জুমার দিনের ৪টি মহৎ আমল

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০১ ১২:৫৫:৫৫
জুমার দিনের ৪টি মহৎ আমল
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামে শুক্রবার দিনটি বিশেষভাবে সম্মানিত, মর্যাদাপূর্ণ ও বরকতময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ভাষ্যে জুমার দিনকে ‘ইয়াওমুল মাওঈদ’ তথা সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে মুসলিম জীবনে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট আমল, যা পালন করলে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সহজ হয়, আত্মা পবিত্র হয় এবং জীবনে বরকত নেমে আসে। নিচে জুমার দিনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ আমল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. সূরা আল-কাহফ পাঠ করা: আলোয় ভরে উঠবে সারা সপ্তাহ

হাদীসে এসেছে, "যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা আল-কাহফ পাঠ করবে, পরবর্তী জুমা পর্যন্ত তার জন্য এক নূর সৃষ্টি হবে।"— (সাহিহ মুসলিম)

সূরা আল-কাহফ মানুষের ঈমান রক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে এর প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত মুখস্থ রাখার নির্দেশও দিয়েছেন নবী করীম (সা.)। যারা সম্পূর্ণ সূরা পড়তে সক্ষম হন না, তারা অন্তত প্রথম ১০ আয়াত এবং শেষ ১০ আয়াত পাঠ করেও এই বরকত অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন।

২. বেশি বেশি দরুদ পাঠ: রহমতের স্রোত নিজের দিকে টেনে আনা

জুমার দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি বেশি করে দরুদ পাঠ করার ব্যাপারে বারবার উৎসাহিত করেছেন তিনি নিজেই।হাদীসে এসেছে, "তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা এ দিন আমার প্রতি দরুদ পেশ করা হয়।"— (আবু দাউদ, হাদীস: ১৫৩১)

দরুদ পাঠ মানেই শুধু একরকম ইবাদত নয়, বরং এটি গুনাহ মাফের অন্যতম উপায়। জুমার দিনে নিম্নোক্ত দরুদ বারবার পড়া শ্রেষ্ঠ আমল:اللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ[আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ]

৩. ইস্তিগফার করা: পাপমুক্ত জীবনের চাবিকাঠি

জুমার দিনের ফজিলতের মাঝে রয়েছে ক্ষমা লাভের বিশেষ সুযোগ। আল্লাহ তাআলা গাফুরুর রাহীম – তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।এই দিনটি ইস্তিগফারের জন্য উপযুক্ত সময়, কারণ হাদীস অনুযায়ী,"জুমার দিন এক বিশেষ সময় আছে, যেখানে বান্দা যা চায় আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন।"— (বুখারী, মুসলিম)

ইস্তিগফারের সংক্ষিপ্ত কিন্তু অর্থবহ দোয়া হলো:أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ[আস্তাগফিরুল্লাহ – আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।]

এই দোয়া হৃদয় থেকে বারবার বললে আল্লাহর ক্ষমা অবধারিত।

৪. আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময় দোয়ার জন্য সোনালী সুযোগ

হাদীস অনুযায়ী, "জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন বান্দা যা দোয়া করে তা কবুল হয়।"— (বুখারী ও মুসলিম)

উলামায়ে কেরামদের মতে, সেই গ্রহণযোগ্য দোয়ার সময় আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময় হতে পারে। এই সময়টাতে একান্ত মনে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে দোয়া করা উচিত— নিজের জন্য, পরিবার, উম্মত, পাপমুক্তি ও হেদায়েতের জন্য।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ