জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত

চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আফরোজা আক্তার হঠাৎ পেটব্যথা ও রক্তক্ষরণে ভুগতে শুরু করেন। শুরুতে তিনি গুরুত্ব না দিলেও পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে আলট্রাসাউন্ডে জানা যায়, তার জরায়ুতে ছোট একটি ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই আলট্রাসাউন্ড করানো জরুরি। এতে ভ্রূণের অবস্থান বোঝা যায় এবং সম্ভাব্য জটিলতা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আফরোজার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সচেতনতার অভাবে কীভাবে নারীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, “অনেকে মনে করেন, জরায়ু কেবল সন্তান জন্মদানের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসলে জীবনের প্রতিটি ধাপে—মাসিক, যৌনসম্পর্ক, গর্ভাবস্থা, এমনকি মেনোপজের আগে-পরে—জরায়ুর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।”
তিনি জানান, মাসিক চলাকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত জরুরি। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে, ভেজা বা অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার বিপজ্জনক। এ সময়ে গরম পানির ব্যবহার সংক্রমণ রোধে সহায়ক হতে পারে। কারণ মাসিক চলাকালে জরায়ুর মুখ খোলা থাকে, ফলে সামান্য অসাবধানতাও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে, অতিরিক্ত জোরে যৌনসম্পর্ক জরায়ুতে আঘাত বা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই যৌনমিলনের আগে ও পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত এবং মাসিক চলাকালে যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত থাকা ভালো।
ডা. দেওয়ান আরও বলেন, গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর প্রতি বিশেষ যত্ন জরুরি। ভ্রূণ জরায়ুতেই থাকে ও বেড়ে ওঠে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় ভ্রূণ সঠিক স্থানে রয়েছে কি না। কারণ কখনো কখনো ভ্রূণ ডিম্বাশয় বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে বেড়ে ওঠে, যা মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ যৌন আচরণ জরায়ু ও শিশুর সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেনোপজের আগে-পরে জরায়ুতে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কেউ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভোগেন, কেউ আবার যোনিশুষ্কতা নিয়ে বিভ্রান্ত হন। মেনোপজের পর অনেক নারীর জরায়ু বড় হয়ে নিচের দিকে নেমে আসে, যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
খ্যাতনামা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা রশিদ বলেন, “অতিরিক্ত মাসিক, তলপেটে ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত বা দুই মাসিকের মধ্যে রক্তপাত—সবই জরায়ুর সমস্যার লক্ষণ। এর সঙ্গে যদি গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্রমাগত পেটব্যথা বা হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।”
তিনি আরও পরামর্শ দেন—নিচের পেটে চাপ অনুভব, ঘন ঘন প্রস্রাব, বদহজম, খাবারে অনীহা, ওজনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, যৌনমিলনে ব্যথা, অবসাদ বা মেনোপজ-পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিয়ে, অল্প বয়সে সন্তান জন্ম, ঘন ঘন গর্ভধারণ, একাধিক যৌনসঙ্গী, অপরিচ্ছন্নতা, সংক্রমণ, ধূমপান এবং বংশগত কারণ জরায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গাইনোকলজিস্ট ডা. আশরাফুন নেছা বলেন, “সরকার জরায়ু ও স্তন ক্যানসার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জেলা ও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে বিনামূল্যে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি স্বল্প খরচে চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসকদের সর্বশেষ পরামর্শ হলো, নারীরা যদি জরায়ু-সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। দেরি করলে জটিলতা বেড়ে জীবনঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
-রাজীব আহামেদ
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস: ঢামেক পরিচালকের মন্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এখন শঙ্কামুক্ত এবং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান এই তথ্য দেন।
ঢামেক পরিচালক জানান, নুরের নাকের হাড় ভেঙে গেছে, যে কারণে মাঝে মাঝে সামান্য রক্ত বের হচ্ছে। এই সমস্যা পুরোপুরি ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের যে আশঙ্কা ছিল, তা কেটে গেছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে তার কিছুটা জ্বর আছে, তবে শর্ট টাইম মেমোরি লস নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়। এই ধরনের আঘাতে এমন জটিলতার আশঙ্কা নেই।”
আসাদুজ্জামান আরও জানান, নুরকে এখনই বাসায় নেওয়া সম্ভব নয়, পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে পরিবার চাইলে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারে।
তদন্ত কমিশন গঠন
এদিকে, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আলী রেজাকে এই কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
সুস্থ ফুসফুসের জন্য যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
আমরা সাধারণত মনে করি শুধু ধূমপানই ফুসফুসের ক্ষতি করে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু খাবার আছে যা ফুসফুসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ ফুসফুসের জন্য এই ৫টি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. প্রক্রিয়াজাত মাংস
হটডগ, সসেজ, বেকন এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকা নাইট্রেট ফুসফুসের টিস্যুতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা দুর্বল করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস খান, তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা অন্যদের তুলনায় কম থাকে।
২. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়
সোডা, জুস এবং এনার্জি ড্রিংকসের মতো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যা সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এটি শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
৩. ভাজা-পোড়া খাবার
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস এবং অন্যান্য ভাজা-পোড়া খাবারে প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এই ধরনের ফ্যাট শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে, তাদের জন্য এই খাবারগুলো মারাত্মক ক্ষতিকর।
৪. অতিরিক্ত লবণ
বেশি লবণ গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমা হয়। এটি ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণ হতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। যারা ফুসফুসের রোগে ভুগছেন, যেমন—ফুসফুসীয় শোথ (Pulmonary Edema), তাদের জন্য অতিরিক্ত লবণ খুবই বিপজ্জনক।
৫. দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
কিছু মানুষের জন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য যেমন—চিজ ও মাখন, ফুসফুসে শ্লেষ্মা বা কফ জমা হওয়ার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত কফ শ্বাস-প্রশ্বাসের পথকে সংকুচিত করে এবং শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে হাঁপানি রোগীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।
তোমার ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে কমিয়ে দেওয়া বা বাদ দেওয়া জরুরি। এর পরিবর্তে তাজা ফল, শাক-সবজি এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস করা উচিত।
তেজপাতার জলে জাদু! নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস, কমবে ওজন
আজকাল অনেকেই ওজন নিয়ে সচেতন। কারণ অতিরিক্ত ওজন নানান ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন—ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ওজন কমাতে যেমন খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি, তেমনি ঘরোয়া কিছু ডিটক্স পানীয়ও সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শুধু হজমশক্তিই নয়, শরীরের আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তেজপাতার জলের উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তেজপাতা ভিটামিন সি, এ ও খনিজে ভরপুর। প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. ত্বক ও চুলের যত্ন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তেজপাতার জল শরীরকে ডিটক্স করতে বা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এই জল দিয়ে চুল ধুলে চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যাও কমে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি: তেজপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
সকালে খালি পেটে এই ৬টি খাবার খান, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩০ মিলিয়ন। শুধু ভারতেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী ২২ কোটির বেশি। তাই রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে দিনের শুরুতে খালি পেটে কিছু প্রাকৃতিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর হতে পারে।
খালি পেটে যে ছয়টি খাবার উপকারী
১. আমলকি (আমলা): ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমানো এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।
২. দারুচিনি পানি ও গোলমরিচ গুঁড়া: দারুচিনি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করা কমায়। গোলমরিচের ‘পাইপেরিন’ উপাদান দারুচিনির কার্যকারিতা আরও বাড়াতে সহায়ক। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. মেথি ভেজানো পানি: মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাচীন ঘরোয়া উপায়। এতে থাকা দ্রবণীয় আঁশ রক্তে শর্করার শোষণ ধীর করে। এক টেবিল চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে এবং রক্তচাপও কমতে পারে।
৪. হলুদ পানি ও লেবুর রস: হলুদের ‘কারকিউমিন’ উপাদান রক্তে শর্করা কমাতে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক। লেবুর রস এর কার্যকারিতা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্সসিড রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। সকালে গুঁড়ো ফ্ল্যাক্সসিড পানি বা স্মুদির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
৬. টমেটো ও ডালিমের রস: টমেটোর ‘লাইকোপেন’ ও ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই দুটির রস একসঙ্গে খালি পেটে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আঁশ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অন্যদিকে, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। নিয়মিত পানি পান, ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবার গ্রহণ দীর্ঘমেয়াদে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অপরিহার্য।
ডায়াবেটিস কেন বিপজ্জনক?
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে রক্তনালী ও স্নায়ুর ক্ষতি হয়। এর ফলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, অন্ধত্ব এবং এমনকি হাত-পা কেটে ফেলার মতো ঝুঁকিও তৈরি হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং অনিয়মিত মলত্যাগের কারণ হয়। এটি সাধারণত ভুল খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং মানসিক চাপের মতো বিভিন্ন কারণে দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সঠিক ফল খাওয়া একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। চলুন জেনে নিই, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন ফলগুলো উপকারী।
১. কলা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার-সমৃদ্ধ কলা দীর্ঘকাল ধরে একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকা কলা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের মাইক্রোভিলাইকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, এর জন্য পুরোপুরি পাকা কলা খাওয়া জরুরি। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের বিপরীত প্রভাব ফেলে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
২. কমলা
কমলা হলো ফাইবার ও ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস। এই সাইট্রাস ফলে কিছুটা রেচক প্রভাব থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কমলায় থাকা ‘ন্যারিংজেনিন’ নামক একটি যৌগ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ফাইবার পেতে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন।
৩. নাশপাতি
নাশপাতি শুধু ফাইবারেই সমৃদ্ধ নয়, এতে ফ্রুকটোজ এবং সরবিটলও রয়েছে। এই দুটি উপাদান মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই নিয়মিত নাশপাতি খেলে পেটের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।
৪. আপেল
আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া উভয়ই উপশম করতে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপেল খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এর খোসায় থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার মলত্যাগ বৃদ্ধি করে। আপেলের ভেতরের অংশে ‘পেকটিন’ নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। তবে পাতলা পায়খানা হলে খোসা ছাড়িয়ে আপেল খাওয়া ভালো।
৫. পেঁপে
পেঁপে একটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল, যা পানি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমে সহায়তা করে। এতে ‘পেপেইন’ নামক একটি এনজাইম থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকর। পেঁপে অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে না খেয়ে আলাদাভাবে খাওয়াই ভালো। নিয়মিত এই সুস্বাদু ফল খেলে পেটের সুস্থতা নিশ্চিত থাকে।
আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হচ্ছে নুরকে, উদ্বেগ বাড়ছে
রাজধানীর রমনা এলাকায় হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হয়েছে।
নুরের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে নুরকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘নুর ভাইকে আবারও সিটি স্ক্যান করার জন্য নেওয়া হচ্ছে!’ এটি নুরের ফেসবুক আইডির অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নুরের এই পোস্টে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন অনুসারীরা। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহ ভাইকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুক, আমিন।’ কেউ কেউ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। রক্তাক্ত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
/আশিক
বাড়তি চিনি ও ক্যালরি: প্রোটিন শেকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা
ইদানীং তরুণদের মধ্যে প্রোটিন শেক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত একটি খাদ্য সম্পূরক, যা নিয়মিত খাবারের বিকল্প নয়। চিকিৎসকদের মতে, পেশি গঠন বা ব্যায়ামের পর দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন শেক উপকারী হতে পারে, তবে সবার জন্য এটি নিরাপদ নয়।
ব্যবহার ও সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা মাঝারি বা ভারী ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ শেক গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিকবার প্রোটিন শেক পান করা উচিত নয়। আর যারা হালকা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ১০ গ্রাম প্রোটিনযুক্ত পানীয়ই যথেষ্ট। প্রয়োজন না থাকলে উচ্চমাত্রার প্রোটিন-সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
প্রোটিন শেকে অতিরিক্ত প্রোটিনের পাশাপাশি বাড়তি চিনি এবং ক্যালরি থাকতে পারে, যা দেহে মেদ বাড়াতে পারে। তাই কেনার সময় প্রোটিনের পাশাপাশি চিনি ও ক্যালরির মাত্রা ভালোভাবে দেখে নেওয়া জরুরি।
এছাড়াও, কোনো কোনো প্রোটিন শেকে ভারী ধাতু ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের শেক বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
উপকারী প্রোটিন শেকগুলোতে পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট ও ভিটামিন ডি থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য বেশ ভালো। তবে যাদের লবণ গ্রহণে বিধিনিষেধ আছে, তাদের ইলেকট্রোলাইটের ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, প্রোটিন শেক হলো খাবারের পরিপূরক, বিকল্প নয়।
আইসিইউ থেকে কেবিনে নুরুল হক নুর, চিকিৎসকরা দিলেন সতর্কবার্তা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিন দিন আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে থাকার পর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। গণঅধিকার পরিষদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আবু হানিফ বলেন, নুরের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। মাথা ও মুখে মারাত্মক আঘাতের কারণে তার বয়সের কারণে এখন শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। সাধারণত এ ধরনের আঘাতের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, Traumatic Subarachnoid Haemorrahage (TSAH) আঘাতের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে নানা ধরনের স্নায়বিক অসুবিধা, কথা বলতে বা ভারসাম্য ঠিক রাখতে সমস্যা এবং স্মৃতিভ্রমের মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও মাথায় ফ্র্যাকচার থাকায় ইনফেকশন (মেনিনজাইটিস) হওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে। তাই এসব চিকিৎসার জন্য উন্নত চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি।
নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ২০১৯ সালের ডাকসু ভবনের হামলায়ও নুর গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলন করার জন্য গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার মাথায় আঘাত লেগেছে এবং নাকের হাড় ভেঙে গেছে।
/আশিক
নীরব ঘাতক স্ট্রোক, যে চারটি লক্ষণ দেখলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক। সামান্য সচেতনতার অভাবে এটি মুহূর্তের মধ্যেই প্রাণঘাতী হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হঠাৎ করেই দেখা দেয় এবং তা অবহেলা করলে অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত-পায়ে দুর্বলতা বা কথা জড়িয়ে যাওয়া—এ ধরনের কোনো উপসর্গ দেখলেই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
স্ট্রোক কেন হয়?
স্ট্রোক মূলত মস্তিষ্কে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটে। এটি দু’ভাবে হতে পারে:
ইসকেমিক স্ট্রোক: রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া।
হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তনালী ফেটে রক্তক্ষরণ হওয়া।
স্ট্রোক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এর স্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, স্ট্রোকের পর প্রথম ৩ থেকে ৪.৫ ঘণ্টাকে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি ঠেকানো এবং রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সম্ভাবনা বাড়ে।
স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ
স্ট্রোকের সতর্কবার্তাগুলো হঠাৎ করে দেখা দেয়। এ জন্য চিকিৎসকরা FAST নিয়ম মনে রাখার পরামর্শ দেন:
F (Face Drooping): মুখের এক পাশ হঠাৎ বেঁকে যাওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া।
A (Arm Weakness): হাত তুলতে না পারা বা হাত দুর্বল হয়ে পড়া।
S (Speech Difficulty): কথা জড়িয়ে যাওয়া বা অস্পষ্ট উচ্চারণ।
T (Time to Act): সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া।
এছাড়াও, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, ভারসাম্য হারানো বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়াও স্ট্রোকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
প্রতিরোধের উপায়
চিকিৎসকরা বলছেন, ৮০ শতাংশ স্ট্রোকই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য জীবনধারায় পরিবর্তন আনা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি:
স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল: ধূমপান থেকে বিরত থাকা এবং অ্যালকোহল সেবন কমিয়ে আনা।
ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন প্রতিদিন ৩০ মিনিট।
সুষম খাদ্য: খাবারে বেশি ফলমূল, শাকসবজি ও বাদাম রাখুন এবং লবণ কম খান।
চিকিৎসকরা আরও বলেন, যাদের পরিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস আছে, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পাঠকের মতামত:
- জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
- মহেশখালী-মাতারবাড়ি: পর্যটন ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- একীভূতকরণ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের ব্যাখ্যা
- বিজয়ের পর শিবিরের তিনটি কাজের নির্দেশ
- ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের বার্তা
- স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব
- মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী
- আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা
- ইসরায়েলের হামলা, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
- ঢাবি ডাকসু: ভিপি–জিএস–এজিএস পদে শিবিরের দাপট
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব
- ইইউ সংলাপ: ঢাকার অগ্রাধিকার বাণিজ্য, ইউরোপের নজর অনিয়মিত অভিবাসনে
- খুনের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধি: দেরিতে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিফলন
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
- ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, নির্বাচন স্বচ্ছ দাবি ঢাবি ভিসির
- টিএসসি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ৩৫% ভোট
- অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
- আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ইরান: সেনাপ্রধান হাতামির হুঁশিয়ারি
- থাকসিন শিনাওত্রার কারাদণ্ড: রাজনৈতিক বংশপরিচয়ের পতনের আভাস
- বার্মিংহামে বলিউডের ‘ওজিজি’ রানী: কারিনা কাপুর খানের সিলভার শাড়ি
- ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস: পোশাক নয়, স্টাইলের প্রদর্শনী
- বলিউডে বহিরাগতদের প্রতি ক্ষোভ, ‘নেপো বেবি’দের পক্ষ নিলেন তনিশা মুখার্জি
- মেক্সিকোতে ভয়াবহ ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ১০ নিহত, আহত ৪১
- ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
- বিদায় নিশ্চিত, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩
- উয়েফার নিয়ম মানতে প্রস্তুত হ্যারি কেইন ও দল
- পরিচালকের শেয়ার কেনা সম্পন্ন
- যে ভোট রাতেই করা যায়, সেটা দিনে টেনে রাখা কেন?- ফারুকী
- মহাবিশ্বে নতুন দৈত্য কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান
- বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে জোহরান মামদানি, নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে প্রগতিশীল ঢেউ
- গাজা অভিমুখী শান্তিপূর্ণ মিশনে হামলা
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- জাতিসংঘ ক্ষুব্ধ, স্পেন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি—গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ তীব্রতর
- পাকিস্তান–চীন যৌথ অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে সরকার
- স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাইলেন শরিফ ওসমান বিন হাদী, পেলেন শর্ত
- অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন
- নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ
- খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
- আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল? পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলের দিকেই ইঙ্গিত
- নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস: ঢামেক পরিচালকের মন্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বাংলাদেশি ওষুধের সাফল্য: যুক্তরাজ্যে রেনেটার নতুন পদচারণা
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- সৌদি রাজতন্ত্রের অজানা অধ্যায়: ক্ষমতার জন্য বাবা ও ভাইদের ছাড় দিলেন না মোহাম্মদ বিন সালমান