।


স্বর্ণের বাজারে আবার অস্থিরতা: এক লাফে বাড়ল স্বর্ণের দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১০:৫৯:৪৩
স্বর্ণের বাজারে আবার অস্থিরতা: এক লাফে বাড়ল স্বর্ণের দাম
ছবি : সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে এবং আজ মঙ্গলবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হবে রেকর্ড পরিমাণ ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যা আজ ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে। বাজুসের নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের পাশাপাশি অন্যান্য মানের স্বর্ণের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকায়। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও পিছিয়ে নেই এবং আজ থেকে এই মানের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে হলে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা খরচ করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।

ক্রেতাদের মনে রাখতে হবে যে বাজুস নির্ধারিত এই মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম সর্বশেষ সমন্বয় করা হয়েছিল যখন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং ২১ ক্যারেটের দাম ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানোর ফলে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হলো বিশেষ করে যারা আসন্ন বিয়ের মৌসুমকে সামনে রেখে গয়না কেনার পরিকল্পনা করছিলেন।

স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে ৭ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৪ হাজার ৫৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং ২১ ক্যারেটের ক্ষেত্রে এই দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৭৯৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। বাজুসের এই ঘন ঘন দাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং ক্রেতারা বলছেন যে বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানো হলেও কমার ক্ষেত্রে সেই প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায় না।


এক লাফে ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম বাড়ল যত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:১৫:১৩
এক লাফে ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম বাড়ল যত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে উন্নত মানের স্বর্ণের দাম দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন বাজুস শনিবার এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূল্য সংশোধনের ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় জানানো হয়, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই মূল্যহার কার্যকর হয়েছে এবং সোমবার ১৫ ডিসেম্বরও একই দর বহাল রয়েছে।

বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দামের ওঠানামার প্রভাব সরাসরি দেশের বাজারে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

নতুন তালিকা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভরি প্রতি ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। একই সঙ্গে ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি প্রতি বিক্রি হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকায়।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের ভরি প্রতি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা।

স্বর্ণের পাশাপাশি রূপার বাজারেও দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজুসের ঘোষণায় বলা হয়, ২২ ক্যারেট রূপার ভরি প্রতি দাম এখন ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। একই সঙ্গে ২১ ক্যারেট রূপা বিক্রি হবে ৪ হাজার ৩৬২ টাকায়।

১৮ ক্যারেট রূপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভরি প্রতি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ভরি প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়েছে।

বাজুস আরও জানিয়েছে, ঘোষিত দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং ন্যূনতম মজুরি যুক্ত হলে গহনার চূড়ান্ত দাম আরও বাড়তে পারে। গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির পার্থক্যও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

-রাফসান


স্বর্ণের নতুন বাজার দর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১০:৫৯:০৩
স্বর্ণের নতুন বাজার দর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এর সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। স্বর্ণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রুপার দামও।

স্বর্ণের নতুন দাম (প্রতি ভরি) বাজুসের নির্ধারিত নতুন রেট অনুযায়ী সোমবার থেকে স্বর্ণের দাম হবে নিম্নরূপ

২২ ক্যারেট (সবচেয়ে ভালো মান): ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা।

২১ ক্যারেট: ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা।

১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা।

রুপার নতুন দাম (প্রতি ভরি) স্বর্ণের সঙ্গে রুপার বাজারেও বড় পরিবর্তন এসেছে। নতুন দরগুলো হলো

২২ ক্যারেট: ৪ হাজার ৫৭২ টাকা।

২১ ক্যারেট: ৪ হাজার ৩৬২ টাকা।

১৮ ক্যারেট: ৩ হাজার ৭৩২ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: ২ হাজার ৮০০ টাকা।

বাড়তি কত খরচ হবে? ক্রেতাদের স্বর্ণালংকার কেনার সময় নির্ধারিত দরের সঙ্গে আরও দুটি খরচ যুক্ত করতে হবে

সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট।

বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি (গহনার ডিজাইন ও মানভেদে এটি কম-বেশি হতে পারে)।

দাম বাড়ার কারণ ও প্রেক্ষাপট বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৪ টাকা, যা সোমবার থেকে বেড়ে ২ লাখ ১৫ হাজার ছাড়াল।


ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:৪৯:২২
ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে টাকার বিনিময় হার জানা সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ মুদ্রার নতুন বিনিময় হার প্রকাশ করেছে।

প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আজকের উল্লেখযোগ্য মুদ্রার দর নিম্নরূপ

মার্কিন ডলার (USD): ১২২.১৪ টাকা

ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): ১৬০.৬১ টাকা

ইউরো (EUR): ১৪২.২০ টাকা

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রার রেট (রেমিট্যান্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ) প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। সেখানকার মুদ্রার আজকের দর:

কুয়েতি দিনার: ৩৯৮.২৮ টাকা (সবচেয়ে শক্তিশালী)

বাহরাইন দিনার: ৩২৪.৮৯ টাকা

ওমানি রিয়াল: ৩১৭.৪৪ টাকা

কাতারি রিয়াল: ৩৩.৫৬ টাকা

দুবাই দেরহাম (UAE): ৩৩.২৫ টাকা

সৌদি রিয়াল: ৩২.৫৭ টাকা

এশিয়া ও প্রতিবেশী দেশের মুদ্রার রেট এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও ভ্রমণকারীদের জন্য আজকের দর:

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৩.৯৭ টাকা

ব্রুনাই ডলার: ৯৩.৯৬ টাকা

মালয়েশিয়ান রিংগিত: ২৯.৫৬ টাকা

চাইনিজ রেন্মিন্বি: ১৭.২২ টাকা

ভারতীয় রুপি: ১.৩৭ টাকা

জাপানি ইয়েন: ০.৭৯ টাকা

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন: ০.০৮ টাকা

অন্যান্য দেশের মুদ্রার রেট

কানাডিয়ান ডলার: ৮৭.১০ টাকা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৯.৮৭ টাকা

লিবিয়ান দিনার: ২২.৩৭ টাকা

মালদ্বীপীয় রুপি: ৭.৯১ টাকা

দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড: ৬.৬৯ টাকা

তুর্কি লিরা: ২.৮৮ টাকা

ইরাকি দিনার: ০.০৯ টাকা

মুদ্রার দর ওঠানামার কারণ ও প্রভাব অর্থনীতিবিদদের মতে, টাকার মান পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে

আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার চাহিদা বাড়লে টাকার মান কমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য দরের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

এই হালনাগাদ রেট আমদানিকারকদের পণ্যের মূল্য নির্ধারণে এবং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর সঠিক সময় বেছে নিতে সাহায্য করে, যা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।


গত বছরের রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন গতি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ২০:৫৫:৫১
গত বছরের রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন গতি
ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের শুরুতেই প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। মাসের প্রথম ১৩ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। রবিবার ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

আগের মাস ও বছরের সঙ্গে তুলনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রবাসী আয়ের এই প্রবাহ আগের মাস ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। আগের মাস নভেম্বরের ১৩ দিনের গড় হিসাবে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৫ কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার ৩৩৩ ডলার। অন্যদিকে গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে এসেছিল ১২৩ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

কোন ব্যাংকে কত আয় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের চিত্র পর্যালোচনে দেখা যায় বরাবরের মতোই বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

বেসরকারি ব্যাংক: ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ডলার।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক: ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংক: ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বিদেশি ব্যাংক: ৩২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন ডলারের বিনিময় হার ১২২ টাকায় স্থিতিশীল থাকা এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কড়াকড়ির কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।


প্রবাসীদের জন্য জরুরি খবর, জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১০:৫৬:৫৫
প্রবাসীদের জন্য জরুরি খবর, জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে টাকার সঠিক মান জানা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রবাসী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে টাকার মান নিয়মিত ওঠানামা করছে। আজ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের হালনাগাদ মুদ্রা বিনিময় হার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রধান মুদ্রাগুলোর আজকের দর

আজকের নির্ধারিত রেট অনুযায়ী মার্কিন ডলারের মান দাঁড়িয়েছে ১২২ দশমিক ৩৮ টাকা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোর দাম ১৪১ দশমিক ০৭ টাকা এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের দর ১৬৩ দশমিক ৪৮ টাকা। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুদ্রার মান বা ইন্ডিয়ান রুপি আজ ১ দশমিক ৩৭ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার মুদ্রার হালচাল

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি প্রবাসীরা। মধ্যপ্রাচ্য থেকে যারা রেমিট্যান্স পাঠান তাদের জন্য আজকের রেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি রিয়ালের আজকের দর ৩২ দশমিক ৫১ টাকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বা দুবাইয়ের দেরহাম ৩৩ দশমিক ২০ টাকা। কুয়েতি দিনারের মান আকাশচুম্বী হয়ে ৩৯৭ দশমিক ২৩ টাকায় পৌঁছেছে। এছাড়া ওমানি রিয়াল ৩১৬ দশমিক ৬৯ টাকা এবং কাতারি রিয়াল ৩৩ দশমিক ৪৯ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

এশিয়ার শ্রমবাজারের আরেক বড় উৎস মালয়েশিয়ার রিংগিতের আজকের রেট ২৮ দশমিক ৮৭ টাকা। সিঙ্গাপুর ডলারের মান ৯৪ দশমিক ৯৮ টাকা।

অন্যান্য মুদ্রার দর

আজকের বাজারে অন্যান্য মুদ্রার মধ্যে ব্রুনাই ডলার ৯৩ দশমিক ৯৮ টাকা, বাহরাইন দিনার ৩২৪ দশমিক ৩০ টাকা, চাইনিজ রেন্মিন্বি ১৭ দশমিক ০৯ টাকা, জাপানি ইয়েন ০ দশমিক ৮২ টাকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ান ওন ০ দশমিক ০৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৮ দশমিক ৯৪ টাকা এবং কানাডিয়ান ডলার ৮৭ দশমিক ০১ টাকায় অবস্থান করছে।

মুদ্রা বিনিময় হারে পরিবর্তনের কারণ অর্থনীতিবিদরা বলছেন প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার চাহিদা ও জোগান। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ আমদানি ও রপ্তানি ভারসাম্য এবং বৈদেশিক ঋণের অবস্থা এর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। আমদানিকারকরা এই হারের ভিত্তিতে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেন এবং প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় এই রেট বিবেচনা করে থাকেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত