ডিএসই–৩০ সূচকে কোন শেয়ারে বাড়ল লেনদেন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:১৯:৪৪
ডিএসই–৩০ সূচকে কোন শেয়ারে বাড়ল লেনদেন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকভুক্ত ডিএসই–৩০ তালিকার শেয়ারগুলোতে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত লেনদেনে মিশ্র চিত্র দেখা গেছে। কিছু শেয়ারে সামান্য উত্থান থাকলেও বেশ কয়েকটিতে দরপতন লক্ষ্য করা গেছে, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানকেই প্রতিফলিত করছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (BATBC) শেয়ারের সর্বশেষ লেনদেন মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫০ টাকা ৭০ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য কম। শেয়ারটি ৯১ বার লেনদেনে প্রায় ১৭ লাখ টাকার বেশি মূল্য লেনদেন করেছে।

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে বীকন ফার্মা ও স্কয়ার ফার্মার লেনদেন ছিল উল্লেখযোগ্য। বীকন ফার্মার শেয়ার দর কমে দাঁড়ায় ১০৪ টাকায়, অন্যদিকে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার ২০১ টাকা ২০ পয়সায় অপরিবর্তিত অবস্থায় লেনদেন হয়েছে।

ব্যাংকিং খাতে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারগুলোতে স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। সিটি ব্যাংকের শেয়ারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল উল্লেখযোগ্য, যেখানে ৯ লাখের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়ে প্রায় ২২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা—উভয় কোম্পানির শেয়ারেই চাপ দেখা গেছে। গ্রামীণফোনের শেয়ার দর কমে দাঁড়িয়েছে ২৫৬ টাকা ৮০ পয়সায়, আর রবির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকা ২০ পয়সায়।

ইঞ্জিনিয়ারিং ও শিল্প খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে কেবিপি পাওয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত এবং লাভেলোর শেয়ারে তুলনামূলক বেশি লেনদেন লক্ষ্য করা গেছে। কেবিপি পাওয়ার বিল্ডার্সের শেয়ারে এক হাজারের বেশি ট্রেড হয়েছে, যা বাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নির্দেশ করে।

সিমেন্ট ও ভোগ্যপণ্য খাতে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, অলিম্পিক, কহিনূর এবং ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ারে সীমিত লেনদেন হয়েছে। ওয়ালটনের শেয়ার সামান্য বেড়ে ৩৭৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

সব মিলিয়ে ডিএসই–৩০ তালিকার শেয়ারগুলোতে আজকের লেনদেনে বড় কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন না থাকলেও কিছু নির্বাচিত শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ স্পষ্ট ছিল। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা আপাতত সতর্ক কৌশলেই এগোচ্ছেন।

-শরিফুল


শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দুঃসংবাদ দিল মাকসন্স স্পিনিং

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:০৫:০১
শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দুঃসংবাদ দিল মাকসন্স স্পিনিং
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান মাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ২০২৪ ২৫ অর্থবছরের জন্য কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক ফলাফল পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার ১৫ ডিসেম্বর কোম্পানির পক্ষ থেকে ডিএসইকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির প্রতি শেয়ার আয় ইপিএস দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৯ দশমিক ৪২ টাকা। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত সময়ে এই ইপিএস ছিল ঋণাত্মক ৩ দশমিক ৬৯ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এছাড়া ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানির প্রতি শেয়ার নিট সম্পদ মূল্য এনএভি কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮৪ টাকায়। আগের বছর একই সময়ে এই এনএভি ছিল ১২ দশমিক ২৯ টাকা। নগদ অর্থপ্রবাহের ক্ষেত্রেও দুর্বলতা দেখা গেছে। চলতি অর্থবছরে প্রতি শেয়ার অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ ৫ দশমিক ৮২ টাকা হয়েছে, যেখানে আগের বছর তা ছিল নেগেটিভ ২ দশমিক ৫৭ টাকা।

কোম্পানির আর্থিক সূচকে ধারাবাহিক অবনতি ও ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জের কারণে পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো নগদ বা বোনাস লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়।

এদিকে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজন করা হবে, যেখানে অনলাইনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিতির সুযোগও থাকবে। সরাসরি উপস্থিতির স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। অনলাইন অংশগ্রহণের জন্য বিনিয়োগকারীরা নির্ধারিত ডিজিটাল লিংকের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হতে পারবেন।

মাকসন্স স্পিনিংয়ের রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ জানুয়ারি ২০২৬। এই তারিখ অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডারদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

-রাফসান


ডিএসইতে আজ একাধিক ফান্ডের ডেইলি এনএভি ঘোষণা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১০:৫১:৩০
ডিএসইতে আজ একাধিক ফান্ডের ডেইলি এনএভি ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত একাধিক ওপেন এন্ডেড মিউচুয়াল ফান্ড ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের কার্যদিবস শেষে ইউনিটপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু এনএভি ঘোষণা করেছে। ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পোস্ট ডেটে প্রকাশিত ঘোষণাগুলোতে প্রতিটি ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বর্তমান বাজারদরভিত্তিক এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে জানানো হয়। একই সঙ্গে সম্পদ ও দায় সমন্বয়ের পর মোট নেট অ্যাসেটের অঙ্কও উল্লেখ করা হয়েছে, যা বাজারদরের ভিত্তিতে ও কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী IFIC1STMF ফান্ডে ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরভিত্তিক ৭ টাকা ৩৪ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১১ টাকা ৬৭ পয়সা নির্ধারিত হয়েছে। একই তারিখে FBFIF ফান্ডের এনএভি বাজারদরভিত্তিক ৭ টাকা ০৫ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১১ টাকা ৩৭ পয়সা। EXIM1STMF ফান্ডে ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরভিত্তিক ৭ টাকা ১৩ পয়সা ও কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১১ টাকা ৫৪ পয়সা প্রকাশ করা হয়েছে।

অন্যদিকে EBLNRBMF এর এনএভি বাজারদরভিত্তিক ৬ টাকা ৩৭ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১১ টাকা ৩৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। EBL1STMF ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৬ টাকা ২৬ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি ১১ টাকা ৪৮ পয়সা। ABB1STMF ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৭ টাকা ০১ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১১ টাকা ৬০ পয়সা জানানো হয়েছে।

উচ্চ এনএভির তালিকায় GLDNJMF ফান্ডে ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরভিত্তিক ৯ টাকা ৩০ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১১ টাকা ১১ পয়সা প্রকাশ পায়। পাশাপাশি 1JANATAMF ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৫ টাকা ৯৫ পয়সা হলেও কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি ১১ টাকা ৪৩ পয়সা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ICBAGRANI1 ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৯ টাকা ২৩ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১২ টাকা ২০ পয়সা, আর ICBSONALI1 ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক ৮ টাকা ১৭ পয়সা ও কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১২ টাকা ৫১ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও কয়েকটি ফান্ডে IFILISLMF1 এর বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৬ টাকা ৮৪ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১১ টাকা ৬৩ পয়সা অপরিবর্তিত ধারায় রয়েছে। PF1STMF এ বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৭ টাকা ৬৩ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১২ টাকা ৪৭ পয়সা প্রকাশ করা হয়। ICB3RDNRB ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৭ টাকা ৫১ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১২ টাকা ৫৮ পয়সা, PRIME1ICBA তে বাজারদরভিত্তিক ৭ টাকা ৫৮ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১২ টাকা ৯৯ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ICBEPMF1S1 ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৭ টাকা ৩৬ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১২ টাকা ৪১ পয়সা প্রকাশিত হয়। ICBAMCL2ND ফান্ডে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৮ টাকা ৩০ পয়সা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ১৩ টাকা ৬২ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। 1STPRIMFMF ফান্ডের ক্ষেত্রে বাজারদরভিত্তিক এনএভি ৮ টাকা ২৯ পয়সা হলেও কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি উল্লেখযোগ্যভাবে ১৬ টাকা ৭৭ পয়সা হিসেবে জানানো হয়। প্রতিটি ঘোষণায় ফেস ভ্যালু ১০ টাকা উল্লেখ থাকায় বিনিয়োগকারীরা বাজারদরভিত্তিক এনএভি ও কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভির পার্থক্য থেকে ফান্ডের অন্তর্নিহিত ভ্যালুয়েশন ও বর্তমান বাজারচাপ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।

-রাফসান


১৪ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৫:১১:১৬
১৪ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) বড় ধরনের দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। দিনশেষে মাত্র ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির দর।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায় আজ মোট ৩৯১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। সব ক্যাটাগরিতেই ছিল নেতিবাচক প্রবণতা। ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন 'এ' ক্যাটাগরিতে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের দর বাড়লেও কমেছে ১৩৬টির। 'বি' ক্যাটাগরিতে ১৯টি কোম্পানির দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৫০টির। এছাড়া 'জেড' ক্যাটাগরিতে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে এবং ৬৩টির দর কমেছে।

তবে বাজারের এই নাজুক পরিস্থিতিতেও মিউচুয়াল ফান্ড (MF) খাতে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এই খাতে ১৩টি ফান্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাত্র ২টির দর কমেছে। বাকি ২০টি ফান্ডের দর ছিল অপরিবর্তিত।

দরপতনের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণেও মিশ্র প্রভাব পড়েছে। দিনশেষে ডিএসইতে মোট ৪ হাজার ৫৭৪ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন বা প্রায় ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। মোট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০টি ট্রেডের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে ১৬৫ মিলিয়নের লেনদেন

মূল বাজারের পাশাপাশি ব্লক মার্কেটে আজ ১৬৫ দশমিক ০৬৫ মিলিয়ন বা প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। মোট ২৯টি স্ক্রিপের শেয়ার ও ইউনিট এখানে হাতবদল হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন (ORIONINFU)। কোম্পানিটির প্রায় ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফাইন ফুডস (FINEFOODS) লেনদেন করেছে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (CITYGENINS) যার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া সোনালী লাইফ (SONALILIFE) ৯৫ লাখ এবং জিকিউ বলপেন (GQBALLPEN) ১ কোটি ৯ লাখ টাকার লেনদেন করেছে।

দিনশেষে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঘরে।


১৪ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৫:০৫:৪১
১৪ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারের লেনদেনে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে এই দরপতন পরিমাপ করা হয়েছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে জিল বাংলা সুগার মিলস (ZEALBANGLA)। অন্যদিকে দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে ফাস ফাইন্যান্সের (FASFIN)।

Close Price vs YCP

গতকালের সমাপনী মূল্যের সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায় দরপতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিলস। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৯৬৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গতকাল এটির ওয়াইসিপি ছিল ১৭১ টাকা ৬ পয়সা যা আজ লেনদেন শেষে ১৫৪ টাকা ৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (FASFIN) যার দর কমেছে ৯ দশমিক ৮৭৬৫ শতাংশ। ৯ দশমিক ২৩৯১ শতাংশ দর হারিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি (USMANIAGL)।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো নর্দান জুট (৮.২৩৬৩ শতাংশ), শ্যামপুর সুগার মিলস (৭.৯৫-৬ শতাংশ), মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক (৭.৭৯২২ শতাংশ), রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (৭.৪৯৩৪ শতাংশ), প্রিমিয়ার লিজিং (৭.২৪৬৪ শতাংশ), ফারইস্ট ফাইন্যান্স (৭.১৪২৯ শতাংশ) এবং ফিনিক্স ফাইন্যান্স (৬.৮৯৬৬ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে ফাস ফাইন্যান্সের। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ১৪ দশমিক ১১৭৬ শতাংশ হ্রাস পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ৮৫ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ এলটিপি দাঁড়ায় ৭৩ পয়সায়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি যার ডেভিয়েশন মাইনাস ১১ দশমিক ৮৪২১ শতাংশ। জিল বাংলা সুগার মিলস মাইনাস ১১ দশমিক ৭১৪৩ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফিনিক্স ফাইন্যান্স (৯.৬৭৭৪ শতাংশ), কেপিপিএল (৮.৮৫৪২ শতাংশ), মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক (৮.৩৮৭১ শতাংশ), শ্যামপুর সুগার মিলস (৮.১৭৭৩ শতাংশ), প্রাইম ফাইন্যান্স (৭.৬৯২৩ শতাংশ), নর্দান জুট (৭.৬৫৭৭ শতাংশ) এবং মেট্রো স্পিনিং (৭.৬০৮৭ শতাংশ)।

পর্যালোচনা করে দেখা যায় জিল বাংলা সুগার মিলস, ফাস ফাইন্যান্স, উসমানিয়া গ্লাস, নর্দান জুট, শ্যামপুর সুগার, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক এবং ফিনিক্স ফাইন্যান্স এই সাতটি প্রতিষ্ঠান উভয় তালিকাতেই দরপতনের শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে এই কোম্পানিগুলো গতকালের তুলনায় যেমন দর হারিয়েছে তেমনি আজকের দিনের লেনদেনের শুরুতেও তীব্র বিক্রয় চাপের মুখে ছিল।


১৪ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৫:০০:৪৮
১৪ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে মিউচুয়াল ফান্ড এবং খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের দাপট লক্ষ্য করা গেছে। সপ্তাহের এই প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারের দরবৃদ্ধির দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে শীর্ষস্থান দখল করেছে ফার্স্ট প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড (1STPRIMFMF) এবং রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড (RELIANCE1)। গতকালের সমাপনী মূল্যের সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের তুলনা এবং দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের সাথে সর্বশেষ মূল্যের তুলনা—উভয় ক্ষেত্রেই এই ফান্ডগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল।

Close Price vs YCP

গতকালের সমাপনী মূল্য বা ওয়াইসিপি-র সাথে আজকের সমাপনী মূল্য বা ক্লোজ প্রাইসের শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায় গেইনারের তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে 1STPRIMFMF। ফান্ডটির ইউনিট দর ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল এর ওয়াইসিপি ছিল ১৯ টাকা যা আজ লেনদেন শেষে ২০ টাকা ৯ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খাদ্য খাতের কোম্পানি BANGAS যার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৫৫৯ শতাংশ। ৯ দশমিক ৫৫৮৮ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে RELIANCE1।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো APEXTANRY (৬.০৭৬৪ শতাংশ), DSHGARME (৬.০২৭৪ শতাংশ), CAPMIBBLMF (৫.৮৮২৪ শতাংশ), GQBALLPEN (৫.৪১৫৩ শতাংশ), BDAUTOCA (৪.৯৩৭৩ শতাংশ), DBH1STMF (৪.৭৬১৯ শতাংশ) এবং RAHIMAFOOD (৪.২৬৬১ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্য বা ওপেন প্রাইসের তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্য বা এলটিপি-র ডেভিয়েশন পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল RELIANCE1। ফান্ডটির ইউনিট দর দিনের মধ্যেই ১২ দশমিক ০৩০১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ১৩ টাকা ৩ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ এলটিপি দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৯ পয়সায়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে 1STPRIMFMF যার ডেভিয়েশন ৮ দশমিক ৮৫৪২ শতাংশ। BANGAS ৮ দশমিক ৬১৬২ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো CAPMIBBLMF (৭.৪৬২৭ শতাংশ), DSHGARME (৫.৫৪৫৫ শতাংশ), RAHIMTEXT (৪.৮১৯৯ শতাংশ), DBH1STMF (৪.৭৬১৯ শতাংশ), APEXTANRY (৪.০৮৮৬ শতাংশ), BDLAMPS (৩.৭৩৭৬ শতাংশ) এবং CAPMBDBLMF (৩.৭০৩৭ শতাংশ)।

পর্যালোচনা করে দেখা যায় 1STPRIMFMF, BANGAS, RELIANCE1, APEXTANRY, DSHGARME, CAPMIBBLMF এবং DBH1STMF এই প্রতিষ্ঠানগুলো উভয় তালিকাতেই শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। বিশেষ করে মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যাপক উপস্থিতি আজ বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।


৪.৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা এমডির

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ১০:০৯:১৯
৪.৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা এমডির
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (SALVO)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোম্পানির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিমালা অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তিনি এই শেয়ার ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন বলে জানানো হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাম ওবায়দুল করিম বিদ্যমান বাজারদরে মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাবলিক মার্কেট অথবা ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে এই শেয়ারগুলো সংগ্রহ করবেন। ঘোষণার তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ ক্রয় সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই শেয়ার ক্রয়ের সিদ্ধান্তটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশনস, ২০১৫-এর ৩৪(১) বিধি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৪ নম্বর বিধির আলোকে জানানো হয়েছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীর নিজ কোম্পানির শেয়ার কেনার ঘোষণা সাধারণত বিনিয়োগকারীদের কাছে আস্থার বার্তা হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে করে বাজারে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে।

ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এই ঘোষণাকে বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ করপোরেট অগ্রগতির ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে।

-শরিফুল


শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১১:৫৬:৫৩
শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহজুড়ে তুলনামূলক স্থিতিশীল লেনদেনের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকগুলো ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দিয়ে সপ্তাহ শেষ করেছে। বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স ৭৭.২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৬৩.৮৩ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১.৫৮ শতাংশ বেশি। একইভাবে ডিএস৩০ সূচক ও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক যথাক্রমে ১১.৬৬ ও ৯.৬৯ পয়েন্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।

অন্যদিকে SME বাজারের সূচক ডিএসএমইএক্স সবচেয়ে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, সপ্তাহে ৬.৬৪ শতাংশ অগ্রগতি নিয়ে তা দাঁড়িয়েছে ৮৮৩.৮৮ পয়েন্টে। এদিকে বাজারের মোট মূলধনও সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ৬,৮৬৩,৬৮২ মিলিয়ন টাকা, যা মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে ০.২৩ শতাংশ উন্নতি নির্দেশ করে।

সাপ্তাহিক গড় টার্নওভার খানিকটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৭৬.০১ মিলিয়ন টাকা, তবে গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৫.৭৬ শতাংশ। সার্বিকভাবে বাজারে অগ্রগামী কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৩৩৩, পতন হয়েছে মাত্র ৩৬টির, অপরিবর্তিত লেনদেনে ছিল ২২টি। ফলে সামগ্রিক মার্কেট ব্রেথে শক্তিশালী ইতিবাচকতা দেখা যায় এবং ADR দাঁড়ায় ৯.২৫, যা বাজারজুড়ে ক্রয়চাপের ইঙ্গিত দেয়।

সেক্টরভিত্তিক লেনদেনেও উল্লেখযোগ্য ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।

• ফার্মাসিউটিক্যালস, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল এবং ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড খাত সাপ্তাহিক টার্নওভারে এগিয়ে থেকেছে।

• সিমেন্ট, জেনারেল ইনস্যুরেন্স এবং লাইফ ইনস্যুরেন্স খাত টার্নওভারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।

• বিপরীতে ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার, সার্ভিস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট এবং কাগজ ও প্রিন্টিং খাতে লেনদেন সংকোচন হয়েছে।

সাপ্তাহিক টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে ছিল অরিয়ন ইনফিউশন, যার পরে রয়েছে Simtex, Dominage Steel এবং KBPPWBIL। এসব স্টক টার্নওভারে বাজারের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করেছে। ব্লক মার্কেটেও সক্রিয় ছিল Fine Foods, PTL, GP ও Square Pharma।

সপ্তাহের সেরা গেইনার হিসেবে শীর্ষে ছিল Zeal Bangla, যার মূল্য বৃদ্ধি ২৯.৯০ শতাংশ। সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত শেয়ারগুলোর মধ্যে ছিল Meghna Petroleum, যার শেয়ারমূল্য কমেছে ১০.২৮ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিক সূচকের উন্নতি ও ইতিবাচক মার্কেট ব্রেথ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিনিয়োগকারীরা সিলেক্টিভ স্টকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তবে লেনদেনের ঢিমেতাল গতি বাজারে সতর্ক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

-রাফসান


শক্তিশালী লেনদেনে দিন শেষ করল ডিএসই মূল বোর্ড

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৫:১৪:৫৩
শক্তিশালী লেনদেনে দিন শেষ করল ডিএসই মূল বোর্ড
ছবি: সংগৃহীত

ডিএসইতে লেনদেনের গতি বেড়েছে, মূল বোর্ডে টার্নওভার ছাড়াল ৪৬৩৭ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে বৃহস্পতিবারের লেনদেন ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে সক্রিয়। দিনের পুরো সময়জুড়ে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ও অর্ডার প্রবাহ বাড়ায় বাজারে লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ডিএসইর প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে মোট ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৭টি ট্রেড সম্পন্ন হয়েছে।

এদিন বাজারজুড়ে শেয়ার হাতবদলের পরিমাণও ছিল ব্যাপক। লেনদেনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন ক্যাটাগরির সিকিউরিটিতে মোট ১৫ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ২৪০টি শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর তুলনায় বেশি। এতে করে বাজারের তারল্য পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

লেনদেনের আর্থিক মূল্য বা টার্নওভারে ছিল আরও শক্তিশালী গতি। দিনের শেষে টার্নওভার দাঁড়ায় ৪৬৩৭.৬৩৯ মিলিয়ন টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের বর্ধিত অংশগ্রহণ ও সক্রিয়তা নির্দেশ করে। বাজারে সেক্টরভিত্তিক চাহিদা, ব্লু-চিপ শেয়ারের পুনরুদ্ধার এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অবস্থান এই বৃদ্ধি টার্নওভারের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে, যা লেনদেনে প্রতিফলিত হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহগুলোতে আরও শক্তিশালী লেনদেন প্রত্যাশা করা যায়।

-রফিক


১১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৫:০৭:৩৫
১১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবারের লেনদেন দিনজুড়ে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় থাকে, যেখানে বাজারের অধিকাংশ সেক্টর অগ্রগতির ধারায় ছিল। দিনের সার্বিক চিত্র অনুযায়ী মোট ৩৯২টি ইস্যুর মধ্যে ২৬২টি অগ্রগতি দেখিয়েছে, আর মাত্র ৬৪টি ইস্যুর দর কমেছে। ৬৬টি ইস্যুর দর অপরিবর্তিত থাকায় বাজারে স্থিতিশীল প্রবাহও স্পষ্ট হয়েছে।

এ ক্যাটাগরির ইকুইটিগুলো লেনদেনে বিশেষ শক্তি দেখিয়েছে। মোট ২১৫টি সিকিউরিটির মধ্যে ১৪৪টির দর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রতিফলিত হয়েছে। তুলনায় দরপতন হয়েছে মাত্র ৩৬টিতে, আর ৩৫টি অপরিবর্তিত থেকেছে। স্থানীয় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে ইতিবাচক রাখছে বলে মনে করছেন বাজার–বিশ্লেষকেরা।

বি ক্যাটাগরিতে অগ্রগতি আরও উজ্জ্বল ছিল, যেখানে ৮০টি ইস্যুর মধ্যে ৭০টিরই দর বেড়েছে, আর মাত্র ৩টি দর হারিয়েছে। এই সেক্টরের তারল্য বৃদ্ধিও ভালো লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অন্যদিকে এন ক্যাটাগরিতে আজ কোনো লেনদেন হয়নি, যা নতুন ইস্যু না থাকায় স্বাভাবিক।

জেড ক্যাটাগরিতে মোট ৯৭টি সিকিউরিটি লেনদেন হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮টি দাম বাড়িয়েছে। তবে ২৫টি দর হারানো কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সেগমেন্টে চাপের ইঙ্গিত দেয়। ২৪টি ইস্যুর দাম অপরিবর্তিত থাকা এই সেগমেন্টের স্থিতিশীলতার সংকেতও বহন করে।

মিউচুয়াল ফান্ড খাতটিও আজ ইতিবাচক দিন পার করেছে। ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ১১টির দর বেড়েছে, আর কমেছে মাত্র ৩টি ফান্ডে। বাকি ২১টি অপরিবর্তিত থাকে। বিনিয়োগকারীদের কম ঝুঁকির প্রবণতা আজও MF সেক্টরে প্রতিফলিত হয়েছে।

করপোরেট বন্ড বাজারেও আশাব্যঞ্জক লেনদেন দেখা গেছে, যেখানে ২টি ইস্যুর দর বেড়েছে এবং ১টি কমেছে। তবে সরকারি সিকিউরিটিজে একটি ইস্যুর মূল্য কমে যায়, যা সাম্প্রতিক কয়েকদিনের সুদহার–সংশ্লিষ্ট সমন্বয়ের প্রভাব।

দিন শেষে লেনদেনের পরিসংখ্যানে দেখা যায় মোট ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৭টি ট্রেড সম্পন্ন হয়েছে। লেনদেনের মোট ভলিউম দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শেয়ার, যার আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় ৪৬৩৭ কোটি টাকা। সারা দিনের সক্রিয় লেনদেন বাজারে তারল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

বাজার মূলধন বিশ্লেষণে দেখা যায় ইকুইটি মার্কেট মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩২৭৪৯ কোটি টাকারও বেশি। মিউচুয়াল ফান্ড সেগমেন্টের মূলধন ২৩৮৩ কোটি টাকা এবং ডেট সিকিউরিটিজের মূলধন ৩৫৬৪৮ কোটি টাকা মিলিয়ে মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৮৬৪৮৩ কোটি টাকা, যা সাম্প্রতিক কয়েকমাসের মধ্যে অন্যতম উচ্চ অবস্থান।

দিন শেষে ব্লক মার্কেটেও উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে। মোট ৩১টি কোম্পানির ৭৪টি ব্লক ট্রেডে ৩৭ লাখের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়, যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩৭.৫৫ মিলিয়ন টাকা। বড় লেনদেনগুলোর মধ্যে ফাইন ফুডস ছিল শীর্ষে, যার ব্লক–লেনদেনের মূল্য প্রায় ৮৯.৫০ মিলিয়ন টাকা। এছাড়া গ্রামীণফোন, সোনালী লাইফ, উত্তরা ব্যাংক, গিউ বলপেন ও শ্যামপুর সুগার মিলস উল্লেখযোগ্য ব্লক লেনদেন সম্পন্ন করে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, অগ্রগামী ইস্যুর আধিক্য, উচ্চ লেনদেনমূল্য এবং ব্লক মার্কেটের সক্রিয়তা নির্দেশ করে যে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা শক্তিশালী হচ্ছে এবং বছরের শেষভাগে বাজার আরও সক্রিয় হতে পারে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত