জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট গণনা নিয়ে অনিশ্চয়তা

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ০৮:৫৫:০৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট গণনা নিয়ে অনিশ্চয়তা
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা তৃতীয় দিনের মতো চলছে। হল সংসদের ভোট গণনাও এখনো শেষ হয়নি। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই ভোট গণনা চলছে।

ভোট গণনা কখন শেষ হবে, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু এবং ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশের কথা জানান। তারও আগে তিনি গতকাল দুপুরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। ওইদিন রাত ১০টা ১৫ মিনিট থেকে ভোট গণনা শুরু হয়, যা এখনো চলছে।


কুরআন, উপহার ও দিকনির্দেশনা: ভিন্নধর্মী নবীনবরণ বেরোবিতে

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ০৭:৫৮:০৫
কুরআন, উপহার ও দিকনির্দেশনা: ভিন্নধর্মী নবীনবরণ বেরোবিতে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণে এক ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ সোসাইটি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ২ শত শিক্ষার্থীকে কুরআন, ফুল, ডায়েরি এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোশারফ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শাইখ জামাল উদ্দিন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হাতে কুরআন ও ফুল তুলে দেওয়া হয়, আর অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য ডায়েরি উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে বক্তারা ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক আলোচনা করেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়।

নবীন শিক্ষার্থীরা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জানান, এই আয়োজনে তারা শুধু একাডেমিক জীবনের দিকনির্দেশনাই নয়, বরং পার্থিব জীবনের সঙ্গে আখেরাতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানও অর্জন করেছেন। তাদের মতে, নৈতিকতা ও ধর্মীয় চেতনা ছাড়া ভালো জীবন যাপন করা সম্ভব নয়, আর এ ধরনের আয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের সহায়ক হবে।

আয়োজক কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, “নবীনদের এমন ইতিবাচক সাড়া পেয়ে আমরা আনন্দিত। এ আয়োজন করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাইজিদ শিকদার জানান, “গত বছরের মতো এবারও নবীনবরণ অনুষ্ঠান করেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো দুনিয়া ও আখেরাত—উভয় দিকের কল্যাণের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।”

সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, “নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে সফল হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে কুরআন, চাবির রিং, টি-শার্ট ও কলম উপহার দেওয়া হয়েছে। আলোচকদের দিকনির্দেশনা মেনে চললে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ।”

-রফিক


জাহাঙ্গীরনগরে রাতভর ভোট গণনা, বিক্ষোভ ও বর্জনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১১:৫২:২২
জাহাঙ্গীরনগরে রাতভর ভোট গণনা, বিক্ষোভ ও বর্জনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে হাতে গণনার মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১০টার পর সিনেট ভবনে কেন্দ্রীয়ভাবে গণনা শুরু হয়। তবে প্রথাগত এ গণনা প্রক্রিয়া ধীরগতির হওয়ায় শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে রাতের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

গণনার ধীরগতি

প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শুরু হয়। রাত সাড়ে ৪টার মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম, মীর মশাররফ হোসেন, আ ফ ম কামালউদ্দিন ও শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হলের ফল সম্পন্ন হয়। তবে এখনও পর্যন্ত ১১টি হলের ভোট গণনা শেষ হলেও ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবগুলো হলের ফলাফল একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে। গণনার প্রতিটি ধাপ এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করা হলেও সেখানে কোনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বাইরে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত অনেকে গান-বাজনা করে সময় কাটালেও পরে ধীরে ধীরে এলাকা ছাড়তে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

ক্লান্তির কারণ

নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী বলেন, “শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সারাদিন ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালনের পর রাতভর গণনায় যুক্ত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তি আসায় প্রক্রিয়া ধীরগতিতে এগোচ্ছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, শুক্রবার জুমার নামাজের আগেই সব হল সংসদের গণনা শেষ করে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু হবে।

ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা

এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৫৯ জন। এর মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬ জন নারী। পূর্ণ ও আংশিক মিলে মোট ৮টি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়।

বর্জন ও বিক্ষোভ

ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে। তাদের অভিযোগের মধ্যে ছিল ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, আঙুলে কালির দাগ না দেওয়া, অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো এবং কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা। রাত ৯টার দিকে ছাত্রদল মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা “প্রহসনের জাকসু মানি না মানবো না”, “জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই করো” ইত্যাদি স্লোগান দেন। একই অভিযোগে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেল এবং কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এমনকি বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষকও নির্বাচন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।

প্রশাসনের মন্তব্য

জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ.কে.এম. রাশিদুল আলম জানান, রাতভর ভোট গণনার কাজ চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আজ দুপুর নাগাদ আমরা চূড়ান্ত ফলাফল দিতে পারব বলে আশা করছি।”


জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১১:৩২:০৭
জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনার সময় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় গণনার কক্ষের সামনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস (৩১)। দ্রুত তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত্যুর ঘোষণা দেন।

দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনা

জান্নাতুল ফেরদৌস জাকসু নির্বাচনে প্রীতিলতা হলের পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বাসায় ফেরার পর শুক্রবার সকালে তিনি আবারও ভোট গণনার কাজে যোগ দিতে আসেন। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে সিনেট ভবনে পৌঁছে ভোট গণনার কক্ষের দরজার সামনেই হঠাৎ পড়ে যান তিনি।

চারুকলা বিভাগের সভাপতি শামীম রেজা জানান, তিনি নিজে প্রীতিলতা হলে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন। জান্নাতুল গণনার কাজের জন্য এসেছিলেন তাঁর আহ্বানে। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সবাই হতবাক হয়ে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ভোটগ্রহণের দিন রাতভর কর্মব্যস্ততার কারণে সব হলে একসঙ্গে গণনা করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে প্রীতিলতা হলের গণনা চলছিল। সে সময়েই এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “আমাদের সবাই শোকে আচ্ছন্ন। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”

পরিবেশে শোকের ছায়া

জান্নাতুল ফেরদৌসের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সিনেট ভবনের গণনাকক্ষে শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কমিশনার রেজোয়ানা করিম স্নিগ্ধা মাইকে উপস্থিত সবার কাছে মরহুম শিক্ষকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করার আহ্বান জানান এবং জানান, প্রীতিলতা হলের ভোট গণনা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় এক তরুণ শিক্ষকের মৃত্যু পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়কে গভীর শোকে নিমজ্জিত করেছে। সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে।


জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১০:৪৮:৪৫
জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
ছবিঃ সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ–জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে এক মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রাণ হারালেন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি প্রীতিলতা হলের পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শুক্রবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার সারাদিনব্যাপী ভোট গ্রহণের পর গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে গণনা কার্যক্রম শুরু হয়। জান্নাতুল ফেরদৌস শুক্রবার সকালে সিনেটে এসে দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সহকর্মীরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা আক্তার এ প্রসঙ্গে জানান, “সকালে ভোট গণনার কাজে অংশ নিতে তাকে ডাকা হয়েছিল। সিনেটে আসার অল্প কিছু সময় পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।”

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাওন বলেন, “সকাল ৯টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার স্বামীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষক সঙ্গে ছিলেন।”

এই আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে গভীর শোক নেমে এসেছে। সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দায়িত্বশীল ও স্নেহশীল শিক্ষিকা হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছে।

-রফিক


শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১৬:২৮:১৪
শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে ভোট চলাকালীন সময়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি বড় ছাত্রসংগঠনছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বর্জন ঘোষণা

বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

ছাত্রশিবির সমর্থিত জোটের অভিযোগ

এদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটও একইভাবে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না। ক্যাম্পাসে ভীতি ও অনিয়মের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”

তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন হলে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা গেছে এবং ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, “কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে চলমান রয়েছে। যেসব কেন্দ্রে সাময়িক বিরতি ছিল, সেগুলোতে ভোটারদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।”

নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা

এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন। মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুরের পর তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।


জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১১:১৩:১২
জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি মীর মোশাররফ হোসেন হলে ভোট প্রদান করেন।

ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার অভিযোগ, নির্দিষ্ট একটি ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে, যা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার কৌশল হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভোট অবশ্যই ম্যানুয়ালি গণনা করতে হবে, যাতে কারচুপির সুযোগ না থাকে।

এসময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিবির সভাপতি হলে প্রবেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। দেশবিরোধী শক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালে যারা দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, শিক্ষার্থীরা তাদের কখনোই মেনে নেবে না।

তার মতে, জাহাঙ্গীরনগর একটি প্রগতিশীল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে পরাজিত শক্তির কোনো আশ্রয় নেই। সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলকেই বিজয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রশাসনের আচরণের সমালোচনা করে সাদী বলেন, গতকাল থেকেই প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে। অভিযোগ জানানোর পরও নির্বাচন কমিশন উদাসীন থেকেছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেন যে ফলাফল যাই হোক না কেন, সেটি মেনে নেওয়ার মানসিকতা তার রয়েছে।

-রাফসান


ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:৫৪:৩৬
ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু বাংলাদেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক ঘটনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকেছে। এবারের নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসংসদ নিরঙ্কুশ জয় অর্জন করেছে, যা শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও সাবেক ডাকসু নেতাদের মতে, সুসংগঠিত প্রচারণা, দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি এবং শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের সুবাদেই ছাত্রশিবির অভাবনীয় এই সাফল্য অর্জন করেছে। তাদের ধারণা, প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনগুলো বিশেষ করে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সুসংগঠিত প্রচেষ্টা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা প্রত্যাশিতভাবে পৌঁছায়নি।

অন্যদিকে ছাত্র ইউনিয়নসহ বামপন্থী সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। এর ফলে শিবিরের প্রার্থীরা তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন।

ছাত্রদলের ভরাডুবি: অপ্রস্তুত ও সমন্বয়হীনতা

ছাত্রদলের পরাজয় ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। বিএনপির নেতৃত্বও এই ফলাফলে হতবাক। দলীয় নেতাদের ভাষ্য, প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ দীর্ঘ সময় ধরে সংগঠিতভাবে কাজ করলেও ছাত্রদলের কার্যক্রম ছিল ছড়ানো-ছিটানো। নির্বাচন ঘিরে কার্যকর কোনো পাল্টা কৌশল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয় সংগঠনটি।

ডাকসুর তফসিল ঘোষণার পর বেশ দেরিতে প্যানেল ঘোষণা করায় ছাত্রদল ‘ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন’-এর মতো কার্যকর প্রচারণা চালাতে পারেনি। শিক্ষক, নারী ভোটার, সংবাদমাধ্যম কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রেও তাদের উদ্যোগ ছিল অত্যন্ত দুর্বল। উপরন্তু আত্মবিশ্বাসের বাড়াবাড়ি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব ছাত্রদলের অবস্থানকে আরও নাজুক করেছে।

অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমানের বিশ্লেষণ

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মনে করেন, ছাত্রশিবির প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক বেশি সংগঠিত ছিল। ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর থেকেই তারা ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়। অন্য সংগঠনগুলোও কাজ করেছে, তবে শিবিরের মতো দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত কৌশল তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম অতীতের সাফল্যের চেয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে বেশি প্রাধান্য দেয়। শিবির এই বাস্তবতাকে কাজে লাগাতে পেরেছে। তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং কর্মীবাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয় থেকেছে।

ছাত্রশিবিরের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের এক অধ্যাপক মনে করেন, ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক আন্দোলনের মতো করে কাজ করেছে। ইসলামী ছাত্রী সংস্থার মাধ্যমে নারীদের মধ্যে আলাদা সংগঠন গড়ে তুলেছে। অনেক শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকেই শিবির ও ইসলামি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তারা সেই পরিবেশ খুঁজে পেয়েছেন এবং সংগঠনমুখী হয়েছেন।

শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, কোচিং এবং পড়াশোনার নানা সহায়তা প্রদান করে, যা অন্যান্য সংগঠন খুব একটা করে না। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতি আস্থা রাখছে এবং ভোটে সমর্থন দিচ্ছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

ডাকসুর ইতিহাসে এক সময় জাসদ-ছাত্রলীগ জোটও শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছিল। সাবেক জিএস ডা. মুস্তাক হোসেন বলেন, এবারের নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের বিপরীতে কোনো আদর্শিকভাবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল না। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, তারা অতীতে অনেক সময় শিবিরের সঙ্গে একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে। তাই ভোটাররা শিবিরকেই শ্রেয়তর হিসেবে বিবেচনা করেছে।

বিএনপির ভেতরের প্রতিক্রিয়া

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ডাকসুর মতো বড় মাপের পরাজয়কে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। প্রকাশ্যে তারা নীরব থাকলেও পর্দার অন্তরালে কারণ অনুসন্ধান চলছে। নেতাকর্মীদের স্বীকারোক্তি, ছাত্রদল সংগঠিত হওয়ার পরিবর্তে হঠাৎ করেই নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করে। এতে বিভিন্ন গ্রুপকে একত্রে আনা সম্ভব হয়নি।

কেন্দ্রীয় সহসভাপতি খোরশেদ আলম সোহেলের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো জামায়াত-শিবির সমর্থিত হওয়ায় তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা একচেটিয়া সুবিধা পেয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তুললেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে শিবিরের গোপন আঁতাতও নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন তিনি।

-রফিক


৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:০৪:১৫
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস
ছবিঃ সংগৃহীত

৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ১১ হাজার ৯১৯ জন শিক্ষার্থী এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ জন প্রার্থী।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে ১,২০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে, যাদের মধ্যে অনেকেই সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তবুও তারা নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত।

মাদক, টাকা ও খাবার বিতরণের অভিযোগ

ভোটের আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মাদক সহজলভ্য হওয়ার অভিযোগ করেছেন। জনপ্রিয় আড্ডাস্থল যেমন তারজান পয়েন্ট, সিডনি ফিল্ড ও বিভিন্ন হল এলাকায় মাদক, মদ এবং বিরিয়ানি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই বলছেন, এসব ভোটার প্রভাবিত করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ সরাসরি অর্থ বিতরণের অভিযোগও করেছেন।

স্বতন্ত্র প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাকিল আলী বলেন,

“হলগুলোতে মদ ও মাদক সরবরাহ হচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটারদের বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছে। এগুলো অন্যায্য এবং আচরণবিধি ভঙ্গ।”

‘সংসপ্তক পরিষদ’-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন,

“অনেক প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করেছিলাম সবাই নিয়ম মেনে চলবে, কিন্তু তা হয়নি।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন এসব অনিয়ম ঠেকাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মনোনয়ন বাতিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার

নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী সাইদা আনন্যা ফারিয়া প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঐক্যের স্বার্থে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

এদিকে, আদালতের আদেশে ‘ঐক্য প্যানেল’-এর ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এতে ভোটের আগে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।

ডোপ টেস্ট নিয়ে বিতর্ক

এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। তবে ভোটের মাত্র দুই দিন আগে টেস্ট শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বলছেন, এত কম সময়ে সবাই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবে না। সময়সীমা বাড়ানো হলেও অনেক প্রার্থীর নমুনা সংগ্রহ এখনো শেষ হয়নি।

-নাজমুল হোসেন


বিজয়ের পর শিবিরের তিনটি কাজের নির্দেশ

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১০:২৮:৪৬
বিজয়ের পর শিবিরের তিনটি কাজের নির্দেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট শীর্ষ নেতৃত্বের তিনটি পদেই সাফল্য অর্জন করেছে। এখন পর্যন্ত ঘোষিত ১৬টি হলের ফলাফলে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহ–সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে বিভিন্ন হলে ভোট গণনা শুরু হয় এবং ধাপে ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক ফলাফলের চিত্রে স্পষ্ট হয়েছে যে, শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয়ী হয়েছেন।

এই প্রেক্ষাপটে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি বিশেষ বার্তা প্রকাশ করা হয়। পোস্টটির শিরোনাম ছিল “বিজয়ের পর মুমিন–মুসলিম হিসেবে করণীয়।” সেখানে সংগঠনটি তাদের সমর্থক ও কর্মীদের উদ্দেশে কোরআনের আলোকে নির্দেশনা প্রদান করে।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, বিজয়ের পর প্রকৃত মুমিনের কর্তব্য হলো আত্মগরিমা নয়, বরং বিনয় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। এজন্য সূরা আন–নাসরের উদাহরণ টেনে বলা হয়, বিজয় লাভ ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর আল্লাহ তাআলা তিনটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন-

১. আল্লাহর নামে তাসবিহ পাঠ করা, অর্থাৎ তাঁর মহিমা ঘোষণা করা।২. আল্লাহর হামদ করা, অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রশংসা জ্ঞাপন করা।৩. আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করা, অর্থাৎ ক্ষমা প্রার্থনা করা।

স্ট্যাটাসের শেষাংশে লেখা হয়, “নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী।” অর্থাৎ বিজয়ের পর আত্মতৃপ্তি বা অহংকারে না ভেসে গিয়ে আল্লাহর কাছে বিনয়ী হয়ে ফিরে আসাই প্রকৃত দায়িত্ব।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত: