সরকারি জমি আর প্রতীকী মূল্যে নয়: অর্থ উপদেষ্টা

সরকারি জমি এখন থেকে আর কোনো সংস্থাকে প্রতীকী মূল্যে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, সরকারি জমি পেতে হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এর প্রকৃত মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
মঙ্গলবার (আজ) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় চট্টগ্রামের বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য জলিল টেক্সটাইল মিলসের ৫৪.৯৯ একর জমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর বিষয়ে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। জমিটির দাম ধরা হয় ১৭ কোটি টাকা।
এই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সেনাবাহিনী জমি নিতে চেয়েছে, তবে আমরা পরামর্শ দিয়েছি যে প্রতীকী মূল্যে জমি দেওয়া হবে না। তারা চাইলে নিয়ম অনুযায়ী অর্থ দিয়ে কিনে নিতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতীকী মূল্যে জমি দিলে অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি জমি চাওয়া হয়। যেমন, যেখানে ১০ একর জমি যথেষ্ট, সেখানে অনেকে ১০০ একর দাবি করে বসে। এতে করে জমির যথাযথ ব্যবহার হয় না।”
সরকার চাইছে, সরকারি সম্পদের ব্যবহার যেন সঠিক ও যৌক্তিক হয়, এবং এর যথাযথ মূল্য রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত আসে বলে জানান তিনি।
/আশিক
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস সম্প্রতি প্রকাশিত ডকুমেন্টারি “Bangladesh’s Missing Billions, Stolen in Plain Sight”-এ দাবি করা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, বাণিজ্যে অতিরিক্ত বা কম ইনভয়েস তৈরি, হুন্ডি-হাওলা প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি ক্রয়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
ডকুমেন্টারির শুরুতেই শেখ হাসিনার নাটকীয় ক্ষমতাচ্যুতির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। এতে ছাত্রনেত্রী রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, রেজওয়ান আহমেদ রিফাদ, এফটির দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো প্রধান জন রিড, কমোডিটি সংবাদদাতা সুসানাহ সাভেজ, স্পটলাইট অন করাপশন–এর ডেপুটি ডিরেক্টর হেলেন টেইলরসহ একাধিক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ডকুমেন্টারিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় যে, লন্ডন বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের অন্যতম প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিশাল আর্থিক খাত ও আকর্ষণীয় সম্পত্তি বাজার এ পাচারের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করেছে।
এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নামও রয়েছে, অবকাঠামো প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে। এছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমকেও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে নাম উল্লেখ করা হয়।
জন রিড ডকুমেন্টারিতে জানান, ব্যাংক পরিচালকরা কখনো কখনো অস্ত্রের মুখে শেয়ার হস্তান্তরে বাধ্য হয়েছেন। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুশতাক খান বলেন, “এ ধরনের ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজনকে চিনি যারা ‘হল অব মিররস’ নামে কুখ্যাত একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন।”
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদক সুসানাহ সাভেজ মন্তব্য করেন, “এ ধরনের দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় লুটপাটকে আমরা দূরের সমস্যা ভাবতে পারি, কিন্তু আসলে এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং যুক্তরাজ্যও এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।”
অর্থ ফেরত আনা যে অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া, তাও ডকুমেন্টারিতে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ উদ্ধারের টাস্কফোর্সের উপদেষ্টা ইফতি ইসলাম এটিকে ইতিহাসের অন্যতম জটিল প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ডকুমেন্টারিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, “সব টাকা ফেরত আনা সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু আমরা যা পারি তার প্রমাণ খুঁজে বের করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ফেরত আনার চেষ্টা করব। এটি সম্ভবত বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থপাচারের ঘটনা।”
তবে প্রশ্ন থেকে গেছে—যেসব ব্যবসায়ী ও গোষ্ঠী এই অর্থ বিদেশে সরিয়ে নিয়েছে, তারা ভবিষ্যত সরকারেও প্রভাব খাটাতে পারবে কিনা। জন রিড সতর্ক করে বলেন, “বাংলাদেশের বিপ্লব একটি টার্নিং পয়েন্ট হলেও দেশ আবারও একক রাজনৈতিক আধিপত্যের দিকে ফিরতে পারে।”
ডকুমেন্টারির শেষে রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় হলো, আমরা হয়তো আমাদের শহিদদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব না।”
-হাসানুজ্জামান
বাজার ব্যবস্থাপনায় টেকসই সরবরাহই স্থিতিশীলতার মূলমন্ত্র: শেখ বশির উদ্দিন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনাকে স্থিতিশীল রাখতে পণ্যের অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই গত রমজানে সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল ছিল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখা সম্ভব হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ফিউচার অব বিজনেস: ইনোভেশন, টেকনোলজি অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের উৎপাদন খাতে কাঁচামালের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে কৃষি-ভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর বাজার ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “তৎকালীন সময়ে অনেক সিন্ডিকেট সদস্য বিদেশে পালিয়ে যায়। তবে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ সরকারগুলো যদি সমন্বিত প্রয়াস ও গণতান্ত্রিক উপায়ে বাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে এবং নিরপেক্ষ সংস্কার কার্যকর করতে পারে, তবে বাজার ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী হবে এবং সম্পদের ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়্যুব চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা ব্যবসা ও বাণিজ্য খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
আজকের মুদ্রা বিনিময় হারের বিশ্লেষণ
আজকের প্রকাশিত তথ্য থেকে স্পষ্ট যে বাংলাদেশের টাকা ক্রমশ আন্তর্জাতিক বাজারে চাপের মুখে পড়ছে। মার্কিন ডলার ১২১.৭৭ টাকা, ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬৪.৬৫ টাকা এবং ইউরো ১৪২.৪৪ টাকা এই তিনটি প্রধান মুদ্রার ঊর্ধ্বগতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সংকটকে তুলে ধরছে।
ডলারের চাপ ও আমদানি খাতের ঝুঁকি
টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি সরাসরি আমদানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে। জ্বালানি, খাদ্যশস্য, শিল্প কাঁচামাল—সব ক্ষেত্রেই আমদানির খরচ বাড়ছে। এর ফলে ভোক্তা পর্যায়ে মুদ্রাস্ফীতির চাপ আরও তীব্র হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সংকট ও ডলারের চাহিদা বৃদ্ধিই মূলত এ অবস্থার জন্য দায়ী।
প্রবাসী আয়ের সুযোগ
অন্যদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক। মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রাগুলোর মধ্যে কুয়েতি দিনার ৩৯৮.৫৫ টাকা, বাহরাইন দিনার ৩২৩.৮৫ টাকা, এবং ওমানি রিয়াল ৩১৬.৩৩ টাকাতে পৌঁছেছে। এ উচ্চমান প্রবাসী আয়ের প্রকৃত মূল্য বাড়িয়ে তুলবে। অর্থাৎ, প্রবাসীরা একই পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েও দেশে তাদের পরিবারকে আগের তুলনায় বেশি টাকা দিতে পারবেন।
আঞ্চলিক মুদ্রা ও সীমান্ত বাণিজ্যের প্রভাব
ভারতীয় রুপি (INR) আজ ১.৩৮ টাকা, যা টাকার তুলনায় তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও, সীমান্ত বাণিজ্যে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। চীনা রেন্মিন্বি (CNY) ১৭.০৯ টাকাতে দাঁড়ানো বাংলাদেশের চীনের ওপর আমদানিনির্ভরতার প্রেক্ষিতে খরচ বাড়াবে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ান ওয়ন (KRW) এবং জাপানি ইয়েন (JPY)-এর দুর্বল অবস্থান বাংলাদেশের জন্য তেমন কোনো তাৎক্ষণিক সুবিধা আনছে না, কারণ বাংলাদেশ এসব দেশে তুলনামূলকভাবে কম রপ্তানি করে।
উন্নত দেশগুলোর মুদ্রা ও বৈশ্বিক বাণিজ্য
কানাডিয়ান ডলার (CAD) ৮৭.৭৮ টাকা এবং অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD) ৮০.৪৯ টাকাতে অবস্থান করছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্রমশ বাড়ছে, ফলে এই মুদ্রার ওঠানামা ভবিষ্যতে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
নীতি-নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা
আজকের হার শুধু মুদ্রার মান নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাও প্রতিফলিত করছে। একদিকে রিজার্ভ সংকট ও আমদানি খরচ বৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে সংকটে ফেলছে, অন্যদিকে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কিছুটা ভারসাম্য আনছে। নীতিনির্ধারকদের এখন জরুরি ভিত্তিতে
- মুদ্রা স্থিতিশীল করতে সুদ ও বৈদেশিক মুদ্রা নীতি সামঞ্জস্য করা,
- রপ্তানি বৈচিত্র্য ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা,
- অবৈধ হুন্ডি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ানো।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর হার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশি টাকা বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ডলার, পাউন্ড ও ইউরোর শক্তিশালী অবস্থান বাংলাদেশের আমদানি-নির্ভর অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে, যদিও প্রবাসী আয় আংশিক স্বস্তি দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, অর্থনীতি এখন এক সঙ্কট–সুযোগের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সঠিক নীতি গ্রহণই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ গত এক বছরে প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শুক্রবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন ২০২৫”–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস ও চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগে যে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে তা অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রদর্শনী শুধু উদ্ভাবন ও অংশীদারিত্বের প্রতিফলন নয়, বরং এটি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও গতিশীল করবে। একই সঙ্গে তিনি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন প্রায় গণহত্যার রূপ নিয়েছে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এবং নিম্নমানের বাণিজ্যিক যানবাহন জনগণকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি চীনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং প্রস্তাব দেন, চীনা কোম্পানিগুলো যদি বাংলাদেশে মানসম্পন্ন যানবাহন উৎপাদন করে তবে সড়ক খাতের আমূল উন্নয়ন সম্ভব হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য চীন থেকে আমদানি করে, অথচ রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন, তবে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের বর্তমান অর্ধ-ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে দ্রুত এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নীতি ও সহযোগিতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, চীন-সমর্থিত অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতোমধ্যে রূপান্তরমূলক ভূমিকা রাখছে। পদ্মা রেল লিংক ও কর্ণফুলী টানেলের মতো প্রকল্পগুলো জাতীয় যোগাযোগব্যবস্থাকে আধুনিক করেছে, শিল্প প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যপথ সম্প্রসারণে সহায়ক হয়েছে।
এবারের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ৪০টি প্রতিষ্ঠান। সেখানে ৮০টি বুথ রয়েছে, যার মধ্যে ৩২টি চীনা প্রতিষ্ঠানের। অবকাঠামো, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহণ, লজিস্টিকস ও উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
-রাফসান
দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন সংস্কার উদ্যোগ হিসেবে পাঁচটি দুর্বল ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং এর বিপরীতে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। কারণ এই ব্যাংকগুলোর নিট সম্পদ বর্তমানে ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। নতুনভাবে গঠিত ব্যাংক শতভাগ সরকারি মালিকানায় পরিচালিত হবে এবং এর জন্য নতুন পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
একীভূত হওয়ার তালিকায় রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এসআইবিএল), ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় ছিল। তবে বাকি চারটি ব্যাংক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে যায়। নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর এসব ব্যাংকে শুরু হয় ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট, যার বড় অংশ পাচার হয়ে যায় বিদেশে। ফলস্বরূপ ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নীতি সহায়তা দিয়ে আসছিল এবং ব্যাংকগুলোর জন্য গ্যারান্টি দিয়েছিল। তবুও ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে পারেনি। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি ওয়ার্কিং কমিটির আসন্ন বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে এবং পরে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
নতুন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার থেকে আসবে ২০ হাজার কোটি টাকা, আমানত বিমা তহবিল থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আসবে ৩ হাজার কোটি টাকা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। নতুন ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সরবরাহ ও নীতি সহায়তা প্রদান করবে।
একীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ ব্যাংকের সব সম্পদ ও দায় নতুন ব্যাংকের নামে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে এই ব্যাংকগুলোর রয়েছে ৭৬০টি শাখা ও ৬৯৮টি উপশাখা। অনেক এলাকায় একাধিক শাখা থাকায় সেগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা হবে। সুবিধাজনক শাখা রাখা হবে এবং বাকি শাখাগুলো অন্য এলাকায় স্থানান্তর করা হবে যাতে ব্যাংকটির কার্যক্রম লাভজনক হয়। একইভাবে, কাছাকাছি অবস্থিত শাখাগুলো সমন্বয় করে কার্যকর অবস্থানে আনা হবে।
বর্তমানে পাঁচ ব্যাংকের পাঁচজন সিইও আছেন। তবে নতুন ব্যাংকে থাকবেন একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যিনি নতুনভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান কোনো এমডি ওই পদে যেতে পারবেন না। তবে নিচের স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হবে না, প্রয়োজনে তাদের পদ বা কর্মস্থলে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হবে, কারণ ব্যাংকগুলোর নিট সম্পদ ঋণাত্মক এবং শেয়ারের বিপরীতে কোনো সম্পদ অবশিষ্ট নেই। বরং তারা লোকসানে রয়েছে। তাই উদ্যোক্তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তবে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের আংশিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য সংগ্রহ করছে।
অন্যদিকে, আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সাময়িক মোরাটোরিয়াম আরোপ হতে পারে, যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমানতকারীরা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অর্থ তুলতে পারবেন। তবে এটি সাময়িক ব্যবস্থা। কারণ সরকারি মালিকানায় নতুন ব্যাংক গঠনের পর গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে এবং নতুন আমানতের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত করা হবে যাতে দ্রুত তারল্য সংকট কেটে যায়।
প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ক্ষেত্রেও সমাধান রাখা হয়েছে। যেসব প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকের বিপুল অঙ্কের অর্থ ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না, তাদের নতুন ব্যাংকের শেয়ার প্রদান করা হবে। যেহেতু ব্যাংকটি সরকারি মালিকানায় থাকবে, তাই তারা এ শেয়ার নিতে আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
-রাফসান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঝড়ের উত্থান: ২৮২ শেয়ার দাম বাড়ল, লেনদেনে রেকর্ড ৭৭৮ কোটি টাকা!
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ছিল প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক ধারায়। মোট ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৮২টির দর বেড়েছে, ৫৪টির কমেছে এবং ৬৫টি অপরিবর্তিত থেকেছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৭৮.৩ কোটি টাকা। এদিন মোট ট্রেড হয়েছে ২,০৮,৪০১টি এবং প্রায় ২৩.৩৭ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিন শেষে ডিএসই–এর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭২.৪৬ লাখ কোটি টাকা।
সেক্টরভিত্তিক পারফরম্যান্সে ব্যাংকিং খাত ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। বিশেষ করে ব্র্যাক ব্যাংক ব্লক মার্কেটে এককভাবে প্রায় ৫৬৯.৮৪ কোটি টাকার লেনদেন করেছে, যা পুরো বাজারে শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে। প্রাইম ব্যাংকও প্রায় ৫৯.৮৪ কোটি টাকার লেনদেন করেছে। এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট যে ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শিল্প ও উৎপাদন খাতেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। KBPPWBIL প্রায় ৮২.৪১ কোটি টাকার লেনদেন করেছে, পাশাপাশি Orion Infusion ও Meghna Cement–এর মতো কোম্পানিও স্থিতিশীল লেনদেন বজায় রেখেছে।
খাদ্য ও ভোক্তা পণ্য খাতে Lovello এবং Fine Foods শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কাড়তে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, টেলিকম খাতেও ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। গ্রামীণফোন (GP) ব্লক ট্রেডে ৭.৫৫ কোটি টাকার লেনদেন করেছে, যা টেলিকম সেক্টরের স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি ডিভিডেন্ড সম্ভাবনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
আজকের বাজারে বিশেষভাবে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে কয়েকটি কোম্পানি। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক, KBPPWBIL, প্রাইম ব্যাংক, Orion Infusion এবং গ্রামীণফোন শীর্ষে রয়েছে। এগুলোই মূলত আজকের বাজারকে প্রাণবন্ত করেছে এবং উচ্চ লেনদেনে অবদান রেখেছে।
ভবিষ্যতের বাজার প্রবণতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ব্যাংক ও আর্থিক খাত সামনের দিনগুলোতে বাজার চালিত করার সক্ষমতা রাখে। পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস ও সিমেন্ট খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। খাদ্য ও টেলিকম খাতও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল রিটার্নের জন্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে জেড–ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, কারণ সেখানে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
সর্বোপরি, আজকের লেনদেন বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে। আস্থা ফিরে আসার পাশাপাশি তারল্যের প্রবাহ বাড়ছে, যা আগামীতে বাজারকে আরও সক্রিয় করে তুলতে পারে। ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিমেন্ট এবং টেলিকম খাত ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগকারীদের প্রধান আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা যায়। তবে স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সতর্ক থাকা জরুরি।
অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সর্বশেষ সমন্বয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ২৬০ টাকা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, এ নতুন দাম আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জারি করা এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন মূল্য কাঠামোয় ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪২ টাকা।
এ ছাড়া ক্রেতাদের জানানো হয়, ঘোষিত মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। গহনার নকশা ও মানের ভিন্নতার কারণে মজুরির অঙ্ক পরিবর্তিত হতে পারে।
এর আগে, গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাজুস একবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় ২২ ক্যারেটের ভরি প্রতি ২ হাজার ৭১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা, যা দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের সব রেকর্ড অতিক্রম করে। মূলত স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজুস এ সমন্বয় করে।
গত ২৭ আগস্ট থেকে শুরু করে ৩১ আগস্ট, ২ সেপ্টেম্বর ও ৪ সেপ্টেম্বর মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে চার দফা স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়। এর পর ৭ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বরের ঘোষণায় আরও দুই দফা দাম বাড়ানো হলো। অর্থাৎ, অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানেই দেশের স্বর্ণবাজারে একের পর এক মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে।
বাজুস বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় তেজাবি স্বর্ণের দামে ক্রমবর্ধমান চাপ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বারবার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ’, তবে চ্যালেঞ্জ আছে ৫টি
বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। তার মতে, চীন থেকে আমেরিকার আমদানি সরছে এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিকল্প বাজার খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে—৩২ শতাংশ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ কৌশল গ্রহণ করছে। একইভাবে, ৭২ শতাংশ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান মনে করে, বাণিজ্য ও উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য অ-রাজনৈতিক দেশগুলোই হবে সেরা পছন্দ। এ কারণে বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে পাঁচটি বড় দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
যে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে
মাসরুর রিয়াজ বাংলাদেশের করণীয় তুলে ধরে বলেন, “প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে গ্লোবাল কম্পিটেটিভ ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫, যেখানে ভারত ও ভিয়েতনাম প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি।” তিনি আরও বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন উন্নত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, তৈরি পোশাকের বাইরে বিকল্প খাত তৈরি করা এবং পাবলিক-প্রাইভেট সংলাপে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব ও এফবিসিসিআই এর ভূমিকা
মাসরুর রিয়াজ জানান, বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশিত ৩ শতাংশ থেকে কমে ২ শতাংশে নেমে আসবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ৬৫ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর, যা দেশের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি বলেন, “অবকাঠামোগত ঘাটতি, জ্বালানি ও ডলার সংকট এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্ত।”
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবসায়ীদের অবস্থা ‘এতিমের মতো’, কারণ তারা কার কাছে যাবেন, কী করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। আবদুল হক বলেন, “ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পোর্ট চার্জ বাড়ানো ও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনের স্বর্ণবাজারে আসছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’, বদলাবে লেনদেন পদ্ধতি
বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণবাজার লন্ডনে আসতে যাচ্ছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। শত শত বছরের প্রচলিত লেনদেন ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে সেখানে এবার চালু করা হচ্ছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’। এই উদ্যোগের ফলে বিনিয়োগকারীরা সহজেই ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ করেও সোনার মালিকানা লাভ করতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) এই নতুন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, লন্ডনের সুরক্ষিত ভল্টে রাখা আসল সোনার বারগুলোকে ভিত্তি করে ডিজিটাল টোকেন চালু করা হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুলেড গোল্ড ইন্টারেস্ট (পিজিআই)’। এই টোকেনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো ৪০০ আউন্স ওজনের বড় সোনার বারের ভগ্নাংশও কিনতে পারবেন।
ডব্লিউজিসির বাজার কাঠামো ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান মাইক ওসউইন জানান, এই ডিজিটাল স্বর্ণ শুধু বিনিয়োগের জন্য নয়, জামানত হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এতে বাজারে অংশগ্রহণ ও নতুন ব্যবহার অনেক বাড়বে।
বর্তমানে লন্ডনের স্বর্ণবাজারের মূল্য প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলার। এতদিন এখানে দুই পদ্ধতিতে লেনদেন হতো: ‘অ্যালোকেটেড গোল্ড’ ও ‘আনঅ্যালোকেটেড গোল্ড’। আনঅ্যালোকেটেড পদ্ধতিতে ঝুঁকি হলো, যে প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনা রাখা হয়, সেটি দেউলিয়া হলে বিনিয়োগকারীর দাবি ঝুঁকির মুখে পড়ে। নতুন ডিজিটাল স্বর্ণ এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনবে, কারণ টোকেনধারীদের ভল্টে থাকা সোনার আইনি মালিকানা নিশ্চিত করা হবে।
তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে সবার মধ্যে একমত নেই। বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এজে বেলের পরিচালক রাস মোল্ড মনে করেন, প্রকৃত স্বর্ণপ্রেমীরা ডিজিটাল স্বর্ণে আগ্রহী হবেন না। তাদের কাছে সোনার মূল আকর্ষণ হলো এর বাস্তব প্রকৃতি, যা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। তবুও বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তির এই সংযোজন ভবিষ্যতের স্বর্ণবাজারকে আরও স্বচ্ছ, সহজ ও বহুমাত্রিক করে তুলবে। প্রথম ধাপে লন্ডনকেন্দ্রিক হলেও, এই উদ্যোগ একসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সিএনবিসি
পাঠকের মতামত:
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- বাজার ব্যবস্থাপনায় টেকসই সরবরাহই স্থিতিশীলতার মূলমন্ত্র: শেখ বশির উদ্দিন
- নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- অপারেশন থিয়েটারের আলো: ছায়াহীন বিস্ময়ের বৈজ্ঞানিক রহস্য
- আজকের মুদ্রা বিনিময় হারের বিশ্লেষণ
- বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর পাখি: সাউদার্ন ক্যাসোয়ারির রহস্যময়তা ও আতঙ্ক
- জাকসু নির্বাচনের ফলাফল দেওয়ার সময় জানা গেল
- দিশা পাটানির বাড়িতে গুলিবর্ষণ: আতঙ্কে পরিবার, কঠোর নিরাপত্তায় বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ
- ম্যানচেস্টার ডার্বির আগে রুবেন আমোরিমের হুঁশিয়ারি: "আমরা ভিন্ন দল"
- ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইতিহাস: ফিল সল্টের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের রেকর্ড জয়
- কিম জং উনের নতুন সামরিক নীতি: একসাথে পারমাণবিক ও প্রচলিত শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা
- মোদি বনাম ভাগবত: বিজেপি–আরএসএস সম্পর্কে ফাটল
- বোলসোনারোর ২৭ বছরের কারাদণ্ড: ব্রাজিলের রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা
- ভূমি মন্ত্রণালয়ে বড় নিয়োগ!
- জানুন নিয়মিত সাঁতারের ছয় বড় উপকারিতা
- রাশিয়ার উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল
- আজ রাতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ম্যাচ, টিভিতে আরও যা দেখবেন
- ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বান তারেক রহমানের
- নিহত সাংবাদিক শিবলীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল ছাত্রশিবির
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- সংসদ ভেঙে দিলেন নেপালের নতুন নারী প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
- ৪ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে নামছে ৮ রাজনৈতিক দল
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কঠিন অঙ্কে ভারত
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সংকট
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট গণনা নিয়ে অনিশ্চয়তা
- গণপরিষদ বা হ্যাঁ-না ভোটের দাবি এবি পার্টির ফুয়াদের
- বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভারতের জটিল সমীকরণ
- ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় ঘোষণা
- বায়তুল মোকাররমে শুরু হলো মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলা
- কুরআন, উপহার ও দিকনির্দেশনা: ভিন্নধর্মী নবীনবরণ বেরোবিতে
- বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
- লন্ডনে মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- হাসিনা, রাজাপাকসে, শর্মা–এর পর কি এবার মোদি? মণিপুরের অস্থিরতায় দিল্লিতে কাঁপন
- ডাকসু নির্বাচন কি জাতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস? জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য
- ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম: কোন পণ্য বেড়েছে, কোথায় মিলছে স্বস্তি
- জাহাঙ্গীরনগরে রাতভর ভোট গণনা, বিক্ষোভ ও বর্জনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
- নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ: নিহত ৩৪, আহত দেড় হাজারের বেশি
- জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু
- UNHRC-তে মুখোমুখি ভারত–সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানকে আক্রমণ দিল্লির
- দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঝড়ের উত্থান: ২৮২ শেয়ার দাম বাড়ল, লেনদেনে রেকর্ড ৭৭৮ কোটি টাকা!
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব