শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৪৬:৪০
শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়
ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মে প্রতি শুক্রবারকে আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই দিনটিকে আরও বরকতময় করার অন্যতম উত্তম আমল হলো সূরা কাহাফের তেলাওয়াত। হাদিসশাস্ত্রে জুমার দিন এই সূরা পাঠের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যা মুমিনের জীবনে আলো, প্রজ্ঞা ও ঈমানের শক্তি সঞ্চার করে। আলেম সমাজ ব্যাখ্যা করেন যে, সপ্তাহের নির্দিষ্ট এই পাঠ মানুষকে আল্লাহর সাথে গভীর সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এবং নৈতিক দৃঢ়তায় অনুপ্রাণিত করে।

ধর্মীয় শিক্ষায় উল্লেখ আছে যে প্রতি বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সূরা কাহাফ পাঠ করা উত্তম। এই সময়সীমাকে ‘জুমার রাত এবং দিন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে দিনটি কর্মব্যস্ত থাকলেও রাতে বা সকালবেলা সূরা পাঠ করে মুসলমানরা সহজেই এ আমল সম্পাদন করতে পারে।

ইসলামি বিদ্বানরা মনে করেন, সূরা কাহাফ পাঠ মুসলমানদের আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দুনিয়াবি বিভ্রান্তি থেকে তাদের মনকে রক্ষা করে। বিশেষভাবে দাজ্জালের ভয়াবহ ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় হিসেবে এই সূরার প্রথম দশ অথবা শেষ দশ আয়াত পাঠের কথা নবী মুহাম্মদ (সা.) বর্ণনা করেছেন। পুরো সূরা পাঠ করা বেশি উত্তম হলেও সময়ের সংকটে আংশিক পাঠও উল্লেখযোগ্য ফজিলত প্রদান করে।

সূরা কাহাফ কুরআনের ১৮তম অধ্যায়, মোট ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত এবং এটি মাক্কায় অবতীর্ণ। সূরাটিকে তাফসিরবিদরা ‘পরীক্ষার সূরা’ বলেন, কারণ এখানে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের ঈমান, ধৈর্য, নৈতিকতা এবং দৃঢ়তার শিক্ষা দিয়েছেন। গুহাবাসী নবীন যুবকদের কাহিনি, ধনবান দুজন মানুষের পরীক্ষা, হযরত মুসা ও খিযির (আ.)-এর শিক্ষা এবং যুলকারনাইনের ঘটনা এই সূরাকে আত্মোন্নয়ন ও জ্ঞানাচর্চার এক অনন্য উৎসে পরিণত করেছে।

আধ্যাত্মিক দিক থেকে সূরা কাহাফ পাঠ করলে মুমিনের হৃদয়ে একটি সাপ্তাহিক নূর সৃষ্টি হয় যা এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত থাকে। এই নূরকে শুধু আসমানি বরকতের প্রতীক নয়; বরং আলোকিত চরিত্র, দিব্য বোধ এবং সঠিক পথনির্দেশের প্রতীক হিসেবেও ব্যাখ্যা করা হয়। গবেষকরা বলেন, নিয়মিত সূরা কাহাফ পাঠ মানুষকে মানসিক চাপ, হতাশা এবং ভয়ের মতো নেতিবাচক প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

এছাড়া, আলেমরা উল্লেখ করেন যে এই সূরার তিলাওয়াত মানুষকে আল্লাহর কুদরতের স্মরণ করিয়ে দেয়, জীবনের অস্থায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে এবং দুনিয়ার সাময়িক মোহমায়া থেকে মানবহৃদয়কে দূরে রাখে। এই সূরাটি ব্যক্তির বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্থিতধী থাকতে সহায়তা করে।

জুমার দিনের আমলগুলো মুমিনজীবনের সার্বিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও সপ্তাহে মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করে সূরা কাহাফ পাঠ করলে একজন মুসলমান তার আত্মিক যাত্রায় একটি দৃঢ় পদক্ষেপ রাখতে পারেন।


মুমিনের জন্য কুরআনের ৪ স্থায়ী আমল

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৪৩:১২
মুমিনের জন্য কুরআনের ৪ স্থায়ী আমল
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের মূল শিক্ষা মানুষের ঈমানকে সুদৃঢ় করে এবং হৃদয়কে আল্লাহর নৈকট্যের পথে পরিচালিত করে। কুরআনুল কারীমে এমন চারটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, যা একজন মুমিনকে সারাজীবন আঁকড়ে ধরতে বলা হয়েছে। কারণ এগুলো আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি, জীবনের স্থিতি এবং দুনিয়া–আখিরাতের সফলতার পথ উন্মুক্ত করে।

১. সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রতি অটল শুকরিয়া প্রকাশ

মুমিনের জীবনে যে নিয়ামতই আসুক, তা বড় হোক বা ছোট, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নির্দেশ রয়েছে। কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন,

"তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য নিয়ামত বৃদ্ধি করবো।" (সূরা ইব্রাহিম, ৬)

এই আয়াত আমাদের শিখিয়ে দেয়, শুকরিয়া শুধু ইবাদত নয়, বরং আরও নেয়ামতের দরজা উন্মুক্ত হওয়ার মাধ্যম।

২. আল্লাহর স্মরণ থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হবেন না

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করা একজন মুমিনের পরিচয়। স্মরণ মানুষকে বিভ্রান্তি, ভয় এবং গাফিলতি থেকে বাঁচায়। কুরআনে বলা হয়েছে,

"তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করবো।" (সূরা বাকারা, ১৫২)

এ আয়াতের প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে যে জিকির আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভের অন্যতম উপায়।

৩. দোয়া করা কখনো বন্ধ করবেন না

দোয়া হলো মুমিনের অস্ত্র, আশা, আশ্রয় এবং বিশ্বাসের প্রতীক। আল্লাহ নিজেই দোয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,"তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা করো; আমি অবশ্যই তোমাদের সাড়া দেবো।" (সূরা গাফির, ৬০)

একই বার্তা রয়েছে সূরা বাকারা ১৮৬–এও। দোয়া আল্লাহর সঙ্গে মুমিনের সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং কঠিন সময়ে অন্তরকে প্রশান্ত রাখে।

৪. তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা কখনো বন্ধ করা যাবে না

মানুষ হিসেবে ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভুলের পর তাওবা করা, ক্ষমা চাইতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা একজন মুমিনের সৌন্দর্য। কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন,

"আল্লাহ এমন জাতিকে আযাব দেন না যারা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।" (সূরা আনফাল, ৩৩)এ আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, তাওবা আযাব দূর করে এবং রহমতের দরজা খোলে।


আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ০৯:৩৫:৩৫
আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ (২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি)। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দৈনিক নামাজের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়েছে।

আজকের নামাজের সময়সূচি

জোহর শুরু – সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটআসর শুরু – বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিটমাগরিব – সন্ধ্যা ৫টা ১৬ মিনিটএশা শুরু – সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিট

আগামীকাল ফজর ও সূর্যোদয়–সূর্যাস্ত

আগামীকাল ফজর শুরু – ভোর ৫টা ১৫ মিনিটেআজ সূর্যাস্ত – সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটআগামীকাল সূর্যোদয় – সকাল ৬টা ২৭ মিনিট

শহরবাসীর জন্য এ সময়সূচি দৈনন্দিন ইবাদত–বন্দেগি পালনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়। মৌসুমি পরিবর্তনের কারণে দিনের দৈর্ঘ্য ও সূর্যোদয়–সূর্যাস্তের সময় কিছুটা হ্রাস–বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়মিত সময় যাচাই করা প্রয়োজন।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


ঢাকায় আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কখন? দেখে নিন

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১১:২০:৩২
ঢাকায় আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কখন? দেখে নিন
ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা পঞ্জিকায় ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা।

দুপুরের নামাজ জোহর শুরু হবে ঠিক ১১টা ৫৫ মিনিটে। বিকেলের আসরের ওয়াক্ত ঢুকবে ৩টা ৩৬ মিনিটে। দিনের আলো ফুরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই মাগরিবের সময় শুরু হবে ৫টা ১৫ মিনিটে। এরপর রাতের ইবাদতের আহ্বান এশা শুরু হবে ৬টা ৩৪ মিনিট থেকে।

আগামী দিনের সূচির মধ্যেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সময়। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে। রাজধানীতে আজ সূর্যাস্ত ঘটবে ৫টা ১১ মিনিটে, আর পরদিন সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে। দিন-রাতের এই পরিবর্তন অনুযায়ী নামাজের ওয়াক্ত সামান্য সামনে-পিছনে হলেও তা অনুসরণকারীদের জন্য সঠিক সময় জানা অত্যন্ত জরুরি।


আজকের ইসলামী সময়সূচি: নামাজ ও সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ০৯:৫৪:৪০
আজকের ইসলামী সময়সূচি: নামাজ ও সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের পাঁচটি মৌলিক ভিত্তির একটি হলো নামাজ যা দ্বিতীয় রুকন হিসেবে বিবেচিত হয়। ঈমান প্রতিষ্ঠার পর মুসলমানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বহুবার সালাতের কথা উল্লেখ করে এর গুরুত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছেন যা প্রমাণ করে যে নামাজ মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফরজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি রয়েছে ওয়াজিব সুন্নত এবং নফল ইবাদত। ব্যস্ততার জীবনে মানুষ নানা কাজে জড়িয়ে থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ফরজ নামাজ আদায় করা ইসলামের অন্যতম প্রধান নির্দেশনা।

আজ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর দুই হাজার পঁচিশ ইংরেজি ২৩ অগ্রহায়ণ চৌদ্দশ বত্রিশ বাংলা এবং ১৬ জমাদিউস সানি চৌদ্দশ সাতচল্লিশ হিজরি। এই তারিখ অনুযায়ী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

  • জোহরের সময় শুরু সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট
  • আসরের সময় শুরু বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিট
  • মাগরিবের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিট
  • এশার সময় শুরু রাত ৬টা ৩৩ মিনিট
  • আগামীকাল বুধবার ফজরের সময় ভোর ৫টা ১৪ মিনিট

আজ ঢাকা শহরে সূর্য অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্য উদিত হবে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে।

নামাজ মানুষের জীবনে শুধু ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নয় এটি অন্তরের প্রশান্তি অর্জনের পথ এবং জীবনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার অন্যতম মাধ্যম। আজকের প্রকাশিত এই সময়সূচি প্রতিটি মুসলমানকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে ব্যস্ততা যাই থাকুক আল্লাহর ইবাদতের জন্য সময় বের করা আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব। নিয়মিত নামাজ আদায় আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং ঈমানের আলো আমাদের জীবনে আরও গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়ে।


নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২১:২৬:৪০
নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা
ছবি : সংগৃহীত

মানবসভ্যতার ইতিহাসে বিবাহ এমন এক প্রতিষ্ঠান যা যুগে যুগে মানুষের নৈতিকতা সমাজব্যবস্থা ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্যের কেন্দ্রে অবস্থান করেছে। ইসলাম এই সম্পর্ককে কেবল সামাজিক চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করেনি বরং এটিকে মানুষের অস্তিত্ব দায়িত্ববোধ ও শান্তিময় জীবনব্যবস্থার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। কুরআন একে বর্ণনা করে সাকিনাহ অর্থাৎ অন্তরের প্রশান্তি ও নিরাপত্তার আধার হিসেবে।

পরম করুণাময় আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা রুমে ইরশাদ করেন তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদেরই জন্য সৃষ্টি করেছেন সহধর্মিণী যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে স্থাপন করেছেন মমতা ও দয়া। এই আয়াত শুধু একটি সম্পর্কের বর্ণনা নয় বরং এটি মানবজীবনের গভীর মনস্তত্ত্ব ও সৃষ্টির দর্শনকে ব্যাখ্যা করে। বিবাহ মানুষের বাস্তব জীবনকে যেমন স্থিতি দেয় তেমনি আধ্যাত্মিক জীবনে প্রস্ফুটন আনে দয়া মহব্বত ও নৈতিক সংযম।

রাসুলুল্লাহ সা. বিবাহকে তাঁর সুন্নত হিসেবে ঘোষণা করে বলেন বিবাহ আমার সুন্নত। যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়। নবীজির এই বাণীতে স্পষ্ট যে বিবাহ শুধু আকাঙ্ক্ষার বৈধতা নয় বরং এটি মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠন নৈতিক শুদ্ধতা ও সামাজিক ভারসাম্যের অপরিহার্য উপাদান। যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন হে যুবসমাজ তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে সে যেন বিবাহ করে কারণ বিবাহ চোখকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে পবিত্র রাখে।

ইসলামের চার ইমাম তথা ইমাম আবু হানিফা ইমাম মালিক ইমাম শাফেয়ী এবং ইমাম আহমদ রহ. সবাই একমত যে বিবাহ মানবসমাজের নৈতিক কাঠামোকে সুদৃঢ় করতে অপরিহার্য। ইমাম গাজ্জালি তাঁর ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন গ্রন্থে বিবাহকে আধ্যাত্মিক শুদ্ধির অনুশীলন হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে মানুষ দায়িত্ব ধৈর্য বিশ্বস্ততা ও আত্মসংযমের উৎকৃষ্ট শিক্ষা লাভ করে।

কুরআন পরিবারকে মিসাকান গালীয বা অত্যন্ত দৃঢ় চুক্তি বলে অভিহিত করেছে। এই শব্দবন্ধে পরিবারকে একটি পবিত্র আমানত আর দাম্পত্যকে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধনের দৃঢ়তম বিন্যাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইসলাম স্পষ্ট জানিয়ে দেয় পরিবারের ভিত্তি ভেঙে গেলে সমাজের ভিত্তিও নড়বড়ে হয়ে যায়। পরিবার কেবল দুই ব্যক্তির মিলন নয় এটি আগামী প্রজন্মের চরিত্র ও মানবিকতার কারখানা।

ইসলাম বিবাহকে ব্যাখ্যা করে পরস্পরকে একে অপরের জন্য আবরণ বা আচ্ছাদন হিসেবে। এটি কেবল কাব্যিক উপমা নয় বরং দাম্পত্য সম্পর্কের গভীরতম অর্থ একজন আরেকজনের দুর্বলতা ঢেকে রাখা প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা এবং পরস্পরের মর্যাদাকে সম্মানে আবৃত করা। আজকের দ্রুতগতির পৃথিবীতে যখন পরিবার ব্যবস্থার ওপর নানা চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তখন ইসলামের বিবাহ দর্শন আমাদের মনে করিয়ে দেয় নৈতিক সমাজ জবাবদিহিমূলক নাগরিকতা এবং মানসিক প্রশান্তির কেন্দ্রেই রয়েছে পরিবার। আর সেই পরিবারের প্রথম ইট হচ্ছে বিবাহ যা ইসলাম শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানবতার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর


আজকের নামাজের সময়সূচি ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:২৬:২৮
আজকের নামাজের সময়সূচি ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করে ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সময়মতো নামাজ আদায় করা।

আজ সোমবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

ফজর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে।

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১২ মিনিটে এবং আজ সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ২৯ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর আগামীকাল মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১১ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৯ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয় ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে।

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।


আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০৯:২৩:২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম এবং পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বাইরে ওয়াজিব সুন্নত ও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আজ রবিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর আগামীকাল সোমবার ৮ ডিসেম্বর ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয় ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে।

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।


আজকের নামাজের সময়সূচি ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার 

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:৫৭:৩০
আজকের নামাজের সময়সূচি ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার 
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করে ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সময়মতো নামাজ আদায় করা।

আজ শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা):

ফজর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে।

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৪ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত: আজ ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয়: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে:

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।


আজ পবিত্র জুমাবার: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১১:৩৩:৫৩
আজ পবিত্র জুমাবার: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করে, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সময়মতো নামাজ আদায় করা।

আজ শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো:

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

ফজর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে ভোর ৫টা ০৭ মিনিটে।

জুম্মা/জোহর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে দুপুর ১১টা ৫১ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত: আজ ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর: আগামীকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৭ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয়: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে:

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত