ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে নির্ধারিত আটটি ভোটকেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। দীর্ঘ বিরতির পর আয়োজিত এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি করেছে আলাদা উত্তেজনা ও প্রত্যাশার পরিবেশ।
নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি
ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। টিএসসি এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ, যাতে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। সকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করছে পুলিশ ও প্রশাসন।
ভোটার ও প্রার্থী সংখ্যা
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যার মধ্যে ৬২ জন ছাত্রী। অন্যদিকে ১৮টি হলে ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। ফলে পুরো নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা ও প্রতিযোগিতা দুই-ই প্রবল।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া
ভোটাররা তাদের সুবিধাজনক সময়ে কেন্দ্রে গিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট দেবেন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি কার্ড বা পে-ইন স্লিপ এবং অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় আইডি বা লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় প্রমাণ করবেন। এরপর আঙুলে অমোচনীয় কালি দেওয়া হবে এবং ভোটার তালিকায় সই করার পর ব্যালট প্রদান করা হবে।ভোটাররা গোপন কক্ষে প্রবেশ করে পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে ‘ক্রস চিহ্ন’ দেবেন। ব্যালট ভাঁজ না করে তা নির্ধারিত বাক্সে ফেলতে হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের জন্য আলাদা ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। এবারের ব্যালট পেপারের আকারও বড়—ডাকসুর জন্য পাঁচ পৃষ্ঠা এবং হল সংসদের জন্য এক পৃষ্ঠার ব্যালট ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট
প্রথমবারের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যারা ব্রেইল পড়তে সক্ষম নন, তারা অন্যের সহযোগিতা নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এই কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।
ভোটার ও প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা
সকালের দিকে টিএসসি, কার্জন হলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। অনেক শিক্ষার্থী জানান, জীবনে প্রথমবার ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাদের মধ্যে ভিন্ন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ রাত জেগে প্রার্থী বাছাই করেছেন বলে জানিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে, যা প্রমাণ করে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি বাছাইয়ে আন্তরিক।
অন্যদিকে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, প্রার্থীদের জন্য আলাদা কোনো কার্ড তৈরি করা হয়নি, ফলে অনেক কেন্দ্রেই তারা প্রবেশে সমস্যায় পড়ছেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রার্থী ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্যানেল
মোট ১০টির মতো আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। শীর্ষ তিন পদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য এবং বামপন্থী সাত সংগঠন সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোটকেন্দ্র ও সময়
এবারই প্রথমবারের মতো আবাসিক হলের বাইরে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কার্জন হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, টিএসসি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, সিনেট ভবন, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভূতত্ত্ব বিভাগ এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ—এই আটটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত, তবে যারা চারটার মধ্যে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন, তারা সবাই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন।
সব মিলিয়ে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও অংশগ্রহণমূলক চেতনার এক গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন।
সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে নির্বাচন নয় জামায়াত নেতার কঠোর বার্তা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়; বরং সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিএনপিকে নিশানা করে বলেন, জুলাই সনদ পড়ে ও বুঝেই সব দল স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর করেছে; এখন তারা আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, "শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অংক কখনো দামি হতে পারে না।"
তিনি বিএনপির গণভোট একই দিনে আয়োজন করার দাবির সমালোচনা করে বলেন; গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয়; একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীর রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা (গণভোটের সম্ভাব্য খরচ) বেশি দামি। তিনি শহীদদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরে গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদের বিরোধিতা করার মানে হচ্ছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে; কারণ এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়। তিনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক নেতা বারবার ক্ষমতা চান না উল্লেখ করে বলেন, যেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে কোনো ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সেখানে বিএনপির আপত্তির উদ্দেশ্য জাতি বোঝে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন; সুতরাং আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন।" তিনি বলেন, সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।
সেমিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলা
শেখ হাসিনার পরিচিত ব্যক্তি ও তার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম, “পানি জাহাঙ্গীর” নামে পরিচিত, এর বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতের দিকে নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ার পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় চাটখিল থানায় পুলিশের পরিদর্শক মেহেদী হাসানের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তিনি প্রথমে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে চাকরি শুরু করেন এবং ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের গঠনের পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকরি পান।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর আলম ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি স্থাপন করেন এবং বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা শুরু করেন। তবে এই ব্যবসার আড়ালে তিনি এবং তার পরিবার বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন চালান।
২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা করা হয়েছে এবং এই অর্থের বৈধ উৎস শনাক্ত করা যায়নি।
সিআইডির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার এবং ভাই মনির হোসেনের সহযোগিতায় দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত ছিলেন। ২০২৪ সালের জুনে তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে যে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার পরিবারের সদস্যরা যৌথভাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে সিআইডির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
-শরিফুল
ধানের শীষ-শাপলা কলি: ত্রয়োদশ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকধারী দল এবং শাপলা কলি প্রতীকধারী দলের মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রায় চার মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিবাদে জড়িত ছিল। তবে সম্প্রতি এনসিপি ‘শাপলা কলি’ প্রতীকের বিষয়ে সম্মতি পেয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, দলটি নির্বাচনী চিঠিতে তিনটি বিকল্প প্রতীক শাপলা, সাদা শাপলা এবং শাপলা কলি চেয়েছিল। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন শাপলা কলি অনুমোদন দিলে এনসিপি তা ব্যবহার করবে।
আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য জোটের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি ও জামায়াত যদি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও গডফাদার রাজনীতি থেকে সরে আসে, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারি।”
এসময় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও উল্লেখ করেন, গণভোটের সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে, তা নির্বাচনের দিনই হোক বা তার আগে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণভোট যাতে সকলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেটি দলের প্রধান দাবি।
-রাফসান
পানিতে ডুবে মরা ভালো' চুপ্পুর হাতে জুলাই সনদ গ্রহণের চেয়ে: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ঢাকার পর দ্বীপ জেলা ভোলায় জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন; এখন 'চুপ্পুর' হাত থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয়, তাহলে শহীদ ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পরিবারের কাছে তা হবে চরম অপমানের। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "এরচেয়ে পানিতে ডুবে মরা ভালো।"
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভোলা জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো—যারা জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখার কথা বলে; তারাই আজ 'চুপ্পুর' কাছে 'বায়াত' নিয়ে সেই সনদ নিতে চাইছে। তিনি 'চুপ্পু'কে 'ফ্যাসিবাদের সুপ্রিম লিডার' হিসেবে উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, তার কাছ থেকে 'বায়াত' নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা এক ধরনের প্রতারণা।
এনসিপি নেতা আরও বলেন, জুলাই সনদের বৈধতা একমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূসের; গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়ার কারণে তার নির্দেশেই সনদ প্রদান হতে হবে। তিনি মনে করেন, কোনো প্রজ্ঞাপন বা অস্থায়ী নির্দেশ নয়; সরকারের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনের মতো জুলাই সনদের ক্ষেত্রেও সরকারের বৈধ ম্যান্ডেট রয়েছে; নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারিই হতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা বলে জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই; তারা কাল হয়তো বলবে ২৪ আন্দোলনেরও প্রয়োজন নেই।
এসময় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে পেশী-শক্তির ব্যবহার মারাত্মক সংকেত; আমরা আশা করি পার্থ ভেবে দেখবেন এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন।
সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, দক্ষিণাঞ্চলীয় যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতুসহ এনসিপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
‘গণভোট নিয়ে তর্ক বন্ধ করুন’- বিএনপি–জামায়াতকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
গণভোটের সময়সূচি ও পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধ না বাড়িয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি সতর্ক করে বলেন, গণভোটের সময় নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পারস্পরিক তর্কাতর্কি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলছে, যা শেষ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ব্যাহত করার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “গণভোট নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এই ধরনের ‘রাজনৈতিক যুদ্ধ’ শুধু অযৌক্তিকই নয়, বরং নির্বাচনের প্রস্তুতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আমি দুই দলকেই আহ্বান জানাই এ ধরনের সংঘাত এড়িয়ে চলুন, যাতে নির্বাচন পিছিয়ে না যায়।”
তিনি আরও বলেন, “গণভোটের সময়টা আসলে মূল ইস্যু নয়। আমরা চাই এই গণভোটটি যেন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জনগণ ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে। গণভোট নির্বাচনের দিনেও হতে পারে, তার আগেও হতে পারে এই বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ ফ্লেক্সিবল।”
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, “আমাদের দৃষ্টিতে, যদি গণভোট আগে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে জনগণের মধ্যে সংবিধান সংস্কার নিয়ে আগ্রহ ও উদ্দীপনা বাড়বে। এতে প্রচার-প্রচারণার সুযোগও বাড়বে এবং সংস্কার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ইতিবাচক রাজনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হবে। তবে সময়সূচি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ানো অযৌক্তিক এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে এবং আন্দোলনের লক্ষ্য দুর্বল হয়ে পড়বে।”
তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, গণভোটকে কেন্দ্র করে সংঘাত বা মুখোমুখি অবস্থান সৃষ্টি করা গণতান্ত্রিক সংস্কারের চেতনাকে বিকৃত করবে। “গণভোট হলো জনগণের অংশগ্রহণের একটি উৎসব, কোনো রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র নয়,” বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি আরও বলেন, “এনসিপি বিশ্বাস করে, গণভোট একটি ঐক্যবদ্ধ প্রক্রিয়া হওয়া উচিত যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের মতামত গ্রহণে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু গণভোটের মতো সংবেদনশীল ইস্যুতে ঐক্যই আমাদের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।”
তিনি শেষে আবারও দুই প্রধান দলকে সতর্ক করে বলেন, “অপ্রয়োজনীয় কুতর্ক ও সংঘাত এড়িয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাই এখন সময়ের দাবি। কারণ, নির্বাচন বিলম্বিত হলে এর দায় কোনো একক দলের নয়, বরং গোটা জাতির ওপর পড়বে।”
প্রেসিডেন্টের আদেশ মানে জুলাই বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বা সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত আদেশের দায়িত্ব কেবলমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, এই আদেশ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কার্যালয় থেকে জারি করা হলে তা হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষার ‘কফিনে শেষ পেরেক’।
রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “জুলাই সনদ হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ও নৈতিক উত্তরাধিকার। সুতরাং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কোনো প্রশাসনিক বা সাংবিধানিক নির্দেশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকেই জারি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি এই আদেশ তথাকথিত রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে জারি হয়, তবে এর কোনো রাজনৈতিক বা আইনি বৈধতা থাকবে না। বরং সেটা গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে।” নাহিদ ইসলাম সতর্ক করে বলেন, “প্রেসিডেন্ট চুপ্পু যদি এমন কোনো নির্দেশ জারি করেন, সেটা হবে রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর এবং সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।”
এনসিপি আহ্বায়ক মনে করেন, জুলাই সনদের উদ্দেশ্য ছিল জনগণনির্ভর একটি নতুন রাষ্ট্রচেতনা প্রতিষ্ঠা করা, যা কোনো নির্দিষ্ট পদ বা প্রথাগত ক্ষমতাকেন্দ্রের দ্বারা নয়, বরং জনগণের স্বার্থে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। তাই অধ্যাপক ড. ইউনূসকেই এই আদেশ জারি করতে হবে—এটাই গণঅভ্যুত্থানের যৌক্তিক ও বৈধ পরিণতি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গণভোট ও নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের চলমান মতবিরোধেরও কঠোর সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “সংবিধান সংস্কার ও জুলাই সনদের প্রস্তাবনার মূল বিষয় হওয়া উচিত সংস্কারের ধরন, আইনি কাঠামো এবং প্রধান উপদেষ্টার আদেশের প্রক্রিয়া। কিন্তু এর পরিবর্তে বিএনপি ও জামায়াত এখন বিতর্কে জড়িয়েছে গণভোটের সময় নিয়ে—গণভোট আগে হবে নাকি নির্বাচনের দিনেই হবে। এই দ্বন্দ্ব আসলে অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সংস্কারের বিষয়বস্তু ও প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য হলে গণভোট কখন হবে সেটা বড় বিষয় নয়। চাইলে আমরা নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজন করতে পারি, কিংবা তার আগেও করতে পারি। কিন্তু এ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে মূল সংস্কার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা আন্দোলনের লক্ষ্যকেই দুর্বল করছে।”
নাহিদ ইসলাম শেষে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ যে পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে, সেটি এখন বাস্তব রূপ পেতে যাচ্ছে। তাই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরই জনগণের আস্থা নির্ভর করছে, এবং জুলাই সনদের আদেশ তিনিই জারি করলে তবেই তা নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বৈধতা পাবে।
-শরিফুল
প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
প্রতীক 'শাপলা' নিয়ে প্রায় চার মাস নয় দিন ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে চলা টানাপড়েনের মধ্যে দলটি এবার নতুন কৌশল নিয়েছে। সম্প্রতি ইসি প্রতীক তালিকায় 'শাপলা কলি' যুক্ত করার পর; এনসিপি সেই প্রতীকসহ আরও দুটি প্রতীক চেয়ে ইসিতে নতুনভাবে আবেদন করেছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রতীক বরাদ্দের এই আবেদন জানান।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, তারা শাপলা, সাদা শাপলা এবং শাপলা কলি—এই তিনটি প্রতীকের মধ্যে যেকোনো একটিকে দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ চেয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেন, যদি শেষ পর্যন্ত 'শাপলা কলি' দেওয়া হয়, তবে এনসিপি তা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলও 'শাপলা কলি'কে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।
এনসিপি নেতা বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত যদি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও গডফাদারদের রাজনীতি থেকে সরে আসতে পারে; তাহলে এনসিপি তাদের সঙ্গে জোটে যাবে। তিনি নির্বাচন যে দিনই হোক না কেন; গণভোট যেন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা হয়, সেই দাবিও জানান।
৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন; সেই সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি; ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। কে কোন আসনে দাঁড়াবে, আমরা প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।" তিনি মন্তব্য করেন, বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা চলছে; রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগকে (নির্বাচনে আসার) সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিলে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "গণ-অভ্যুত্থান প্রশ্নে যতদিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে; ততদিন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।"
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, "যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে; কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।" তবে এখনও ঐক্যের সুযোগ আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
ডা. শফিকুর রহমান আবারও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো দলটির সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার; সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের আমির নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে সদস্যদের কাছ থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা সম্পন্ন করে। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী; ডা. শফিকুর রহমান সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য আমির নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি কত ভোট পেয়েছেন বা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিলেন কি না, তা জানানো হয়নি।
ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তান) মাওলানা মওদূদীর হাত ধরে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মোট ছয়জন নেতা আমির নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন
মাওলানা আবদুর রহিম (১৯৫৬-১৯৬০)
অধ্যাপক গোলাম আযম (১৯৬০-১৯৭১ এবং ১৯৯২-২০০০)
আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত, ১৯৭৯-১৯৯২)
মতিউর রহমান নিজামী (২০০০-২০১৬)
মকবুল আহমদ (২০১৬-২০১৯)
ডা. শফিকুর রহমান (২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত)
ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবারের মতো নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
পাঠকের মতামত:
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ধৈর্য নবীজি (সাঃ) এর হাদিস ও কোরআনের আলোকে গুরুত্ব
- উত্তর বাড্ডার এক বাসা থেকে নারী-পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে নির্বাচন নয় জামায়াত নেতার কঠোর বার্তা
- পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলা
- ধানের শীষ-শাপলা কলি: ত্রয়োদশ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
- এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসে দাম কমানো হলো যত টাকা
- বেসরকারি ব্যাংক ঘিরে প্রবাসী রেমিট্যান্সের মূল প্রবাহ
- শরীয়তপুরে আবারও দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ইসরায়েলের হামলা ও সীমিত হিউম্যানিটেরিয়ান সাহায্য: গাজা-লেবাননে নতুন উত্তেজনা
- ‘আল্লাহ ও তাঁর রসুলকে রেখেছি’: আশারাতুল মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত প্রথম খলিফার গল্প
- মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সমস্যাসমূহ: থেরাপি, ওষুধ ও মানসিক রোগ নির্ণয়ের “অযাচিত ক্ষতি”
- স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ
- পানিতে ডুবে মরা ভালো' চুপ্পুর হাতে জুলাই সনদ গ্রহণের চেয়ে: হাসনাত
- ‘গণভোট নিয়ে তর্ক বন্ধ করুন’- বিএনপি–জামায়াতকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- বাড্ডায় দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর রহস্যে ধোঁয়াশা
- ৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
- প্রেসিডেন্টের আদেশ মানে জুলাই বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক: নাহিদ
- ক্যান্সার কি আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে প্রাথমিক অবস্থায় দেখা যাওয়া ৫টি লক্ষণ
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান
- প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
- বার্সেলোনার তারকা ইয়ামালের প্রেম ভেঙেছে, বাবা দিলেন বিয়ের ঘোষণা
- ৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
- গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে
- শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
- চীন সরকারের নজিরবিহীন সফলতা ৩০০ মিলিয়ন ভিজিটরের চোখে অন্য শিনচিয়াং
- বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
- ইউএই ভ্রমণ সহজ হবে, যদি জানেন এই ৭টি ভিসা চেকলিস্ট
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর
- "অপুর সঙ্গে কাজের বিরতি, কিন্তু সম্পর্ক এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ"
- উত্তরাঞ্চলে শীতের ঢেউ, আবহাওয়াবিদদের সতর্কবার্তা
- "মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"
- দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা
- ডিএসই সার্কিট ব্রেকার রিপোর্ট – ২ নভেম্বর ২০২৫
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির হালনাগাদ মূল্যসম্ভার
- নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা
- ডলারের যুগের অবসান? পাঁচ শতাব্দীর আর্থিক ইতিহাসে পুনরাবৃত্ত পতনের ছন্দ
- বিশ্বকাপের আগে অবসর: টি–টোয়েন্টি অধ্যায়ের ইতি টানলেন উইলিয়ামসন
- আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি
- প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ
- থাইরয়েড ও হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখার সহজ উপায়
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে








