প্রতিশোধ নয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ২১:৩৬:৫৯
প্রতিশোধ নয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন যে যতদিন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি বিশ্বের মানচিত্রে টিকে থাকবে ততদিন এই গৌরবোজ্জ্বল দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিন্দুমাত্র মলিন হবে না। তিনি দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে বাংলাদেশ হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা কোনো ভূখণ্ড নয় বরং লাখো শহীদের আত্মত্যাগ এবং অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে যা জাতির জন্য এক অহংকারের বিষয়। স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লেখা ‘একটি জাতির জন্ম’ নিবন্ধটিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রামাণ্য দলিল হিসেবে অভিহিত করেন।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন যে পতিত ও পলাতক একটি বিশেষ রাজনৈতিক চক্র দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের হীন দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করেছে এবং এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরাজিত শক্তি এখন বিজয়ের এক নতুন বিভ্রান্তিকর ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে যা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। তিনি দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করেন যে পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেওয়া বিএনপির লক্ষ্য নয় বরং বিজয়ের প্রকৃত সুফল প্রতিটি নাগরিকের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি স্বনির্ভর ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আজকের দিনের মূল অঙ্গীকার হওয়া উচিত। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র কখনোই টেকসই হতে পারে না এবং ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে এই সত্য বারবার প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করলেও তিনি সতর্ক করে বলেন যে ষড়যন্ত্র এখনো পুরোপুরি থামেনি এবং গণতন্ত্রের সাহসী সন্তান ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলা সেই গভীর চক্রান্তেরই একটি অংশ মাত্র। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হলে বা দেশে নির্বাচন না হলে কারা লাভবান হবে সেই মোক্ষম প্রশ্ন তুলে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেন এবং বলেন যে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে গেলে অপশক্তি পিছু হটতে বাধ্য হবে। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তারেক রহমান আগামী দশককে রূপান্তরের দশক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানান।


আমরা নিরাপদ না থাকলে শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না: মাহফুজ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ২১:১৯:৫৯
আমরা নিরাপদ না থাকলে শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না: মাহফুজ
ছবি : সংগৃহীত

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দ্ব্যর্থহীন ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে যারা এই দেশে বসে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে তাদের কোনোভাবেই নিরাপদ থাকতে দেওয়া হবে না। সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে আমরা যদি নিরাপদ না থাকি তবে এদেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না কারণ এটাই এখন অস্তিত্বের মূল শর্ত বা বেসিক কন্ডিশন। ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর বর্বরোচিত সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন যে ভারতীয় আধিপত্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন বুদ্ধিজীবী মহল ও আইন অঙ্গনের একটি বড় অংশকে কব্জা করা হয়েছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে সমাজের একটি অংশ নিজেদের বিবেক ও চিন্তাকে বিক্রি করে দিয়েছে এবং আরেকটি অংশ সচেতনভাবেই বাংলাদেশে অবস্থান করে দেশের বিরুদ্ধে নানামুখী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে যাদের তিনি ভিনদেশি ‘অ্যাসেট’ হিসেবে অভিহিত করেন। মাহফুজ আলমের মতে ওসমান হাদি মূলত এই ভিনদেশি অ্যাসেটদের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং বিদেশি স্বার্থরক্ষাকারীরা তাকে হত্যার জন্য নানা যুক্তি তৈরি করেছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। হাদিকে যখন গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হলো তখন তথাকথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই রহস্যজনক নীরব ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই উপদেষ্টা এবং তিনি প্রশ্ন তোলেন যে আক্রমণের সময় কেন কেউ প্রতিবাদ করেনি বা কোনো শব্দ উচ্চারণ করেনি।

৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আক্ষেপ করে বলেন যে তখন মুজিববাদী আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের ছিল কিন্তু তারা সংবরণ করেছিলেন তবে এখন মনে হচ্ছে ক্ষমা করে তারা ভুল করেছেন এবং ভবিষ্যতে আর কাউকে ক্ষমা করা হবে না। তিনি কঠোর ভাষায় সতর্ক করে বলেন যে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময় তাই আমাদের গায়ে হাত দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে না বরং একটা লাশ পড়লে আমরাও পাল্টা লাশ নেব এবং অনেক সুশীলতা বা ধৈর্য দেখানো হয়েছে কিন্তু আর কোনো আপস বা রিকনসিলিয়েশন করা হবে না। মাহফুজ আলম তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ইঙ্গিত দেন যে যদি এদেশের মুক্তির লড়াই দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় তবে তাও করা হবে এবং শত্রুদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।


হাদির ওপর হামলায় ক্ষুব্ধ জামায়াত আমির দিলেন সিইসিকে হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৮:৪৮:০৫
হাদির ওপর হামলায় ক্ষুব্ধ জামায়াত আমির দিলেন সিইসিকে হুঁশিয়ারি
বক্তব্য রাখেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। পুরোনো ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর বর্বরোচিত সশস্ত্র হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে যখন নিন্দার ঝড় বইছে তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ সংক্রান্ত মন্তব্যকে অত্যন্ত দায়িত্বহীন আখ্যায়িত করে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি জানান যে সিইসিকে অবিলম্বে তার ওই বিতর্কিত বক্তব্য ও অবস্থান সম্পর্কে জাতির সামনে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে একজন বিপ্লবী নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই কেবল সরকারের টনক নড়বে বা তারা নড়েচড়ে বসবে এমন প্রতিক্রিয়াশীল সরকার তারা কখনোই প্রত্যাশা করেন না বরং তারা চান একটি জনবান্ধব ও প্রো-অ্যাক্টিভ প্রশাসন।

গত চুয়ান্ন বছর ধরে দেশের মানুষের ভাগ্য এক গভীর চোরাবালিতে আটকা পড়েছিল বলে মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন যে জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের যে বিরল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তাকে কাজে লাগিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা দেন যে আগামীতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে একা নয় বরং সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ ও অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করে জাতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ শাসনামলে অনেকেই আপসকামিতার পথ বেছে নিলেও জামায়াত কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে ভালো না লাগলে প্রয়োজনে জামায়াতকে ব্ল্যাকআউট করুন কিন্তু কোনোভাবেই খণ্ডিত বা বিকৃত বক্তব্য প্রচার করে দলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডা ছড়াবেন না কারণ গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই কিন্তু জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী সাংবাদিকতা কখনোই কাম্য নয়।

একই অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান মন্তব্য করেন যে স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আজো অধরা রয়ে গেছে কারণ বিগত শাসকরা কেবল নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত ছিলেন এবং হাদির ওপর হামলার দায় স্বীকার করে ব্যর্থতার কারণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত বলে তিনি মত দেন। অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম আক্ষেপ করে বলেন যে শাসকদের বিভাজনের রাজনীতির কারণেই জাতি বারবার দ্বিখণ্ডিত হয়েছে এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ইস্পাতকঠিন ঐক্য ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই আজ হাদির মতো বিপ্লবীদের ওপর হামলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।


শকুনেরা আবারও স্বাধীনতা খামচে ধরছে: সারজিস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৮:৪৩:০৮
শকুনেরা আবারও স্বাধীনতা খামচে ধরছে: সারজিস
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক বিশাল প্রতিরোধ সমাবেশে অংশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছর পেরিয়ে গেলেও দেশবিরোধী অপশক্তি বা 'শকুনেরা' এখনো আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষতবিক্ষত করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর বর্বরোচিত সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এই সর্বদলীয় সমাবেশে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন যে জুলাইয়ের রক্তঝরা বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত নতুন স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া হবে না। সারজিস আলম তার জ্বালাময়ী বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে দেন যে স্বৈরাচারী শক্তি এর আগে রংপুরের আবু সাঈদের বুকে গুলি চালিয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং ঠিক একইভাবে হাদির ওপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সেই অদম্য স্পিরিট বা চেতনাকে দমানোর যে স্বপ্ন তারা দেখছে তা কখনোই বাস্তবে রূপ নেবে না।

তিনি উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে বাংলার মাটিতে এখনো লাখো হাদি বেঁচে আছে যারা নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং রাজধানীর পল্টন থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশি অভিযানে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মোটরসাইকেলের মালিক এবং সীমান্তে মানুষ পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করার পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সালের স্ত্রী শ্যালক ও অন্য একজন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে যা অপরাধী চক্রের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার পুরানা পল্টনের জনাকীর্ণ বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের বুলেটে বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়া এই তরুণ রাজনীতিবিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক নিবিড় পরিচর্যা শেষে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা হাদিকে বিদেশে স্থানান্তরের সময়ও তার সহযোদ্ধারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে স্লোগান তুলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এই সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে জুলাই বিপ্লবের নায়কদের ওপর আঘাত কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না এবং অবিলম্বে সকল অপরাধীকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।


জিয়ার রহমানের ডাকেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত:  তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৮:২৯:২৫
জিয়ার রহমানের ডাকেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত:  তারেক রহমান
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক আবেগঘন বার্তায় বলেছেন ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক ডাকেই রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল এবং দীর্ঘ নয় মাসের সেই মহাকাব্যিক লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৬ ডিসেম্বরে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে। সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তারেক রহমান তার বক্তব্যে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উল্লেখ করেন যে শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হলেও অমানবিক ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী বারবার সেই স্বপ্নকে নস্যাৎ করে দিয়ে জনগণের ওপর দুঃশাসনের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন যে একাত্তরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের নীলনকশা আজও থামেনি বরং আগ্রাসী শক্তি এবং তাদের এদেশীয় দোসররা আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার জন্য প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলেছে। বিগত ষোল বছরের শাসনামলের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন যে ক্ষমতা জবরদখলকারীরা একের পর এক প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে তাচ্ছিল্য করেছে এবং দেশের মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতাসহ সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে সর্বত্র হতাশা আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নামিয়ে এনেছিল। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি রাখা এবং লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার যে অপচেষ্টা চালিয়েছিল তা চব্বিশের জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার দুনিয়া কাঁপানো আন্দোলনে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান তার বার্তায় বর্তমান সময়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন যে এই মুহূর্তে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী এবং জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই জাতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি বিজয়ের এই মহান দিনে বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এবং একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন যে ছাত্র জনতার সেই অভূতপূর্ব আন্দোলনের ফলে দেশে আজ পুনরায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের এক নতুন প্রত্যাশা জেগে উঠেছে।


সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৮:৫৯:০১
সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনীতির ‘বরপুত্র’ হিসেবে পরিচিত তারেক রহমানের এই দেশে ফেরা উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে নীরবে কিন্তু ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তার বসবাসের জন্য রাজধানীর গুলশানে একটি বাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

যেভাবে দেশে ফিরবেন

বিএনপির লন্ডন শাখা সূত্রে জানা গেছে তারেক রহমান বাংলাদেশ বিমানের একটি সাধারণ যাত্রীবাহী ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। শিডিউল অনুযায়ী বিমানটি প্রথমে সিলেটের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এরপর সেখান থেকে বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। এই যাত্রায় তার সঙ্গে থাকবেন একমাত্র কন্যা জাইমা জারনাজ রহমান। উল্লেখ্য তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান গত ৫ ডিসেম্বর আগেই দেশে ফিরেছেন।

গুলশানে প্রস্তুত হচ্ছে নতুন বাসভবন

তারেক রহমানের বসবাসের জন্য গুলশান এভিনিউ সড়কের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। দেড় বিঘা আয়তনের একতলা এই বাড়িটি সম্প্রতি ধবধবে সাদা চুনকাম করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে বাড়ির সামনে দুটি গেট এবং গেটের সামনে স্টিলের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সড়কের ওপর স্থাপন করা হয়েছে তিনটি নিরাপত্তা বাক্স।

এই বাড়িটির অবস্থান গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে। বাড়ির ঠিক দক্ষিণ পাশের ৭৯ নম্বর সড়কেই রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’। অর্থাৎ মা ও ছেলের বাসভবন হবে পাশাপাশি। ১৯৬ নম্বর বাড়ি থেকে ফিরোজা পর্যন্ত এলাকাটি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। বাড়ির ভেতরে সংস্কারকাজ চলছে এবং নতুন দরজা জানালা লাগানো হয়েছে। তবে সংস্কার শেষ না হওয়ায় এখনো কোনো আসবাবপত্র আনা হয়নি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও এসএসএফ প্রসঙ্গ

তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ ডিজাইনের বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনা হয়েছে। বর্তমানে বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স বা সিএসএফ এর সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ জনের বেশি করা হয়েছে।

তবে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর। তিনি বলেন সিএসএফ তারেক রহমানের নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পুরোপুরি সক্ষম নয়। তারা কেবল বাসার নিরাপত্তা দিতে পারে। কিন্তু তিনি যখন জনগণের সঙ্গে মিশবেন তখন নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো আপস করা যাবে না। এ কাজের জন্য এসএসএফ বা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স সবচেয়ে দক্ষ। তাই ডিফেন্স ম্যানেজমেন্টের জন্য এসএসএফ প্রয়োজন বলে তিনি মত দেন।

অফিস ও দলীয় কার্যক্রম

জানা গেছে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়েই দলীয় কাজ করবেন তারেক রহমান। এ জন্য ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি বিশেষ কামরা প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে আগে বসতেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তার জন্য একটি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ও প্রস্তুতি

তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। এ বিষয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরীর দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেছেন তারেক রহমানের আগমনে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। তিনি আসলে মানুষের সঙ্গে মিশবেন হাঁটবেন এবং মানুষ বিএনপির প্রতি আরও আগ্রহী হবে।


নিরাপত্তার সংকটে রাজনীতি, প্রার্থীদের মনে চরম আতঙ্ক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৮:২৫:৩৯
নিরাপত্তার সংকটে রাজনীতি, প্রার্থীদের মনে চরম আতঙ্ক
ছবি : সংগৃহীত

ঐতিহাসিক চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতি কি বড় ধরনের নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে? নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই রাজধানীতে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা সামগ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অবিশ্বাস্য রকমের নাড়া দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রীতিমতো হতভম্ব। প্রশ্ন উঠছে রাজনীতিতে নিরাপত্তা আসলে কোথায়?

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও প্রশ্ন

মাত্র কিছুদিন আগেই গত ৭ নভেম্বর বিএনপি ঘোষিত চট্টগ্রাম ৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এরশাদউল্লাহকে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছিল। আর এবার ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক পরদিনই ১২ ডিসেম্বর হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থীরা কীভাবে নির্বাচন করবেন বা প্রচারণায় অংশ নেবেন তা নিয়ে বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশব্যাপী ১ হাজার ৯৩১ জন খুন হয়েছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন দেশের সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ এই ঘটনাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন না। তাদের মতে হামলার ধরন দেখেই বোঝা যায় এটি পেশাদার শুটারের কাজ। তারা সরকারের কাছে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন ওসমান হাদি গত ১৩ নভেম্বর ফেসবুকে জানিয়েছিলেন যে ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন তাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই এই হামলা সম্ভব হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ তরুণ নেতারা মনে করছেন এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের হত্যার একটি মিশন। তারা বলছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা জুলাই আন্দোলনের নেতাদের সরিয়ে দিতে মাঠে নেমেছে।

সরকারের কঠোর অবস্থান ও পুরস্কার ঘোষণা

অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তার উপস্থিতিতে বিএনপি জামায়াত ও এনসিপি সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হামলাকারীদের ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

সামনের দিনগুলো কেমন হবে

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করলেও রাজনীতিতে আতঙ্ক কাটছে না। বিশ্লেষকরা মনে করছেন জুলাই আন্দোলনের পরও যদি আগের মতো সহিংস পরিস্থিতি চলতে থাকে তবে অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য অটুট রাখার কথা বললেও মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সরকারের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ


টার্গেট কিলিংয়ের জন্য ৭০ জনের তালিকা হয়েছে: মির্জা আব্বাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ২১:০১:০৪
টার্গেট কিলিংয়ের জন্য ৭০ জনের তালিকা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
ছবি : সংগৃহীত

টার্গেট কিলিংয়ের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ দল ৭০ জনের তালিকা তৈরি করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রোববার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

হিটলিস্ট ও ফোনের হুমকি

মির্জা আব্বাস বলেন আমরা শুনেছি আপনারা ৭০ জনের নাকি লিস্ট করেছেন যে হত্যা করবেন। প্রায়ই আমরা ফোন পাই এবং আমার বহু নেতাকর্মী ফোন পেয়েছে যেখানে তাদের সাবধান হয়ে যেতে বলা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন আমরা বিএনপি সকল রকম হত্যাকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে চাই এবং দূরে আছি। কিন্তু আমাদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করা হলে বিএনপি সকল সময় তা প্রতিরোধ করবে।

চিহ্নিত মহলের প্রতিশোধ স্পৃহা

আব্বাস অভিযোগ করেন গুলি করার কাজ যারা করে তারা চিহ্নিত একটি দল। এই দলটি কখনোই বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। তারা বলে ৫৪ বছরের প্রতিশোধ নেবে আগামী নির্বাচনে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন কার বিরুদ্ধে কিসের প্রতিশোধ নেবেন আপনারা? যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের নাকি নতুন প্রজন্মের? মির্জা আব্বাস আরও বলেন ১৯৭১ সাল থেকে যে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল তা এখনো শেষ হয়নি এবং ৭১ সালের সেই ঘাতক গোষ্ঠী বাংলাদেশে আবার আবির্ভূত হয়েছে।

বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা

এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন নতুন কিছু বুদ্ধিজীবী গজিয়েছে যারা বলে বিএনপি ঠেকাও। কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো কথা তারা বলে না।

ওসমান হাদি প্রসঙ্গ

আলোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টা নিয়েও কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন এটি একটি অপ্রয়োজনীয় ঘটনা। একটি মানুষকে এভাবে হত্যাচেষ্টার কোনো প্রয়োজন ছিল না। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে আরও বহু নির্বাচন যাবে। কিন্তু এই ধরনের হত্যাকাণ্ড যারা করে তারা চিহ্নিত একটি দল। তারা বাংলাদেশের মানুষকে কোনোদিন শান্তিতে থাকতে দেবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।


বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্র: গোলাম পরওয়ার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৮:৫২:৩২
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্র: গোলাম পরওয়ার
ছবি : সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেছেন ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। রোববার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও ভারতের ভূমিকা নিয়ে দাবি

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন বামপন্থি ও কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবী এবং ভারতপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়িয়ে আসছেন। তবে ইতিহাসের নানা তথ্য ও সত্য সামনে আসায় প্রমাণ হয়েছে এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। তিনি যুক্তি দেখান যে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

তিনি আরও দাবি করেন ৮ ডিসেম্বরের আগেই ভারতের ৩৬ সেনা ঢাকায় অবতরণ করেছিল এবং এর রেকর্ড রয়েছে। তার ভাষ্যমতে সে সময় রাজধানী ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান কার্যত ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনা ও তথাকথিত রাজাকার আলবদররা আত্মসমর্পণ কিংবা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত ছিল। সে অবস্থায় তাদের পক্ষে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা করার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আত্মসমর্পণ পেছানোর অভিযোগ

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা রাও ফরমান আলীসহ বিভিন্ন লেখকের তথ্য উল্লেখ করে বলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। তবে ভারতীয় সেনাপ্রধানের ইচ্ছায় তা পিছিয়ে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরওয়ার দাবি করেন ওই সময় ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রথিতযশা সাংবাদিক লেখক ও শিল্পীদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয় যারা বেঁচে থাকলে স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের উদ্দেশ্য

ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে নিছক ভালোবাসা বা এ দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য নয় এমন মন্তব্য করে গোলাম পরওয়ার বলেন ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ভারত মুক্তিযুদ্ধে জড়িত হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যেন চিরদিন ভারতের অনুগত রাষ্ট্র হিসেবে থাকে।


অতীতে কোনো নেতা যা পাননি তারেক রহমানকে তেমন সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৮:১৮:১৬
অতীতে কোনো নেতা যা পাননি তারেক রহমানকে তেমন সংবর্ধনা দেবে বিএনপি
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় পা রাখবেন। তার দেশে ফেরার দিনটিতে তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

১৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন রোববার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভার শিরোনাম ছিল ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’।

সভায় মির্জা ফখরুল বলেন আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পর ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের জন্য এবং দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য বড় অনুপ্রেরণার বিষয়।

নজিরবিহীন সংবর্ধনার পরিকল্পনা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরলে তারেক রহমানকে এমন সংবর্ধনা জানানো হবে যা অতীতে কোনো নেতা পাননি। বিএনপির দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে রাজধানীজুড়ে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করছে দলটি।

ধারণা করা হচ্ছে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ২৫ ডিসেম্বর সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে জনস্রোত নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

দলে উৎসাহ উদ্দীপনা গত শুক্রবার রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম তারেক রহমানের ফেরার তারিখ ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় পর দলের শীর্ষ নেতার আগমনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত